স্বাধীনতার পর এই প্রথম ১৪ আগস্ট গোটা রাত জুড়ে রাস্তায় এতো মানুষ ছিলো।কীসের যুক্তিতে মানুষ একজোট হলো

Поделиться
HTML-код
  • Опубликовано: 11 сен 2024
  • সারা দেশ জুড়ে পালিত হলো ৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস। তবে, এবার স্বাধীনতার ভাষা ছিল কিছুটা অন্যরকম। স্বাধীনতা মানে কেবল দেশের স্বাধীনতা নয়, স্বাধীনতা মানে দেশের প্রতিটা মানুষের স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকা - আর এই কথাই বুঝিয়ে দিলো স্বাধীনতার মধ্যরাতে মেয়েদের " রাত দখল " অভিযান। বৃষ্টি মাথায় করেও সারা রাজ্যে প্রতিটি কোনায় কোনায় মেয়েরা জমায়েত করলেন , গাইলেন জাতীয় সঙ্গীত, মুখে তাদের একটাই স্লোগান " WE WANT JUSTICE"।
    কলকাতা থেকে জেলা সর্বএই প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। শাঁখ-উলুধ্বনী দিয়ে সরব হয়ে ওঠেন মহিলারা। ইন দ্য স্ট্রোক অফ দ্য মিডনাইট আওয়ার...'। স্বাধীনতার প্রাক্কালে আক্ষরিক অর্থেই জেগে ওঠে বাংলা তথা গোটা ভারত। রাত বাড়ার সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ে ভিড়। বুধবার রাতে একে একে প্রতিটি রাস্তার দখল নিতে শুরু করে মেয়েরা। যাদবপুর, অ্যাকাডেমি, কলেজ স্ট্রিট তো বটেই শহরের প্রতিটি কোণা, জেলায় জেলায় চলে জমায়েত। এমনকী, রাজ্যের সীমানা পেরিয়ে দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরুও রাত জাগে আরজি করের নির্যাতিতার ন্যায়বিচারের দাবিতে। রাত দখলে নেমেছে সুদূর এডিনবরাও। কলকাতা থেকে কোচবিহার, বনগাঁ থেকে বেহালা, সর্বত্রই রাতের রাজপথ চলে যায় মেয়েদের দখলে। ব্যানার, ফেস্টুন হাতে পথে নেমে পড়েন শয়ে শয়ে নারী। তবে, সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কথা হলো এই অভিযানে মহিলাদের যোগ্য সঙ্গ দেন পুরুষরাও। কারও হাতে মশাল তো কেউ জ্বেলেছেন মোবাইলের টর্চ, তো আবার কেউ জেনেছেন মোমবাতি। প্রত্যেকের দাবি একটাই, আরজি করকাণ্ডে সুবিচার চাই। কেবলমাত্র কলকাতা নয়, সার্বিকভাবে গোটা রাজ্য তথা দেশের চিত্রটা একইরকম। এক কথায় বলা চলে, স্বতঃস্ফূর্ত গণজাগরণ। ভয়ডরহীন ভাবে, একের সঙ্গে অনেকে মিলে , ধর্ষকের বিরুদ্ধে জোটবদ্ধ হওয়ার চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন মেয়েরা।

Комментарии • 1