@@ParamanandaMadhabam (হিন্দুধর্মে উপাসনার নিষেধাজ্ঞা: আমি প্রসঙ্গ সহ প্রমাণ দিয়েছি: 1. ন স্বদ প্রতিমা অস্তি (ঋগ্বেদ 32 অধ্যায় 3 অনুচ্ছেদ 3) অর্থাৎ ঈশ্বরের কোনো মূর্তি নেই। অধ্যায়।, অনুচ্ছেদ 20)। রেফারেন্স সহ। 3. হিন্দুরা অনেক দেব-দেবীর পূজা করে কিন্তু হিন্দু ধর্মগ্রন্থে হিন্দুদের শুধুমাত্র একটি দেবতার পূজা করতে বলা হয়েছে। তাঁর মতো কেউ নেই, তাঁর মতো কেউ নেই, তাঁর মতো কেউ নেই, তাঁর মতো কেউ নেই। হিন্দু ধর্মে মূর্তি পূজা নিষিদ্ধ। "ভগবদ্গীতা - অধ্যায় 7 স্তব 20 - [যাদের বুদ্ধি জাগতিক কামনা দ্বারা বিনষ্ট হয়েছে কেবল তারাই দেবতার পূজা করে।" দ্বারা. , "1 1
🙏 মহারাজ , আপনাকে আমার জিজ্ঞাসা এটা কতটা ঠিক কি ভুল আমি জানি না জানতে চাই --- বিভিন্ন ঋষি গোত্র এর মধ্যে আলম্ময়ান , এই ঋষি যোজুর বেদের ঋষি , তা কি ঠিক ? ওনার সম্পর্কে জানার ইচ্ছা প্রবল -- যেমন ঋষি গৌতম , ভরদ্বাজ , বৎস, ............ এদের সম্পর্কে শুনেছি , এবং তপভূমী নর্মদা তে জানতে পেরেছি , আমাকে একটু জানালে উপকৃত হব
হরে কৃষ্ণ। আলম্মন বা আলম্বান ঋষি সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানা যায় না। শুধু এইটুকুই জানা যায় যে উনি গোত্রপতি ছিলেন এবং জীবনের শেষের দিকে নিজের ব্রাহ্মণত্ব ত্যাগ করে নিজেকে ত্যাগী ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ের ভুক্ত করেছিলেন । ওনার থেকেই আজকের যত বৈশ্য গোত্র আছে তার সৃষ্টি হয়েছে। ওনার সন্তান-সন্ততি এবং ওনার দীক্ষিত শিষ্যরা সকলেই তাই বৈশ্য সম্প্রদায় ভুক্ত হয়েছে। প্রথমদিকে পাঞ্জাব হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশের উত্তর ভাগে ওনারা থাকলেও পরবর্তীকালে এনারা বাংলায় চলে আসেন। তাই এদের পূর্বপুরুষদের এখনো বাংলার বাইরে ওইসব অঞ্চলেও পাওয়া যায়। উল্লেখযোগ্য পদবী যেমন দাস, শর্মা, আচার্য, আচার্যি, রায়, গুপ্ত, দাশগুপ্ত, সেনগুপ্ত, সরকার, ত্যাগী, শঙ্কর, ত্রিবেদী এই ত্যাগী ব্রাহ্মণ বৈশ্য গোত্রভুক্ত। আপনি যদি এর থেকে বেশি কিছু পরে অন্য কোন জায়গা থেকে জানতে পারেন তো আমাকে অবশ্যই জানাবেন। এই বিষয়ে আরো কিছু জানতে পারলে আমিও উপকৃত হব । হরে কৃষ্ণ।
@@ParamanandaMadhabam 🙏🙏🙏🙏🌹🌹🌹🙏🙏🙏🙏 প্রণাম কিছুটা হলেও আভাস পেলাম দীর্ঘ দিনের জিজ্ঞাসা কারণ এই গোত্র ভুক্ত হওয়ার জন্য। ঋষি পিতাদের ঋণ নিয়ে হিন্দুর ঘরে জন্মানো সন্তান দের ঋষি সম্পর্কে জ্ঞান থাকা অত্যান্ত জরুরি , তাই আমার ঋষি পিতার সম্পর্কে কিছু টা হলেও জানলাম , কিন্তু গোত্র প্রবর এ আলাম্যান , সকটায়ন ঋষি র সম্পর্কে বলা হয়েছে এনার যজুর্বেদ এর ঋষি ভুক্ত তাই
