বাংলাদেশের সেরা ১০ টি বিলাসবহুল ঐতিহাসিক জমিদার বাড়ি I Top 10 Luxury Zamindar Houses in Bangladesh

Поделиться
HTML-код
  • Опубликовано: 8 сен 2024
  • ভারত উপমহাদেশের বিভিন্ন স্থানে রয়েছে বিভিন্ন ঐতিহাসিক নিদর্শন। এই ঐতিহাসিক নিদর্শনের মধ্যে একটি হচ্ছে জমিদার বাড়ি। যা বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে রয়েছে। এর সাথে এক-একটা জমিদার বাড়ির আছে এক একরকম ইতিহাস।
    ভারত উপমহাদেশে মুঘলদের শাসনামল থেকে ব্রিটিশদের শাসনামল পর্যন্ত জমিদারি প্রথা চালু ছিল।
    তখনকার সময় ব্রিটিশদের কাছ থেকে যারা জমিদারী ক্রয় করে প্রজাদের উপর তাদের শাসনকার্য চালানোর জন্য একটি নির্ধারিত স্থানে প্রাসাদ তৈরি করে বিচারকার্য পরিচালনা করতেন এবং বসবাস করতেন। ঐ জমিদারদের তৈরি করা ঐ বাড়িকেই জমিদার বাড়ি বলা হতো বা হয়। তখনকার সময় জমিদাররা ছিলেন অনেক ধন-সম্পদের মালিক। তাই তারা তাদের বাড়িগুলো বানাতেন দালানের মধ্যে অপূর্ব কারুকাজ বিভিন্ন ধরনের সুন্দর সুন্দর নকশা করে। যা বিভিন্ন জমিদার বাড়ি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়। নিচে
    আমাদের দেশের জমিদার দের প্রাচীন বিলাস বহুল বাড়িগুলা নিয়ে এই ভিডিও।
    ১০ নম্বর রয়েছে: পাকুটিয়া জমিদার বাড়ি : জমিদার বাড়ি টি হচ্ছে টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর উপজেলায় অবস্থিত। ঊনবিংশ শতাব্দীর শুরুতে তিনি পাকুটিয়ায় জমিদারী শুরু করেন। প্রায় ১৫ একর এলাকা জুড়ে একই নকশার পর পর তিনটি প্যালেস বা অট্টালিকা নির্মাণ করা হয় I তখন জমিদার বাড়িটি তিন মহলা বা তিন তরফ নামে পরিচিত ছিল। টাংগাইল সদর থেকে ৩৫কিমি. দক্ষিণে নাগরপুর উপজেলার লৌহজং নদীর তীরে পাকুটিয়া জমিদার বাড়ী অবস্থিত।
    ৯ নম্বর রয়েছে : ; জমিদার বাড়ি টি হচ্ছে টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুরে অবস্থিত কয়েকটি ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে একটি। মহেরার জমিদাররা ছিলেন সাহা বংশের। ১৮৯০ সালে চার ভাই মিলে জমিদারী পত্তন করেন। মহেরা জমিদার বাড়িটি মূলত চারটি ভবনে বেষ্টিত। টাঙ্গাইল সদর থেকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার দূরে প্রায় আট একর জায়গা জুড়ে এই মহেড়া জমিদার বাড়ি বিস্তৃত।
    ৮ নম্বর রয়েছে : শশী লজ: শশীলজ জমিদার বাড়ি টি হচ্ছে ময়মনসিংহ শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত I মহারাজা শশীকান্ত আচার্যের বাড়ী, যা ময়মনসিংহের রাজবাড়ী নামেও সমধিক খ্যাত। পুরো বাড়িটি ৯ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত।
    ৭ নম্বর রয়েছে: তাজহাট জমিদার বাড়ী : তাজহাট রাজবাড়ি হচ্ছে রংপুর শহরের পুরাণ রংপুর তথা তাজহাটে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক প্রাসাদ যা এখন একটি জাদুঘর হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। রাজবাড়িটি রংপুর শহরের জিরো পয়েন্ট থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে ৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। রাজবাড়ী যেই দিক থেকে বাংলাদেশের অন্য সকল প্রাসাদের থেকে আলাদা তা হল এর সিঁড়িগুলো। সর্বমোট ৩১ টি সিড়ি আছে যার প্রতিটাই ইতালীয় ঘরানার মার্বেল পাথরে তৈরি।
