নিজের এলাকা টা যখন ইউটিউবে ভিডিও তে দেখি অনেক ভালো লাগে, ট্যাকের ঘাট শ্যামল বাগান বারেক টিলা যাদু কাটা নদী সব গুলো পাশা পাশি অনেক গর্বিত সুনামগঞ্জ জেলায় আমার বাড়ি এটা ভেবে পাহাড় ঝর্ণা সব কিছু সব সময় দেখতে পায়।🥰🥰🥰
বাংলা ভাষার নিজস্ব কোন বর্ণমালা নেই। বাংলা ভাষা নিজেই আজ থেকে ৩০০ বছর আগে একটি আঞ্চলিক ভাষা বা উপভাষা ছিল। ব্রিটিশরা বাংলা কে আঞ্চলিক ভাষা থেকে স্বতন্ত্র ভাষা হওয়ার স্বীকৃতি দিয়েছিলো। বাংলা ভাষার নিজস্ব কোন লিপি বা বর্ণমালা নেই কিন্তু সিলটি ভাষার আছে। বর্তমানে বাংলা ভাষা চর্চা করার জন্য যে বর্ণমালা গুলো ব্যবহার করা হয় তার নাম হলো পূর্বি নাগরি। সংস্কৃত ভাষাকে আরও সহজ ভাবে চর্চা করার জন্য পূর্বি নাগরি আবিষ্কার করা হয়েছিল। প্রাচীনকালে পূর্বি নাগরি দিয়ে সর্বপ্রথম অসমীয়া এবং মনিপুরী ভাষাকে লিপিবদ্ধ করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল। পরবর্তীতে সেই একই বর্ণমালা দিয়ে বাংলা এবং চাটগাঁইয়া ভাষা কে লিপিবদ্ধ করা হয়। সংস্কৃত এবং হিন্দি ভাষা যে বর্ণমালা দিয়ে লিখা হয় সেই বর্ণমালার নাম [দেব নাগরি]। সিলটি ভাষা যে বর্ণমালায় লিখা হয় তার নাম [সিলটি নাগরি]। সংস্কৃত ভাষা কে সকল ভাষার মা বলা হয়। সংস্কৃত ভাষার বয়স ৬ হাজার বছর। সিলটি ভাষার বয়স ২ হাজার বছর। সংস্কৃত ভাষা থেকে ২হাজার বছর আগে যখন সিলটি ভাষার জন্ম হয়েছিল। তখন বাংলা ভাষার কোন অস্তিত্ব ছিল না এবং বাংলা বলতে কোন ভাষা ছিল না। ইসলাম প্রচার করতে শাহজালাল এবং উনার সঙ্গী সাথিরা ৭০০ বছর আগে সিলটি বিভাগে স্থায়ী ঠিকানা গড়ে তুলেছিলেন। ইসলাম প্রচার করা লোকেদের মাতৃভাষা ছিল আরবি,ফার্সি এবং তুর্কিস। উনারা সিলট বিভাগে ইসলাম প্রচার করতে এসেছিলেন ভাষা নয়। সিলটি ভাষার সাথে ইসলাম এবং শাহজালালের কোন সম্পর্ক নেই। ইসলাম প্রচারের অনেক আগে থেকেই অধিবাসী সিলটিরা সিলটি ভাষা বলার এবং সিলটি নাগরি লিপি দিয়ে সিলটি ভাষার চর্চা করতেন। সিলটি ভাষা একটি প্রাচীণ ভাষা। ভাষার ইতিহাস না জেনে মনগড়া মন্তব্য প্রকাশ করা উচিৎ নয়। বাঙালিরা নিজের আধিপত্য বিস্তার করার জন্য সিলটি ভাষার মতো অসমীয়া,বিহারি,উরিয়ান এবং মনিপুরী ভাষা কেও বাংলা ভাষার আঞ্চলিক ভাষা বানানোর অনেক অপচেষ্টা করেছে কিন্তু ভাষার রাজনীতিতে বাঙালিরা তাদের সাথে অপচেষ্টা করে পারেনি। এজন্য আজও অসমীয়া, বিহারি,মনিপুরি এবং উরিয়ান জাতিরা বাঙালি জাতি কে খুবই অপছন্দ করে।
