একটি ভালবাসার গল্প ।। সানোয়ার পারভেজ।। মেয়েটি তার ছেলে বন্ধুটির দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলো- অমন হাঁ করে কি দেখছো? ছেলেটি বললো, তোমার চোখ ; সামনে সমুদ্রের মতো ঢেউখেলানো কুল ছাপিয়ে যাওয়া দুটো চোখ। মেয়েটি মুচকি হাসলো, তারপর জিজ্ঞেস করলো- আচ্ছা, তুমি কি আমায় অনেক ভালবাসো? ছেলেটি কিছুক্ষণ নিরবে তাকিয়ে রইলো, তারপর, শান্ত আবেগ স্বরে বললো- সামনে যে উত্তাল বিশাল সমুদ্রটা দেখছো, তোমাকে আমি ঠিক অতটাই ভালবাসি। মেয়েটি নির্বাক হয়ে গেল কয়েক মূহুর্ত! দুজনে পাশাপাশি বসেছিল সাগর সৈকতে ; তাদের পায়ের ওপর আছড়ে পড়ছিল সাগরের ভাঙা ভাঙা ঢেউ। একটা নিঃশ্বাস ছেড়ে মেয়েটি অতৃপ্ত স্বরে খুব আস্তে করে বললো, এতটুকু ভালবাসা? মাত্র এতটুকু? ছেলেটি অবাক চোখে চাইলো মেয়েটির চোখের দিকে। তাদের দুজনের সামনে উন্মত্ত অথচ শান্ত সুন্দর সমুদ্র, যেন নেচে নেচে এলিয়ে পড়ছে ওদের ওপর। সমুদ্রের হুহু বাতাসের ঝাপটা কেবলই নিঃসঙ্গতার প্রতীক বলে মনে হলো মেয়েটির কাছে! ছেলেটির কানের কাছে ঠোঁট ছুঁইয়ে মেয়েটি বললো- সাগরের সীমানা আছে, সে কিছুতেই অসীম নয় ; আমি তোমার অসীম ভালবাসা চাই, আকাশের মতো সীমাহীন। ছেলেটি উচ্ছল চাউনিতে শক্ত করে আঁকড়ে ধরলো মেয়েটির হাত, বললো- হ্যাঁ, আমি তোমাকে আকাশের মতো সীমাহীন সুনিল ভালবাসা দেবো, এবং তা চিরদিনের জন্যে। কিছুক্ষণ পাশাপাশি নিরবে বসে থাকার পর পরস্পরের হাত আঁকড়ে দুজনে হেঁটে গেল, জীবনের পথ ধরে। ১৭/০৬/২০২১
কোনো দিন সামনে থেকে দেখার সৌভাগ্য হয়নি।খুব ইচ্ছে ছিল গুরু বানাবো।সেটা তো সম্ভব হলো না,তাই শুনে শুনে ই মুগ্ধ হই।আর নিজেকে শিষ্য বলে মনে করি।কিছু টা একলব্য এর মত🖤🖤🖤
আমি খুবি ছোট একজন শ্রোতা। তবে যতটুকু শুনেছি আর বোঝার চেষ্টা করেছি তা হয়তো আপনার কাছে খুব ই নগন্য। আমার কবি তা খুব ই ভালো লাগে।মোট কথা হয়তো তার প্রেমেই পরে গিয়েছি।তবে আপনার কাছে একটা প্রশ্ন নিজের সাথে কথা বলাটা কি সত্যি পাগলের কার্যকলাপ??? আশা বাদি হয়তো উওর আসবে।আমি এবার মাধ্যমিক দিবো।
সুনীল হারিয়ে যাবেন না। যাবে না। রাতের আকাশে মেঘ থাকলেও সুনীল থাকবেন। মেঘ না থাকলেও সুনীল আমাদের ডাকবেন। সুনীলদা আজও নীল লোহিত হয়ে আমাদের মধ্যে আছেন। গদ্য আর পদ্যের কথকতায়।
আপনার কবিতা আবৃত্তি শুনলে মন ভরে যায়, আমিও দুই এক লাইন লেখার চেষ্টা করি, কবিতা লেখা আজ কাল নেশা হয়ে উঠেছে, জানিনা অন্যের দৃষ্টিতে সেগুলো কবিতা কি না।
ব্রততী আপনার কণ্ঠে কবিতা, আমার কাছে ঈশ্বরের বরদান! আপনাকে ভীষণ পছন্দ করি আমি। '''আপনার একটা কবিতা ছিলো মেয়ে হলে কি নাম রাখতে''' এই ধরনের বাক্য ছিলো বেশ কয়েকটা কবিতার সাথে ছিলো ওটা। আপনি কি আমাকে ওই কবিতাটার লিংক দিতে পারবেন একটু? হারিয়ে ফেলেছি আর খুঁজে পাচ্ছিই না। 'মেয়ে হলে কি নাম রাখতে' কবিতাটার নাম আর লেখকের নাম হলেও চলবে। প্লিজ আমাকে যদি এই তথ্যটুকু জানানো হয়, আনন্দিত হবো। ভালো থাকবেন ব্রততী! আপনাকে ভালোবাসি কবিতার মত ♥
আমি আসামের বরাক উপত্যকা থেকে বলছি। এখানে একুশে ফেব্রুয়ারি ছাড়াও উনিশে মে ভাষা শহীদ দিবস পালিত হয় যেটার কথা অনেকেই জানেনা। আমার অনুরোধ রইলো আপনি 19 May শহীদ দিবস নিয়ে একটা ভিডিও করুন। এটাও তো মাতৃভাষার জন্য বাঙালির আত্মবলিদানের গল্প।
ড.নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া‘র কবিতা || লীলা’কে || সে দিনের কথা মনে আছে লীলাবতি? আমাদের অলৌকিক অভিসারে নির্দোষ লীলার বিহারে শাখায় শাখায় আশিস বিলিয়ে ওষুধি-বনস্পতি, আমাদের প্রমত্ত প্রেমে দেখালো কী-সব তেলেসমতি! যে দিন শ্রাবণমুখর সন্ধ্যায় সা-রে-গা-মা-পা-ধা-নি-সা’য় পত্র পল্লবের বোঁটায় বোঁটায় টাপুর টুপুর বৃষ্টির ফোঁটায় মোহন সুরের মূর্চ্ছনা ছড়িয়ে দিলো আলো-ছায়ার আবেশ যোজনায়। সে দিনই তোমার সঙ্গে আমার প্রথম দেখা অবশ্য এর আগেও হয়েছে চোখে চোখ রাখা; সে সব চোখাচোখি কোনক্রমেই দেখা নয়, বলতে পারো গ্রন্হের প্রচ্ছদ পরিচয়; তিন শ’তেত্রিশ পৃষ্ঠার পুরো বইটাই বাঁকি; না পড়ে কেবল