আমি শুনেছি আল্লাহ যাকে ইচ্ছা করেন যে জান্নাতে দিবেন, তার জন্য আমল নাকি তেমন কোনো ব্যাপার না, আল্লাহর কাছে তার একটা কারণ নাকি যথেষ্ঠ হবে। তাই বলে তো আমল করা বাদ দেওয়া যাবে না, অবশ্যই।
শুনেছি ৪০জন আমিন বললে দোয়া কবুল হয়,আমার দুটি কন্যা সন্তান আছে, তৃতীয় বার মা হচ্ছি,আপনার একবার করে আমিন বলে যান,আল্লাহ যেনো আমাকে একজন নেককার পুত্র সন্তান দান করেন
অযু শিক্ষা সম্পর্কে বিস্তারিত ১টি প্লেলিস্ট আছে। যেখানে আপনি নির্ভূল ভাবে অযু করার নিয়ম শিখতে পারবেন। 💥 এই লিংকে ক্লিক করলেই আসবে: 👉Shaikh Ahmadullah Podcast: ruclips.net/p/PLU4OaGavkvnvn4yDw1La2YeU7Fe5qLCvD
অনেক ভয়ে ভয়ে ভিডিও টা দেখলাম আমার না জানি কোন ভুল আছে কিন্তু না আলহামদুলিল্লাহ হুজুর যতগুলো কথা বলেছেন সব গুলোই আমার ঠিক আছে আলহামদুলিল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন আল্লাহ তায়ালা যেনো কবুল করে নেন
আমিও পরছি এমন কিছু মূর্খের পাল্লায়। কিছু বললে বেটকায়। মেজাজ টা খারাপ করে দেয়। জানস না শিখে না৷ সেটা না করে কিছু বললে বেটকায়😡😡 মুরুব্বি তাই মান্য করে চুপ থাকি ছোট হলে ঘার করে বেটকান বের করে দিতাম। এমন একটা মূর্খের ফেমেলিতে বউ হলাম জীবনটাই নরকের মত হয়ে গেছে এসব মূর্খের দলের কারনে
শুনেছি 40 জন আমিন বললে নাকি দোয়া কবুল হয়,,, আপনারা সবাই একবার করে আমিন বলে যান,,, যাতে আল্লাহতালা আমাকে তৌফিক দান করেন,, এবং নেককার সন্তানের মা হতে পারে,,, আমিন 🤲🤲🤲🤲
সবগুলো নিয়ম ছোট থেকেই জানি এবং এভাবেই ওজু করি আলহামদুলিল্লাহ।তবে নাকে টেনে পানি নিতে পারিনা ।ডান হাত দিয়ে পানি ছিটিয়ে ভিতরে দিয়ে বাম হাতে পরিষ্কার করি।
নিরপেক্ষ মন নিয়ে আন্তরিকভাবে বিষয়টা নিয়ে স্টাডি করলে এটা স্পষ্ট হয়ে যায় যে নাভির নিচে হাত বাঁধা একটি অন্যতম প্রতিষ্ঠিত সুন্নাত যার অনুকূলে পর্যাপ্ত দলিল-প্রমাণ রয়েছে। বুকের ওপর হাত বাঁধার যে হাদীসগুলোকে সহীহ হিসেবে দাবী করা হয় সেগুলোর সনদ ও মতনের মধ্যে ত্রুটি খুঁজে পাওয়া যায়। যদিও এই হাদিসগুলোর ভিত্তিতে আহলে ঈলম ও মুজতাহিদদের একটি অংশ বুকের নিচে বা নাভির ওপরে হাত বাঁধার পদ্ধতিকে সুন্নাত সাব্যস্ত করেছেন। অন্যদিকে এর বিপরীতে নাভির নিচে হাত বাঁধার হাদিসগুলোর ওপর যে ত্রুটি ও দুর্বলতা আরোপ করা হয়, সেগুলোও সর্বসম্মত নয়। বরং ওয়াইল ইবনে হুজর এর সূত্রে মুসান্নাফে আবি শায়বায় বর্ণিত হাদিসটি এবং আলী (রা:) কর্তৃক মারফু হাদিসের সমতুল্য বর্ণনাটিকে হাদিস বিশারদ ও মুজতাহিদদের একটি বড় অংশ গ্রহন করে নিয়েছেন। কারণ এ সংক্রান্ত বর্ণনা অনেকগুলো যেগুলো লঘু ও স্বল্প দুর্বলতা বিশিষ্ট হওয়ায় একটি আরেকটিকে শক্তিশালী করে। এজন্যই ইমাম বুখারীর উস্তাদ ইসহাক বিন রাহুওয়াই এর মত মুহাদ্দিস সুস্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, "নাভির নিচে হাত বাঁধা রেওয়াতের দিক থেকে অধিক শক্তিশালী এবং বিনয় ও ভক্তির নিকটবর্তী। সুফিয়ান সাওরী যিনি নিজে একজন স্বতন্ত্র মুজতাহিদ ছিলেন এবং ইবনে খুজাইমার ত্রুটিপূর্ন "মতন"যুক্ত হাদিস যেটিকে বুকে হাত বাঁধার অনুকূলে উপস্থাপন করা হয় সেই হাদিসের একজন রাবী এই সুফিয়ান আস সাওরী। অথচ তিনি হাত বাঁধতেন নাভির নিচে!!! এমনকি পরবর্তী যুগের মুহাদ্দিস ইবনে কায়্যিম, ইবনে তাইমিয়াও নাভির নিচে হাত বাঁধার হাদিস (আলী রাঃ কর্তৃক বর্ণিত)কে হাসান লি-গাইরিহী হিসেবে সমালোচনা ব্যাতিরেকেই গ্রহন করেছেন। মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওয়াহ্হাব যিনি মূলত তাওহীদ ও আক্কীদা বিষয়ক লেখালেখির জন্য অধিক পরিচিত তিনিও তাঁঁর তাঁর রচিত 'আল আদাবুল মাশী ইলাস সালাহ' নামক কিতাবে উল্লেখ করেছেন, "....সে তার বাম হাতের কব্জিকে ডান হাত দ্বারা আঁকড়ে ধরে নাভির নিচে স্থাপন করবে। আর এটি তার রবের সামনে তার বিনীত হওয়াকে সূচীত করবে।" আর ইবনে কায়্যিমের যাদুল মাআদের তাহক্কীক করে তিনি মুখতাসার যাদুল মাআদ রচনা করেছেন। যেখানে হাত বাঁধা বিষয়ক আলোচনায় তিনি উল্লেখ করেছেন এই বিষয়ে সুস্পষ্ট সহীহ হাদিস নেই এবং তার পরেই শুধু আলী রাঃ কর্তৃক বর্ণিত নাভির নিচে হাত বাঁধা সংক্রান্ত বর্ণনাটি উল্লেখ করেন। এতগুলো বিষয়কে এড়িয়ে গিয়ে *নাভির নিচে হাত বাঁধা*কে যারা প্রত্যাখ্যান ও অস্বীকার করে তাদের জন্য হিদায়াতের দুআ ছাড়া আর কিই বা করা যেতে পারে?? জীবনের বেশ অনেকগুলো বছর বুকের উপরে হাত বাঁধাকে একমাত্র সুন্নাহ্ এবং নাভির নিচে হাত বাঁধাকে ভিত্তিহীন হিসেবে অগ্রাহ্য করার পর ২০১৬ সালে আল্লাহ্ তাআলা আমার চক্ষু উন্মোচন করে দেন। আমি বেশ কিছু নির্ভরযোগ্য সোর্স থেকে জানতে পারি যে ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল, ইমাম বুখারীর উস্তাদ ইসহাক বিন রাহওয়াইহ, ইমাম ইবনে কায়্যিম, ইবনে তাইমিয়া, মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওয়াহহাব সহ অসংখ্য মুহাদ্দিস ও গবেষক নাভির নিচে হাত বাঁধার হাদীসকে সহীহ ও আমলযোগ্য হিসেবে মেনে নিয়েছেন এবং নারীদের জন্যও এখানে কোনও ভিন্নতা নেই। মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশের নারীদের ঈদের সালাতের কয়েকটা ছবিতে স্পষ্টভাবেই এটা লক্ষ্য করি। বিশেষ করে ইমাম বুখারীর উস্তাদ ইসহাক বিন রাহওয়াইহ এর এই বক্তব্যটি যে, "নাভির নিচে হাত বাঁধা রেওয়ায়েতের বিচারে অধিক শক্তিশালী এবং বিনয়ের অধিক নিকটবর্তী"----দেখার পর বাধ ভাঙ্গা জোয়ারের ন্যায় পরাজয় ও ভূলুণ্ঠিত হওয়ার আবেগ নিয়ে আমি নাভির নিচে হাত বাঁধাকে মেনে নিই। মনে হয় যেন আল্লাহ্ তাআলা এই অনুভূতি আমার হৃদয়ে ঢেলে দিয়েছেন আর আমার কাছ থেকে মধুর প্রতিশোধ নিয়ে তাঁর অপ্রতিরোধ্য অভিপ্রায়কে বাস্তবায়ন করে ছেড়েছেন। আর আমাকেও সানন্দে মেনে নিতে বাধ্য করেছেন। আলহামদুলিল্লাহ। সুম্মা আলহামদুলিল্লাহ। বাম হাতের কবজির উপর ডান হাতের কবজি রেখে নাভিতে মনোযোগ কেন্দ্রীভূত হলে নিজের অজান্তেই অন্তরের সুপ্ত সমর্পনময় আবেগগুলো বাঁধ ভাঙ্গা জোয়ারের ন্যায় উদ্বেলিত হয়ে মন-মগজকে আল্লাহ্'র কাছে পরাজয় স্বীকার ও আত্মসমর্পনের অনুভূতি দ্বারা প্লাবিত করে দেয়। আল্লাহ্ তাআলা হাম্বলী ফকীহদের উপরে রহম করুন। তাঁরা নাভির নিচে হাত বাঁধার সুন্নাহ কে শক্তিশালী ও সুপ্রতিষ্ঠিত করেছেন। পাশাপাশি নারীদেরকেও পরাক্রমশালী আল্লাহ্ তাআলার'র সামনে বিনীত, নিরংকুশভাবে পরাজিত ও আত্মসমর্পিত অবস্থার উত্তম রূপ-- নাভির নিচে হাত বাঁধার সুন্নাহ থেকে মাহরুম হওয়া থেকে হিফাযত করেছেন।
