⚜️উমা বরণ ⚜️তৃতীয় পর্ব || 🔴🔸জটাজুট সমাযুক্তাং"🔸

Поделиться
HTML-код
  • Опубликовано: 14 окт 2024
  • ⚜️উমা বরণ ⚜️
    🔴 || তৃতীয় পর্ব || 🔴
    🔸"জটাজুট সমাযুক্তাং"🔸
    জটা জুট সমাযুক্তাং অর্ধেন্দু কৃতশেখরাম্।
    লোচনত্রয় সংযুক্তাং পূর্ণেন্দু সদৃশাননাম্।।২।।
    তপ্তকাঞ্চনবর্ণাভাং সুপ্রতিষ্ঠাং সুলোচনাম্।
    নবযৌবন সম্পন্নাং সর্ব্বাভরণ ভূষিতাম্।।৪।।
    দেবীর মাথায় জটা, জটার শিখরে অর্ধচন্দ্র,তিনটি চোখ ,পূর্ণিমার চাঁদের মত মুখ তাঁর ও গায়ের রঙ উত্তপ্ত সোনার মতো। তিনি সদ্য যৌবনপ্রাপ্ত এবং তাঁর সর্বাঙ্গ বিভিন্ন অলঙ্কার দ্বারা ভূষিত। ।২-৪।
    ভাবার্থ-শরণাগতের সমস্ত জটিল চিন্তা যিনি নিজে ধারণ করেন, তাই তিনি চিন্তামণি, এবং জটিল ভবসংসারে অমৃততত্ত্ব বা সোমতত্ত্বের( আজ্ঞা চক্রে) সন্ধান দেন, চন্দ্র, সূর্য্য ও অগ্নি (একটি প্রতিফলনে আলোকিত, একটি আলোক উৎস ও একটি আলোকের কারণ)অর্থাৎ স্থূল, সূক্ষ্ম ও কারণ তত্ত্বে যিনি একমাত্র সাক্ষী, পূর্ণজ্ঞানময়ী। কাঞ্চন শুদ্ধতার প্রতীক, যিনি শুদ্ধাতীতা, তিনি তপ্তকাঞ্চনবর্ণাভাং, সুপ্রতিষ্ঠিতা, অর্থাৎ যার আবাস সর্বদাই অবিকৃত, দিব্য, সুলোচনাম অর্থে নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে যিনি দর্শন করেন, নবযৌবনের অধিকারিণী, অর্থে যিনি নিত্যা, উদ্ভিন্নযৌবনা যিনি নিত্য পরিপূর্ণা, সর্বাভরণ ভূষিতা, অর্থে ধর্মাধর্ম,বৈরাগ্য অবৈরাগ্য, ন্যায় অন্যায় ইত্যাদি সকল মায়া রূপ আভরণে যিনি নিজেকে আবৃত রাখেন।
    সূচারু দশনাং তদ্বৎ(তীক্ষ্ণাং) পীনোন্নত পয়োধরাম্।
    ত্রিভঙ্গস্থান সংস্থানাং মহিষাসুরমর্দিনীং।৬।।
    মৃণালায়াত সংস্পর্শ দশবাহু সমন্বিতাম্।
    ত্রিশুলং দক্ষিণে ধ্যেয়ং খড়্গং-চক্রং ক্রমাদধঃ।।৮।।
    তাঁর দাঁত সুন্দর এবং ধারালো, স্তন সম্পূর্ণ। তিন ভাঁজে দাঁড়িয়ে তিনি দৈত্য নিধন করছেন। দশহাতভর্তি অস্ত্র তাঁর যা দেখতে শাখা-প্রশাখা সমন্বিত পদ্ম গাছের মতো। ডানদিকের উপরের হাতে অবস্থান করে ত্রিশুল, তারপর ক্রমান্বয়ে খর্গ এবং চক্র। ।৬-৮।
