বাহ... দারুণ। অসাধারণ। এতো দেখি আমাদের নতুন এক ম্যাডাম। ম্যাডামের যে এই প্রতিভা আছে তাতো জানতামি না। দারুণ... চোখ বন্ধ করে মুগ্ধ হয়ে কেবল শুনলাম আর শুনলাম।... খুবি ভাল লাগছে...
এতোটা দরদ নিয়ে কবিতাটি লিখেছেন কি বলবো। কবিতা শুনতে শুনতো কখন যে দু চোখের কোনে দু ফোটা জল নেমে আসছে বোঝতেই পারি নি। শরীরের মাঝে কেমন একটা শিহরণ অনুভব করলাম।
প্রিয় রুদ্র, প্রযত্নেঃ আকাশ, তুমি আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখতে বলেছিলে। তুমি কি এখন আকাশ জুরে থাকো? তুমি আকাশে উড়ে বেড়াও? তুলোর মতো, পাখির মতো? তুমি এই জগত্সংসার ছেড়ে আকাশে চলে গেছো। তুমি আসলে বেঁচেই গেছো রুদ্র। আচ্ছা, তোমার কি পাখি হয়ে উড়ে ফিরে আসতে ইচ্ছে করে না? তোমার সেই ইন্দিরা রোডের বাড়িতে, আবার সেই নীলক্ষেত, শাহবাগ, পরীবাগ, লালবাগ চষে বেড়াতে? ইচ্ছে তোমার হয় না এ আমি বিশ্বাস করি না, ইচ্ছে ঠিকই হয়, পারো না। অথচ এক সময় যা ইচ্ছে হতো তোমার তাই করতে। ইচ্ছে যদি হতো সারারাত না ঘুমিয়ে গল্প করতে - করতে। ইচ্ছে যদি হতো সারাদিন পথে পথে হাটতে - হাটতে। কে তোমাকে বাধা দিতো? জীবন তোমার হাতের মুঠোয় ছিলো। এই জীবন নিয়ে যেমন ইচ্ছে খেলেছো। আমার ভেবে অবাক লাগে, জীবন এখন তোমার হাতের মুঠোয় নেই। ওরা তোমাকে ট্রাকে উঠিয়ে মিঠেখালি রেখে এলো, তুমি প্রতিবাদ করতে পারোনি। আচ্ছা, তোমার লালবাগের সেই প্রেমিকাটির খবর কি, দীর্ঘ বছর প্রেম করেছিলে তোমার যে নেলী খালার সাথে? তার উদ্দেশ্যে তোমার দিস্তা দিস্তা প্রেমের কবিতা দেখে আমি কি ভীষণ কেঁদেছিলাম একদিন ! তুমি আর কারো সঙ্গে প্রেম করছো, এ আমার সইতো না। কি অবুঝ বালিকা ছিলাম ! তাই কি? যেন আমাকেই তোমার ভালোবাসতে হবে। যেন আমরা দু’জন জন্মেছি দু’জনের জন্য। যেদিন ট্রাকে করে তোমাকে নিয়ে গেলো বাড়ি থেকে, আমার খুব দম বন্ধ লাগছিলো। ঢাকা শহরটিকে এতো ফাঁকা আর কখনো লাগেনি। বুকের মধ্যে আমার এতো হাহাকারও আর কখনো জমেনি। আমি ঢাকা ছেড়ে সেদিন চলে গিয়েছিলাম ময়মনসিংহে। আমার ঘরে তোমার বাক্সভর্তি চিঠিগুলো হাতে নিয়ে জন্মের কান্না কেঁদেছিলাম। আমাদের বিচ্ছেদ ছিলো চার বছরের। এতো বছর পরও তুমি কী গভীর করে বুকের মধ্যে