নওগাঁর সাপাহারে আমের রাজ্যে 🥭| মাটির তৈরি নান্দনিক তিলোত্তমা রিসোর্ট | দিবর দিঘী | Sapahar Naogaon |

Поделиться
HTML-код
  • Опубликовано: 16 сен 2024
  • #naogaon #sapahar #naogaon_trip #naogaon_tour #sapahar_tour #সাপাহার #নওগাঁ #নওগাঁ_ভ্রমণ #নওগাঁ_ট্রিপ #সাপাহার_ভ্রমণ #নওগাঁ_ট্যুর #shapahar #shapahar_tour #sapahar_trip #shapahar_trip #dibor_dighi #dibordighi #aloha #aloha_social_services #tilottoma #tilottoma_resort #mud_house #তিলোত্তমা #তিলোত্তমা_রিসোর্ট #আলোহা #এনজিও #ngo #tilna #তিলনা #ম্যাংগো #সাপাহারেরআম #সাপাহারের_আম #ল্যাংড়া #ফজলি #আম্রপালি #হিমসাগর #ক্ষিরসাপাত #খিরসাপাত #খিরসাপাতি #ক্ষিরসাপাতি #ক্ষিরশেপাতি #নাগফজলি #নাগ_ফজলি #সুরমা_ফজলি #ম্যাংগোরিসোর্ট #ম্যাংগো_রিসোর্ট #দিবর #দিবরদিঘি #দীবর_দিঘি #দিবর_দিঘি #দিবরদিঘী #দিবর_দিঘী #পত্নীতলা #mango_resort #mangoresort #sapahar_mango #naogaon_mango #amropali #himshagar #himsagar #fajli #fazli #langra #khirsapat #khirshapat #nagfazli #আমবাগান # #mangogarden #mango_garden #মাটিরঘর #মাটির_ঘর
    🥭 হৃদয়ের ফেইসবুক পেউজঃ
    www.facebook.c...
    ✅ দিবর দিঘীর ইতিহাসঃ
    দিবর দিঘি ও কৈবর্ত স্তম্ভ
    ***********************
    কৈবর্ত বিদ্রোহ বা বরেন্দ্র বিদ্রোহ বলতে পাল কর্মচারী দিব্যের নেতৃত্বে শুরু হওয়া কৈবর্ত সম্প্রদায়ের তৎকালীন দ্বিতীয় মহীপালের (১০৭০-১০৭৭) পাল সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে বিপ্লবকে বোঝানো হয় যা ১০৮০ সালে হয়েছিল।এটিকে বাংলাদেশ এমনকি ভারতবর্ষের প্রথম সফল বিদ্রোহ হিসেবেও অভিহিত করা হয়। এই বিদ্রোহের মাধ্যমে কৈবর্ত নেতারা বরেন্দ্রকে নিজেদের অধীনে আনতে সক্ষম হন।
    কৈবর্তেরা মূলত জেলে শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত ছিল। পূর্বপুরুষ থেকে তারা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করত। অন্যদিকে পাল রাজারা বৌদ্ধ ছিলেন বলে ধর্মীয় দিক থেকে অহিংস নীতির কারণে তারা মাছ মাংস ভক্ষণের বিরোধী ছিলেন। এবং এ সমস্ত পেশা কে তারা নিরুৎসাহিত এমনকি বাধাগ্রস্থও করতেন। এর ফলে সমাজে কৈবর্তদেরকে নানাভাবে নির্যাতিত হতো।
    পাল শাসনকে সাধারণত “স্বর্ণযুগ” বলে অভিহিত করা হয়। দেবপাল, ধর্মপালের শাসনের স্বর্ণযুগ পেরিয়ে যখন পাল শেষ দিকে আসতে থাকে তারা তাদের পুরনো গৌরব হারিয়ে ফেলে। ধীরে তাদের শাসন দুর্বল হতে থাকে ও অরাজকতা সৃষ্টি হতে থাকে। তাদের এই অরাজকতা থেকে রক্ষা পাওয়াই ছিল কৈবর্ত বিদ্রোহের প্রধান উদ্দেশ্য.