উদাস মনে চোখ বুলিয়ে রাখি। সে অর্থে নীপছায়ায় দুজনের হাতে হাত; বলতে পারো, দেখার মতো দেখা’র সেদিনই সূত্রপাত। চকোরিয়ার চারুঘাটে কেতকি কদমতলে পায়ে পায়ে জলকেলি দিঘির কাজলা জলে; কে আকুল করেছে বেশি- কদম না কেয়া? আমরা জানিনি, জেনেছে নজরের খেয়া। সে খেয়ায় পারাপার হলো কী-না মন, সে খবর রাখাটা কি খুউব প্রয়োজন? পারের কড়িই গেছে রসাতলে যার, তার আবার কোন খেয়া, কোন পারাবার? মমতার জলস্নাত কদম-কেয়ার কী মৌমিতা সুবাস! তুমি আর আমি ছাড়া, জানো লীলা! সুবাসের গভীর দীর্ঘশ্বাস। ফুলের সুবাস আর আমাদের শ্বাস, একাকার না হলেতো অকালেই প্রেমের বিনাশ। আকুল ভাবনায় কে ছড়ালো গনগনে আগুন সে কি নীপতরুর পেলব প্রসূন! নাকি, আমাকে তোমাতে ভোলানো যমুনার জলোচ্ছ্বাসে ভেসে যাওয়া কূল! নাকি, তনুর তরঙ্গে দোল-দোলানো ‘বাদল দিনের প্রথম কদমফুল’! ঠিক কে পেয়েছিল আমার অবুঝ ভালোবাসা, বল তো? ঠিক কে চেয়েছিল আমার অবুঝ ভালোবাসা, বল তো? জানি, বরাবরের মতই গদ্য রীতিমতে স্পষ্ট করে জবাব দেবে না তুমি। গদ্যের বিপরীতে পদ্য হলেও হয়তো-বা বোঝা যেত কিছু; কিন্তু না ; গদ্যে নয়, পদ্যে নয়, তোমার জবাব কবিতায়; আর কবিতার ভাবে জবাবের জবা কালেভদ্রে কলি ফোটালেও আঁধফোটা ফুলও ফোটায়নি যুগ-যুগান্তে, কাল-কালান্তে, কিংবা সত্তর বসন্তে। তবুও প্রাপ্তি ছিল সেই অর্থহীনতায়; সব অর্থ কি পাওয়া যায় অর্থবোধকতায়! বলতো লীলা ! অর্থ খুঁজলে কোন প্রেম অর্থবাচক হয়? আমাদের যেমনটা বিশ্বাস; প্রেমের অর্থ ভাষায় থাকেনা থাকে মর্মবোধের ভিন্ন মাত্রায়, কিংবা, সেই মুলুকে অন্তহীন অভিযাত্রায়। কিন্তু দেখো, কী কদর্য বাস্তবতা! প্রেমেও আজকাল পদ্যের পেলবতা চায় না মায়ামন বিহারি, কবিতার সরসতা চায় না প্রেমের বেরসিক বেপারি, নিহিতার্থকে গিলে খায় বহিঃরঙ্গের কুহেলি বাহার , এভাবেই সভ্যতা হয় অভব্যের অকিঞ্চন আহার । গদ্যের গদার ঘায়ে ঘাড় ভাঙলেও ঘায়েল হয় না নন্দদুলাল, কারণ জলবৎ তরলং; কালটা যে ঘোর কলিকাল। বাঁশে এখন হয়না সুরের ডাকাতিয়া বাঁশি বরং ডাকাতির কাজে সদর্প লাঠি হয় দস্যুর পেশিবহুল হাতে, মেতে উঠে অসহায় গৃহকর্তার সাথে তাকে নিঃস্ব করবার পৈশাচিক সংঘাতে। অথচ দেখো, কী আশ্চর্য লীলাবতী; ললিতা আমার! আমরা দুজন ভুবনে ভুবনে কত প্রেম করেছি শুমার। প্রেমের অবারিত প্রান্তর তবুও বিরান ধু-ধু বালুচর , কাব্যের নকশি কাঁথার মাঠে শ্বাপদ সরীসৃপ বাঁধিয়াছে ঘর। কাব্যের জলসা এখন পেঁচা আর বাদুরের বাড়ি, কবিতার চুলোয় আর চড়েনা তো হাড়ি। উনুনে আরামে ঘুমায় বিশ্বাসি বিড়াল, জানিনা ভাসাবে কারে স্রোতে মহাকাল? কবিতার ভিটায় খোশখেয়ালে ঘুঘু চরে কোলা ব্যাঙ পড়ে থাকে চিৎ হয়ে মরে। চিকা-চামচিকে খেলে গোল্লাছুট মাঠে পরিত্যক্ত কুঞ্জের শেওলার চৌকাঠে। কিন্তু হায় ! কবিতার কোমল জমিন বাদে কোথায় আর প্রেম উপ্ত হবে লীলা? বীজের জন্যে চাই পলিমাটি কতটুকু কাজে আসে পাললিক শিলা? ব্যূহভেদ করে কেমন করে মন যাবে বাইরে গোলকের? কদম-কেয়া’রা কেমন করে অংশি হবে প্রেমের পুলকের? কী আর বলবো লীলা! দিন-দিনান্তে কত আর সহ্য হয় এতো মাজা-ঘষা , গোলেমালে দিন যায় কিছুতেই পাই না ভরসা। প্রেমের ভবিতব্যে দেখি অনিবার ঘোর দুর্দশা! -০:০-
কবিতা ও কন্ঠ দুটোকেই কোন বিশেষণে বিশেষিত করার মতন শব্দ আমাদের মত ক্ষুদ্র ব্যক্তির নেই। অনবদ্য ❤
কী সাধারণ! এ যেন আমার সুখের জগতে বিচরণ। মধুময় সাগর ভ্রমণ।
অসাধারণ একখানি কবিতা ও আবৃত্তি শুনতে পেলাম । শ্রবণে মুগ্ধ হলাম । অফুরান শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইলো ।
Frankfurt-এর 'Kaiserstraße',
আমার বাড়ির পাশের রাস্তাটার নাম এমন করে আপনার মুখে শুনে বড্ড ভালো লাগলো.. ছোট্ট থেকে আপনার recitation-এ মুগ্ধ হই বারবার ❤
বেশি করে কি আর বলবো,,,, শুধু এত টুকু বলতে পারি এই মুহুর্তে মনটাকে খুশিতে আনন্দে ভরিয়ে দিয়েছে এই কন্ঠ শিল্পী তুমি প্রণাম নিও,,, 🙏🙏🙏
একটি ভালবাসার গল্প
।। সানোয়ার পারভেজ।।
মেয়েটি তার ছেলে বন্ধুটির দিকে তাকিয়ে
জিজ্ঞেস করলো-
অমন হাঁ করে কি দেখছো?