রয়ে গিয়েছিলে ! সেদিন আমি টের পেয়েছি। আমার বড়ো হাসি পায় দেখে, এখন তোমার শ’য়ে শ’য়ে বন্ধু বেরোচ্ছে। তারা তখন কোথায় ছিলো? যখন পয়সার অভাবে তুমি একটি সিঙ্গারা খেয়ে দুপুর কাটিয়েছো। আমি না হয় তোমার বন্ধু নই, তোমাকে ছেড়ে চলে এসেছিলাম বলে। এই যে এখন তোমার নামে মেলা হয়, তোমার চেনা এক আমিই বোধ হয় অনুপস্থিত থাকি মেলায়। যারা এখন রুদ্র রুদ্র বলে মাতম করে বুঝিনা তারা তখন কোথায় ছিলো? শেষদিকে তুমি শিমুল নামের এক মেয়েকে ভালোবাসতে। বিয়ের কথাও হচ্ছিলো। আমাকে শিমুলের সব গল্প একদিন করলে। শুনে … তুমি বোঝোনি আমার খুব কষ্ট হচ্ছিলো। এই ভেবে যে, তুমি কি অনায়াসে প্রেম করছো ! তার গল্প শোনাচ্ছো ! ঠিক এইরকম অনুভব একসময় আমার জন্য ছিলো তোমার ! আজ আরেকজনের জন্য তোমার অস্থিরতা। নির্ঘুম রাত কাটাবার গল্প শুনে আমার কান্না পায় না বলো? তুমি শিমুলকে নিয়ে কি কি কবিতা লিখলে তা দিব্যি বলে গেলে ! আমাকে আবার জিজ্ঞেসও করলে, কেমন হয়েছে। আমি বললাম, খুব ভালো। শিমুল মেয়েটিকে আমি কোনোদিন দেখিনি, তুমি তাকে ভালোবাসো, যখন নিজেই বললে, তখন আমার কষ্টটাকে বুঝতে দেইনি। তোমাকে ছেড়ে চলে গেছি ঠিকই কিন্তু আর কাউকে ভালোবাসতে পারিনি। ভালোবাসা যে যাকে তাকে বিলোবার জিনিস নয়। আকাশের সঙ্গে কতো কথা হয় রোজ ! কষ্টের কথা, সুখের কথা। একদিন আকাশভরা জোত্স্নায় গা ভেসে যাচ্ছিলো আমাদের। তুমি দু চারটি কষ্টের কথা বলে নিজের লেখা একটি গান শুনিয়েছিলে। “ভালো আছি ভালো থেকো, আকাশের ঠিকানায় চিঠি দিও”। মংলায় বসে গানটি লিখেছিলে। মনে মনে তুমি কার চিঠি চেয়েছিলে? আমার? নেলী খালার? শিমুলের? অনেক দিন ইচ্ছে তোমাকে একটা চিঠি লিখি। একটা সময় ছিলো তোমাকে প্রতিদিন চিঠি লিখতাম। তুমিও লিখতে প্রতিদিন। সেবার আরমানিটোলার বাড়িতে বসে দিলে আকাশের ঠিকানা। তুমি পাবে তো এই চিঠি? জীবন এবং জগতের তৃষ্ণা তো মানুষের কখনো মেটে না, তবু মানুষ আর বাঁচে ক’দিন বলো? দিন তো ফুরোয়। আমার কি দিন ফুরোচ্ছে না? তুমি ভালো থেকো। আমি ভালো নেই। ইতি, সকাল পুনশ্চঃ আমাকে সকাল বলে ডাকতে তুমি। কতোকাল ঐ ডাক শুনি না। তুমি কি আকাশ থেকে সকাল, আমার সকাল বলে মাঝে মধ্যে ডাকো? নাকি আমি ভুল শুনি?
