Jibanananda was a milestone for Bengali literature,his poem writing style has been very different like any other poet from smart poem time. He was a great personality for every person. He was a real nature lover and always thought positivity to taken any problem in her life. Simul Mustafa is a sweet name of Bengali recitation. Frist time when I listened this voice, I feel very positive and so clearity of her voice.we can proud for Bengali poem and we have a lot of talented poet in our Bengal,they preasenting many many subject for people;when we read there writing we can understand what they are.
আলো-অন্ধকারে যাই-মাথার ভিতরে স্বপ্ন নয়, কোন্ এক বোধ কাজ করে; স্বপ্ন নয়-শান্তি নয়-ভালোবাসা নয়, হৃদয়ের মাঝে এক বোধ জন্ম লয়; আমি তারে পারি না এড়াতে, সে আমার হাত রাখে হাতে, সব কাজ তুচ্ছ হয়-পণ্ড মনে হয়, সব চিন্তা-প্রার্থনার সকল সময় শূন্য মনে হয়, শূন্য মনে হয়। সহজ লোকের মতো কে চলিতে পারে। কে থামিতে পারে এই আলোয় আঁধারে সহজ লোকের মতো; তাদের মতন ভাষা কথা কে বলিতে পারে আর; কোনো নিশ্চয়তা কে জানিতে পারে আর? শরীরের স্বাদ কে বুঝিতে চায় আর? প্রাণের আহ্লাদ সকল লোকের মতো কে পাবে আবার। সকল লোকের মতো বীজ বুনে আর স্বাদ কই, ফসলের আকাঙ্ক্ষায় থেকে, শরীরে মাটির গন্ধ মেখে, শরীরে জলের গন্ধ মেখে, উৎসাহে আলোর দিকে চেয়ে চাষার মতন প্রাণ পেয়ে কে আর রহিবে জেগে পৃথিবীর ’পরে? স্বপ্ন নয়-শান্তি নয়-কোন্ এক বোধ কাজ করে মাথার ভিতরে। পথে চ’লে পারে-পারাপারে উপেক্ষা করিতে চাই তারে; মড়ার খুলির মতো ধ’রে আছাড় মারিতে চাই, জীবন্ত মাথার মতো ঘোরে তবু সে মাথার চারিপাশে, তবু সে চোখের চারিপাশে, তবু সে বুকের চারিপাশে; আমি চলি, সাথে-সাথে সেও চ’লে আসে। আমি থামি- সেও থেমে যায়; সকল লোকের মাঝে ব’সে আমার নিজের মুদ্রাদোষে আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা? আমার পথেই শুধু বাধা? জন্মিয়াছে যারা এই পৃথিবীতে সন্তানের মতো হ’য়ে- সন্তানের জন্ম দিতে-দিতে যাহাদের কেটে গেছে অনেক সময়, কিংবা আজ সন্তানের জন্ম দিতে হয় যাহাদের; কিংবা যারা পৃথিবীর বীজখেতে আসিতেছে চ’লে জন্ম দেবে-জন্ম দেবে ব’লে; তাদের হৃদয় আর মাথার মতন আমার হৃদয় না কি? তাহদের মন আমার মনের মতো না কি? -তবু কেন এমন একাকী? তবু আমি এমন একাকী। হাতে তুলে দেখিনি কি চাষার লাঙল? বাল্টিতে টানিনি কি জল? কাস্তে হাতে কতোবার যাইনি কি মাঠে? মেছোদের মতো আমি কতো নদী ঘাটে ঘুরিয়াছি; পুকুরের পানা শ্যালা-আঁশ্টে গায়ের ঘ্রাণ গায়ে গিয়েছে জড়ায়ে; -এই সব স্বাদ; -এ-সব পেয়েছি আমি, বাতাসের মতন অবাধ বয়েছে জীবন, নক্ষত্রের তলে শুয়ে ঘুমায়েছে মন এক দিন; এই সব সাধ জানিয়াছি একদিন-অবাধ-অগাধ; চ’লে