আমি একজন আবৃত্তি চর্চার ছাত্র।বর্তমানে প্রক্তন আটষট্টি বৎসর।সৃজন সেনের মাতৃ ভুমির প্রতি কবিতাটি একসময় স্মৃতিতে ধরাছিল বর্তমানে আমার স্মৃতি প্রবল বিশ্বাসঘাতকতা করে সৃজন সেনের এই কবিতাটি যদি ছাপা অক্ষরে পেতাম স্যর তাহলে চির কৃতজ্ঞ থাকবো উনি আমার অজস্র প্রিয় কবির মধ্যে অন্যতম।আমি ভারতের মানুষ।
আমার বন্ধু নিরঞ্জন -ভাস্কর চৌধুরী অনেক কথা বলবার আছে আমার তবে সবার আগে নিরঞ্জনের কথা বলতে হবে আমাকে নিরঞ্জন আমার বন্ধুর নাম, আর কোন নাম ছিল কি তার ? আমি জানতাম না। ওর একজন বান্ধবী ছিল অবশ্য কিছু দিনের জন্য সে তাকে প্রীতম বলে ডাকত। ওর বান্ধবীর নাম ছিল জয়লতা নিরঞ্জন জয়লতা সম্পর্কে আমাকে কিছু বলেনি তেমন। জয়লতাকে কখনো কোন চিঠি লিখেছিল কিনা সে কথাও আমাকে সে বলেনি। তবে জয়লতার চিঠি আমি দেখেছি একটা চিঠি ছিল এরকম- প্রীতম, সময় গড়িয়ে যাচ্ছে। তুমি বলেছ, এখন দুঃসময়- কিন্তু আমি জানি, সবসময়ই সুসময়, যদি কেউ ব্যবহার করতে জানে তাকে আমি বুঝি বেশী দিন নেই যদি পার এক্ষুনি তুলে নাও নইলে অন্য পুরুষ ছিবড়ে খাবে আমাকে- আমার ঘরে, বসে সিগারেট টানতে টানতে নিরঞ্জন চিঠিটা চুপ করে এগিয়ে দিয়ে বলেছিল, বিভূ, চিঠিটা পড়ুন। আমি প্রথমে পড়তে চাইনি। পরে ওইটুকু পড়ে তার দিকে তাকিয়েছিলাম- না-ওই সিগারেটের ধূয়োয় আমি কোন নারী প্রেম-তাড়িত মানুষের ছায়া দেখিনি- ভয়ানক নির্বিকার। কিছু বলছেন না যে ? আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম কি বলবো ? এই ব্যাপারে। কোন ব্যাপারে ? এই যে জয়লতা। বাদ দিন। আমি বাদ দিয়েছিলাম। নিরঞ্জন আমার ঘরে বসে অনেকক্ষণ সিগারেট টেনে টেনে ঘরটাকে অন্ধকার করে চলে গিয়েছিল সেদিন। জয়লতার সঙ্গে অন্য পুরুষের বিয়ে হয়েছিল আমি জয়লতা এবং অন্য পুরুষটিকে দেখেছি বহুবার, বিশ্ববিদ্যালয়েই। জয়লতা আরো দেমাগী আরো সুন্দরী হয়ে উঠেছিল। অন্য পুরুষ ছিবড়ে খেলে মেয়েরা বুঝি আরো সুন্দরী হতে থাকে ? এ কথার সূত্রে সেদিন নিরঞ্জন আমাকে বলেছিল, মানুষকে এত ক্ষুদ্রার্থে নেবেন না, মানুষ এত বড় যে, আপনি যদি ‘মানুষ’ শব্দটি একবার উচ্চারণ করেন যদি অন্তর থেকে করেন উচ্চারণ যদি বোঝেন এবং উচ্চারণ করেন ‘মানুষ’ তো আপনি কাঁদবেন। আমি মানুষের পক্ষে, মানুষের সঙ্গে এবং মানুষের জন্যে। হ্যাঁ, মানুষের মুক্তির জন্য