আপনি কি জানেন আঞ্চলিক ভাষা বা বাংলার উপভাষা কাকে বলে? আঞ্চলিক ভাষা মানে কথ্য ভাষা বা একই ভাষা থেকে সৃষ্টি হওয়া কথ্য ভাষা যার লিখিত রূপে কোন বর্ণমালা বা অক্ষর নেই। যে ভাষার লিখিত কোন রূপ নেই তাকেই আঞ্চলিক ভাষা বলে। তাদের মধ্যে যেমনঃ চাটগাঁইয়া, বরিশাইল্লা, রংপুরিয়া, কুমিল্লা, নুয়াখাইল্লা আরো অনেক আঞ্চলিক ভাষা রয়েছে। সিলটী ভাষার নিজস্ব বর্ণমালা আছে যার নাম সিলটী নাগরী লিপি। এই লিপি গুলো দিয়ে সিলটী ভাষা লিখা হয়। সিলটী নাগরী লিপি বাংলা অক্ষর থেকে পুরোই আলাদা। এতে প্রমাণ হলো সিলটী ভাষা কোন আঞ্চলিক ভাষা নয় বা বাংলার থেকে সৃষ্টি হওয়া কোন উপভাষা নয় বা কোন কথ্য ভাষা নয়। সিলটী ভাষা শুধু সিলটে না ভাতরের অনেক জায়গায় সিলটী নাগরী লিপি এবং ভাষার ব্যাবহার রয়েছে যেমনঃ মেঘালয়া রাজ্য, আসাম রাজ্য, ত্রিপুরা রাজ্য, নাগালেন্ড। ভারত উপমহাদেশের সব ভাষার মা এবং প্রথম ভাষা হলো সংস্কৃত ভাষা। সংস্কৃত ভাষা থেকে কালের বিবর্তনে সব ভাষার জন্ম হয়েছে। প্রথমে সংস্কৃত ভাষা থেকে আসে প্রকৃত ভাষা, তার পর মাগধী প্রকৃত ভাষা, তার পর আস্তে আস্তে মৈথিলী ভাষার সৃষ্টি হয়। এর পর আসে সিলটী নাগরী ভাষা। মৈথিলী ভাষার সাথে সিলটী ভাষার এবং নাগরী লিপির অনেক মিল পাওয়া যায়। যা বাংলার সাথে নেই। সিলটী ভাষায় অনেক শব্দ আছে যেসব শব্দ মৈথিলী ভাষার সাথে হুবুহু মিলে। কালের বিবর্তনে এক ভাষা থেকে আরেক ভাষার সৃষ্টি হয়েছে। বাংলা ভাষার বয়স মাত্র ১৩০০ বছর আর সিলটী নাগরী ভাষার বয়স ২০০০ হাজার বছর। ৫০০ বছর আগে ভারত উপমহাদেশে বাংলার কোন চর্চা হতো না। ভারতের আসাম রাজ্যে, মেঘালয়া রাজ্যে এবং নেপাল সহো আরো অনেক জায়গায় প্রাচীণ নাগরী লিপির পুথি এবং পান্জি পাওয়া গেছে। গবেষণা করে জানা গেছে এসব পুঁথি ২০০০ বছরেরও পুরোনো। যদি বাংলা ভাষার বয়স হয় ১৩০০ বছর আর সিলটী ভাষা মেনে নিলাম বাংলা ভাষা থেকে সৃষ্টি হয়েছে। তাহলে মৈথিলী ভাষা থেকে বিরর্তনের মাঝখানের যে ৭০০ বছর মানুষ কি জ্ঞান চর্চা করেনি, নাকি ৭০০ বছর পর হঠাৎ মানুষ বাংলা ভাষায় কথা বলা শুরু করে দেয়? শ্রদ্ধেয় শাহজালাল সিলটে আগমনের আগে ও পরে যতো মধ্য প্রাচ্যের মুসলমান লোকরা বাংলাদেশে ইসলাম প্রচার করার জন্য এসেছিলেন তাদের সবাই আরবি ভাষী ছিলেন। তাদের সাথে থাকা অনেকেই তখন নাগরী ভাষার চর্চা করেছিলেন। শাহজালাল ৭০০ বছর আগে সিলটে এসেছিলেন। উনার আগমনের আগে বেশিরভাগ মানুষ হিন্দু ছিল। পরে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে মুসলমান হয়ে যায়। বাংলা ভাষা কে সহজ এবং আধুনিকায়ন করার জন্য সিলটী নাগরী লিপি কে অনুকরণ করে বাংলা