১.শুরুতে বিসমিল্লাহ পাঠ করা ২. মিছওয়াক করা ৩. মুখের মধ্যে পানি নিয়ে কুলকুচি করেই তারপর পানি ফেলা ৪. নাকি পানি দেওয়া: ১ম বার নাকে হালকা পানি টানতে হবে, এরপর পানি দিতে হবে এবং নাক ঝাড়তে হবে তারপর নাকি পানি ছিটাতে হবে ৫. হাতের আঙ্গুল ও পায়ের গুলার মাঝে খিলাল করা। ৬. কোনো অংশ শুকনা থেকে যাওয়া
আল্লাহ তাআলা আমাদের জন্য ইসলাম ধর্ম কতটা সহজ করে দিয়েছে তার পর ও মানতে পারিনা 😢কতো সহজ সালাত আমল তা-ও করতে পারি না 😢😢😢 আল্লাহ আপনি আমাদেরকে হেদায়েত দান করুন আমরা যেন ঈমানের সাথে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে পারি আমিন😭😭😭😭😭
এতো দিন কত ভুল করে অফু করে নামাজ পরেছি আল্লাহ্ আপনি মাফ করবেন এবং আমার নামাজ কবুল করুন আর এই হুজুর জন্য অনেক কিছু শিখেছি আল্লাহ্ আপনি হুজুর হায়াত দান করুন আমিন
আমার স্ত্রী ৮ মাসের গর্ভবতী এই রমজান মাসের উছিলায় আল্লাহ যেন আমার স্ত্রীর গর্ভে একজন নেককার সুস্থ সবল সন্তান দান করেন আমিন ,সবাই আমার স্ত্রীর জন্য দোয়া করবেন, আমিন
নিরপেক্ষ মন নিয়ে আন্তরিকভাবে বিষয়টা নিয়ে স্টাডি করলে এটা স্পষ্ট হয়ে যায় যে নাভির নিচে হাত বাঁধা একটি অন্যতম প্রতিষ্ঠিত সুন্নাত যার অনুকূলে পর্যাপ্ত দলিল-প্রমাণ রয়েছে। বুকের ওপর হাত বাঁধার যে হাদীসগুলোকে সহীহ হিসেবে দাবী করা হয় সেগুলোর সনদ ও মতনের মধ্যে ত্রুটি খুঁজে পাওয়া যায়। যদিও এই হাদিসগুলোর ভিত্তিতে আহলে ঈলম ও মুজতাহিদদের একটি অংশ বুকের নিচে বা নাভির ওপরে হাত বাঁধার পদ্ধতিকে সুন্নাত সাব্যস্ত করেছেন। অন্যদিকে এর বিপরীতে নাভির নিচে হাত বাঁধার হাদিসগুলোর ওপর যে ত্রুটি ও দুর্বলতা আরোপ করা হয়, সেগুলোও সর্বসম্মত নয়। বরং ওয়াইল ইবনে হুজর এর সূত্রে মুসান্নাফে আবি শায়বায় বর্ণিত হাদিসটি এবং আলী (রা:) কর্তৃক মারফু হাদিসের সমতুল্য বর্ণনাটিকে হাদিস বিশারদ ও মুজতাহিদদের একটি বড় অংশ গ্রহন করে নিয়েছেন। কারণ এ সংক্রান্ত বর্ণনা অনেকগুলো যেগুলো লঘু ও স্বল্প দুর্বলতা বিশিষ্ট হওয়ায় একটি আরেকটিকে শক্তিশালী করে। এজন্যই ইমাম বুখারীর উস্তাদ ইসহাক বিন রাহুওয়াই এর মত মুহাদ্দিস সুস্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, "নাভির নিচে হাত বাঁধা রেওয়াতের দিক থেকে অধিক শক্তিশালী এবং বিনয় ও ভক্তির নিকটবর্তী। সুফিয়ান সাওরী যিনি নিজে একজন স্বতন্ত্র মুজতাহিদ ছিলেন এবং ইবনে খুজাইমার ত্রুটিপূর্ন "মতন"যুক্ত হাদিস যেটিকে বুকে হাত বাঁধার অনুকূলে উপস্থাপন করা হয় সেই হাদিসের একজন রাবী এই সুফিয়ান আস সাওরী। অথচ তিনি হাত বাঁধতেন নাভির নিচে!!! এমনকি পরবর্তী যুগের মুহাদ্দিস ইবনে কায়্যিম, ইবনে তাইমিয়াও নাভির নিচে হাত বাঁধার হাদিস (আলী রাঃ কর্তৃক বর্ণিত)কে হাসান লি-গাইরিহী হিসেবে সমালোচনা ব্যাতিরেকেই গ্রহন করেছেন। মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওয়াহ্হাব যিনি মূলত তাওহীদ ও আক্কীদা বিষয়ক লেখালেখির জন্য অধিক পরিচিত তিনিও তাঁঁর তাঁর রচিত 'আল আদাবুল মাশী ইলাস সালাহ' নামক কিতাবে উল্লেখ করেছেন, "....সে তার বাম হাতের কব্জিকে ডান হাত দ্বারা আঁকড়ে ধরে নাভির নিচে স্থাপন করবে। আর এটি তার রবের সামনে তার বিনীত হওয়াকে সূচীত করবে।" আর ইবনে কায়্যিমের যাদুল মাআদের তাহক্কীক করে তিনি মুখতাসার যাদুল মাআদ রচনা করেছেন। যেখানে হাত বাঁধা বিষয়ক আলোচনায় তিনি উল্লেখ করেছেন এই বিষয়ে সুস্পষ্ট সহীহ হাদিস নেই এবং তার পরেই শুধু আলী রাঃ কর্তৃক বর্ণিত নাভির নিচে হাত বাঁধা সংক্রান্ত বর্ণনাটি উল্লেখ করেন। এতগুলো বিষয়কে এড়িয়ে গিয়ে *নাভির নিচে হাত বাঁধা*কে যারা প্রত্যাখ্যান ও অস্বীকার করে তাদের জন্য হিদায়াতের দুআ ছাড়া আর কিই বা করা যেতে পারে?? জীবনের বেশ অনেকগুলো বছর বুকের উপরে হাত বাঁধাকে একমাত্র সুন্নাহ্ এবং নাভির নিচে হাত বাঁধাকে ভিত্তিহীন হিসেবে অগ্রাহ্য করার পর ২০১৬ সালে আল্লাহ্ তাআলা আমার চক্ষু উন্মোচন করে দেন। আমি বেশ কিছু নির্ভরযোগ্য সোর্স থেকে জানতে পারি যে ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল, ইমাম বুখারীর উস্তাদ ইসহাক বিন রাহওয়াইহ, ইমাম ইবনে কায়্যিম, ইবনে তাইমিয়া, মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওয়াহহাব সহ অসংখ্য মুহাদ্দিস ও গবেষক নাভির নিচে হাত বাঁধার হাদীসকে সহীহ ও আমলযোগ্য হিসেবে মেনে নিয়েছেন এবং নারীদের জন্যও এখানে কোনও ভিন্নতা নেই। মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশের নারীদের ঈদের সালাতের কয়েকটা ছবিতে স্পষ্টভাবেই এটা লক্ষ্য করি। বিশেষ করে ইমাম বুখারীর উস্তাদ ইসহাক বিন রাহওয়াইহ এর এই বক্তব্যটি যে, "নাভির নিচে হাত বাঁধা রেওয়ায়েতের বিচারে অধিক শক্তিশালী এবং বিনয়ের অধিক নিকটবর্তী"----দেখার পর বাধ ভাঙ্গা জোয়ারের ন্যায় পরাজয় ও ভূলুণ্ঠিত হওয়ার আবেগ নিয়ে আমি নাভির নিচে হাত বাঁধাকে মেনে নিই। মনে হয় যেন আল্লাহ্ তাআলা এই অনুভূতি আমার হৃদয়ে ঢেলে দিয়েছেন আর আমার কাছ থেকে মধুর প্রতিশোধ নিয়ে তাঁর অপ্রতিরোধ্য অভিপ্রায়কে বাস্তবায়ন করে ছেড়েছেন। আর আমাকেও সানন্দে মেনে নিতে বাধ্য করেছেন। আলহামদুলিল্লাহ। সুম্মা আলহামদুলিল্লাহ। বাম হাতের কবজির উপর ডান হাতের কবজি রেখে নাভিতে মনোযোগ কেন্দ্রীভূত হলে নিজের অজান্তেই অন্তরের সুপ্ত সমর্পনময় আবেগগুলো বাঁধ ভাঙ্গা জোয়ারের ন্যায় উদ্বেলিত হয়ে মন-মগজকে আল্লাহ্'র কাছে পরাজয় স্বীকার ও আত্মসমর্পনের অনুভূতি দ্বারা প্লাবিত করে দেয়। আল্লাহ্ তাআলা হাম্বলী ফকীহদের উপরে রহম করুন। তাঁরা নাভির নিচে হাত বাঁধার সুন্নাহ কে শক্তিশালী ও সুপ্রতিষ্ঠিত করেছেন। পাশাপাশি নারীদেরকেও পরাক্রমশালী আল্লাহ্ তাআলার'র সামনে বিনীত, নিরংকুশভাবে পরাজিত ও আত্মসমর্পিত অবস্থার উত্তম রূপ-- নাভির নিচে হাত বাঁধার সুন্নাহ থেকে মাহরুম হওয়া থেকে হিফাযত করেছেন।
হযরত ওয়াইল ইবনে হুজর রা. থেকে বর্ণিত, ‘আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দেখেছি, তিনি নামাযে ডান হাত বাম হাতের উপর নাভীর নীচে রেখেছেন। -মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ৩৯৫১ এই বর্ণনার সনদ সহীহ। ইমাম কাসেম ইবনে কুতলূবুগা রাহ. (৮৭৯ হি.) বলেন- وهذا إسناد جيدএটি একটি উত্তম সনদ।-আততা’রীফু ওয়াল ইখবার রিতাখরীজি আহাদীছিল ইখতিয়ার-হাশিয়া শায়খ মুহাম্মাদ আওয়ামা উল্লেখ্য, মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবার একাধিক পান্ডুলিপিতে হাদীসটি এভাবেই অর্থাৎتحت السرة (নাভীর নিচে) কথাটাসহ আছে। এর মধ্যে ইমাম মুরতাযা আযাবীদী-এর পান্ডুলিপি ও ইমাম আবিদ আসসিন্দী রাহ.-এর পান্ডুলিপি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ইমাম কাসিম ইবনে কুতলূবুগা রাহ., আল্লামা আবদুল কাদির ইবনে আবু বকর আসসিদ্দীকি ও আল্লামা মুহাম্মাদ আকরাম সিন্ধীর পান্ডুলিপিতেও হাদীসটি এভাবে আছে। পক্ষান্তরে অন্য কিছু পান্ডুলিপিতে এই বর্ণনায় تحت السرة (নাভীর নিচে) কথাটা নেই। এ কারণে ভারতবর্ষে মুদ্রিত মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবার পুরানো সংস্করণে এই হাদীসে تحت السرة (নাভীর নিচে) অংশটি ছিল না। বর্তমানে মদীনা মুনাওয়ারার বিখ্যাত ফকীহ ও মুহাদ্দিস শায়খ মুহাম্মদ আওয়ামার তাহকীক-সম্পাদনায় মুসান্নাফের যে মুদ্রণ পাঠক-গবেষকদের কাছে পৌঁছেছে তাতে হাদীসটি تحت السرة (নাভীর নিচে) অংশসহ রয়েছে। কারণ শায়খের সামনে প্রথমোক্ত পান্ডুলিপি দুটিও ছিল।
