সেনাবাহিনী আর রাজনীতিতে জড়াবে না বিতর্কিত হওয়ার জন্য আপনি নিশ্চিত থাকেন। ওরা ওদের হারানো গৌরব পুনরুদ্ধারের ব্যস্ত থাকবে। উপরের দিকে অফিসাররা চাইলেও নিচের এবং ফিলড লেভেলের সৈন্যরা এটাতে বাধা দেবে।
এই অতিব গূরূত্বপূর্ণ সংবাদ বিশ্লেষণ জনসম্মুখে উপস্থাপন করার জন্য লেঃ কর্নেল অবসরপ্রাপ্ত মোস্তাফিজূর রহমান ভাইকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা অনন্তর। ❤❤❤
আওয়ামীলীগ লেস্পেন্সার হয়ে থাকেন তাহলে বলার কিছু নাই, আর আর যদি না হন তাহলে শুনেন আওয়ামী আমলে হাসিনার আশীর্বাদ ছাড়াই জেনারেল হয়ে গেছে? আর আপনি বলছেন ডিসিপ্লিন ঠিক নেই, উনি একজন কমান্ডো
Unare Army chakri theke bair kore disilo durniti r jonno.... Eta Iqbal Karim er somoy hoisilo jar jonno tini Iqbal Karim ke niye mittha kotha choraise.
আয়নাঘর ১ টা না, এই পর্জন্ত ৮ টা আয়নাঘর বের হইছে। কচুখেত, গুলশান, মিন্টো রোড দিবি পফিস, ল্যাব হেডকোয়ার্টার, এস বি অফিস, পোলিশ হেডকোয়ার্টার এও আয়নাঘর আছে। এইগুলা হইল গুমঘর, পপুলার নাম হল আয়নাঘর
You are so unreliable! How can people trust your analysis? You and Zulkarnain Saer act as if you are so-called "Pirs," while all your viewers are "Murids" in the context of Bangladesh. What do you think about this young generation? They are much smarter than both of you. So, before you start speaking nonsense, ensure you understand the quality of your audience.
Mustafiz is a propagandist. He lost his job from army and now pretending he knows everything. He is a lier- Bangladesh army should take action against this propagandist.
Mustafiz is a propagandist. He lost his job from army and now pretending he knows everything. He is a lier- Bangladesh army should take action against this propagandist.
@SakibHyder 1 day ago প্রথম অংশঃ কনক ভাই, আমি কানাডায় থাকি, একজন প্রাক্তন সামরিক অফিসার। আমি ফ্যাসিস্ট সরকারের দ্বারা নির্যাতিত হয়েছি, কিন্তু আমার কোনো আক্ষেপ নেই, কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। সবকিছুই মহান আল্লাহর ইচ্ছায় পরিচালিত হয়। আমি আপনার চ্যানেলের একজন নিয়মিত শ্রোতা এবং ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনে আপনার ভূমিকা নিঃসন্দেহে জাতি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে। আমি নিরুপায় হয়েই এই কথা লিখতে বসেছি। আমি চাই না আপনার চ্যানেলের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণ মিথ্যা কিছু শুনুক বা তা বিশ্বাস করুক। লেঃ কর্নেল মুস্তাফিজের সঙ্গে আপনার গতকালের টকশোতে তার মুখ থেকে কিছু মিথ্যা বক্তব্য শুনে আমি সত্যিই বিস্মিত হয়েছি। না জেনে কিছু বলা উচিত নয়, কারণ পরবর্তীতে এগুলো রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার হতে পারে। গত সপ্তাহে এক ডিনারের আড্ডায় মুস্তাফিজ সম্পর্কে আলোচনা হচ্ছিল। সেনাবাহিনী নিয়ে তার কিছু অপ্রাসঙ্গিক বক্তব্য দিয়ে সে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে, অথচ এগুলোর সিকিভাগও সত্য নয়, তা নিয়ে আমরা আলোচনা করছিলাম। কনক ভাই, আমি অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য সূত্র এবং ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে লেঃ কর্নেল মুস্তাফিজের বক্তব্যের বিরোধিতা করব। ইনশাআল্লাহ, তদন্তে ১০০% সত্য বেরিয়ে আসবে। তবে আমি অবাক হয়েছি, যে আপনার জনপ্রিয় চ্যানেলে এমন একজন সাধারণ মানের অফিসারকে ক্রমাগত মিথ্যাচার এবং সিনিয়র সামরিক/অবসরপ্রাপ্ত অফিসারদের চরিত্র হননের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। একজন অফিসার, যিনি স্টাফ কলেজ করার যোগ্যতাও অর্জন করতে পারেননি এবং সামরিক রণকৌশল সম্পর্কে যিনি কিছুই জানেন না, যখন আমাদের সিনিয়র অফিসারদের স্ট্র্যাটেজি শেখাতে চান, তখন স্তম্ভিত হওয়া স্বাভাবিক। আমি এই অফিসারকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি এবং পূর্বপরিচিত। আমি তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কিছু বলতে চাই না। সে বেশিরভাগ সময় গোয়েন্দা বিভাগে কাজ করেছে। আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার একই মতাদর্শের না হলে কোনো অফিসারকে গোয়েন্দা বিভাগে কাজের সুযোগ দিত না। এ বিষয়ে তারা কঠোরভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়া মেনে চলত। তার কমান্ডিং অফিসার কর্নেল আখতার হামিদ খান আওয়ামী ঘরানার লোক ছিলেন, এবং মুস্তাফিজ তার সবচেয়ে আস্থাভাজন অফিসার ছিল। আখতার হামিদের সমস্ত দুষ্কর্মের অংশীদার ছিল সে। আপনার চ্যানেলে কর্নেল হাসিনের গুম নিয়ে অগ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা দিলেও, সে লেঃ কর্নেল জাহিদকে কীভাবে গুম করেছে, তা নিয়ে কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি। এই অফিসার, লেঃ কর্নেল জাহিদ, মসজিদ থেকে বের হওয়ার পর দ্রুত একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়, বস্তায় ভরে, গাড়ির ভেতরেই মারধর করে ডিজিএফআই অফিসে নিয়ে আসে। ম্যাডাম খালেদা জিয়াকে তার বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করার সময়, তিনি এবং তার সিও ম্যাডাম জিয়ার বেডরুমের দরজা ভেঙে ফেলেন। পরে, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মকসুরুল বেগম জিয়ার ফ্রিজে মদ এবং বেডসাইড টেবিলে অশালীন পুস্তক রেখে দেন, তখন এই অফিসারটি সবসময় তার সঙ্গে ছিল। সে যতই নিজেকে একজন জুনিয়র অফিসার হিসেবে দায়মুক্তি পাওয়ার চেষ্টা করুক না কেন, সেনাবাহিনীর নিয়ম অনুযায়ী একজন ফিল্ড অফিসারের পক্ষে এমন কাজ অগ্রহণযোগ্য। তার আচরণ ছিল এমন, যেন সে যা করবে তা ন্যায্য, কিন্তু অন্য কেউ করলে তা অন্যায় হবে। সেনাবাহিনীর নিয়ম অনুযায়ী, সেনাপ্রধান যখন বিদেশে থাকেন, তখন দ্বিতীয় জ্যেষ্ঠ অফিসার ভারপ্রাপ্ত সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সেই হিসাবে, যখন জেনারেল মবিন বিদেশে থাকতেন, তখন জেনারেল ইকবাল করিম ভুইয়া ভারপ্রাপ্ত সেনাপ্রধান হতেন। ঘটনার সময়, যেহেতু জেনারেল মবিন এবং জেনারেল ইকবাল করিম উভয়ই বিদেশে ছিলেন, তৃতীয় জ্যেষ্ঠ অফিসার হিসেবে লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাইনুল ইসলাম ভারপ্রাপ্ত সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। সাধারণত, এ বিষয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একটি চিঠি জারি হয়, এবং সেই চিঠি দপ্তরে সংরক্ষিত আছে, যা একটি প্রামাণ্য দলিল হিসেবেই বিবেচিত।
বিতীয় অংশঃ আমি ঘটনাটি খুব কাছ থেকে প্রত্যক্ষ করার সুযোগ পেয়েছিলাম। আমার স্মৃতি অনুযায়ী, পুরো ব্যাপারটি পরিচালিত হয়েছিল মেজর জেনারেল তারেক সিদ্দিকীর নেতৃত্বে। তাকে সহায়তা করেন প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, এএফড্ লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াদুদ, ভারপ্রাপ্ত সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাইনুল, মহাপরিচালক ডিজিএফআই লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোল্লা ফজলে আকবর, এবং পরিচালক, সিআইব্ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মামুন খালেদ, ম্যাডাম খালেদা জিয়াকে তার বাসভবন থেকে উচ্ছেদ করার প্রথম বৈঠকটি হয় আর্মড ফোর্সেস ডিভিশনে,২০১০ সাল, ১২ নভেম্বর সকাল ১১টায়। ম্যাডাম খালেদা জিয়াকে সেনানিবাস থেকে সরানোর বিষয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা করা হয়। কুখ্যাত জেনারেল তারেক সিদ্দিকীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে এই অপারেশন পরিচালিত হয়, যেখানে অংশ নেন ভারপ্রাপ্ত সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাইনুল, মহাপরিচালক ডিজিএফআই, সামরিক গোয়েন্দা পরিদপ্তরের পরিচালক, ইঞ্জিনিয়ার ব্রিগেড কমান্ডার, ৪৬ ব্রিগেড কমান্ডার, সিআইবি পরিচালক, এবং ডিজিএফআই ঢাকা শাখার অধিনায়কসহ অন্যান্যরা। দ্বিতীয় মিটিংটি হয় বিকালে, সেনা দপ্তরে, যেখানে ভারপ্রাপ্ত সেনাপ্রধান জেনারেল মাইনুল সভাপতিত্ব করেন। উপস্থিত ছিলেন সামরিক অপারেশনের পরিচালক, সামরিক গোয়েন্দা পরিদপ্তরের পরিচালক, ইঞ্জিনিয়ার ব্রিগেড কমান্ডার, ৪৬ ব্রিগেড কমান্ডার, সিআইবি পরিচালক, ডিজিএফআই অধিনায়ক, সামরিক গোয়েন্দা ইউনিটের কমান্ডার, ক্যান্টনমেন্ট এক্সিকিউটিভ অফিসার, স্টেশন কমান্ডার এবং আইএসপিআর এর পরিচালক। তৃতীয় মিটিংটি হয় খোদ ডিজিএফআই সদর দপ্তরে, রাত ১০টায়, যেখানে সভাপতিত্ব করেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মামুন খালেদ। আরও উপস্থিত ছিলেন কর্নেল সরোয়ার (ডিজিএফআই), কর্নেল আকবর (ঢাকা শাখা অধিনায়ক, ডিজিএফআই), লেফটেন্যান্ট কর্নেল ওয়ালি (এইসি), স্টেশন কমান্ডারসহ আরও কয়েকজন। মেজর জেনারেল তারেক সিদ্দিকী নিজেই উপস্থিত থেকে পুরো ঘটনা নিখুঁতভাবে পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করেন। তাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছিল ডিজিএফআই এবং ভারপ্রাপ্ত সেনাপ্রধান জেনারেল মাইনুল। এ উচ্ছেদ ছিল ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার ফসল। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ডিজিএফআই এবং সেনা গোয়েন্দারা সরাসরি জড়িত ছিল। অত্যন্ত বিশ্বস্ত ও পরীক্ষিত গোয়েন্দা অফিসারদের ছাড়া এ কাজ বাস্তবায়ন সম্ভব ছিল না। লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুস্তাফিজকে একজন অনুগত, অত্যন্ত বিশ্বস্ত এবং দৃঢ়প্রতিজ্ঞ অফিসার হিসেবে এ কাজে নিয়োজিত করা হয়েছিল। এটি অস্বীকার করার সুযোগ হয়তো তার নেই। অত্যন্ত কৌশলে, সবার দৃষ্টি অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতে, সে অপ্রাসঙ্গিকভাবে জেনারেল ইকবাল করিমের মতো ব্যক্তিকে মাস্টারমাইন্ড বলার ধৃষ্টতা দেখাচ্ছে, যদিও জেনারেল ইকবাল করিম ছিলেন কিউ এম জি এবং ঘটনার সময় দেশের বাইরে ছিলেন। আমি লক্ষ্য করেছি, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুস্তাফিজ গল্পের আকারে অত্যন্ত চতুরতার সঙ্গে নিজের ইচ্ছেমত মিথ্যাচার করছে। আমার মনে পড়ে, এর আগেও সে লাইভে এসে জেনারেল ইকবাল করিম সম্পর্কে বেশ কিছু মিথ্যাচার করেছিল, যা সে আবার আপনার চ্যানেলেও করেছে। কোন সন্দেহই নেই যে মুস্তাফিজ নিজেকে নির্দোষ প্রমানে জেনারেল ইকবাল করিমের চরিত্র হনন করার চেষ্টায় লিপ্ত। এতে আরও পরিষ্কার বোঝা যায়, সে নিজেকে দায়মুক্ত করার আপ্রাণ চেষ্টা করছে। উদাহরণস্বরূপ, সে উল্লেখ করেছে, জেনারেল ইকবাল করিম সেনাপ্রধান থাকা অবস্থায় সেনাবাহিনীর পোশাকের রং পরিবর্তন করেছিলেন, অথচ এটি করা হয়েছিল জেনারেল মুবিনের সময়। জেনারেল মুবিন যদি তা করেও থাকেন, সেটি নিয়ম মেনে করা হয়েছিল এবং এই পরিবর্তনের মাধ্যমে প্রতিবেশী দেশের সাথে সম্পর্ক আনা সম্পূর্ণভাবে অপ্রাসঙ্গিক।
তৃতীয় অংশঃ মুস্তাফিজের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার আরও একটি উদাহরণ দিচ্ছি। যেমন, জেনারেল মুবিন এবং জেনারেল ইকবাল করিমের আগে সেনাবাহিনীতে জেনারেল সফিউল্লাহ এবং জেনারেল জিয়া একই কোর্সের ব্যাচমেট ছিলেন, যারা পরে সেনাপ্রধান হন। একইভাবে, বিমান বাহিনীতে এয়ার মার্শাল ইসরার এবং এয়ার চিফ মার্শাল এনামুল বারী একই কোর্সের ব্যাচমেট ছিলেন এবং নৌবাহিনীতে ভাইস এডমিরাল জেড ইউ আহমেদ এবং এডমিরাল ফরিদ হাবীব একই কোর্সের ব্যাচমেট ছিলেন, যারা পরে নৌবাহিনীর প্রধান হন। এখন, একই কোর্স থেকে দুইজন সেনাপ্রধান হলে মুস্তাফিজের উচিত জেনারেল মুবিন বা জেনারেল ইকবাল করিমকে দোষারোপ না করে বরং রাষ্ট্রপ্রধানকে প্রশ্ন করা কেন একই কোর্স থেকে দুইজনকে সেনাপ্রধান করা হয়েছে। আমি এর আগেও লক্ষ্য করেছি, আপনার বুদ্ধিদীপ্ত প্রশ্নগুলো টক শোয়ের আবেদন বহু গুণ বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু এই শোতে তা অনুপস্থিত ছিল। মুস্তাফিজ বলছিলেন, সেনাপ্রধান হওয়ার জন্য জেনারেল ইকবাল করিম প্রতিবেশী দেশের সমর্থন নিয়েছিলেন। আমি আশা করেছিলাম, আপনি এ অদ্ভুত দাবি নিয়ে মুস্তাফিজকে প্রশ্ন করবেন-ইকবাল করিম কার সমর্থন পেয়েছিলেন? প্রণব মুখার্জীর? মনমোহন সিংহের? অথবা "র" এর কোন কর্মকর্তার? যদি এমন যোগাযোগ হয়ে থাকে, তবে উনার নাম কী? কোনো তথ্যপ্রমাণ বা কল রেকর্ড আছে কি? যাই হোক, ভবিষ্যতে এ বিষয়ে একটু খেয়াল রাখবেন। কনক ভাই, আমি যা বলেছি, তার সবকিছুই দালিলিক প্রমাণসহ সেনাবাহিনীর দপ্তরে সংরক্ষিত আছে। ম্যাডাম খালেদা জিয়াকে এভাবে সেনানিবাস থেকে উচ্ছেদের ঘটনা ছিল সম্পূর্ণরূপে অনৈতিক এবং মানবতাবিরোধী। একজন অত্যন্ত সম্মানীয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে এমন ন্যাক্কারজনকভাবে, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুস্তাফিজদের মতো অনুগত গোয়েন্দাদের মাধ্যমে উচ্ছেদ করা ইতিহাসে নজিরবিহীন। এতে প্রমাণিত হয়, খুনী হাসিনা সরকার ফ্যাসিজমের কোন পর্যায়ে পৌঁছেছিল।
@SakibHyder 1 day ago প্রথম অংশঃ কনক ভাই, আমি কানাডায় থাকি, একজন প্রাক্তন সামরিক অফিসার। আমি ফ্যাসিস্ট সরকারের দ্বারা নির্যাতিত হয়েছি, কিন্তু আমার কোনো আক্ষেপ নেই, কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। সবকিছুই মহান আল্লাহর ইচ্ছায় পরিচালিত হয়। আমি আপনার চ্যানেলের একজন নিয়মিত শ্রোতা এবং ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনে আপনার ভূমিকা নিঃসন্দেহে জাতি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে। আমি নিরুপায় হয়েই এই কথা লিখতে বসেছি। আমি চাই না আপনার চ্যানেলের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণ মিথ্যা কিছু শুনুক বা তা বিশ্বাস করুক। লেঃ কর্নেল মুস্তাফিজের সঙ্গে আপনার গতকালের টকশোতে তার মুখ থেকে কিছু মিথ্যা বক্তব্য শুনে আমি সত্যিই বিস্মিত হয়েছি। না জেনে কিছু বলা উচিত নয়, কারণ পরবর্তীতে এগুলো রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার হতে পারে। গত সপ্তাহে এক ডিনারের আড্ডায় মুস্তাফিজ সম্পর্কে আলোচনা হচ্ছিল। সেনাবাহিনী নিয়ে তার কিছু অপ্রাসঙ্গিক বক্তব্য দিয়ে সে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে, অথচ এগুলোর সিকিভাগও সত্য নয়, তা নিয়ে আমরা আলোচনা করছিলাম। কনক ভাই, আমি অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য সূত্র এবং ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে লেঃ কর্নেল মুস্তাফিজের বক্তব্যের বিরোধিতা করব। ইনশাআল্লাহ, তদন্তে ১০০% সত্য বেরিয়ে আসবে। তবে আমি অবাক হয়েছি, যে আপনার জনপ্রিয় চ্যানেলে এমন একজন সাধারণ মানের অফিসারকে ক্রমাগত মিথ্যাচার এবং সিনিয়র সামরিক/অবসরপ্রাপ্ত অফিসারদের চরিত্র হননের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। একজন অফিসার, যিনি স্টাফ কলেজ করার যোগ্যতাও অর্জন করতে পারেননি এবং সামরিক রণকৌশল সম্পর্কে যিনি কিছুই জানেন না, যখন আমাদের সিনিয়র অফিসারদের স্ট্র্যাটেজি শেখাতে চান, তখন স্তম্ভিত হওয়া স্বাভাবিক। আমি এই অফিসারকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি এবং পূর্বপরিচিত। আমি তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কিছু বলতে চাই না। সে বেশিরভাগ সময় গোয়েন্দা বিভাগে কাজ করেছে। আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার একই মতাদর্শের না হলে কোনো অফিসারকে গোয়েন্দা বিভাগে কাজের সুযোগ দিত না। এ বিষয়ে তারা কঠোরভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়া মেনে চলত। তার কমান্ডিং অফিসার কর্নেল আখতার হামিদ খান আওয়ামী ঘরানার লোক ছিলেন, এবং মুস্তাফিজ তার সবচেয়ে আস্থাভাজন অফিসার ছিল। আখতার হামিদের সমস্ত দুষ্কর্মের অংশীদার ছিল সে। আপনার চ্যানেলে কর্নেল হাসিনের গুম নিয়ে অগ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা দিলেও, সে লেঃ কর্নেল জাহিদকে কীভাবে গুম করেছে, তা নিয়ে কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি। এই অফিসার, লেঃ কর্নেল জাহিদ, মসজিদ থেকে বের হওয়ার পর দ্রুত একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়, বস্তায় ভরে, গাড়ির ভেতরেই মারধর করে ডিজিএফআই অফিসে নিয়ে আসে। ম্যাডাম খালেদা জিয়াকে তার বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করার সময়, তিনি এবং তার সিও ম্যাডাম জিয়ার বেডরুমের দরজা ভেঙে ফেলেন। পরে, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মকসুরুল বেগম জিয়ার ফ্রিজে মদ এবং বেডসাইড টেবিলে অশালীন পুস্তক রেখে দেন, তখন এই অফিসারটি সবসময় তার সঙ্গে ছিল। সে যতই নিজেকে একজন জুনিয়র অফিসার হিসেবে দায়মুক্তি পাওয়ার চেষ্টা করুক না কেন, সেনাবাহিনীর নিয়ম অনুযায়ী একজন ফিল্ড অফিসারের পক্ষে এমন কাজ অগ্রহণযোগ্য। তার আচরণ ছিল এমন, যেন সে যা করবে তা ন্যায্য, কিন্তু অন্য কেউ করলে তা অন্যায় হবে। সেনাবাহিনীর নিয়ম অনুযায়ী, সেনাপ্রধান যখন বিদেশে থাকেন, তখন দ্বিতীয় জ্যেষ্ঠ অফিসার ভারপ্রাপ্ত সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সেই হিসাবে, যখন জেনারেল মবিন বিদেশে থাকতেন, তখন জেনারেল ইকবাল করিম ভুইয়া ভারপ্রাপ্ত সেনাপ্রধান হতেন। ঘটনার সময়, যেহেতু জেনারেল মবিন এবং জেনারেল ইকবাল করিম উভয়ই বিদেশে ছিলেন, তৃতীয় জ্যেষ্ঠ অফিসার হিসেবে লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাইনুল ইসলাম ভারপ্রাপ্ত সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। সাধারণত, এ বিষয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একটি চিঠি জারি হয়, এবং সেই চিঠি দপ্তরে সংরক্ষিত আছে, যা একটি প্রামাণ্য দলিল হিসেবেই বিবেচিত।
