ব্রিডিং কোর্স করানোর পরও আপনার যে ভুলের কারনে পাখি ডিম পাড়ছে না। পাখি ডিম না পাড়ার কারন

Поделиться
HTML-код
  • Опубликовано: 10 сен 2024
  • বাজরিগারের ব্রিডিং কোর্স: • বাজরিগারের ব্রিডিং কোর্স
    #Bazrigar #বাজ্রিগার #ডিম_পাড়ার_লক্ষন
    #যত্ন#egg_binding #Cockatail #ককাটেল
    বাজরিগার প্রধানত অস্ট্রেলিয়ার পূর্ব ও দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূল অঞ্চলে বনাঞ্চলের পাখি। তাছাড়াও তাস্মেনিয়া এবং আশপাশের কয়েকটি দেশেও এই পাখি দেখতে পাওয়া যায়। বনে বাস করে এমন বাজরিগার লম্বায় প্রায় ৬.৫ থেকে ৭ ইঞ্চি হতে পারে। তবে খাঁচায় পালা পাখি লম্বায় ৭ থেকে ৮ ইঞ্চি হয়ে থাকে। বন্য পাখির ওজন ২৫ থেকে ৩৫ গ্রাম। আর খাঁচায় পালনকারা পাখির ওজন ৩৫ থেকে ৪০ গ্রাম পর্যন্ত হয় জানতে পারেন ঘনঘন ব্রিডিং সম্ভব এই পাখির। একবার যদি বাচ্চা দেওয়া শুরু করে তো আর থামেই না।
    বাজরিগারের নামঃ
    টিয়া পাখির ঠোঁটের মতো এরা বিভিন্ন নামেরও হয়। যেমন; অ্যালবিনো, লুটিনো বাইল, ডিনিসপাই ও ইংলিশ বাজরিগার। অ্যালবিনো সাদা রংয়ের, লুটিনো বাইল হলুদ রংয়ের লাল চোখবিশিষ্ট। বাজরিগার পৃথিবীর অন্যতম জনপ্রিয় পোষা পাখি।
    স্ত্রী ও পুরুষ এবং ছোট বড় চেনার উপায়ঃ
    ৪ মাস বয়স হলেই নাকের উপরের রং দেখেই সনাক্ত করা হয়। যেমন- পুরুষ পাখির প্রথমে নাকের বর্ণ থাকবে গোলাপি রংয়ের। বয়স বাড়ার সঙ্গে রং হবে নীল। আর স্ত্রী পাখির নাকের বর্ণ হবে সাদা। বয়সg বাড়ার সঙ্গে হবে খয়েরি বা চকলেট। স্ত্রী পুরুষ ভেদে ডাকের পার্থক্য দেখেও নির্ণয় করা সম্ভব।
    ছোট বড় চেনার উপায় হচ্ছে প্রধানত চোখ দেখে। ছোট পাখির চোখের আকার হবে বড়। বড় হওয়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চোখের আকার হবে ছোট। কারণ বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত চোখের বৃত্ত তৈরি হয় না। সেই সঙ্গে নাকের বর্ণ হবে গাঢ়।
    প্রজনন বয়স, ডিম ও বাচ্চাঃ
    বনে জঙ্গলে এরা ৪ থেকে ৫ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে। খাঁচাতে প্রায় ১০ থেকে ১২ বছর। প্রজনন উপযোগী হতে সময় লাগে চার মাস। তবে চার থেকে আট মাস বয়সে প্রজনন ক্ষমতা অনেক বেশি। পাখি পালনে যারা বেশি অভিজ্ঞ তাদের মতে আট মাস বয়সের আগে জোড়া তৈরি করা ঠিক না। কম বয়স হলে ডিম-বাচ্চা পূর্ণাঙ্গ রূপ নেয় না। প্রাথমিক অবস্থায় এরা ৪-৫টি ডিম দেয়। পরে সংখ্যা বেড়ে আট বা তারও বেশি হতে পারে। তবে ১২টি পর্যন্ত ডিম দেওয়ার তথ্য আছে। ডিম থেকে বাচ্চা হতে ১৭-১৮ দিন সময় লাগে। বাচ্চাগুলো উড়তে সক্ষম হয় ৩০ থেকে ৩৫ দিন বয়সে।
    ক্রয় ও অন্যান্য বিষয়ে সতর্কঃ
    শখের বশে যারা বাজরিগার পোষেন তারা এক সময় ধৈর্য হারিয়ে ফেলেন। নিরিবিলি পরিবেষ না পেলে এই পাখি প্রজননে যায় না। চার পাঁচ মাসে প্রাপ্ত বয়স্ক হলেও অনেক সময় ১০-১২ মাস বয়স না হলে প্রজনন শুরু করে না।
    স্ত্রী-পুরুষ ঠিক থাকলে ধৈর্য ধরতে হবে। ডিম দিচ্ছে না বলে বার বার পাখি বদল করা যাবে না। তবে কেনার সময় খুবই সচেতন থাকতে হবে। প্রথমে চোখের বৃত্ত দেখে বুঝে নিতে পারেন। তবে বিক্রেতারা খুবই চতুর। তাই মুখের কথায় বিশ্বাস না করে নিজে নিজে নির্বাচন করতে পারলে ভালো। তাছাড়া যারা এই ব্যাপারে বেশি অভিজ্ঞ তাদের সঙ্গে নিয়ে দেখতে খুব সুন্দর ও রোগমুক্ত পাখি কেনা হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
