Mehedi pata dekhecho Anonto & Mithila

Поделиться
HTML-код
  • Опубликовано: 15 сен 2024
  • মেহেদি
    অনন্ত, মেহিদি পাতা দেখেছ নিশ্চয়?
    উপরে সবুজ, ভেতরে রক্তাক্ত ক্ষত-বিক্ষত-
    নিজেকে আজকাল বড় বেশি মেহেদি পাতার মতো,
    মনে হয় কেন?
    উপরে আমি অথচ ভিতরে কষ্টের যন্ত্রনার-
    এমন সব বড় বড় গর্ত যে-
    তার সামনে দাড়াতে নিজেরী ভয় হয়, অনন্ত।
    তুমি কেমন আছো?
    বিরক্ত হচ্ছ না তো?
    ভালোবাসা যে মানুষকে অসহায়ও করে তুলতে পারে-
    সেদিন তোমায় দেখার আগ পর্যন্ত-
    আমার জানা ছিলো না।
    তোমার উদ্দাম ভালোবাসার দূতি-
    জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ছারখার করে ফেলেছে আমার ভিতর-
    আমার বাহির-
    আমার হাতে গড়া আমার পৃথিবী।
    অনন্ত, যেই মিথিলা শুখী হবে বলে-
    ভালোবাসার পূর্ণ চঁন্দ গিলে খেয়ে-
    ভেজা মেঘের মতো উড়তে উড়তে চলে গেল,
    আজন্ম শূন্য, অনন্তকে আরো শূন্য করে দিয়ে-
    তার মুখে এসব কথা মানায় না,
    আমি জানি-
    কিন্তু আমি আর এভাবে এমন করে পারছি না
    আমার চারদিকের দেয়াল জুড়ে থই থই করে-
    আমার স্বপ্ন খুনের রক্ত।
    উদাস দুপুরে বাতাসে শিষ দেয়
    তোমার সেই ভালোবাসা
    পায়ে পায়ে ঘুরে ফেরে ছায়ার মতোন-
    তোমার স্বৃতি।
    আমি আগলাতেও পারি না,
    আমি ফেলতেও পারি না।
    শুখী হতে চেয়ে এখন দাড়িয়ে আমি-
    একলা আমি-
    কষ্টের তুষার পাহারে।
    অনন্ত তোমার সামনে দাড়ানোর কোন -
    যোগ্যতাই আজ আমার অবশিষ্ট নেই।
    তবুও,
    তবুও তুমি একদিন বলেছিলে-
    ভেজা মেঘের মতো-
    অবুজ আকাশে উড়তে উড়তে-
    জীবনের সুতোয় যদি টান পরে কখনো?
    চলে এসো, চলে এসো-
    বুক পেতে দেব-আকাশ বানাবো
    আর হাসনা হেনা ফুটাবো।
    সুতোয় আমার টান পরেছে অনন্ত,
    তাই আজ আমার সবকিছু,
    আমার এক রোখা জেদ,
    তুমি হীনা শুখী অনেক স্বাপ্ন!
    সব, সবকিছু জলাঞ্জলী দিয়ে-
    তোমার সামনে আমি নত জানু-
    আমায় তোমাকে আর একবার ভিক্ষে দাও।
    কথা দিচ্ছি- তোমার অমর্যাদা হবে না কোনদিন।
    অনন্ত, আমি জানি-
    এখন তুমি একলা পাষান কষ্ট নিয়ে ঘুরে বেড়াও,
    প্রচন্ড এক অভিমানে-
    ক্ষনে ক্ষনে গর্জে উঠে অগ্নিগিরি।
    কেউ জানে না, আমি জানি-
    কেন তোমার মনের মাঝে মন থাকে না,
    ঘরের মাঝে ঘর থাকে না,
    উঠোন জোরার উপর কলস-
    তুলসি তলের ঝড়া পাতা,
    কুয়ো তলার শূন্য বালতি-
    বাসন-কোসন, পূর্নিমা-অমাবর্ষা,
    একলা ঘরে এই অনন্ত-
    একা শুয়ে থাকা।
    কেউ জানে না, আমি জানি-
    কেন তুমি এমন করে কষ্ট পেলে-
    সব হরিয়ে বুকের তলের চিতানলে-
    কেন তুমি নষ্ট হলে?
    কার বিহনে চুপি চুপি, ধীরে ধীরে-
    কেউ জানে না, আমি জানি-
    আমিই জানি।
    আগামি শনিবার ভোরের ট্রেনে তোমার কাছে আসছি।
    অনন্ত, আমার আর কিছু না দাও- অন্তত শাস্তিটুকু দিও।
    ভালো থেকো!
    তোমারি হারিয়ে যাওয়া মিথিলা।

Комментарии • 228