মধ্যযুগে বৈদিক নিয়মের সঙ্গে অনেক কুসংস্কার ও অন্ধবিশ্বাস ঢুকে যাওয়াতে সাধারণ মানুষের জীবন কঠোর ও যন্ত্রণাদায়ক হয়ে পড়েছিল। ধর্মাচরণ হয়ে পড়েছিল বেদনাদায়ক। সেই সময়ে ভগবান বুদ্ধের আবির্ভাবে মানুষ নিরাকার ব্রহ্মের দিকে ঝুঁকে যায়। আদি গুরু শংকরাচার্য বেদে নিরাকার ব্রহ্মেরও উপস্থিতির কথা প্রমাণিত করে মানুষদের আবার বৌদ্ধ ধর্ম থেকে সনাতন বৈদিক ধর্মে আনার প্রচেষ্টা করেন। এরপর গুপ্ত যুগে যখন বেদ আবার নতুন করে পুনর্লিখিত হয় সেই সময় বৌদ্ধ ধর্মের অনেক কিছু বেদের মধ্যে ঢুকে পড়ে। পন্ডিতগন অন্তত সেরকমই মনে করেন। গৌতম বুদ্ধকে ভগবানের অবতার রূপে মেনে নেওয়াটাও সেই যুগ থেকেই শুরু হয়। এইভাবে ধীরে ধীরে বৌদ্ধ ধর্ম এবং জৈন ধর্মের অনেক নিয়ম বৈদিক নিয়মের মধ্যে মিশে যায় এবং বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মের প্রভাব সমাজ থেকে ধীরে ধীরে কমে গিয়ে মানুষ আবার সনাতন হিন্দু ধর্মে ফিরে আসে। হরে কৃষ্ণ।
হরে কৃষ্ণ, প্রত্যেকটি শিশু শুদ্রাবস্থায় ভূমিষ্ঠ হয় অর্থাৎ জ্ঞানহীন অবস্থায় তার জন্ম হয়। সেই হেতু তৎকালীন পৌরাণিক সমাজে ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় এবং বৈশ্যকূলে জাত শিশুর মায়ের সূতিকা উঠে যাওয়ার পর শিশুর জন্ম সংস্কার করে তাকে পরিবারে গ্রহণ করার রীতি ছিল। ভূমিষ্ঠ শিশুর জন্ম সংস্কার একটি বেদক্ত যাজ্ঞীক রীতি যা আজকাল উঠে গিয়েছে। পবিত্র যজ্ঞ অগ্নির সামনে স্ব স্ব বেদ পাঠের মাধ্যমে ব্রাহ্মণ কূলে জাত শিশুর ব্রাহ্মণ কূলে গৃহীত হতো এবং ব্রাহ্মণ বলে পরিচিতি লাভ করত, অনুরূপভাবে ক্ষত্রিয় এবং বৈশ্য কূলে জাত শিশুর ক্ষত্রিয় বৈশ্য কুলে গৃহীত হত। শূদ্রকূলে জাত শিশুর কোন জাত সংস্কার বা জন্ম সংস্কার করা হতো না। ব্রাহ্মণ কূলে জাত শিশুর সাত থেকে ১১ বছরের মধ্যে উপনয়ন সংস্কারের মাধ্যমে দ্বিজত্ব প্রাপ্তি ঘটতো এবং সে বেদ পাঠের অনুমতি লাভ করত। যে যতগুলো বেদ পাঠ করতে পারত সেই হিসেবে তারা বেদী, দ্বিবেদী, ত্রিবেদী এবং চতুর্বেদী এই আখ্যা পেত। বেদ পাঠের মাধ্যমে ব্রহ্ম সম্পর্কে একটি ধারণা পাওয়া যায়, ব্রহ্ম জ্ঞান লাভ করতে হলে বেদ আত্মস্থ করার সঙ্গে সঙ্গে সাধ্যায় এবং তপস্যারও প্রয়োজন পড়ে। যে ব্রাহ্মণ বেদের জ্ঞান অবলম্বন করে সাধ্যায় এবং তপস্যার দ্বারা ব্রক্ষ্ম জ্ঞান লাভ করতে সমর্থ হতেন তিনি ব্রক্ষ্মর্ষি নামে পরিচিত হতেন। সুতরাং ব্রাহ্মণ মানেই তিনি ব্রহ্ম জ্ঞানী নন, হ্যাঁ তবে তিনি বহ্ম জ্ঞান পাবার অধিকারী। 'ব্রক্ষ্মে মন যার তিনিই ব্রাহ্মণ' সেহেতু ব্রাহ্মণ সর্বদা বেদ অধ্যয়ন, জাগ-যজ্ঞ, পূজা- অর্চনা, দান-ধ্যান ইত্যাদি নৈশ্ঠিক কার্য; ক্ষমা, দয়া, দানশীলতা, সত্যবাদিতা, জ্ঞান অর্জন এবং অপরকে জ্ঞান বিতরণ ইত্যাদি এই সকল স্বভাব কার্যেই নিজেকে ব্রতী রাখবেন। শাস্ত্রে ব্রাহ্মণের সংজ্ঞা এই রূপেই নির্দিষ্ট করা আছে। ভালো থাকবেন। জয় নিতাই গৌর রাধেশ্যাম হরে কৃষ্ণ হরে রাম।