নিরঞ্জন মিছিল করতো। আমি শুনেছি নিরঞ্জন বলছে... তুমি দুস্কৃতি মারো, গেরিলা-তামিল মারো এভাবে যেখানে যাকেই মারো না কেন ইতিহাস লিখবে যে এত মানুষ মরেছে বড়ই করুণ এবং বড়ই দুঃখজনক শক্তির স্বপ্নে তুমি যারই মৃত্যু উল্লেখ করে উল্লাস করনা কেন মনে রেখো মানুষই মরেছে এই ভয়ঙ্কর সত্য কথা নিরঞ্জন বলেছিল মিছিলে হাত উঠিয়ে বলেছিল, এভাবে মানুষ মারা চলবে না। মানুষকে বাঁচতে দাও। নিরঞ্জন আমার বন্ধু। নিরঞ্জন বাঁচেনি। তার উদ্যত হাতে লেগেছিল মানুষের হাতে বানানো বন্দুকের গুলি। বুকেও লেগেছিল- যেখান থেকে ‘মানুষ’ শব্দটি বড় পবিত্রতায় বেরিয়ে আসতো। সে লাশ- আমার বন্ধু নিরঞ্জনের লাশ, আমি দেখেছি রক্তাক্ত ছিন্ন ভিন্ন লাশ, মানুষ কাঁধে করে তাকে বয়ে এনেছিল মানুষের কাছে। জয়লতা সে লাশ দেখেছিল কিনা সে প্রশ্ন উঠছে না। দেখলেও যদি কেঁদে থাকে সে প্রকাশ্যে অথবা গোপনে তাতে নিরঞ্জনের কোন লাভ হয়নি। মানুষ কেঁদেছিল আমি জানি তাতে নিরঞ্জনের লাভ ছিল। নিরঞ্জন প্রমাণ করতে পেরেছিল গতকাল মিছিলে আইন অমান্যের অভিযোগে যে দুস্কৃতি মারা গিয়েছে তার নাম নিরঞ্জন- সে আসলে ‘মানুষ।’
এই কবিতা আরও একবার রেকর্ড করেছিলেন বোধ হয় বেতার জগৎ এর জন্য, মার্স এর ব্যানারে। আমি লাইভ শুনেছিলাম আপনার এ কন্ঠে। আবৃত্তিমেলা'র আয়োজনে একটা কোথাও বিভ্রাট আছে, তাই আমরা যারা নিয়মিত আপনার আবৃত্তি শুনেছি, আবৃত্তিমেলার ব্যনারে আপনার কাজগুলো ভীষণ করে ঝাকুনি দেয়।
অনেক কথা বলবার আছে আমার তবে সবার আগে নিরঞ্জনের কথা বলতে হবে আমাকে ৷ নিরঞ্জন আমার বন্ধুর নাম আর কোন নাম ছিল কি তার ? আমি জানতাম না ৷ ওর একজন বান্ধবী ছিল অবশ্য কিছুদিনের জন্য সে তাকে প্রীতম বলে ডাকত ৷ ওর বান্ধবীর নাম ছিলো জয়লতা ৷ নিরঞ্জন জয়লতা সম্পর্কে আমাকে কিছু বলেনি তেমোন ৷ জয়লতাকে কখনো কোন চিঠি লিখেছিলো কিনা সে কথাও আমাকে সে বলেনি ৷ তবে জয়লতার চিঠি আমি দেখেছি একটা চিঠি ছিল এরকম - প্রীতম, সময় গড়িয়ে যাচ্ছে ৷ তুমি বলেছ , এখন দু:সময় - কিন্তু আমি জানি , সব সময়ই সুসময় , যদি কেউ ব্যবহার করতে জানে তাকে ৷ আমি বুঝি বেশি দিন নেই ৷ যদি পার এক্ষুনি তুলে নাও নইলে অন্য পূরুষ ছিবড়ে খাবে আমাকে - আমার ঘরে বসে সিগারেট টানতে টানতে নিরঞ্জন চিঠিটা চুপ করে এগিয়ে দিয়ে বলেছিল "বিভূ, চিঠিটা পড়ুন ৷" আমি প্রথমে পড়তে চাইনি ৷ পরে ঐটুকু পড়ে তার দিকে তাকিয়েছিলাম -- না - ঐ সিগারেটের ধুয়োয় আমি কোন নারী প্রেম-তাড়িত মানুষের ছায়া দেখিনি - ভয়ানক নির্বিকার ৷ কিছু বলছেন না যে ?- আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম কি বলব ? এই ব্যাপারে ৷ কোন ব্যাপারে ? এই যে জয়লতা ৷ বাদ দিন ৷ আমি বাদ দিয়েছিলাম ৷ নিরঞ্জন আমার ঘরে বসে অনেকক্ষণ সিগারেট টেনে টেনে ঘরটাকে অন্ধকার করে চলে গিয়েছিল সেদিন ৷ জয়লতার সংগে অন্য পূরুষের বিয়ে হয়েছিল ৷ আমি জয়লতা এবং অন্য পূরুষটিকে দেখেছি বহুবার বিশ্ববিদ্যালয়েই ৷ জয়লতা আরো দেমাগী আরো সুন্দরী হয়ে উঠেছিল৷ অন্য পূরুষ ছিবড়ে খেলে মেয়েরা বুঝি আরো সুন্দরী হতে থাকে ? এ কথার সূত্রে নিরঞ্জন আমাকে বলেছিল , " মানুষকে এত ক্ষুদ্রার্থে নেবেন না ৷ মানুষ এত বড় যে , আপনি যদি 'মানুষ ' শব্দটি একবার উচ্চারণ করেন যদি অন্তর থেকে করেন উচ্চারণ যদি বোঝেন এবং উচ্চারণ করেন ' মানুষ' - তো আপনি কাঁদবেন ৷ আমি মানুষের পক্ষে , মানুষের সন্গে এবং মানুষের জন্যে ৷ হ্যাঁ , মানুষের মুক্তির জন্য নিরঞ্জন মিছিল করতো আমি শুনেছি নিরঞ্জন বলছে তুমি দুষ্কৃতি মারো , বান্গালী মারো , হিন্দু-মুসলমান মারো , গেরিলা - তামিল মারো , এভাবে যেখানে যাকেই মারো না কেন ইতিহাস লিখবে যে এত মানুষ মরেছে ৷ বড়ই করুণ এবং বড়ই দু:খজনক শক্তির স্বপক্ষে তুমি যারই মৃত্যু উল্লেখ করে উল্লাস কর না কেন মনে রেখো মানুষই মরেছে ৷ এই ভয়ংকর সত্য কথা নিরঞ্জন বলেছিল মিছিলে হাত উঠিয়ে বলেছিল , এভাবে মানুষ মারা চলবে না ৷ মানুষকে বাঁচতে দাও ৷ তার উদ্যত হাতে লেগেছিল মানুষের হাতে বানানো বন্দুকের গুলি ৷ বুকেও লেগেছিল- যেখান থেকে " মানুষ ' শব্দটি বড় পবিত্রতায় বেরিয়ে আসতো ৷ সে লাশ -- আমার বন্ধু নিরঞ্জনের লাশ - আমি দেখেছি - রক্তাক্ত ছিন্ন ভিন্ন লাশ , মানুষ কাঁধে করে তাকে বয়ে এনেছিল মানুষের কাছে ৷ জয়লতা সে লাশ দেখেছিল কিনা সে প্রশ্ন উঠছে না ৷ দেখলেও যদি কেঁদে থাকে সে প্রকাশ্যে অথবা গোপনে , তাতে নিরঞ্জনের কোন লাভ হয়নি ৷ মানুষ কেঁদেছিল আমি জানি , তাতে নিরঞ্জনের লাভ ছিল ৷ নিরঞ্জন প্রমাণ করতে পেরেছিল গতকাল মিছিলে আইন অমান্যের অভিযোগে যে দুষ্কৃতি মারা গিয়েছে তার নাম নিরঞ্জন -- সে আসলে " মানুষ" ৷