    ভাবার্থ-শরণাগতের এক সাথে তার ধারালো দন্তপংতি ও পূর্ণ স্তনযুগল, পোষণ ও সংহরণের চিহ্ন। তিনটি ভাঁজ-স্থূল, সুক্ষ্ম, কারণ(মূলাধার, হৃদয়, আজ্ঞা চক্রে উগ্রচন্ডা,ভদ্রকালী, কাত্যায়নী) এ একসাথে অবস্থান করে যিনি বিপরীত প্রবৃত্তি কে মর্দন করেন। পদ্ম ডাঁটার মতো বাহু সমূহ, মানে নবচক্রের পদ্মে ও দিব্যাবস্থায় যিনি ক্রিয়াশীল (বাহু-ক্রিয়া/কর্ম) , সর্বপ্রথম ত্রিশূল-যা সুষুম্না, যাতে মনস্থির হবে, খড়্গে কুকর্মপাশছেদন, চক্রে কালচক্র নিয়ন্ত্রণ করেছেন।
    তীক্ষ্ণবাণং তথা শক্তিং দক্ষিণেষু বিচিন্তয়েৎ।
    খেটকং পূর্ণচাপঞ্চ পাশমঙ্কুশমেব চ।।১০।।
    ঘণ্টাং বা পরশুং বাপি বামতঃ সন্নিবেশয়েৎ।
    অধঃস্তাং মহিষং তদ্বৎবিশিরক্ষং প্রদর্শয়েৎ।।১২।।
    দেবীর দক্ষিণের সর্বনিম্ন দুই হাতের অস্ত্র ধারালো তীর এবং বর্শা। দেবীর ধ্যানে বর্ণিত হয় তাঁর বাঁ হস্ত। সেদিকে থাকে চামড়ার ঢাল ও ধনুক। এছাড়া থাকে সর্প, অঙ্কুশ এবং কুঠার । তার পায়ের নিচে মহিষাসুরের কর্তিত মস্তক মহিষ পড়ে আছে।
    ভাবার্থ-তীর দ্বারা ধনুকে লক্ষ্য স্থির করে শক্তি অস্ত্রে যিনি শক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করছেন।ঢাল দ্বারা বাহ্যিক বিকার স্তম্ভন করে সুকৃতি স্বরূপ পাশ ও জ্ঞান অঙ্কুশ দ্বারা যিনি আকর্ষণ করছেন।নাদ স্বরূপে যিনি অনুভূত হচ্ছেন।ফলে দেহবোধরূপ মহিষ খন্ডিত হচ্ছে।১০-১২।
    শিরোচ্ছেদোদ্ভবং তদ্বৎ দানবং খড়্গপাণিনম্।
    হৃদি শুলেন নির্ভিন্নং নির্যদন্ত্র বিভূষিতম্।।১৪।।
    রক্তারক্তী কৃতাঙ্গঞ্চ রক্তবিস্ফুরিতেক্ষণম্।
    বেষ্টিতং নাগপাশেন ভ্রূকুটি ভীষণাননাম্।।১৬।।
    মহিষের কাটা মাথা থেকে মহিসাসুরের দেহ উদ্ভুত, হাতে তাঁর খড়্গ এবং হৃদয়ে দেবীর ত্রিশূল দ্বারা বিদ্ধ। তাঁর পেট থেকে নাড়িভুঁড়ি নির্গত হয়েছে। শরীর রক্তলিপ্ত। দেবীর হাতে ধরা সাপ দ্বারা অসুরের দেহ বেষ্টিত। তবে উত্থিত ভ্রূ তে দৈত্যের রূপও ভয়ঙ্কর। ।১৪-১৬।
    ভাবার্থ-
    দেহবোধ নাশের পরে সামান্য অহংবোধের ভয়ঙ্কর প্রাদুর্ভাব, তিনিও জ্ঞান খড়্গে যুদ্ধাভিলাষি। দেবী সুষম্না রূপ শূলে মন স্থিতি করাচ্ছেন। সেই অহং সুকৃতি পাশে বদ্ধ থাকার দরুন নিজের ভেতরের অন্ত্র অর্থাৎ ভয়ঙ্কর স্বরূপ উপলব্ধি করছে।
    সপাশ বামহস্তেন ধৃতকেশঞ্চ দুর্গয়া।
