ঠাকুরের সকল সাধনার পরিসমাপ্তির রাত(পর্ব ৪১৮-সৎকথায় প্রতিদিনের মনন)| Prof. Arijit Sarkar | Pranaram
HTML-код
- Опубликовано: 3 июн 2024
- ঠাকুরের সকল সাধনার পরিসমাপ্তির রাত
(পর্ব ৪১৮-সৎকথায় প্রতিদিনের মনন)|
Prof. #ArijitSarkar |
#Pranaram Bangla
05.06.2024
ষোড়শীপূজার তাৎপর্য- দেবী সারদাকে শ্রীরামকৃষ্ণকেই শ্রীবিদ্যার আসনে সংপ্রতিষ্ঠা-ভগবান শঙ্করাচার্য-কর্তৃক বিদ্যারূপিনী ত্রিপুরাসুন্দরীর প্রতিষ্ঠা তুলনীয়
🙏🌹🌼🌹🌼🌹🌼🌹🌼🌹🌼🌹🌼🌹🌼
যিনি জ্ঞানদায়িনী, তিনি গুরু। জ্ঞানদানই তাঁর স্বগুণ, তাই তিনি গুরু। শ্রীরামকৃষ্ণ স্বয়ং ঘোষণা করে গিয়েছেন, "ও সারদা - সরস্বতী - জ্ঞান দিতে এসেছে। আরও বলছেন, "ও জ্ঞানদায়িনী।" একাধিক প্রসঙ্গে এরূপ আরও শোনা গিয়েছে শ্রীরামকৃষ্ণমুখে - " ওরে, ওর নাম সারদা, ও সরস্বতী " ইত্যাদি ।
সারদা জ্ঞানদায়িনী সরস্বতী - বিদ্যা বিতরণের জন্যই এবারে তাঁর আবির্ভাব শ্রীরামকৃষ্ণের শক্তিরূপে, এই তথ্য এখন আর অজানা নেই কারো কাছে। সংবাদ হিসাবে বহুকথিত হলেও এর তত্ত্বাংশ বোধ হয় এখনো তত আলোকিত হতে পারেনি - আমাদের অনুমান। তাই সল্পালোকিত সেই দিকটির প্রতিই আমাদের মনন-দৃষ্টিকে ফেরাতে প্রয়াসী হচ্ছি।
দক্ষিণেশ্বর দেবালয় ।১২৮০ বঙ্গাব্দের জ্যৈষ্ঠ মাসের অমাবস্যা-রাত্রিতে শ্রীরামকৃষ্ণ কর্তৃক দেবী সারদাকে পূজা - জ্ঞানদায়িনী মূর্তিমতী বিদ্যাকে অর্চনা ও জগদ্ধিতায় তাঁর প্রতিষ্ঠা - বিশ্বকল্যাণে তাঁকে শ্রীবিদ্যারূপিনী গুরুর আসনে সংস্থাপনা দ্বারা ঐ অনুষ্ঠানক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছিল। 'ষোড়শীপূজা' নামে বহুল খ্যাত এই ঘটনাটিকে সচরাচর ভক্ত জনসাধারণ ফলহারিনী কালীপূজার সঙ্গে সংযুক্ত করে দেবী আরাধনার পক্ষে একটি পুণ্য উপলক্ষ্য জ্ঞান করে থাকে। অথবা, তারা সন্তুষ্ট থাকে যে, শ্রীরামকৃষ্ণের সকল সাধনার পরিসমাপ্তি হয়েছিল ঐদিন রাত্রে দেবী সারদার শ্রীপদে তাঁর জপমালাটিকে পর্যন্ত সমর্পণের মাধ্যমে। আবার এমনও