মানুষকে এত ক্ষুদ্রার্থে নেবেন না ৷ মানুষ এত বড় যে , আপনি যদি 'মানুষ ' শব্দটি একবার উচ্চারণ করেন যদি অন্তর থেকে করেন উচ্চারণ যদি বোঝেন এবং উচ্চারণ করেন ' মানুষ' - তো আপনি কাঁদবেন ৷
অনিন্দ্য সুন্দর প্রিয় সম্মানিত স্যার,, ওয়াজিয়ার কাব্য বাড়ির মাধ্যমে শুনছি❤❤
কবিতার রেশটুকু যেনো ফুরিয়ে না যায়।
এ আবেশ ছড়িয়ে পড়ুক বাতাসে বাতাসে
ইথারে ইথারে।
ভীষণ আপ্লূত হলাম।
মাহিদুল ভাই সত্যিই আপনি অসাধারণ আবৃত্তিকার।
একেবারেই চুপ ছিলাম,শেষ হবার পর ভাবলাম, কেন শেষ হলো।
অসাধারণ আবৃত্তি আপনার।
আপনার মতো গুরু পেয়ে আমি ধন্য।
আপনার কণ্ঠে জাদু আছে। হৃদয় ছুঁয়ে গেল।
আমি একজন আবৃত্তি চর্চার ছাত্র।বর্তমানে প্রক্তন আটষট্টি বৎসর।সৃজন সেনের মাতৃ ভুমির প্রতি কবিতাটি একসময় স্মৃতিতে ধরাছিল বর্তমানে আমার স্মৃতি প্রবল বিশ্বাসঘাতকতা করে সৃজন সেনের এই কবিতাটি যদি ছাপা অক্ষরে পেতাম স্যর তাহলে চির কৃতজ্ঞ থাকবো উনি আমার অজস্র প্রিয় কবির মধ্যে অন্যতম।আমি ভারতের মানুষ।
Assalamalaikom Sir. Kob sundor hoyacha abbrithi. Mashallah.
অসাধারণ কবিতাটির জন্য কবি এবং আবৃত্তিশিল্পিকে ধন্যবাদ।
অনেক ভালবাসা মহিদুল স্যারের জন্য ৷ আমি উনার কবিতা আবৃত্তি শুনি আর শুনি ৷ খুব ভাল লাগে ৷
ঢাকার শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় যেভাবে আবৃত্তিটা করেছিলেন, ওটা এতোটাই অসাধারণ ছিলো যে ইউটিউব এর এই আবৃত্তিটা ম্লান মনে হলো মাহি ভাই
Sir apner abbrity osadharon .apner kontho onek sundor.apner abbrity onek valo lage .mahidul Islam apnake thanks .eto sundor abbritir jonno .
অসাধারন আবৃত্তি , আমি ভীষণ পছন্দ করি আপনাকে ..
ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক এর ভলিউম কমানো উচিত।
অসাধারণ হৃদয় ছোঁয়া আবৃত্তি!
আমার অনেক প্রিয় একটা কবিতা স্যারের কন্ঠে কবিতাটি ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে।
অসাধারণ আবৃত্তি গুনি।
লেখা সেটা আসল অসাধারণ।
অসাধারণ! অনবদ্য ❤️
চমৎকার আবৃত্তি, ভাইয়া
সর্বকালের সেরা আবৃত্তি
excellent poem reciting, i like the most Mahidul islam sir
আমি সময় পেলেই কবিতাটি শুনি
অসাধারণ 🌷❤️
Vai apnar konthe abrtti amar khub valo lage
শুনলাম আরো অনেকবার শুনবো!
অসাধারন। ভালোবাসি কবিতা, ভালোবাসি আপনার সৃষ্টি...