বর্ণমালা সৃষ্টি করা হয়েছিল। সিলটীদের পূর্ব পুরুষরা মধ্য প্রাচ্যের বা ইউরোপের ছিলেন বলতে সবাইকে বুঝায় না। পূর্ব পুরুষ বলতে আমি পুরুষদের কথা বুঝাতে চেয়েছিলাম। সিলট ছিল অটাল সম্পদের উৎস আর বিদেশিরা সাগর পথে জাহাজ দিয়ে এসে নদী পথে সিলটে প্রবেশ করতেন এবং তারা স্থানীয় সিলটীদের সাথে বিভিন্ন ব্যাবসা করতেন। বিদেশিরা স্থানীয় আদিবাসী সিলটী ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করা মহিলাদের বিয়ে করে বাংলাদেশে স্থায়ী ভাবে বসবাস করা শুরু করতেন। প্রত্যেক সিলটীদের পূর্ব পুরুষের মধ্যে বাবা ছিল বিদেশি এবং মা ছিল সিলটী স্থানীয় আদিবাসী। সিলটী মুসলমানদের পূর্ব পুরুষ সবাই মুসলমান ছিল না। স্থানীয় সিলটী আদিবাসী সবাই হিন্দু ছিলো। সিলটী ভাষা পৃথিবীর ১০০ টি প্রাচীণ ভাষার মধ্যে একটি। ruclips.net/video/bchdNNIq2Dg/видео.html সিলটী ইতিহাস নিয়ে করা এই ভিডিও টি দেখুন তাহলে আপনার মনের বাকিটা সন্দেহ দূর হয়ে যাবে।
সিলটী এবং চাটগাঁইয়া ভাষা বাংলা ভাষার কোন আঞ্চলিক ভাষা নয় বা সিলটীরা বা চাটগাঁইয়ারা, বাঙালী জাতী নয়। তার সব চেয়ে বড় প্রমাণ হলো সিলটী ভাষা লিখার জন্য যে বর্ণমালা ব্যবহার করা হয় তার সাথে বাংলা বর্ণমালার কোন মিল নেই। যদি সিলটী ভাষা বাংলার আঞ্চলিক ভাষা হতো তাহলে একটি আঞ্চলিক ভাষা লিখার জন্য শত শত বছর সেই ভাষা কে নিয়ে চর্চা এবং গবেষণা করে আলাদা বর্ণমালা তৈরী করার করার কোন প্রয়োজন ছিলো না। যেহেতু বাংলা ভাষা এবং বাংলা বর্ণমালা সেখানে আগে থেকেই ছিলো। সিলটী ভাষা বাংলার কোন আঞ্চলিক ভাষা হলে নিশ্চয়ই সিলটীরা সেটা জানতেন আর শুধু শুধু সিলটী ভাষার মতো একটি আঞ্চলিক ভাষার জন্য অকারণে বর্ণমালা তৈরী করে সময় নষ্ট করতেন না। সিলটী ভাষার ব্যাকরণ, বর্ণমালা এবং শব্দ ভান্ডার সব কিছু বাংলা ভাষার চেয়ে আলাদা। সিলটী ব্যাকরণের সাথে হিন্দি ব্যাকরণের অনেক মিল লক্ষ করা যায়। বাংলা ভাষা থেকে সিলটী ভাষার জন্ম হয়েছে এমন কোন তথ্য আজ পর্যন্ত সিলটী ভাষার কোন পুরোনো পুঁথি বা পান্জিতে লিখিত প্রমাণ পাওয়া যায় নি। বরং সিলটী অনেক পুরোনো পুঁথি পাওয়া গেছে যেখানে স্পষ্ট লিখা আছে সিলটী ভাষার জন্ম হয়েছে প্রাকৃত ভাষা থেকে এবং সিলটী বর্ণমালা গুলো কে বিহার অঞ্চলের কাইথি লিপি থেকে অনুকরণ করে সৃষ্টি করা হয়েছিল। এতেই প্রমাণ হয় সিলটী ভাষার সাথে বাংলা ভাষার কোন সম্পর্ক ছিলো না বা নেই। অনেক পুরোনো পুঁথি পাওয়া গেছে যেখানে সিলটী নাগরী লিপি এবং আসামী লিপি দিয়ে বাংলা লিখা হয়েছে কারণ তখনও