আমার স্বামীর লেখা এই গল্পটা আপনার কণ্ঠে শুনতে খুব ইচ্ছে হচ্ছে। শাড়িপ্রিয় নারীদের জন্য নিবেদিত গল্প: ছুটির দিনে শম্পার কাছে তার বর রেজার আবদার দিবস। রেজার আবদারে আজ সারাদিন শম্পা শাড়ি পরে থাকবে। চুলে খোঁপা করে তাতে বেলি ফুলের মালা লাগাবে। দু হাতে পরবে রেশমি চুড়ি। আর বিকেল বেলা ঘুরতে বের হওয়ার সময়ে বোরকা-নিকাবের ভেতরে সেই শাড়ি পরা সাজটাই থাকবে। রেজার এই অদ্ভূত আবদারে শম্পা কিছুটা আশ্চর্য বোধ করে জিজ্ঞেস করলো, " বাসায় না হয় তোমার জন্য শাড়ি পরলাম কিন্তু বাহিরে বোরকা-নিকাবের ভেতরে শাড়ি পরে সাজগোজ করে কী হবে?" "আমার স্বপ্ন মানবী ও প্রেয়সীর সাথে অতিবাহিত কিছু সুন্দর মুহূর্তে আমার আবদারে সে শাড়ি পরে আমাকে সঙ্গ দেবে যেটা শুধু আমিই জানবো আর অন্য কেউ নয়। আবার সেটার উপরে থাকবে আল্লাহ্'র হুকুম পালনের জন্য বোরকা নিকাবের আবরণ। ভেতরে কী আছে সেই ব্যাপারে ধারনা করার সামান্যতম সুযোগ কারো থাকবেনা!" রেজার এমন উত্তরে শম্পার অন্তরটা জুড়িয়ে গেল। সকাল সকাল ফ্রেশ হয়ে একটা প্রিন্টেড জর্জেট শাড়ি পরে আকর্ষণীয় সাজে সাজলো শম্পা। আল্লাহ্'র হুকুম ও আত্মমর্যাদার চেতনায় বলীয়ান হয়ে অন্য কোনো পুরুষকে নিজের নারীত্বের আকর্ষণীয়, কমনীয় ও প্রলুব্ধকর সৌন্দর্য দেখার ও উপভোগ করার সুযোগ না দিতে সে বদ্ধ পরিকর ও দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। অথচ স্বামী রেজার সামনে কোনও পর্দা নেই, শাড়ি পরলে কিছু ঢেকে রাখা বা দেখা যাওয়ার টেনশন নেই, বরং সে আকৃষ্ট হয়ে তাকিয়ে থাকলে দুজনেরই নেকী---এসব কিছুই তার সত্যনিষ্ঠ ও সহজাত নারীসুলভ অনুভূতিতে শিহরণ মিশ্রিত আনন্দের বন্যা বইয়ে দিচ্ছে। সে মনেপ্রাণে অনুভব করছে যে স্বামীর পাশে স্নিগ্ধতা, কমনীয়তা ও প্রশান্তিময়তার উৎস হয়ে নিবেদিত প্রেয়সীসুলভ অভিব্যক্তি ফুটিয়ে তোলার মাঝেই যেন তার শাড়ি পরিহিত সৌন্দর্যের সার্থকতা। শাড়ি পরে, সাজগোজ শেষে আয়নায় ফ্লোরাল প্রিন্টেড জর্জেট শাড়িতে নিজের চোখেই নিজেকে ভীষণ কমনীয়, মোহনীয় ও লাস্যময়ী লাগলো শম্পার কাছে। আয়নায় নিজেকে দেখে মনে মনে বলে উঠলো, “নাহ্! আমি নাটক বা সিনেমার কোনো রোমান্টিক নায়িকা নই! আর না আমি কোনো সাহিত্যিকের সাহিত্যে ফুটিয়ে তোলা কোনো স্বপ্ন মানবী! এদের শাড়ি পরা রূপটা হল মাকাল ফলের মত। বাইরের কাংখিত রূপটা থাকলেও অন্তর্নিহিত মধুময়তা শূণ্য। আমি তো আল্লাহ্’র হুকুমের কাছে আত্মসমর্পণকারিণী, আনুগত্যের মস্তক অবনতকারী এক মুসলিমাহ্। আমার নিক্কাবসহ হিজাব পরিহিত রূপ আর সবার চোখকে ফাঁকি দিয়ে ধারণ করা এই শাড়ি পরিহিত রূপতো ভিন্ন আকৃতির