খুবই অল্প সময় ধরে দেখেছি। তার পরেই চোখ বুজে ফেলেছি। তাই বলতে পারবোনা যে, ভিডিওটি কেমন হয়েছে। কিন্তু অডিওটা অসাধারণ। কবিতার প্রতি অনাসক্তি আমার বরাবরের এক সাধারণ ব্যাপার। তবে মনে হচ্ছে, আবৃত্তি চোখ বন্ধ করেই দেখা উচিত। তা ভিডিও হোক আর অডিও।
সান্তনু নামে একজন সুপরিচিত ঋষি ছিলেন, যিনি দেবতাদের দ্বারা সম্মানিত ছিলেন এবং যাঁর দীপ্তি ছিল পদ্মের (অর্থাৎ ব্রহ্মার) মতো। (তাঁর) সুন্দরী ও যৌবনবতী (স্ত্রী) আমোঘা নামে পরিচিত ছিলেন। একবার ব্রহ্মা তার স্বামীর (সন্তনু) সাথে দেখা করতে তার বাড়িতে গেলেন। সেই সময় শ্রেষ্ঠ ঋষি (অর্থাৎ সান্তনু) ফুল ইত্যাদির জন্য বনে গিয়েছিলেন।সর্বোত্তম দেবতাদের দেখে, তিনি (অর্থাৎ আমোঘা) তাকে তার পা ধোয়ার জন্য একটি সম্মানজনক নৈবেদ্য এবং জল দিয়েছিলেন। তাকে (দূর থেকে) নমস্কার দিয়ে তিনি ঘরে প্রবেশ করলেন।দাগহীন দেহের সেই নারীকে দেখে স্রষ্টা ভালোবাসার আবেগে আপ্লুত হলেন। স্রষ্টা, নিজেকে জাহির করে, তার আগে কে ছিলেন তার কথা ভেবেছিলেন। পরমাত্মা ব্রহ্মার বীর্য শয্যাশালায় পড়ল। অতঃপর ব্রহ্মা দুর্দশাগ্রস্ত হয়ে দ্রুত চলে গেলেন।তারপর ঋষি বাড়িতে এসে দেখলেন (ব্রহ্মার) বীর্য আসনটিতে। তিনি সুন্দরী মহিলাকে (তাঁর স্ত্রীকে) জিজ্ঞেস করলেনঃ এখানে কে এসেছে?তখন অমোঘা তাকে বললেন (অর্থাৎ উত্তর দিলেন): "হে প্রভু, ব্রহ্মা এখানে এসেছিলেন। আপনার জন্য অপেক্ষা করার জন্য আমি এই আসনটি দিয়েছিলাম। তপস্যার মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন তার বীর্যের কারণ (কেন)। এখানে জমা করা হয়েছে।"তখন সেই ব্রাহ্মণ ধ্যানের মাধ্যমে তা বুঝতে পারলেন। "হে শুভ রমণী, দয়া করে আমার আদেশে ব্রহ্মার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বীর্য রক্ষা করুন। এক পুত্র, যিনি একাই সমস্ত জগৎকে শুদ্ধ করবেন, জন্মগ্রহণ করবেন। (এখন) আমাদের শুভ কামনা পূর্ণ হবে।" অতঃপর সতী, প্রসিদ্ধ মহিলা, তাঁর আদেশ পালন করে, একটি পুত্রের জন্মের জন্য, পরমাত্মা ব্রহ্মার বীর্য পান করলেন। (পদ্মা পুরাণ:I.৫৫.১৯b-৩০a;পৃষ্ঠা:৭৫৩) (আপনি যদি পদ্ম পুরাণ পড়তে চান তবে আপনার ইমিল আপলোড করুন।)
প্রতিটা দিন এটা শুনেছি,আর প্রতিবার আপনাকে আরো বেশি ফিল করেছি। অসাধারণ
আমাদেরকে ছোটবেলা থেকেই "তসলিমা নাসরিন" নামটাকে ঘৃণা করতে শিখানো হয়। অথচ যত বড় হলাম সেই নামটাকে ততই ভালোবেসে ফেললাম। ❤️
পৃথিবীতে সবাই সত্য বলতে পারেনা , তাও যদি সে সত্য কিছু সভ্য সেজে থাকা মানুষের মূখোশ খুলে দেয় তাহলেতো তো আর কথাই নেই !!
Hmmmm
এটাই ইসলাম
Onar kobita amro vlo lage,,,
@@sudiptamajumder5513 ❤️
সত্যি অসাধারণ একটা কবিতা আবৃত্তি ও সুন্দর হয়েছে
চোখ সরাতে পারিনি , কান সরাতে পারিনি । এতো সুন্দর করে ভিডিও করেছেন , আবার আবৃত্তি হৃদয় চৌচির করে দিলো । ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকটা অসাধারণ ছিল । ধন্যবাদ ।
কবিতা টা আমার হৃদয় ছুয়ে দিলো,,,
সব মিলিয়ে দারুণ অনুভূতি হচ্ছে
আবৃত্তির সাথে ব্যাকরাউন্ড মিউজিকের কি দারুণ সমন্বয়। ❤
Nice creation, Blue sari,nice voice,made me impressed, imotional
অসাধারণ লেখনী,, চমৎকার আবৃত্তি,,যতবার শুনি মন ভরে না,আরও শুনতে মন চায়,,তবে কবিতাটি শুনে কোথায় যেন হারিয়ে যাই,,অসম্ভব কষ্টে মনটা ভরে ওঠে।
best best best ever. অনেকবার শুনলাম। মন খারাপ হলেই শুনি। আপনার মত যত্ন করে কেউ বলতে পারে নাই
আহ্!! অসাধারণ জ্বালাময়ি আবৃত্তি
অসাধারণ!! কথাগুলি বুকের এপাশ ভেদ করে ওপাশে চলে গেলো !! কবিতা যেমন সুন্দর, সুন্দর তেমনি আবৃতি -পরিবেশনা l
ruclips.net/video/q52B21fwacU/видео.html
হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়ার মতন আবৃত্তি ❤️🥰
ভীষন ভালো কবিতা,পাঠ অসাধারন।
Amara kobeta dikhar amontoron roilo ami apnar profaeli giyachilam bat kichu e nai
this recitation will be one of the best cover ever.