গেছি ইহাদের ছেড়ে; ভালোবেসে দেখিয়াছি মেয়েমানুষেরে, অবহেলা ক’রে আমি দেখিয়াছি মেয়েমানুষেরে, ঘৃণা ক’রে দেখিয়াছি মেয়েমানুষেরে; আমারে সে ভালোবাসিয়াছে, আসিয়াছে কাছে, উপেক্ষা সে করেছে আমারে, ঘৃণা ক’রে চ’লে গেছে-যখন ডেকেছি বারে-বারে ভালোবেসে তারে; তবুও সাধনা ছিলো একদিন-এই ভালোবাসা; আমি তার উপেক্ষার ভাষা আমি তার ঘৃণার আক্রোশ অবহেলা ক’রে গেছি; যে-নক্ষত্ৰ-নক্ষত্রের দোষ আমার প্রেমের পথে বার-বার দিয়ে গেছে বাধা আমি তা’ ভুলিয়া গেছি; তবু এই ভালোবাসা-ধুলো আর কাদা। মাথার ভিতরে স্বপ্ন নয়-প্রেম নয়-কোনো এক বোধ কাজ করে। আমি সব দেবতারে ছেড়ে আমার প্রাণের কাছে চ’লে আসি, বলি আমি এই হৃদয়েরে: সে কেন জলের মতো ঘুরে-ঘুরে একা কথা কয়! অবসাদ নাই তার? নাই তার শান্তির সময়? কোনোদিন ঘুমাবে না? ধীরে শুয়ে থাকিবার স্বাদ পাবে না কি? পাবে না আহ্লাদ মানুষের মুখ দেখে কোনোদিন! মানুষীর মুখ দেখে কোনোদিন! শিশুদের মুখ দেখে কোনোদিন! এই বোধ-শুধু এই স্বাদ পায় সে কি অগাধ-অগাধ! পৃথিবীর পথ ছেড়ে আকাশের নক্ষত্রের পথ চায় না সে? করেছে শপথ দেখিবে সে মানুষের মুখ? দেখিবে সে মানুষীর মুখ? দেখিবে সে শিশুদের মুখ? চোখে কালো শিরার অসুখ, কানে যেই বধিরতা আছে, যেই কুঁজ-গলগণ্ড মাংসে ফলিয়াছে নষ্ট শসা-পচা চাল্কুমড়ার ছাঁচে, যে-সব হৃদয়ে ফলিয়াছে -সেই সব।
আলো-অন্ধকারে যাই-মাথার ভিতরে স্বপ্ন নয়, কোন্ এক বোধ কাজ করে; স্বপ্ন নয়-শান্তি নয়-ভালোবাসা নয়, হৃদয়ের মাঝে এক বোধ জন্ম লয়; আমি তারে পারি না এড়াতে, সে আমার হাত রাখে হাতে, সব কাজ তুচ্ছ হয়-পণ্ড মনে হয়, সব চিন্তা-প্রার্থনার সকল সময় শূন্য মনে হয়, শূন্য মনে হয়। সহজ লোকের মতো কে চলিতে পারে। কে থামিতে পারে এই আলোয় আঁধারে সহজ লোকের মতো; তাদের মতন ভাষা কথা কে বলিতে পারে আর; কোনো নিশ্চয়তা কে জানিতে পারে আর? শরীরের স্বাদ কে বুঝিতে চায় আর? প্রাণের আহ্লাদ সকল লোকের মতো কে পাবে আবার। সকল লোকের মতো বীজ বুনে আর স্বাদ কই, ফসলের আকাঙ্ক্ষায় থেকে, শরীরে মাটির গন্ধ মেখে, শরীরে জলের গন্ধ মেখে, উৎসাহে আলোর দিকে চেয়ে চাষার মতন প্রাণ পেয়ে কে আর রহিবে জেগে পৃথিবীর ’পরে? স্বপ্ন নয়-শান্তি নয়-কোন্ এক বোধ কাজ করে মাথার ভিতরে। পথে চ’লে পারে-পারাপারে উপেক্ষা করিতে চাই তারে; মড়ার খুলির মতো ধ’রে আছাড় মারিতে চাই, জীবন্ত মাথার মতো ঘোরে তবু সে মাথার চারিপাশে, তবু সে চোখের চারিপাশে, তবু সে বুকের চারিপাশে; আমি চলি, সাথে-সাথে সেও চ’লে আসে। আমি থামি- সেও থেমে যায়; সকল লোকের মাঝে ব’সে আমার নিজের মুদ্রাদোষে আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা? আমার পথেই শুধু বাধা? জন্মিয়াছে যারা এই পৃথিবীতে সন্তানের মতো হ’য়ে- সন্তানের জন্ম দিতে-দিতে যাহাদের কেটে গেছে অনেক সময়, কিংবা আজ সন্তানের জন্ম দিতে