সুনানে আবু দাউদ। হাদীস নং-৪১১২। উম্মু সালামাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট ছিলাম এবং তাঁর নিকট মাইমূনাহ (রাঃ)-ও ছিলেন। এ সময় ইবনু উম্মু মাকতূম (রাঃ) (অন্ধ সাহাবী) এলেন। ঘটনাটি আমাদের উপর পর্দার হুকুম নাযিলের পরের। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ তোমরা তার থেকে আড়ালে চলে যাও। আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! সে কি অন্ধ নয়? সে তো আমাদের দেখতে ও চিনতে পারছে না। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ যদিও সে অন্ধ কিন্তু তোমরা উভয়ে কি তাকে দেখছো না? ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, এ বিধান নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্ত্রীদের জন্য নির্দিষ্ট। তুমি কি ইবনু উম্মু মাকতূম (রাঃ)-এর বাড়িতে ফাতিমাহ বিনতু কায়িস (রাঃ)-এর ইদ্দত পালনের বিষয়টি লক্ষ করো না? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফাতিমাহ বিনতু কায়িস (রাঃ)-কে বলেছেনঃ ’’তুমি ইবনু উম্মু মাকতূমের বাড়িতে ইদ্দত পালন করো। কারণ সে অন্ধ লোক। তুমি সেখানে খোলামেলা পোশাকে থাকতে পারবে।’’ (সুনানে আবু দাউদ,[ তাহকিককৃত], হাদীস নং- ৪১১২)। 🏀-------------------
সূরা নূরের ৩১ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ বলেন, وَ لَا یُبۡدِیۡنَ زِیۡنَتَهُنَّ اِلَّا مَا" ظَهَرَ مِنۡهَا "। অর্থঃ তারা( মহিলারা) তাদের " যীনাত " প্রকাশ করবেনা ওইটুকু ছাড়া যা স্বাভাবিক ভাবে বের হয়ে থাকে( নূর-৩১)। ইবনে মাসউদ( রা:) সহীহ সনদে বলেন, যা প্রকাশ করা যাবে তা হল পোশাক। তার অনুসারীরা এই মতের উপরই ফতোয়া দিতেন। অন্যদিকে ইবনে আব্বাস( রা:) বলেন, যা প্রকাশ করা যাবে তা হল চেহারা ও হাতের কব্জি। " যীনাত " অর্থঃ পোষাক, সাজসজ্জা, সাজসজ্জার স্থান, সৃষ্টিগত সৌন্দর্য। সূরা নূরের ৩১ নম্বর আয়াতের শেষের দিকে মহান আল্লাহ বলেন, তারা " যীনাত " প্রকাশ করবে না, তবে নিম্নোক্তদের সামনে ছাড়াঃ স্বামী, বাপ, ভাই, শশুর -------- ইত্যাদি সকল মাহরামগণ। " যীনাত " অর্থ যদি পোশাক/ সাজসজ্জা ধরা হয়, তবে মাহরামগণ তাদের মা-বোনদের পোশাক/ সাজসজ্জা ছাড়া আর কিছুই দেখতে পারবেনা। সুতরাং" যীনাত " অর্থ সৃষ্টিগত সৌন্দর্য, এই অর্থটি গ্রহণ করাই অধীক যুক্তিযুক্ত। অধিকাংশ মুফাসসিরগন এই অর্থটিই গ্রহণ করেছেন। অতএব আয়াতের প্রথম অংশের অর্থ দাঁড়ায়ঃ তারা তাদের সৃষ্টিগত সৌন্দর্য প্রকাশ করবে না, ওইটুকু ছাড়া যা স্বাভাবিকভাবে বের হয়ে থাকে( অর্থাৎ চেহারাও হাতের কব্জি)। এ ব্যাপারে হিজাবের পরে রসুলের( সঃ) নির্দেশ সম্বলিত তিনটি হাদিস পাওয়া যায়। দুটি হাদীস দুর্বল। একটি শক্তিশালী। এখানে মজার ব্যাপার হলো, আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদের স্ত্রী জয়নাব( রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি একদিন মসজিদে নববীতে