কেউ কেউ ভাবেন যে, আপন ধর্মপত্নীকে পূজা করে শ্রীরামকৃষ্ণ অখিল স্ত্রীজাতিকেই মাতৃত্বের মহনীয় করে গিয়েছেন। শ্রীরামকৃষ্ণ-প্রবর্তিত যুগধর্ম চক্রের কেন্দ্রবিন্দুতে শ্রীবিদ্যাবিগ্রহ দেবী সারদাকে অধিষ্ঠিত করা হয়েছিল ঐ বিশেষ তিথিতে ষোড়শীপূজার মধ্য দিয়ে - ভগবান শঙ্করাচার্য যেমন শৃঙ্গেরীমঠাধিষ্ঠাত্রী শ্রীবিদ্যা কামাক্ষী ত্রিপুরাসুন্দরীরূপে কান্ঞ্চিপুরমে সংস্থাপনা করেছেন দেবীর ষোড়শীমূর্তির পূজা প্রবর্তনা দ্বারা ।উল্লেখ্য, শৃঙ্গেরী মঠেও শ্রীযন্ত্রের ওপরেই জ্ঞানদায়িনী বিদ্যার অর্চনা হয়ে থাকে। শ্রীরামকৃষ্ণের ষোড়শীপূজার এরকম তৎপর্যার্থও হতে পারে অনেকগুলি সঙ্গত কারণেই। কেননা, শ্রীরামকৃষ্ণ-সমারদ্ধ ধর্মপ্রবাহের উৎস তো শৃঙ্গেরী মঠেই। তাই শৃঙ্গেরী মঠাধিষ্ঠাত্রী দেবী কামাক্ষী ত্রিপুরাসুন্দরী বা শ্রীবিদ্যাই যে এখানেও প্রতিষ্ঠাপ্য, তাতে আর সংশয়ের অবকাশ কোথায়? যে ভাব থেকে, যে দৃষ্টিতেই দেখা হোক ঐ ষোড়শীপূজার অধ্যায়কে । 'শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণলীলাপ্রসঙ্গ' পাঠে যতটুকু ধারণায় আনতে সক্ষম হয়েছি, তাতে এ-সত্যটিও কিন্তু বেশ উজ্জ্বলভাবে আমাদের চিত্তাকাশে উদিত যে, বিদ্যারূপিনী সারদাদেবীকে ভগবান শ্রীরামকৃষ্ণ বিশেষ সেই পুণ্য দিবস থেকেই, জগদ্গুরুর সহস্রদল কমলাসনে সমারূঢ়া করিয়ে দিয়েছেন আনুষ্ঠানিক পূজাবরণাদি সহকারে। শ্রীসারদাদেবী অখিল জীবের চৈতন্যদায়িনী গুরুমাতারূপে অধিষ্ঠিতা হলেন সেই ফলহারিনী কালিকা পূজার পবিত্র নিশাকাল থেকেই - এখানে অধিষ্ঠাপক স্বয়ং শ্রীরামকৃষ্ণ।
সন্মুখস্থ কলসের মন্ত্রপূত বারি দ্বারা ঠাকুর বারংবার শ্রীশ্রীমাকে যথাবিধানে অভিষিক্তা করিলেন ।অনন্তর মন্ত্র শ্রবণ করাইয়া তিনি এখন প্রার্থনামন্ত্র উচ্চারণ করিলেন - 'হে বালে , হে সর্বশক্তির অধীশ্বরী মাতঃ ত্রিপুরাসুন্দরী, সিদ্ধিদ্বার উন্মুক্ত কর, ইহার (শ্রীশ্রীমার) শরীরমনকে পবিত্র করিয়া ইহাতে আবির্ভূতা হইয়া সর্বকল্যাণ সাধন কর!'