    লালন পালন
    ব্রিডিং উপযোগী খাঁচার দাম সর্বোচ্চ ৩শ’ টাকা। একজোড়া পাখি দিয়ে সফলতা আসার সম্ভাবনা কম। তাই প্রথমে কমপক্ষে দুইজোড়া পাখি দিয়ে শুরু করলে ভালো। দুটি পুরুষ ও দুটি স্ত্রী পাখি নিয়ে দুই জোড়া পাখির বয়স তিন থেকে চারমাসের মধ্যে হলে ভালো। তিন বা চার মাস বয়সের দুইজোড়া পাখির দাম ১ হাজর থেকে ১ হাজার ২শ’ টাকার মধ্যে।
    প্রথমে একটি খাঁচার মধ্যে শুধু পুরুষ পাখি কমপক্ষে ছয় থেকে সাত মাস বয়স পর্যন্ত রাখুন। অপর আরেকটি খাঁচায় শুধু স্ত্রী পাখিও সেভাবেই রাখুন। এবার জোড়া মিলিয়ে দুই খাঁচায় দিন।খাঁচায় দেওয়ার এক থেকে দুই মাসের মধ্যে হাঁড়ি ঝুলাবেন খাঁচার এক কোণে। বসার লাঠির একপ্রান্ত হাঁড়ির মুখের কাছাকাছি হতে হবে। যাতে সহজেই লাঠি থেকে হাঁড়িতে ঢুকতে পারে। ছোট লাঠি দেওয়া যাবে না। বসার লাঠি হতে হবে কাঠের বা বাঁশের চটা। লোহা, লোহার পাইপ বা পস্নাস্টিকের পাইপ এ রকম কোনো লাঠি দেওয়া ঠিক নয়। মিনারেল ব্লক, সমুদ্রের ফেনা ও গ্রিড খাঁচাতে দিয়ে রাখবেন। পানির পাত্র থাকবে পাখি বসার থেকে দূরে। আর খাবারের পাত্র হাঁড়ির নিচে থাকলে ভালো। কারণ পাত্রগুলো যেন পাখির মল থেকে নিরাপদ থাকে।
    বাসা পাল্টালে বা পাখির স্থান পরিবর্তন করলে পাখি প্রজননে বাঁধা আসবে। তাই ধৈর্য ধরতে হবে।
    খাবার বিষয়ে কর্তব্যঃ
    প্রতিদিন খাবারের তালিকায় থাকবে চিনা-কাউন সমপরিমাণ। অল্প পরিমাণ সূর্যমুখীর বীজ, তিসি, গুজিতিল, কুসুম ফুলের বীজ ও পোলাওয়ের চালের ধান। অথবা পাখির খাবারের দোকানে সিড মিক্স পাওয়া যায়।
    সপ্তাহে তিনদিন কলমি শাক বা পালন শাক দিন। ধান ও কলমি শাক চর্বি কাটাতে ও প্রজননে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে পানি বদলান ভালো। খাবারের অপচয় কমাতে প্রতিদিন না হলেও একদিন পর পর সকাল বেলায় খাবারের তুষ ফেলে দিয়ে নতুন খাবার মিশিয়ে দিতে হবে।
    পাখি রেখে বেড়াতে যাবেন কোন সমস্যা নাই। এক্ষেত্রে আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে। পানি নষ্ট হবে না এরকম ফিল্টার পদ্ধতি পাবেন পাখি কেনা-বেঁচার দোকানে। ফুটন্ত পানি ১০ দিনের বেশি পর্যন্ত চলবে। দাম খুব বেশি নয় প্রতিটি ২০ টাকা।
    যারা বাণিজ্যিকভাবে পালন করেন বা করবেন তাদের ক্ষেত্রে আলাদাভাবে যত্ন নিতে হবে। কারণ এতে খরচ কম হবে। যদি পাখির ওজন বেড়ে যায় তবে পোলাওয়ের ধান খাওয়ালে খরচ বেশি হবে। যত্নে থাকলে এই পাখির অসুখ হয় না বললেই চলে। তাছাড়াও আজকাল ফেইসবুকে সমস্ত বিষয়ে অভিজ্ঞদের কাছ থেকে সহযোগিতা পাবেন।
    বিক্রি করার উপযোগী পাখিঃ
    ৩৫ থেকে ৪০ দিন বয়সি পাখি বিক্রি করা যায়। হাট, দোকান বা ফেইসবুকের মাধ্যমে বিক্রি করা যায়।
    পাখির খামার, বাসায় পোষেণ, হাট এমন কোনো জায়গা পরিদর্শন করতে পারেন। এতে আপনার আগ্রহ বাড়বে এবং অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে।

Комментарии • 4

  • @rockyrb4280
    @rockyrb4280 Год назад

    Assalamu alaikum vaiya.amr ekta female er chobri hoise ki koroniw.

    • @drtzoha
      @drtzoha  Год назад

      Beshi kore kolmi shak ba onno shak /pata kawan...

    • @rockyrb4280
      @rockyrb4280 Год назад

      @@drtzoha thik ase vaiya oitake ki alada rakhte hobe

    • @drtzoha
      @drtzoha  Год назад

      @@rockyrb4280 mandatory na..