"ইয়া আল্লাহ্ আমরা সবাইকে হেদায়াত দান করো এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার তৌফিক দান করুন আল্লাহ্ এবং রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আদেশ পালন করার তৌফিক দান করুন এবং আমরা সবাইকে মাফ করে কালেমার সাথে মিরতু দান করিও আল্লাহ্.আমিন আমীন আমীন আমীন আমীন আমীন আমীন।
নিরপেক্ষ মন নিয়ে আন্তরিকভাবে বিষয়টা নিয়ে স্টাডি করলে এটা স্পষ্ট হয়ে যায় যে নাভির নিচে হাত বাঁধা একটি অন্যতম প্রতিষ্ঠিত সুন্নাত যার অনুকূলে পর্যাপ্ত দলিল-প্রমাণ রয়েছে। বুকের ওপর হাত বাঁধার যে হাদীসগুলোকে সহীহ হিসেবে দাবী করা হয় সেগুলোর সনদ ও মতনের মধ্যে ত্রুটি খুঁজে পাওয়া যায়। যদিও এই হাদিসগুলোর ভিত্তিতে আহলে ঈলম ও মুজতাহিদদের একটি অংশ বুকের নিচে বা নাভির ওপরে হাত বাঁধার পদ্ধতিকে সুন্নাত সাব্যস্ত করেছেন। অন্যদিকে এর বিপরীতে নাভির নিচে হাত বাঁধার হাদিসগুলোর ওপর যে ত্রুটি ও দুর্বলতা আরোপ করা হয়, সেগুলোও সর্বসম্মত নয়। বরং ওয়াইল ইবনে হুজর এর সূত্রে মুসান্নাফে আবি শায়বায় বর্ণিত হাদিসটি এবং আলী (রা:) কর্তৃক মারফু হাদিসের সমতুল্য বর্ণনাটিকে হাদিস বিশারদ ও মুজতাহিদদের একটি বড় অংশ গ্রহন করে নিয়েছেন। কারণ এ সংক্রান্ত বর্ণনা অনেকগুলো যেগুলো লঘু ও স্বল্প দুর্বলতা বিশিষ্ট হওয়ায় একটি আরেকটিকে শক্তিশালী করে। এজন্যই ইমাম বুখারীর উস্তাদ ইসহাক বিন রাহুওয়াই এর মত মুহাদ্দিস সুস্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, "নাভির নিচে হাত বাঁধা রেওয়াতের দিক থেকে অধিক শক্তিশালী এবং বিনয় ও ভক্তির নিকটবর্তী। সুফিয়ান সাওরী যিনি নিজে একজন স্বতন্ত্র মুজতাহিদ ছিলেন এবং ইবনে খুজাইমার ত্রুটিপূর্ন "মতন"যুক্ত হাদিস যেটিকে বুকে হাত বাঁধার অনুকূলে উপস্থাপন করা হয় সেই হাদিসের একজন রাবী এই সুফিয়ান আস সাওরী। অথচ তিনি হাত বাঁধতেন নাভির নিচে!!! এমনকি পরবর্তী যুগের মুহাদ্দিস ইবনে কায়্যিম, ইবনে তাইমিয়াও নাভির নিচে হাত বাঁধার হাদিস (আলী রাঃ কর্তৃক বর্ণিত)কে হাসান লি-গাইরিহী হিসেবে সমালোচনা ব্যাতিরেকেই গ্রহন করেছেন। মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওয়াহ্হাব যিনি মূলত তাওহীদ ও আক্কীদা বিষয়ক লেখালেখির জন্য অধিক পরিচিত তিনিও তাঁঁর তাঁর রচিত 'আল আদাবুল মাশী ইলাস সালাহ' নামক কিতাবে উল্লেখ করেছেন, "....সে তার বাম হাতের কব্জিকে ডান হাত দ্বারা আঁকড়ে ধরে নাভির নিচে স্থাপন করবে। আর এটি তার রবের সামনে তার বিনীত হওয়াকে সূচীত করবে।" আর ইবনে কায়্যিমের যাদুল মাআদের তাহক্কীক করে তিনি মুখতাসার যাদুল মাআদ রচনা করেছেন। যেখানে হাত বাঁধা বিষয়ক আলোচনায় তিনি উল্লেখ করেছেন এই বিষয়ে সুস্পষ্ট সহীহ হাদিস নেই এবং তার পরেই শুধু আলী রাঃ কর্তৃক বর্ণিত নাভির নিচে হাত বাঁধা সংক্রান্ত বর্ণনাটি উল্লেখ করেন। এতগুলো বিষয়কে এড়িয়ে গিয়ে *নাভির নিচে হাত বাঁধা*কে যারা প্রত্যাখ্যান ও অস্বীকার করে তাদের জন্য হিদায়াতের দুআ ছাড়া আর কিই বা করা যেতে পারে?? জীবনের বেশ অনেকগুলো বছর বুকের উপরে হাত বাঁধাকে একমাত্র সুন্নাহ্ এবং নাভির নিচে হাত বাঁধাকে ভিত্তিহীন হিসেবে অগ্রাহ্য করার পর ২০১৬ সালে আল্লাহ্ তাআলা আমার চক্ষু উন্মোচন করে দেন। আমি বেশ কিছু নির্ভরযোগ্য সোর্স থেকে জানতে পারি যে ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল, ইমাম বুখারীর উস্তাদ ইসহাক বিন রাহওয়াইহ, ইমাম ইবনে কায়্যিম, ইবনে তাইমিয়া, মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওয়াহহাব সহ অসংখ্য মুহাদ্দিস ও গবেষক নাভির নিচে হাত বাঁধার হাদীসকে সহীহ ও আমলযোগ্য হিসেবে মেনে নিয়েছেন এবং নারীদের জন্যও এখানে কোনও ভিন্নতা নেই। মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশের নারীদের ঈদের সালাতের কয়েকটা ছবিতে স্পষ্টভাবেই এটা লক্ষ্য করি। বিশেষ করে ইমাম বুখারীর উস্তাদ ইসহাক বিন রাহওয়াইহ এর এই বক্তব্যটি যে, "নাভির নিচে হাত বাঁধা রেওয়ায়েতের বিচারে অধিক শক্তিশালী এবং বিনয়ের অধিক নিকটবর্তী"----দেখার পর বাধ ভাঙ্গা জোয়ারের ন্যায় পরাজয় ও ভূলুণ্ঠিত হওয়ার আবেগ নিয়ে আমি নাভির নিচে হাত বাঁধাকে মেনে নিই। মনে হয় যেন আল্লাহ্ তাআলা এই অনুভূতি আমার হৃদয়ে ঢেলে দিয়েছেন আর আমার কাছ থেকে মধুর প্রতিশোধ নিয়ে তাঁর অপ্রতিরোধ্য অভিপ্রায়কে বাস্তবায়ন করে ছেড়েছেন। আর আমাকেও সানন্দে মেনে নিতে বাধ্য করেছেন। আলহামদুলিল্লাহ। সুম্মা আলহামদুলিল্লাহ। বাম হাতের কবজির উপর ডান হাতের কবজি রেখে নাভিতে মনোযোগ কেন্দ্রীভূত হলে নিজের অজান্তেই অন্তরের সুপ্ত সমর্পনময় আবেগগুলো বাঁধ ভাঙ্গা জোয়ারের ন্যায় উদ্বেলিত হয়ে মন-মগজকে আল্লাহ্'র কাছে পরাজয় স্বীকার ও আত্মসমর্পনের অনুভূতি দ্বারা প্লাবিত করে দেয়। আল্লাহ্ তাআলা হাম্বলী ফকীহদের উপরে রহম করুন। তাঁরা নাভির নিচে হাত বাঁধার সুন্নাহ কে শক্তিশালী ও সুপ্রতিষ্ঠিত করেছেন। পাশাপাশি নারীদেরকেও পরাক্রমশালী আল্লাহ্ তাআলার'র সামনে বিনীত, নিরংকুশভাবে পরাজিত ও আত্মসমর্পিত অবস্থার উত্তম রূপ-- নাভির নিচে হাত বাঁধার সুন্নাহ থেকে মাহরুম হওয়া থেকে হিফাযত করেছেন।
হযরত ওয়াইল ইবনে হুজর রা. থেকে বর্ণিত, ‘আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দেখেছি, তিনি নামাযে ডান হাত বাম হাতের উপর নাভীর নীচে রেখেছেন। -মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ৩৯৫১ এই বর্ণনার সনদ সহীহ। ইমাম কাসেম ইবনে কুতলূবুগা রাহ. (৮৭৯ হি.) বলেন- وهذا إسناد جيدএটি একটি উত্তম সনদ।-আততা’রীফু ওয়াল ইখবার রিতাখরীজি আহাদীছিল ইখতিয়ার-হাশিয়া শায়খ মুহাম্মাদ আওয়ামা উল্লেখ্য, মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবার একাধিক পান্ডুলিপিতে হাদীসটি এভাবেই অর্থাৎتحت السرة (নাভীর নিচে) কথাটাসহ আছে। এর মধ্যে ইমাম মুরতাযা আযাবীদী-এর পান্ডুলিপি ও ইমাম আবিদ আসসিন্দী রাহ.-এর পান্ডুলিপি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ইমাম কাসিম ইবনে কুতলূবুগা রাহ., আল্লামা আবদুল কাদির ইবনে আবু বকর আসসিদ্দীকি ও আল্লামা মুহাম্মাদ আকরাম সিন্ধীর পান্ডুলিপিতেও হাদীসটি এভাবে আছে। পক্ষান্তরে অন্য কিছু পান্ডুলিপিতে এই বর্ণনায় تحت السرة (নাভীর নিচে) কথাটা নেই। এ কারণে ভারতবর্ষে মুদ্রিত মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবার পুরানো সংস্করণে এই হাদীসে تحت السرة (নাভীর নিচে) অংশটি ছিল না। বর্তমানে মদীনা মুনাওয়ারার বিখ্যাত ফকীহ ও মুহাদ্দিস শায়খ মুহাম্মদ আওয়ামার তাহকীক-সম্পাদনায় মুসান্নাফের যে মুদ্রণ পাঠক-গবেষকদের কাছে পৌঁছেছে তাতে হাদীসটি تحت السرة (নাভীর নিচে) অংশসহ রয়েছে। কারণ শায়খের সামনে প্রথমোক্ত পান্ডুলিপি দুটিও ছিল।