Just wow!!
asadharon laglo thank you
অনেক অনেক শুভকামনা রইল এমন আকুল করা আবৃত্তি যে করে !
অসাধারণ আপু । এর আগেও শুনেছি এই চিঠিটা। কিন্তুএই আবৃত্তিটাই সেরা। খুব ভালো লাগ্লো
Amar kobita dikhibar amontoron roilo vai
হৃদয় ছুয়ে যায় যতবার শুনি, ততবারেই। ভালবাসা আপু।
মায়বী আবৃত্তি 👌
অসাধারণ আবৃত্তি ভালোবাসা নিও
Amr onek poshonder kobita❤️
Taslima has the proper right to come back to her motherland
প্রত্যকটা কথা, মানুষদের হৃদয়ের সাথে জড়িত,
দিন শেষে ভালোবাসি, তাকেও,
অবাক করা সুন্দর অাবৃতি...
অসাধারণ আবৃত্তি 👍🏻💖 তোমার অনুভবঋদ্ধ উচ্চারণে মন ভরে গেল।❤️❤️
চমৎকার, এক কথায় অপূর্ব
মুগ্ধ হলাম আবৃত্তি শুনে, ❤ আর অনেক সুন্দর লাগছে আপু আপনাকে, ❤
চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি অসাধারণ
বাহ... দারুণ। অসাধারণ। এতো দেখি আমাদের নতুন এক ম্যাডাম। ম্যাডামের যে এই প্রতিভা আছে তাতো জানতামি না। দারুণ... চোখ বন্ধ করে মুগ্ধ হয়ে কেবল শুনলাম আর শুনলাম।... খুবি ভাল লাগছে...
রুদ্র, কবিতায় তোমায় শূণ্যতা অপূর্ণ রয়ে গেলো।
তসলিমা নাসরিন লেখায় অন্যান্য
জীবন এবং জগতের তৃষ্ণা তো মানুষের কখনো মেটে না, তবু মানুষ আর বাঁচে ক’দিন বলো? দিন তো ফুরোয়। আমার কি দিন ফুরোচ্ছে না? তুমি ভালো থেকো। আমি ভালো নেই।
এতোটা দরদ নিয়ে কবিতাটি লিখেছেন কি বলবো।
কবিতা শুনতে শুনতো কখন যে দু চোখের কোনে দু ফোটা জল নেমে আসছে বোঝতেই পারি নি।
শরীরের মাঝে কেমন একটা শিহরণ অনুভব করলাম।
অসাধারণ অসাধারণ অসাধারণ
আবৃত্তি টা অসাধারন
চমৎকার 👌
সুন্দর
Masallah your abritti is just wow
অরেহ্!!!!!!! ম্যাম 😍😘অামি তো মুগ্ধ,,,, অসাধারণ,,,,, 😍😘🤗
Thanks for Taslima Nasrin and Afia
Amara kobeta dikhar amontoron roilo vai
অসাধারণ অসাধারণ ,অসাধারণ ম্যাম.
চমৎকার সুন্দর ম্যাম
অসাধারণ! স্পর্শময়
Amara kobeta dikhar amontoron roilo vai
Afia akter, apni kothay thaken?
Apnar voice e kobita ta jeno tar puro chondo pelo
Ki anubhuti palam bhashai karte parbo na lots lots of love from india
অনেক ভালো😍😍
Osadharon....!! Atto protiva.... !!! hridoy ta chuia galo..... !onek onek valobasa maam
অসাধারন
Afia apu fine ,Nice ,brilliant ,awsome reciting ,
ruclips.net/video/q52B21fwacU/видео.html
অসাধারন,
অসাধারণ!!!!!!!!
অাহা দিদিগো, দারুন হয়েছে
A unique letter around the world.
অসাধারণ Beautiful Recitation
মন ছুয়ে গেল!