    পাল কর্মচারী দিব্য কৈবর্তদের উদ্দেশ্যে বিদ্রোহের ডাক দেন। তারা এতে সাড়া দেন এবং খুব অল্প সময়ের মধ্যেই রাজ্যের বরেন্দ্রী অংশ অধীনে আনতে সক্ষম হয়। কৈবর্তের নৌকা চালাতে পারদর্শী বলে তারা নৌ যুদ্ধকেই প্রাধান্য দেয়। রাজা দ্বিতীয় মহীপাল আক্রমণ করতে গিয়ে যুদ্ধে নিহত হয় এবং এর ফলে কিছু দিনের জন্য হলেও পাল সেনারা পিছু হাঁটতে বাধ্য হয়। এর মধ্যেই দিব্যর নেতৃত্বে বরেন্দ্রীকে রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করা হয়। দিব্যর মৃত্যুর পর ক্ষমতায় আসেন তার ছোট ভাই রুদোক ও তারপরে রুদোক পুত্র ভীম। ভীম নিজেকে একজন দক্ষ ও জনপ্রিয় শাসক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন। ভীম যুদ্ধ বিধ্বস্ত বরেন্দ্রীকে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিয়ে যান। বাংলাদেশের দিনাজপুরের কৈবর্ত স্তম্ভ আজও এই রাজবংশের স্মৃতিস্বরূপ দাঁড়িয়ে রয়েছে। বর্তমান মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘিতেও একটি বিজয়স্তম্ভ ছিল বীর দিব্যক ভীমের কৈবর্ত বিদ্রোহের স্মৃতিস্বরূপ। তা পাল রাজ্য পুনরুদ্ধারের পর ভেঙ্গে ফেলা হয়.।
    দিবর দিঘি ও কৈবর্ত স্তম্ভ নওগাঁ জেলায় পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর-সাপাহার মহাসড়কের উত্তরে অবস্থিত গ্রামের প্রায় ১০০ একর উঁচু ভূমির মধ্যখানে ২০ একর ভূমিতে কর্তিত একটি বিশাল দিঘি।
    দিঘির কেন্দ্রস্থলে গ্রানাইট প্রস্তর নির্মিত নয় কোণ বিশিষ্ট কৈবর্ত স্তম্ভটির অবস্থান। স্তম্ভটির শীর্ষদেশ পরপর তিনটি বৃত্তাকার স্ফীত বলয় সহ মুকুটাকারে অলঙ্কৃত। স্যার বুকানন হ্যামিলটন ১৮০৭-০৮ সালে এ দিঘি পরিদর্শন করে স্তম্ভটির দৈর্ঘ্য ১০.৩৩ মিটার বলে উল্লেখ করেন। অন্যদিকে ১৮৭৯-৮০ সালে স্যার আলেকজান্ডার আলেকজান্ডার কানিংহাম দিঘিটি পরিদর্শন করেন। তাঁর রিপোর্টে স্তম্ভের দৈর্ঘ্য ৯.১৪ মিটার বলে উল্লেখ করেছেন। কানিংহামের বর্ণনা অনুসারে স্তম্ভটির সম্পূর্ণ দৈর্ঘ্যের ২.৫ মি থেকে ৩ মি মাটির নিচে, ৪ মি পানির তলায় এবং ৩ মি পানির উপরে রয়েছে। স্তম্ভটির প্রতিটি কোণের পারস্পরিক দূরত্ব প্রায় ৪ মিটার।
    ঐতিহাসিক বিবরণ হতে অনুমিত হয় যে, কৈবর্ত রাজা দিব্য বা দিব্যক পাল রাজা দ্বিতীয় মহীপালকে (আনু ১০৭৫-১০৮০ খ্রি.) পরাজিত করে পাল সিংহাসন অধিকারের পর সম্ভবত দিব্যকের বিজয়ের স্মৃতি হিসেবে এ স্তম্ভটি নির্মাণ করা হয়। স্তম্ভটি খুব সম্ভব দিব্যক অথবা তাঁর উত্তরাধিকারী রুদক কিংবা ভীম কর্তৃক এগারো শতকের শেষার্ধে নির্মিত হয়েছিল। গ্রামটির ‘দিবর’ নামকরণ সম্ভবত ‘দিব্য’ বা ‘দিব্যক’ নামের অপভ্রংশ হতে পারে।

Комментарии • 36