বাংলা ভাষার জন্য বাংলা বর্ণমালা সৃষ্টি করা হয় নি! এতেই প্রমাণ হয় সিলটী ভাষা বাংলা ভাষার চেয়ে অনেক প্রাচীণ একটি ভাষা। সিলটী ভাষায় পুরোনো কিছু পুঁথিতে তারিখ লিখা আছে যা ২ হাজার বছর আগে লিখা হয়েছিলো। গবেষণা করে জানা গেছে পুঁথি গুলো ২ হাজার বছর আগে লিখা হয়েছিল। বাংলা ভাষার বয়স ১ হাজার ৩০০ বছর। সিলটী ভাষার বয়স ২ হাজার বছর। এতেই প্রমাণ হয় সিলটী ভাষার সাথে বাংলা ভাষার কোন সম্পর্ক ছিলো না আর সিলটীরা বাঙালী না। সিলটীরা হলো সিলটী জাতী। চাটগাঁইয়া,নুয়াখাইল্লা,রংপুরিয়া,রাজবংশী আরো অন্যান্য আঞ্চলিক ভাষা লিখার জন্য কোন আলাদা বর্ণমালা নেই কারণ এই সব গুলোর জন্ম বাংলা ভাষা থেকে।
সুনামগঞ্জ সুন্দর জেলা
💕
নিজের এলাকা টা যখন ইউটিউবে ভিডিও তে দেখি অনেক ভালো লাগে, ট্যাকের ঘাট শ্যামল বাগান বারেক টিলা যাদু কাটা নদী সব গুলো পাশা পাশি অনেক গর্বিত সুনামগঞ্জ জেলায় আমার বাড়ি এটা ভেবে পাহাড় ঝর্ণা সব কিছু সব সময় দেখতে পায়।🥰🥰🥰
❤❤❤❤
yes
হুমমম আপু ঠিক বলছেন আপনি ❤
গুড,,,,, ভাল একটা ভিডিও
💕💕
Great video
💕💕✔
ভাই বিশেষ নদী গুলোর মধ্যে কি কুশিয়ারা নদীর নাম রাখা যায় না?
প্রিয়ক
জন্মভুমি❤️❤️
❤❤
প্রিয় সুনামগঞ্জ ❤
ধন্যবাদ ভাইয়া
Love from Sunamganj ❤❤
❤❤❤❤
আমিও সুনামগঞ্জের❤
❤❤
ভাই আপনি এখন আর ভিডিও বানান না কেন 🤔
Radaromon amader bonser❤❤❤
আমি সুনামগঙ জেলা সিলেট বিভাগে থাকি
💕
হাসন রাজার নাম নেই হাসন রাজার মিউজিয়াম নেই??
🖤🖤🖤
Bismillah subhanallah ya rbbul alamia sier long lifes up allahthing just honoer mindfamilyallah goodness manyswill
বাংলা ভাষার নিজস্ব কোন বর্ণমালা নেই। বাংলা ভাষা নিজেই আজ থেকে ৩০০ বছর আগে একটি আঞ্চলিক ভাষা বা উপভাষা ছিল। ব্রিটিশরা বাংলা কে আঞ্চলিক ভাষা থেকে স্বতন্ত্র ভাষা হওয়ার স্বীকৃতি দিয়েছিলো। বাংলা ভাষার নিজস্ব কোন লিপি বা বর্ণমালা নেই কিন্তু সিলটি ভাষার আছে। বর্তমানে বাংলা ভাষা চর্চা করার জন্য যে বর্ণমালা গুলো ব্যবহার করা হয় তার নাম হলো পূর্বি নাগরি। সংস্কৃত ভাষাকে আরও সহজ ভাবে চর্চা করার জন্য পূর্বি নাগরি আবিষ্কার করা হয়েছিল। প্রাচীনকালে পূর্বি নাগরি দিয়ে সর্বপ্রথম অসমীয়া এবং মনিপুরী ভাষাকে লিপিবদ্ধ করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল। পরবর্তীতে সেই একই বর্ণমালা দিয়ে বাংলা এবং চাটগাঁইয়া ভাষা কে লিপিবদ্ধ করা হয়।
