১৯৮৫ সাল পর্যন্ত বেঁচে ছিলেন আজাদের মা। ঠিক ৩০ আগস্টেই মারা যান তিনি। পুরো ১৪বছর ভাত মুখে তুলেন নি। কেবল একবেলা রুটি খেয়ে থেকেছেন। কারণ তার একমাত্র ছেলে আজাদ ভাত চেয়েও খেতে পারেনি সেদিন। অপেক্ষা করেছেন ১৪ টা বছর ছেলেকে ভাত খাওয়াবেন বলে। ১৪বছর তিনি কোন বিছানায় শোন নি। শানের মেঝেতে শুয়েছেন শীত গ্রীষ্ম কোন কিছুতেই তিনি পাল্টান নি তার এই পাষাণ শয্যা। কারণ তার ছেলে রমনা থানার ড্রাম ফ্যাক্টরি সংলগ্ন এম.পি হোস্টেলের মিলিটারি টর্চার সেলে বিছানা পায় নি। ধন্যবাদ অবসকিওর বাংলাদেশ আমাদের স্বাধীনতার , মুক্তিযোদ্ধ ইতিহাস কে এভাবে নতুন করে নাড়িয়ে দেয়ার জন্য
“মা দুইদিন ধরে ভাত খাই না। আমার জন্য ভাত নিয়ে এসো ।” মা ভাত নিয়ে পরেরদিন যান থানায়। গিয়ে দেখেন ছেলে নেই। এই ছেলে আর কোনদিনও ফিরে আসে নি। ১৯৭১ সালের আজকের দিনে অর্থাৎ ২৯ আগষ্ট ধরা পড়ে ক্র্যাক প্লাটুনের একদল তেজী মুক্তিযোদ্ধা। আজাদ তাদের একজন, তাকে ধরে নিয়ে গিয়ে রাখা হয় রমনা থানায়। আজাদের মা ছেলের সঙ্গে দেখা করতে যান। মা জিজ্ঞেস করেন "তুমি কি তোমার বন্ধুদের খবর ওদেরকে বলে দিয়েছ?" আজাদ বলে "ওরা অনেক মারে মা,আর জানতে চায় সবার কথা।আমি কিছু বলিনাই"। ছেলেকে বলেন, “শক্ত হয়ে থেকো বাবা। কোন কিছু স্বীকার করবে না।” আজাদ তখন মার কাছে ভাত খেতে চায়। মা ভাত নিয়ে এসে ছেলেকে আর পায়নি। রমনা থানা,তেঁজগাও থানা দুদিন ধরে হাতে ভাত নিয়ে তিনি ছেলের খোঁজে ঘুরতে থাকেন কিন্তু ছেলেকে আর পাননা।একসময় দেশ স্বাধীন হয়।সবাই বলে আজাদ শহীদ হয়েছে।কিন্তু মায়ের মন মানতে পারেনা।তিনি বিশ্বাস করেন,আজাদ আসবে ফিরে,বুকের ধন বুকে ফিরে আসবেই। আর কোনদিনও মায়ের বুকে ফিরে আসেনি মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আজাদ। ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত বেঁচে ছিলেন আজাদের মা। ৩০ আগস্টেই মারা যান তিনি। পুরো ১৪বছর ১দিন ভাত মুখে তুলেন নি। কেবল একবেলা রুটি খেয়ে থেকেছেন। কারণ তার একমাত্র ছেলে আজাদ ভাত চেয়েও খেতে পারেনি সেদিন। অপেক্ষা করেছেন ১৪ টা বছর ছেলেকে ভাত খাওয়াবেন বলে। ১৪বছর তিনি কোন বিছানায় শোন নি। শানের মেঝেতে শুয়েছেন শীত গ্রীষ্ম কোন কিছুতেই তিনি পাল্টান নি তার এই পাষাণ শয্যা। কারণ তার ছেলে রমনা থানার ড্রাম ফ্যাক্টরি সংলগ্ন এম.পি হোস্টেলের মিলিটারি টর্চার সেলে বিছানা পায় নি। তখনকার বড়লোকের ঘরের ছেলে আজাদের কি দরকার ছিল দেশের টানে অস্ত্র-গ্রেনেড হাতে নেওয়ার? আই.এস.