ছোটবেলা বৃহস্পতিবার আমার অনেক বন্ধুরা মসজিদে পড়তে যেতো না। আলহামদুলিল্লাহ আমি যেতাম। ওই দিন হুজুর দোয়া সহ সূরাগুলো সহি করতেন। আজ বুঝতে পারছি তখন মসজিদ মিস না করায় আজ কতটুকু সফল হয়েছি❤❤❤
অযু শিক্ষা সম্পর্কে বিস্তারিত ১টি প্লেলিস্ট আছে। যেখানে আপনি নির্ভূল ভাবে অযু করার নিয়ম শিখতে পারবেন।
💥 এই লিংকে ক্লিক করলেই আসবে: 👉Shaikh Ahmadullah Podcast: ruclips.net/p/PLU4OaGavkvnvn4yDw1La2YeU7Fe5qLCvD
জনপ্রিয় বইগুলো কিনতে পারেন
1. বেলা ফুরাবার আগেঃ rkmri.co/05lMeNAEeMeA/
2. ম্যাসেজঃ rkmri.co/epeS2AE0AI3m/
3. দ্য কেয়ারিং ওয়াইফঃ rkmri.co/mETTMe2ISe3e/
4. নফসের বিরুদ্ধে লড়াইঃ rkmri.co/emR3yRIoye5e/
5. প্রোডাক্টিভ মুসলিমঃ rkmri.co/R0e2TAeymME0/
6. আতরঃ rkmri.co/lMApyAepoRIE/
rkmri.co/MmlNeoNeEpe2/
rkmri.co/SmA2ASle5IRM/
আমি শুনেছি আল্লাহ যাকে ইচ্ছা করেন যে জান্নাতে দিবেন, তার জন্য আমল নাকি তেমন কোনো ব্যাপার না, আল্লাহর কাছে তার একটা কারণ নাকি যথেষ্ঠ হবে।
তাই বলে তো আমল করা বাদ দেওয়া যাবে না, অবশ্যই।
@@nishatfouzia5640 b
ইজহান নাম কি রাখা যাবে
@@IfranAhmed-n3y matha masawo corar niym
Q০😮😮😮;
মাবুদ গো, আমার পিতা মাতার সকল গুনাহ মাফ করে দিও😭🙏🤲
Amin
Amin
Amin
আমিন
🤲🤲🤲
শুনেছি ৪০জন আমিন বললে দোয়া কবুল হয়,আমার দুটি কন্যা সন্তান আছে, তৃতীয় বার মা হচ্ছি,আপনার একবার করে আমিন বলে যান,আল্লাহ যেনো আমাকে একজন নেককার পুত্র সন্তান দান করেন
@@aklimaakter454 আমিন
আমিন
আমিন
Amin
Amin
এতদিন ভূল অযুতে নামাজ পড়েছি আজ থেকে সঠিকভাবে অযু করবো ইনশাআল্লাহ
Inshallah 🤲🤲🤲
In shaa Allha
ইনশাআল্লাহ
আমিন
Alhamdulillah.
আমি গর্ভবতী এই রমজান মাসে উছিলায় আল্লাহ যেন আমাকে একজন নেককার সুস্থ সবল সন্তান দান করেন সবাই দোয়া করবেন
amin
আমিন
Amin🤲🤲
Amin
দুআ করবো কিন্তু বোন আপনি ফেসবুক ইউটিউব না দেখে ইবাদত এর মাধ্যমে রমজান অতিবাহিত করবেন।
আজ থেকে চেষ্টা করব সঠিক ভাবে ওযু করার জন্য ইনশাআল্লাহ
ইনশাআল্লাহ
,আমি ৮ মাসের গর্ভবতী সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন আমি জেন ৩০ টা রোজাই করতে পারি। এবং আল্লাহ যেন আমাকে ১ টা নেককার সন্তান দান করেন আমিন।
আমিন
আমিন
Amin.Insallah Allah apnar Moner asha puron korben
আমিন আমিন
আমিন
ছোটবেলায় হুজুর যেভাবে শিখিয়ে দিয়েছিলেন ওইভাবেই সঠিক নিয়মে ওযু করি আজকে প্রায় ২৫ বছর ধরে আলহামদুলিল্লাহ।
09
❤
Alhamdulillah
হুজুরের ওয়াজ থেকে অনেক না জানা প্রশ্নের উত্তর জানতে পারি এবং অনেক ভুল সংশোধন করতে পারছি।আলহামদুলিল্লাহ।❤❤❤❤
জাজাকাল্লাহ
Alhamdulillah
P00}))}lll
আলহামদুলিল্লাহ
মাশাল্লাহ অনেক সুন্দর আলোচনা। জীবনে তো দীর্ঘ 25 বছর যাবত ভুল করছি। এখন থেকে সব নিয়মগুলো মেনে ওযু করবো ইনশাআল্লাহ।
কলিজার,টুকরার জন্য দোয়া চায় সকল মুসলিম এর কাছে😭😭😭🤲🤲🤲🤲
আমিন
Amin
Amin
Subhanallah alhamdulillah ইসলাম নিয়ে যতই চর্চা করা যাবে ততই ইসলাম আর আল্লাহ নবিজির মহব্বত এ পড়ে যাবেন❤
Subhan allah
আলহামদুলিল্লাহ অনেক কিছু জানতে পারলাম মেনে চলবো ইনশাআল্লাহ
আল্লাহ আমাদের সকলকে তৌফিক দান করুন
আলহামদুলিল্লাহ , এইবার থেকে সঠিক ভাবে ওযু করবো ইনশাআল্লাহ
ইনশাআল্লাহ।হে আল্লাহ,আপনি আমাদের না জানা ভুলগুলি ক্ষমা করেন।আমিন।
@@hiyamojumder9447 correct way?
এটাই সঠিক ওয়াজ
এভাবে বুঝালে অনেকের অনেক কিছু শোধরানো সম্ভব
একদম ঠিক বলেছেন।
অযু শিক্ষা সম্পর্কে বিস্তারিত ১টি প্লেলিস্ট আছে। যেখানে আপনি নির্ভূল ভাবে অযু করার নিয়ম শিখতে পারবেন।
💥 এই লিংকে ক্লিক করলেই আসবে: 👉Shaikh Ahmadullah Podcast: ruclips.net/p/PLU4OaGavkvnvn4yDw1La2YeU7Fe5qLCvD
আলহামদুলিল্লাহ প্রিয় হুজুরের আলোচনা শুনে অনেক ভুল সংশোধন করতে পারছি💖
@@mdmizanurrahman2018 একমত👍
অনেক ভয়ে ভয়ে ভিডিও টা দেখলাম
আমার না জানি কোন ভুল আছে
কিন্তু না আলহামদুলিল্লাহ হুজুর যতগুলো কথা বলেছেন সব গুলোই আমার ঠিক আছে আলহামদুলিল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ
সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন আল্লাহ তায়ালা যেনো কবুল করে নেন
আমিন
Amin
আলহামদুলিল্লাহ
এভাবে সুন্দর করে গুছিয়ে বলার জন্য।
হুজুর কে আল্লাহ নেক হায়াত দান করুক আমিন..!!
❤❤ আলহামদুলিল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ ❤❤লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদূর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ❤❤
এই ভুলগুলো আমার আশেপাশের অনেক মানুষ করে তাদের আমি কিছু বললে তারা আমাকে বলে আমরা ও হাদিস কুরআন জানি😢😢😢😢
তাদের কে বলবেন জানার নাম ঈমান নয় মানার নাম ঈমান।
আমিও পরছি এমন কিছু মূর্খের পাল্লায়। কিছু বললে বেটকায়। মেজাজ টা খারাপ করে দেয়। জানস না শিখে না৷ সেটা না করে কিছু বললে বেটকায়😡😡 মুরুব্বি তাই মান্য করে চুপ থাকি ছোট হলে ঘার করে বেটকান বের করে দিতাম। এমন একটা মূর্খের ফেমেলিতে বউ হলাম জীবনটাই নরকের মত হয়ে গেছে এসব মূর্খের দলের কারনে
একদম ঠিক
আলহামদুলিল্লাহ সব গুলো করার চেষ্টা করি।
Amin Amin Amin Amin Amin Amin Amin Amin Amin Amin Amin Amin Amin
সবাই দোয়া করবেন আমিন লিখে যাবে আমি যেন মা হতে পারি
@@ripaaktahr9670 ইনশাআল্লাহ
@@ripaaktahr9670 ameen
Amin
@@ripaaktahr9670 y
Ameen
হে আল্লাহ আপনি আমাদের সবাইকে সহি সুদ্ধু ভাবে অজু করার তাওফিক দান করুন আমিন
আমিন।
আমীন
Ameen
শুনেছি 40 জন আমিন বললে নাকি দোয়া কবুল হয়,,, আপনারা সবাই একবার করে আমিন বলে যান,,, যাতে আল্লাহতালা আমাকে তৌফিক দান করেন,, এবং নেককার সন্তানের মা হতে পারে,,, আমিন 🤲🤲🤲🤲
হে আল্লাহ এতদিনযাবৎ ভুল ওযু করে নামায পরেছি দয়া করে কবুল কর আজ থেকে সঠিক ওযু করে সালাত কায়েম করব ইনশাল্লাহ
Allah tmy shih vabe krar tawfik dan krun
আমিন
In sha Allah
ভাই এইটা কি কমেন্ট করে সেটা আপনার জানানোর দরকার ছিলো?