কিন্তু একই সুবাসযুক্ত দুটি ফুল! একটি প্রস্ফুটিত হলে রবের হুকুমে আপাদমস্তক ঢেকে থাকবে সবকিছু। আর অন্যটি প্রস্ফুটিত হলে স্ত্রীসুলভ স্নিগ্ধ, কমনীয় ও মোহনীয় সৌন্দর্য শুধু স্বামীর জন্য উন্মোচিত হবে ইন শা আল্লাহ্। বিকেল বেলা শাড়ির উপরে বোরকা নিকাব পরতে গিয়ে শম্পা এই ভেবে মনে মনে হাসলো যে শাড়ির উপরে বোরকা পরে বের হওয়াটা আগের জেনারেশনের মা-খালাদের কিংবা দাদী-নানীদের একটা ট্রেন্ড ছিল! তবে তারা আটপৌরে পোশাক হিসেবেই সারাদিন সবসময়ে শাড়ি পরে থাকতেন আর সেটার উপরেই বোরকা চাপিয়ে নিতেন। কিন্তু স্বামীর আবদারে বেড়াতে যাওয়ার সময়ে বোরকা নিকাবের ভেতরে শাড়ি পরার একটা সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য রয়েছে যে কারনে এটাকে তার মোটেও সেকেলে কোনো বিষয় মনে হচ্ছেনা। বরং বোরকা-নিকাবের ভেতরে এই শাড়ি পরা অবস্থাটা তার কাছে আল্লাহ্'র হুকুম ও স্বামীর আবদারের সমন্বয়ে এক পূণ্যময়, বুদ্ধিদীপ্ত ও শিহরণ মাখা অত্যাধুনিক ফ্যাশন বলেই অনুভব হচ্ছে। তার বর রেজা সেই টিনএজ বয়সে ইসলামের পথে আসার পর নিজের ভবিষ্যত স্বপ্নমানবীকে বিভিন্ন আমেজ ও অবয়বে কল্পনা করে এসেছে। কখনো নাটক-সিনেমার শাড়ি পরা কোনও নায়িকার বেশে। কখনো মুখ খোলা রাখা হিজাবীর বেশে। সবশেষে হিদায়াতের অনুভূতি দিয়ে যখন অন্তরের আবেগ আর আকাংখাগুলোকে পুরোপুরি শাসন করতে শিখলো তখন হিজাব-নিক্কাবের আবরণেই কল্পনার মানবীকে হৃদয়ে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হলো। তাই আল্লাহ্'র আনুগত্যের আবরণে হিজাব-নিকাবের ভেতরে শাড়ি পরে স্বামীর চোখের শীতলতাকে ধারন করা আজকের এই মুহূর্তের রূপটিই স্ত্রী শম্পার সবচাইতে আকর্ষণীয় ও কাংখিত রূপ হয়ে ধরা দিল রেজার আবেগে অনুভবে!
প্রভাত কুমারের গল্প সত্যিই মজার ।ভাল লাগল আরও গল্প শোনাবার অনুরোধ রইল।
খুব খুব ভালো লাগলো❤❤❤❤
Tomar parhh khub sundar.bastab galpo.manus amoni hoy.
Khub bhalo laglo
Ok
Hahaha !birpurush !
আমার স্বামীর লেখা এই গল্পটা আপনার কণ্ঠে শুনতে খুব ইচ্ছে হচ্ছে।
শাড়িপ্রিয় নারীদের জন্য নিবেদিত গল্প:
ছুটির দিনে শম্পার কাছে তার বর
রেজার আবদার দিবস। রেজার আবদারে আজ সারাদিন শম্পা শাড়ি পরে থাকবে। চুলে খোঁপা করে তাতে বেলি ফুলের মালা লাগাবে। দু হাতে পরবে রেশমি চুড়ি। আর বিকেল বেলা ঘুরতে বের হওয়ার সময়ে বোরকা-নিকাবের ভেতরে সেই শাড়ি পরা সাজটাই থাকবে। রেজার এই অদ্ভূত আবদারে শম্পা কিছুটা আশ্চর্য বোধ করে জিজ্ঞেস করলো, " বাসায় না হয় তোমার জন্য শাড়ি পরলাম কিন্তু বাহিরে বোরকা-নিকাবের ভেতরে শাড়ি পরে সাজগোজ করে কী হবে?"
