আমি ইংরেজি বিভাগে বি.এ ফাইনাল ইয়ারে কবি জীবনানন্দ দাশের আট বছর আগের একদিন কবিতাটি পড়ছি অসাধারণ সুন্দর একটা কবিতা। প্রয়াত কিংবদন্তি অভিনেতা সৌমিএ চটোপধ্যায়ের চমৎকার কন্ঠে আট বছরের আগের একদিন কবিতাটি আবৃত্তি শুনতে অনেক ভালো লেগেছে। 👍👍👍👍
জীবনান্দ ঠিক সেই আট বছর আগের নিজের গল্প কি সুন্দর ব্যাখা করেছে এই কবিতায়। আট বছর আগে সে নিজেই আত্নহত্যা চেষ্টা করেছিলো যখন অভাব,বেকারত্ব, অবহেলায় সয়লাভ ছিলো তার জীবন।
@@manoshisen559 শোনা গেল লাশকাটা ঘরে নিয়ে গেছে তারে; কাল রাতে ফাল্গুনের রাতের আধারে যখন গিয়েছে ডুবে পঞ্চমীর চাদ মরিবার হল তার সাধ। বধু শুয়ে ছিল পাশে-শিশুটিও ছিল; প্রেম ছিল, আশা ছিল জোছনায় তবু সে দেখিল কোন্ ভূত? ঘুম কেন ভেঙে গেল তার? অথবা হয় নি ঘুম বহুকাল- লাশকাটা ঘরে মুয়ে ঘুমায় এবার। এই ঘুম চেয়েছিল বুঝি! রক্তফেনামাখা মুখে মড়কের ইঁদুরের মতো ঘাড় গুঁজি আঁধার ঘুঁজির বুকে ঘুমায় এবার কোনোদিন জাগিবে না আর। ‘কোনদিন জাগিবে না আর জানিবার গাঢ় বেদনার অবিরাম অবিরাম ভার সহিবে না আর-’ এই কথা বলেছিল তারে চাঁদ ডুবে চলে গেলে অদ্ভুত আঁধারে যেন তার জানালার ধারে উটের গ্রীবার মতো কোনো এক নিত্বব্ধতা এসে। তবুও তো পেঁচা জাগে; গলিত স্থবির ব্যাঙ আরো দুই মুহূর্তের ভিক্ষা মাগে আরেকটি প্রভাতের ইশারায়-অনুমেয় উষ্ণ অনুরাগে। টের পাই যূথচারী আঁধারের গাঢ় নিরুদ্দেশে চারি দিকে মশারির ক্ষমাহিন বিরুদ্ধতা; মশা তার অন্ধকার সঙ্ঘারামে জেগে থেকে জীবনের স্রোতে ভালোবাসে। রক্ত ক্লেদ বসা থেকে রৌদ্রে ফের উড়ে যায় মাছি; সোনালি রোদের ঢেউয়ে উড়ন্ত কীটের খেলা কত দেখিয়াছি। ঘনিষ্ঠ আকাশ যেন কোন্ বিকীর্ণ জীবন অধিকার করে আছে ইহাদের মন: দুরন্ত শিশুর হাতে ফড়িঙের ঘর শিহরণ মরণেরাসথে লড়িয়াছে; চাঁদ ডুবে গেলে পর প্রধান আঁধারে তুমি অশ্বত্থের কাছে একা গাছা দড়ি হাতে গিয়েছিলে তবু একা একা; যে জীবন ফড়িঙের, দোয়েলের মানুষের সাতে তার হয় নাকো দেখা এই জেনে। অশ্বত্থের শাখা করে নি কি প্রতিবাদ? জোনাকির ভিড় এসে সোনালি ফুলের স্নিগ্ধ ঝাঁকে করে নি কি মাখামাখি? বলে নি কি: বুড়ি চাঁদ গেছে বুঝি বেনো জলে ভেসে? চমৎকার! ধরা যাক দু-একটা ইদুর এবার! জানায় নি পেচা এসে এ তুমুল গাঢ় সমাচার? জীবনের এই স্বাদ- সুপক্ক যবের ঘ্রাণ হেমন্তের বিকেলের- তোমার অসহ্য বোধ হল; মর্গে কি