হয় যাহাদের; কিংবা যারা পৃথিবীর বীজখেতে আসিতেছে চ’লে জন্ম দেবে-জন্ম দেবে ব’লে; তাদের হৃদয় আর মাথার মতন আমার হৃদয় না কি? তাহদের মন আমার মনের মতো না কি? -তবু কেন এমন একাকী? তবু আমি এমন একাকী। হাতে তুলে দেখিনি কি চাষার লাঙল? বাল্টিতে টানিনি কি জল? কাস্তে হাতে কতোবার যাইনি কি মাঠে? মেছোদের মতো আমি কতো নদী ঘাটে ঘুরিয়াছি; পুকুরের পানা শ্যালা-আঁশ্টে গায়ের ঘ্রাণ গায়ে গিয়েছে জড়ায়ে; -এই সব স্বাদ; -এ-সব পেয়েছি আমি, বাতাসের মতন অবাধ বয়েছে জীবন, নক্ষত্রের তলে শুয়ে ঘুমায়েছে মন এক দিন; এই সব সাধ জানিয়াছি একদিন-অবাধ-অগাধ; চ’লে গেছি ইহাদের ছেড়ে; ভালোবেসে দেখিয়াছি মেয়েমানুষেরে, অবহেলা ক’রে আমি দেখিয়াছি মেয়েমানুষেরে, ঘৃণা ক’রে দেখিয়াছি মেয়েমানুষেরে; আমারে সে ভালোবাসিয়াছে, আসিয়াছে কাছে, উপেক্ষা সে করেছে আমারে, ঘৃণা ক’রে চ’লে গেছে-যখন ডেকেছি বারে-বারে ভালোবেসে তারে; তবুও সাধনা ছিলো একদিন-এই ভালোবাসা; আমি তার উপেক্ষার ভাষা আমি তার ঘৃণার আক্রোশ অবহেলা ক’রে গেছি; যে-নক্ষত্র-নক্ষত্রের দোষ আমার প্রেমের পথে বার-বার দিয়ে গেছে বাধা আমি তা’ ভুলিয়া গেছি; তবু এই ভালোবাসা-ধুলো আর কাদা। মাথার ভিতরে স্বপ্ন নয়-প্রেম নয়-কোনো এক বোধ কাজ করে। আমি সব দেবতারে ছেড়ে আমার প্রাণের কাছে চ’লে আসি, বলি আমি এই হৃদয়েরে: সে কেন জলের মতো ঘুরে-ঘুরে একা কথা কয়! অবসাদ নাই তার? নাই তার শান্তির সময়? কোনোদিন ঘুমাবে না? ধীরে শুয়ে থাকিবার স্বাদ পাবে না কি? পাবে না আহ্লাদ মানুষের মুখ দেখে কোনোদিন! মানুষীর মুখ দেখে কোনোদিন! শিশুদের মুখ দেখে কোনোদিন! এই বোধ-শুধু এই স্বাদ পায় সে কি অগাধ-অগাধ! পৃথিবীর পথ ছেড়ে আকাশের নক্ষত্রের পথ চায় না সে? করেছে শপথ দেখিবে সে মানুষের মুখ? দেখিবে সে মানুষীর মুখ? দেখিবে সে শিশুদের মুখ? চোখে কালো শিরার অসুখ, কানে যেই বধিরতা আছে, যেই কুঁজ-গলগণ্ড মাংসে ফলিয়াছে নষ্ট শসা-পচা চাল্কুমড়ার ছাঁচে, যে-সব হৃদয়ে ফলিয়াছে -সেই সব।
কবিতায় যখন নিজের প্রতিচ্ছবি দেখতে পাই তখন সেটি আর কবিতা থাকে না আত্মজীবনী হয়ে উঠে।
Jibanananda was a milestone for Bengali literature,his poem writing style has been very different like any other poet from smart poem time. He was a great personality for every person. He was a real nature lover and always thought positivity to taken any problem in her life. Simul Mustafa is a sweet name of Bengali recitation. Frist time when I listened this voice, I feel very positive and so clearity of her voice.we can proud for Bengali poem and we have a lot of talented poet in our Bengal,they preasenting many many subject for people;when we read there writing we can understand what they are.