ছেলেটি বললো, তোমার চোখ ;
সামনে সমুদ্রের মতো ঢেউখেলানো
কুল ছাপিয়ে যাওয়া দুটো চোখ।
মেয়েটি মুচকি হাসলো,
তারপর জিজ্ঞেস করলো-
আচ্ছা, তুমি কি আমায় অনেক ভালবাসো?
ছেলেটি কিছুক্ষণ নিরবে তাকিয়ে রইলো,
তারপর, শান্ত আবেগ স্বরে বললো-
সামনে যে উত্তাল বিশাল সমুদ্রটা দেখছো,
তোমাকে আমি ঠিক অতটাই ভালবাসি।
মেয়েটি নির্বাক হয়ে গেল কয়েক মূহুর্ত!
দুজনে পাশাপাশি বসেছিল সাগর সৈকতে ;
তাদের পায়ের ওপর আছড়ে পড়ছিল
সাগরের ভাঙা ভাঙা ঢেউ।
একটা নিঃশ্বাস ছেড়ে
মেয়েটি অতৃপ্ত স্বরে
খুব আস্তে করে বললো,
এতটুকু ভালবাসা?
মাত্র এতটুকু?
ছেলেটি অবাক চোখে চাইলো
মেয়েটির চোখের দিকে।
তাদের দুজনের সামনে উন্মত্ত অথচ
শান্ত সুন্দর সমুদ্র, যেন নেচে নেচে
এলিয়ে পড়ছে ওদের ওপর।
সমুদ্রের হুহু বাতাসের ঝাপটা কেবলই
নিঃসঙ্গতার প্রতীক বলে মনে হলো
মেয়েটির কাছে!
ছেলেটির কানের কাছে ঠোঁট ছুঁইয়ে
মেয়েটি বললো-
সাগরের সীমানা আছে,
সে কিছুতেই অসীম নয় ;
আমি তোমার অসীম ভালবাসা চাই, আকাশের মতো সীমাহীন।
ছেলেটি উচ্ছল চাউনিতে শক্ত করে
আঁকড়ে ধরলো মেয়েটির হাত,
বললো- হ্যাঁ, আমি তোমাকে
আকাশের মতো সীমাহীন
সুনিল ভালবাসা দেবো,
এবং তা চিরদিনের জন্যে।
কিছুক্ষণ পাশাপাশি নিরবে
বসে থাকার পর পরস্পরের হাত আঁকড়ে
দুজনে হেঁটে গেল, জীবনের পথ ধরে।
১৭/০৬/২০২১
Apurbo apurbo Gaye kanta diye uthchhilo goose bumps ashadharon bhalo lage..thanks
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কবিতা বাম পাশের হৃদয়ে গিয়ে লাগে।তাঁর কবিতার অনুভূতি অতুলনীয় ।সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কবিতার হাত ধরেই আমার কবিতার জগতে প্রবেশ ।তুমি সুখে থেকো স্বর্গপুরে,
কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়কে আমার পুস্পাঞ্জলী আর ব্রততী দেবীকে আমার বিনম্র শ্রদ্ধা ও প্রণাম৷
সাবলীল উপস্থাপনা, চমৎকার আবৃত্তি। অফুরন্ত শুভকামনা
কলম এবং কন্ঠ একে অপরের পরিপূরক।
সুনীল বাবু ❤️❤️❤️
প্রণাম গুরুদেব 🙏🙏🙏🌸🌸🌸🌸
কবিতা থেকে অসাধারণ কিছু এই পৃথিবীতে নেই।😍😍😍
হে ঠিকই বলছেন
🧡🧡🧡
Kisui হয় নি
ড.নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া’র কবিতা
🦢৲ ০ আমৃত্যু বধির ০ 🦢৲
‘দেয়ালেরও প্রাণ আছে;’
কালের কালিমালুপ্ত
অকথিত কথার গুপ্ত ধনাগার
পরিত্যক্ত রাজবাড়ির দেয়াল থেকে
আমার কানে ভেসে আসে
এই ভুতুড়ে বাণি।
হত চকিত আমি
আমিতে ফিরে এসে বললাম,’ হ্যাঁ, দেয়ালেরও কান আছে;’
আবার দরাজ যান্ত্রিক কণ্ঠের দৈব কম্পন:
‘ কান নয়, প্রাণ;
দেয়ালেরও প্রাণ আছে।’
আমি বললাম,‘ নিশ্চয় , নিশ্চয়ই
প্রাণ না থাকলে কান থেকে লাভ কী!
যার প্রাণ নেই তার কান কিছুই শোনে না।
প্রাণ ছিলো বলেই-না বিরূপাক্ষ
কুম্ভকর্ণকে নিদ্রাসন থেকে জাগাতে পেরেছে
গগন বিদারী বাদ্য-বাজনা, শিঙা-শানাই, ঢাক-ডংকা, কাঁসর-দুন্দুভি,কাড়া-নাকাড়া,
ডমরু-দামামা বাজিয়ে;
(যদিও ঘুম ভেঙ্গেছিলো খাবারের ঘ্রাণে, সে কথা বলছি না, পাছে মানহানি ঘটে রক্ষকুলের বীর যোদ্ধা এই কলসিকর্ণের।)
তবে ভাবনার প্রশান্ত সমুদ্রে
অবিরাম ঢেউ ভাঙ্গে জনান্তিকে;
আমার তো কান আছে,
অথচ কিচ্ছুটিই শুনতে পাচ্ছি না ক্যানো!
তাহলে কি আমারও প্রাণ নেই?