বসেছিলাম (মক্কা বিজয়ের পর)। তখন নবীকে(সঃ) দেখলাম তিনি নারীদের লক্ষ্য করে বলছেন, তোমরা তোমাদের অলঙ্কারগুলো হলেও দান করো। সে সময় জয়নাব তার স্বামী আব্দুল্লাহ ও অনেক এতিমকে ভরণ পোষণ করতেন। তখন আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ( রাঃ) তার স্ত্রী জয়নাবকে রাসূলের( সঃ) নিকট পাঠালেন এই কারণে যে, জয়নাব যে এতিমদের ভরণ পোষণ করছেন, দান হিসেবে তা যথেষ্ট হবে কিনা? বলাবাহুল্য আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ প্রশ্নটি করার জন্য অধিক উপযুক্ত ছিলেন। যাইহোক জয়নাব রাসূলের( সঃ) নিকট গেলেন। একই প্রশ্ন নিয়ে আর এক আনসার মহিলা সেখানে গেলেন। জয়নাব সেখানে বেলালকে( রাঃ) পেলেন। তাকে বললেন, আপনি রাসুলকে( সঃ) জিজ্ঞেস করুন, আমার স্বামী ও যেসব ইয়াতিম আমার পোষ্য রয়েছে তাদের জন্য আমি যা ব্যয় করছি, তা কি দান হিসেবে যথেষ্ট হবে? বেলাল রাসূলের(সঃ) নিকট গিয়ে তাদের কথা বললেন।রসূল( সঃ) জিজ্ঞেস করলেন, ওই মহিলা দুজন কে কে? বেলাল(রাঃ) বললেন, একজন জয়নাব। রসূল( সঃ) পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন, কোন জয়নাব? বেলাল বললেন, আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদের স্ত্রী জয়নাব । রসুল( সঃ) বললেন, হাঁ,এর জন্য তার দ্বিগুণ সওয়াব হবে। আত্মীয়তার হক আদায় করার সওয়াব ও দানের সওয়াব। (সহি বুখারী, যাকাত অধ্যায়। সহীহ মুসলিম, প্রকাশনায়ঃ- মিনা বুক হাউজ, হাদীস নং- ২১৯৬, ২১৯৭ । সহি সুনানে নাসাঈ, যাকাত অধ্যায়)। মহিলারা যদি চেহারা খোলা না রাখত, তবে রসূল( সঃ) জানতে চাইতেন না যে, মহিলা দুজন কে কে। আর বেলাল( রাঃ) বলতেন না যে, জয়নাব। এবং এও বলতেন না, আব্দুল্লাহ ইবনে মাসুদের স্ত্রী জয়নাব। এতে বুঝা যায়, তাদের চেহারা খোলা ছিল। 🏀-----------------------
আসসালামু আলাইকুম হুজুর আপনি কেমন আছেন হুজুর আপনার কাছে একটা কতা জানার চিল আমাদের এলাকায় পুরাতন একটা মসজিদ চিল একন মসজিদ বড়ো করতে চাই কিন্তু মসজিদের পেছনে পুরাতন কবর আছে একন মসজিদ বড়ো করতে চাই কিন্তু সামনে জায়গায় আছে অল্প পিছনে জায়গা কিনেছে বড়ো করার জন্য মসজিদ টা তৈরী করতে ৬০ লাখ টাকা অতভা আরো বেশি টাকা লাগবে একন মসজিদ বড়ো করা যাবে কি না
masaallah ❤❤
❤❤
সুনানে আবু দাউদ।
হাদীস নং-৪১১২। উম্মু সালামাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট ছিলাম এবং তাঁর নিকট মাইমূনাহ (রাঃ)-ও ছিলেন। এ সময় ইবনু উম্মু মাকতূম (রাঃ) (অন্ধ সাহাবী) এলেন। ঘটনাটি আমাদের উপর পর্দার হুকুম নাযিলের পরের। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ তোমরা তার থেকে আড়ালে চলে যাও। আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! সে কি অন্ধ নয়? সে তো আমাদের দেখতে ও চিনতে পারছে না। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ যদিও সে অন্ধ কিন্তু তোমরা উভয়ে কি তাকে দেখছো না?
ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, এ বিধান নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্ত্রীদের জন্য নির্দিষ্ট। তুমি কি ইবনু উম্মু মাকতূম (রাঃ)-এর বাড়িতে ফাতিমাহ বিনতু কায়িস (রাঃ)-এর ইদ্দত পালনের বিষয়টি লক্ষ করো না? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফাতিমাহ বিনতু কায়িস (রাঃ)-কে বলেছেনঃ ’’তুমি ইবনু উম্মু মাকতূমের বাড়িতে ইদ্দত পালন করো। কারণ সে অন্ধ লোক। তুমি সেখানে খোলামেলা পোশাকে থাকতে পারবে।’’ (সুনানে আবু দাউদ,[ তাহকিককৃত], হাদীস নং- ৪১১২)।
🏀-------------------
Ma Sha Allah
সূরা নূরের ৩১ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ বলেন, وَ لَا یُبۡدِیۡنَ زِیۡنَتَهُنَّ اِلَّا مَا" ظَهَرَ مِنۡهَا "।
অর্থঃ তারা( মহিলারা) তাদের " যীনাত " প্রকাশ করবেনা ওইটুকু ছাড়া যা স্বাভাবিক ভাবে বের হয়ে থাকে( নূর-৩১)।
ইবনে মাসউদ( রা:) সহীহ সনদে বলেন, যা প্রকাশ করা যাবে তা হল পোশাক। তার অনুসারীরা এই মতের উপরই ফতোয়া দিতেন।
অন্যদিকে ইবনে আব্বাস( রা:) বলেন, যা প্রকাশ করা যাবে তা হল চেহারা ও হাতের কব্জি।
" যীনাত " অর্থঃ পোষাক, সাজসজ্জা, সাজসজ্জার স্থান, সৃষ্টিগত সৌন্দর্য।
সূরা নূরের ৩১ নম্বর আয়াতের শেষের দিকে মহান আল্লাহ বলেন, তারা " যীনাত " প্রকাশ করবে না, তবে নিম্নোক্তদের সামনে ছাড়াঃ স্বামী, বাপ, ভাই, শশুর -------- ইত্যাদি সকল মাহরামগণ।
" যীনাত " অর্থ যদি পোশাক/ সাজসজ্জা ধরা হয়, তবে মাহরামগণ তাদের মা-বোনদের পোশাক/ সাজসজ্জা ছাড়া আর কিছুই দেখতে পারবেনা।
সুতরাং" যীনাত " অর্থ সৃষ্টিগত সৌন্দর্য, এই অর্থটি গ্রহণ করাই অধীক যুক্তিযুক্ত। অধিকাংশ মুফাসসিরগন এই অর্থটিই গ্রহণ করেছেন।
অতএব আয়াতের প্রথম অংশের অর্থ দাঁড়ায়ঃ তারা তাদের সৃষ্টিগত সৌন্দর্য প্রকাশ করবে না, ওইটুকু ছাড়া যা স্বাভাবিকভাবে বের হয়ে থাকে( অর্থাৎ চেহারাও হাতের কব্জি)। এ ব্যাপারে হিজাবের পরে রসুলের( সঃ) নির্দেশ সম্বলিত তিনটি হাদিস পাওয়া যায়। দুটি হাদীস দুর্বল। একটি শক্তিশালী।