অতঃপর শ্রীশ্রীমার অঙ্গে মন্ত্রসকলের যথাবিধানে ন্যাসপূর্বক ঠাকুর সাক্ষাৎ ঁদেবীজ্ঞানে তাঁহাকে ষোড়শোপচারে পূজা করিলেন এবং ভোগ নিবেদন করিয়া নিবেদিত বস্তুসকলের কিয়দংশ স্বহস্তে তাঁহার মুখে প্রদান করিলেন। বাহ্যজ্ঞানতিরোহিতা হইয়া শ্রীশ্রীমা সমাধিস্থা হইলেন ।ঠাকুরও অর্ধবাহ্যদশায় মন্ত্রোচ্চারণ করিতে করিতে সম্পূর্ণ সমাধিমগ্ন হইলেন। সমাধিস্থ পূজক সমাধিস্থা দেবীর সহিত আত্মস্বরূপে পূর্ণভাবে মিলিত ও একীভূত হইলেন।
*কতক্ষণ কাটিয়া গেল। নিশার দ্বিতীয় প্রহর বহুক্ষণ অতীত হইল। আত্মারাম ঠাকুরের এইবার বাহ্যসংজ্ঞার কিছু লক্ষণ দেখা গেল। পূর্বের ন্যায় অর্ধবাহ্যদশা প্রাপ্ত হইয়া তিনি এখন ঁদেবীকে আত্মনিবেদন করিলেন। অনন্তর আপনার সহিত সাধনার ফল এবং জপের মালা প্রভৃতি সর্বস্ব শ্রীশ্রীদেবীপাদপদ্মে চিরকালের নিমিও বিসর্জনপূর্বক মন্ত্রোচ্চারণ করিতে করিতে তাঁহাকে প্রণাম করিলেন - 'হে সর্বমঙ্গলের মঙ্গলস্বরূপে, হে সর্বকর্মনিষ্পন্নকারিণি, হে শরণাদায়িনি ত্রিনয়নি শিব-গেহিনি গৌরি, হে নারায়ণি, তোমাকে প্রণাম, তোমাকে প্রণাম করি।'
শ্রীরামকৃষ্ণ ফলহারিনী কালীপূজার রাত্রিতে এভাবেই মানবী বিগ্রহ দেবী সারদাকে পূজা করেছিলেন - কিন্তু লক্ষণীয় যে, তিনি কোনো প্রতিমায় কিংবা ঘটে-পটে পূজা করেননি - যে পূজা করেছিলেন, তা-ও কালীপূজা ছিল না কোনো মতানুসারেই! "মূর্তিমতী বিদ্যারূপিনী মানবীর দেহাবলম্বনে ঈশ্বরীয় উপাসনা করেছিলেন তিনি। তিনি আরাধ্যা দেবীর সমীপে যে প্রার্থনা-মন্ত্র উচ্চারণ করেছিলেন, তাতে সম্বোধন করেছিলেন, "হে বালে, হে সর্বশক্তির অধীশ্বরী মাতঃ ত্রিপুরাসুন্দরী।" প্রার্থনায় বলেছিলেন, "ইঁহাতে (সারদাদেবীতে ) আবির্ভূতা হইয়া সর্বকল্যাণ সাধন কর।" এখানে তুলনীয় ভগবান শঙ্করাচার্যও তাঁর প্রবর্তিত ধর্মান্দোলনের সূচনাকালেই ত্রিপুরাসুন্দরী কামাক্ষী ষোড়শীদেবীর মূর্তি এবং শ্রীবিদ্যা যন্ত্রের প্রতিষ্ঠাকার্য সম্পন্ন করেছিলেন। এখানে উল্লেখ্য যে, *ষোড়শী ত্রিপুরাসুন্দরী, কামাক্ষী, শ্রীবিদ্যা, শারদা('সারদা-র বানানভেদ), রাজরাজেশ্বরী, ললিতাম্বিকা প্রভৃতি দেবী সরস্বতীর বিভিন্ন নাম। সরস্বতী দেবী দেবী হচ্ছেন জ্ঞানের অধিষ্ঠাত্রী - অজ্ঞানজাড্যনাশিনী অর্থাৎ, জ্ঞানদায়িকা গুরুশক্তির প্রকাশমূর্তি জননীরূপে।