Right Information
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাঃ কি সুন্দর বাক্য
🌹🌹🌹
আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ পাক জেনো আমাদের সবার ওজুজেনো ছহি বাবে করার তৌফিক দেন আল্লাহুমা আমিন
হে আমার প্রভু আমাদের সব সময় সঠিক পথ দেখান আমিন
মাশাল্লাহ। আলহামদুলিল্লাহ সুম্মা আলহামদুলিল্লাহ। খুব সুন্দর লাগছে আলোচনা। এখন থেকে আলোচনা মাফিক ওজু করবো ইনশাল্লাহ।
alhamdulillah onk kico janlam,allah amdeer sobai k 5 wakto namaz porar tawfiq deak.sobai amr jnno duwa korben ❤
আলহামদুলিল্লাহ অনেক অনেক সুন্দর নসিহত আমরা সবাই ভালোভাবে মানার চেষ্টা করো ইনশাল্লাহ
সবগুলো নিয়ম ছোট থেকেই জানি এবং এভাবেই ওজু করি আলহামদুলিল্লাহ।তবে নাকে টেনে পানি নিতে পারিনা ।ডান হাত দিয়ে পানি ছিটিয়ে ভিতরে দিয়ে বাম হাতে পরিষ্কার করি।
আজকে থেকে ভালো করে ওযু করার চেষ্টা করবো। ইনশাআল্লাহ।
আমিন আমিন আমিন আমিন
আলহামদুলিল্লাহ এই গুলো সবটায় করার চেষ্টা করি, জাজাকাল্লাহ খায়রান সুন্দর ভাবে উপদেশ দেওয়ার জন্য ।
জাজাকাল্লাহ
হে আল্লাহ সঠিকভাবে ওযু করার তৌফিক দান করুন আমিন
আল্লাহ পাক আমাদের সঠিক নিয়মে অযু করার তৌফিক দেন
নিরপেক্ষ মন নিয়ে আন্তরিকভাবে বিষয়টা নিয়ে স্টাডি করলে এটা স্পষ্ট হয়ে যায় যে নাভির নিচে হাত বাঁধা একটি অন্যতম প্রতিষ্ঠিত সুন্নাত যার অনুকূলে পর্যাপ্ত দলিল-প্রমাণ রয়েছে। বুকের ওপর হাত বাঁধার যে হাদীসগুলোকে সহীহ হিসেবে দাবী করা হয় সেগুলোর সনদ ও মতনের মধ্যে ত্রুটি খুঁজে পাওয়া যায়। যদিও এই হাদিসগুলোর ভিত্তিতে আহলে ঈলম ও মুজতাহিদদের একটি অংশ বুকের নিচে বা নাভির ওপরে হাত বাঁধার পদ্ধতিকে সুন্নাত সাব্যস্ত করেছেন।
অন্যদিকে এর বিপরীতে নাভির নিচে হাত বাঁধার হাদিসগুলোর ওপর যে ত্রুটি ও দুর্বলতা আরোপ করা হয়, সেগুলোও সর্বসম্মত নয়। বরং ওয়াইল ইবনে হুজর এর সূত্রে মুসান্নাফে আবি শায়বায় বর্ণিত হাদিসটি এবং আলী (রা:) কর্তৃক মারফু হাদিসের সমতুল্য বর্ণনাটিকে হাদিস বিশারদ ও মুজতাহিদদের একটি বড় অংশ গ্রহন করে নিয়েছেন। কারণ এ সংক্রান্ত বর্ণনা অনেকগুলো যেগুলো লঘু ও স্বল্প দুর্বলতা বিশিষ্ট হওয়ায় একটি আরেকটিকে শক্তিশালী করে। এজন্যই ইমাম বুখারীর উস্তাদ ইসহাক বিন রাহুওয়াই এর মত মুহাদ্দিস সুস্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, "নাভির নিচে হাত বাঁধা রেওয়াতের দিক থেকে অধিক শক্তিশালী এবং বিনয় ও ভক্তির নিকটবর্তী। সুফিয়ান সাওরী যিনি নিজে একজন স্বতন্ত্র মুজতাহিদ ছিলেন এবং ইবনে খুজাইমার ত্রুটিপূর্ন "মতন"যুক্ত হাদিস যেটিকে বুকে হাত বাঁধার অনুকূলে উপস্থাপন করা হয় সেই হাদিসের একজন রাবী এই সুফিয়ান আস সাওরী। অথচ তিনি হাত বাঁধতেন নাভির নিচে!!!
এমনকি পরবর্তী যুগের মুহাদ্দিস ইবনে কায়্যিম, ইবনে তাইমিয়াও নাভির নিচে হাত বাঁধার হাদিস (আলী রাঃ কর্তৃক বর্ণিত)কে হাসান লি-গাইরিহী হিসেবে সমালোচনা ব্যাতিরেকেই গ্রহন করেছেন।
মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওয়াহ্হাব যিনি মূলত তাওহীদ ও আক্কীদা বিষয়ক লেখালেখির জন্য অধিক পরিচিত তিনিও তাঁঁর তাঁর রচিত 'আল আদাবুল মাশী ইলাস সালাহ' নামক কিতাবে উল্লেখ করেছেন,
"....সে তার বাম হাতের কব্জিকে ডান হাত দ্বারা আঁকড়ে ধরে নাভির নিচে স্থাপন করবে। আর এটি তার রবের সামনে তার বিনীত হওয়াকে সূচীত করবে।"
আর ইবনে কায়্যিমের যাদুল মাআদের তাহক্কীক করে তিনি মুখতাসার যাদুল মাআদ রচনা করেছেন। যেখানে হাত বাঁধা বিষয়ক আলোচনায় তিনি উল্লেখ করেছেন এই বিষয়ে সুস্পষ্ট সহীহ হাদিস নেই এবং তার পরেই শুধু আলী রাঃ কর্তৃক বর্ণিত নাভির নিচে হাত বাঁধা সংক্রান্ত বর্ণনাটি উল্লেখ করেন।
এতগুলো বিষয়কে এড়িয়ে গিয়ে *নাভির নিচে হাত বাঁধা*কে যারা প্রত্যাখ্যান ও অস্বীকার করে তাদের জন্য হিদায়াতের দুআ ছাড়া আর কিই বা করা যেতে পারে??
