How to go kachua loknath temple | কচুয়া লোকনাথ মন্দির 2024 | কচুয়া ধাম।
HTML-код
- Опубликовано: 20 окт 2024
- kachua dham loknath mandir 2024 | কচুয়া লোকনাথ মন্দির 2024 | কচুয়া ধাম | @beingskylark
অট্টালিকা আর দুর্গের শহর ধান্যকুড়িয়া, Mansions & Castle Town in Bengal
April 3 , 2024
Munna Das
সুন্দর প্রাসাদের গ্রাম ধান্যকুড়িয়া। উত্তর ২৪ পরগনার ধান্যকুড়িয়া এক বর্ধিষ্ণু গ্রাম। স্টেশনের পূর্ব পাড়ের নাম কাঁকড়া আর পশ্চিম পাড়ের নাম মির্জানগর, দুই মিলে স্টেশনের নাম কাঁকড়া-মির্জানগর।
ইংরেজরা তখন ব্যবসার কারনে বাংলার ব্যবসায়ী পরিবার গুলির সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতেন। এই পরিবার গুলিও ইংরেজদের প্রতি তাদের আনুগত্যতা বজায় রাখতেন এবং তা প্রকাশও করতেন। তারপর সময়ের পটপরিবর্তনে অনেক কিছু বদলে গেলেও স্মৃতিচিহ্ন গুলো থেকে যায়। বাংলার সেরকমই এক ইন্দো ইউরোপিয়ান স্থাপত্যের নিদর্শন দেখতে পাওয়া যায় ধান্যকুড়িয়াতে। কিছু ঐতিহাসিকদের মতে বহু যুগ আগে ধান্যকুড়িয়া সুন্দরবনের অংশ ছিল। জঙ্গলে ঢাকা এই এলাকা পরে একটা ছোটো শহরের রূপ নেয়।
৩৪০ বছর আগে ১০৮০ বঙ্গাব্দ নদীয়ার উখরা পরগনা থেকে জগন্নাথ দাস এখানে এসে জঙ্গল পরিষ্কার করে পরিবার নিয়ে থাকতে শুরু করেন। তারপর আস্তে আস্তে আরো ব্যবসায়ী ধান্যকুড়িয়া গ্রামে আসেন। তাঁদের মধ্যে গাইন, শাহু, বল্লভ পরিবার উল্লেখযোগ্য। ইউরোপীয়দের সাথে সুসম্পর্কের জন্য তাঁদের ব্যবসার শ্রীবৃদ্ধি ঘটে সেইসাথে পরবর্তীকালে তাঁদের তৈরি প্রাসাদে স্বাভাবিকভাবেই ইউরোপিয়ান শৈলী দেখা যায়। এই বনেদি জমিদার পরিবারগুলি একসাথেই গুড়, পাটের প্রভৃতির ব্যবসা করত এমনকি এখনও সেই ব্যবসা চলে। শুধু শৌখিন প্রাসাদ নয় ওই অঞ্চলে তাঁরা স্কুল, হাসপাতাল, রাস্তাও তৈরি করেন। ধান্যকুড়িয়া হাসপাতাল গাইন পরিবারের তৈরি। ধান্যকুড়িয়া গ্রামের উন্নতিতে এই সব পরিবারগুলির খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। ওখানে গিয়ে জানতে পারলাম রাজ্য সরকারের হেরিটেজ কমিশনের দ্বারা স্বীকৃত তিনটি স্থাপত্যে গাইন বাগানবাড়ি, ধান্যকুড়িয়া হাই স্কুল এবং গ্রামীণ হাসপাতাল হেরিটেজ তকমা পেতে চলেছে।
গাইন রাজবাড়ি -
বিশাল গেট দিয়ে প্রাসাদ এর সামনে দাঁড়াতেই মনে হলো বহুবছর পিছিয়ে গিয়ে কোনো একটা সময় চলে গেছি। বাড়ির মূল অংশে প্রবেশের আগে মাঠের একপাশে একটা নহবতখানা। কোনাকুনি অপূর্ব দেখতে রাসমঞ্চ ও প্রায় ১৫০ বছরের পুরনো কুলদেবতা শ্যামসুন্দর জিউ এর মন্দির। গাইন রাজবাড়ীতে প্রায় ১৮০ বছর ধরে দুর্গাপুজো চলছে। এই পুজো শুরু করেছিলেন মূলত গুড়, পাট ব্যবসায়ী ঈশ্বর শ্রী গোবিন্দ চন্দ্র গাইন। গোবিন্দ গাইন এর পুত্র মহেন্দ্রনাথ গাইন যিনি "Jute Lord" নামে পরিচিত ছিলেন, পরবর্তীকালে ম্যানসন কে আরো প্রসারিত করেন। মহেন্দ্রনাথ Bengal Chamber of Commerce এর সদস্য ছিলেন। গাইনদের ব্যবসার এই প্রতিপত্তির জন্যই এই প্রাসাদ গাইন রাজবাড়ী নামে খ্যাত।
গাইন বাগানবাড়ি -