"আমার স্বপ্ন মানবী ও প্রেয়সীর সাথে অতিবাহিত কিছু সুন্দর মুহূর্তে আমার আবদারে সে শাড়ি পরে আমাকে সঙ্গ দেবে যেটা শুধু আমিই জানবো আর অন্য কেউ নয়। আবার সেটার উপরে থাকবে আল্লাহ্'র হুকুম পালনের জন্য বোরকা নিকাবের আবরণ। ভেতরে কী আছে সেই ব্যাপারে ধারনা করার সামান্যতম সুযোগ কারো থাকবেনা!" রেজার এমন উত্তরে শম্পার অন্তরটা জুড়িয়ে গেল। সকাল সকাল ফ্রেশ হয়ে একটা প্রিন্টেড জর্জেট শাড়ি পরে আকর্ষণীয় সাজে সাজলো শম্পা। আল্লাহ্'র হুকুম ও আত্মমর্যাদার চেতনায় বলীয়ান হয়ে অন্য কোনো পুরুষকে নিজের নারীত্বের আকর্ষণীয়, কমনীয় ও প্রলুব্ধকর সৌন্দর্য দেখার ও উপভোগ করার সুযোগ না দিতে সে বদ্ধ পরিকর ও দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। অথচ স্বামী রেজার সামনে কোনও পর্দা নেই, শাড়ি পরলে কিছু ঢেকে রাখা বা দেখা যাওয়ার টেনশন নেই, বরং সে আকৃষ্ট হয়ে তাকিয়ে থাকলে দুজনেরই নেকী---এসব কিছুই তার সত্যনিষ্ঠ ও সহজাত নারীসুলভ অনুভূতিতে শিহরণ মিশ্রিত আনন্দের বন্যা বইয়ে দিচ্ছে। সে মনেপ্রাণে অনুভব করছে যে স্বামীর পাশে স্নিগ্ধতা, কমনীয়তা ও প্রশান্তিময়তার উৎস হয়ে নিবেদিত প্রেয়সীসুলভ অভিব্যক্তি ফুটিয়ে তোলার মাঝেই যেন তার শাড়ি পরিহিত সৌন্দর্যের সার্থকতা। শাড়ি পরে, সাজগোজ শেষে আয়নায় ফ্লোরাল প্রিন্টেড জর্জেট শাড়িতে নিজের চোখেই নিজেকে ভীষণ কমনীয়, মোহনীয় ও লাস্যময়ী লাগলো শম্পার কাছে। আয়নায় নিজেকে দেখে মনে মনে বলে উঠলো, “নাহ্! আমি নাটক বা সিনেমার কোনো রোমান্টিক নায়িকা নই! আর না আমি কোনো সাহিত্যিকের সাহিত্যে ফুটিয়ে তোলা কোনো স্বপ্ন মানবী! এদের শাড়ি পরা রূপটা হল মাকাল ফলের মত। বাইরের কাংখিত রূপটা থাকলেও অন্তর্নিহিত মধুময়তা শূণ্য।
আমি তো আল্লাহ্’র হুকুমের কাছে আত্মসমর্পণকারিণী, আনুগত্যের মস্তক অবনতকারী এক মুসলিমাহ্। আমার নিক্কাবসহ হিজাব পরিহিত রূপ আর সবার চোখকে ফাঁকি দিয়ে ধারণ করা এই শাড়ি পরিহিত রূপতো ভিন্ন আকৃতির কিন্তু একই সুবাসযুক্ত দুটি ফুল! একটি প্রস্ফুটিত হলে রবের হুকুমে আপাদমস্তক ঢেকে থাকবে সবকিছু। আর অন্যটি প্রস্ফুটিত হলে স্ত্রীসুলভ স্নিগ্ধ, কমনীয় ও মোহনীয় সৌন্দর্য শুধু স্বামীর জন্য উন্মোচিত হবে ইন শা আল্লাহ্।
বিকেল বেলা শাড়ির উপরে বোরকা নিকাব পরতে গিয়ে শম্পা এই ভেবে মনে মনে হাসলো যে শাড়ির উপরে বোরকা পরে বের হওয়াটা আগের জেনারেশনের মা-খালাদের কিংবা দাদী-নানীদের একটা ট্রেন্ড ছিল! তবে তারা আটপৌরে পোশাক হিসেবেই সারাদিন সবসময়ে শাড়ি পরে থাকতেন আর সেটার উপরেই বোরকা চাপিয়ে নিতেন। কিন্তু স্বামীর আবদারে বেড়াতে যাওয়ার সময়ে বোরকা নিকাবের ভেতরে শাড়ি পরার একটা সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য রয়েছে যে কারনে এটাকে তার মোটেও সেকেলে কোনো বিষয় মনে হচ্ছেনা। বরং বোরকা-নিকাবের ভেতরে এই শাড়ি পরা অবস্থাটা তার কাছে আল্লাহ্'র হুকুম ও স্বামীর আবদারের সমন্বয়ে এক পূণ্যময়, বুদ্ধিদীপ্ত ও শিহরণ মাখা অত্যাধুনিক ফ্যাশন বলেই অনুভব হচ্ছে।
তার বর রেজা সেই টিনএজ বয়সে ইসলামের পথে আসার পর নিজের ভবিষ্যত স্বপ্নমানবীকে বিভিন্ন আমেজ ও অবয়বে কল্পনা করে এসেছে। কখনো নাটক-সিনেমার শাড়ি পরা কোনও নায়িকার বেশে। কখনো মুখ খোলা রাখা হিজাবীর বেশে। সবশেষে হিদায়াতের অনুভূতি দিয়ে যখন অন্তরের আবেগ আর আকাংখাগুলোকে পুরোপুরি শাসন করতে শিখলো তখন হিজাব-নিক্কাবের আবরণেই কল্পনার মানবীকে হৃদয়ে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হলো। তাই আল্লাহ্'র আনুগত্যের আবরণে হিজাব-নিকাবের ভেতরে শাড়ি পরে স্বামীর চোখের শীতলতাকে ধারন করা আজকের এই মুহূর্তের রূপটিই স্ত্রী শম্পার সবচাইতে আকর্ষণীয় ও কাংখিত রূপ হয়ে ধরা দিল রেজার আবেগে অনুভবে!