জীবনানন্দ দাশ আমার প্রিয় কবি
আপনার আবৃত্তি মনে ভরিয়ে দিল;
আপনার আবৃত্তি সবসময় ভালো লাগে আরো বেশি করে কবিতা আবৃত্তি চাই।
এমন আবৃত্তিকার একবারই জন্ম লয়, এই পৃথিবীর প'রে।
স্বপ্ন নয় , কোন এক বোধ কাজ করে । সত্যিই অসাধারণ ।
Kub sundor laglo.
খুব প্রিয় একটা কবিতা
হৃদস্পর্শী আবৃত্তি❤
ভালো লাগলো, সত্যি সুন্দর আবৃত্তি 💕
কতো বার যে শুনলাম। সত্যিই অসাধারণ।
সুন্দর একটা দিনের শুরু করলাম, ধন্যবাদ কবি।
Osadharon. Kichu Golpo abong kobita nia Toiri Valobasi Kobita. Akber gure Asun. Kotha dicchhi Valo lagbei.
Ki shundor!
বেশ ভালো লাগল ভাইয়া
Just অসাধারণ।
অনেক ভালো লাগলো স্যার।
অনেক ধন্যবাদ।
অসাধারণ লাগলো আপনার আবৃত্তি।
খুব খুব প্রিয় কবিতা..
অপূর্ব
অসাধারণ। 😍✨🎧🎤💖👌👏👍
অসাধারন -মুগ্ধতার রেশ জেগে থাকলো;
ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না এমন ভাল লেগেছে
যত শুনি ততই ভাল লাগে
আবারও মুগ্ধ হলাম।
#SumanOSabujera
খুব সুন্দর।
আপনার আমি খুব বড়ো ভক্ত, দারুন কবিতা বলেন ❤️❤️
অমায়িক কন্ঠ ।কি অসাধারণ।বার বার শুনতে ইচ্ছে করে ।আমার একটি কবিতা আপনার থেকে আবৃত্তি করিয়েনিতে চাই।কি ভাবে যোগাযোগ করব?
মনে হয় হাজার বার শুনলেও তার স্বাদ শেষ হবে না!!!
সুন্দর
অসাধারণ 💜💜💜
অসাধারণ।
কি সুন্দর কণ্ঠস্বর আপনার....
অসাধারণ।একবাক্যে অসাধারণ।
অসাধারণ
আহা!♥️
#kobitarghor
বেশ ভালো লাগলো
অসাধারণ l
শুভকামনা, শুভ নববর্ষ ১৪২৭ l
🙏🙏🙏
অসাধারণ!
আলো-অন্ধকারে যাই-মাথার ভিতরে
স্বপ্ন নয়, কোন্ এক বোধ কাজ করে;
স্বপ্ন নয়-শান্তি নয়-ভালোবাসা নয়,
হৃদয়ের মাঝে এক বোধ জন্ম লয়;
আমি তারে পারি না এড়াতে,
সে আমার হাত রাখে হাতে,
সব কাজ তুচ্ছ হয়-পণ্ড মনে হয়,
সব চিন্তা-প্রার্থনার সকল সময়
শূন্য মনে হয়,
শূন্য মনে হয়।
সহজ লোকের মতো কে চলিতে পারে।
কে থামিতে পারে এই আলোয় আঁধারে
সহজ লোকের মতো; তাদের মতন ভাষা কথা
কে বলিতে পারে আর; কোনো নিশ্চয়তা
কে জানিতে পারে আর? শরীরের স্বাদ
কে বুঝিতে চায় আর? প্রাণের আহ্লাদ
সকল লোকের মতো কে পাবে আবার।
সকল লোকের মতো বীজ বুনে আর
স্বাদ কই, ফসলের আকাঙ্ক্ষায় থেকে,
শরীরে মাটির গন্ধ মেখে,
শরীরে জলের গন্ধ মেখে,
উৎসাহে আলোর দিকে চেয়ে
চাষার মতন প্রাণ পেয়ে
কে আর রহিবে জেগে পৃথিবীর ’পরে?