বিতীয় অংশঃ আমি ঘটনাটি খুব কাছ থেকে প্রত্যক্ষ করার সুযোগ পেয়েছিলাম। আমার স্মৃতি অনুযায়ী, পুরো ব্যাপারটি পরিচালিত হয়েছিল মেজর জেনারেল তারেক সিদ্দিকীর নেতৃত্বে। তাকে সহায়তা করেন প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, এএফড্ লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াদুদ, ভারপ্রাপ্ত সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাইনুল, মহাপরিচালক ডিজিএফআই লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোল্লা ফজলে আকবর, এবং পরিচালক, সিআইব্ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মামুন খালেদ, ম্যাডাম খালেদা জিয়াকে তার বাসভবন থেকে উচ্ছেদ করার প্রথম বৈঠকটি হয় আর্মড ফোর্সেস ডিভিশনে,২০১০ সাল, ১২ নভেম্বর সকাল ১১টায়। ম্যাডাম খালেদা জিয়াকে সেনানিবাস থেকে সরানোর বিষয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা করা হয়। কুখ্যাত জেনারেল তারেক সিদ্দিকীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে এই অপারেশন পরিচালিত হয়, যেখানে অংশ নেন ভারপ্রাপ্ত সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাইনুল, মহাপরিচালক ডিজিএফআই, সামরিক গোয়েন্দা পরিদপ্তরের পরিচালক, ইঞ্জিনিয়ার ব্রিগেড কমান্ডার, ৪৬ ব্রিগেড কমান্ডার, সিআইবি পরিচালক, এবং ডিজিএফআই ঢাকা শাখার অধিনায়কসহ অন্যান্যরা। দ্বিতীয় মিটিংটি হয় বিকালে, সেনা দপ্তরে, যেখানে ভারপ্রাপ্ত সেনাপ্রধান জেনারেল মাইনুল সভাপতিত্ব করেন। উপস্থিত ছিলেন সামরিক অপারেশনের পরিচালক, সামরিক গোয়েন্দা পরিদপ্তরের পরিচালক, ইঞ্জিনিয়ার ব্রিগেড কমান্ডার, ৪৬ ব্রিগেড কমান্ডার, সিআইবি পরিচালক, ডিজিএফআই অধিনায়ক, সামরিক গোয়েন্দা ইউনিটের কমান্ডার, ক্যান্টনমেন্ট এক্সিকিউটিভ অফিসার, স্টেশন কমান্ডার এবং আইএসপিআর এর পরিচালক। তৃতীয় মিটিংটি হয় খোদ ডিজিএফআই সদর দপ্তরে, রাত ১০টায়, যেখানে সভাপতিত্ব করেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মামুন খালেদ। আরও উপস্থিত ছিলেন কর্নেল সরোয়ার (ডিজিএফআই), কর্নেল আকবর (ঢাকা শাখা অধিনায়ক, ডিজিএফআই), লেফটেন্যান্ট কর্নেল ওয়ালি (এইসি), স্টেশন কমান্ডারসহ আরও কয়েকজন। মেজর জেনারেল তারেক সিদ্দিকী নিজেই উপস্থিত থেকে পুরো ঘটনা নিখুঁতভাবে পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করেন। তাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছিল ডিজিএফআই এবং ভারপ্রাপ্ত সেনাপ্রধান জেনারেল মাইনুল। এ উচ্ছেদ ছিল ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার ফসল। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ডিজিএফআই এবং সেনা গোয়েন্দারা সরাসরি জড়িত ছিল। অত্যন্ত বিশ্বস্ত ও পরীক্ষিত গোয়েন্দা অফিসারদের ছাড়া এ কাজ বাস্তবায়ন সম্ভব ছিল না। লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুস্তাফিজকে একজন অনুগত, অত্যন্ত বিশ্বস্ত এবং দৃঢ়প্রতিজ্ঞ অফিসার হিসেবে এ কাজে নিয়োজিত করা হয়েছিল। এটি অস্বীকার করার সুযোগ হয়তো তার নেই। অত্যন্ত কৌশলে, সবার দৃষ্টি অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতে, সে অপ্রাসঙ্গিকভাবে জেনারেল ইকবাল করিমের মতো ব্যক্তিকে মাস্টারমাইন্ড বলার ধৃষ্টতা দেখাচ্ছে, যদিও জেনারেল ইকবাল করিম ছিলেন কিউ এম জি এবং ঘটনার সময় দেশের বাইরে ছিলেন। আমি লক্ষ্য করেছি, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুস্তাফিজ গল্পের আকারে অত্যন্ত চতুরতার সঙ্গে নিজের ইচ্ছেমত মিথ্যাচার করছে। আমার মনে পড়ে, এর আগেও সে লাইভে এসে জেনারেল ইকবাল করিম সম্পর্কে বেশ কিছু মিথ্যাচার করেছিল, যা সে আবার আপনার চ্যানেলেও করেছে। কোন সন্দেহই নেই যে মুস্তাফিজ নিজেকে নির্দোষ প্রমানে জেনারেল ইকবাল করিমের চরিত্র হনন করার চেষ্টায় লিপ্ত। এতে আরও পরিষ্কার বোঝা যায়, সে নিজেকে দায়মুক্ত করার আপ্রাণ চেষ্টা করছে। উদাহরণস্বরূপ, সে উল্লেখ করেছে, জেনারেল ইকবাল করিম সেনাপ্রধান থাকা অবস্থায় সেনাবাহিনীর পোশাকের রং পরিবর্তন করেছিলেন, অথচ এটি করা হয়েছিল জেনারেল মুবিনের সময়। জেনারেল মুবিন যদি তা করেও থাকেন, সেটি নিয়ম মেনে করা হয়েছিল এবং এই পরিবর্তনের মাধ্যমে প্রতিবেশী দেশের সাথে সম্পর্ক আনা সম্পূর্ণভাবে অপ্রাসঙ্গিক।
তৃতীয় অংশঃ মুস্তাফিজের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার আরও একটি উদাহরণ দিচ্ছি। যেমন, জেনারেল মুবিন এবং জেনারেল ইকবাল করিমের আগে সেনাবাহিনীতে জেনারেল সফিউল্লাহ এবং জেনারেল জিয়া একই কোর্সের ব্যাচমেট ছিলেন, যারা পরে সেনাপ্রধান হন। একইভাবে, বিমান বাহিনীতে এয়ার মার্শাল ইসরার এবং এয়ার চিফ মার্শাল এনামুল বারী একই কোর্সের ব্যাচমেট ছিলেন এবং নৌবাহিনীতে ভাইস এডমিরাল জেড ইউ আহমেদ এবং এডমিরাল ফরিদ হাবীব একই কোর্সের ব্যাচমেট ছিলেন, যারা পরে নৌবাহিনীর প্রধান হন। এখন, একই কোর্স থেকে দুইজন সেনাপ্রধান হলে মুস্তাফিজের উচিত জেনারেল মুবিন বা জেনারেল ইকবাল করিমকে দোষারোপ না করে বরং রাষ্ট্রপ্রধানকে প্রশ্ন করা কেন একই কোর্স থেকে দুইজনকে সেনাপ্রধান করা হয়েছে। আমি এর আগেও লক্ষ্য করেছি, আপনার বুদ্ধিদীপ্ত প্রশ্নগুলো টক শোয়ের আবেদন বহু গুণ বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু এই শোতে তা অনুপস্থিত ছিল। মুস্তাফিজ বলছিলেন, সেনাপ্রধান হওয়ার জন্য জেনারেল ইকবাল করিম প্রতিবেশী দেশের সমর্থন নিয়েছিলেন। আমি আশা করেছিলাম, আপনি এ অদ্ভুত দাবি নিয়ে মুস্তাফিজকে প্রশ্ন করবেন-ইকবাল করিম কার সমর্থন পেয়েছিলেন? প্রণব মুখার্জীর? মনমোহন সিংহের? অথবা "র" এর কোন কর্মকর্তার? যদি এমন যোগাযোগ হয়ে থাকে, তবে উনার নাম কী? কোনো তথ্যপ্রমাণ বা কল রেকর্ড আছে কি? যাই হোক, ভবিষ্যতে এ বিষয়ে একটু খেয়াল রাখবেন। কনক ভাই, আমি যা বলেছি, তার সবকিছুই দালিলিক প্রমাণসহ সেনাবাহিনীর দপ্তরে সংরক্ষিত আছে। ম্যাডাম খালেদা জিয়াকে এভাবে সেনানিবাস থেকে উচ্ছেদের ঘটনা ছিল সম্পূর্ণরূপে অনৈতিক এবং মানবতাবিরোধী। একজন অত্যন্ত সম্মানীয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে এমন ন্যাক্কারজনকভাবে, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুস্তাফিজদের মতো অনুগত গোয়েন্দাদের মাধ্যমে উচ্ছেদ করা ইতিহাসে নজিরবিহীন। এতে প্রমাণিত হয়, খুনী হাসিনা সরকার ফ্যাসিজমের কোন পর্যায়ে পৌঁছেছিল।
এই বান্দরের বাচ্চা কে বিভিন্ন অপরাধ এর কারণে আর্মি থেকে বের করে দেয়া হয়েছিল। এখন সে বাংলাদেশ আর্মি র পিছনে লেগেছে… আর্মিতে থাকাকালীন যত খারাপ কাজের হোতা ছিল সে …
@@Hosain1999 @SakibHyder 1 day ago প্রথম অংশঃ কনক ভাই, আমি কানাডায় থাকি, একজন প্রাক্তন সামরিক অফিসার। আমি ফ্যাসিস্ট সরকারের দ্বারা নির্যাতিত হয়েছি, কিন্তু আমার কোনো আক্ষেপ নেই, কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। সবকিছুই মহান আল্লাহর ইচ্ছায় পরিচালিত হয়। আমি আপনার চ্যানেলের একজন নিয়মিত শ্রোতা এবং ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনে আপনার ভূমিকা নিঃসন্দেহে জাতি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে। আমি নিরুপায় হয়েই এই কথা লিখতে বসেছি। আমি চাই না আপনার চ্যানেলের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণ মিথ্যা কিছু শুনুক বা তা বিশ্বাস করুক। লেঃ কর্নেল মুস্তাফিজের সঙ্গে আপনার গতকালের টকশোতে তার মুখ থেকে কিছু মিথ্যা বক্তব্য শুনে আমি সত্যিই বিস্মিত হয়েছি। না জেনে কিছু বলা উচিত নয়, কারণ পরবর্তীতে এগুলো রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার হতে পারে। গত সপ্তাহে এক ডিনারের আড্ডায় মুস্তাফিজ সম্পর্কে আলোচনা হচ্ছিল। সেনাবাহিনী নিয়ে তার কিছু অপ্রাসঙ্গিক বক্তব্য দিয়ে সে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে, অথচ এগুলোর সিকিভাগও সত্য নয়, তা নিয়ে আমরা আলোচনা করছিলাম। কনক ভাই, আমি অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য সূত্র এবং ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে লেঃ কর্নেল মুস্তাফিজের বক্তব্যের বিরোধিতা করব। ইনশাআল্লাহ, তদন্তে ১০০% সত্য বেরিয়ে আসবে। তবে আমি অবাক হয়েছি, যে আপনার জনপ্রিয় চ্যানেলে এমন একজন সাধারণ মানের অফিসারকে ক্রমাগত মিথ্যাচার এবং সিনিয়র সামরিক/অবসরপ্রাপ্ত অফিসারদের চরিত্র হননের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। একজন অফিসার, যিনি স্টাফ কলেজ করার যোগ্যতাও অর্জন করতে পারেননি এবং সামরিক রণকৌশল সম্পর্কে যিনি কিছুই জানেন না, যখন আমাদের সিনিয়র অফিসারদের স্ট্র্যাটেজি শেখাতে চান, তখন স্তম্ভিত হওয়া স্বাভাবিক। আমি এই অফিসারকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি এবং পূর্বপরিচিত। আমি তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কিছু বলতে চাই না। সে বেশিরভাগ সময় গোয়েন্দা বিভাগে কাজ করেছে। আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার একই মতাদর্শের না হলে কোনো অফিসারকে গোয়েন্দা বিভাগে কাজের সুযোগ দিত না। এ বিষয়ে তারা কঠোরভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়া মেনে চলত। তার কমান্ডিং অফিসার কর্নেল আখতার হামিদ খান আওয়ামী ঘরানার লোক ছিলেন, এবং মুস্তাফিজ তার সবচেয়ে আস্থাভাজন অফিসার ছিল। আখতার হামিদের সমস্ত দুষ্কর্মের অংশীদার ছিল সে। আপনার চ্যানেলে কর্নেল হাসিনের গুম নিয়ে অগ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা দিলেও, সে লেঃ কর্নেল জাহিদকে কীভাবে গুম করেছে, তা নিয়ে কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি। এই অফিসার, লেঃ কর্নেল জাহিদ, মসজিদ থেকে বের হওয়ার পর দ্রুত একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়, বস্তায় ভরে, গাড়ির ভেতরেই মারধর করে ডিজিএফআই অফিসে নিয়ে আসে। ম্যাডাম খালেদা জিয়াকে তার বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করার সময়, তিনি এবং তার সিও ম্যাডাম জিয়ার বেডরুমের দরজা ভেঙে ফেলেন। পরে, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মকসুরুল বেগম জিয়ার ফ্রিজে মদ এবং বেডসাইড টেবিলে অশালীন পুস্তক রেখে দেন, তখন এই অফিসারটি সবসময় তার সঙ্গে ছিল। সে যতই নিজেকে একজন জুনিয়র অফিসার হিসেবে দায়মুক্তি পাওয়ার চেষ্টা করুক না কেন, সেনাবাহিনীর নিয়ম অনুযায়ী একজন ফিল্ড অফিসারের পক্ষে এমন কাজ অগ্রহণযোগ্য। তার আচরণ ছিল এমন, যেন সে যা করবে তা ন্যায্য, কিন্তু অন্য কেউ করলে তা অন্যায় হবে। সেনাবাহিনীর নিয়ম অনুযায়ী, সেনাপ্রধান যখন বিদেশে থাকেন, তখন দ্বিতীয় জ্যেষ্ঠ অফিসার ভারপ্রাপ্ত সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সেই হিসাবে, যখন জেনারেল মবিন বিদেশে থাকতেন, তখন জেনারেল ইকবাল করিম ভুইয়া ভারপ্রাপ্ত সেনাপ্রধান হতেন। ঘটনার সময়, যেহেতু জেনারেল মবিন এবং জেনারেল ইকবাল করিম উভয়ই বিদেশে ছিলেন, তৃতীয় জ্যেষ্ঠ অফিসার হিসেবে লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাইনুল ইসলাম ভারপ্রাপ্ত সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। সাধারণত, এ বিষয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একটি চিঠি জারি হয়, এবং সেই চিঠি দপ্তরে সংরক্ষিত আছে, যা একটি প্রামাণ্য দলিল হিসেবেই বিবেচিত।