ওমোটে থ্যাঁতা ইঁদুরের মতো রক্তমাখা ঠোঁটে! শোনো তবু এ মৃতের গল্প;-কোনো নারীর প্রণয়ের ব্যর্থ হয় নাই; বিবাহিতা জীবনের সাধ কোথাও রাখে নি কোনো খাদ, সময়ের উদবর্তনে উঠে এসে বধূ মধু-আর মননের মধু দিয়েছে জানিতে হাড়হাভাতের গ্লানি বেদনার শীতে এ জীবন কোনোদিন কেঁপে ওঠে নাই; তাই লাশকাটা ঘরে চিৎ হয়ে শুয়ে আছে টেবিলের ‘পরে। জানি-তবু জানি নারীর হৃদয়-প্রেম-শিশু-গৃহ-নয় সবখানি; অর্থ নয়, র্কীতি নয়, সচ্ছলতা নয়- আরো এক বিপন্ন বিস্ময় আমাদের অন্তর্গত রক্তের ভিতরে খেলা করে আমাদের ক্লান্ত করে; ক্লান্ত ক্লান্ত করে: লাশকাটা ঘরে সেই ক্লান্তি নাই; তাই লাশকাটা ঘরে চিৎ হয়ে শুয়ে আছে টেবিলের ’পরে। তবু রোজ রাতে আমি চেয়ে দেখি, আহা, থুরথুরে অন্ধ পেচা অশ্বত্থের ডালে বসে এসে চোখ পালটায় কয়: বুড়ি চাঁদ গেছে বুঝি বেনো জলে ভেসে? চমৎকার! ধরা যাক দু একটা ইদুর এবার- হে প্রগাঢ় পিতামহী , আজও চমৎকার? আমিও তোকার মতো বুড়ো হব-বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব কালীদহে বেনো জলে পার; আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার।
কবিতাটি অসাধারণ বললেও কম বলা হয়। এই কবিতাটি নিয়ে এত আলোচনা হয়েছে যা অকল্পনীয়। তবে একটা কথা বলবো সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের আবৃত্তি নিয়ে। এখানে একটি শব্দের উচ্চারণ তিনি ভুল করেছেন। অনেকেই হয়তো বলতে পারেন, এমন একজন শিল্পীর ভুল ধরছেন? কম সাহস নয়! কিন্তু ভুল ভু্লই। তা তিনি যেই হোন না কেন ? শব্দটি হলো " উদ্বর্তন" ( উদ্বর্তন ) । উনি উচ্চারণ করেছেন " ঊর্ধ্বতন" ।
আমি ইংরেজি বিভাগে বি.এ ফাইনাল ইয়ারে কবি জীবনানন্দ দাশের আট বছর আগের একদিন কবিতাটি পড়ছি অসাধারণ সুন্দর একটা কবিতা। প্রয়াত কিংবদন্তি অভিনেতা সৌমিএ চটোপধ্যায়ের চমৎকার কন্ঠে আট বছরের আগের একদিন কবিতাটি আবৃত্তি শুনতে অনেক ভালো লেগেছে। 👍👍👍👍
আট বছর আগে একদিন-জীবনানন্দ দাশ
শোনা গেল লাশকাটা ঘরে
নিয়ে গেছে তারে;
কাল রাতে- ফাল্গুনের রাতের আঁধারে
যখন গিয়েছে ডুবে পঞ্চমীর চাঁদ
মরিবার হ’ল তার সাধ।
বধূ শুয়ে ছিল পাশে- শিশুটিও ছিল;
প্রেম ছিল, আশা ছিল -জোৎস্নায় -তবু সে দেখিল
কোন্ ভূত? ঘুম কেন ভেঙে গেল তার?
অথবা হয়নি ঘুম বহুকাল -লাশকাটা ঘরে শুয়ে ঘুমায় এবার।
এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি!
