মস্তক মুন্ডন ❤️❤️ন্যাড়া ❤️❤️head shaving❤️❤️बालों का मुंडन❤️❤️मस्तक मुंडन❤️❤️चूड़ाकर्म ❤️সোনা মা

Поделиться
HTML-код
  • Опубликовано: 25 дек 2024
  • #head shaving #बालों का मुंडन #ন্যাড়া #মস্তকমুন্ডন
    মস্তক মুন্ডন কিংবা ‘আতুরের চুল ফেলা’ বাঙালি লোকাচারে খুবই জনপ্রিয় একটি প্রথা। শুধু যে হিন্দু সংস্কৃতিতেই এটি জনপ্রিয় বা আবশ্যিক তা নয়, একই রকম ভাবে এটি মুসলিম সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। এই প্রথাটিতে অর্থাৎ মস্তক মুন্ডন কিংবা ‘আতরের চুল ফেলায়’ একজন নাপিত শিশুর সব চুল কামিয়ে দেয়। হিন্দু সংস্কৃতিতে মনে করা হয় যে, এই প্রথাটি চার মাস থেকে তিন বছরের মধ্যে করা উচিত; অন্যদিকে মুসলিম সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে এই সময়সীমা থাকে ৭ থেকে ৪০ দিনের মধ্যে। তাই এ কথা বলতে কোন অসুবিধাই থাকে না যে 'এত ভঙ্গ বঙ্গ বঙ্গ দেশ, তবু রঙ্গে ভরা' অথবা 'বৈচিত্রের মাঝে ঐক্য' সর্বদাই বাংলায় দৃশ্যমান।
    নিয়ম বা প্রথা (Custom)
    আতুরের চুল ফেলার কিছু নিয়ম এবং সময় আছে অন্যান্য প্রথা বা সংস্কৃতির মতই, যদিও এগুলি সম্প্রদায় ভিত্তিতে আলাদা হয়। কিন্তু অবশ্যম্ভাবীভাবে প্রত্যেক সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রেই এই প্রথার যৌক্তিকতা অনস্বীকার্য; আবার এও দেখা যায় যে, কিছু কিছু সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে এই মস্তক মুন্ডন শুধুমাত্র ছেলেদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। এই প্রথাটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শিশুর বাবা বা একজন পুরোহিতের দ্বারা সম্পন্ন হয়।
    প্রথাটির নামকরণের মাধ্যমে যদিও এটি পরিষ্কার যে ‘আতুরের চুল ফেলা’ই এই প্রথার প্রধান উদ্দেশ্য, কিন্তু এটা শিশ ুর যত্ন বা আরো ভালো বৃদ্ধি নিশ্চিত করার জন্য করা হয়। তাইজন্যেই শুধুমাত্র চুল কেটে ফেলেই প্রথাটি সম্পন্ন হয় না বরং এর ওপর গঙ্গা জল ছিটিয়ে মাথা পরিষ্কার করে চন্দন এবং হলুদের মিশ্রণ লাগানো হয় - যা কিনা বহু বছর ধরেই সংক্রমণ রোধে প্রমাণিত সত্য। চুল কাটার সময়ে যদি কোন জায়গা কেটে যায় তাহলে যাতে শিশুর কোনোভাবেই কোন ক্ষতি না হয় সেই জন্যেই এই মিশ্রণ লাগানো হয়
    যৌক্তিকতা (Relevance)
    এই প্রথা অর্থাৎ মস্তক মুন্ডন বা ‘আতরের চুল ফেলা’ বহু যুগ ধরেই আমাদের সংস্কৃতিতে চলে আসছে, তবে এ কথা সত্যি যে আধুনিক যুগেও এই প্রথার যথেষ্ট যৌক্তিকতা আছে বলেই এখনো অব্দি এ প্রথা সকলেই মেনে চলে। কিন্তু যুগের পরিবর্তনের সাথে সাথেই কিছু মানুষ এই প্রথার যথার্থতা সম্পর্কে প্রশ্ন করতে শুরু করেছে, যাতে এর যৌক্তিকতা আরো পরিষ্কার হয় এবং প্রত্যেক বাবা-মাই এ সম্পর্কে সম্যক ধারণা রাখেন। এই ধারণা অনস্বীকার্যভাবে নতুন বাবা-মাকে তার বাচ্চার যত্ন নিতে আরো ভালোভাবে সাহায্য করবে। হিন্দু ছাড়াও অন্যান্য ধর্মে এই ধরনের প্রথা দেখা যায় যা থেকে এ প্রশ্ন আরো জোরালো হয় যে এই আধুনিকতার যুগে দাঁড়িয়ে এ ধরনের প্রথার আদৌ কি কোন সারসত্য আছে?