@@Hosain1999 বিতীয় অংশঃ আমি ঘটনাটি খুব কাছ থেকে প্রত্যক্ষ করার সুযোগ পেয়েছিলাম। আমার স্মৃতি অনুযায়ী, পুরো ব্যাপারটি পরিচালিত হয়েছিল মেজর জেনারেল তারেক সিদ্দিকীর নেতৃত্বে। তাকে সহায়তা করেন প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, এএফড্ লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াদুদ, ভারপ্রাপ্ত সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাইনুল, মহাপরিচালক ডিজিএফআই লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোল্লা ফজলে আকবর, এবং পরিচালক, সিআইব্ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মামুন খালেদ, ম্যাডাম খালেদা জিয়াকে তার বাসভবন থেকে উচ্ছেদ করার প্রথম বৈঠকটি হয় আর্মড ফোর্সেস ডিভিশনে,২০১০ সাল, ১২ নভেম্বর সকাল ১১টায়। ম্যাডাম খালেদা জিয়াকে সেনানিবাস থেকে সরানোর বিষয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা করা হয়। কুখ্যাত জেনারেল তারেক সিদ্দিকীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে এই অপারেশন পরিচালিত হয়, যেখানে অংশ নেন ভারপ্রাপ্ত সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাইনুল, মহাপরিচালক ডিজিএফআই, সামরিক গোয়েন্দা পরিদপ্তরের পরিচালক, ইঞ্জিনিয়ার ব্রিগেড কমান্ডার, ৪৬ ব্রিগেড কমান্ডার, সিআইবি পরিচালক, এবং ডিজিএফআই ঢাকা শাখার অধিনায়কসহ অন্যান্যরা। দ্বিতীয় মিটিংটি হয় বিকালে, সেনা দপ্তরে, যেখানে ভারপ্রাপ্ত সেনাপ্রধান জেনারেল মাইনুল সভাপতিত্ব করেন। উপস্থিত ছিলেন সামরিক অপারেশনের পরিচালক, সামরিক গোয়েন্দা পরিদপ্তরের পরিচালক, ইঞ্জিনিয়ার ব্রিগেড কমান্ডার, ৪৬ ব্রিগেড কমান্ডার, সিআইবি পরিচালক, ডিজিএফআই অধিনায়ক, সামরিক গোয়েন্দা ইউনিটের কমান্ডার, ক্যান্টনমেন্ট এক্সিকিউটিভ অফিসার, স্টেশন কমান্ডার এবং আইএসপিআর এর পরিচালক। তৃতীয় মিটিংটি হয় খোদ ডিজিএফআই সদর দপ্তরে, রাত ১০টায়, যেখানে সভাপতিত্ব করেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মামুন খালেদ। আরও উপস্থিত ছিলেন কর্নেল সরোয়ার (ডিজিএফআই), কর্নেল আকবর (ঢাকা শাখা অধিনায়ক, ডিজিএফআই), লেফটেন্যান্ট কর্নেল ওয়ালি (এইসি), স্টেশন কমান্ডারসহ আরও কয়েকজন। মেজর জেনারেল তারেক সিদ্দিকী নিজেই উপস্থিত থেকে পুরো ঘটনা নিখুঁতভাবে পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করেন। তাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছিল ডিজিএফআই এবং ভারপ্রাপ্ত সেনাপ্রধান জেনারেল মাইনুল। এ উচ্ছেদ ছিল ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার ফসল। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ডিজিএফআই এবং সেনা গোয়েন্দারা সরাসরি জড়িত ছিল। অত্যন্ত বিশ্বস্ত ও পরীক্ষিত গোয়েন্দা অফিসারদের ছাড়া এ কাজ বাস্তবায়ন সম্ভব ছিল না। লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুস্তাফিজকে একজন অনুগত, অত্যন্ত বিশ্বস্ত এবং দৃঢ়প্রতিজ্ঞ অফিসার হিসেবে এ কাজে নিয়োজিত করা হয়েছিল। এটি অস্বীকার করার সুযোগ হয়তো তার নেই। অত্যন্ত কৌশলে, সবার দৃষ্টি অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতে, সে অপ্রাসঙ্গিকভাবে জেনারেল ইকবাল করিমের মতো ব্যক্তিকে মাস্টারমাইন্ড বলার ধৃষ্টতা দেখাচ্ছে, যদিও জেনারেল ইকবাল করিম ছিলেন কিউ এম জি এবং ঘটনার সময় দেশের বাইরে ছিলেন। আমি লক্ষ্য করেছি, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুস্তাফিজ গল্পের আকারে অত্যন্ত চতুরতার সঙ্গে নিজের ইচ্ছেমত মিথ্যাচার করছে। আমার মনে পড়ে, এর আগেও সে লাইভে এসে জেনারেল ইকবাল করিম সম্পর্কে বেশ কিছু মিথ্যাচার করেছিল, যা সে আবার আপনার চ্যানেলেও করেছে। কোন সন্দেহই নেই যে মুস্তাফিজ নিজেকে নির্দোষ প্রমানে জেনারেল ইকবাল করিমের চরিত্র হনন করার চেষ্টায় লিপ্ত। এতে আরও পরিষ্কার বোঝা যায়, সে নিজেকে দায়মুক্ত করার আপ্রাণ চেষ্টা করছে। উদাহরণস্বরূপ, সে উল্লেখ করেছে, জেনারেল ইকবাল করিম সেনাপ্রধান থাকা অবস্থায় সেনাবাহিনীর পোশাকের রং পরিবর্তন করেছিলেন, অথচ এটি করা হয়েছিল জেনারেল মুবিনের সময়। জেনারেল মুবিন যদি তা করেও থাকেন, সেটি নিয়ম মেনে করা হয়েছিল এবং এই পরিবর্তনের মাধ্যমে প্রতিবেশী দেশের সাথে সম্পর্ক আনা সম্পূর্ণভাবে অপ্রাসঙ্গিক।
তৃতীয় অংশঃ মুস্তাফিজের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার আরও একটি উদাহরণ দিচ্ছি। যেমন, জেনারেল মুবিন এবং জেনারেল ইকবাল করিমের আগে সেনাবাহিনীতে জেনারেল সফিউল্লাহ এবং জেনারেল জিয়া একই কোর্সের ব্যাচমেট ছিলেন, যারা পরে সেনাপ্রধান হন। একইভাবে, বিমান বাহিনীতে এয়ার মার্শাল ইসরার এবং এয়ার চিফ মার্শাল এনামুল বারী একই কোর্সের ব্যাচমেট ছিলেন এবং নৌবাহিনীতে ভাইস এডমিরাল জেড ইউ আহমেদ এবং এডমিরাল ফরিদ হাবীব একই কোর্সের ব্যাচমেট ছিলেন, যারা পরে নৌবাহিনীর প্রধান হন। এখন, একই কোর্স থেকে দুইজন সেনাপ্রধান হলে মুস্তাফিজের উচিত জেনারেল মুবিন বা জেনারেল ইকবাল করিমকে দোষারোপ না করে বরং রাষ্ট্রপ্রধানকে প্রশ্ন করা কেন একই কোর্স থেকে দুইজনকে সেনাপ্রধান করা হয়েছে। আমি এর আগেও লক্ষ্য করেছি, আপনার বুদ্ধিদীপ্ত প্রশ্নগুলো টক শোয়ের আবেদন বহু গুণ বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু এই শোতে তা অনুপস্থিত ছিল। মুস্তাফিজ বলছিলেন, সেনাপ্রধান হওয়ার জন্য জেনারেল ইকবাল করিম প্রতিবেশী দেশের সমর্থন নিয়েছিলেন। আমি আশা করেছিলাম, আপনি এ অদ্ভুত দাবি নিয়ে মুস্তাফিজকে প্রশ্ন করবেন-ইকবাল করিম কার সমর্থন পেয়েছিলেন? প্রণব মুখার্জীর? মনমোহন সিংহের? অথবা "র" এর কোন কর্মকর্তার? যদি এমন যোগাযোগ হয়ে থাকে, তবে উনার নাম কী? কোনো তথ্যপ্রমাণ বা কল রেকর্ড আছে কি? যাই হোক, ভবিষ্যতে এ বিষয়ে একটু খেয়াল রাখবেন। কনক ভাই, আমি যা বলেছি, তার সবকিছুই দালিলিক প্রমাণসহ সেনাবাহিনীর দপ্তরে সংরক্ষিত আছে। ম্যাডাম খালেদা জিয়াকে এভাবে সেনানিবাস থেকে উচ্ছেদের ঘটনা ছিল সম্পূর্ণরূপে অনৈতিক এবং মানবতাবিরোধী। একজন অত্যন্ত সম্মানীয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে এমন ন্যাক্কারজনকভাবে, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুস্তাফিজদের মতো অনুগত গোয়েন্দাদের মাধ্যমে উচ্ছেদ করা ইতিহাসে নজিরবিহীন। এতে প্রমাণিত হয়, খুনী হাসিনা সরকার ফ্যাসিজমের কোন পর্যায়ে পৌঁছেছিল।
সেনাবাহিনী আর রাজনীতিতে জড়াবে না বিতর্কিত হওয়ার জন্য আপনি নিশ্চিত থাকেন। ওরা ওদের হারানো গৌরব পুনরুদ্ধারের ব্যস্ত থাকবে। উপরের দিকে অফিসাররা চাইলেও নিচের এবং ফিলড লেভেলের সৈন্যরা এটাতে বাধা দেবে।
ধন্যবাদ স্যার আপনাকে
আলহামদুলিল্লাহ সেনা সরকার দরকার
Cha-gol. Bangladesher Madrasa bahini ekta 4th class army jongir dal
Assalamualaikum.Thank you very much for supporting the country.
এই অতিব গূরূত্বপূর্ণ সংবাদ বিশ্লেষণ জনসম্মুখে উপস্থাপন করার জন্য লেঃ কর্নেল অবসরপ্রাপ্ত মোস্তাফিজূর রহমান ভাইকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা অনন্তর। ❤❤❤
বাংলাদেশের ভাগ্য আল্লাহ পাক অনেক আগেই নির্ধারণ করে রাখছেন। তার পরেও সরকার পক্ষের স্যারের কথা গুলো শুনা উচিত।
Thank you Mosfiz vai.
সেনাবাহিনীর সরকার বার বার দরকার
সেনাবাহিনীর সরকার হলে হেব্বি হবে হেব্বি ❤️❤️❤️❤️
Right Information
Thanks for revealed truth
ঠিক সহমত
রাজনৈতিক দল গঠিত হলে আপনার কি অসুবিধা হবে। রাজনৈতিক যদি দেশের জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেন।
জনগণের ভোট পাবে। আপনার চুলকানি কেন ভাই।
আপনারও তো কম চুলকাচ্ছে না!!
TUI to sudanir pola@@Jawher00
উনি বিশেষ দলের একটি দালাল। ক্ষমতা নাই তার জ্বালা সহ্য করতে পারছেন না। এটাই প্রতিহিংসা।
আপনি সিনিয়র অফিসারদের নামে প্রপাকান্ডা করছেন। আপনার ডিসিপ্লিন ঠিক নেই। আপনার বেসিক ট্রেনিং সঠিক ছিলনা
চুরি করে চাকরি গেছে এই লোকের।
Uni hijbut tahrir er member.