    ৬ নম্বর রয়েছে : উত্তরা গণভবন: দিঘাপাতিয়া রাজবাড়ি বা উত্তরা গণভবন হচ্ছে আঠারো শতকে নির্মিত দিঘাপতিয়া মহারাজাদের বাসস্থান। এটি নাটোর শহরে অবস্থিত। নাটোর শহর থেকে প্রায় ২.৪ কিলোমিটার দূরে প্রাসাদটি অবস্থিত। ১৯৪৭ সালে দেশবিভাগের পর দিঘাপতিয়া রাজা দেশত্যাগ করে ভারতে চলে যান। বর্তমানে এটি উত্তরা গণভবন বা উত্তরাঞ্চলের গভর্মেন্ট হাউস নামে পরিচিত। ১৯৭২ সনের ৯ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দিঘাপতিয়া রাজবাড়ীকে উত্তরা গণভবন নামকরণ করেন।
    ৫ নম্বর রয়েছে : ভাওয়াল রাজার রাজবাড়ী: গাজীপুর জেলার জয়দেবপুরে অবস্থিত একটি জমিদার বাড়ি। প্রাসাদটি ঢাকা শহর থেকে উত্তরে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। বর্তমানে এই রাজবাড়ি নব্য সৃষ্ট গাজীপুর জেলার সদর দপ্তর হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। রাজবাড়িটি প্রায় ১৫ একর জমির উপরে তৈরি করা হয়েছিল।
    ৪ নম্বর রয়েছে: আহসান মঞ্জিল: আহসান মঞ্জিল পুরান ঢাকার ইসলামপুরের কুমারটুলী এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত। এটি পূর্বে ছিল ঢাকার নবাবদের আবাসিক প্রাসাদ ও জমিদারীর সদর কাচারি। বর্তমানে এটি জাদুঘর হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এর প্রতিষ্ঠাতা নওয়াব আবদুল গনি।তিনি তার পুত্র খাজা আহসানুল্লাহ-র নামানুসারে এর নামকরণ করেন।
    ৩ নম্বর রয়েছে : বালিয়াটি জমিদার বাড়ি: বালিয়াটি প্রাসাদ মানিকগঞ্জ জেলার সদর থেকে আনুমানিক আট কিলোমিটার পশ্চিমে এবং ঢাকা জেলা সদর থেকে পয়ত্রিশ কিলোমিটার দূরে সাটুরিয়া উপজেলার বালিয়াটি গ্রামে অবস্থিত। এটি বাংলাদেশের ১৯ শতকে নির্মিত অন্যতম প্রাসাদ। একে বালিয়াটি জমিদার বাড়ি বা বালিয়াটি প্রাসাদ বলেও ডাকা হয়। রেনেসা যুগে নির্মিত স্থাপত্যকৌশলের সাহায্যে নির্মিত অন্যতম নিদর্শন। এই বিশাল প্রাসাদটি ২০ একরের চেয়ে বেশি স্থান জুড়ে অবস্থিত।মোট সাতটি স্থাপনা নিয়ে এই জমিদার বাড়িটি অবস্থিত।
    ২ নম্বর রয়েছে : করটিয়া জমিদার বাড়ী: টাঙ্গাইল শহর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে পুটিয়ার তীর ঘেঁষে আতিয়ারচাঁদ খ্যাত জমিদার ওয়াজেদ আলী খান পন্নীর করটিয়া জমিদার বাড়ি অবস্থিত । প্রাকৃতিক এবং নিরিবিলি পরিবেশের এই জমিদার বাড়ীটি প্রায় ১ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ০.৫ কিলোমিটার প্রস্থ বিশিষ্ট প্রাচীরঘেরা যেখানে রয়েছে লোহার ঘর, রোকেয়া মহল, রাণীর পুকুরঘাট, ছোট তরফ দাউদ মহল এবং বাড়িসংলগ্ন মোগল স্থাপত্যের আদলে গড়া মসজিদ একটি ঐতিহাসিক স্থাপত্য।
    ১ নম্বর রয়েছে : রোজ গার্ডেন প্যালেস: রোজ গার্ডেন প্রাসাদ যা সংক্ষেপে রোজ গার্ডেন নামে সমধিক পরিচিত, বিংশ শতাব্দীর বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক প্রাচীন ভবন। এটি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহরের টিকাটুলি এলাকায় অবস্থিত একটি অন্যতম স্থাবর ঐতিহ্য। এ প্রাচীন ভবনটি বাংলাদেশের ঐতিহাসিক পুরাকীর্তি হিসাবে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক সংরক্ষিত। বাংলাদেশের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ ১৯৮৯ সালে রোজ গার্ডেনকে সংরক্ষিত ভবন ঘোষণা করে। দেশী-বিদেশী পর্যটকদের নিকট এটি ঢাকার অন্যতম একটি দর্শনীয় স্থান। ২২ বিঘা জমির উপর স্থাপিত হয়েছিল রোজ গার্ডেন প্যালেস।
    #জমিদারবাড়ি#ZamindarBari

Комментарии • 6