    যুক্তি (Logic behind it)
    বিজ্ঞানসম্মতভাবে একথা বলা হয় যে, শিশুর জন্য ভিটামিন ডি খুবই জরুরী এবং এটি শিশুর শরীর সবথেকে তাড়াতাড়ি এবং সহজে পেতে পারে যদি চুল এবং পোশাক বিহীন ভাবে সূর্যালোকে থাকে। এমনকি ডাক্তাররাও শিশুদের সকালে সূর্যালোকে রাখার জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকেন কিন্তু এক্ষেত্রে এটা মনে রাখা খুবই জরুরী যে, সকালেই শিশুকে শুধুমাত্র সূর্যালোকে রাখা উচিত কারণ বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই রোদের তাপ শিশুর ক্ষেত্রে ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে
    এছাড়াও শিশুর জন্মের সময়ে চুল থাকে অসমান যার ফলে অনেক সময় নরম ত্বকে ক্ষতি হয়। চুল কেটে দিলে পরবর্তীকালে সমান চুল গজায় এবং এটি চুলের বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে
    পৌরাণিক ভিত্তি (Mythology)
    হিন্দু ধর্মের পৌরাণিক কাহিনীতে বলা হয়েছে যে একটি আত্মা ৮৪ লাখ যোনি পেরিয়ে একটি শরীর পায় এবং প্রত্যেকটি যোনির মানুষের ওপরে প্রভাব থাকে। তাই চুল কেটে শিশুটিকে আগের যোনি থেকে মুক্ত করে শুদ্ধ করা হয় যাতে সে অতীতের সমস্ত রকম ঋণাত্মক প্রভাব থেকে মুক্ত হতে পারে
    লোকাচার (Ethos)
    কিছু মানুষ এও মনে করে যে, চুল কাটার ফলে মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুর বৃদ্ধি বেশি ভালো হয়। মস্তক মুন্ডনের ফলে গরমে শিশুটি অনেক বেশি আরামে থাকে এবং একথা বলার ঊর্ধ্বে যে আমাদের দেশে গরমকালই বেশি সময় ধরে চলে। তাই লোকাচারে শিশুর আরামকে প্রাধান্য দিতেও এ প্রথা জরুরী।
    পরিশেষে এ কথা বলা যায় যে এর পেছনে অগুন্তি বিশ্বাস বা ধারণা থাকলেও, যুক্তি lও কোন অংশে কম নয়। যদিও এ প্রথা পালন করা বা না করা সম্পূর্ণভাবে নতুন বাবা মার ওপর নির্ভর করে কারণ তাদের বাচ্চার ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বাচ্চার মঙ্গলার্থে তারাই নিতে পারেন। তবে সর্বোপরি এ কথা অনস্বীকার্য যে মস্তক মুন্ডনের প্রভূত শুভ দিক বিচার বিশ্লেষণ করে এই প্রথা মেনে চলাই বরং সকলের জন্যই ভালো। তার সঙ্গে এও নিশ্চিত করতে হবে যে প্রথা পালনে যেন কোনোভাবেই শিশুটির কোন ক্ষতি না হয়
    শিশুর নিরাপত্তা বিষয়ক পরামর্শ (Tips to follow to keep the baby safe)
    সর্বপ্রথম, মাকে খেয়াল রাখতে হবে যে, শিশুটি যেন যথার্থভাবে খেয়ে এবং ঘুমিয়ে ফুরফুরে মেজাজে থাকে; যাতে তাকে শান্ত রাখতে কোন অসুবিধা না হয়। ঠিক মতন খাওয়া বা ঘুম না হলে শিশুরা খুব সহজেই বিরক্ত হয়ে যায় এবং ছটফট করতে থাকলে কেটে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশেই বেড়ে যায়
    এরপর একজন দক্ষ নাপিত, যার বাচ্চাদের চুল কাটার যথেষ্ট অভিজ্ঞতা আছে তাকে বেছে নেওয়া দরকার যাতে সে শিশুটিকে বুঝে নিয়ে সেই মতন কাজটি সম্পন্ন করতে পারে
    শিশুরা খুবই সংবেদনশীল হয় তাই তাদের সংক্রমনের সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই এদিকে যথেষ্ট খেয়াল রাখতে হবে যে যন্ত্রপাতি যেগুলি এই প্রথা চলাকালীন ব্যবহৃত হবে সেগুলি যেন ঠিকভাবে পরিষ্কার করে স্টেরিলাইজ করা থাকে যাতে কোনো রকম সংক্রমণের সম্ভাবনা কেটে যাওয়া থেকে না হতে পারে
    প্রথাটি সম্পন্ন হওয়ার পরে শিশুটিকে ঈষদউষ্ণ গরম জলে চান করালে সে আরাম বোধ করতে পারে কারণ অনেক সময় চুল কাটার পরে ছোট চুলের অবশিষ্টাংশ শরীরে আটকে থাকে যা কিনা শিশুর ক্ষেত্রে বড়ই পীরাদায়ক এমনকি। এগুলি শিশুর চোখে, কানে, নাকে ঢুকেও অস্বস্তি বাড়াতে পারে।

Комментарии •