আওয়ামীলীগ লেস্পেন্সার হয়ে থাকেন তাহলে বলার কিছু নাই, আর আর যদি না হন তাহলে শুনেন আওয়ামী আমলে হাসিনার আশীর্বাদ ছাড়াই জেনারেল হয়ে গেছে? আর আপনি বলছেন ডিসিপ্লিন ঠিক নেই, উনি একজন কমান্ডো
Unare Army chakri theke bair kore disilo durniti r jonno.... Eta Iqbal Karim er somoy hoisilo jar jonno tini Iqbal Karim ke niye mittha kotha choraise.
😂😂😂
sm Motiur rahman sir ভালো মানুষ 100%
Need this system for Bangladesh.
Gr8 analysis ❤❤❤❤
Good luck
মতিউর রহমান স্যারকে নিয়ে বিভ্রান্তি মূলক কথা ছরাবেন না।।
উনি একজন সৎ ও ভালো মানুষ
এর জন্যই সেনাদের ম্যাজিস্ট্রেট পাওয়ার দেওয়ার পরেও কেনো কাজ করছেনা?
Ar ki ki kaj korbe?..
Apnar puutkir moddhe baash dibe ?😂😂
ইন্ডিয়া প্রবকান্ড ছড়ায়
আল্ল দয়া করুন, আমিন
জনগন বুঝেশুনে ভোট দিবেন।
❤
আজগুবি আলাপ বন্ধ করুন
আয়নাঘর ১ টা না, এই পর্জন্ত ৮ টা আয়নাঘর বের হইছে। কচুখেত, গুলশান, মিন্টো রোড দিবি পফিস, ল্যাব হেডকোয়ার্টার, এস বি অফিস, পোলিশ হেডকোয়ার্টার এও আয়নাঘর আছে। এইগুলা হইল গুমঘর, পপুলার নাম হল আয়নাঘর
বেশির ভাগ সময় এই লোক ভুয়া খবর দেয়। মোস্তাফিজ সাহেব একজন প্রপাগাণ্ডা মাস্টার।
So true!
মতিউর ধিক ধিক
What is ur intention?
Only you tube view business
Gupone na sok kichu howa uchit khubi clear
মতিউর রহমান জুয়েল স্যার সেনাবাহিনির একজন ভাল অফিসার ছিলেন উনাকে জরিয়ে এই ধরনের বিভ্রান্তি কর ভুয়া নিউজ বন্ধ করুন্ন।
আপনি একজন সৈনিক ছিলেন আপনার মতো লোক কিভাবে বলেন যে আয়নাঘর ছিল বা আছে
এই লোক একজন প্রোপাগান্ডার মাস্টার হেডমাস্টার
উনি যদি গুজব ছাড়োয় তাহলে আপনি ইনভেস্টিগেশন করে সঠিক টা জানিয়ে দিন এর
আপনার কথার কোন মূল্য নাই
All are pro AL ,what s the problem?
Sena bahini ki rajnouitik dol korte pare naki?
ফালতূ আলোচনা
Do u know matiur😊
You are so unreliable! How can people trust your analysis? You and Zulkarnain Saer act as if you are so-called "Pirs," while all your viewers are "Murids" in the context of Bangladesh. What do you think about this young generation? They are much smarter than both of you. So, before you start speaking nonsense, ensure you understand the quality of your audience.
Mustafiz is a propagandist. He lost his job from army and now pretending he knows everything. He is a lier- Bangladesh army should take action against this propagandist.
Mustafiz is a propagandist. He lost his job from army and now pretending he knows everything. He is a lier- Bangladesh army should take action against this propagandist.
@@Hosain1999 Mustafiz is a propagandist. He was sacked from army and taking revenge against people those were successful. Psychopath
Senabahinir spy hossen apni.
U r very cunning but good for nothing
😂😂
@SakibHyder
1 day ago
প্রথম অংশঃ কনক ভাই, আমি কানাডায় থাকি, একজন প্রাক্তন সামরিক অফিসার। আমি ফ্যাসিস্ট সরকারের দ্বারা নির্যাতিত হয়েছি, কিন্তু আমার কোনো আক্ষেপ নেই, কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। সবকিছুই মহান আল্লাহর ইচ্ছায় পরিচালিত হয়। আমি আপনার চ্যানেলের একজন নিয়মিত শ্রোতা এবং ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনে আপনার ভূমিকা নিঃসন্দেহে জাতি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে। আমি নিরুপায় হয়েই এই কথা লিখতে বসেছি। আমি চাই না আপনার চ্যানেলের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণ মিথ্যা কিছু শুনুক বা তা বিশ্বাস করুক। লেঃ কর্নেল মুস্তাফিজের সঙ্গে আপনার গতকালের টকশোতে তার মুখ থেকে কিছু মিথ্যা বক্তব্য শুনে আমি সত্যিই বিস্মিত হয়েছি। না জেনে কিছু বলা উচিত নয়, কারণ পরবর্তীতে এগুলো রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার হতে পারে। গত সপ্তাহে এক ডিনারের আড্ডায় মুস্তাফিজ সম্পর্কে আলোচনা হচ্ছিল। সেনাবাহিনী নিয়ে তার কিছু অপ্রাসঙ্গিক বক্তব্য দিয়ে সে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে, অথচ এগুলোর সিকিভাগও সত্য নয়, তা নিয়ে আমরা আলোচনা করছিলাম। কনক ভাই, আমি অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য সূত্র এবং ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে লেঃ কর্নেল মুস্তাফিজের বক্তব্যের বিরোধিতা করব। ইনশাআল্লাহ, তদন্তে ১০০% সত্য বেরিয়ে আসবে। তবে আমি অবাক হয়েছি, যে আপনার জনপ্রিয় চ্যানেলে এমন একজন সাধারণ মানের অফিসারকে ক্রমাগত মিথ্যাচার এবং সিনিয়র সামরিক/অবসরপ্রাপ্ত অফিসারদের চরিত্র হননের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। একজন অফিসার, যিনি স্টাফ কলেজ করার যোগ্যতাও অর্জন করতে পারেননি এবং সামরিক রণকৌশল সম্পর্কে যিনি কিছুই জানেন না, যখন আমাদের সিনিয়র অফিসারদের স্ট্র্যাটেজি শেখাতে চান, তখন স্তম্ভিত হওয়া স্বাভাবিক। আমি এই অফিসারকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি এবং পূর্বপরিচিত। আমি তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কিছু বলতে চাই না। সে বেশিরভাগ সময় গোয়েন্দা বিভাগে কাজ করেছে। আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার একই মতাদর্শের না হলে কোনো অফিসারকে গোয়েন্দা বিভাগে কাজের সুযোগ দিত না। এ বিষয়ে তারা কঠোরভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়া মেনে চলত। তার কমান্ডিং অফিসার কর্নেল আখতার হামিদ খান আওয়ামী ঘরানার লোক ছিলেন, এবং মুস্তাফিজ তার সবচেয়ে আস্থাভাজন অফিসার ছিল। আখতার হামিদের সমস্ত দুষ্কর্মের অংশীদার ছিল সে। আপনার চ্যানেলে কর্নেল হাসিনের গুম নিয়ে অগ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা দিলেও, সে লেঃ কর্নেল জাহিদকে কীভাবে গুম করেছে, তা নিয়ে কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি। এই অফিসার, লেঃ কর্নেল জাহিদ, মসজিদ থেকে বের হওয়ার পর দ্রুত একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়, বস্তায় ভরে, গাড়ির ভেতরেই মারধর করে ডিজিএফআই অফিসে নিয়ে আসে। ম্যাডাম খালেদা জিয়াকে তার বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করার সময়, তিনি এবং তার সিও ম্যাডাম জিয়ার বেডরুমের দরজা ভেঙে ফেলেন। পরে, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মকসুরুল বেগম জিয়ার ফ্রিজে মদ এবং বেডসাইড টেবিলে অশালীন পুস্তক রেখে দেন, তখন এই অফিসারটি সবসময় তার সঙ্গে ছিল। সে যতই নিজেকে একজন জুনিয়র অফিসার হিসেবে দায়মুক্তি পাওয়ার চেষ্টা করুক না কেন, সেনাবাহিনীর নিয়ম অনুযায়ী একজন ফিল্ড অফিসারের পক্ষে এমন কাজ অগ্রহণযোগ্য। তার আচরণ ছিল এমন, যেন সে যা করবে তা ন্যায্য, কিন্তু অন্য কেউ করলে তা অন্যায় হবে। সেনাবাহিনীর নিয়ম অনুযায়ী, সেনাপ্রধান যখন বিদেশে থাকেন, তখন দ্বিতীয় জ্যেষ্ঠ অফিসার ভারপ্রাপ্ত সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সেই হিসাবে, যখন জেনারেল মবিন বিদেশে থাকতেন, তখন জেনারেল ইকবাল করিম ভুইয়া ভারপ্রাপ্ত সেনাপ্রধান হতেন। ঘটনার সময়, যেহেতু জেনারেল মবিন এবং জেনারেল ইকবাল করিম উভয়ই বিদেশে ছিলেন, তৃতীয় জ্যেষ্ঠ অফিসার হিসেবে লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাইনুল ইসলাম ভারপ্রাপ্ত সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। সাধারণত, এ বিষয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একটি চিঠি জারি হয়, এবং সেই চিঠি দপ্তরে সংরক্ষিত আছে, যা একটি প্রামাণ্য দলিল হিসেবেই বিবেচিত।
