আজি বিজন ঘরে | সাধন ঘোষ | অ্যালবামঃ পথ-চাওয়াতেই আনন্দ
HTML-код
- Опубликовано: 8 апр 2024
- আজি বিজন ঘরে নিশীথরাতে আসবে যদি শূন্য হাতে-
আমি তাইতে কি ভয় মানি !
জানি জানি বন্ধু, জানি -
তোমার আছে তো হাতখানি।।
চাওয়া-পাওয়ার পথে পথে দিন কেটেছে কোনোমতে,
এখন সময় হল তোমার কাছে আপনাকে দিই আনি।।
আঁধার থাকুক দিকে দিকে আকাশ-অন্ধ-করা,
তোমার পরশ থাকুক আমার-হৃদয়-ভরা-
জীবনদোলায় দুলে দুলে আপনারে ছিলেম ভুলে,
এখন জীবন মরণ দু দিক দিয়ে নেবে আমায় টানি।
তথ্যপঞ্জি:
রচনার তারিখ: ৩ ফাল্গুন ১৩২৪ (১৪ ফেব্রুয়ারি ১৯১৮)। কবির বয়স: ৫৬। রচনার স্থান: শান্তিনিকেতন। প্রকাশ: ১. প্রবাহিণী কাব্য, অগ্রহায়ণ ১৩৩২; ২. গীতবিতান (১ম সং) ২য় খণ্ড , আশ্বিন ১৩৩৮; ৩. গীতবিতান (২য় সং) ১ম খণ্ড, ভাদ্র ১৩৪৫; ৪. গীতবিতান (অখণ্ড), আশ্বিন ১৩৭১। পর্ব: পূজা, ২০২ সংখ্যক গান। উপপর্ব: দু:খ। রাগ: বেহাগ। তাল: একতাল। স্বরলিপি: গীতপঞ্চাশিকা (স্বরবিতান-১৬), দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর। রবীন্দ্রনাথের জীবনকালে প্রথম গ্র্রামোফোন রেকর্ড: যূথিকা ঘোষ, মেগাফোন জে এন জি ৫৬২৪।
সংগীতভাষ্য:
রবীন্দ্রনাথের জ্যেষ্ঠাকন্যা মাধুরীলতা (বেলা)-র অসুস্থতার তখন খুব বাড়াবাড়ি। মানসিকভাবে দারুণ বিপর্যস্ত কবি। তখন ফাল্গুন মাস। শান্তি নিকেতনের শিক্ষার্থীরা বনভোজনের আয়োজন করলো সুরুলের কুঠিবাড়িতে। রবীন্দ্রনাথ গেলেন বিকেলে। সন্ধ্যায় বসলো গানের আসর। সবার শেষে রবীন্দ্রনাথ গাইলেন “আজি বিজন ঘরে নিশীথরাতে আসবে যদি শূন্য হাতে”। গানটি সম্ভবত সে দিনেরই রচনা। তারিখ ৩ ফাল্গুন ১৩২৪। এ গানটিতে আসন্ন-মৃত্যুর একটি ছায়াসম্পাত আছে, জীবন-মরণের সন্ধিক্ষণের কথা আছে। “এখন সময় হল তোমার কাছে আপনাকে দিই আনি অথবা এখন জীবন মরণ দু দিক দিয়ে নেবে আমায় টানি-“ এ সব পংক্তি মৃত্যুগন্ধী। সম্ভবত কন্যা মাধুরীলতার অসুস্থতার প্রতিক্রিয়া এ সব বাক্যে প্রকাশিত। কিন্তু মৃত্যুচিন্তা এ গানে সার্বভৌম নয়। তোমার আছে তো হাতখানি শূন্যতার মধ্যে প্রত্যাশাকে জাগিয়ে রাখে, তোমার পরশ থাকুক আমার হৃদয় ভরা অন্ধকারের মধ্যে আলোর প্রদীপ জ্বালিয়ে দেয়।
যন্ত্রানুষঙ্গ পরিচালনাঃ দুর্বাদল চ্যাটার্জী
© কপিরাইটঃ সোমা ঘোষ (সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত)
অপূর্ব।
❤❤❤❤
🌻🌻🌻
প্রণাম রইলো। স্যার, গানটি র প্রেক্ষাপট আর গায়কী, সব মিলিয়ে অনবদ্য। সুস্বাস্থ্য কামনা করি।
❤❤❤😢😢
স্যার,আমার প্রণাম নিবেন। অসম্ভব ভালো লাগলো গান স্যার!