যার প্রাণ নেই তার কান কিছুই শোনে না;
বিনা মেঘে বজ্রপাত, ক্লিষ্টের কষ্ট,
রিক্তের হাহাকার, নি:স্বের আহাজারি, পীড়িতের আর্তি,নিগৃহীতের বিলাপ, অভুক্তের আকুতি, পায়রার চিক্কুর,
ভর দুপুরে কাকের কা-কা,
গোলাপ পাঁপড়ির পতন,
ডায়াল থেকে ঘড়ির কাঁটার ছিটকে পড়া কিংবা ভাংগনের শব্দ;
কোনো কিছুই তখন তার কানে বাজেনা।
আবার ভয়ে ভয়ে
সেই প্রাজ্ঞ দেয়ালের কাছে নতজানু হই;
খেলে যায় গম্ভীর কণ্ঠের শব্দ তরঙ্গ:
‘দেয়ালেরও প্রাণ আছে;
তাই দেয়ালেরা কানে শুনতে পায়;
তোমার কান আছে; প্রাণ নেই,
তাই বৈকল্যে তোমার কান;
যার প্রাণ নেই, তার কান বিকলাঙ্গ।
কান খাড়া করে শ্রবণের জন্যে হতে পারো একান্ত অধির,
নিষ্প্রাণ বলেই তুমি শ্রবণ প্রতিবন্ধী;
আমৃত্যু বধির।’
--
@@princesatya7313 L0
অপূর্ব দিদি,মন ভরে গেল 🙏
অসাধারণ.. হৃদয়ের মাঝখানে ছুয়ে গেল।
Kobeta amader na bolaa, jomee thakaa kostoo, anondoo, oviman, seraa tan puraa taa kolpona tyy bejee uthaa surr
You dear excellent
Poet Sunil long live
Thanks to Vratoti
"Ao prempotro" kobita ta jotobar e suni totobar e chokhe jol chole asa😢
কোনো দিন সামনে থেকে দেখার সৌভাগ্য হয়নি।খুব ইচ্ছে ছিল গুরু বানাবো।সেটা তো সম্ভব হলো না,তাই শুনে শুনে ই মুগ্ধ হই।আর নিজেকে শিষ্য বলে মনে করি।কিছু টা একলব্য এর মত🖤🖤🖤
Aapar seherata Khub Sundar...,
Aar golata darun....
Sundarata, golata, aabriti...
Eaisab miliye aapnake eak rakam asanmaniyo mohila sajiye diyeshye
Eak bichitra bhadra mahila...
Jen pase dariye thakteparile kisu Jen ajana, atripti, anubhuti......
Oshadharon....khunje berachhilam kobita gulo....
আমি খুবি ছোট একজন শ্রোতা।
তবে যতটুকু শুনেছি আর বোঝার চেষ্টা করেছি তা হয়তো আপনার কাছে খুব ই নগন্য। আমার কবি তা খুব ই ভালো লাগে।মোট কথা হয়তো তার প্রেমেই পরে গিয়েছি।তবে আপনার কাছে একটা প্রশ্ন নিজের সাথে কথা বলাটা কি সত্যি পাগলের কার্যকলাপ???
আশা বাদি হয়তো উওর আসবে।আমি এবার মাধ্যমিক দিবো।
চমৎকার পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ
দারুণ দারুণ দারুণ. Marvelous.
সাবলীল উচ্চারণ, উপস্থাপন
অনেক ভালোলাগা, অনেক ভালোবাসা।
u r great didi, we all love and respect u......god bless u....
Koushik Basak
Abhishek Monal
Bhaskar Deka
সুনীল হারিয়ে যাবেন না। যাবে না। রাতের আকাশে মেঘ থাকলেও সুনীল থাকবেন। মেঘ না থাকলেও সুনীল আমাদের ডাকবেন। সুনীলদা আজও নীল লোহিত হয়ে আমাদের মধ্যে আছেন। গদ্য আর পদ্যের কথকতায়।
Foridapavin gan
@@mdrifat8300😊😊
@@mdrifat8300😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊😊
প্রিয় কবির প্রিয় কবিতা প্রিয় শিল্পীর কণ্ঠে।🥰
" Kobita' you are my kobita.. 🌹.... Opurbo.. thanks.
অসাধারণ মনের মধ্যে দাগ কেটে গেলো ধন্যবাদ।
Osadharon laga6a👌👌👌
apna k bhalo basi....apnar bola ...apnar gola.... apnar dhoron... r apnar saj... joto dekhi joto suni aroo arooo bhalo lage...
Rumpa Banerjee
অসাধারণ ভিডিও মন ভরে গেল।
সুনীল মানে প্রেম, বিষাদ ও প্রতিবাদের নতুন প্রতিচ্ছবি। সুনীল মানে ভালবাসা, জীবন উপভোগ করার প্রেরণা
🌾🌿🌾All this poems cret a everlasting effect in my innerheart🌾🌿🌾I realy love these
আমি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের একজন ভক্ত। তার কবিতা ব্রততীর কন্ঠে আরো সুন্দর হয়ে উঠেছে।
অসাধারণ ভিডিও, ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপনাকে
আপনার কবিতা আবৃত্তি শুনলে মন ভরে যায়, আমিও দুই এক লাইন লেখার চেষ্টা করি, কবিতা লেখা আজ কাল নেশা হয়ে উঠেছে, জানিনা অন্যের দৃষ্টিতে সেগুলো কবিতা কি না।
মন ভরে গেলো❤️
My salutation to the writer and respect to the Poet.and all.
Darun ! Fantastic!! Marvellous! 🙏🙏🙏🙏💅
ব্রততী আপনার কণ্ঠে কবিতা, আমার কাছে ঈশ্বরের বরদান! আপনাকে ভীষণ পছন্দ করি আমি। '''আপনার একটা কবিতা ছিলো মেয়ে হলে কি নাম রাখতে''' এই ধরনের বাক্য ছিলো বেশ কয়েকটা কবিতার সাথে ছিলো ওটা। আপনি কি আমাকে ওই কবিতাটার লিংক দিতে পারবেন একটু? হারিয়ে ফেলেছি আর খুঁজে পাচ্ছিই না।
'মেয়ে হলে কি নাম রাখতে' কবিতাটার নাম আর লেখকের নাম হলেও চলবে।
প্লিজ আমাকে যদি এই তথ্যটুকু জানানো হয়, আনন্দিত হবো।
ভালো থাকবেন ব্রততী! আপনাকে ভালোবাসি কবিতার মত ♥
কবিতাটির নাম ময়ূরপঙ্খী । search করলে পেয়ে যাবেন ।
হু উনার অই আবৃতি গুলো আমার খুব প্রিয়।।।।। আর হুমায়ুন আহমেদের হিমু বই গুলো
সুবোধ সরকার, ময়ূরপঙ্খী
Valobasha!!!! ❤❤❤❤❤❤❤❤❤
অপূর্ব অপূর্ব আপনার কণ্ঠের কারুকাজ!