বিতীয় অংশঃ আমি ঘটনাটি খুব কাছ থেকে প্রত্যক্ষ করার সুযোগ পেয়েছিলাম। আমার স্মৃতি অনুযায়ী, পুরো ব্যাপারটি পরিচালিত হয়েছিল মেজর জেনারেল তারেক সিদ্দিকীর নেতৃত্বে। তাকে সহায়তা করেন প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, এএফড্ লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াদুদ, ভারপ্রাপ্ত সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাইনুল, মহাপরিচালক ডিজিএফআই লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোল্লা ফজলে আকবর, এবং পরিচালক, সিআইব্ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মামুন খালেদ, ম্যাডাম খালেদা জিয়াকে তার বাসভবন থেকে উচ্ছেদ করার প্রথম বৈঠকটি হয় আর্মড ফোর্সেস ডিভিশনে,২০১০ সাল, ১২ নভেম্বর সকাল ১১টায়। ম্যাডাম খালেদা জিয়াকে সেনানিবাস থেকে সরানোর বিষয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা করা হয়। কুখ্যাত জেনারেল তারেক সিদ্দিকীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে এই অপারেশন পরিচালিত হয়, যেখানে অংশ নেন ভারপ্রাপ্ত সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাইনুল, মহাপরিচালক ডিজিএফআই, সামরিক গোয়েন্দা পরিদপ্তরের পরিচালক, ইঞ্জিনিয়ার ব্রিগেড কমান্ডার, ৪৬ ব্রিগেড কমান্ডার, সিআইবি পরিচালক, এবং ডিজিএফআই ঢাকা শাখার অধিনায়কসহ অন্যান্যরা। দ্বিতীয় মিটিংটি হয় বিকালে, সেনা দপ্তরে, যেখানে ভারপ্রাপ্ত সেনাপ্রধান জেনারেল মাইনুল সভাপতিত্ব করেন। উপস্থিত ছিলেন সামরিক অপারেশনের পরিচালক, সামরিক গোয়েন্দা পরিদপ্তরের পরিচালক, ইঞ্জিনিয়ার ব্রিগেড কমান্ডার, ৪৬ ব্রিগেড কমান্ডার, সিআইবি পরিচালক, ডিজিএফআই অধিনায়ক, সামরিক গোয়েন্দা ইউনিটের কমান্ডার, ক্যান্টনমেন্ট এক্সিকিউটিভ অফিসার, স্টেশন কমান্ডার এবং আইএসপিআর এর পরিচালক। তৃতীয় মিটিংটি হয় খোদ ডিজিএফআই সদর দপ্তরে, রাত ১০টায়, যেখানে সভাপতিত্ব করেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মামুন খালেদ। আরও উপস্থিত ছিলেন কর্নেল সরোয়ার (ডিজিএফআই), কর্নেল আকবর (ঢাকা শাখা অধিনায়ক, ডিজিএফআই), লেফটেন্যান্ট কর্নেল ওয়ালি (এইসি), স্টেশন কমান্ডারসহ আরও কয়েকজন। মেজর জেনারেল তারেক সিদ্দিকী নিজেই উপস্থিত থেকে পুরো ঘটনা নিখুঁতভাবে পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করেন। তাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছিল ডিজিএফআই এবং ভারপ্রাপ্ত সেনাপ্রধান জেনারেল মাইনুল। এ উচ্ছেদ ছিল ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার ফসল। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ডিজিএফআই এবং সেনা গোয়েন্দারা সরাসরি জড়িত ছিল। অত্যন্ত বিশ্বস্ত ও পরীক্ষিত গোয়েন্দা অফিসারদের ছাড়া এ কাজ বাস্তবায়ন সম্ভব ছিল না। লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুস্তাফিজকে একজন অনুগত, অত্যন্ত বিশ্বস্ত এবং দৃঢ়প্রতিজ্ঞ অফিসার হিসেবে এ কাজে নিয়োজিত করা হয়েছিল। এটি অস্বীকার করার সুযোগ হয়তো তার নেই। অত্যন্ত কৌশলে, সবার দৃষ্টি অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতে, সে অপ্রাসঙ্গিকভাবে জেনারেল ইকবাল করিমের মতো ব্যক্তিকে মাস্টারমাইন্ড বলার ধৃষ্টতা দেখাচ্ছে, যদিও জেনারেল ইকবাল করিম ছিলেন কিউ এম জি এবং ঘটনার সময় দেশের বাইরে ছিলেন। আমি লক্ষ্য করেছি, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুস্তাফিজ গল্পের আকারে অত্যন্ত চতুরতার সঙ্গে নিজের ইচ্ছেমত মিথ্যাচার করছে। আমার মনে পড়ে, এর আগেও সে লাইভে এসে জেনারেল ইকবাল করিম সম্পর্কে বেশ কিছু মিথ্যাচার করেছিল, যা সে আবার আপনার চ্যানেলেও করেছে। কোন সন্দেহই নেই যে মুস্তাফিজ নিজেকে নির্দোষ প্রমানে জেনারেল ইকবাল করিমের চরিত্র হনন করার চেষ্টায় লিপ্ত। এতে আরও পরিষ্কার বোঝা যায়, সে নিজেকে দায়মুক্ত করার আপ্রাণ চেষ্টা করছে। উদাহরণস্বরূপ, সে উল্লেখ করেছে, জেনারেল ইকবাল করিম সেনাপ্রধান থাকা অবস্থায় সেনাবাহিনীর পোশাকের রং পরিবর্তন করেছিলেন, অথচ এটি করা হয়েছিল জেনারেল মুবিনের সময়। জেনারেল মুবিন যদি তা করেও থাকেন, সেটি নিয়ম মেনে করা হয়েছিল এবং এই পরিবর্তনের মাধ্যমে প্রতিবেশী দেশের সাথে সম্পর্ক আনা সম্পূর্ণভাবে অপ্রাসঙ্গিক।
তৃতীয় অংশঃ মুস্তাফিজের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার আরও একটি উদাহরণ দিচ্ছি। যেমন, জেনারেল মুবিন এবং জেনারেল ইকবাল করিমের আগে সেনাবাহিনীতে জেনারেল সফিউল্লাহ এবং জেনারেল জিয়া একই কোর্সের ব্যাচমেট ছিলেন, যারা পরে সেনাপ্রধান হন। একইভাবে, বিমান বাহিনীতে এয়ার মার্শাল ইসরার এবং এয়ার চিফ মার্শাল এনামুল বারী একই কোর্সের ব্যাচমেট ছিলেন এবং নৌবাহিনীতে ভাইস এডমিরাল জেড ইউ আহমেদ এবং এডমিরাল ফরিদ হাবীব একই কোর্সের ব্যাচমেট ছিলেন, যারা পরে নৌবাহিনীর প্রধান হন। এখন, একই কোর্স থেকে দুইজন সেনাপ্রধান হলে মুস্তাফিজের উচিত জেনারেল মুবিন বা জেনারেল ইকবাল করিমকে দোষারোপ না করে বরং রাষ্ট্রপ্রধানকে প্রশ্ন করা কেন একই কোর্স থেকে দুইজনকে সেনাপ্রধান করা হয়েছে। আমি এর আগেও লক্ষ্য করেছি, আপনার বুদ্ধিদীপ্ত প্রশ্নগুলো টক শোয়ের আবেদন বহু গুণ বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু এই শোতে তা অনুপস্থিত ছিল। মুস্তাফিজ বলছিলেন, সেনাপ্রধান হওয়ার জন্য জেনারেল ইকবাল করিম প্রতিবেশী দেশের সমর্থন নিয়েছিলেন। আমি আশা করেছিলাম, আপনি এ অদ্ভুত দাবি নিয়ে মুস্তাফিজকে প্রশ্ন করবেন-ইকবাল করিম কার সমর্থন পেয়েছিলেন? প্রণব মুখার্জীর? মনমোহন সিংহের? অথবা "র" এর কোন কর্মকর্তার? যদি এমন যোগাযোগ হয়ে থাকে, তবে উনার নাম কী? কোনো তথ্যপ্রমাণ বা কল রেকর্ড আছে কি? যাই হোক, ভবিষ্যতে এ বিষয়ে একটু খেয়াল রাখবেন। কনক ভাই, আমি যা বলেছি, তার সবকিছুই দালিলিক প্রমাণসহ সেনাবাহিনীর দপ্তরে সংরক্ষিত আছে। ম্যাডাম খালেদা জিয়াকে এভাবে সেনানিবাস থেকে উচ্ছেদের ঘটনা ছিল সম্পূর্ণরূপে অনৈতিক এবং মানবতাবিরোধী। একজন অত্যন্ত সম্মানীয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে এমন ন্যাক্কারজনকভাবে, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুস্তাফিজদের মতো অনুগত গোয়েন্দাদের মাধ্যমে উচ্ছেদ করা ইতিহাসে নজিরবিহীন। এতে প্রমাণিত হয়, খুনী হাসিনা সরকার ফ্যাসিজমের কোন পর্যায়ে পৌঁছেছিল।
Aponar doll konta? Honest person in bd country?
Ai sala hoilo hijbut tahrir er member.
@@hassanmahmud6577😂😂😂
আপনার বানোয়াট তথ্য আজিব লাগে।
গুলিস্তানের ক্যানভাসার
Ikb ki BAL?
Please speak first
.
গুজব নিউজ ডটকম আপনি
Exactly.
😂😂😂
Fake
সরকার যে আদেশ দিবে সেটা মানতে হবে। সে মতিউর হোক আর মোস্তাফিজ হোক।
Eai sob army officer der suspend kora desh o dorhe er case chalata hoba
@SakibHyder
1 day ago
প্রথম অংশঃ কনক ভাই, আমি কানাডায় থাকি, একজন প্রাক্তন সামরিক অফিসার। আমি ফ্যাসিস্ট সরকারের দ্বারা নির্যাতিত হয়েছি, কিন্তু আমার কোনো আক্ষেপ নেই, কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। সবকিছুই মহান আল্লাহর ইচ্ছায় পরিচালিত হয়। আমি আপনার চ্যানেলের একজন নিয়মিত শ্রোতা এবং ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনে আপনার ভূমিকা নিঃসন্দেহে জাতি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে। আমি নিরুপায় হয়েই এই কথা লিখতে বসেছি। আমি চাই না আপনার চ্যানেলের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণ মিথ্যা কিছু শুনুক বা তা বিশ্বাস করুক। লেঃ কর্নেল মুস্তাফিজের সঙ্গে আপনার গতকালের টকশোতে তার মুখ থেকে কিছু মিথ্যা বক্তব্য শুনে আমি সত্যিই বিস্মিত হয়েছি। না জেনে কিছু বলা উচিত নয়, কারণ পরবর্তীতে এগুলো রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার হতে পারে। গত সপ্তাহে এক ডিনারের আড্ডায় মুস্তাফিজ সম্পর্কে আলোচনা হচ্ছিল। সেনাবাহিনী নিয়ে তার কিছু অপ্রাসঙ্গিক বক্তব্য দিয়ে সে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে, অথচ এগুলোর সিকিভাগও সত্য নয়, তা নিয়ে আমরা আলোচনা করছিলাম। কনক ভাই, আমি অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য সূত্র এবং ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে লেঃ কর্নেল মুস্তাফিজের বক্তব্যের বিরোধিতা করব। ইনশাআল্লাহ, তদন্তে ১০০% সত্য বেরিয়ে আসবে। তবে আমি অবাক হয়েছি, যে আপনার জনপ্রিয় চ্যানেলে এমন একজন সাধারণ মানের অফিসারকে ক্রমাগত মিথ্যাচার এবং সিনিয়র সামরিক/অবসরপ্রাপ্ত অফিসারদের চরিত্র হননের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। একজন অফিসার, যিনি স্টাফ কলেজ করার যোগ্যতাও অর্জন করতে পারেননি এবং সামরিক রণকৌশল সম্পর্কে যিনি কিছুই জানেন না, যখন আমাদের সিনিয়র অফিসারদের স্ট্র্যাটেজি শেখাতে চান, তখন স্তম্ভিত হওয়া স্বাভাবিক। আমি এই অফিসারকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি এবং পূর্বপরিচিত। আমি তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কিছু বলতে চাই না। সে বেশিরভাগ সময় গোয়েন্দা বিভাগে কাজ করেছে। আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার একই মতাদর্শের না হলে কোনো অফিসারকে গোয়েন্দা বিভাগে কাজের সুযোগ দিত না। এ বিষয়ে তারা কঠোরভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়া মেনে চলত। তার কমান্ডিং অফিসার কর্নেল আখতার হামিদ খান আওয়ামী ঘরানার লোক