স্যার চমৎকার কবিতা।
আসেন পা ছুঁয়ে সালাম করি।ধন্যবাদ মাহিদুল ইসলাম!আমিও একদিন মুহিদুল ইসলাম হবো।
সেরা💛
দাদা এই কথাগুলো অনেক মূল্য কিন্তু আফসোস এখন আর এই কথাগুলো কেউ শোনে না আর শুনতেও চাইনা বাংলাদেশের সকল জনগণকে এই কথাগুলো শোনার অনুরোধ করা করলাম আমি
আহ্!
কেঁদে ওঠলো ভেতরের মানুষটা।😓
আবহ সঙ্গীতের বাজনার শব্দের আওয়াজ কম হলে শুনতে আরও ভালো হত
অসাধারণ আবৃত্তি মুগ্ধতা ছেয়ে রইল কিন্তু মিউজিক সাউণ্ড বাজানোর শব্দ যদি আর-ও মৃদু হত আবৃত্তির কন্ঠ আরও সুন্দর শুনাতো আরও ভালো লাগত।
আমার বন্ধু নিরঞ্জন -ভাস্কর চৌধুরী
অনেক কথা বলবার আছে আমার
তবে সবার আগে নিরঞ্জনের কথা বলতে হবে আমাকে
নিরঞ্জন আমার বন্ধুর নাম, আর কোন নাম ছিল কি তার ?
আমি জানতাম না।
ওর একজন বান্ধবী ছিল অবশ্য কিছু দিনের জন্য
সে তাকে প্রীতম বলে ডাকত।
ওর বান্ধবীর নাম ছিল জয়লতা
নিরঞ্জন জয়লতা সম্পর্কে আমাকে কিছু বলেনি তেমন।
জয়লতাকে কখনো কোন চিঠি লিখেছিল কিনা
সে কথাও আমাকে সে বলেনি।
তবে জয়লতার চিঠি আমি দেখেছি
একটা চিঠি ছিল এরকম-
প্রীতম,
সময় গড়িয়ে যাচ্ছে। তুমি বলেছ, এখন দুঃসময়-
কিন্তু আমি জানি, সবসময়ই সুসময়, যদি কেউ ব্যবহার করতে জানে তাকে
আমি বুঝি বেশী দিন নেই যদি পার এক্ষুনি তুলে নাও
নইলে অন্য পুরুষ ছিবড়ে খাবে আমাকে-
আমার ঘরে, বসে সিগারেট টানতে টানতে
নিরঞ্জন চিঠিটা চুপ করে এগিয়ে দিয়ে বলেছিল, বিভূ, চিঠিটা পড়ুন।
আমি প্রথমে পড়তে চাইনি।
পরে ওইটুকু পড়ে তার দিকে তাকিয়েছিলাম-
না-ওই সিগারেটের ধূয়োয়
আমি কোন নারী প্রেম-তাড়িত মানুষের ছায়া দেখিনি- ভয়ানক নির্বিকার।
কিছু বলছেন না যে ? আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম
কি বলবো ? এই ব্যাপারে।
কোন ব্যাপারে ?
এই যে জয়লতা।
বাদ দিন।
আমি বাদ দিয়েছিলাম।
নিরঞ্জন আমার ঘরে বসে অনেকক্ষণ সিগারেট
টেনে টেনে ঘরটাকে অন্ধকার করে চলে গিয়েছিল সেদিন।
জয়লতার সঙ্গে অন্য পুরুষের বিয়ে হয়েছিল
আমি জয়লতা এবং অন্য পুরুষটিকে দেখেছি বহুবার, বিশ্ববিদ্যালয়েই। জয়লতা আরো দেমাগী
আরো সুন্দরী হয়ে উঠেছিল।
অন্য পুরুষ ছিবড়ে খেলে মেয়েরা বুঝি
আরো সুন্দরী হতে থাকে ?