রক্তফেনা-মাখা মুখে মড়কের ইঁদুরের মত ঘাড় গুঁজি
আঁধার ঘুঁজির বুকে ঘুমায় এবার;
কোনদিন জাগিবে না আর।
‘কোনদিন জাগিবে না আর
জানিবার গাঢ় বেদনার
অবিরাম-অবিরাম ভার
সহিবে না আর-’
এই কথা বলেছিল তারে,
চাঁদ ডুবে চ’লে গেলে -অদ্ভুত আঁধারে
যেন তার জানালার ধারে
উটের গ্রীবার মত কোন এক নিস্তব্ধতা এসে।
তবুও তো প্যাঁচা জাগে;
গলিত স্থবির ব্যাং আরো দুই মুহূর্তের ভিক্ষা মাগে
কয়েকটি প্রভাতের ইশারায় -অনুমেয় উষ্ণ অনুরাগে।
টের পাই যূথচারী আঁধারের গাঢ় নিরুদ্দেশে
চারিদিকে মশারির ক্ষমাহীন বিরুদ্ধতা;
মশা তার অন্ধকার সঙ্ঘারামে জেগে থেকে জীবনের স্রোত ভালবাসে।
রক্ত ক্লেদ বসা থেকে রৌদ্রে ফের উড়ে যায় মাছি;
সোনালি রোদের ঢেউয়ে উড়ন্ত কীটের খেলা কত দেখিয়াছি।
ঘনিষ্ঠ আকাশ যেন-যেন কোন বিকীর্ণ জীবন
অধিকার ক’রে আছে ইহাদের মন;
দুরন্ত শিশুর হাতে ফড়িংয়ের ঘন শিহরন
মরণের সাথে লড়িয়াছে,
চাঁদ ডুবে গেলে ’পরে প্রধান আঁধারে তুমি অশ্বত্থের কাছে
এক গাছা দড়ি হাতে গিয়েছিলে তবু একা একা;
যে জীবন ফড়িঙের, দোয়েলের - মানুষের সাথে তার হয় নাকো দেখা,
-এই জেনে।
অশ্বত্থের শাখা
করেনি কি প্রতিবাদ? জোনাকীর ভিড় এসে সোনালি ফুলের স্নিগ্ধ ঝাঁকে
করেনি কি মাখা মাখি?
থুরথুরে অন্ধ প্যাঁচা এসে
বলেনি কি ‘বুড়ি চাঁদ গেছে বুঝি বেনোজলে ভেসে?
চমৎকার!
ধরা যাক দু-একটা ইঁদুর এবার!’
জানায়নি কি প্যাঁচা এসে এ তুমুল গাঢ় সমাচার?
জীবনের এই স্বাদ -সুপক্ক যবের ঘ্রাণ হেমন্তের বিকেলের-
তোমার অসহ্য বোধ হল;
মর্গে কি হৃদয় জুড়োলো
মর্গে -গুমোটে
থ্যাঁতা ইঁদুরের মতো রক্ত-মাখা ঠোটে!
শোনো
তবু এ মৃতের গল্প; -কোনো
নারীর প্রণয়ে ব্যর্থ হয় নাই;
বিবাহিত জীবনের সাধ
কোথাও রাখেনি কোনো খাদ।
সময়ের উদ্বর্তনে উঠে এসে বধূ
মধু -আর মননের মধু
দিয়েছে জানিতে;
হাড়হাভাতের গ্লানি বেদনার শীতে
এ-জীবন কোনোদিন কেঁপে ওঠে নাই;
তাই
লাশকাটা ঘরে
চিৎ হয়ে শুয়ে আছে টেবিলের ‘পরে।
জানি -তবু জানি
নারীর হৃদয়-প্রেম-শিশু-গৃহ-নয় সবখানি;
অর্থ নয়, কীর্তি নয়, সচ্ছ্বলতা নয়-
আরো এক বিপন্ন বিস্ময়
আমাদের অন্তর্গত রক্তের ভিতরে
খেলা করে;
আমাদের ক্লান্ত করে;
ক্লান্ত-ক্লান্ত করে;
লাশকাটা ঘরে
সেই ক্লান্তি নাই,
তাই
লাশকাটা ঘরে
চিৎ হয়ে শুয়ে আছে টেবিলের ’পরে।
তবু রোজ রাতে আমি চেয়ে দেখি, আহা,
থুরথুরে অন্ধ পেঁচা অশ্বত্থের ডালে বসে এসে,
চোখ পাল্টায়ে কয়: ‘বুড়ি চাঁদ গেছে বুঝি বেনোজলে ভেসে?
চমৎকার!
ধরা যাক দু-একটা ইঁদুর এবার-!’
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মতো বুড়ো হব - বুড়ি চাঁদটারে আমি
ক’রে দেব কালীদহে বেনোজলে পার;
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চ’লে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার।
কবিদের কবি ,,, জীবনানন্দ দাশ এর শ্রেষ্ঠ কবিতার মধ্যে একটি , কেন শ্রেষ্ঠ প্রতি ছত্রে তার অসাধারণত্ব ,
দারিদ্র্যতা, দায়বদ্ধতা যখন বেড়ে যায় তখন মানুষের মনে এই অনবদ্য ভাষা গুলো মানুষের মনকে খন্ড বিখন্ড করে তোলে😔
আমি এখন M. A 3rd Sem এ পড়ি আমাদের পাঠ্য কবিতার একটি কবিতা..... Just অসাধারন
যেমন কবিতা তেমন আবৃত্তি ! যুগপৎ সৌন্দর্য !