জীবনের বেশ অনেকগুলো বছর বুকের উপরে হাত বাঁধাকে একমাত্র সুন্নাহ্ এবং নাভির নিচে হাত বাঁধাকে ভিত্তিহীন হিসেবে অগ্রাহ্য করার পর ২০১৬ সালে আল্লাহ্ তাআলা আমার চক্ষু উন্মোচন করে দেন। আমি বেশ কিছু নির্ভরযোগ্য সোর্স থেকে জানতে পারি যে ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল, ইমাম বুখারীর উস্তাদ ইসহাক বিন রাহওয়াইহ, ইমাম ইবনে কায়্যিম, ইবনে তাইমিয়া, মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওয়াহহাব সহ অসংখ্য মুহাদ্দিস ও গবেষক নাভির নিচে হাত বাঁধার হাদীসকে সহীহ ও আমলযোগ্য হিসেবে মেনে নিয়েছেন এবং নারীদের জন্যও এখানে কোনও ভিন্নতা নেই। মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশের নারীদের ঈদের সালাতের কয়েকটা ছবিতে স্পষ্টভাবেই এটা লক্ষ্য করি।
বিশেষ করে ইমাম বুখারীর উস্তাদ ইসহাক বিন রাহওয়াইহ এর এই বক্তব্যটি যে, "নাভির নিচে হাত বাঁধা রেওয়ায়েতের বিচারে অধিক শক্তিশালী এবং বিনয়ের অধিক নিকটবর্তী"----দেখার পর বাধ ভাঙ্গা জোয়ারের ন্যায় পরাজয় ও ভূলুণ্ঠিত হওয়ার আবেগ নিয়ে আমি নাভির নিচে হাত বাঁধাকে মেনে নিই। মনে হয় যেন আল্লাহ্ তাআলা এই অনুভূতি আমার হৃদয়ে ঢেলে দিয়েছেন আর আমার কাছ থেকে মধুর প্রতিশোধ নিয়ে তাঁর অপ্রতিরোধ্য অভিপ্রায়কে বাস্তবায়ন করে ছেড়েছেন। আর আমাকেও সানন্দে মেনে নিতে বাধ্য করেছেন। আলহামদুলিল্লাহ।
সুম্মা আলহামদুলিল্লাহ।
বাম হাতের কবজির উপর ডান হাতের কবজি রেখে নাভিতে মনোযোগ কেন্দ্রীভূত হলে নিজের অজান্তেই অন্তরের সুপ্ত সমর্পনময় আবেগগুলো বাঁধ ভাঙ্গা জোয়ারের ন্যায় উদ্বেলিত হয়ে মন-মগজকে আল্লাহ্'র কাছে পরাজয় স্বীকার ও আত্মসমর্পনের অনুভূতি দ্বারা প্লাবিত করে দেয়।
আল্লাহ্ তাআলা হাম্বলী ফকীহদের উপরে রহম করুন। তাঁরা নাভির নিচে হাত বাঁধার সুন্নাহ কে শক্তিশালী ও সুপ্রতিষ্ঠিত করেছেন। পাশাপাশি নারীদেরকেও পরাক্রমশালী আল্লাহ্ তাআলার'র সামনে বিনীত, নিরংকুশভাবে পরাজিত ও আত্মসমর্পিত অবস্থার উত্তম রূপ-- নাভির নিচে হাত বাঁধার সুন্নাহ থেকে মাহরুম হওয়া থেকে হিফাযত করেছেন।
আজ থেকে সঠিকভাবে অযু করব ইনশাআল্লাহ ❤❤
হুজুর,বুজাবার,জন্য,অনেক,ধন্য,বাদ,,আমিন
৪০ জন আমিন বললে দোয়া কবুল হয় আমার যেন একটা সন্তান হয় প্রথম সন্তান মারা গেছে 🥲😭
আলহামদুলিল্লাহ পাঁচ ওয়াক্তে জামায়াতের সঙ্গে পরি এবং চেষ্টা করি ,অজু করার সময় বিসমিল্লাহ পড়ি
মাশাল্লাহ হুজুরকে আল্লাহর জন্য ভালবাসি অনেক ভালবাসি হুজুর আপনার কথাগুলো অনেক ভালো লাগে আমার কাছে
আলহামদুলিল্লাহ , এইবার থেকে সঠিক ভাবে ওযু করবো ইনশাআল্লাহ
মাশাল্লাহ, হুজুর কত সুন্দর ভাবে, সহজভাবে বুঝিয়ে দিলেন।
আজ থেকে শুদ্ধ ভাবে ওযু করবো। ইনশাআল্লাহ ❤🙌
মাশাআল্লাহ হুজুর আল্লাহ তায়ালা আপনাকে নেক হায়াত দান করুক
Amin
@@emmaheesters7568 m
আলহামদুলিল্লাহ অনেক কিছু শিখতে পেরেছি❤
১.শুরুতে বিসমিল্লাহ পাঠ করা
২. মিছওয়াক করা
৩. মুখের মধ্যে পানি নিয়ে কুলকুচি করেই তারপর পানি ফেলা
৪. নাকি পানি দেওয়া: ১ম বার নাকে হালকা পানি টানতে হবে, এরপর পানি দিতে হবে এবং নাক ঝাড়তে হবে তারপর নাকি পানি ছিটাতে হবে
৫. হাতের আঙ্গুল ও পায়ের গুলার মাঝে খিলাল করা।
৬. কোনো অংশ শুকনা থেকে যাওয়া
ইনসআল্লাহ আমি এভাবেই ওযু করি
সুবহানাল্লাহ শুনে খুব উপকৃত হলাম আল্লাহ তায়ালা সবাইকে হেদায়াত দান করুন
আমি খুব খুশি কারণ ,আমি মেশওয়াক ছাড়া সব ঠিক আছে।মেশওয়াক করব ইনশাল্লাহ।
আল্লাহ তাআলা আমাদের জন্য ইসলাম ধর্ম কতটা সহজ করে দিয়েছে তার পর ও মানতে পারিনা 😢কতো সহজ সালাত আমল তা-ও করতে পারি না 😢😢😢 আল্লাহ আপনি আমাদেরকে হেদায়েত দান করুন আমরা যেন ঈমানের সাথে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে পারি আমিন😭😭😭😭😭
Amin🤲
জাযাকাল্লাহু খাইরান’
আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন। আমিন
মাসললাহ আলহামদুলিল্লাহ অনেক সুন্দর কথা বলেন
এতদিন ভুল করতাম আল্লাহ মাফ করেন। আলহামদুলিল্লাহ সঠিক নিয়ম শিখলাম।
সবাই মাশআল্লাহ বলে যান নামাজি ভাইরা।
মাশ আল্লাহ
Ami me but Masaallah ❤
এতো দিন কত ভুল করে অফু করে নামাজ পরেছি আল্লাহ্ আপনি মাফ করবেন এবং আমার নামাজ কবুল করুন আর এই হুজুর জন্য অনেক কিছু শিখেছি আল্লাহ্ আপনি হুজুর হায়াত দান করুন আমিন
আমিন
আলহামদুলিল্লাহ........ আমি এ ভাবেই ওজু করি
মাসাআল্লাহ্ অনেক সুন্দর তালিম
আলহামদুলিল্লাহ 🌺
আমার স্ত্রী ৮ মাসের গর্ভবতী এই রমজান মাসের উছিলায় আল্লাহ যেন আমার স্ত্রীর গর্ভে একজন নেককার সুস্থ সবল সন্তান দান করেন আমিন ,সবাই আমার স্ত্রীর জন্য দোয়া করবেন, আমিন
ইনশাআল্লাহ
আলহামদুলিল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ সঠিক সমাধান দিয়ে ছেন
আমার দেখা একমাত্র হুজুর, যিনি সহজ সাবলীল ভাষায় বুঝিয়ে দেন,আপনার নেক হায়াত আল্লাহ তায়ালা দান করুক
আলহামদুলিল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ আগে জানতাম এখন আবার নতুন করে জানলাম, জাযাকাল্লাহু খাইরান
নিরপেক্ষ মন নিয়ে আন্তরিকভাবে বিষয়টা নিয়ে স্টাডি করলে এটা স্পষ্ট হয়ে যায় যে নাভির নিচে হাত বাঁধা একটি অন্যতম প্রতিষ্ঠিত সুন্নাত যার অনুকূলে পর্যাপ্ত দলিল-প্রমাণ রয়েছে। বুকের ওপর হাত বাঁধার যে হাদীসগুলোকে সহীহ হিসেবে দাবী করা হয় সেগুলোর সনদ ও মতনের মধ্যে ত্রুটি খুঁজে পাওয়া যায়। যদিও এই হাদিসগুলোর ভিত্তিতে আহলে ঈলম ও মুজতাহিদদের একটি অংশ বুকের নিচে বা নাভির ওপরে হাত বাঁধার পদ্ধতিকে সুন্নাত সাব্যস্ত করেছেন।
অন্যদিকে এর বিপরীতে নাভির নিচে হাত বাঁধার হাদিসগুলোর ওপর যে ত্রুটি ও দুর্বলতা আরোপ করা হয়, সেগুলোও সর্বসম্মত নয়। বরং ওয়াইল ইবনে হুজর এর সূত্রে মুসান্নাফে আবি শায়বায় বর্ণিত হাদিসটি এবং আলী (রা:) কর্তৃক মারফু হাদিসের সমতুল্য বর্ণনাটিকে হাদিস বিশারদ ও মুজতাহিদদের একটি বড় অংশ গ্রহন করে নিয়েছেন। কারণ এ সংক্রান্ত বর্ণনা অনেকগুলো যেগুলো লঘু ও স্বল্প দুর্বলতা বিশিষ্ট হওয়ায় একটি আরেকটিকে শক্তিশালী করে। এজন্যই ইমাম বুখারীর উস্তাদ ইসহাক বিন রাহুওয়াই এর মত মুহাদ্দিস সুস্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, "নাভির নিচে হাত বাঁধা রেওয়াতের দিক থেকে অধিক শক্তিশালী এবং বিনয় ও ভক্তির নিকটবর্তী। সুফিয়ান সাওরী যিনি নিজে একজন স্বতন্ত্র মুজতাহিদ ছিলেন এবং ইবনে খুজাইমার ত্রুটিপূর্ন "মতন"যুক্ত হাদিস যেটিকে বুকে হাত বাঁধার অনুকূলে উপস্থাপন করা হয় সেই হাদিসের একজন রাবী এই সুফিয়ান আস সাওরী। অথচ তিনি হাত বাঁধতেন নাভির নিচে!!!
এমনকি পরবর্তী যুগের মুহাদ্দিস ইবনে কায়্যিম, ইবনে তাইমিয়াও নাভির নিচে হাত বাঁধার হাদিস (আলী রাঃ কর্তৃক বর্ণিত)কে হাসান লি-গাইরিহী হিসেবে সমালোচনা ব্যাতিরেকেই গ্রহন করেছেন।
মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওয়াহ্হাব যিনি মূলত তাওহীদ ও আক্কীদা বিষয়ক লেখালেখির জন্য অধিক পরিচিত তিনিও তাঁঁর তাঁর রচিত 'আল আদাবুল মাশী ইলাস সালাহ' নামক কিতাবে উল্লেখ করেছেন,
"....সে তার বাম হাতের কব্জিকে ডান হাত দ্বারা আঁকড়ে ধরে নাভির নিচে স্থাপন করবে। আর এটি তার রবের সামনে তার বিনীত হওয়াকে সূচীত করবে।"
আর ইবনে কায়্যিমের যাদুল মাআদের তাহক্কীক করে তিনি মুখতাসার যাদুল মাআদ রচনা করেছেন। যেখানে হাত বাঁধা বিষয়ক আলোচনায় তিনি উল্লেখ করেছেন এই বিষয়ে সুস্পষ্ট সহীহ হাদিস নেই এবং তার পরেই শুধু আলী রাঃ কর্তৃক বর্ণিত নাভির নিচে হাত বাঁধা সংক্রান্ত বর্ণনাটি উল্লেখ করেন।
এতগুলো বিষয়কে এড়িয়ে গিয়ে *নাভির নিচে হাত বাঁধা*কে যারা প্রত্যাখ্যান ও অস্বীকার করে তাদের জন্য হিদায়াতের দুআ ছাড়া আর কিই বা করা যেতে পারে??