এ কথার সূত্রে সেদিন নিরঞ্জন আমাকে বলেছিল,
মানুষকে এত ক্ষুদ্রার্থে নেবেন না,
মানুষ এত বড় যে,
আপনি যদি ‘মানুষ’ শব্দটি
একবার উচ্চারণ করেন
যদি অন্তর থেকে করেন উচ্চারণ
যদি বোঝেন এবং উচ্চারণ করেন ‘মানুষ’
তো আপনি কাঁদবেন।
আমি মানুষের পক্ষে,
মানুষের সঙ্গে এবং মানুষের জন্যে।
হ্যাঁ, মানুষের মুক্তির জন্য
নিরঞ্জন মিছিল করতো।
আমি শুনেছি নিরঞ্জন বলছে...
তুমি দুস্কৃতি মারো, গেরিলা-তামিল মারো
এভাবে যেখানে যাকেই মারো না কেন
ইতিহাস লিখবে যে এত মানুষ মরেছে
বড়ই করুণ এবং বড়ই দুঃখজনক
শক্তির স্বপ্নে তুমি যারই মৃত্যু উল্লেখ করে
উল্লাস করনা কেন
মনে রেখো মানুষই মরেছে
এই ভয়ঙ্কর সত্য কথা নিরঞ্জন বলেছিল
মিছিলে হাত উঠিয়ে বলেছিল,
এভাবে মানুষ মারা চলবে না।
মানুষকে বাঁচতে দাও।
নিরঞ্জন আমার বন্ধু।
নিরঞ্জন বাঁচেনি।
তার উদ্যত হাতে লেগেছিল
মানুষের হাতে বানানো বন্দুকের গুলি।
বুকেও লেগেছিল- যেখান থেকে ‘মানুষ’ শব্দটি
বড় পবিত্রতায় বেরিয়ে আসতো।
সে লাশ-
আমার বন্ধু নিরঞ্জনের লাশ,
আমি দেখেছি
রক্তাক্ত ছিন্ন ভিন্ন লাশ,
মানুষ কাঁধে করে
তাকে বয়ে এনেছিল মানুষের কাছে।
জয়লতা সে লাশ দেখেছিল কিনা
সে প্রশ্ন উঠছে না।
দেখলেও যদি কেঁদে থাকে
সে প্রকাশ্যে অথবা গোপনে
তাতে নিরঞ্জনের কোন লাভ হয়নি।
মানুষ কেঁদেছিল
আমি জানি তাতে নিরঞ্জনের লাভ ছিল।
নিরঞ্জন প্রমাণ করতে পেরেছিল
গতকাল মিছিলে
আইন অমান্যের অভিযোগে
যে দুস্কৃতি মারা গিয়েছে
তার নাম নিরঞ্জন-
সে আসলে ‘মানুষ।’
সুন্দর
Excellent
❤
এই কবিতা আরও একবার রেকর্ড করেছিলেন বোধ হয় বেতার জগৎ এর জন্য, মার্স এর ব্যানারে। আমি লাইভ শুনেছিলাম আপনার এ কন্ঠে। আবৃত্তিমেলা'র আয়োজনে একটা কোথাও বিভ্রাট আছে, তাই আমরা যারা নিয়মিত আপনার আবৃত্তি শুনেছি, আবৃত্তিমেলার ব্যনারে আপনার কাজগুলো ভীষণ করে ঝাকুনি দেয়।
Onnk shundar but background sound ta ektu beshi hoye gese
অসাধারণ
❤😊
অসাধারণ আবৃত্তি
Beautiful
Asadharan
সুন্দর আবৃত্তি মুগ্ধতা তবে প্রবাহমান নেপথ্য সঙ্গীত শব্দ প্রবাহ সাউন্ড আরও কম হলে আবৃত্তির মধুরতা আরও সুন্দর শোনাত আবৃত্তি।
অসাধারণ ভাইয়া ❤
❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣
🥰🥰🥰🥰🥰
ব্যাকগ্রাউন্ড সাউন্ড আর একটু কম হলে আরো বেশি ভাল লাগতো। মাহি ভাই সবসময় অসাধারণ
emon kobita kome asa,,,ja kobita prem o droho dutoi asa.