    বমদ্রুধির বক্ত্রঞ্চ দেব্যা সিংহং প্রদর্শয়েৎ।।১৮।।
    দেব্যাস্তু দক্ষিণাং পাদং সমং সিংহোপরিস্থিতম্।
    কিঞ্চিৎ ঊর্ধ্বং তথা বামঅঙ্গুষ্ঠং মহিষোপরি।।২০।।
    স্তুয়মানঞ্চ তদ্রূপ মমরৈঃ সন্নিবেশয়েৎ।
    প্রসন্নবদনাং দেবীং সর্ব্বকাম ফলপ্রদাং।।২২।।
    দেবী তাঁর পাশাঙ্কুশ ধরা হাত দিয়ে দৈত্যরাজের চুল টেনে রেখেছেন। দেবীর ডান পা বাহন সিংহের উপরে এবং বাঁ পায়ের অঙ্গুষ্ঠ মহিষের উপরে অবস্থান করে। প্রবল যুদ্ধরত অবস্থাতেও দেবী তাঁর শান্তিপূর্ণ মুখাবয়ব ও আশীর্বাদী রূপ বজায় রেখেছেন এবং সমস্ত দেবতা দেবীর এই রূপের স্তুতি করেন। ।১৮-২২।
    ভাবার্থ-এই কেশরাজ শিখা, যা চৈতন্য স্বরূপা, যার দ্বারা সুকৃতিরূপ পাশ ও জ্ঞান অঙ্কুশে দৈবসত্ত্বার সাথে সংযোগ স্থাপন হচ্ছে। একাধারে শুদ্ধ সত্ত্ব- অহং ও তমোময় অহং তত্ত্বে তিনি অধিষ্ঠিতা। এতকিছুর মধ্যে তিনি নিজে নিস্কলা, নির্বিকারা।
    পরমসত্তা গণ তার স্তুতি করেন।
    উগ্রচন্ডা প্রচন্ডা চ চন্ডোগ্রা চন্ডনায়িকা।
    চন্ডা চন্ডবতী চৈব চন্ডরূপাতিচন্ডিকা।।২৪।।
    অষ্টাভি শক্তিভিরষ্টাভিঃ সততং পরিবেষ্টিতাম্।
    চিন্তয়েৎ জগতাং ধাত্রিং ধর্মকামার্থ মোক্ষদাম্।।২৬।।
    ।আট শক্তি উগ্রচন্ডা, প্রচন্ডা, চন্ডোগ্রা, চন্ডনায়িকা, চন্ডা, চন্ডবতী, চন্ডরূপ ও অতিচন্ডিকা দ্বারা পরিবেষ্টিত। তাই ধর্ম, অর্থ, কাম ও মোক্ষ লাভের জন্য জগন্মাতৃকা দেবী দুর্গার ধ্যানই মানবজাতির হওয়া উচিত। ।২৪-২৬।
    ভাবার্থ-
    সহস্রারস্থ দেবীকে অবশিষ্ট অষ্টচক্র বেষ্টন করেছেন।
    🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼🌼
    #আগমনীcreation #mahalaya #JatajutyaSamayuktamlyrical #pranerpujo #uma_boron #agomoni #durgapuja #maadurga #durgapuja2022 #durgapujo #agomonicreation #Thirdepisode #mahalaya2022 #mahalayaagomoni #agomoni #durgapuja2022 #mahalaya #maadurga #devidurga #birendrakrishnabhadra #emotion #song #Bengalisong #devotional #devotionalsong #bengalidevitionalsong #durgamaa #mahisasurmardini #joymaadurga #umaboronseason2

Комментарии • 54