সাহাবুলের কণ্ঠে লালনের বাণী | যদি তরিতে বাসনা থাকে ধরোরে মন সাধুর সঙ্গ | Baul Song|

Поделиться
HTML-код
  • Опубликовано: 12 сен 2024
  • শুনুন সাহাবুলের কণ্ঠে লালন সাঁইজির অসাধারণ বাণী 'যদি তরিতে বাসনা থাকে ধরোরে মন সাধুর সঙ্গ'। আধ্যাত্মিকতার পথে মনকে পরিচালিত করার জন্য এই বাউল গানটি আপনাকে একটি গভীর অভিজ্ঞতা দেবে।
    "যদি তরিতে বাসনা থাকে ধরোরে মন সাধুর সঙ্গ" একটি জনপ্রিয় বাউল গান, যা লালন সাঁইজি (লালন ফকির) এর একটি বিখ্যাত বাণী থেকে উদ্ভূত হয়েছে। লালন সাঁইজি বাউলদের মাঝে অন্যতম এবং তিনি তাঁর গান ও বাণীর মাধ্যমে সমাজের প্রচলিত ধারার বাইরে চিন্তা করতে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছেন।
    গানটির মূল বাণী বা নৈতিক শিক্ষা হল আধ্যাত্মিকতা ও অন্তর্দর্শনের প্রতি আহ্বান। "যদি তরিতে বাসনা থাকে ধরোরে মন সাধুর সঙ্গ" কথাটি বোঝায়, যদি কেউ জীবনের সঠিক পথ খুঁজে পেতে চায়, তবে তাকে একজন সত্যিকারের আধ্যাত্মিক গুরু বা সাধুর সঙ্গ গ্রহণ করতে হবে। সাধুর সঙ্গ মানে সেই ব্যক্তির সান্নিধ্যে থাকা, যার জীবনের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা মানুষকে সত্যের পথে পরিচালিত করতে সক্ষম। এই গানটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, আত্মার মুক্তি ও জীবনের গভীরতর অর্থ খুঁজে পেতে সাধনার প্রয়োজন, এবং এটি একজন জ্ঞানী গুরুর দিকনির্দেশনা ছাড়া সম্ভব নয়।
    গানটি মূলত মানুষের অন্তর্দর্শন ও আধ্যাত্মিকতার প্রতি একটি আহ্বান। "সাধুর সঙ্গ" বলতে এখানে বোঝানো হয়েছে সত্যিকারের আধ্যাত্মিক পথপ্রদর্শকের সাথে সম্পর্ক তৈরি করা, যার মাধ্যমে মন ও আত্মার উন্নতি সাধন সম্ভব।
    "যদি তরিতে বাসনা থাকে ধরোরে মন সাধুর সঙ্গ" গানটি লালন সাঁইজির রচিত বাণীগুলির মধ্যে একটি। লালন সাঁইজি ছিলেন একজন বিশিষ্ট বাউল সাধক, যিনি আধ্যাত্মিকতা, মানবতা, এবং সমাজের প্রচলিত ধর্মীয় গোঁড়ামির বিরুদ্ধে কথা বলতেন। তিনি উনিশ শতকের বাংলায়, বিশেষত আজকের বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ অঞ্চলে, বাউল গানের ধারা প্রতিষ্ঠা করেন।
    গানের পটভূমি:
    গানটি তৈরি হয়েছিল এমন একটি সময়ে যখন বাংলা অঞ্চলে সমাজে প্রচলিত ছিল জাতপাত, ধর্মীয় বিভেদ এবং সামাজিক অসাম্য। লালন ফকির তাঁর গানের মাধ্যমে মানুষকে এই সব কুসংস্কার ও বিভেদের ঊর্ধ্বে ওঠার আহ্বান জানাতেন। তাঁর বাণীগুলো মূলত মন ও আত্মার উন্নতি এবং আধ্যাত্মিকতার পথে চলার উপর জোর দেয়।
    গানের অর্থ:
    "যদি তরিতে বাসনা থাকে ধরোরে মন সাধুর সঙ্গ" এই বাণীটি এক গভীর আধ্যাত্মিক বার্তা বহন করে। এখানে 'তরিতে বাসনা' বলতে বোঝানো হয়েছে জীবনের সঠিক পথ খুঁজে পেতে চাওয়া, যা আত্মার মুক্তির দিকে পরিচালিত করবে। 'সাধুর সঙ্গ' বলতে বোঝানো হয়েছে একজন সত্যিকারের আধ্যাত্মিক গুরুর সাথে সংযুক্ত হওয়া, যার দিকনির্দেশনা ও শিক্ষা মানুষকে সত্যের পথে পরিচালিত করতে সাহায্য করবে।
    লালনের জীবন ও গান:
    লালন সাঁইজির জীবনে আধ্যাত্মিক অনুসন্ধান ছিল অন্যতম প্রধান বিষয়। তিনি কোনো নির্দিষ্ট ধর্ম বা সম্প্রদায়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিলেন না, বরং তিনি সব ধর্মের আধ্যাত্মিকতার মিশ্রণে তাঁর মতবাদ গঠন করেন। তাঁর গানগুলোতে তিনি মানুষের মধ্যে থাকা ভালোবাসা, মানবতা, এবং আত্মার গভীরতা সম্পর্কে কথা বলেছেন। তাঁর গানের ভেতর দিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন সমাজের প্রচলিত ধর্মীয় প্রথা ও রীতিনীতির বিরুদ্ধে এবং সব মানুষের মধ্যে ঐক্যের কথা বলেছেন।
    গানের সময়কাল:
    লালন সাঁইজি জীবদ্দশায় বিভিন্ন সময়ে তাঁর গানগুলো রচনা করেন। যদিও তাঁর রচনার নির্দিষ্ট তারিখ জানা যায় না, তবে অনুমান করা হয় যে উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে এই ধরনের গানগুলো তিনি রচনা করেন। সাহাবুলের মতো আধুনিক বাউল শিল্পীরা এই গানগুলো নতুন করে শ্রোতাদের সামনে তুলে ধরছেন। লালনের গানগুলো এখনো সমানভাবে প্রাসঙ্গিক এবং বাংলা ভাষাভাষী অঞ্চলে গভীর প্রভাব বিস্তার করে চলেছে।
    সাহাবুলের গাওয়া এই গানটি বাউল সঙ্গীতপ্রেমীদের মাঝে বেশ জনপ্রিয় এবং তাঁর কণ্ঠে আধ্যাত্মিকতার গভীর অনুভূতি ফুটে ওঠে।
    Credit:
    গান: যদি তরিতে বাসনা থাকে ধরোরে মন সাধুর সঙ্গ
    কণ্ঠশিল্পী: সাহাবুল (Sahabul)
    মূল বাণী: লালন সাঁইজি (Lalon Sai)
    #BaulSong #LalonSong #LalonGeeti #BanglaSong #FolkSong #BanglaFolkSong #বাউলগান #লালনগীতি #Sahabul #সাহাবুল #SadhuSang #BanglaBaul #LalonBani #Sahabul #LalonSong
    #BaulSong #BanglaMusic #SpiritualSong #BengaliFolk #BaulGaan #LalonBani

Комментарии • 2