লিভার রোগের লক্ষণ - লিভার সিরোসিসের লক্ষণ - লিভার সিরোসিস হলে কি হয় - লিভার ভালো রাখার উপায়

Поделиться
HTML-код
  • Опубликовано: 5 фев 2025
  • লিভার ও পরিপাকতন্ত্র বিশেষজ্ঞ
    ডাঃ মোঃ গোলাম আযম
    এমবিবিএস (ডিএমসি), এমডি (হেপাটোলজি)
    লিভার রোগে উচ্চতর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত (জাপান)
    সহযোগী অধ্যাপক, গ্যাস্ট্রোএন্টারোলোজি ও লিভার বিভাগ
    বারডেম হাসপাতাল, ঢাকা।
    চেম্বারঃ
    ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হসপিটাল এন্ড রিসার্চ ইন্সটিটিউট
    ১২২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, শাহবাগ, ঢাকা
    সিরিয়ালঃ 01713-1080-86
    আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
    হোল্ডিং ১৭, রোড ৮, ধানমন্ডি, ঢাকা
    সিরিয়ালঃ 01826-179-686
    লিভার সিরোসিস কী, কেন হয়?
    লিভার সিরোসিস একটি মারাত্মক রোগ। লিভারের নানারকম রোগের মধ্যে এটিকে চূড়ান্ত পর্যায়ের একটি রোগ বলে গণ্য করা হয়।
    এ ব্যাপারে শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হাসপাতালের পরিচালক পরিপাকতন্ত্র ও লিভার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. ফারুক আহমেদ
    তিনি বলেন, এই রোগে আক্রান্ত হলে লিভারের ট্রান্সপ্লান্ট বা প্রতিস্থাপন ছাড়া পুরোপুরি আরোগ্য হয় না।
    যখন লিভারের রোগের নানা পর্যায়ের পর কোষগুলো এমনভাবে আক্রান্ত হয় যে, লিভার আর কাজ করতে পারে না, সেই পর্যায়কে লিভার সিরোসিস বলে বর্ণনা করা হয়।
    লিভারে প্রদাহ বা হেপাটাইটিসের প্রধান কারণ হচ্ছে ভাইরাস। যেমন- ‘এ’, ‘বি’, ‘সি’ এবং ‘ডি’- এই ভাইরাসগুলো লিভারে প্রদাহের ভাইরাস। এগুলো লিভারকে আক্রমণ করে লিভার ক্ষতিগ্রস্ত করে।
    এছাড়া আরও কিছু কারণ রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম কারণ হচ্ছে ফ্যাটি লিভার। লিভারে যদি মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে চর্বি জমে, তখনো লিভার ফাংশন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
    কোনো ভাইরাস দীর্ঘমেয়াদি সংক্রমণ করে। এই দীর্ঘমেয়াদি সংক্রমণ ‘বি’ এবং ‘সি’ ভাইরাস থেকে হয়। দীর্ঘমেয়াদি সংক্রমণ যখন হয়, তখনই সিরোসিস হয়। আর সিরোসিস যাদের হয়, তাদের মধ্যে কিছু শতাংশ রোগীর লিভার ক্যান্সার হয়। সুতরাং লিভার সিরোসিস বা লিভার ক্যান্সারের প্রধান কারণ হলো আমাদের দেশে হেপাটাইটিস ‘বি’ ভাইরাস।
    কিছু কিছু রোগীর লিভার ক্যান্সার হয় ‘সি’ ভাইরাসে। এছাড়া আরও অন্য যে সাধারণ কারণ রয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে ফ্যাটি লিভার। যাদের দীর্ঘমেয়াদি ‘বি’ এবং ‘সি’ ভাইরাস সংক্রমণ রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে ১০ থেকে ১৫ শতাংশের লিভার সিরোসিস হয়। এদের মধ্যে বছরে ৫ শতাংশ লোকের লিভার ক্যান্সার হয়।
    লিভার সিরোসিস কেন হয়, কীভাবে ঠেকাব
    ডা. মোহাম্মদ জাকির হোসেনসহযোগী অধ্যাপক, পরিপাকতন্ত্র, লিভার ও প্যানক্রিয়াস রোগ বিভাগ স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতাল, ঢাকা
    লিভার সিরোসিস রোগ সম্পর্কে অনেকেরই অল্পবিস্তর জানা আছে। এটা যকৃতের জটিল একটি রোগ। এ রোগ একবার হয়ে গেলে নিরাময় করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। সে ক্ষেত্রে একমাত্র স্থায়ী সমাধান হতে পারে লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট বা যকৃৎ প্রতিস্থাপন। যকৃৎ প্রতিস্থাপন ব্যয়বহুল চিকিৎসা। শুধু আর্থিক সামর্থ্য থাকলেই হবে না, যকৃৎ দান করার মতো দাতাও লাগবে, আর সেই যকৃৎ ম্যাচিং হতে হবে।
