৯১ বছর পুরোনো পুকুর ঘাটে আজও লেখা আমার পূর্বপুরুষদের নাম 🇧🇩 | পূর্বপুরুষের ভিটা | বাংলাদেশ
HTML-код
- Опубликовано: 12 ноя 2022
- ১ অক্টোবর,২০২২ । আমার জীবনের সব থেকে স্বরনীয় দিন। যে দিনটা মনে থেকে যাবে মৃত্যু অবধি। শেষমেশ আমি, দিব্য দা, Fahim দা গিয়ে পৌছালাম সেই গৌরীপাশা গ্রামে। কিন্তু তখনও আমি কনফিউশানে ভুগছিলাম যে আদৌ কি ওটা ঠাকুরদার গ্রাম!
৩ জন ওই গ্রামে ঘুরছিলাম আর সবার কাছে জিজ্ঞেস করছিলাম “এমন কোন বাড়ি আছে, যে বাড়ির পুকুরে অনেক পুরোনো পাকা ঘাট আছে?”( আমি শুনেছিলাম যে ঠাকুরদার বাবা তার বাবা আর মায়ের স্মৃতির উদ্দেশ্যে একটা ঘাট বানিয়েছিলেন।) জিজ্ঞেস করতে করতে একসময় মনে হচ্ছিলো হয়ত পাবোই না খুঁজে। ঠিক সেই সময় একজন জেঠ্যু জানালেন যে ওরকম ঘাট আছে ওই গ্রামেই এবং উনি নিজেই সেই বাড়ি নিয়ে গেলেন আমাদের। 🥺 তারপর আর কি! সেখানে গিয়ে চোখে পরলো সেই পাকা ঘাট। দিব্য দা আর ফাহিম দা দুজনে ঘাটের গায়ে শ্যাওলা পরিস্কার করতেই দেখা পেলাম আমার ঠাকুরদার ঠাকুরদা ও ঠাকুরমার নাম আর ঘাট তৈরি করার সাল (১৯৩২) । তারিখ হিসেব করে দেখলাম ঘাটের বয়স প্রায় ৯১ বছর। 😌
তখন চখের জল আটকে রাখাটা মুশকিল হয়ে পরছিলো। কি করবো বুঝে উঠতে পারছিলাম না৷ অনেক কষ্টে নিজেকে সামলে নিয়ে ওই বাড়ির বর্তমান যারা থাকেন তাদের সঙ্গে কথা বললাম। তারা প্রথমে একটু এরিয়ে চলছিলেন কিন্তু পরে ওনাদের ব্যবহার ছিল পরিবারের মত। হাতে ভাজা খই, নারকেল, চিনি খেতে দিলেন, দুপুরে খাওয়ার জন্য অনেক জোর করলেন আর ওই জায়গা ঘুরে দেখার অনুমতিও দিলেন। ওই গ্রামে গিয়ে MD Rayhan Akon ভাইকে ম্যাসেজ করেছিলাম। সঙ্গে সঙ্গে ভাইও আমার সঙ্গে দেখা করতে চলে আসে।
পুরো জায়গাটা ঘুরে দেখলাম, পুকুরের জল খেলাম তারপরও ওই জায়গা থেকে ফিরে আসতে ইচ্ছেই করছিলো না তখনকার অনুভূতি একমাত্র আমি উপলব্ধি করতে পারছিলাম।কি যে একটা কষ্ট বুকে চেপে বসেছিলো! যেখানে আমার পূর্বপুরুষদের ছোট থেকে বড় হয়ে ওঠা সেই জায়গা থেকে ফিরে আসতে ইচ্ছে হয় কি করে! অবশেষে ফিরতেই হল। ওই ভিটা আর ঠাকুরদাদের নেই যে।🥺 কিন্তু এবারের যাওয়াটা প্রথমবার হলেও বেঁচে থাকলে ওই ভিটায় আবারও যাবো বারবার যাবো....
ফেরার আগে MD Rayhan Akon ভাই তাদের বাড়িতে আমাদেরকে নিয়ে গিয়ে এত কিছু খাওয়ালো যে পেটে এক গ্লাস জল খাওয়ার মতও জায়গা ছিলো না ।
বাংলাদেশের মানুষজনের আতিথেয়তা আর ভালোবাসা আমি কোনদিন ভুলবো না। আমার ১০-১১ দিনের বাংলাদেশ সফরে একবারের জন্য মনে হয়নি আমি অন্য দেশে আছি,পরিবার থেকে দূরে আছি। ❤️
ইন্ডিয়া থেকে বাংলাদেশ গিয়ে ঠাকুরদার ভিটা খুঁজে পাওয়া সম্ভবই হত না যদি না কিছু মানুষের সঙ্গে পরিচয় হত। দিব্য দা, ফাহিম দা, তমা, কাকিমা, রায়হান ভাই আর বরিশালের একটা ফেসবুক গ্রুপ। আপনাদের প্রত্যেককে ধন্যবাদ এত বছর পর আমাকে আমার পূর্বপুরুষের ভিটাতে পৌছে দেওয়ার জন্য ❤️ 🙏
-----------------------------------------------------
Music From Free To Use Music
Track: Miss You Back by Nettson & RedBird
• Pop No Copyright Songs...