আফিয়া আপুর আবৃত্তির তুলনা হয় না
প্রিয় রুদ্র,
প্রযত্নেঃ আকাশ,
তুমি আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখতে বলেছিলে। তুমি কি এখন আকাশ জুরে থাকো? তুমি আকাশে উড়ে বেড়াও? তুলোর মতো, পাখির মতো? তুমি এই জগত্সংসার ছেড়ে আকাশে চলে গেছো। তুমি আসলে বেঁচেই গেছো রুদ্র। আচ্ছা, তোমার কি পাখি হয়ে উড়ে ফিরে আসতে ইচ্ছে করে না? তোমার সেই ইন্দিরা রোডের বাড়িতে, আবার সেই নীলক্ষেত, শাহবাগ, পরীবাগ, লালবাগ চষে বেড়াতে? ইচ্ছে তোমার হয় না এ আমি বিশ্বাস করি না, ইচ্ছে ঠিকই হয়, পারো না। অথচ এক সময় যা ইচ্ছে হতো তোমার তাই করতে। ইচ্ছে যদি হতো সারারাত না ঘুমিয়ে গল্প করতে - করতে। ইচ্ছে যদি হতো সারাদিন পথে পথে হাটতে - হাটতে। কে তোমাকে বাধা দিতো? জীবন তোমার হাতের মুঠোয় ছিলো। এই জীবন নিয়ে যেমন ইচ্ছে খেলেছো। আমার ভেবে অবাক লাগে, জীবন এখন তোমার হাতের মুঠোয় নেই। ওরা তোমাকে ট্রাকে উঠিয়ে মিঠেখালি রেখে এলো, তুমি প্রতিবাদ করতে পারোনি।
আচ্ছা, তোমার লালবাগের সেই প্রেমিকাটির খবর কি, দীর্ঘ বছর প্রেম করেছিলে তোমার যে নেলী খালার সাথে? তার উদ্দেশ্যে তোমার দিস্তা দিস্তা প্রেমের কবিতা দেখে আমি কি ভীষণ কেঁদেছিলাম একদিন ! তুমি আর কারো সঙ্গে প্রেম করছো, এ আমার সইতো না। কি অবুঝ বালিকা ছিলাম ! তাই কি? যেন আমাকেই তোমার ভালোবাসতে হবে। যেন আমরা দু’জন জন্মেছি দু’জনের জন্য। যেদিন ট্রাকে করে তোমাকে নিয়ে গেলো বাড়ি থেকে, আমার খুব দম বন্ধ লাগছিলো। ঢাকা শহরটিকে এতো ফাঁকা আর কখনো লাগেনি। বুকের মধ্যে আমার এতো হাহাকারও আর কখনো জমেনি। আমি ঢাকা ছেড়ে সেদিন চলে গিয়েছিলাম ময়মনসিংহে। আমার ঘরে তোমার বাক্সভর্তি চিঠিগুলো হাতে নিয়ে জন্মের কান্না কেঁদেছিলাম। আমাদের বিচ্ছেদ ছিলো চার বছরের। এতো বছর পরও তুমি কী গভীর করে বুকের মধ্যে রয়ে গিয়েছিলে ! সেদিন আমি টের পেয়েছি।
আমার বড়ো হাসি পায় দেখে, এখন তোমার শ’য়ে শ’য়ে বন্ধু বেরোচ্ছে। তারা তখন কোথায় ছিলো? যখন পয়সার অভাবে তুমি একটি সিঙ্গারা খেয়ে দুপুর কাটিয়েছো। আমি না হয় তোমার বন্ধু নই, তোমাকে ছেড়ে চলে এসেছিলাম বলে। এই যে এখন তোমার নামে মেলা হয়, তোমার চেনা এক আমিই বোধ হয় অনুপস্থিত থাকি মেলায়। যারা এখন রুদ্র রুদ্র বলে মাতম করে বুঝিনা তারা তখন কোথায় ছিলো?