ছিলেন, এবং মুস্তাফিজ তার সবচেয়ে আস্থাভাজন অফিসার ছিল। আখতার হামিদের সমস্ত দুষ্কর্মের অংশীদার ছিল সে। আপনার চ্যানেলে কর্নেল হাসিনের গুম নিয়ে অগ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা দিলেও, সে লেঃ কর্নেল জাহিদকে কীভাবে গুম করেছে, তা নিয়ে কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি। এই অফিসার, লেঃ কর্নেল জাহিদ, মসজিদ থেকে বের হওয়ার পর দ্রুত একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়, বস্তায় ভরে, গাড়ির ভেতরেই মারধর করে ডিজিএফআই অফিসে নিয়ে আসে। ম্যাডাম খালেদা জিয়াকে তার বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করার সময়, তিনি এবং তার সিও ম্যাডাম জিয়ার বেডরুমের দরজা ভেঙে ফেলেন। পরে, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মকসুরুল বেগম জিয়ার ফ্রিজে মদ এবং বেডসাইড টেবিলে অশালীন পুস্তক রেখে দেন, তখন এই অফিসারটি সবসময় তার সঙ্গে ছিল। সে যতই নিজেকে একজন জুনিয়র অফিসার হিসেবে দায়মুক্তি পাওয়ার চেষ্টা করুক না কেন, সেনাবাহিনীর নিয়ম অনুযায়ী একজন ফিল্ড অফিসারের পক্ষে এমন কাজ অগ্রহণযোগ্য। তার আচরণ ছিল এমন, যেন সে যা করবে তা ন্যায্য, কিন্তু অন্য কেউ করলে তা অন্যায় হবে। সেনাবাহিনীর নিয়ম অনুযায়ী, সেনাপ্রধান যখন বিদেশে থাকেন, তখন দ্বিতীয় জ্যেষ্ঠ অফিসার ভারপ্রাপ্ত সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সেই হিসাবে, যখন জেনারেল মবিন বিদেশে থাকতেন, তখন জেনারেল ইকবাল করিম ভুইয়া ভারপ্রাপ্ত সেনাপ্রধান হতেন। ঘটনার সময়, যেহেতু জেনারেল মবিন এবং জেনারেল ইকবাল করিম উভয়ই বিদেশে ছিলেন, তৃতীয় জ্যেষ্ঠ অফিসার হিসেবে লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাইনুল ইসলাম ভারপ্রাপ্ত সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। সাধারণত, এ বিষয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একটি চিঠি জারি হয়, এবং সেই চিঠি দপ্তরে সংরক্ষিত আছে, যা একটি প্রামাণ্য দলিল হিসেবেই বিবেচিত।
বিতীয় অংশঃ আমি ঘটনাটি খুব কাছ থেকে প্রত্যক্ষ করার সুযোগ পেয়েছিলাম। আমার স্মৃতি অনুযায়ী, পুরো ব্যাপারটি পরিচালিত হয়েছিল মেজর জেনারেল তারেক সিদ্দিকীর নেতৃত্বে। তাকে সহায়তা করেন প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, এএফড্ লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াদুদ, ভারপ্রাপ্ত সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাইনুল, মহাপরিচালক ডিজিএফআই লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোল্লা ফজলে আকবর, এবং পরিচালক, সিআইব্ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মামুন খালেদ, ম্যাডাম খালেদা জিয়াকে তার বাসভবন থেকে উচ্ছেদ করার প্রথম বৈঠকটি হয় আর্মড ফোর্সেস ডিভিশনে,২০১০ সাল, ১২ নভেম্বর সকাল ১১টায়। ম্যাডাম খালেদা জিয়াকে সেনানিবাস থেকে সরানোর বিষয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা করা হয়। কুখ্যাত জেনারেল তারেক সিদ্দিকীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে এই অপারেশন পরিচালিত হয়, যেখানে অংশ নেন ভারপ্রাপ্ত সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাইনুল, মহাপরিচালক ডিজিএফআই, সামরিক গোয়েন্দা পরিদপ্তরের পরিচালক, ইঞ্জিনিয়ার ব্রিগেড কমান্ডার, ৪৬ ব্রিগেড কমান্ডার, সিআইবি পরিচালক, এবং ডিজিএফআই ঢাকা শাখার অধিনায়কসহ অন্যান্যরা। দ্বিতীয় মিটিংটি হয় বিকালে, সেনা দপ্তরে, যেখানে ভারপ্রাপ্ত সেনাপ্রধান জেনারেল মাইনুল সভাপতিত্ব করেন। উপস্থিত ছিলেন সামরিক অপারেশনের পরিচালক, সামরিক গোয়েন্দা পরিদপ্তরের পরিচালক, ইঞ্জিনিয়ার ব্রিগেড কমান্ডার, ৪৬ ব্রিগেড কমান্ডার, সিআইবি পরিচালক, ডিজিএফআই অধিনায়ক, সামরিক গোয়েন্দা ইউনিটের কমান্ডার, ক্যান্টনমেন্ট এক্সিকিউটিভ অফিসার, স্টেশন কমান্ডার এবং আইএসপিআর এর পরিচালক। তৃতীয় মিটিংটি হয় খোদ ডিজিএফআই সদর দপ্তরে, রাত ১০টায়, যেখানে সভাপতিত্ব করেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মামুন খালেদ। আরও উপস্থিত ছিলেন কর্নেল সরোয়ার (ডিজিএফআই), কর্নেল আকবর (ঢাকা শাখা অধিনায়ক, ডিজিএফআই), লেফটেন্যান্ট কর্নেল ওয়ালি (এইসি), স্টেশন কমান্ডারসহ আরও কয়েকজন। মেজর জেনারেল তারেক সিদ্দিকী নিজেই উপস্থিত থেকে পুরো ঘটনা নিখুঁতভাবে পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করেন। তাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছিল ডিজিএফআই এবং ভারপ্রাপ্ত সেনাপ্রধান জেনারেল মাইনুল। এ উচ্ছেদ ছিল ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার ফসল। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ডিজিএফআই এবং সেনা গোয়েন্দারা সরাসরি জড়িত ছিল। অত্যন্ত বিশ্বস্ত ও পরীক্ষিত গোয়েন্দা অফিসারদের ছাড়া এ কাজ বাস্তবায়ন সম্ভব ছিল না। লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুস্তাফিজকে একজন অনুগত, অত্যন্ত বিশ্বস্ত এবং দৃঢ়প্রতিজ্ঞ অফিসার হিসেবে এ কাজে নিয়োজিত করা হয়েছিল। এটি অস্বীকার করার সুযোগ হয়তো তার নেই। অত্যন্ত কৌশলে, সবার দৃষ্টি অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতে, সে অপ্রাসঙ্গিকভাবে জেনারেল ইকবাল করিমের মতো ব্যক্তিকে মাস্টারমাইন্ড বলার ধৃষ্টতা দেখাচ্ছে, যদিও জেনারেল ইকবাল করিম ছিলেন কিউ এম জি এবং ঘটনার সময় দেশের বাইরে ছিলেন। আমি লক্ষ্য করেছি, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুস্তাফিজ গল্পের আকারে অত্যন্ত চতুরতার সঙ্গে নিজের ইচ্ছেমত মিথ্যাচার করছে। আমার মনে পড়ে, এর আগেও সে লাইভে এসে জেনারেল ইকবাল করিম সম্পর্কে বেশ কিছু মিথ্যাচার করেছিল, যা সে আবার আপনার চ্যানেলেও করেছে। কোন সন্দেহই নেই যে মুস্তাফিজ নিজেকে নির্দোষ প্রমানে জেনারেল ইকবাল করিমের চরিত্র হনন করার চেষ্টায় লিপ্ত। এতে আরও পরিষ্কার বোঝা যায়, সে নিজেকে দায়মুক্ত করার আপ্রাণ চেষ্টা করছে। উদাহরণস্বরূপ, সে উল্লেখ করেছে, জেনারেল ইকবাল করিম সেনাপ্রধান থাকা অবস্থায় সেনাবাহিনীর পোশাকের রং পরিবর্তন করেছিলেন, অথচ এটি করা হয়েছিল জেনারেল মুবিনের সময়। জেনারেল মুবিন যদি তা করেও থাকেন, সেটি নিয়ম মেনে করা হয়েছিল এবং এই পরিবর্তনের মাধ্যমে প্রতিবেশী দেশের সাথে সম্পর্ক আনা সম্পূর্ণভাবে অপ্রাসঙ্গিক।
তৃতীয় অংশঃ মুস্তাফিজের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার আরও একটি উদাহরণ দিচ্ছি। যেমন, জেনারেল মুবিন এবং জেনারেল ইকবাল করিমের আগে সেনাবাহিনীতে জেনারেল সফিউল্লাহ এবং জেনারেল জিয়া একই কোর্সের ব্যাচমেট ছিলেন, যারা পরে সেনাপ্রধান হন। একইভাবে, বিমান বাহিনীতে এয়ার মার্শাল ইসরার এবং এয়ার চিফ মার্শাল এনামুল বারী একই কোর্সের ব্যাচমেট ছিলেন এবং নৌবাহিনীতে ভাইস এডমিরাল জেড ইউ আহমেদ এবং এডমিরাল ফরিদ হাবীব একই কোর্সের ব্যাচমেট ছিলেন, যারা পরে নৌবাহিনীর প্রধান হন। এখন, একই কোর্স থেকে দুইজন সেনাপ্রধান হলে মুস্তাফিজের উচিত জেনারেল মুবিন বা জেনারেল ইকবাল করিমকে দোষারোপ না করে বরং রাষ্ট্রপ্রধানকে প্রশ্ন করা কেন একই কোর্স থেকে দুইজনকে সেনাপ্রধান করা হয়েছে। আমি এর আগেও লক্ষ্য করেছি, আপনার বুদ্ধিদীপ্ত প্রশ্নগুলো টক শোয়ের আবেদন বহু গুণ বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু এই শোতে তা অনুপস্থিত ছিল। মুস্তাফিজ বলছিলেন, সেনাপ্রধান হওয়ার জন্য জেনারেল ইকবাল করিম প্রতিবেশী দেশের সমর্থন নিয়েছিলেন। আমি আশা করেছিলাম, আপনি এ অদ্ভুত দাবি নিয়ে মুস্তাফিজকে প্রশ্ন করবেন-ইকবাল করিম কার সমর্থন পেয়েছিলেন? প্রণব মুখার্জীর? মনমোহন সিংহের? অথবা "র" এর কোন কর্মকর্তার? যদি এমন যোগাযোগ হয়ে থাকে, তবে উনার নাম কী? কোনো তথ্যপ্রমাণ বা কল রেকর্ড আছে কি? যাই হোক, ভবিষ্যতে এ বিষয়ে একটু খেয়াল রাখবেন। কনক ভাই, আমি যা বলেছি, তার সবকিছুই দালিলিক প্রমাণসহ সেনাবাহিনীর দপ্তরে সংরক্ষিত আছে। ম্যাডাম খালেদা জিয়াকে এভাবে সেনানিবাস থেকে উচ্ছেদের ঘটনা ছিল সম্পূর্ণরূপে অনৈতিক এবং মানবতাবিরোধী। একজন অত্যন্ত সম্মানীয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে এমন ন্যাক্কারজনকভাবে, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুস্তাফিজদের মতো অনুগত গোয়েন্দাদের মাধ্যমে উচ্ছেদ করা ইতিহাসে নজিরবিহীন। এতে প্রমাণিত হয়, খুনী হাসিনা সরকার ফ্যাসিজমের কোন পর্যায়ে পৌঁছেছিল।
Are you not a Jamat? You were forcefully removed from the Army! They Govt excused you and Gave you retirement! That I know from your colleague.
Exactly!