-----------------------------------------------------
💁♂️ RUclips Handle - / @hellochandan
👉 Instagram : daschandan007?u...
👉 Facebook Page : profile.php?...
🇧🇩 BANGLADESH VLOGS 🇧🇩
1) India to Bangladesh - • 🇮🇳 India to Bangladesh...
2) How Bangladeshi Treat Indians - • 🇧🇩 How Bangladeshi Tre...
3) Bangladesh Railway - • Bangladesh Railway 🇧🇩 ...
4) Most Craziest First Night At Khulna- • Most Craziest First Ni...
5) Khulna To Barisal By BRTC - • 🇮🇳 Khulna To Barishal ...
6) Bangladeshi Sim Card For Tourists - • Bangladeshi Sim Card F...
7) Durgapuja Of Bangladesh -
• বাংলাদেশের দুর্গাপূজা ...
8) Barishal Mahashamshan - • ৫ একর জমিতে রয়েছে ৬৫ হ...
9) পূর্বপুরুষের ভিটায় যাওয়া ( Part - 1) - • 🇧🇩 ৭৫ বছর পর বাংলাদেশে... EqyM
#bangladesh #bengalivlog #vlog #indianinbangladesh #bangladeshvlog #bangladeshtour
তোমার এই ভিডিও দেখে আমার প্রথম গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার দিনটা মনে পড়ে গেলো। আমি তোমার অনুভূতি বুঝি।তুমি আমাদের বাড়ি এসেছিলে কত মজা করেছিলাম সবাই। তুমি মানুষটা অনেক ভালো খুব ভালো লেগেছিল তোমার সাথে পরিচিত হয়ে। খুব মিস করি তোমায় আবার এসো ❤️
'দেশ ভাগ না হলে আমরাও এখানেই থাকতাম' কথাটার বিশ্লেষণ যে কতটা হৃদয় স্পর্শী হতে পারে তা শুধু ভুক্তভোগীরাই বলতে পারবে।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের উদ্বাস্তু মানুষদের পশ্চিম বাংলার বাবা মা দাদা বৌদিরা যেভাবে বুকে টেনে আশ্রয় দিয়েছিলেন-খাবার দিয়েছিলেন, সেই ঋণ কোনদিন শোধ হবার নয় । পূর্ব পুরুষের ভিটার সঙ্গে মানুষের যে আবেগ যে বেদনা ও শিহরণ মিশে থাকে -সেই মহৎ অনুভূতিকে আমি সালাম জানাই কিন্তু সেই ভাবাবেগ ও অশ্রুধারা আমাকে খুব কষ্ট দেয় । আমিও আমার পূর্ব পুরুষের শিকড় খুজতে বাংলাদেশ থেকে পশ্চিম বাংলার বীরভূমে যেতে চাই, হয়ত একদিন আমারও মনের আশা পূর্ণ হবে!
আমিও গল্প শুনেছি আমার ঠাকুরদার বাড়ি ছিলো গোপালগঞ্জ আমার অনেক ইচ্ছা ছিলো বাংলাদেশে যাবো কিন্তু এখন ঐ দেশে কেউ নেই কোথায় যাবো কার কাছে যাবো তার থেকে বড় কথা সেই ঠিকানা আমার বাবা জানতেন কিনা শুনিনি তিনি মারা গেছেন আর দাদু যখন মারা গেছেন তখন আমি অনেক ছোট সেই বয়স হয়নি তখন ঠিকানা শুনবো বা ভবিষ্যতে যাওয়ার ইচ্ছা হবে।😔তবে হয়তো যাওয়া হবে না তাও মনে মনে অনেক ভালোবাসি বাংলাদেশকে 🥰🥰
হোক সে মুসলিম হোক হিন্দু হোক খ্রিস্টান আমরা সব্বাই রক্তমাংসের মানুষ আমরা সবার সাথে যথা সম্মান ভালো সম্পর্ক রাখবো মিলেমিশে বসবাস করা ও বিপদ আপদে পাশে থাকা এইটা একজন মানুষের দায়িত্ব কর্তব্য ।