শেষদিকে তুমি শিমুল নামের এক মেয়েকে ভালোবাসতে। বিয়ের কথাও হচ্ছিলো। আমাকে শিমুলের সব গল্প একদিন করলে। শুনে … তুমি বোঝোনি আমার খুব কষ্ট হচ্ছিলো। এই ভেবে যে, তুমি কি অনায়াসে প্রেম করছো ! তার গল্প শোনাচ্ছো ! ঠিক এইরকম অনুভব একসময় আমার জন্য ছিলো তোমার ! আজ আরেকজনের জন্য তোমার অস্থিরতা। নির্ঘুম রাত কাটাবার গল্প শুনে আমার কান্না পায় না বলো? তুমি শিমুলকে নিয়ে কি কি কবিতা লিখলে তা দিব্যি বলে গেলে ! আমাকে আবার জিজ্ঞেসও করলে, কেমন হয়েছে। আমি বললাম, খুব ভালো। শিমুল মেয়েটিকে আমি কোনোদিন দেখিনি, তুমি তাকে ভালোবাসো, যখন নিজেই বললে, তখন আমার কষ্টটাকে বুঝতে দেইনি। তোমাকে ছেড়ে চলে গেছি ঠিকই কিন্তু আর কাউকে ভালোবাসতে পারিনি। ভালোবাসা যে যাকে তাকে বিলোবার জিনিস নয়।
আকাশের সঙ্গে কতো কথা হয় রোজ ! কষ্টের কথা, সুখের কথা। একদিন আকাশভরা জোত্স্নায় গা ভেসে যাচ্ছিলো আমাদের। তুমি দু চারটি কষ্টের কথা বলে নিজের লেখা একটি গান শুনিয়েছিলে। “ভালো আছি ভালো থেকো, আকাশের ঠিকানায় চিঠি দিও”। মংলায় বসে গানটি লিখেছিলে। মনে মনে তুমি কার চিঠি চেয়েছিলে? আমার? নেলী খালার? শিমুলের? অনেক দিন ইচ্ছে তোমাকে একটা চিঠি লিখি। একটা সময় ছিলো তোমাকে প্রতিদিন চিঠি লিখতাম। তুমিও লিখতে প্রতিদিন। সেবার আরমানিটোলার বাড়িতে বসে দিলে আকাশের ঠিকানা। তুমি পাবে তো এই চিঠি? জীবন এবং জগতের তৃষ্ণা তো মানুষের কখনো মেটে না, তবু মানুষ আর বাঁচে ক’দিন বলো? দিন তো ফুরোয়। আমার কি দিন ফুরোচ্ছে না? তুমি ভালো থেকো। আমি ভালো নেই।
ইতি,
সকাল
পুনশ্চঃ আমাকে সকাল বলে ডাকতে তুমি। কতোকাল ঐ ডাক শুনি না। তুমি কি আকাশ থেকে সকাল, আমার সকাল বলে মাঝে মধ্যে ডাকো? নাকি আমি ভুল শুনি?
আমি তসলিমা নাসরিনের বই ছোট বেলায় পড়তাম ।
Apu tomar kobita abriti kub kub sondor
আরে ভাই , কবিতার মর্ম টা বুঝতে চেষ্টা করো l
অসাধারণ মেম।😍
অসাধারণ
সুন্দর!
Khub Sundar
বাহ্,চমৎকার !
Speechless
চমৎকার
Nice recitation ♥
ruclips.net/video/q52B21fwacU/видео.html
💚অসাধারণ লেখা দিদি 💚
Amara kobeta dikhar amontoron roilo vai
খুবই অল্প সময় ধরে দেখেছি। তার পরেই চোখ বুজে ফেলেছি। তাই বলতে পারবোনা যে, ভিডিওটি কেমন হয়েছে।
কিন্তু অডিওটা অসাধারণ। কবিতার প্রতি অনাসক্তি আমার বরাবরের এক সাধারণ ব্যাপার। তবে মনে হচ্ছে, আবৃত্তি চোখ বন্ধ করেই দেখা উচিত। তা ভিডিও হোক আর অডিও।
ruclips.net/video/q52B21fwacU/видео.html
এত সুন্দর কেন?