❤️👍🙏
ওনার আত্মার শান্তি কামনা করি 🙏🙏🥺 খুব মনে পড়ছে তাঁকে
দারুন কবিতা , অনবদ্য সৃষ্টি, পাঠও অনবদ্য।
জীবনান্দ ঠিক সেই আট বছর আগের নিজের গল্প কি সুন্দর ব্যাখা করেছে এই কবিতায়। আট বছর আগে সে নিজেই আত্নহত্যা চেষ্টা করেছিলো যখন অভাব,বেকারত্ব, অবহেলায় সয়লাভ ছিলো তার জীবন।
জীবনান্দ নয় জীবনানন্দ
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এর কন্ঠে বহুদিন ধরে খুঁজছিলাম, পাচ্ছিলাম না।আজ পেলাম।খুব ভালো লাগছে।❤️
ধন্যবাদ সবুজের স্বপ্ন। সৌমিত্র বাবুর কন্ঠে আরও অনেক কবিতাই আছে এই চ্যানেলে। দেখার আমন্ত্রণ।
@@KobitarShohor1 জীবানন্দের আট বছর আগে এক দিন “ লেখাটির চাই
মোন ছুয়ে গেলো
@@manoshisen559
শোনা গেল লাশকাটা ঘরে
নিয়ে গেছে তারে;
কাল রাতে ফাল্গুনের রাতের আধারে
যখন গিয়েছে ডুবে পঞ্চমীর চাদ
মরিবার হল তার সাধ।
বধু শুয়ে ছিল পাশে-শিশুটিও ছিল;
প্রেম ছিল, আশা ছিল জোছনায় তবু সে দেখিল
কোন্ ভূত? ঘুম কেন ভেঙে গেল তার?
অথবা হয় নি ঘুম বহুকাল- লাশকাটা ঘরে মুয়ে ঘুমায় এবার।
এই ঘুম চেয়েছিল বুঝি!
রক্তফেনামাখা মুখে মড়কের ইঁদুরের মতো ঘাড় গুঁজি
আঁধার ঘুঁজির বুকে ঘুমায় এবার
কোনোদিন জাগিবে না আর।
‘কোনদিন জাগিবে না আর
জানিবার গাঢ় বেদনার
অবিরাম অবিরাম ভার
সহিবে না আর-’
এই কথা বলেছিল তারে
চাঁদ ডুবে চলে গেলে অদ্ভুত আঁধারে
যেন তার জানালার ধারে
উটের গ্রীবার মতো কোনো এক নিত্বব্ধতা এসে।
তবুও তো পেঁচা জাগে;
গলিত স্থবির ব্যাঙ আরো দুই মুহূর্তের ভিক্ষা মাগে
আরেকটি প্রভাতের ইশারায়-অনুমেয় উষ্ণ অনুরাগে।
টের পাই যূথচারী আঁধারের গাঢ় নিরুদ্দেশে
চারি দিকে মশারির ক্ষমাহিন বিরুদ্ধতা;
মশা তার অন্ধকার সঙ্ঘারামে জেগে থেকে জীবনের স্রোতে ভালোবাসে।
রক্ত ক্লেদ বসা থেকে রৌদ্রে ফের উড়ে যায় মাছি;
সোনালি রোদের ঢেউয়ে উড়ন্ত কীটের খেলা কত দেখিয়াছি।
ঘনিষ্ঠ আকাশ যেন কোন্ বিকীর্ণ জীবন
অধিকার করে আছে ইহাদের মন:
দুরন্ত শিশুর হাতে ফড়িঙের ঘর শিহরণ
মরণেরাসথে লড়িয়াছে;
চাঁদ ডুবে গেলে পর প্রধান আঁধারে তুমি অশ্বত্থের কাছে
একা গাছা দড়ি হাতে গিয়েছিলে তবু একা একা;
যে জীবন ফড়িঙের, দোয়েলের মানুষের সাতে তার হয় নাকো দেখা
এই জেনে।
অশ্বত্থের শাখা
করে নি কি প্রতিবাদ? জোনাকির ভিড় এসে
সোনালি ফুলের স্নিগ্ধ ঝাঁকে
করে নি কি মাখামাখি?
বলে নি কি: বুড়ি চাঁদ গেছে বুঝি বেনো জলে ভেসে?
চমৎকার!
ধরা যাক দু-একটা ইদুর এবার!