দাদা আপনি খুব ভাগ্যবান যে আপনার ঠাকুরদার ভিটেতে পৌছাতে পেরেছেন,আমারও বাবা ও ঠাকুরদাদের পৈতৃক ভিটে ছিল ঝালকাঠীতে,কিন্তু দুঃখের বিষয় যে আমি ঝালকাঠীর সঠিক কোন জায়গায় ছিল সেইটা জানি না এবং আমাকে জানানোর জন্য আমার বংশে কেউ আর বেঁচে নেই। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার ভিডিও দেখে মনে হচ্ছিল যে আমি ও আপনার সাথে আমার পূর্বপুরুষদের ভিটেতে ঘুরছি,তার সঙ্গে ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপনার বাংলাদেশের বন্ধু ও সেই সকল নাগরিকদের যাদের আতিথেয়তা আমাকে মুগ্ধ করেছে,আমি তাদেরকে বলতে চাই আমাদের আদি পিতৃভূমির সাথে সাথে আপনাদের কেও আমরা খুব মিস করি,আমি তৃতীয় প্রজন্ম আমার জন্ম ভারতে তাই ভারত যদি আমার মাতৃভূমি হয় আমি মনে করি বাংলাদেশ আমার পিতৃপুরুষদের দেশ তাই বাংলাদেশ আমার পিতৃভূমি।🌷🌷🌷
আমার মা বাবা ১৯৪৭ সালে ভারতে চলে আসেন। বাবার কাছে শুনেছি আমাদের বাড়ি পটুয়াখালী মুরাদিয়া গ্রামে। এখন মামাতো ভাইরা ওখানে থাকে। কিন্তু কারো সঙ্গে যোগাযোগ নেই। আজ তোমার ভিডিও দেখে চোখে জল চলে এল। আমাদের বাড়ির নাম ঘোষাল বাড়ি।
দেশভাগ না হলে এখানেই থাকতাম।কথাটা কলিজায় লাগছে ভাই।আমার ও পূর্ব পুরুষ কুচবিহার এ খুব যেতে ইচ্ছে হয় কুচবিহার যেতে।
চোখে জল এসে পড়লো। পৃথিবীর আর কোন জাতি বা মানুষকে যেন তার ভিটে ছাড়তে না হয়
পশ্চিমবঙ্গের যা অবস্থা আমরা আরেকবার ভাগের দিকে এগোচ্ছি..........
আমাদেরও বাড়ি বাংলাদেশের বরিশালে ছিল, কিন্তু অনেক খুঁজেও মেলেনি 😔 কিন্তু আমি খুবই খুশি হলাম তোমাদের বাড়ি খুঁজে পেয়েছো👍
একটা জিনিস দেখলাম ভাইটির ইন্ডিয়ায় জন্ম হলেও তার ৯৯ ভাগ কথা বার্তা বলার ধরন বাংলাদেশিদের মত ❤
আমি একজন বাংলাদেশী মুসলমান ।আপনার আবেগ আমার হৃদয় ছুয়ে গেছে। আমরা বাঙ্গালী আমাদের আত্নার সম্পর্ক দুপারের বাঙ্গালীদের মধ্যে ।হিন্দু মুসলিম বিভেদ নিয়ে এসম্পর্ক খারাপ হওয়া উচিৎ না❤❤❤
ইতিহাসের কিছু ভয়ঙ্কর মানুষ দুই বাংলাকে একটা বর্ডার দিয়ে আলাদা করে দিয়েছে। কিন্তু যাদের মধ্যে মনুষ্যত্ব আছে তারা চিরকালই মন থেকে এক থাকবে।
তুমি কত ভালো ছেলে, তোমার পূর্বপুরুষদের জন্মস্থানে চলে এসেছ। এটা তোমার মহাতীর্থ স্থান। এই ভূমির মাটি নিয়ে যাও।
এই মূহুর্ত গুলো দেখলে চোখে জল চলে আসে।তুমি পূর্ব পুরুষদের কথা মনে রেখেছো ধন্যবাদ তোমায়।
আমি একজন বাংলাদেশি আমার জন্মস্থান সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ জেলার ছাতকে। আপনার পূর্ব পুরুষের ভিটা আপনি দেখতে এসে যেভাবে আবেগ আপ্লুত হয়েছেন আমার চোখেও জল এসে গেছে! তবে এটা সত্য আপনি যতটা আবেগ আপ্লুত এবং যতটা হৃদয়ে ব্যথা অনুভব করছেন আমি হয়তো ততটা নই কিন্তু আমারও চোখে জল এসেছে!!! যেখানেই থাকুন ভালো থাকুন আর আমরা বাঙালি আমরা মানুষ আমরা সবাই এক মানব মানবী থেকে জন্মগ্রহণ করেছি।।।
আমার দাদাও ১৯৪৭ এ দেশ ভাগের পর ভারত থেকে বাংলাদেশে চলে আসেন। তারপর আর কারও সেখানে যাওয়া হয়নি। ২০২২ এর ডিসেম্বর এ ভারত থেকে আমার দাদার বাড়ির ২ জন বেড়াতে এসেছিলেন। অন্য রকম অনুভুতি ছিল।
বাবার সাথে একবার ফিরে দেখার সখ ছিল,বাবার জন্মভূমি । কত গল্প শুনেছি ,ঠাকুমার কাছে।কিন্তু বাবা ,বড্ড তাড়াতাড়ি চলে গেলেন, পৃথিবী ছেড়ে।
একজন মানবতাবাদ তার মনোভাব অহিংসা সারাবিশ্বের কোন দেশেই যেতে তার ভয় নেই ভারত থেকে বলছি জয় হিন্দ