সি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবার পর ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে রুমী ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি হন। তিনি আমেরিকার ইলিনয় ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে সুযোগ পেলেও মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়ার জন্য আমেরিকার বিলাসিতার জীবন ত্যাগ করেছিলেন শহিদ রুমী । এরপর দেশকে শত্রুমুক্ত করতে গ্রেনেড হাতে পাকিবাহিনীর ত্রাস হিসেবে আবির্ভূত হন। সাহসিকতার সাথে গেরিলা আক্রমণ চালান শত্রুবাহিনীর নিশানায়। একইভাবে কাজী, বদি, জুয়েল, আলতাফ মাহমুদ ও চুল্লুসহ অনেক গেরিলা পিছুটান ভুলে দেশ রক্ষায় ঝাঁপিয়ে পড়ে মারণাস্ত্র নিয়ে। আজ আমরা শহিদ আজাদ, রুমী, কাজী, বদি, আলতাফ মাহমুদ, চুল্লুদের ভুলতে বসেছি। আগামী প্রজন্মের কাছে ক্রাকপ্লাটুনের বীরত্ব, সাহসিকতা, আত্মত্যাগ, অবদান তুলে ধরার দায়িত্ব আমাদের। আর এ দায়িত্ব থেকে সরে আসা মানে মা, মাটি, দেশ, মুক্তিযুদ্ধের অর্জনকে অস্বীকার করা। এই দিনে শহিদ হওয়া ক্রাকপ্লাটুনের সব বীরযোদ্ধাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। জয় বাংলা
আন্দোলন করে এসে এই গান শুনার যেই অতৃপ্তনীয় শান্তি!
আজকে নতুন সূর্য উদয় দেখব ইন শা আল্লাহ। আজকে আমরা জিতব
গানটি যতবার শুনছি কল্পনাতে চলে যাচ্ছি। কান্না সামলানো যাচ্ছেনা।
গানটি চির অমর হয়ে থাকবে যতদিন এই বাংলাদেশ টিকে থাকবে।
এই গান টা কে ২৬ মার্চ আর ১৬ ডিসেম্বর এর জাতীয় সংগীত ঘোষণা করা উচিত
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের এক অনন্য নজির আজাদ ও তার মা!
এই গানটা তে অবস্কিউর সবটুকু উজার করে দিয়েছে, আজীবন বেচে থাকবে এই গান।
আজাদ আবার ফিরে আসবে
১৯৮৫ সাল পর্যন্ত বেঁচে ছিলেন আজাদের মা। ঠিক ৩০ আগস্টেই মারা যান তিনি। পুরো ১৪বছর ভাত মুখে তুলেন নি। কেবল একবেলা রুটি খেয়ে থেকেছেন। কারণ তার একমাত্র ছেলে আজাদ ভাত চেয়েও খেতে পারেনি সেদিন। অপেক্ষা করেছেন ১৪ টা বছর ছেলেকে ভাত খাওয়াবেন বলে। ১৪বছর তিনি কোন বিছানায় শোন নি। শানের মেঝেতে শুয়েছেন শীত গ্রীষ্ম কোন কিছুতেই তিনি পাল্টান নি তার এই পাষাণ শয্যা। কারণ তার ছেলে রমনা থানার ড্রাম ফ্যাক্টরি সংলগ্ন এম.পি হোস্টেলের মিলিটারি টর্চার সেলে বিছানা পায় নি। ধন্যবাদ অবসকিওর বাংলাদেশ আমাদের স্বাধীনতার , মুক্তিযোদ্ধ ইতিহাস কে এভাবে নতুন করে নাড়িয়ে দেয়ার জন্য
দারুন গান!! ধন্যবাদ অবসকিউর
অনেক কৃতজ্ঞ আপনার নিকট এমন গান পেয়ে ।
“মা দুইদিন ধরে ভাত খাই না। আমার জন্য ভাত নিয়ে এসো ।” মা ভাত নিয়ে পরেরদিন যান থানায়। গিয়ে দেখেন ছেলে নেই। এই ছেলে আর কোনদিনও ফিরে আসে নি।
১৯৭১ সালের আজকের দিনে অর্থাৎ ২৯ আগষ্ট ধরা পড়ে ক্র্যাক প্লাটুনের একদল তেজী মুক্তিযোদ্ধা। আজাদ তাদের একজন, তাকে ধরে নিয়ে গিয়ে রাখা হয় রমনা থানায়। আজাদের মা ছেলের সঙ্গে দেখা করতে যান।
মা জিজ্ঞেস করেন "তুমি কি তোমার বন্ধুদের খবর ওদেরকে বলে দিয়েছ?"