পন্ডিত তারানাথ তর্করত্ন বাচস্পতিও বিদ্যাসাগর উপাধি পেয়েছিলেন। এবং এরকম আরো অনেকেই আছেন, কিন্তু এক কথায় বিদ্যাসাগর বলতে আমরা পন্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়কেই বুঝি।
❤❤❤রাধেেরাধে❤❤❤
Excellent. Pronam
খুবই ভল লাগছে এগিয়ে যান🙏🕉🌷
হরে কৃষ্ণ।
অসাধারণ বিশ্লেষণ...অনেক কিছু জানতে পারলাম । শ্রদ্ধা🙏
ধন্যবাদ। অন্যান্য বিষয় ভিত্তিক আলোচনা গুলোও শুনবেন।
জয় রাধে খুব সুন্দর
জয় শ্রী রাধা
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে 🙏🏻🙏🏻
হরে কৃষ্ণ 🙏🙏
Very informative and interesting
Hare Krishna
Very good explanation
Thanks
@@ParamanandaMadhabam (হিন্দুধর্মে উপাসনার নিষেধাজ্ঞা: আমি প্রসঙ্গ সহ প্রমাণ দিয়েছি: 1. ন স্বদ প্রতিমা অস্তি (ঋগ্বেদ 32 অধ্যায় 3 অনুচ্ছেদ 3) অর্থাৎ ঈশ্বরের কোনো মূর্তি নেই। অধ্যায়।, অনুচ্ছেদ 20)। রেফারেন্স সহ। 3. হিন্দুরা অনেক দেব-দেবীর পূজা করে কিন্তু হিন্দু ধর্মগ্রন্থে হিন্দুদের শুধুমাত্র একটি দেবতার পূজা করতে বলা হয়েছে। তাঁর মতো কেউ নেই, তাঁর মতো কেউ নেই, তাঁর মতো কেউ নেই, তাঁর মতো কেউ নেই। হিন্দু ধর্মে মূর্তি পূজা নিষিদ্ধ। "ভগবদ্গীতা - অধ্যায় 7 স্তব 20 - [যাদের বুদ্ধি জাগতিক কামনা দ্বারা বিনষ্ট হয়েছে কেবল তারাই দেবতার পূজা করে।" দ্বারা. , "1 1
Thanks
Hare Krishna
🙏 মহারাজ , আপনাকে আমার জিজ্ঞাসা এটা কতটা ঠিক কি ভুল আমি জানি না জানতে চাই --- বিভিন্ন ঋষি গোত্র এর মধ্যে আলম্ময়ান , এই ঋষি যোজুর বেদের ঋষি , তা কি ঠিক ? ওনার সম্পর্কে জানার ইচ্ছা প্রবল -- যেমন ঋষি গৌতম , ভরদ্বাজ , বৎস, ............ এদের সম্পর্কে শুনেছি , এবং তপভূমী নর্মদা তে জানতে পেরেছি , আমাকে একটু জানালে উপকৃত হব
হরে কৃষ্ণ।
আলম্মন বা আলম্বান ঋষি সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানা যায় না। শুধু এইটুকুই জানা যায় যে উনি গোত্রপতি ছিলেন এবং
জীবনের শেষের দিকে নিজের ব্রাহ্মণত্ব ত্যাগ করে নিজেকে ত্যাগী ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ের ভুক্ত করেছিলেন । ওনার থেকেই আজকের যত বৈশ্য গোত্র আছে তার সৃষ্টি হয়েছে। ওনার সন্তান-সন্ততি এবং ওনার দীক্ষিত শিষ্যরা সকলেই তাই বৈশ্য সম্প্রদায় ভুক্ত হয়েছে। প্রথমদিকে পাঞ্জাব হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশের উত্তর ভাগে ওনারা থাকলেও পরবর্তীকালে এনারা বাংলায় চলে আসেন। তাই এদের পূর্বপুরুষদের এখনো বাংলার বাইরে ওইসব অঞ্চলেও পাওয়া যায়। উল্লেখযোগ্য পদবী যেমন দাস, শর্মা, আচার্য, আচার্যি, রায়, গুপ্ত, দাশগুপ্ত, সেনগুপ্ত, সরকার, ত্যাগী, শঙ্কর, ত্রিবেদী এই ত্যাগী ব্রাহ্মণ বৈশ্য গোত্রভুক্ত।
