স্বর্ণ নির্মিত বাড়ি
HTML-код
- Опубликовано: 22 ноя 2024
- আমরা দুনইয়া সাজাতে কত পরিশ্রম করি, অথচ জান্নাতের বাড়ি তো কত সহজেই বানানো যায়। শুধু ইচ্ছা আর জ্ঞানের অভাবে আমরা নিজেদের বঞ্চিত করছি। আজ জান্নাতে বাড়ি বানানোর ১০টি উপায় বলে দেই।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন,
জান্নাতে ধনুক পরিমাণ স্থান (দুনইয়ার) যেসব বস্তুর উপর সূর্য উদিত কিংবা অস্তমিত হচ্ছে, সেসব বস্তুর চেয়েও উত্তম।
[সহীহুল বুখারী ২৭৯৩,৩২৫৩,৪৮৮১, মুসলিম ১৮৮২,২৮২৬]
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন,
যে ব্যক্তি সূরাহ ইখলাস দশবার পড়বে, আল্লাহ তার জন্যে জান্নাতে একটি বাড়ি নির্মাণ করে দিবেন।
[আল জামি আস সাগীর, ১ম খণ্ড, ১১৪২ পৃ.]
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন,
যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে মাসজিদ নির্মাণ করে, যদিওবা তা চড়ুই পাখির বাসার মতো হয় বা আরো ছোট হয়, তবুও আল্লাহ তার জন্যে জান্নাতে একটি বাড়ি বানিয়ে দিবেন।
[ইবন মাজাহ, ৭৩৮। আল জামি আস সাগীর, ১ম খণ্ড, ১১০৮ পৃ.]
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন,
এমন কোনও মুসলিম নেই, যে প্রতিদিন ফরয নামাজ ছাড়াও বারো রাক’আত অতিরিক্ত সুন্নাত (সুন্নাতে মুয়াক্কাদা) সালাত পড়ে আর আল্লাহ তার জন্যে জান্নাতে বাড়ি নির্মাণ করে দেন না।
[সহীহ আত তারগ্বীব, ১ম খণ্ড, ১৪০ পৃ.]
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন,
যে ব্যক্তি (জামা’তে সালাতের) খালি জায়গা ভরাট করবে, আল্লাহ তার মর্যাদা বৃদ্ধি করে দিবেন এবং জান্নাতে তার জন্যে একটি গৃহ নির্মাণ করে দিবেন।
[সহীহ আত তারগ্বীব, ১ম খণ্ড, ৩৩৬ পৃ.]
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন,
আমি সেই ব্যক্তির জন্য জান্নাতের প্রান্তে একটি বাড়ির প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, যে সঠিক যুক্তি থাকা সত্ত্বেও বিবাদে লিপ্ত হয় না। জান্নাতের মধ্যদেশে একটি বাড়ি তার জন্য, যে কখনো ঠাট্টা করেও মিথ্যা বলে না। আর জান্নাতের ঊর্ধ্বাংশে একটি বাড়ি তার জন্য, যে নিজের চরিত্রকে সুন্দর করে। [আবু দাউদ আস-সুনান ৪/২৫৩; হাদীস নং ৪৮০০]
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন,
যে ব্যক্তিই বাজারে প্রবেশ করে (বাজারে প্রবেশের দু’আটি) পড়বে, আল্লাহ তা’আলা ঐ ব্যক্তির আমলনামায় ১০ লাখ নেকি লিখে দেন এবং দশ লাখ গুনাহ মাফ করে দেন। আর ঐ ব্যক্তির জন্য জান্নাতে একটি প্রাসাদ তৈরি করেন।
[সুনানে নাসাঈ হাদীস নং ২২৩৫, তিরমিযি ৩৪২৮]
আবু মুসা আল-আশআরি (রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন,
যখন কারও সন্তান মারা যায়, তখন আল্লাহ তা’আলা ফেরেশতাদেরকে ডেকে বলেন, “তোমরা আমার বান্দার সন্তানের জান কবয করে ফেলেছো?” তাঁরা বলেন, “হ্যাঁ।” আল্লাহ তা’আলা বলেন, “তোমরা তার কলিজার টুকরার জান কবয করে ফেলেছো?” তাঁরা বলেন, “হ্যাঁ।” আল্লাহ তা’আলা বলেন, “আমার বান্দা কী বলেছে?” তাঁরা বলেন, “আপনার বান্দা এই বিপদেও ধৈর্য ধারণ করে আপনার প্রশংসা করেছে এবং ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রজি’উন পড়েছে।” তখন আল্লাহ তা’আলা বলেন, “তোমরা আমার এই বান্দার জন্য জান্নাতে একটি গৃহ নির্মাণ কর এবং তার নামকরণ কর ‘বাইতুল হামদ’ অর্থাৎ প্রশংসার গৃহ।” [জামে’ আত-তিরমিযী, রিয়াদুস সালেহীন হাদীস ১৩৯৫]
আমর বিন মালিক আল জানবি থেকে বর্ণিত যে তিনি ফাদালাহ বিন উবাইদ থেকে শুনেছেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (ﷺ) বলতে শুনেছি যে, তিনি বলেন, আমি হচ্ছি একজন যা’ঈম। আর যা’ঈম হচ্ছে জামিনদার তার জন্যে, যে আমার উপর ঈমান আনবে এবং ইসলাম কবুল করবে এবং হিজরত করবে; তার জন্যে জান্নাতের প্রান্তদেশে একটি বাড়ি আর জান্নাতের মধ্যদেশে একটি বাড়ি। আর আমি হচ্ছি জামিনদার তার জন্যে, যে আমার উপর ঈমান আনবে এবং ইসলাম কবুল করবে ও আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ লড়বে; তার জন্যে জান্নাতের প্রান্তদেশে একটি বাড়ি, জান্নাতের মধ্যদেশে একটি বাড়ি এবং জান্নাতের ঊর্ধ্বাংশে একটি বাড়ি।…
[সুনানে নাসাঈ, ৩১৩৩]
আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে জান্নাতের বাড়ির মালিক হওয়ার তৌফিক দান করুক
আমীন ইয়া রাব্বাল আলামীন।
Subhanallha
Subhanallah
জাঝাকাল্লাহু খাইরান।