আজাদ বলে "ওরা অনেক মারে মা,আর জানতে চায় সবার কথা।আমি কিছু বলিনাই"।
ছেলেকে বলেন, “শক্ত হয়ে থেকো বাবা। কোন কিছু স্বীকার করবে না।”
আজাদ তখন মার কাছে ভাত খেতে চায়। মা ভাত নিয়ে এসে ছেলেকে আর পায়নি। রমনা থানা,তেঁজগাও থানা দুদিন ধরে হাতে ভাত নিয়ে তিনি ছেলের খোঁজে ঘুরতে থাকেন কিন্তু ছেলেকে আর পাননা।একসময় দেশ স্বাধীন হয়।সবাই বলে আজাদ শহীদ হয়েছে।কিন্তু মায়ের মন মানতে পারেনা।তিনি বিশ্বাস করেন,আজাদ আসবে ফিরে,বুকের ধন বুকে ফিরে আসবেই।
আর কোনদিনও মায়ের বুকে ফিরে আসেনি মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আজাদ।
১৯৮৫ সাল পর্যন্ত বেঁচে ছিলেন আজাদের মা। ৩০ আগস্টেই মারা যান তিনি। পুরো ১৪বছর ১দিন ভাত মুখে তুলেন নি। কেবল একবেলা রুটি খেয়ে থেকেছেন। কারণ তার একমাত্র ছেলে আজাদ ভাত চেয়েও খেতে পারেনি সেদিন। অপেক্ষা করেছেন ১৪ টা বছর ছেলেকে ভাত খাওয়াবেন বলে। ১৪বছর তিনি কোন বিছানায় শোন নি। শানের মেঝেতে শুয়েছেন শীত গ্রীষ্ম কোন কিছুতেই তিনি পাল্টান নি তার এই পাষাণ শয্যা। কারণ তার ছেলে রমনা থানার ড্রাম ফ্যাক্টরি সংলগ্ন এম.পি হোস্টেলের মিলিটারি টর্চার সেলে বিছানা পায় নি।
তখনকার বড়লোকের ঘরের ছেলে আজাদের কি দরকার ছিল দেশের টানে অস্ত্র-গ্রেনেড হাতে নেওয়ার?
আই.এস.সি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবার পর ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে রুমী ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি হন। তিনি আমেরিকার ইলিনয় ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে সুযোগ পেলেও মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়ার জন্য আমেরিকার বিলাসিতার জীবন ত্যাগ করেছিলেন শহিদ রুমী । এরপর দেশকে শত্রুমুক্ত করতে গ্রেনেড হাতে পাকিবাহিনীর ত্রাস হিসেবে আবির্ভূত হন। সাহসিকতার সাথে গেরিলা আক্রমণ চালান শত্রুবাহিনীর নিশানায়।
একইভাবে কাজী, বদি, জুয়েল, আলতাফ মাহমুদ ও চুল্লুসহ অনেক গেরিলা পিছুটান ভুলে দেশ রক্ষায় ঝাঁপিয়ে পড়ে মারণাস্ত্র নিয়ে।
আজ আমরা শহিদ আজাদ, রুমী, কাজী, বদি, আলতাফ মাহমুদ, চুল্লুদের ভুলতে বসেছি। আগামী প্রজন্মের কাছে ক্রাকপ্লাটুনের বীরত্ব, সাহসিকতা, আত্মত্যাগ, অবদান তুলে ধরার দায়িত্ব আমাদের। আর এ দায়িত্ব থেকে সরে আসা মানে মা, মাটি, দেশ, মুক্তিযুদ্ধের অর্জনকে অস্বীকার করা।
এই দিনে শহিদ হওয়া ক্রাকপ্লাটুনের সব বীরযোদ্ধাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
জয় বাংলা
Respect
Hasib mamun Bangladesh band
dedicated this song to ABRAR Buet
RiP
Boos perform
Who the fuck pressed dislike 😡😡😡😡
যারা আনিসুল হকের মা উপন্যাসটি পড়েনি তারা এই গানের মর্ম বুঝতে পারবে না।
Thank you Obscure. It brought tears to my eyes....
বদি কে ধরিয়ে দিয়েছিলো????