আপনি যদি এর থেকে বেশি কিছু পরে অন্য কোন জায়গা থেকে জানতে পারেন তো আমাকে অবশ্যই জানাবেন। এই বিষয়ে আরো কিছু জানতে পারলে আমিও উপকৃত হব ।
হরে কৃষ্ণ।
@@ParamanandaMadhabam 🙏🙏🙏🙏🌹🌹🌹🙏🙏🙏🙏 প্রণাম কিছুটা হলেও আভাস পেলাম দীর্ঘ দিনের জিজ্ঞাসা কারণ এই গোত্র ভুক্ত হওয়ার জন্য। ঋষি পিতাদের ঋণ নিয়ে হিন্দুর ঘরে জন্মানো সন্তান দের ঋষি সম্পর্কে জ্ঞান থাকা অত্যান্ত জরুরি , তাই আমার ঋষি পিতার সম্পর্কে কিছু টা হলেও জানলাম , কিন্তু গোত্র প্রবর এ আলাম্যান , সকটায়ন ঋষি র সম্পর্কে বলা হয়েছে এনার যজুর্বেদ এর ঋষি ভুক্ত তাই
@@lsuccess254 ভালো থাকবেন। হরে কৃষ্ণ
@@ParamanandaMadhabam আমাদের পদবী প্রামানিক তাও আমরা এই গোত্রের অন্তর্গত, নাকি আমরা ভুল গোত্র মেনে আসছিলাম এতদিন ধরে ?
🙏 খুব ভালো লাগলো। আপনার কাছে একটা অনুরোধ করছি দয়া করে পূজা করার সময়ে কারা কোন বেদ অনুযায়ী পূজা করবে? ,একটু বুঝিয়ে বলবেন প্লিজ।
ধন্যবাদ। হরে কৃষ্ণ
সংহিতার সব শ্লোক কি বেদে পাওয়া যাবে
রাধে রাধে
আমি 4টি বেদ এর বই কিনতে চাই , কোন বই ভালো হবে একটু দয়া করে বলুন 🙏 যদি আপনার সাথে কথা বলতে পারতাম তবে খুব ভালো হতো 'বেদ' এর বই সম্পর্কে।
বৌদ্ধ নামটা বারবার আসছে ! গৌতম বুদ্ধের সঙ্গে কি এর কোন সম্পর্ক আছে !?! 🙏🌷
মধ্যযুগে বৈদিক নিয়মের সঙ্গে অনেক কুসংস্কার ও অন্ধবিশ্বাস ঢুকে যাওয়াতে সাধারণ মানুষের জীবন কঠোর ও যন্ত্রণাদায়ক হয়ে পড়েছিল। ধর্মাচরণ হয়ে পড়েছিল বেদনাদায়ক। সেই সময়ে ভগবান বুদ্ধের আবির্ভাবে মানুষ নিরাকার ব্রহ্মের দিকে ঝুঁকে যায়। আদি গুরু শংকরাচার্য বেদে নিরাকার ব্রহ্মেরও উপস্থিতির কথা প্রমাণিত করে মানুষদের আবার বৌদ্ধ ধর্ম থেকে সনাতন বৈদিক ধর্মে আনার প্রচেষ্টা করেন। এরপর গুপ্ত যুগে যখন বেদ আবার নতুন করে পুনর্লিখিত হয় সেই সময় বৌদ্ধ ধর্মের অনেক কিছু বেদের মধ্যে ঢুকে পড়ে। পন্ডিতগন অন্তত সেরকমই মনে করেন। গৌতম বুদ্ধকে ভগবানের অবতার রূপে মেনে নেওয়াটাও সেই যুগ থেকেই শুরু হয়। এইভাবে ধীরে ধীরে বৌদ্ধ ধর্ম এবং জৈন ধর্মের অনেক নিয়ম বৈদিক নিয়মের মধ্যে মিশে যায় এবং বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মের প্রভাব সমাজ থেকে ধীরে ধীরে কমে গিয়ে মানুষ আবার সনাতন হিন্দু ধর্মে ফিরে আসে।
হরে কৃষ্ণ।
একজন শিশু কি ভাবে ব্রাহ্মণ হলেন। ব্রাহ্মণ হাওয়ার জন্য তো ব্রহ্ম ঞ্জান অর্জন করতে হয়। সদ্যজাত শিশুর পক্ষে ব্রহ্ম ঞ্জান কি ভাবে সম্ভব?