খুব ভালো লাগলো।
Amara kobeta dikhar amontoron roilo
মনকে স্থির করার জন্য ভালো ঔষধ।
ভালোবাসা।
Music এর sound খুব বেশি
এই কবিতাটি আমার আসাদুজ্জামান নূরের কন্ঠে বেশি ভালো লাগে।
এটাও ভালো।তবে নূরেরটা বেশ অন্যরকম লাগে।
Vai I like your recitation very much. But back music is too much loud. It’s distract listening. Please put down the volume low of back music. Thanks
ভালোবাসা নিবেন।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া
Unlike button use kore kara?😔😔
অাস্সালামু অালাইকুম...
স্যার, অাপনার অাবৃত্তি অামাকে মুগ্ধ করে।
অাপনার থেকে কি সহযোগিতা পেতে পারি?
Dada Amar kobita dikhibar amontoron roilo bondu kori nilam
mahidul er ai abriti ta bogash
orizinal vaskor er abriti ta sunla bujbon .....MAIDUL er motoh artist bd tai hero
আর যাই হোননা কেন, আপনি শিল্পবোদ্ধা নয়। মাহিদুল ইসলামের মত একজন আবৃত্তি শিল্পীকে এভাবে হেয় করে কথা বলতে পারেননা
অনেক কথা বলবার আছে আমার
তবে সবার আগে নিরঞ্জনের কথা বলতে হবে আমাকে ৷
নিরঞ্জন আমার বন্ধুর নাম
আর কোন নাম ছিল কি তার ?
আমি জানতাম না ৷
ওর একজন বান্ধবী ছিল
অবশ্য কিছুদিনের জন্য সে তাকে প্রীতম বলে ডাকত ৷
ওর বান্ধবীর নাম ছিলো জয়লতা ৷
নিরঞ্জন জয়লতা সম্পর্কে আমাকে কিছু বলেনি তেমোন ৷
জয়লতাকে কখনো কোন চিঠি লিখেছিলো কিনা
সে কথাও আমাকে সে বলেনি ৷
তবে জয়লতার চিঠি আমি দেখেছি
একটা চিঠি ছিল এরকম -
প্রীতম,
সময় গড়িয়ে যাচ্ছে ৷ তুমি বলেছ , এখন দু:সময় -
কিন্তু আমি জানি , সব সময়ই সুসময় , যদি কেউ ব্যবহার করতে জানে তাকে ৷
আমি বুঝি বেশি দিন নেই ৷
যদি পার এক্ষুনি তুলে নাও
নইলে অন্য পূরুষ ছিবড়ে খাবে আমাকে -
আমার ঘরে বসে সিগারেট টানতে টানতে
নিরঞ্জন চিঠিটা চুপ করে এগিয়ে দিয়ে বলেছিল
"বিভূ, চিঠিটা পড়ুন ৷"
আমি প্রথমে পড়তে চাইনি ৷
পরে ঐটুকু পড়ে তার দিকে তাকিয়েছিলাম --
না - ঐ সিগারেটের ধুয়োয়
আমি কোন নারী প্রেম-তাড়িত মানুষের ছায়া দেখিনি -
ভয়ানক নির্বিকার ৷
কিছু বলছেন না যে ?- আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম
কি বলব ?
এই ব্যাপারে ৷
কোন ব্যাপারে ?
এই যে জয়লতা ৷
বাদ দিন ৷
আমি বাদ দিয়েছিলাম ৷
নিরঞ্জন আমার ঘরে বসে অনেকক্ষণ সিগারেট
টেনে টেনে ঘরটাকে অন্ধকার করে চলে গিয়েছিল সেদিন ৷
জয়লতার সংগে অন্য পূরুষের বিয়ে হয়েছিল ৷
আমি জয়লতা এবং অন্য পূরুষটিকে দেখেছি বহুবার
বিশ্ববিদ্যালয়েই ৷
জয়লতা আরো দেমাগী আরো সুন্দরী হয়ে উঠেছিল৷
অন্য পূরুষ ছিবড়ে খেলে মেয়েরা বুঝি
আরো সুন্দরী হতে থাকে ?
