তেওতা জমিদার বাড়ি।

Поделиться
HTML-код
  • Опубликовано: 8 сен 2024
  • তেওতা জমিদার বাড়ি
    মোঃপলাশ শেখ
    বিশেষ প্রতিনিধি
    ডিডিপি টেলিভিশন।
    মানিকগন্জঃ মানিকগঞ্জ জেলা শিবালয় উপজেলার, তেওতা ইউনিয়ন, পদ্মা নদীর পাশে অবস্থিত। তেওতা জমিদার বাড়ি (Teota Zamindar Bari) বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম ও তাঁর প্রিয়তমা স্ত্রী প্রমীলা দেবীর স্মৃতি বিজড়িত একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। মানিকগঞ্জের (Manikganj) শিবালয় উপজেলার তেওতা জমিদার বাড়িতে কাজী নজরুল ইসলাম প্রমীলা দেবীর রূপে মুগ্ধ হয়ে লিখেছিলেন ‘তুমি সুন্দর তাই চেয়ে থাকি প্রিয়/সেকি মোর অপরাধ’। কাজী নজরুল ইসলাম ও প্রমীলা দেবীর প্রেমের স্মৃতির সাক্ষী তেওতা জমিদার বাড়ির পাশেই ছিল প্রমীলা দেবীর পিতার বাড়ি। প্রমীলা দেবীর পিতা বসন্ত সেনের ভ্রাতুষপুত্র বীরেন সেনের সঙ্গে কবির সখ্যতার কারণে কবি তাঁদের বাড়িতে অবাধ যাতায়াত করতে পারতেন। লোকমুখে প্রচলিত তেওতা জমিদার বাড়িটির বয়স প্রায় ৩০০ বছর। মানিকগঞ্জ জেলার ইতিহাস থেকে পাওয়া তথ্য মতে, সপ্তদশ শতকের শুরুতে পাচুসেন নামের দরিদ্র কিশোর তামাকের ব্যবসায় বিপুল অর্থ-সম্পদ অর্জন করে দিনাজপুরের জয়গঞ্জে জমিদারী কিনে পঞ্চানন সেন নামে পরিচিতি লাভ করে। সেসময় মানিকগঞ্জের শিবালয়ের তেওতায় এই জমিদার বাড়ি নির্মাণ করেন।
    তেওতা জমিদার বাড়ির প্রধান ভবনের উত্তরের ভবনগুলোকে হেমশংকর এস্টেট এবং দক্ষিণের ভবনগুলোকে জয়শংকর এস্টেট নিয়েছিল। প্রতিটি এস্টেটের সামনে নাটমন্দির অবস্থিত, পূর্ব দিকের লালদিঘী বাড়িটি জমিদারদের অন্দর মহল হিসাবে ব্যবহৃত হত। দিঘীতে দুটি শান বাঁধানো ঘাটলা এবং দক্ষিণ পাশে একটি চোরা কুঠুরী বা অন্ধকুপ রয়েছে। উত্তরদিকের ভবনের সামনে ৭৫ ফুট উঁচু ৪ তলা নবরত্ন মঠ রয়েছে। নবরত্ন মঠের ১ম ও ২য় তলার চারদিকে আরো ৪ টি মঠ আছে। প্রায় ৭.৩৮ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত তেওতা জমিদার বাড়িটি দেখতে দেশ-বিদেশ থেকে অনেক পর্যটকের আগমন ঘটে।
    কিভাবে যাবেন তেওতা জমিদার বাড়ি
    আরিচার শিবালয়ে অবস্থিত ঢাকা থেকে তেওতা জমিদার বাড়ির দূরত্ব প্রায় ৯০ কিলোমিটার। রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে বিআরটিসি, যাত্রীসেবা, পদ্মা লাইনের বাসে চড়ে ৩ ঘন্টা সময়ে আরিচা ঘাট আসতে জনপ্রতি ১০০ থেকে ১৬০ টাকা বাস ভাড়া লাগে। আরিচা ঘাট থেকে ২০ - ৩০ টাকা রিকশা ভাড়ায় সরাসরি তেওতা জমিদার বাড়ি যাওয়া যায়।
    কোথায় থাকবেন এবং কোথায় খাবেন
    রাজধানী ঢাকার নিকটবর্তী হওয়ায় তেওতা জমিদার বাড়ি দেখে দিনে দিনেই ফিরে আসা যায়। এছাড়া আসে পাশে থাকার তেমন কোন ব্যবস্থা নেই। তবে মানিকগঞ্জ শহরে থাকার মত বেশকিছু আবাসিক হোটেল পাবেন। খাবারের জন্য এখানে রয়েছে সাধারণ ও মাঝারী মানের বেশকিছু হোটেল ও রেস্টুরেন্ট। তবে সুযোগ পেলে অবশ্যই মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর উপজেলার তেরশ্রী গ্রামের বিখ্যাত নিজামের মিষ্টির স্বাদ নিতে ভুল করবেন না।

Комментарии • 1