স্বপ্ন নয়-শান্তি নয়-কোন্ এক বোধ কাজ করে
মাথার ভিতরে।
পথে চ’লে পারে-পারাপারে
উপেক্ষা করিতে চাই তারে;
মড়ার খুলির মতো ধ’রে
আছাড় মারিতে চাই, জীবন্ত মাথার মতো ঘোরে
তবু সে মাথার চারিপাশে,
তবু সে চোখের চারিপাশে,
তবু সে বুকের চারিপাশে;
আমি চলি, সাথে-সাথে সেও চ’লে আসে।
আমি থামি-
সেও থেমে যায়;
সকল লোকের মাঝে ব’সে
আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা?
আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
আমার পথেই শুধু বাধা?
জন্মিয়াছে যারা এই পৃথিবীতে
সন্তানের মতো হ’য়ে-
সন্তানের জন্ম দিতে-দিতে
যাহাদের কেটে গেছে অনেক সময়,
কিংবা আজ সন্তানের জন্ম দিতে হয়
যাহাদের; কিংবা যারা পৃথিবীর বীজখেতে আসিতেছে চ’লে
জন্ম দেবে-জন্ম দেবে ব’লে;
তাদের হৃদয় আর মাথার মতন
আমার হৃদয় না কি? তাহদের মন
আমার মনের মতো না কি?
-তবু কেন এমন একাকী?
তবু আমি এমন একাকী।
হাতে তুলে দেখিনি কি চাষার লাঙল?
বাল্টিতে টানিনি কি জল?
কাস্তে হাতে কতোবার যাইনি কি মাঠে?
মেছোদের মতো আমি কতো নদী ঘাটে
ঘুরিয়াছি;
পুকুরের পানা শ্যালা-আঁশ্টে গায়ের ঘ্রাণ গায়ে
গিয়েছে জড়ায়ে;
-এই সব স্বাদ;
-এ-সব পেয়েছি আমি, বাতাসের মতন অবাধ
বয়েছে জীবন,
নক্ষত্রের তলে শুয়ে ঘুমায়েছে মন
এক দিন;
এই সব সাধ
জানিয়াছি একদিন-অবাধ-অগাধ;
চ’লে গেছি ইহাদের ছেড়ে;
ভালোবেসে দেখিয়াছি মেয়েমানুষেরে,
অবহেলা ক’রে আমি দেখিয়াছি মেয়েমানুষেরে,
ঘৃণা ক’রে দেখিয়াছি মেয়েমানুষেরে;
আমারে সে ভালোবাসিয়াছে,
আসিয়াছে কাছে,
উপেক্ষা সে করেছে আমারে,
ঘৃণা ক’রে চ’লে গেছে-যখন ডেকেছি বারে-বারে
ভালোবেসে তারে;
তবুও সাধনা ছিলো একদিন-এই ভালোবাসা;
আমি তার উপেক্ষার ভাষা
আমি তার ঘৃণার আক্রোশ
অবহেলা ক’রে গেছি; যে-নক্ষত্ৰ-নক্ষত্রের দোষ
আমার প্রেমের পথে বার-বার দিয়ে গেছে বাধা
আমি তা’ ভুলিয়া গেছি;
তবু এই ভালোবাসা-ধুলো আর কাদা।
মাথার ভিতরে
স্বপ্ন নয়-প্রেম নয়-কোনো এক বোধ কাজ করে।
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চ’লে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে:
সে কেন জলের মতো ঘুরে-ঘুরে একা কথা কয়!
অবসাদ নাই তার? নাই তার শান্তির সময়?
কোনোদিন ঘুমাবে না? ধীরে শুয়ে থাকিবার স্বাদ
পাবে না কি? পাবে না আহ্লাদ
মানুষের মুখ দেখে কোনোদিন!