Ashadharon anubhuti ....
ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে কবিতাটি অসাধারণ!
আমি গর্বিত এই অসাধারণ কবির জন্ম হয়েছিলো আমার এলাকায়
Kothay janab??
আমাদের সেই বিখ্যাত ফরিদপুর এ।
@@subhagatachowdhuru3442 বাংলাদেশের ফরিদপুরে
5:49...Neerar Aushukh.... My fvrt 🖤🖤
কবিতা জীবনের দর্শন ।এই দর্শন বেচে থাকার রসদ । আমাদের বলে দেয় আমাদের বাস্তবকে ।
প্রতিদিনের সকাল আপনার আবৃত্তি শুনে শুনে কাটানো হয়।
অসাধারণ 👌👌♥️♥️
সত্যি মন ভরে গেল।
কবিতার কাছে আরেক কবিতা,
আশ্রয়।
কবিতা বলতে বলতে হে ঈশ্বর আমার যেন
মৃত্যু হয়!
পাপ ও দুঃখের কথা ছাড়া আর কিছুই থাকে না। কিন্তু আমাদের সুনীল থাকবে, যতদিন বাংলাদেশ থাকবে।
Poet Sunil Gangopadhyay is unparallel.
SANTANU DUTTA gl
Ovmyocmgl
QoyBg
Afkc
yo. To gov .hlggfyglgl tovqcf CFIvlLglag a gglomeration
@@amitroykobita3908 good
আমি আসামের বরাক উপত্যকা থেকে বলছি। এখানে একুশে ফেব্রুয়ারি ছাড়াও উনিশে মে ভাষা শহীদ দিবস পালিত হয় যেটার কথা অনেকেই জানেনা। আমার অনুরোধ রইলো আপনি 19 May শহীদ দিবস নিয়ে একটা ভিডিও করুন। এটাও তো মাতৃভাষার জন্য বাঙালির আত্মবলিদানের গল্প।
Nice.....khubsundor
কতবার শুনেছি নিজেও জানি না! 💖
Bratati is superb.
তোমাকে আমার তোমার বয়সের সবকিছু দিতে ইচ্ছে হয় নবীন কিশোর ! অসাধারণ ।
Asadharan
আমি শ্রীকান্তে মজেছি। বাহ!!
আজকের রবীঠাকুর , সুনীল ।
প্রনাম !
Superb atulanio........
অমরত্বের অন্য নাম হয়, সেটা কি নীললোহিত? ❤️
Ha apni thik blechen
Darun bhalo❤️❤️❤️❤️❤️❤️
সত্যি অসাধারণ,,,,
Sunil sagare dubdilam bratati madam ke dhonnobad
অসাধারণ
অসাধারণ 💞
ড.নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া‘র কবিতা || লীলা’কে ||
সে দিনের কথা মনে আছে লীলাবতি?
আমাদের অলৌকিক অভিসারে
নির্দোষ লীলার বিহারে
শাখায় শাখায় আশিস বিলিয়ে ওষুধি-বনস্পতি,
আমাদের প্রমত্ত প্রেমে দেখালো কী-সব তেলেসমতি!
যে দিন শ্রাবণমুখর সন্ধ্যায়
সা-রে-গা-মা-পা-ধা-নি-সা’য়
পত্র পল্লবের বোঁটায় বোঁটায়
টাপুর টুপুর বৃষ্টির ফোঁটায়
মোহন সুরের মূর্চ্ছনা ছড়িয়ে দিলো
আলো-ছায়ার আবেশ যোজনায়।
সে দিনই তোমার সঙ্গে আমার প্রথম দেখা
অবশ্য এর আগেও হয়েছে চোখে চোখ রাখা;
সে সব চোখাচোখি কোনক্রমেই দেখা নয়,
বলতে পারো গ্রন্হের প্রচ্ছদ পরিচয়;
তিন শ’তেত্রিশ পৃষ্ঠার পুরো বইটাই বাঁকি;
না পড়ে কেবল উদাস মনে চোখ বুলিয়ে রাখি।
সে অর্থে নীপছায়ায় দুজনের হাতে হাত;
বলতে পারো, দেখার মতো দেখা’র সেদিনই সূত্রপাত।
চকোরিয়ার চারুঘাটে কেতকি কদমতলে
পায়ে পায়ে জলকেলি দিঘির কাজলা জলে;
কে আকুল করেছে বেশি- কদম না কেয়া?
আমরা জানিনি, জেনেছে নজরের খেয়া।
সে খেয়ায় পারাপার হলো কী-না মন,
সে খবর রাখাটা কি খুউব প্রয়োজন?
পারের কড়িই গেছে রসাতলে যার,
তার আবার কোন খেয়া, কোন পারাবার?
মমতার জলস্নাত কদম-কেয়ার
কী মৌমিতা সুবাস!
তুমি আর আমি ছাড়া, জানো লীলা!
সুবাসের গভীর দীর্ঘশ্বাস।
ফুলের সুবাস আর আমাদের শ্বাস,
একাকার না হলেতো অকালেই
প্রেমের বিনাশ।
আকুল ভাবনায় কে ছড়ালো গনগনে আগুন
সে কি নীপতরুর পেলব প্রসূন!
নাকি, আমাকে তোমাতে ভোলানো
যমুনার জলোচ্ছ্বাসে ভেসে যাওয়া কূল!
নাকি, তনুর তরঙ্গে দোল-দোলানো
‘বাদল দিনের প্রথম কদমফুল’!
ঠিক কে পেয়েছিল আমার অবুঝ ভালোবাসা, বল তো?
ঠিক কে চেয়েছিল আমার অবুঝ ভালোবাসা, বল তো?
জানি, বরাবরের মতই গদ্য রীতিমতে স্পষ্ট করে
জবাব দেবে না তুমি।
গদ্যের বিপরীতে পদ্য হলেও হয়তো-বা বোঝা যেত কিছু;
কিন্তু না ;
গদ্যে নয়, পদ্যে নয়,
তোমার জবাব কবিতায়;
আর কবিতার ভাবে জবাবের জবা কালেভদ্রে
কলি ফোটালেও
আঁধফোটা ফুলও ফোটায়নি যুগ-যুগান্তে,
কাল-কালান্তে, কিংবা সত্তর বসন্তে।
তবুও প্রাপ্তি ছিল সেই অর্থহীনতায়;
সব অর্থ কি পাওয়া যায় অর্থবোধকতায়!