গ্রন্হসূত্র - প্রকৃতিং পরমাম্-স্বামী অব্জজানন্দ
শ্রদ্ধেয় শ্রী অরিজিৎ সরকারকে আমার হৃদয়ের আন্তরিক শ্রদ্ধা ও নমষ্কার জানাই।
শ্রদ্ধেয় শ্রী পবিত্র কুমার সুরমহাশয়কে আমার হৃদয়ের আন্তরিক শ্রদ্ধা ও নমষ্কার জানাই।
আধ্যাত্মিক দিব্যত্রয়ীর চরণকমলে ভূলুণ্ঠিত প্রণাম জানাই।
ঠাকুর মা স্বামীজী ও গুরুদেবকে আমার ভক্তি পূর্ণ সাষ্ঠাঙ্গ প্রণাম 🙏🙏🙏🙏
ঠাকুর মা ও স্বামীজীকে ভক্তিপূর্ণ সাষ্টাঙ্গ ভুলুন্ঠিত প্রনাম নিবেদন করি।
গঙ্গা-গীতা-গায়ত্রী ভাগবত-ভক্ত-ভগবান শ্রীরামকৃষ্ণ 🌻🙏
আজ ষোড়শী মায়ের পূজা তাঁর চরণে ভক্তিপূর্ণ সাষ্টাঙ্গ ভুলুন্ঠিত প্রনাম নিবেদন করি।
তোমার চরণে শত কোটি প্রণাম মা🙏🙏🙏 জগতের মঙ্গল কর মা....
ঠাকুর প্রণাম🌹🌹🙏🙏, জগজ্জননী মা প্রণাম🌺🌺🙏🙏, স্বামী বিবেকানন্দ মহারাজ প্রণাম🌹🌹🙏🙏, সুপ্রভাত, সৎকথায় প্রতিদিনের মননের ঠাকুরের সকল সাধনার পরিসমাপ্তির রাতে ফল হারিনি কালীপূজা মায়ের সম্বন্ধে সুন্দর করে বলেন শুনে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। শ্রদ্ধেয় অধ্যাপক অরিজিৎ সরকার ও প্রাণারাম চ্যানেলের কর্ণধার শ্রদ্ধেয় পবিত্র কুমার সুর মহাশয়দেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। 🙏🙏
pronam tripurosundori debi 🙏🌿🌷♥️♥️♥️🌷🌻🌿🌿🙏🙏🙏khub bhalo laaglo
প্রণাম ঠাকুর প্রণাম মা প্রণাম স্বামীজি 🙏🙏🙏
জয় ঠাকুর জয় মা প্রনাম নিও
Pronam Thakur Pronam Maa Pronam Swamiji Kripa Koro Maago Sokoler Mongal Koro 🙏🙏🙏💐♥️💐🙏🙏🙏
🕉 প্রনাম ঠাকুর মা স্বামীজি প্রনাম। 🌺🌺🙏🏻🙏🏻🙏🏻🌺🌺🕉
প্রণাম নিও মা 🙏🌹🙏
🙏🙏🙏🙏 Arijit sir জয় প্রাণারাম ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ !!!🙏🙏🙏
Joy Thakur Joy Maa Joy Swamiji 🙏🙏🙏. Thakur er kache sokoler mongol kamona kori 🙏
Pronam janai thakur maa swamiji o gurudeb er charone 🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏
শুভ দিন শুভ সকাল নমস্কার স্যার জয় ঠাকুর জয় মা জয় স্বামীজি জয়গুরু জয়গুরু জয়গুরু❤❤❤
pronam nio dibyotroyee pronam sokol parshodbrindo pronam tomader swaparibaar 🙏♥️🌹🌷🌻🌺🌿🌿🙏asirbaad dio amader sabai k bhalo rekho sabar mongol koro