উনিশ শতকের মাঝামাঝি মহেন্দ্রনাথ গাইন এই অসাধারণ গাইন বাগানবাড়ি তৈরি করেছিলেন যেটা মধ্যযুগীয় ইউরোপিয়ান স্থাপত্যের ক্যাসলের মতো দেখতে। বর্তমানে এই বাগানবাড়িতে প্রবেশের অনুমতি নেই। ৩০ একর জুড়ে গাইন দের ক্যাসলটা দেখে মনে হলো রূপকথার কোনো গল্পের সামনে দাঁড়িয়ে আছি। ক্যাসল এর সামনে একটা ছোটো জলাশয় আছে। সেই জলে বাগানবাড়ির প্রতিচ্ছবি বাড়িটার কত ইতিহাস মনে করিয়ে দেয়।
Cindrella castle of Bengal
ভগ্ন, জীর্ণ, প্রায় জঙ্গলে ঢাকা গাইনদের বাগানবাড়িটা কিন্তু আজও তার আভিজাত্যের, শৌর্যের কথা বলে। গ্রীষ্মকালে গরম থেকে রেহাই পেতে ব্রিটিশ অফিসাররা এখানে অবসর কাটাতেন। মহেন্দ্রনাথ ব্রিটিশদের খুশি করতে এই গাইন উদ্যানে বিভিন্ন নর্তকীদের এনে জলসা বসাতেন। ধান্যকুড়িয়া গাইন গার্ডেনের মালিকানা ২০০৮ সাল পর্যন্ত গাইন পরিবারেরই ছিল ।
গাইন বাগানবাড়ি -
আগে এখানে একটি সরকারি গার্লস হোম ও স্কুল চলত। এই অসাধারণ ইন্দো ইউরোপিয়ান মিশ্র আঙ্গিকের জন্য যা বাংলা তথা ভারতের আর কোথাও বিশেষ দেখা যায় না, গাইন ক্যাসল হেরিটেজ তকমা পেতে চলেছে। বর্তমানে এই বাগানবাড়িতে প্রবেশের অনুমতি নেই।
সাউ ম্যানসন -
প্রায় দুশো বছর আগে পতিত চন্দ্র সাউ এই দোতলা বাড়িটা তৈরি করেছিলেন। গাইনদের মত সাউ দেরও একটা সুন্দর বাগান আছে। এই বাড়িতে কেউ থাকেনা।
বল্লভ ম্যানসন -
দূর থেকেই বল্লভ বাড়ির মশাল ধরা পুতুল টা দেখতে পেয়েছিলাম। প্রাসাদের ওপরে তিনটে ইওরোপীয় ধাঁচের পুতুল আর দুই কোনায় দুটো পুতুল। এই পুতুলগুলোর জন্যই বল্লভ বাড়িকে "পুতুল বাড়ি" নামে সবাই চেনে।
আজ থেকে প্রায় ১৫০ বছর আগে শ্যামাচরণ বল্লভ পাট ব্যবসায় লাভবান হয়ে এই অপূর্ব ম্যানসনটি তৈরি করেছিলেন। প্রতিবছর পুজোর সময় এই বাড়ির সদস্যরা বাইরে থেকে এখানে আসেন আর পুজোর সময়ই ভালো সুযোগ এই প্রাসাদ গুলো ভালোভাবে দেখার।
১৮৮৫ তে উপেন্দ্রনাথ সাউ, শ্যামাচরণ বল্লভ, মহেন্দ্রনাথ গাইন ধান্যকুড়িয়া হাইয়ার সেকেন্ডারি স্কুল তৈরি করেছিলেন। শ্যামচরণ বল্লভ খুব পরোপকারী মানুষ ছিলেন। উত্তর ২৪ পরগনায় একবার দুর্ভিক্ষের সময় শ্যামচরণ বল্লভ বাড়িতে অন্নসত্র এর ব্যবস্থা করেছিলেন। বল্লভ বাড়ির বাইরেও একটা মিনার দেখা যায়। তাতে নাম দিয়ে লেখাও আছে। যেটুকু পড়া গেলো তাতে সেটা নহবতখানা বলেই মনে হলো। সেখানে লেখা আছে গোপাল চন্দ্র আড়বালিয়াতে সন ১৩০১ এ প্রস্তুত। আর একদিকে খোদাই করে লেখা আছে, শ্যামাচরণ বল্লভ এর নহবত খানা কার্য্য শেষ হলো।
বল্লভদের নহবতখানা
বল্লভ বাড়ি থেকে বেরিয়ে দূরে কিছুটা গেলাম। ওখানে নবরত্ন শৈলীর একটা রাসমঞ্চ আছে। রাসের সময় রাধা কৃষ্ণ কে এনে পুজো করা হয়। মেলা বসে। ধান্যকুড়িয়াতে যে বৈষ্ণব ধর্মের ছোঁয়া ছিল তা এই রাসমঞ্চই প্রমাণ করে।
Your queries,👇👇👇👇
How to go kachua loknath temple
loknath mandir kachua
loknath baba ka mandir
Kachua dham
Kacha dham yatra
ধান্যকুড়িয়া জমিদার বাড়ি
ধান্যকুড়িয়া রাজবাড়ী
ধান্যকুড়িয়া রাজার বাড়ি
#loknathmandirkachua
#kachua
#loknathbaba
#kachuadham
#dhanakuria
#adventure
#explore
#travel
#bengalivlog
#travelvlog