এখানে মজার ব্যাপার হলো, আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদের স্ত্রী জয়নাব( রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি একদিন মসজিদে নববীতে বসেছিলাম (মক্কা বিজয়ের পর)। তখন নবীকে(সঃ) দেখলাম তিনি নারীদের লক্ষ্য করে বলছেন, তোমরা তোমাদের অলঙ্কারগুলো হলেও দান করো। সে সময় জয়নাব তার স্বামী আব্দুল্লাহ ও অনেক এতিমকে ভরণ পোষণ করতেন। তখন আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ( রাঃ) তার স্ত্রী জয়নাবকে রাসূলের( সঃ) নিকট পাঠালেন এই কারণে যে, জয়নাব যে এতিমদের ভরণ পোষণ করছেন, দান হিসেবে তা যথেষ্ট হবে কিনা? বলাবাহুল্য আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ প্রশ্নটি করার জন্য অধিক উপযুক্ত ছিলেন। যাইহোক জয়নাব রাসূলের( সঃ) নিকট গেলেন। একই প্রশ্ন নিয়ে আর এক আনসার মহিলা সেখানে গেলেন। জয়নাব সেখানে বেলালকে( রাঃ) পেলেন। তাকে বললেন, আপনি রাসুলকে( সঃ) জিজ্ঞেস করুন, আমার স্বামী ও যেসব ইয়াতিম আমার পোষ্য রয়েছে তাদের জন্য আমি যা ব্যয় করছি, তা কি দান হিসেবে যথেষ্ট হবে? বেলাল রাসূলের(সঃ) নিকট গিয়ে তাদের কথা বললেন।রসূল( সঃ) জিজ্ঞেস করলেন, ওই মহিলা দুজন কে কে? বেলাল(রাঃ) বললেন, একজন জয়নাব। রসূল( সঃ) পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন, কোন জয়নাব? বেলাল বললেন, আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদের স্ত্রী জয়নাব । রসুল( সঃ) বললেন, হাঁ,এর জন্য তার দ্বিগুণ সওয়াব হবে। আত্মীয়তার হক আদায় করার সওয়াব ও দানের সওয়াব।
(সহি বুখারী, যাকাত অধ্যায়। সহীহ মুসলিম, প্রকাশনায়ঃ- মিনা বুক হাউজ, হাদীস নং- ২১৯৬, ২১৯৭ । সহি সুনানে নাসাঈ, যাকাত অধ্যায়)।
মহিলারা যদি চেহারা খোলা না রাখত, তবে রসূল( সঃ) জানতে চাইতেন না যে, মহিলা দুজন কে কে। আর বেলাল( রাঃ) বলতেন না যে, জয়নাব। এবং এও বলতেন না, আব্দুল্লাহ ইবনে মাসুদের স্ত্রী জয়নাব। এতে বুঝা যায়, তাদের চেহারা খোলা ছিল।
🏀-----------------------
Right
তবজির শাক্ষিকে ধরে কি পরতে হয় রিপ্লাই দিয়েন প্লিজ
আসসালামু আলাইকুম হুজুর আপনি কেমন আছেন হুজুর আপনার কাছে একটা কতা জানার চিল আমাদের এলাকায় পুরাতন একটা মসজিদ চিল একন মসজিদ বড়ো করতে চাই কিন্তু মসজিদের পেছনে পুরাতন কবর আছে একন মসজিদ বড়ো করতে চাই কিন্তু সামনে জায়গায় আছে অল্প পিছনে জায়গা কিনেছে বড়ো করার জন্য মসজিদ টা তৈরী করতে ৬০ লাখ টাকা অতভা আরো বেশি টাকা লাগবে একন মসজিদ বড়ো করা যাবে কি না
উয়াজ
মৃত মানুষকে বাচ্চা অবস্থায় দেখলে স্বপ্নের ব্যাখ্যা কি? স্বপ্নে যাকে বাচ্চা অবস্থায় দেখা হয়েছে সে বাচ্চা জন্ম দিতে গিয়ে মারা গিয়েছে
❤❤❤
❤❤❤