বলতো লীলা !
অর্থ খুঁজলে কোন প্রেম অর্থবাচক হয়?
আমাদের যেমনটা বিশ্বাস;
প্রেমের অর্থ ভাষায় থাকেনা
থাকে মর্মবোধের ভিন্ন মাত্রায়,
কিংবা, সেই মুলুকে অন্তহীন অভিযাত্রায়।
কিন্তু দেখো, কী কদর্য বাস্তবতা!
প্রেমেও আজকাল পদ্যের পেলবতা চায় না মায়ামন বিহারি,
কবিতার সরসতা চায় না প্রেমের বেরসিক বেপারি,
নিহিতার্থকে গিলে খায় বহিঃরঙ্গের কুহেলি বাহার ,
এভাবেই সভ্যতা হয় অভব্যের অকিঞ্চন আহার ।
গদ্যের গদার ঘায়ে ঘাড় ভাঙলেও
ঘায়েল হয় না নন্দদুলাল,
কারণ জলবৎ তরলং; কালটা যে ঘোর কলিকাল।
বাঁশে এখন হয়না সুরের ডাকাতিয়া বাঁশি
বরং ডাকাতির কাজে সদর্প লাঠি হয়
দস্যুর পেশিবহুল হাতে,
মেতে উঠে অসহায় গৃহকর্তার সাথে
তাকে নিঃস্ব করবার পৈশাচিক সংঘাতে।
অথচ দেখো, কী আশ্চর্য লীলাবতী; ললিতা আমার!
আমরা দুজন ভুবনে ভুবনে কত প্রেম করেছি শুমার।
প্রেমের অবারিত প্রান্তর তবুও বিরান ধু-ধু বালুচর ,
কাব্যের নকশি কাঁথার মাঠে শ্বাপদ সরীসৃপ বাঁধিয়াছে ঘর।
কাব্যের জলসা এখন পেঁচা আর বাদুরের বাড়ি,
কবিতার চুলোয় আর চড়েনা তো হাড়ি।
উনুনে আরামে ঘুমায় বিশ্বাসি বিড়াল,
জানিনা ভাসাবে কারে স্রোতে মহাকাল?
কবিতার ভিটায় খোশখেয়ালে ঘুঘু চরে
কোলা ব্যাঙ পড়ে থাকে চিৎ হয়ে মরে।
চিকা-চামচিকে খেলে গোল্লাছুট মাঠে
পরিত্যক্ত কুঞ্জের শেওলার চৌকাঠে।
কিন্তু হায় !
কবিতার কোমল জমিন বাদে
কোথায় আর প্রেম উপ্ত হবে লীলা?
বীজের জন্যে চাই পলিমাটি
কতটুকু কাজে আসে পাললিক শিলা?
ব্যূহভেদ করে কেমন করে মন যাবে বাইরে গোলকের?
কদম-কেয়া’রা কেমন করে অংশি হবে প্রেমের পুলকের?
কী আর বলবো লীলা!
দিন-দিনান্তে কত আর সহ্য হয় এতো মাজা-ঘষা ,
গোলেমালে দিন যায় কিছুতেই পাই না ভরসা।
প্রেমের ভবিতব্যে দেখি অনিবার ঘোর দুর্দশা!
-০:০-
ড.নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া’র কবিতা
🦢৲ ০ আমৃত্যু বধির ০ 🦢৲
‘দেয়ালেরও প্রাণ আছে;’
কালের কালিমালুপ্ত
অকথিত কথার গুপ্ত ধনাগার
পরিত্যক্ত রাজবাড়ির দেয়াল থেকে
আমার কানে ভেসে আসে
এই ভুতুড়ে বাণি।
হত চকিত আমি
আমিতে ফিরে এসে বললাম,’ হ্যাঁ, দেয়ালেরও কান আছে;’
আবার দরাজ যান্ত্রিক কণ্ঠের দৈব কম্পন:
‘ কান নয়, প্রাণ;
দেয়ালেরও প্রাণ আছে।’
আমি বললাম,‘ নিশ্চয় , নিশ্চয়ই
প্রাণ না থাকলে কান থেকে লাভ কী!
যার প্রাণ নেই তার কান কিছুই শোনে না।
প্রাণ ছিলো বলেই-না বিরূপাক্ষ
কুম্ভকর্ণকে নিদ্রাসন থেকে জাগাতে পেরেছে
গগন বিদারী বাদ্য-বাজনা, শিঙা-শানাই, ঢাক-ডংকা, কাঁসর-দুন্দুভি,কাড়া-নাকাড়া,
ডমরু-দামামা বাজিয়ে;
(যদিও ঘুম ভেঙ্গেছিলো খাবারের ঘ্রাণে, সে কথা বলছি না, পাছে মানহানি ঘটে রক্ষকুলের বীর যোদ্ধা এই কলসিকর্ণের।)
তবে ভাবনার প্রশান্ত সমুদ্রে
অবিরাম ঢেউ ভাঙ্গে জনান্তিকে;
আমার তো কান আছে,
অথচ কিচ্ছুটিই শুনতে পাচ্ছি না ক্যানো!
তাহলে কি আমারও প্রাণ নেই?
যার প্রাণ নেই তার কান কিছুই শোনে না;
বিনা মেঘে বজ্রপাত, ক্লিষ্টের কষ্ট,
রিক্তের হাহাকার, নি:স্বের আহাজারি, পীড়িতের আর্তি,নিগৃহীতের বিলাপ, অভুক্তের আকুতি, পায়রার চিক্কুর,
ভর দুপুরে কাকের কা-কা,
গোলাপ পাঁপড়ির পতন,
ডায়াল থেকে ঘড়ির কাঁটার ছিটকে পড়া কিংবা ভাংগনের শব্দ;
কোনো কিছুই তখন তার কানে বাজেনা।
আবার ভয়ে ভয়ে
সেই প্রাজ্ঞ দেয়ালের কাছে নতজানু হই;
খেলে যায় গম্ভীর কণ্ঠের শব্দ তরঙ্গ:
‘দেয়ালেরও প্রাণ আছে;
তাই দেয়ালেরা কানে শুনতে পায়;
তোমার কান আছে; প্রাণ নেই,
তাই বৈকল্যে তোমার কান;
যার প্রাণ নেই, তার কান বিকলাঙ্গ।
কান খাড়া করে শ্রবণের জন্যে হতে পারো একান্ত অধির,
নিষ্প্রাণ বলেই তুমি শ্রবণ প্রতিবন্ধী;
আমৃত্যু বধির।’
--
ড.নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া’র কবিতা
🦢৲ ০ আমৃত্যু বধির ০ 🦢৲
‘দেয়ালেরও প্রাণ আছে;’
কালের কালিমালুপ্ত
অকথিত কথার গুপ্ত ধনাগার
পরিত্যক্ত রাজবাড়ির দেয়াল থেকে
আমার কানে ভেসে আসে
এই ভুতুড়ে বাণি।
হত চকিত আমি
আমিতে ফিরে এসে বললাম,’ হ্যাঁ, দেয়ালেরও কান আছে;’
আবার দরাজ যান্ত্রিক কণ্ঠের দৈব কম্পন:
‘ কান নয়, প্রাণ;
দেয়ালেরও প্রাণ আছে।’
আমি বললাম,‘ নিশ্চয় , নিশ্চয়ই
প্রাণ না থাকলে কান থেকে লাভ কী!