জীবনের বেশ অনেকগুলো বছর বুকের উপরে হাত বাঁধাকে একমাত্র সুন্নাহ্ এবং নাভির নিচে হাত বাঁধাকে ভিত্তিহীন হিসেবে অগ্রাহ্য করার পর ২০১৬ সালে আল্লাহ্ তাআলা আমার চক্ষু উন্মোচন করে দেন। আমি বেশ কিছু নির্ভরযোগ্য সোর্স থেকে জানতে পারি যে ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল, ইমাম বুখারীর উস্তাদ ইসহাক বিন রাহওয়াইহ, ইমাম ইবনে কায়্যিম, ইবনে তাইমিয়া, মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওয়াহহাব সহ অসংখ্য মুহাদ্দিস ও গবেষক নাভির নিচে হাত বাঁধার হাদীসকে সহীহ ও আমলযোগ্য হিসেবে মেনে নিয়েছেন এবং নারীদের জন্যও এখানে কোনও ভিন্নতা নেই। মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশের নারীদের ঈদের সালাতের কয়েকটা ছবিতে স্পষ্টভাবেই এটা লক্ষ্য করি।
বিশেষ করে ইমাম বুখারীর উস্তাদ ইসহাক বিন রাহওয়াইহ এর এই বক্তব্যটি যে, "নাভির নিচে হাত বাঁধা রেওয়ায়েতের বিচারে অধিক শক্তিশালী এবং বিনয়ের অধিক নিকটবর্তী"----দেখার পর বাধ ভাঙ্গা জোয়ারের ন্যায় পরাজয় ও ভূলুণ্ঠিত হওয়ার আবেগ নিয়ে আমি নাভির নিচে হাত বাঁধাকে মেনে নিই। মনে হয় যেন আল্লাহ্ তাআলা এই অনুভূতি আমার হৃদয়ে ঢেলে দিয়েছেন আর আমার কাছ থেকে মধুর প্রতিশোধ নিয়ে তাঁর অপ্রতিরোধ্য অভিপ্রায়কে বাস্তবায়ন করে ছেড়েছেন। আর আমাকেও সানন্দে মেনে নিতে বাধ্য করেছেন। আলহামদুলিল্লাহ।
সুম্মা আলহামদুলিল্লাহ।
বাম হাতের কবজির উপর ডান হাতের কবজি রেখে নাভিতে মনোযোগ কেন্দ্রীভূত হলে নিজের অজান্তেই অন্তরের সুপ্ত সমর্পনময় আবেগগুলো বাঁধ ভাঙ্গা জোয়ারের ন্যায় উদ্বেলিত হয়ে মন-মগজকে আল্লাহ্'র কাছে পরাজয় স্বীকার ও আত্মসমর্পনের অনুভূতি দ্বারা প্লাবিত করে দেয়।
আল্লাহ্ তাআলা হাম্বলী ফকীহদের উপরে রহম করুন। তাঁরা নাভির নিচে হাত বাঁধার সুন্নাহ কে শক্তিশালী ও সুপ্রতিষ্ঠিত করেছেন। পাশাপাশি নারীদেরকেও পরাক্রমশালী আল্লাহ্ তাআলার'র সামনে বিনীত, নিরংকুশভাবে পরাজিত ও আত্মসমর্পিত অবস্থার উত্তম রূপ-- নাভির নিচে হাত বাঁধার সুন্নাহ থেকে মাহরুম হওয়া থেকে হিফাযত করেছেন।
হযরত ওয়াইল ইবনে হুজর রা. থেকে বর্ণিত, ‘আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দেখেছি, তিনি নামাযে ডান হাত বাম হাতের উপর নাভীর নীচে রেখেছেন।
-মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ৩৯৫১
এই বর্ণনার সনদ সহীহ। ইমাম কাসেম ইবনে কুতলূবুগা রাহ. (৮৭৯ হি.) বলেন- وهذا إسناد جيدএটি একটি উত্তম সনদ।-আততা’রীফু ওয়াল ইখবার রিতাখরীজি আহাদীছিল ইখতিয়ার-হাশিয়া শায়খ মুহাম্মাদ আওয়ামা
উল্লেখ্য, মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবার একাধিক পান্ডুলিপিতে হাদীসটি এভাবেই অর্থাৎتحت السرة (নাভীর নিচে) কথাটাসহ আছে। এর মধ্যে ইমাম মুরতাযা আযাবীদী-এর পান্ডুলিপি ও ইমাম আবিদ আসসিন্দী রাহ.-এর পান্ডুলিপি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ইমাম কাসিম ইবনে কুতলূবুগা রাহ., আল্লামা আবদুল কাদির ইবনে আবু বকর আসসিদ্দীকি ও আল্লামা মুহাম্মাদ আকরাম সিন্ধীর পান্ডুলিপিতেও হাদীসটি এভাবে আছে। পক্ষান্তরে অন্য কিছু পান্ডুলিপিতে এই বর্ণনায় تحت السرة (নাভীর নিচে) কথাটা নেই। এ কারণে ভারতবর্ষে মুদ্রিত মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবার পুরানো সংস্করণে এই হাদীসে تحت السرة (নাভীর নিচে) অংশটি ছিল না। বর্তমানে মদীনা মুনাওয়ারার বিখ্যাত ফকীহ ও মুহাদ্দিস শায়খ মুহাম্মদ আওয়ামার তাহকীক-সম্পাদনায় মুসান্নাফের যে মুদ্রণ পাঠক-গবেষকদের কাছে পৌঁছেছে তাতে হাদীসটি تحت السرة (নাভীর নিচে) অংশসহ রয়েছে। কারণ শায়খের সামনে প্রথমোক্ত পান্ডুলিপি দুটিও ছিল।
আলহামদুলিল্লাহ ওযুর সব নিয়ম পালন করা হয় শুধু মেচওয়াক করা হয়না ইনশাআল্লাহ তাও করার চেষ্টা করব❤
ইনশা আল্লাহ এখন থেকেই সঠিক নিয়মে ওযু করবো।
সুবহানাল্লাহি ওয়াবি হামদিহী সুবহানাল্লাহিল আজিম
আলহামদুলিল্লাহ হুজুরের ওয়াজ থেকে অনেক কিছু শিখতে পারি জানতে পারি আল্লাহ তাআলা হুজুরকে হায়াতে দারাজ করুন এবং সুস্থতা দান আমিন
অনেক অনেক ধন্যবাদ,, হুজুর কে,, মাশাআল্লাহ অনেক ভালো লাগলো,, ধন্যবাদ 🥰🥰👍🏻
আলহামদুলিল্লাহ -
আমিও ছিলাম তারাতাড়ি মুসুল্লি তারাতাড়ি অযু করতাম,
উপকার হলো ভিডিও টা দেখে 🥰
আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন।❤❤❤❤❤❤
আল্লাহ আমাদের ভুল গুলো সহি শুদ্ধ ভাবে ওযু করার তৌফিক দান করুক আমীন
আমিন
মাশাআল্লাহ অসাধারণ উপস্থাপন ❤❤❤❤❤❤❤❤❤
ইনশাল্লাহ আজকে থেকে সঠিক ভাবে ওযূ করবো
Apnr waz amr ammur onk vlo lage ... 💗
সুন্দর আলোচনা ❤
আল্লাহ পাক আমাদের সবাই দ্বীনি শিক্ষার সঠিক ভাবে পালন করার তৌফিক দান করুক
আমিন
মাশাআল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ,,,, অনেক না জানা তথ্য জানতে পারলাম❤
"ইয়া আল্লাহ্ আমরা সবাইকে হেদায়াত দান করো এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার তৌফিক দান করুন আল্লাহ্ এবং রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আদেশ পালন করার তৌফিক দান করুন এবং আমরা সবাইকে মাফ করে কালেমার সাথে মিরতু দান করিও আল্লাহ্.আমিন আমীন আমীন আমীন আমীন আমীন আমীন।
❤❤ আলহামদুলিল্লাহ, খুব সুন্দর আলোচনা করে বুঝিয়ে দেওয়া হলো।
Khub sundor kotha guli buja and amol korar toufiq dan korun.amin
Amin
মাশাল্লাহ আল্লাহ আমাদের সকলকে বুজার তৌফিক দান করুন, আমীন
আমিন।
Amin
আল্লাহ আমাদের সকল মুসলিম ভাই ও বোনদের সকল গুনা খমা কেরে দেন
আমিন
আমিন
আলহামদুলিল্লাহ।। আমি সহীহ্ ভাবে করার চেষ্টা করি সব সময়।।
,,,আল্লাহ আমাদের সবাইকে পাচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করার তৌফিক দান করুন৷ আমিন 🤲
আসসালামুয়ালাইকুম,, হুজুর আমি এই ভুল গুলো সবসময় করে থাকি যাই হোক এখন থেকে এভাবে অজু করবো,,, ইনশাআল্লাহ
ইনশাআল্লাহ
masaallh❤sundor aluchona
ইসলাম শান্তির ধর্ম 🕋
যূর গুরুত্ব খুব সুন্দর করে বুঝিয়ে দিয়েছেন। আলহামদুলিল্লাহ
Masha Allah khob oi molloban boyan🥰
হুজুর আমি পাচ ওয়াক্ত নামাজ পরিসুরা ফাতিহা থেকে আলামতারা দিয়ে শেষ করি আমার নামাজ হবে
এটা ভুল আলাম তারা থেকে শুরু করবেন
সব সময় সূরা বড় থেকে ছোট আসতে হয়, তা নাহলে অনেক বড় ভুল করবেন।
হে
জি না কোন সিরিয়ালে সুরা পরতে হয়না আপনার যখন যেটা মনে পরবে সেটা দিয়েই নামাজ পরবেন নামাজ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ
নামাযে সূরা মেলানো ওয়াজিব ফরয না
গুরুত্বপূর্ণ ভিডিও। জাজাকাল্লাহ খাইরান ❤
হে আল্লাহ আপনি সবাই মাফ করে দিন
আমিন
ইনসআল্লাহ সহিসুদধ ভাবে অজু করার চেষ্টা করবো
জাযাকাল্লাহ খইরুন ❤
মাশাল্লাহ এতোদিন অনেক ভুল করেছি আজ থেকে সঠিক ভাবে ওযু করবো ইনশাআল্লাহ ❤
ইনশআল্লাহ আজকে থেকে সঠিক ভাবে ওযুু করবো
ইনশাআল্লাহ।না জেনে আমরা অনেক ভুল করি।আল্লাহ পাক, আমাদের ভুলগুলি ক্ষমা করে দিয়েন আপনি।আমিন।
নিরপেক্ষ মন নিয়ে আন্তরিকভাবে বিষয়টা নিয়ে স্টাডি করলে এটা স্পষ্ট হয়ে যায় যে নাভির নিচে হাত বাঁধা একটি অন্যতম প্রতিষ্ঠিত সুন্নাত যার অনুকূলে পর্যাপ্ত দলিল-প্রমাণ রয়েছে। বুকের ওপর হাত বাঁধার যে হাদীসগুলোকে সহীহ হিসেবে দাবী করা হয় সেগুলোর সনদ ও মতনের মধ্যে ত্রুটি খুঁজে পাওয়া যায়। যদিও এই হাদিসগুলোর ভিত্তিতে আহলে ঈলম ও মুজতাহিদদের একটি অংশ বুকের নিচে বা নাভির ওপরে হাত বাঁধার পদ্ধতিকে সুন্নাত সাব্যস্ত করেছেন।
অন্যদিকে এর বিপরীতে নাভির নিচে হাত বাঁধার হাদিসগুলোর ওপর যে ত্রুটি ও দুর্বলতা আরোপ করা হয়, সেগুলোও সর্বসম্মত নয়। বরং ওয়াইল ইবনে হুজর এর সূত্রে মুসান্নাফে আবি শায়বায় বর্ণিত হাদিসটি এবং আলী (রা:) কর্তৃক মারফু হাদিসের সমতুল্য বর্ণনাটিকে হাদিস বিশারদ ও মুজতাহিদদের একটি বড় অংশ গ্রহন করে নিয়েছেন। কারণ এ সংক্রান্ত বর্ণনা অনেকগুলো যেগুলো লঘু ও স্বল্প দুর্বলতা বিশিষ্ট হওয়ায় একটি আরেকটিকে শক্তিশালী করে। এজন্যই ইমাম বুখারীর উস্তাদ ইসহাক বিন রাহুওয়াই এর মত মুহাদ্দিস সুস্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, "নাভির নিচে হাত বাঁধা রেওয়াতের দিক থেকে অধিক শক্তিশালী এবং বিনয় ও ভক্তির নিকটবর্তী। সুফিয়ান সাওরী যিনি নিজে একজন স্বতন্ত্র মুজতাহিদ ছিলেন এবং ইবনে খুজাইমার ত্রুটিপূর্ন "মতন"যুক্ত হাদিস যেটিকে বুকে হাত বাঁধার অনুকূলে উপস্থাপন করা হয় সেই হাদিসের একজন রাবী এই সুফিয়ান আস সাওরী। অথচ তিনি হাত বাঁধতেন নাভির নিচে!!!
