গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য হাডুডু খেলা !

Поделиться
HTML-код
  • Опубликовано: 3 дек 2024
  • ধারণা করা হয় যে প্রাগৈতিহাসিক যুগে যখন খাদ্য সংগ্রহের পাশাপাশি নিজের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য মানুষ একক ভাবে বা দলীয় ভাবে শিকার করতে এবং বন্য প্রাণীর আক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে শিখেছিল, তখন কাবাডির সূচনা। পুরো দক্ষিণ এশিয়াতে কাবাডি প্রচলিত থাকলেও এর উৎপত্তি স্থল পাঞ্জাব। কাবাডির উৎপত্তি সম্পর্কে আরেকটি মত হচ্ছে, মহাভারতে বর্ণিত অভিমন্যু কর্ত্তৃক কৌরব সৈন্যদের চক্রব্যুহ ভেদ করার ব্যর্থ চেষ্টার ঘটনা থেকে ধারণা নিয়ে এ খেলার সৃষ্টি হয়।
    কাবাডি খেলার উৎপত্তি সম্পর্কে প্রচলিত আরেকটি ধারণা হচ্ছে এটি আরম্ভ হয় তামিলনাড়-তে। দুটি বাচ্চা ছেলের ছোঁয়াছুঁয়ি খেলা থেকে এর ধারণা পাওয়া যায়, যদিও দম ধরে রাখার বিষয়টি তাতে পরে যুক্ত হয়। তামিল এলাকায় এ খেলাটি কাবাডি, সাডুগুডি, গুডুগুডু, পালিঞ্জাডুগুডু ও সাডুগুডাত্থি নামে পরিচিত। কাবাডি শব্দটি খুব সম্ভবত উৎপত্তি হয়েছে তামিল কাই (হাত) ও পিডি (ধরা) শব্দ থেকে। এ খেলা ভারত ও পাকিস্তানে কাবাডি, বাংলাদেশে হাডুডু, নেপালে ডুডু, শ্রীলংকায়, গুডুগুডু, থাইলান্ডে থিকাব ও মালয়েশিয়ায় ছি গুডু গুডু নামে প্রচলিত ছিল। ব্যক্তি ও দলগত ভাবে শত্র“পক্ষের আক্রমণ প্রতিহতকরণ এবং তড়িৎ পাল্টা আক্রমণের কৌশল চর্চা করতে গিয়েই এ খেলার উদ্ভব। এ খেলায় সফলতার পূর্বশর্ত হচ্ছে শারীরিক ও মানসিক ক্ষিপ্রতা, পেশীর ক্ষিপ্রতা, ফুসফুসের শক্তি ও সহনশীলতা, দ্রুত চিন্তা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা ও তা প্রয়োগের সামর্থ্য এবং সর্বোপরি প্রতিপক্ষের কৌশল ও মনোভাব অনুধাবনের যোগ্যতা।

Комментарии • 1