এই বান্দরের বাচ্চা কে বিভিন্ন অপরাধ এর কারণে আর্মি থেকে বের করে দেয়া হয়েছিল। এখন সে বাংলাদেশ আর্মি র পিছনে লেগেছে… আর্মিতে থাকাকালীন যত খারাপ কাজের হোতা ছিল সে …
@@Hosain1999 @SakibHyder
1 day ago
প্রথম অংশঃ কনক ভাই, আমি কানাডায় থাকি, একজন প্রাক্তন সামরিক অফিসার। আমি ফ্যাসিস্ট সরকারের দ্বারা নির্যাতিত হয়েছি, কিন্তু আমার কোনো আক্ষেপ নেই, কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। সবকিছুই মহান আল্লাহর ইচ্ছায় পরিচালিত হয়। আমি আপনার চ্যানেলের একজন নিয়মিত শ্রোতা এবং ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনে আপনার ভূমিকা নিঃসন্দেহে জাতি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে। আমি নিরুপায় হয়েই এই কথা লিখতে বসেছি। আমি চাই না আপনার চ্যানেলের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণ মিথ্যা কিছু শুনুক বা তা বিশ্বাস করুক। লেঃ কর্নেল মুস্তাফিজের সঙ্গে আপনার গতকালের টকশোতে তার মুখ থেকে কিছু মিথ্যা বক্তব্য শুনে আমি সত্যিই বিস্মিত হয়েছি। না জেনে কিছু বলা উচিত নয়, কারণ পরবর্তীতে এগুলো রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার হতে পারে। গত সপ্তাহে এক ডিনারের আড্ডায় মুস্তাফিজ সম্পর্কে আলোচনা হচ্ছিল। সেনাবাহিনী নিয়ে তার কিছু অপ্রাসঙ্গিক বক্তব্য দিয়ে সে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে, অথচ এগুলোর সিকিভাগও সত্য নয়, তা নিয়ে আমরা আলোচনা করছিলাম। কনক ভাই, আমি অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য সূত্র এবং ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে লেঃ কর্নেল মুস্তাফিজের বক্তব্যের বিরোধিতা করব। ইনশাআল্লাহ, তদন্তে ১০০% সত্য বেরিয়ে আসবে। তবে আমি অবাক হয়েছি, যে আপনার জনপ্রিয় চ্যানেলে এমন একজন সাধারণ মানের অফিসারকে ক্রমাগত মিথ্যাচার এবং সিনিয়র সামরিক/অবসরপ্রাপ্ত অফিসারদের চরিত্র হননের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। একজন অফিসার, যিনি স্টাফ কলেজ করার যোগ্যতাও অর্জন করতে পারেননি এবং সামরিক রণকৌশল সম্পর্কে যিনি কিছুই জানেন না, যখন আমাদের সিনিয়র অফিসারদের স্ট্র্যাটেজি শেখাতে চান, তখন স্তম্ভিত হওয়া স্বাভাবিক। আমি এই অফিসারকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি এবং পূর্বপরিচিত। আমি তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কিছু বলতে চাই না। সে বেশিরভাগ সময় গোয়েন্দা বিভাগে কাজ করেছে। আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার একই মতাদর্শের না হলে কোনো অফিসারকে গোয়েন্দা বিভাগে কাজের সুযোগ দিত না। এ বিষয়ে তারা কঠোরভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়া মেনে চলত। তার কমান্ডিং অফিসার কর্নেল আখতার হামিদ খান আওয়ামী ঘরানার লোক ছিলেন, এবং মুস্তাফিজ তার সবচেয়ে আস্থাভাজন অফিসার ছিল। আখতার হামিদের সমস্ত দুষ্কর্মের অংশীদার ছিল সে। আপনার চ্যানেলে কর্নেল হাসিনের গুম নিয়ে অগ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা দিলেও, সে লেঃ কর্নেল জাহিদকে কীভাবে গুম করেছে, তা নিয়ে কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি। এই অফিসার, লেঃ কর্নেল জাহিদ, মসজিদ থেকে বের হওয়ার পর দ্রুত একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়, বস্তায় ভরে, গাড়ির ভেতরেই মারধর করে ডিজিএফআই অফিসে নিয়ে আসে। ম্যাডাম খালেদা জিয়াকে তার বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করার সময়, তিনি এবং তার সিও ম্যাডাম জিয়ার বেডরুমের দরজা ভেঙে ফেলেন। পরে, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মকসুরুল বেগম জিয়ার ফ্রিজে মদ এবং বেডসাইড টেবিলে অশালীন পুস্তক রেখে দেন, তখন এই অফিসারটি সবসময় তার সঙ্গে ছিল। সে যতই নিজেকে একজন জুনিয়র অফিসার হিসেবে দায়মুক্তি পাওয়ার চেষ্টা করুক না কেন, সেনাবাহিনীর নিয়ম অনুযায়ী একজন ফিল্ড অফিসারের পক্ষে এমন কাজ অগ্রহণযোগ্য। তার আচরণ ছিল এমন, যেন সে যা করবে তা ন্যায্য, কিন্তু অন্য কেউ করলে তা অন্যায় হবে। সেনাবাহিনীর নিয়ম অনুযায়ী, সেনাপ্রধান যখন বিদেশে থাকেন, তখন দ্বিতীয় জ্যেষ্ঠ অফিসার ভারপ্রাপ্ত সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সেই হিসাবে, যখন জেনারেল মবিন বিদেশে থাকতেন, তখন জেনারেল ইকবাল করিম ভুইয়া ভারপ্রাপ্ত সেনাপ্রধান হতেন। ঘটনার সময়, যেহেতু জেনারেল মবিন এবং জেনারেল ইকবাল করিম উভয়ই বিদেশে ছিলেন, তৃতীয় জ্যেষ্ঠ অফিসার হিসেবে লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাইনুল ইসলাম ভারপ্রাপ্ত সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। সাধারণত, এ বিষয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একটি চিঠি জারি হয়, এবং সেই চিঠি দপ্তরে সংরক্ষিত আছে, যা একটি প্রামাণ্য দলিল হিসেবেই বিবেচিত।
@@Hosain1999 বিতীয় অংশঃ আমি ঘটনাটি খুব কাছ থেকে প্রত্যক্ষ করার সুযোগ পেয়েছিলাম। আমার স্মৃতি অনুযায়ী, পুরো ব্যাপারটি পরিচালিত হয়েছিল মেজর জেনারেল তারেক সিদ্দিকীর নেতৃত্বে। তাকে সহায়তা করেন প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, এএফড্ লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াদুদ, ভারপ্রাপ্ত সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাইনুল, মহাপরিচালক ডিজিএফআই লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোল্লা ফজলে আকবর, এবং পরিচালক, সিআইব্ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মামুন খালেদ, ম্যাডাম খালেদা জিয়াকে তার বাসভবন থেকে উচ্ছেদ করার প্রথম বৈঠকটি হয় আর্মড ফোর্সেস ডিভিশনে,২০১০ সাল, ১২ নভেম্বর সকাল ১১টায়। ম্যাডাম খালেদা জিয়াকে সেনানিবাস থেকে সরানোর বিষয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা করা হয়। কুখ্যাত জেনারেল তারেক সিদ্দিকীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে এই অপারেশন পরিচালিত হয়, যেখানে অংশ নেন ভারপ্রাপ্ত সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাইনুল, মহাপরিচালক ডিজিএফআই, সামরিক গোয়েন্দা পরিদপ্তরের পরিচালক, ইঞ্জিনিয়ার ব্রিগেড কমান্ডার, ৪৬ ব্রিগেড কমান্ডার, সিআইবি পরিচালক, এবং ডিজিএফআই ঢাকা শাখার অধিনায়কসহ অন্যান্যরা। দ্বিতীয় মিটিংটি হয় বিকালে, সেনা দপ্তরে, যেখানে ভারপ্রাপ্ত সেনাপ্রধান জেনারেল মাইনুল সভাপতিত্ব করেন। উপস্থিত ছিলেন সামরিক অপারেশনের পরিচালক, সামরিক গোয়েন্দা পরিদপ্তরের পরিচালক, ইঞ্জিনিয়ার ব্রিগেড কমান্ডার, ৪৬ ব্রিগেড কমান্ডার, সিআইবি পরিচালক, ডিজিএফআই অধিনায়ক, সামরিক গোয়েন্দা ইউনিটের কমান্ডার, ক্যান্টনমেন্ট এক্সিকিউটিভ অফিসার, স্টেশন কমান্ডার এবং আইএসপিআর এর পরিচালক। তৃতীয় মিটিংটি হয় খোদ ডিজিএফআই সদর দপ্তরে, রাত ১০টায়, যেখানে সভাপতিত্ব করেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মামুন খালেদ। আরও উপস্থিত ছিলেন কর্নেল সরোয়ার (ডিজিএফআই), কর্নেল আকবর (ঢাকা শাখা অধিনায়ক, ডিজিএফআই), লেফটেন্যান্ট কর্নেল ওয়ালি (এইসি), স্টেশন কমান্ডারসহ আরও কয়েকজন। মেজর জেনারেল তারেক সিদ্দিকী নিজেই উপস্থিত থেকে পুরো ঘটনা নিখুঁতভাবে পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করেন। তাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছিল ডিজিএফআই এবং ভারপ্রাপ্ত সেনাপ্রধান জেনারেল মাইনুল। এ উচ্ছেদ ছিল ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার ফসল। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ডিজিএফআই এবং সেনা গোয়েন্দারা সরাসরি জড়িত ছিল। অত্যন্ত বিশ্বস্ত ও পরীক্ষিত গোয়েন্দা অফিসারদের ছাড়া এ কাজ বাস্তবায়ন সম্ভব ছিল না। লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুস্তাফিজকে একজন অনুগত, অত্যন্ত বিশ্বস্ত এবং দৃঢ়প্রতিজ্ঞ অফিসার হিসেবে এ কাজে নিয়োজিত করা হয়েছিল। এটি অস্বীকার করার সুযোগ হয়তো তার নেই। অত্যন্ত কৌশলে, সবার দৃষ্টি অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতে, সে অপ্রাসঙ্গিকভাবে জেনারেল ইকবাল করিমের মতো ব্যক্তিকে মাস্টারমাইন্ড বলার ধৃষ্টতা দেখাচ্ছে, যদিও জেনারেল ইকবাল করিম ছিলেন কিউ এম জি এবং ঘটনার সময় দেশের বাইরে ছিলেন। আমি লক্ষ্য করেছি, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুস্তাফিজ গল্পের আকারে অত্যন্ত চতুরতার সঙ্গে নিজের ইচ্ছেমত মিথ্যাচার করছে। আমার মনে পড়ে, এর আগেও সে লাইভে এসে জেনারেল ইকবাল করিম সম্পর্কে বেশ কিছু মিথ্যাচার করেছিল, যা সে আবার আপনার চ্যানেলেও করেছে। কোন সন্দেহই নেই যে মুস্তাফিজ নিজেকে নির্দোষ প্রমানে জেনারেল ইকবাল করিমের চরিত্র হনন করার চেষ্টায় লিপ্ত। এতে আরও পরিষ্কার বোঝা যায়, সে নিজেকে দায়মুক্ত করার আপ্রাণ চেষ্টা করছে। উদাহরণস্বরূপ, সে উল্লেখ করেছে, জেনারেল ইকবাল করিম সেনাপ্রধান থাকা অবস্থায় সেনাবাহিনীর পোশাকের রং পরিবর্তন করেছিলেন, অথচ এটি করা হয়েছিল জেনারেল মুবিনের সময়। জেনারেল মুবিন যদি তা করেও থাকেন, সেটি নিয়ম মেনে করা হয়েছিল এবং এই পরিবর্তনের মাধ্যমে প্রতিবেশী দেশের সাথে সম্পর্ক আনা সম্পূর্ণভাবে অপ্রাসঙ্গিক।
তৃতীয় অংশঃ মুস্তাফিজের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার আরও একটি উদাহরণ দিচ্ছি। যেমন, জেনারেল মুবিন এবং জেনারেল ইকবাল করিমের আগে সেনাবাহিনীতে জেনারেল সফিউল্লাহ এবং জেনারেল জিয়া একই কোর্সের ব্যাচমেট ছিলেন, যারা পরে সেনাপ্রধান হন। একইভাবে, বিমান বাহিনীতে এয়ার মার্শাল ইসরার এবং এয়ার চিফ মার্শাল এনামুল বারী একই কোর্সের ব্যাচমেট ছিলেন এবং নৌবাহিনীতে ভাইস এডমিরাল জেড ইউ আহমেদ এবং এডমিরাল ফরিদ হাবীব একই কোর্সের ব্যাচমেট ছিলেন, যারা পরে নৌবাহিনীর প্রধান হন। এখন, একই কোর্স থেকে দুইজন সেনাপ্রধান হলে মুস্তাফিজের উচিত জেনারেল মুবিন বা জেনারেল ইকবাল করিমকে দোষারোপ না করে বরং রাষ্ট্রপ্রধানকে প্রশ্ন করা কেন একই কোর্স থেকে দুইজনকে সেনাপ্রধান করা হয়েছে। আমি এর আগেও লক্ষ্য করেছি, আপনার বুদ্ধিদীপ্ত প্রশ্নগুলো টক শোয়ের আবেদন বহু গুণ বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু এই শোতে তা অনুপস্থিত ছিল। মুস্তাফিজ বলছিলেন, সেনাপ্রধান হওয়ার জন্য জেনারেল ইকবাল করিম প্রতিবেশী দেশের সমর্থন নিয়েছিলেন। আমি আশা করেছিলাম, আপনি এ অদ্ভুত দাবি নিয়ে মুস্তাফিজকে প্রশ্ন করবেন-ইকবাল করিম কার সমর্থন পেয়েছিলেন? প্রণব মুখার্জীর? মনমোহন সিংহের? অথবা "র" এর কোন কর্মকর্তার? যদি এমন যোগাযোগ হয়ে থাকে, তবে উনার নাম কী? কোনো তথ্যপ্রমাণ বা কল রেকর্ড আছে কি? যাই হোক, ভবিষ্যতে এ বিষয়ে একটু খেয়াল রাখবেন। কনক ভাই, আমি যা বলেছি, তার সবকিছুই দালিলিক প্রমাণসহ সেনাবাহিনীর দপ্তরে সংরক্ষিত আছে। ম্যাডাম খালেদা জিয়াকে এভাবে সেনানিবাস থেকে উচ্ছেদের ঘটনা ছিল সম্পূর্ণরূপে অনৈতিক এবং মানবতাবিরোধী। একজন অত্যন্ত সম্মানীয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে এমন ন্যাক্কারজনকভাবে, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুস্তাফিজদের মতো অনুগত গোয়েন্দাদের মাধ্যমে উচ্ছেদ করা ইতিহাসে নজিরবিহীন। এতে প্রমাণিত হয়, খুনী হাসিনা সরকার ফ্যাসিজমের কোন পর্যায়ে পৌঁছেছিল।
THIS QBAL KARIM IS A VERY DURTY GEN, IN ARMY ,NOT ONLY DURRY, HE IS A GREAT CRIMINAL VARAVAR DIRECT RAW A AGENT, AI CRIMINAL AR BICHER KORTAI HOBA.
Faktu