এমনকি পরবর্তী যুগের মুহাদ্দিস ইবনে কায়্যিম, ইবনে তাইমিয়াও নাভির নিচে হাত বাঁধার হাদিস (আলী রাঃ কর্তৃক বর্ণিত)কে হাসান লি-গাইরিহী হিসেবে সমালোচনা ব্যাতিরেকেই গ্রহন করেছেন।
মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওয়াহ্হাব যিনি মূলত তাওহীদ ও আক্কীদা বিষয়ক লেখালেখির জন্য অধিক পরিচিত তিনিও তাঁঁর তাঁর রচিত 'আল আদাবুল মাশী ইলাস সালাহ' নামক কিতাবে উল্লেখ করেছেন,
"....সে তার বাম হাতের কব্জিকে ডান হাত দ্বারা আঁকড়ে ধরে নাভির নিচে স্থাপন করবে। আর এটি তার রবের সামনে তার বিনীত হওয়াকে সূচীত করবে।"
আর ইবনে কায়্যিমের যাদুল মাআদের তাহক্কীক করে তিনি মুখতাসার যাদুল মাআদ রচনা করেছেন। যেখানে হাত বাঁধা বিষয়ক আলোচনায় তিনি উল্লেখ করেছেন এই বিষয়ে সুস্পষ্ট সহীহ হাদিস নেই এবং তার পরেই শুধু আলী রাঃ কর্তৃক বর্ণিত নাভির নিচে হাত বাঁধা সংক্রান্ত বর্ণনাটি উল্লেখ করেন।
এতগুলো বিষয়কে এড়িয়ে গিয়ে *নাভির নিচে হাত বাঁধা*কে যারা প্রত্যাখ্যান ও অস্বীকার করে তাদের জন্য হিদায়াতের দুআ ছাড়া আর কিই বা করা যেতে পারে??
জীবনের বেশ অনেকগুলো বছর বুকের উপরে হাত বাঁধাকে একমাত্র সুন্নাহ্ এবং নাভির নিচে হাত বাঁধাকে ভিত্তিহীন হিসেবে অগ্রাহ্য করার পর ২০১৬ সালে আল্লাহ্ তাআলা আমার চক্ষু উন্মোচন করে দেন। আমি বেশ কিছু নির্ভরযোগ্য সোর্স থেকে জানতে পারি যে ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল, ইমাম বুখারীর উস্তাদ ইসহাক বিন রাহওয়াইহ, ইমাম ইবনে কায়্যিম, ইবনে তাইমিয়া, মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওয়াহহাব সহ অসংখ্য মুহাদ্দিস ও গবেষক নাভির নিচে হাত বাঁধার হাদীসকে সহীহ ও আমলযোগ্য হিসেবে মেনে নিয়েছেন এবং নারীদের জন্যও এখানে কোনও ভিন্নতা নেই। মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশের নারীদের ঈদের সালাতের কয়েকটা ছবিতে স্পষ্টভাবেই এটা লক্ষ্য করি।
বিশেষ করে ইমাম বুখারীর উস্তাদ ইসহাক বিন রাহওয়াইহ এর এই বক্তব্যটি যে, "নাভির নিচে হাত বাঁধা রেওয়ায়েতের বিচারে অধিক শক্তিশালী এবং বিনয়ের অধিক নিকটবর্তী"----দেখার পর বাধ ভাঙ্গা জোয়ারের ন্যায় পরাজয় ও ভূলুণ্ঠিত হওয়ার আবেগ নিয়ে আমি নাভির নিচে হাত বাঁধাকে মেনে নিই। মনে হয় যেন আল্লাহ্ তাআলা এই অনুভূতি আমার হৃদয়ে ঢেলে দিয়েছেন আর আমার কাছ থেকে মধুর প্রতিশোধ নিয়ে তাঁর অপ্রতিরোধ্য অভিপ্রায়কে বাস্তবায়ন করে ছেড়েছেন। আর আমাকেও সানন্দে মেনে নিতে বাধ্য করেছেন। আলহামদুলিল্লাহ।
সুম্মা আলহামদুলিল্লাহ।
বাম হাতের কবজির উপর ডান হাতের কবজি রেখে নাভিতে মনোযোগ কেন্দ্রীভূত হলে নিজের অজান্তেই অন্তরের সুপ্ত সমর্পনময় আবেগগুলো বাঁধ ভাঙ্গা জোয়ারের ন্যায় উদ্বেলিত হয়ে মন-মগজকে আল্লাহ্'র কাছে পরাজয় স্বীকার ও আত্মসমর্পনের অনুভূতি দ্বারা প্লাবিত করে দেয়।
আল্লাহ্ তাআলা হাম্বলী ফকীহদের উপরে রহম করুন। তাঁরা নাভির নিচে হাত বাঁধার সুন্নাহ কে শক্তিশালী ও সুপ্রতিষ্ঠিত করেছেন। পাশাপাশি নারীদেরকেও পরাক্রমশালী আল্লাহ্ তাআলার'র সামনে বিনীত, নিরংকুশভাবে পরাজিত ও আত্মসমর্পিত অবস্থার উত্তম রূপ-- নাভির নিচে হাত বাঁধার সুন্নাহ থেকে মাহরুম হওয়া থেকে হিফাযত করেছেন।
হযরত ওয়াইল ইবনে হুজর রা. থেকে বর্ণিত, ‘আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দেখেছি, তিনি নামাযে ডান হাত বাম হাতের উপর নাভীর নীচে রেখেছেন।
-মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ৩৯৫১
এই বর্ণনার সনদ সহীহ। ইমাম কাসেম ইবনে কুতলূবুগা রাহ. (৮৭৯ হি.) বলেন- وهذا إسناد جيدএটি একটি উত্তম সনদ।-আততা’রীফু ওয়াল ইখবার রিতাখরীজি আহাদীছিল ইখতিয়ার-হাশিয়া শায়খ মুহাম্মাদ আওয়ামা
উল্লেখ্য, মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবার একাধিক পান্ডুলিপিতে হাদীসটি এভাবেই অর্থাৎتحت السرة (নাভীর নিচে) কথাটাসহ আছে। এর মধ্যে ইমাম মুরতাযা আযাবীদী-এর পান্ডুলিপি ও ইমাম আবিদ আসসিন্দী রাহ.-এর পান্ডুলিপি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ইমাম কাসিম ইবনে কুতলূবুগা রাহ., আল্লামা আবদুল কাদির ইবনে আবু বকর আসসিদ্দীকি ও আল্লামা মুহাম্মাদ আকরাম সিন্ধীর পান্ডুলিপিতেও হাদীসটি এভাবে আছে। পক্ষান্তরে অন্য কিছু পান্ডুলিপিতে এই বর্ণনায় تحت السرة (নাভীর নিচে) কথাটা নেই। এ কারণে ভারতবর্ষে মুদ্রিত মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবার পুরানো সংস্করণে এই হাদীসে تحت السرة (নাভীর নিচে) অংশটি ছিল না। বর্তমানে মদীনা মুনাওয়ারার বিখ্যাত ফকীহ ও মুহাদ্দিস শায়খ মুহাম্মদ আওয়ামার তাহকীক-সম্পাদনায় মুসান্নাফের যে মুদ্রণ পাঠক-গবেষকদের কাছে পৌঁছেছে তাতে হাদীসটি تحت السرة (নাভীর নিচে) অংশসহ রয়েছে। কারণ শায়খের সামনে প্রথমোক্ত পান্ডুলিপি দুটিও ছিল।
আল্লাহ সবাই কে হেদায়েত দান করুন
Amin
Ameen
মাশাআল্লাহ হুজুর আপনার বয়ান শুনি ভালো লাগে
ছোটবেলা বৃহস্পতিবার আমার অনেক বন্ধুরা মসজিদে পড়তে যেতো না। আলহামদুলিল্লাহ আমি যেতাম। ওই দিন হুজুর দোয়া সহ সূরাগুলো সহি করতেন। আজ বুঝতে পারছি তখন মসজিদ মিস না করায় আজ কতটুকু সফল হয়েছি❤❤❤