সংস্কৃত এবং হিন্দি ভাষা যে বর্ণমালা দিয়ে লিখা হয় সেই বর্ণমালার নাম [দেব নাগরি]। সিলটি ভাষা যে বর্ণমালায় লিখা হয় তার নাম [সিলটি নাগরি]। সংস্কৃত ভাষা কে সকল ভাষার মা বলা হয়। সংস্কৃত ভাষার বয়স ৬ হাজার বছর। সিলটি ভাষার বয়স ২ হাজার বছর। সংস্কৃত ভাষা থেকে ২হাজার বছর আগে যখন সিলটি ভাষার জন্ম হয়েছিল। তখন বাংলা ভাষার কোন অস্তিত্ব ছিল না এবং বাংলা বলতে কোন ভাষা ছিল না। ইসলাম প্রচার করতে শাহজালাল এবং উনার সঙ্গী সাথিরা ৭০০ বছর আগে সিলটি বিভাগে স্থায়ী ঠিকানা গড়ে তুলেছিলেন। ইসলাম প্রচার করা লোকেদের মাতৃভাষা ছিল আরবি,ফার্সি এবং তুর্কিস। উনারা সিলট বিভাগে ইসলাম প্রচার করতে এসেছিলেন ভাষা নয়। সিলটি ভাষার সাথে ইসলাম এবং শাহজালালের কোন সম্পর্ক নেই। ইসলাম প্রচারের অনেক আগে থেকেই অধিবাসী সিলটিরা সিলটি ভাষা বলার এবং সিলটি নাগরি লিপি দিয়ে সিলটি ভাষার চর্চা করতেন। সিলটি ভাষা একটি প্রাচীণ ভাষা। ভাষার ইতিহাস না জেনে মনগড়া মন্তব্য প্রকাশ করা উচিৎ নয়।
বাঙালিরা নিজের আধিপত্য বিস্তার করার জন্য সিলটি ভাষার মতো অসমীয়া,বিহারি,উরিয়ান এবং মনিপুরী ভাষা কেও বাংলা ভাষার আঞ্চলিক ভাষা বানানোর অনেক অপচেষ্টা করেছে কিন্তু ভাষার রাজনীতিতে বাঙালিরা তাদের সাথে অপচেষ্টা করে পারেনি। এজন্য আজও অসমীয়া, বিহারি,মনিপুরি এবং উরিয়ান জাতিরা বাঙালি জাতি কে খুবই অপছন্দ করে।
আপনি কি জানেন আঞ্চলিক ভাষা বা বাংলার উপভাষা কাকে বলে? আঞ্চলিক ভাষা মানে কথ্য ভাষা বা একই ভাষা থেকে সৃষ্টি হওয়া কথ্য ভাষা যার লিখিত রূপে কোন বর্ণমালা বা অক্ষর নেই। যে ভাষার লিখিত কোন রূপ নেই তাকেই আঞ্চলিক ভাষা বলে। তাদের মধ্যে যেমনঃ চাটগাঁইয়া, বরিশাইল্লা, রংপুরিয়া, কুমিল্লা, নুয়াখাইল্লা আরো অনেক আঞ্চলিক ভাষা রয়েছে। সিলটী ভাষার নিজস্ব বর্ণমালা আছে যার নাম সিলটী নাগরী লিপি। এই লিপি গুলো দিয়ে সিলটী ভাষা লিখা হয়। সিলটী নাগরী লিপি বাংলা অক্ষর থেকে পুরোই আলাদা। এতে প্রমাণ হলো সিলটী ভাষা কোন আঞ্চলিক ভাষা নয় বা বাংলার থেকে সৃষ্টি হওয়া কোন উপভাষা নয় বা কোন কথ্য ভাষা নয়। সিলটী ভাষা শুধু সিলটে না ভাতরের অনেক জায়গায় সিলটী নাগরী লিপি এবং ভাষার ব্যাবহার রয়েছে যেমনঃ মেঘালয়া রাজ্য, আসাম রাজ্য, ত্রিপুরা রাজ্য, নাগালেন্ড। ভারত উপমহাদেশের সব ভাষার মা এবং প্রথম ভাষা হলো সংস্কৃত ভাষা। সংস্কৃত ভাষা থেকে কালের বিবর্তনে সব ভাষার জন্ম হয়েছে। প্রথমে সংস্কৃত ভাষা থেকে আসে প্রকৃত ভাষা, তার পর মাগধী প্রকৃত ভাষা, তার পর আস্তে আস্তে মৈথিলী ভাষার সৃষ্টি হয়। এর পর আসে সিলটী নাগরী ভাষা। মৈথিলী ভাষার সাথে সিলটী ভাষার এবং নাগরী লিপির অনেক মিল