হরে কৃষ্ণ,
প্রত্যেকটি শিশু শুদ্রাবস্থায় ভূমিষ্ঠ হয় অর্থাৎ জ্ঞানহীন অবস্থায় তার জন্ম হয়। সেই হেতু তৎকালীন পৌরাণিক সমাজে ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় এবং বৈশ্যকূলে জাত শিশুর মায়ের সূতিকা উঠে যাওয়ার পর শিশুর জন্ম সংস্কার করে তাকে পরিবারে গ্রহণ করার রীতি ছিল। ভূমিষ্ঠ শিশুর জন্ম সংস্কার একটি বেদক্ত যাজ্ঞীক রীতি যা আজকাল উঠে গিয়েছে। পবিত্র যজ্ঞ অগ্নির সামনে স্ব স্ব বেদ পাঠের মাধ্যমে ব্রাহ্মণ কূলে জাত শিশুর ব্রাহ্মণ কূলে গৃহীত হতো এবং ব্রাহ্মণ বলে পরিচিতি লাভ করত, অনুরূপভাবে ক্ষত্রিয় এবং বৈশ্য কূলে জাত শিশুর ক্ষত্রিয় বৈশ্য কুলে গৃহীত হত। শূদ্রকূলে জাত শিশুর কোন জাত সংস্কার বা জন্ম সংস্কার করা হতো না।
ব্রাহ্মণ কূলে জাত শিশুর সাত থেকে ১১ বছরের মধ্যে উপনয়ন সংস্কারের মাধ্যমে দ্বিজত্ব প্রাপ্তি ঘটতো এবং সে বেদ পাঠের অনুমতি লাভ করত। যে যতগুলো বেদ পাঠ করতে পারত সেই হিসেবে তারা বেদী, দ্বিবেদী, ত্রিবেদী এবং চতুর্বেদী এই আখ্যা পেত।
বেদ পাঠের মাধ্যমে ব্রহ্ম সম্পর্কে একটি ধারণা পাওয়া যায়, ব্রহ্ম জ্ঞান লাভ করতে হলে বেদ আত্মস্থ করার সঙ্গে সঙ্গে সাধ্যায় এবং তপস্যারও প্রয়োজন পড়ে। যে ব্রাহ্মণ বেদের জ্ঞান অবলম্বন করে সাধ্যায় এবং তপস্যার দ্বারা ব্রক্ষ্ম জ্ঞান লাভ করতে সমর্থ হতেন তিনি ব্রক্ষ্মর্ষি নামে পরিচিত হতেন।
সুতরাং ব্রাহ্মণ মানেই তিনি ব্রহ্ম জ্ঞানী নন, হ্যাঁ তবে তিনি বহ্ম জ্ঞান পাবার অধিকারী।
'ব্রক্ষ্মে মন যার তিনিই ব্রাহ্মণ' সেহেতু ব্রাহ্মণ সর্বদা বেদ অধ্যয়ন, জাগ-যজ্ঞ, পূজা- অর্চনা, দান-ধ্যান ইত্যাদি নৈশ্ঠিক কার্য; ক্ষমা, দয়া, দানশীলতা, সত্যবাদিতা, জ্ঞান অর্জন এবং অপরকে জ্ঞান বিতরণ ইত্যাদি এই সকল স্বভাব কার্যেই নিজেকে ব্রতী রাখবেন। শাস্ত্রে ব্রাহ্মণের সংজ্ঞা এই রূপেই নির্দিষ্ট করা আছে।
ভালো থাকবেন।
জয় নিতাই গৌর রাধেশ্যাম হরে কৃষ্ণ হরে রাম।
সকলের পূর্ব পুরুষ বনে জঙ্গলে বাস করতো কাঁচা মাংস খেয়ে কাঁচা ফলমূল খেয়ে বস্ত্রহীন অবস্থায় গাছের নিচে বাস করতো তখন কোন্ জাত ছিল?
Ved Vyas is a title, not a person. There are 28 of them.
পন্ডিত তারানাথ তর্করত্ন বাচস্পতিও বিদ্যাসাগর উপাধি পেয়েছিলেন। এবং এরকম আরো অনেকেই আছেন, কিন্তু এক কথায় বিদ্যাসাগর বলতে আমরা পন্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়কেই বুঝি।