যার প্রাণ নেই তার কান কিছুই শোনে না।
প্রাণ ছিলো বলেই-না বিরূপাক্ষ
কুম্ভকর্ণকে নিদ্রাসন থেকে জাগাতে পেরেছে
গগন বিদারী বাদ্য-বাজনা, শিঙা-শানাই, ঢাক-ডংকা, কাঁসর-দুন্দুভি,কাড়া-নাকাড়া,
ডমরু-দামামা বাজিয়ে;
(যদিও ঘুম ভেঙ্গেছিলো খাবারের ঘ্রাণে, সে কথা বলছি না, পাছে মানহানি ঘটে রক্ষকুলের বীর যোদ্ধা এই কলসিকর্ণের।)
তবে ভাবনার প্রশান্ত সমুদ্রে
অবিরাম ঢেউ ভাঙ্গে জনান্তিকে;
আমার তো কান আছে,
অথচ কিচ্ছুটিই শুনতে পাচ্ছি না ক্যানো!
তাহলে কি আমারও প্রাণ নেই?
যার প্রাণ নেই তার কান কিছুই শোনে না;
বিনা মেঘে বজ্রপাত, ক্লিষ্টের কষ্ট,
রিক্তের হাহাকার, নি:স্বের আহাজারি, পীড়িতের আর্তি,নিগৃহীতের বিলাপ, অভুক্তের আকুতি, পায়রার চিক্কুর,
ভর দুপুরে কাকের কা-কা,
গোলাপ পাঁপড়ির পতন,
ডায়াল থেকে ঘড়ির কাঁটার ছিটকে পড়া কিংবা ভাংগনের শব্দ;
কোনো কিছুই তখন তার কানে বাজেনা।
আবার ভয়ে ভয়ে
সেই প্রাজ্ঞ দেয়ালের কাছে নতজানু হই;
খেলে যায় গম্ভীর কণ্ঠের শব্দ তরঙ্গ:
‘দেয়ালেরও প্রাণ আছে;
তাই দেয়ালেরা কানে শুনতে পায়;
তোমার কান আছে; প্রাণ নেই,
তাই বৈকল্যে তোমার কান;
যার প্রাণ নেই, তার কান বিকলাঙ্গ।
কান খাড়া করে শ্রবণের জন্যে হতে পারো একান্ত অধির,
নিষ্প্রাণ বলেই তুমি শ্রবণ প্রতিবন্ধী;
আমৃত্যু বধির।’
--
kobeeta !! Aha !!!
কবিতা 😍
Excellent recitation..
ড.নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া’র কবিতা
🦢৲ ০ আমৃত্যু বধির ০ 🦢৲
‘দেয়ালেরও প্রাণ আছে;’
কালের কালিমালুপ্ত
অকথিত কথার গুপ্ত ধনাগার
পরিত্যক্ত রাজবাড়ির দেয়াল থেকে
আমার কানে ভেসে আসে
এই ভুতুড়ে বাণি।
হত চকিত আমি
আমিতে ফিরে এসে বললাম,’ হ্যাঁ, দেয়ালেরও কান আছে;’
আবার দরাজ যান্ত্রিক কণ্ঠের দৈব কম্পন:
‘ কান নয়, প্রাণ;
দেয়ালেরও প্রাণ আছে।’
আমি বললাম,‘ নিশ্চয় , নিশ্চয়ই
প্রাণ না থাকলে কান থেকে লাভ কী!
যার প্রাণ নেই তার কান কিছুই শোনে না।
প্রাণ ছিলো বলেই-না বিরূপাক্ষ
কুম্ভকর্ণকে নিদ্রাসন থেকে জাগাতে পেরেছে
গগন বিদারী বাদ্য-বাজনা, শিঙা-শানাই, ঢাক-ডংকা, কাঁসর-দুন্দুভি,কাড়া-নাকাড়া,
ডমরু-দামামা বাজিয়ে;
(যদিও ঘুম ভেঙ্গেছিলো খাবারের ঘ্রাণে, সে কথা বলছি না, পাছে মানহানি ঘটে রক্ষকুলের বীর যোদ্ধা এই কলসিকর্ণের।)
তবে ভাবনার প্রশান্ত সমুদ্রে
অবিরাম ঢেউ ভাঙ্গে জনান্তিকে;
আমার তো কান আছে,
অথচ কিচ্ছুটিই শুনতে পাচ্ছি না ক্যানো!
তাহলে কি আমারও প্রাণ নেই?