জানায় নি পেচা এসে এ তুমুল গাঢ় সমাচার?
জীবনের এই স্বাদ- সুপক্ক যবের ঘ্রাণ হেমন্তের বিকেলের-
তোমার অসহ্য বোধ হল;
মর্গে কি ওমোটে
থ্যাঁতা ইঁদুরের মতো রক্তমাখা ঠোঁটে!
শোনো
তবু এ মৃতের গল্প;-কোনো
নারীর প্রণয়ের ব্যর্থ হয় নাই;
বিবাহিতা জীবনের সাধ
কোথাও রাখে নি কোনো খাদ,
সময়ের উদবর্তনে উঠে এসে বধূ
মধু-আর মননের মধু
দিয়েছে জানিতে
হাড়হাভাতের গ্লানি বেদনার শীতে
এ জীবন কোনোদিন কেঁপে ওঠে নাই;
তাই
লাশকাটা ঘরে
চিৎ হয়ে শুয়ে আছে টেবিলের ‘পরে।
জানি-তবু জানি
নারীর হৃদয়-প্রেম-শিশু-গৃহ-নয় সবখানি;
অর্থ নয়, র্কীতি নয়, সচ্ছলতা নয়-
আরো এক বিপন্ন বিস্ময়
আমাদের অন্তর্গত রক্তের ভিতরে
খেলা করে
আমাদের ক্লান্ত করে;
ক্লান্ত ক্লান্ত করে:
লাশকাটা ঘরে
সেই ক্লান্তি নাই;
তাই
লাশকাটা ঘরে
চিৎ হয়ে শুয়ে আছে টেবিলের ’পরে।
তবু রোজ রাতে আমি চেয়ে দেখি, আহা,
থুরথুরে অন্ধ পেচা অশ্বত্থের ডালে বসে এসে
চোখ পালটায় কয়: বুড়ি চাঁদ গেছে বুঝি বেনো জলে ভেসে?
চমৎকার!
ধরা যাক দু একটা ইদুর এবার-
হে প্রগাঢ় পিতামহী , আজও চমৎকার?
আমিও তোকার মতো বুড়ো হব-বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব
কালীদহে বেনো জলে পার;
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার।
কবির প্রতি রইল অসংখ্য ছালাম।
অসাধারণ সৃষ্টি, অসাধারণ পাঠ। 🙏🏻❤️
কি অদ্ভুত সুন্দর ❤️
প্রিয় সৌমিত্র❤️
🇧🇩
ধন্যবাদ ❤❤
একরাশ ভালোবাসা এই মহানায়কের তরে।
সৌমিত্র আমার খুব প্রিয় মানুষ।ওনার প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি ওনার আবৃত্তি ভালো লাগে না। এই কবিতাটি শুনুন শম্ভু মিত্রের কন্ঠে। অসাধারণ!
আমরা দু'জন শূন্য করে চলে যাবো, জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার
অদ্ভুত একটা কথা মাথায় এলো এটা কোনভাবেই সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের আবৃতি নয়... অবাক করা বিষয়...!! আপনি কে গো আপনার পরিচয়টা পরিষ্কার করুন প্লিজ..
অসাধারণ ।
অসাধারণ, মুগ্ধ হয়ে শুনলাম ❤️❤️
অতুলনীয় সুন্দর ♥️♥️
❤️❤️
বারবার শুনেও অতৃপ্তি জেগে রয় 💝💝💝💝💝💝
💗 🙏🏼
মুগ্ধ ❤️
এই কবিতাটি যখন পাঠ্য ছিল, তখন যদি এই আবৃত্তি শুনতে পেতাম, এইভাবে শুনিনি তাই এইভাবে বুঝিনি
শিমুল মুস্তোফার কন্ঠে শুনে দেখতে পারেন ..আমার কাছে উনার টা ভালো লেগেছে 🙂
আমারও।
আমাদের পাঠ্য ছিল কবিতাটি। বাস্তবতার কবিতা। 😢
ধন্যবাদ ও ভালোবাসা 🙏🙏🙏♥♥♥
আমাদের ও এখন আছে 5th semester a
চমৎকার ❤️🇧🇩❤️
যতদিন আমার গলা থেকে স্বর বেরোবে ততোদিন আমি গুনগুন করে যাবো।
অসাধারণ তার সৃষ্টি
অসাধারণ
ধন্যবাদ
কবিতাটি অসাধারণ বললেও কম বলা হয়। এই কবিতাটি নিয়ে এত আলোচনা হয়েছে যা অকল্পনীয়। তবে একটা কথা বলবো সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের আবৃত্তি নিয়ে। এখানে একটি শব্দের উচ্চারণ তিনি ভুল করেছেন। অনেকেই হয়তো বলতে পারেন, এমন একজন শিল্পীর ভুল ধরছেন? কম সাহস নয়! কিন্তু ভুল ভু্লই। তা তিনি যেই হোন না কেন ? শব্দটি হলো " উদ্বর্তন" ( উদ্বর্তন ) । উনি উচ্চারণ করেছেন " ঊর্ধ্বতন" ।
অসাধারণ আবৃত্তি!