    তাই চিকিৎসার চেয়ে লিভার সিরোসিস প্রতিরোধই উত্তম। কারণ, অনেক ক্ষেত্রেই রোগটি প্রতিরোধ করা সম্ভব। বাংলাদেশে আনুমানিক ৮ থেকে ১০ লাখ মানুষ লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত। সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে এর অনেকটা প্রতিরোধ করা সম্ভব।
    যকৃতের কাজ কী
    মানুষের পেটের ওপরের অংশের ডান দিকে যকৃতের অবস্থান, যা মানবদেহে বিপাক ক্রিয়া সম্পাদন করে থাকে।
    খাদ্যের অতিরিক্ত গ্লুকোজ যকৃতে গ্লাইকোজেন হিসেবে সঞ্চিত থাকে, যা পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনে শক্তির জোগান দিতে পারে। যকৃৎ শরীরের অতি প্রয়োজনীয় অ্যালবুমিন এবং অন্যান্য প্রোটিনের মূল জোগানদাতা। রক্ত তরল রাখার বেশ কিছু উপাদান যকৃতে তৈরি হয়। আমাদের শরীরের অনেক দূষিত উপাদান, বর্জ্য, ওষুধের বিপাকজনিত বর্জ্য বের করে দিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে লিভার। কাজেই লিভার সিরোসিস হলে লিভারের সব কাজ ব্যাহত হয়।
    লিভার সিরোসিস নানা ধরনের উপসর্গ নিয়ে উপস্থিতি জানান দিতে পারে। ক্লান্তি ও দুর্বলতা, অরুচি, ওজন হ্রাস একেবারে প্রাথমিক লক্ষণ। জন্ডিস হতে পারে। কখনো জন্ডিস এত মৃদু হয় যে রুটিন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় হঠাৎ লিভার ফাংশন টেস্ট করলে ধরা পড়ে
    কেন হয় লিভার সিরোসিস
    স্বাভাবিক অবস্থায় লিভারের কোষকলা নরম ও মসৃণ। সিরোসিস হলে লিভারের কলাগুলো শক্ত ও দানাদার হয়ে যায়। লিভারের গঠনগত পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এর কার্যক্ষমতা ধীরে ধীরে লোপ পেতে থাকে এবং একসময় অকার্যকর হয়ে পড়ে।
    নানা কারণে লিভার সিরোসিস হতে পারে। উন্নত বিশ্বে লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার প্রধান কারণ অতিরিক্ত মদ্যপান। আবার অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোয় হেপাটাইটিস বি, হেপাটাইটিস সি এবং হেপাটাইটিস ডি ভাইরাসের দীর্ঘমেয়াদি সংক্রমণের কারণে সাধারণত মানুষের লিভার সিরোসিস হয়ে থাকে। বাংলাদেশে লিভার সিরোসিসের প্রধান কারণ হেপাটাইটিস বি ভাইরাস।
    এ ছাড়া পৃথিবীজুড়ে লিভার সিরোসিসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কারণ ফ্যাটি লিভার থেকে সৃষ্ট ন্যাশ (নন অ্যালকোহলিক স্টিয়াটো হেপাটাইটিস)। আমাদের দেশেও ফ্যাটি লিভারের প্রচুর রোগী পাওয়া যাচ্ছে। এর বাইরে লিভার সিরোসিসের কিছু বিরল কারণের মধ্যে আছে উইলসন ডিজিজ, হেমোক্রোমাটোসিস এবং আলফা-ওয়ান অ্যান্ট্রিপসিন ডেফিসিয়েন্সি।
    হেপাটাইটিস বি ও সি রক্তবাহিত রোগ। সাধারণত অনিরাপদ রক্ত গ্রহণের মাধ্যমে এগুলো ছড়িয়ে থাকে। তাই রক্ত গ্রহণের প্রয়োজন হলে রক্তদাতার রক্তে হেপাটাইটিস বি ও সি ভাইরাস আছে কি না, সেটা অবশ্যই দেখে নিতে হবে। পেশাদার রক্তদাতার কাছ থেকে রক্ত নেওয়া যাবে না। একই সুচ-সিরিঞ্জ ব্যবহার করলেও এ দুটি ভাইরাস ছড়াতে পারে। সেলুনের কাঁচি, রেজর ইত্যাদি জীবাণুমুক্ত না করে ব্যবহার করলেও এসব ভাইরাস ছড়াতে পারে। অনিরাপদ যৌন মিলনও হেপাটাইটিস বি ও সি ভাইরাস সংক্রমণের কারণ।
    অ্যালকোহলজনিত সিরোসিস আমাদের দেশে আগে খুব একটা বেশি ছিল না। তবে আজকাল ধীরে ধীরে এর হারও বাড়ছে। ফ্যাটি লিভার ডিজিজের হারও দ্রুত বাড়ছে। অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, উচ্চ শর্করা বিশেষ করে ট্রাইগ্লিসারাইড, অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস এবং অতিরিক্ত শারীরিক ওজন ফ্যাটি লিভারের অন্যতম কারণ।
    #liver_cirrhosis

Комментарии • 19