যার প্রাণ নেই তার কান কিছুই শোনে না;
বিনা মেঘে বজ্রপাত, ক্লিষ্টের কষ্ট,
রিক্তের হাহাকার, নি:স্বের আহাজারি, পীড়িতের আর্তি,নিগৃহীতের বিলাপ, অভুক্তের আকুতি, পায়রার চিক্কুর,
ভর দুপুরে কাকের কা-কা,
গোলাপ পাঁপড়ির পতন,
ডায়াল থেকে ঘড়ির কাঁটার ছিটকে পড়া কিংবা ভাংগনের শব্দ;
কোনো কিছুই তখন তার কানে বাজেনা।
আবার ভয়ে ভয়ে
সেই প্রাজ্ঞ দেয়ালের কাছে নতজানু হই;
খেলে যায় গম্ভীর কণ্ঠের শব্দ তরঙ্গ:
‘দেয়ালেরও প্রাণ আছে;
তাই দেয়ালেরা কানে শুনতে পায়;
তোমার কান আছে; প্রাণ নেই,
তাই বৈকল্যে তোমার কান;
যার প্রাণ নেই, তার কান বিকলাঙ্গ।
কান খাড়া করে শ্রবণের জন্যে হতে পারো একান্ত অধির,
নিষ্প্রাণ বলেই তুমি শ্রবণ প্রতিবন্ধী;
আমৃত্যু বধির।’
--
@@dr.neyamatubhuiyan147 p
কবিতাটা খুব ভাল লাগল 1টা অন্যরকম বোধের জন্ম দেয়
আহা ❤💚
মন ভরে গেল
Sunil babur kobita ,apnar konthe khub valo lage
তুমি অসম্ভব সুন্দর আবৃত্তি করো। ভালোবাসি❤️
ডুব দিতে মুক্ত নিলাম সাগর থেকে। নান্দনিক 🙏🙏🙏 ভালোবাসা নিরন্তর 🥀🥀🥀🥀🥀🥀🥀🥀🥀🥀🥀🥀
ভালো থাকবেন সবসময় এই শুভ কামনা রইল আগামীর জন্য ❤️🔴🔴🔴🔴🔴
মনোমুগ্ধকর কণ্ঠস্বর
তুমি কোথায় আছো কেমন আছো বোলনাসোনাআমার ভালোথেকো সবসময় আমার বুকের উপর মাথারেখেঘুমাবো সোনাআমার আমি তোমাকে ছাড়া বাঁচতে পারব না সোনা বাবু ❤❤❤❤❤
অনবদ্য !!!
Awesome
Real good works
awesome!
Life is nothing but applied poetry
আহা! কি সুন্দর!
অপূর্ব
Khub sundor
*কবিতা প্রশান্তির ছোঁয়া দেয়,আদর দেয় বিলিয়ে*
*ভালোবাসা রইলো*
zbxlfyf pgyzpsuvoHhizlfyxk hdicozj
ihdkfidjfuzkgudofusjguslgixlvidofuxlfuxpfjcixkvkckcjxididixockxkxjxkfudickxisjclxifidudlclckdkckxm ldudogkclcjsifofjclgiduclgixpfkclficlckvkxphodkvodlciclckclficlfivlcixlvodjvldiblfjclxkvidpfivlgodlvuxkvidixkghzlgosiglclcuzlvudlnldkbpzjvlzmckxlvjzlvidofixlvjclxjcusjvidigiskcldugosyvofusldjxlsufidkcodlfixlckvkxnviduxodhdlshgislvisjfjclfkxkclclfodkvlgofofoxkvpduxpfuxofivizlbizjvuvlckfoxlfuxlficlfjhdjvkzjvlfuhclfidlzn lficlfufpsuckdjciskcidlhidlviqqqusieuaidisueofuaodoeorodidodofpfodofodudofotpfisisusudlfouiskflfiskfodisodldusofisifosidosodisodisodisofodidisofodidoudidkduzldodksidkskxjsidlsjskdkdjskdldjskdkdkdkdjdkdljdjslfksifidodisidueudogjsudpfjkdofkdidisifodusofisidksusodisidisidusidusiduairisuskdisiskdusodjsjzkdisifjsudodjzkxisidkdhaidkdjsusifksudisusjsudidusoduaidksuskxkxkxusidjzjzjzusidkdjzysifkxhzidkxjsudkdjzudlxjzjdkxjsidkxhskdusofkzjsiflxusofksjdkdkhdislufkdjskdkdldjsldkskfkduskdkdkdkfkflhdkdlfjzuxidysiduzofusugiJgoajhosjgoskgizkhu 5357 8342 537 537%435%57653734683765376537%467%758%768%768376537 537%438%46537652%537%*6537535346437%437%457357553765376837 537%437%455376537642768373468676537 56776456437636567 56765659567 45753465764676767676767673794376566457653435%53783457%750&7"('8$+&7*(_-"8$+_8"8_7*9_8_7*9_6"9$+_8_6_(&7#-&8*+_8*+&8*(&8")'8*+&8*)'8 lduxlduxlgoxjcizoficpducizjcoxlfuxlfixozuxoxiduzidhxizksuxidkduxoduxodjcuzkcjxodjcislgucoxkgixzjcizkcjcldkcidlfuxkfidifuxodjfizofjcidjxjlduxidudidushcisufjzifusifjfuskfyzidjfiskfusidudisjdjfkzkckdfjckdhxoxkfisksjfodkfucishdiskfuskdhxkdjfjwjzhxjzjfidkfudodusjzjzjsjsuausysusysidjsidzjfud8j9fkdhgkdjxjdjdidjdjxjdusfjfusgjdisjdusjdusidhodhdidjxkxjskxjxkxudkxudkdhdidhdodjxidjxjskdiskdjzkfidkfisuskdusjxidsusieitjxkfusjfidkfuskduskddhkdiduskfjidyidodjidjdkxhkcidudiduzkdysifjsjxidudkciduskfusjciduskfidudodjfidudisuxofudkfusjdkxldudkfidhkfisjfuskfisufkfusofjsudufisududofusifjdidudidudodyskfusifudodudofuskfusodhzodusofuodudidudofusodydlcofusofudiduxofjdidusy hi fusfjfixjdyzjfusiduzofyzifhxidududieydidudkfjxkxusifkxkfysjcodysjxkdysidjxuahzidyaixjzuzjxisydjxiduskfidudjxiduskcidysorusidixidhzkdusuduzidyayzidushzodusudusifjyzjfisudidydkfisysidkfushxodusididisjdisuxozjcodysidkfisududofkxusifisjfusufizjfishxofusidjzusitiduxoxkgzjduskfudjxishxidjxizjxkxidhzkxkdusyxizjxisyeogkxkzykcodysidusyskxodywofyIdisuxixjduduxkxjzudydieysudidudidkxkxjxyzjxhxkfjxkdhzkdhzirididkdidjfodkcixkxkxkxlxjxkxussgjxisyjysjduzjxjHappy birthdayjdoflsslfkzjydljfkzjzkdkfkxhskfldjskfksudksjdjskdkdjdusidup0p
nice vere nice
দারুণ, দারুণ
Asombhob sundor
অসাধরন কিছু সময় কাটল.
sunil Babu challe gelen upahar nira amader jonno rekhe galen
অপূর্ব সুন্দর।
Suniler nira,jibonanander bonolata sen r srijator ranjini keo har manai
Ki osomvab mohima Tomar voice e...
কবিতা সুনলে মন ভরে যায়
Great one
আহা, এ শুধু ব্রততী বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষেই সম্ভব।