অপূর্ব, অসাধারণ 🙏
❤️👍🙏
এই বিখ্যাত কবিতার অনুপম আবৃত্তি শোনার জন্য আমার আগে হাজির মাত্র একজন।
কিমাশ্চর্যমতপরম!!
💗 🙏🏼
অসাধারণ...
ধন্যবাদ ❤❤
Asadharon atulonio
ধন্যবাদ ও ভালোবাসা 🙏🙏🙏♥♥♥
সাধু সাধু❤❤
গুড
🙏
ভাল্লাগছে
অসাধারণ অসাধারণ
ধন্যবাদ ❤❤
অসাধরন
অসাধারণ ❤
ধন্যবাদ ♥🙏😍
ভাল
অপূর্ব সুন্দর
ধন্যবাদ ❤❤
অসাধারণ আবৃত্তি
ধন্যবাদ ও ভালোবাসা 🙏🙏🙏♥♥♥
জীবনানন্দের যদি দেখা পেতাম।
Very nice.
Thank you! Cheers!
❤️❤️❤️❤️❤️
💗 🙏🏼
অপূর্ব সুন্দর 😊
আমার কবিতা শোনার অনুরোধ রইল 😊🙏
ধন্যবাদ ❤❤
❣️❣️
বাহ্!
❤️👍🙏
সৌমিত্র ❤️
💗 🙏🏼
Lovely
🙏
❤
বাংলায় ঝড় তুলবে [মহাকাল ] 2024
❤❤
ধন্যবাদ ❤❤
Rest in peace sir...
🙏
এমন কবিতা আর কেউ লিখতে পারবে না।
ভালো লাগলো।
❤️👍🙏
💝
দারুণ
❤️👍
মরিবার সাধ জাগে,যদি দেখা যেত তখন প্রিয়জন কি করে।
মরিবার সাধ জাগে 🙏
সৌমিত্র স্যার😭😭😭😭😭
🙏😰
শুনলাম কিন্তু শম্ভু মিত্র মনে বসে আছ
কবিতার উত্তেজনাটা, আবৃতিতে আছে.
🙏♥
এর থেকে ভাল আবৃত্তি মনে হয় আর হয় নাই
শম্ভু মিত্রেরটা শুনবেন
ki bolbo comment a bujhte parchina, ato bhalo lage barbar sunte ichhe kore, mone hoy er cheye bhalo r ki hoy?
মহাকালের একটি লাইন (দিয়েছো গনতন্ত্র,করেছে গনহত্যা)
চমৎকার
ধন্যবাদ ❤❤
এটা কবির নিজের কথা।।
আহা
অথবা হয়নি ঘুম বহুকাল...
হয়নি ঘুম বহুকাল 😍🙏
Sorry and come on Bangladesh! Kamruzzaman,hello!
💗 🙏🏼
জীবনানন্দ লিখেছিলেন 'সময়ের উদ্বর্তনে উঠে এসে বধূ'----'সময়ের ঊর্ধতনে ' নয়। সৌমিত্র-র নাম দেখেই 'আহা,আহা' করতে হবে?
"উটের গ্রীবার মতো নিস্তব্ধ" - বুঝলাম না তো জিনিস টা। কোথায় উটের গ্রীবা আর নিস্তবটা আকাশ পাতাল তফাৎ অথচ উপমার মিল টা তো বুঝলাম না।
এটা সৌমিত্রের নয়
এটা তো সৌমিত্র চট্ট্যোপাধ্যায়ের কন্ঠ নয়..
এটা সৌমিত্রের কন্ঠ
Apurbo💔
💗 🙏🏼
তার কণ্ঠ রে ভাই
অনেক age কার ভাই
চিরকালীন
কবিরা এতো দুঃখী হয় কেন
অসাধারণ
অসাধারণ♥️
ধন্যবাদ ❤❤
অসাধারণ