Wow ! Oshadharon bondhu !! Ami mugdho ritimoto ❤️ inspiring ! 😘
অসাধারণ ম্যাম। ভাবিনি। এই এক নতুন ম্যাম।। :)
যারা তসলিমা নাসরিনকে পছন্দ করে না, তারা কেবল খুব অল্পই জানে তার বেপারে।
ম্যাম অনেক ভালো লেগেছে 😍😍😍
Please keep it up 😍😍😍😇
Very nice
Best
চোখে এতো পানি কেনো??? আমি তো ভালো আছি
Amara kobeta dikhar amontoron roilo vai
কথা গুলো হইতো রুদ্র শুনছে ...... সে এখন না ফেরার দেশে ইচ্ছা থাকলেও উপায় নেই ফেরার ।
😢
আব্রিতি করতে চাই
Nice voice and also reaction 😘
ruclips.net/video/q52B21fwacU/видео.html
কবিতা শুনে মনে হলো আমিও ভালো নেই।
এটাই ইসলাম
অসাধারণ বললে কম বলা হবে
🥀🥀
সান্তনু নামে একজন সুপরিচিত ঋষি ছিলেন, যিনি দেবতাদের দ্বারা সম্মানিত ছিলেন এবং যাঁর দীপ্তি ছিল পদ্মের (অর্থাৎ ব্রহ্মার) মতো। (তাঁর) সুন্দরী ও যৌবনবতী (স্ত্রী) আমোঘা নামে পরিচিত ছিলেন। একবার ব্রহ্মা তার স্বামীর (সন্তনু) সাথে দেখা করতে তার বাড়িতে গেলেন। সেই সময় শ্রেষ্ঠ ঋষি (অর্থাৎ সান্তনু) ফুল ইত্যাদির জন্য বনে গিয়েছিলেন।সর্বোত্তম দেবতাদের দেখে, তিনি (অর্থাৎ আমোঘা) তাকে তার পা ধোয়ার জন্য একটি সম্মানজনক নৈবেদ্য এবং জল দিয়েছিলেন। তাকে (দূর থেকে) নমস্কার দিয়ে তিনি ঘরে প্রবেশ করলেন।দাগহীন দেহের সেই নারীকে দেখে স্রষ্টা ভালোবাসার আবেগে আপ্লুত হলেন। স্রষ্টা, নিজেকে জাহির করে, তার আগে কে ছিলেন তার কথা ভেবেছিলেন। পরমাত্মা ব্রহ্মার বীর্য শয্যাশালায় পড়ল। অতঃপর ব্রহ্মা দুর্দশাগ্রস্ত হয়ে দ্রুত চলে গেলেন।তারপর ঋষি বাড়িতে এসে দেখলেন (ব্রহ্মার) বীর্য আসনটিতে। তিনি সুন্দরী মহিলাকে (তাঁর স্ত্রীকে) জিজ্ঞেস করলেনঃ এখানে কে এসেছে?তখন অমোঘা তাকে বললেন (অর্থাৎ উত্তর দিলেন): "হে প্রভু, ব্রহ্মা এখানে এসেছিলেন। আপনার জন্য অপেক্ষা করার জন্য আমি এই আসনটি দিয়েছিলাম। তপস্যার মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন তার বীর্যের কারণ (কেন)। এখানে জমা করা হয়েছে।"তখন সেই ব্রাহ্মণ ধ্যানের মাধ্যমে তা বুঝতে পারলেন। "হে শুভ রমণী, দয়া করে আমার আদেশে ব্রহ্মার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বীর্য রক্ষা করুন। এক পুত্র, যিনি একাই সমস্ত জগৎকে শুদ্ধ করবেন, জন্মগ্রহণ করবেন। (এখন) আমাদের শুভ কামনা পূর্ণ হবে।" অতঃপর সতী, প্রসিদ্ধ মহিলা, তাঁর আদেশ পালন করে, একটি পুত্রের জন্মের জন্য, পরমাত্মা ব্রহ্মার বীর্য পান করলেন।
(পদ্মা পুরাণ:I.৫৫.১৯b-৩০a;পৃষ্ঠা:৭৫৩)
(আপনি যদি পদ্ম পুরাণ পড়তে চান তবে আপনার ইমিল আপলোড করুন।)
❤❤
আপু❤💙
Amar kobita dikhibar amontoron roilo vai
Incredible Afia Ma’am!!!
You’re one of the pride of AbrittyMela: keep stepping ahead 🎶
ভালো আছি,ভালো থেকো,আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো
আবৃত্তির চেয়ে মিউজিক সাউন্ড বেশি এসেছে
Aro kobita sonar jonno nicher link a click kore video ti like kore amader songe thakun.
ruclips.net/video/mnsqYS6Iv3A/видео.html👌👍
😍
Amar kobita dikhibar amontoron roilo vai
Buker vitor theke kanna beriye asche.
Mon ta hahakar Kore uthlo.Ki apurba jeebanbodh.
😪😪😪
lekha ta baki thak lo vasi prokas korer moto na
Tui ke nari badi
Chagol
অসাধারণ