মানুষীর মুখ দেখে কোনোদিন!
শিশুদের মুখ দেখে কোনোদিন!
এই বোধ-শুধু এই স্বাদ
পায় সে কি অগাধ-অগাধ!
পৃথিবীর পথ ছেড়ে আকাশের নক্ষত্রের পথ
চায় না সে? করেছে শপথ
দেখিবে সে মানুষের মুখ?
দেখিবে সে মানুষীর মুখ?
দেখিবে সে শিশুদের মুখ?
চোখে কালো শিরার অসুখ,
কানে যেই বধিরতা আছে,
যেই কুঁজ-গলগণ্ড মাংসে ফলিয়াছে
নষ্ট শসা-পচা চাল্কুমড়ার ছাঁচে,
যে-সব হৃদয়ে ফলিয়াছে
-সেই সব।
ভাল,খুব ভাল।
valo lage apnar abritti
অসাধারণ ❤❤
অসাধারণ👌
my favorite poem.
jibanananda das forever.
Human consciousness is a reflection of cosmic consciousness. Ja chilo niegelo sonar tori.
ওয়াও
sir
apomi darun abriti koren
Request for recitation of হায় চিল -- কবি জীবনানন্দ দাশ
Hi
Osadaron
i💞💞💞💞u dada vai
♥
সকল লোকের মত বীজ বুনে আর স্বাদ কই ?
❤
Abriti protidan
Nice
#dibyendubiswas
Darun
"তুমি রবে নিরবে, হৃদয়ে মম"
ruclips.net/video/u2sFhV2GgwI/видео.html
Life,is
অসাধারণ হইছে
Give your Opinion... Plz
ruclips.net/video/NI2x0rUfUcs/видео.html
She ki poet reciter na poem reciter?
ভালো। তবে দু একটা জায়গায় ভুল শব্দ বলেছেন উনি। কয়েকটা জায়গায় উচ্চারণের অস্পষ্টতা আছে।
হতাশার কবিতায় বিদ্রোহী টান একদম বেমানান। কবি তো ক্ষোভ প্রকাশ করেন নাই। হতাশা প্রকাশ করেছেন।
ে
আলো-অন্ধকারে যাই-মাথার ভিতরে
স্বপ্ন নয়, কোন্ এক বোধ কাজ করে;
স্বপ্ন নয়-শান্তি নয়-ভালোবাসা নয়,
হৃদয়ের মাঝে এক বোধ জন্ম লয়;
আমি তারে পারি না এড়াতে,
সে আমার হাত রাখে হাতে,
সব কাজ তুচ্ছ হয়-পণ্ড মনে হয়,
সব চিন্তা-প্রার্থনার সকল সময়
শূন্য মনে হয়,
শূন্য মনে হয়।
সহজ লোকের মতো কে চলিতে পারে।
কে থামিতে পারে এই আলোয় আঁধারে
সহজ লোকের মতো; তাদের মতন ভাষা কথা
কে বলিতে পারে আর; কোনো নিশ্চয়তা
কে জানিতে পারে আর? শরীরের স্বাদ
কে বুঝিতে চায় আর? প্রাণের আহ্লাদ
সকল লোকের মতো কে পাবে আবার।
সকল লোকের মতো বীজ বুনে আর
স্বাদ কই, ফসলের আকাঙ্ক্ষায় থেকে,
শরীরে মাটির গন্ধ মেখে,
শরীরে জলের গন্ধ মেখে,
উৎসাহে আলোর দিকে চেয়ে
চাষার মতন প্রাণ পেয়ে
কে আর রহিবে জেগে পৃথিবীর ’পরে?
স্বপ্ন নয়-শান্তি নয়-কোন্ এক বোধ কাজ করে
মাথার ভিতরে।
পথে চ’লে পারে-পারাপারে
উপেক্ষা করিতে চাই তারে;
মড়ার খুলির মতো ধ’রে
আছাড় মারিতে চাই, জীবন্ত মাথার মতো ঘোরে
তবু সে মাথার চারিপাশে,
তবু সে চোখের চারিপাশে,
তবু সে বুকের চারিপাশে;
আমি চলি, সাথে-সাথে সেও চ’লে আসে।
আমি থামি-
সেও থেমে যায়;
সকল লোকের মাঝে ব’সে
আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা?
আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
আমার পথেই শুধু বাধা?
জন্মিয়াছে যারা এই পৃথিবীতে
সন্তানের মতো হ’য়ে-
সন্তানের জন্ম দিতে-দিতে
যাহাদের কেটে গেছে অনেক সময়,
কিংবা আজ সন্তানের জন্ম দিতে হয়
যাহাদের; কিংবা যারা পৃথিবীর বীজখেতে আসিতেছে চ’লে
জন্ম দেবে-জন্ম দেবে ব’লে;
তাদের হৃদয় আর মাথার মতন
আমার হৃদয় না কি? তাহদের মন
আমার মনের মতো না কি?
-তবু কেন এমন একাকী?
তবু আমি এমন একাকী।
হাতে তুলে দেখিনি কি চাষার লাঙল?
বাল্টিতে টানিনি কি জল?
কাস্তে হাতে কতোবার যাইনি কি মাঠে?
মেছোদের মতো আমি কতো নদী ঘাটে
ঘুরিয়াছি;
পুকুরের পানা শ্যালা-আঁশ্টে গায়ের ঘ্রাণ গায়ে
গিয়েছে জড়ায়ে;
-এই সব স্বাদ;
-এ-সব পেয়েছি আমি, বাতাসের মতন অবাধ
বয়েছে জীবন,
নক্ষত্রের তলে শুয়ে ঘুমায়েছে মন
এক দিন;
এই সব সাধ
জানিয়াছি একদিন-অবাধ-অগাধ;
চ’লে গেছি ইহাদের ছেড়ে;
ভালোবেসে দেখিয়াছি মেয়েমানুষেরে,
অবহেলা ক’রে আমি দেখিয়াছি মেয়েমানুষেরে,
ঘৃণা ক’রে দেখিয়াছি মেয়েমানুষেরে;
আমারে সে ভালোবাসিয়াছে,
আসিয়াছে কাছে,
উপেক্ষা সে করেছে আমারে,
ঘৃণা ক’রে চ’লে গেছে-যখন ডেকেছি বারে-বারে
ভালোবেসে তারে;
তবুও সাধনা ছিলো একদিন-এই ভালোবাসা;
আমি তার উপেক্ষার ভাষা
আমি তার ঘৃণার আক্রোশ
অবহেলা ক’রে গেছি; যে-নক্ষত্র-নক্ষত্রের দোষ
আমার প্রেমের পথে বার-বার দিয়ে গেছে বাধা
আমি তা’ ভুলিয়া গেছি;
তবু এই ভালোবাসা-ধুলো আর কাদা।
মাথার ভিতরে
স্বপ্ন নয়-প্রেম নয়-কোনো এক বোধ কাজ করে।
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চ’লে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে:
সে কেন জলের মতো ঘুরে-ঘুরে একা কথা কয়!
অবসাদ নাই তার? নাই তার শান্তির সময়?
কোনোদিন ঘুমাবে না? ধীরে শুয়ে থাকিবার স্বাদ
পাবে না কি? পাবে না আহ্লাদ
মানুষের মুখ দেখে কোনোদিন!
মানুষীর মুখ দেখে কোনোদিন!
শিশুদের মুখ দেখে কোনোদিন!
এই বোধ-শুধু এই স্বাদ
পায় সে কি অগাধ-অগাধ!
পৃথিবীর পথ ছেড়ে আকাশের নক্ষত্রের পথ
চায় না সে? করেছে শপথ
দেখিবে সে মানুষের মুখ?
দেখিবে সে মানুষীর মুখ?
দেখিবে সে শিশুদের মুখ?
চোখে কালো শিরার অসুখ,
কানে যেই বধিরতা আছে,
যেই কুঁজ-গলগণ্ড মাংসে ফলিয়াছে
নষ্ট শসা-পচা চাল্কুমড়ার ছাঁচে,
যে-সব হৃদয়ে ফলিয়াছে
-সেই সব।
অসাধারণ।
অসাধারণ 👌