এ কথার সূত্রে নিরঞ্জন আমাকে বলেছিল ,
" মানুষকে এত ক্ষুদ্রার্থে নেবেন না ৷
মানুষ এত বড় যে ,
আপনি যদি 'মানুষ ' শব্দটি একবার উচ্চারণ করেন
যদি অন্তর থেকে করেন উচ্চারণ
যদি বোঝেন এবং উচ্চারণ করেন ' মানুষ' -
তো আপনি কাঁদবেন ৷
আমি মানুষের পক্ষে , মানুষের সন্গে এবং মানুষের জন্যে ৷
হ্যাঁ , মানুষের মুক্তির জন্য নিরঞ্জন মিছিল করতো
আমি শুনেছি নিরঞ্জন বলছে
তুমি দুষ্কৃতি মারো , বান্গালী মারো ,
হিন্দু-মুসলমান মারো , গেরিলা - তামিল মারো ,
এভাবে যেখানে যাকেই মারো না কেন
ইতিহাস লিখবে যে এত মানুষ মরেছে ৷
বড়ই করুণ এবং বড়ই দু:খজনক
শক্তির স্বপক্ষে তুমি যারই মৃত্যু উল্লেখ করে
উল্লাস কর না কেন
মনে রেখো মানুষই মরেছে ৷
এই ভয়ংকর সত্য কথা নিরঞ্জন বলেছিল
মিছিলে হাত উঠিয়ে বলেছিল ,
এভাবে মানুষ মারা চলবে না ৷
মানুষকে বাঁচতে দাও ৷
তার উদ্যত হাতে লেগেছিল
মানুষের হাতে বানানো বন্দুকের গুলি ৷
বুকেও লেগেছিল-
যেখান থেকে " মানুষ ' শব্দটি
বড় পবিত্রতায় বেরিয়ে আসতো ৷
সে লাশ --
আমার বন্ধু নিরঞ্জনের লাশ -
আমি দেখেছি -
রক্তাক্ত ছিন্ন ভিন্ন লাশ ,
মানুষ কাঁধে করে
তাকে বয়ে এনেছিল মানুষের কাছে ৷
জয়লতা সে লাশ দেখেছিল কিনা
সে প্রশ্ন উঠছে না ৷
দেখলেও যদি কেঁদে থাকে সে প্রকাশ্যে অথবা গোপনে ,
তাতে নিরঞ্জনের কোন লাভ হয়নি ৷
মানুষ কেঁদেছিল
আমি জানি , তাতে নিরঞ্জনের লাভ ছিল ৷
নিরঞ্জন প্রমাণ করতে পেরেছিল
গতকাল মিছিলে
আইন অমান্যের অভিযোগে
যে দুষ্কৃতি মারা গিয়েছে
তার নাম নিরঞ্জন --
সে আসলে " মানুষ" ৷
মিউজিক বেশী শোনা যাচ্ছে। প্লিজ একটু খেয়াল রাখবেন।
জি না.... ১০০% ঠিক আছে ।
আপনি বাচিক শিল্পের প্রবাদ পুরুষ।
মিউজিক বন্ধ করেন
মানুষকে এত ক্ষুদ্রার্থে নেবেন না ৷ মানুষ এত বড় যে , আপনি যদি 'মানুষ ' শব্দটি একবার উচ্চারণ করেন যদি অন্তর থেকে করেন উচ্চারণ যদি বোঝেন এবং উচ্চারণ করেন ' মানুষ' - তো আপনি কাঁদবেন ৷
মুগ্ধ
Background music খুবই অসুবিধা করল,
ruclips.net/video/lHC-TySBo-A/видео.html
(স্বরচিত)
বিখ্যাত কবিতা শুনুন👏👏👏ruclips.net/video/OSF6tkoC-uY/видео.html
অসাধারণ আবৃত্তি গুনি।
লেখা সেটা আসল অসাধারণ।
❤
অসাধারণ
অসাধারণ ভাইয়া ❤
অসাধারণ
অসাধারণ
অসাধারণ