পাওয়া যায়। যা বাংলার সাথে নেই। সিলটী ভাষায় অনেক শব্দ আছে যেসব শব্দ মৈথিলী ভাষার সাথে হুবুহু মিলে। কালের বিবর্তনে এক ভাষা থেকে আরেক ভাষার সৃষ্টি হয়েছে। বাংলা ভাষার বয়স মাত্র ১৩০০ বছর আর সিলটী নাগরী ভাষার বয়স ২০০০ হাজার বছর। ৫০০ বছর আগে ভারত উপমহাদেশে বাংলার কোন চর্চা হতো না। ভারতের আসাম রাজ্যে, মেঘালয়া রাজ্যে এবং নেপাল সহো আরো অনেক জায়গায় প্রাচীণ নাগরী লিপির পুথি এবং পান্জি পাওয়া গেছে। গবেষণা করে জানা গেছে এসব পুঁথি ২০০০ বছরেরও পুরোনো। যদি বাংলা ভাষার বয়স হয় ১৩০০ বছর আর সিলটী ভাষা মেনে নিলাম বাংলা ভাষা থেকে সৃষ্টি হয়েছে। তাহলে মৈথিলী ভাষা থেকে বিরর্তনের মাঝখানের যে ৭০০ বছর মানুষ কি জ্ঞান চর্চা করেনি, নাকি ৭০০ বছর পর হঠাৎ মানুষ বাংলা ভাষায় কথা বলা শুরু করে দেয়? শ্রদ্ধেয় শাহজালাল সিলটে আগমনের আগে ও পরে যতো মধ্য প্রাচ্যের মুসলমান লোকরা বাংলাদেশে ইসলাম প্রচার করার জন্য এসেছিলেন তাদের সবাই আরবি ভাষী ছিলেন। তাদের সাথে থাকা অনেকেই তখন নাগরী ভাষার চর্চা করেছিলেন। শাহজালাল ৭০০ বছর আগে সিলটে এসেছিলেন। উনার আগমনের আগে বেশিরভাগ মানুষ হিন্দু ছিল। পরে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে মুসলমান হয়ে যায়। বাংলা ভাষা কে সহজ এবং আধুনিকায়ন করার জন্য সিলটী নাগরী লিপি কে অনুকরণ করে বাংলা বর্ণমালা সৃষ্টি করা হয়েছিল। সিলটীদের পূর্ব পুরুষরা মধ্য প্রাচ্যের বা ইউরোপের ছিলেন বলতে সবাইকে বুঝায় না। পূর্ব পুরুষ বলতে আমি পুরুষদের কথা বুঝাতে চেয়েছিলাম। সিলট ছিল অটাল সম্পদের উৎস আর বিদেশিরা সাগর পথে জাহাজ দিয়ে এসে নদী পথে সিলটে প্রবেশ করতেন এবং তারা স্থানীয় সিলটীদের সাথে বিভিন্ন ব্যাবসা করতেন। বিদেশিরা স্থানীয় আদিবাসী সিলটী ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করা মহিলাদের বিয়ে করে বাংলাদেশে স্থায়ী ভাবে বসবাস করা শুরু করতেন। প্রত্যেক সিলটীদের পূর্ব পুরুষের মধ্যে বাবা ছিল বিদেশি এবং মা ছিল সিলটী স্থানীয় আদিবাসী। সিলটী মুসলমানদের পূর্ব পুরুষ সবাই মুসলমান ছিল না। স্থানীয় সিলটী আদিবাসী সবাই হিন্দু ছিলো। সিলটী ভাষা পৃথিবীর ১০০ টি প্রাচীণ ভাষার মধ্যে একটি।
ruclips.net/video/bchdNNIq2Dg/видео.html
সিলটী ইতিহাস নিয়ে করা এই ভিডিও টি দেখুন তাহলে আপনার মনের বাকিটা সন্দেহ দূর হয়ে যাবে।
the report newaygo video please ❤❤❤❤
সুনামগঞ্জ জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত কেউ জানলে বলবেন প্লিজ
হাওরের জন্য বিখ্যাত।
এককথায় সুনামগঞ্জ কে হাওর কন্যা বলে
বেশিরভাগ উচ্চারণ ভুল..বিভিন্ন উপজেলা থেকে শুরু করে অনেক উচ্চারণ ভুল বলা হয়েছে..আগে সঠিক নাম ও উচ্চারণ ঠিক করুন তারপর ভিডিও আপলোড করুন
সিলটী এবং চাটগাঁইয়া ভাষা বাংলা ভাষার কোন আঞ্চলিক ভাষা নয় বা সিলটীরা বা চাটগাঁইয়ারা, বাঙালী জাতী নয়। তার সব চেয়ে বড় প্রমাণ হলো সিলটী ভাষা লিখার জন্য যে বর্ণমালা ব্যবহার করা হয় তার সাথে বাংলা বর্ণমালার কোন মিল নেই। যদি সিলটী ভাষা বাংলার আঞ্চলিক ভাষা হতো তাহলে একটি আঞ্চলিক ভাষা লিখার জন্য শত শত বছর সেই ভাষা কে নিয়ে চর্চা এবং গবেষণা করে আলাদা বর্ণমালা তৈরী করার করার কোন প্রয়োজন ছিলো না। যেহেতু বাংলা ভাষা এবং বাংলা বর্ণমালা সেখানে আগে থেকেই ছিলো। সিলটী ভাষা বাংলার কোন আঞ্চলিক ভাষা হলে নিশ্চয়ই সিলটীরা সেটা জানতেন আর শুধু শুধু সিলটী ভাষার মতো একটি আঞ্চলিক ভাষার জন্য অকারণে বর্ণমালা তৈরী করে সময় নষ্ট করতেন না। সিলটী ভাষার ব্যাকরণ, বর্ণমালা এবং শব্দ ভান্ডার সব কিছু বাংলা ভাষার চেয়ে আলাদা। সিলটী ব্যাকরণের সাথে হিন্দি ব্যাকরণের অনেক মিল লক্ষ করা যায়। বাংলা ভাষা থেকে সিলটী ভাষার জন্ম হয়েছে এমন কোন তথ্য আজ পর্যন্ত সিলটী ভাষার কোন পুরোনো পুঁথি বা পান্জিতে লিখিত প্রমাণ পাওয়া যায় নি। বরং সিলটী অনেক পুরোনো পুঁথি পাওয়া গেছে যেখানে স্পষ্ট লিখা আছে সিলটী ভাষার জন্ম হয়েছে প্রাকৃত ভাষা থেকে এবং সিলটী বর্ণমালা গুলো কে বিহার অঞ্চলের কাইথি লিপি থেকে অনুকরণ করে সৃষ্টি করা হয়েছিল। এতেই প্রমাণ হয় সিলটী ভাষার সাথে বাংলা ভাষার কোন সম্পর্ক ছিলো না বা নেই। অনেক পুরোনো পুঁথি পাওয়া গেছে যেখানে সিলটী নাগরী লিপি এবং আসামী লিপি দিয়ে বাংলা লিখা হয়েছে কারণ তখনও বাংলা ভাষার জন্য বাংলা বর্ণমালা সৃষ্টি করা হয় নি! এতেই প্রমাণ হয় সিলটী ভাষা বাংলা ভাষার চেয়ে অনেক প্রাচীণ একটি ভাষা। সিলটী ভাষায় পুরোনো কিছু পুঁথিতে তারিখ লিখা আছে যা ২ হাজার বছর আগে লিখা হয়েছিলো। গবেষণা করে জানা গেছে পুঁথি গুলো ২ হাজার বছর আগে লিখা হয়েছিল। বাংলা ভাষার বয়স ১ হাজার ৩০০ বছর। সিলটী ভাষার বয়স ২ হাজার বছর। এতেই প্রমাণ হয় সিলটী ভাষার সাথে বাংলা ভাষার কোন সম্পর্ক ছিলো না আর সিলটীরা বাঙালী না। সিলটীরা হলো সিলটী জাতী।
চাটগাঁইয়া,নুয়াখাইল্লা,রংপুরিয়া,রাজবংশী আরো অন্যান্য আঞ্চলিক ভাষা লিখার জন্য কোন আলাদা বর্ণমালা নেই কারণ এই সব গুলোর জন্ম বাংলা ভাষা থেকে।
❤❤❤❤❤❤🤣
💕💕💕✔
Murkho RUclips r 11 upozila vole...abar vole 12 upozila