মহানন্দার তীরে (Quiet Flows The Mahananda)

Поделиться
HTML-код
  • Опубликовано: 16 окт 2024
  • Originally written by Iona Mandal in English on 11th Aug 2020, translated in to Bengali by Partha Mandal on 15th Aug, 2020.
    ২০১৮ সালে, আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে আমার শ্বশুরমশাই আমাদের সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছিলেন মহানন্দার তীরে ফাঁসীদেওয়ার কাছে একটা ছোট গ্রামে। তখন সন্ধ্যে হয় হয়। সে এক অদ্ভুত অভিজ্ঞতা। এপারে ভারতবর্ষ, আর ওপারে বাংলাদেশ। এপারে দাঁড়িয়ে ওপারের মানুষদের দেখা যাচ্ছে স্পষ্ট। তখন দ্বাদশী, আর এখন চতুর্দশী আমার কন্যা সেই স্মৃতি বুকে রেখে দিন দুই আগে লিখল একটি কবিতা, ইংরেজিতে। কবিতাটি আমার মনকে করলো উথাল পাথাল। অনেক কষ্টে ওই কবিতার ভাব ফুটিয়ে তোলবার চেষ্টা করলাম নিজের ভাষা বাংলায়। জানিনা, পারলাম কিনা। বিশেষ কারণে ইংরেজি কবিতাটি দিতে পারবোনা এই মুহূর্তে; তাই এই বঙ্গানুবাদের অক্ষম প্রচেষ্টার মাধ্যমেই কন্যার বোধটা বোঝার চেষ্টা করতে হবে আপনাদের।
    মহানন্দার তীরে
    দুই সময়-অঞ্চলের সীমারেখায় দাঁড়িয়ে আছি।
    একটা নদী জাতিটাকে দু'ভাগ করে বয়ে চলেছে,
    দুই পাড়ের মাঝের শূন্যতায় হারিয়ে গেছে শুধু তিরিশটা মিনিট।
    নদীর শান্ত প্রবাহে রয়েছে শুধুই স্বান্তনার আশ্বাস।
    তার জলে নিঃশব্দে ডুব দিয়েছে ভাষার অশ্রু, আর
    দুই পাড়ের মাঝের কৃষ্টির জালিকা স্নানে রত, অবিরত।
    লহরীর ছন্দে ভেসে ভেসে
    এপারের পদ্ম ঢলে পরে ওপারের শালুকের বুকে
    দুই পাড়ের সীমার অসীমে।
    আমি এলাম কোথা থেকে? যাচ্ছিই বা কোথায়?
    এই কথা গুলো বোধহয় খেলছে না মোটেই,
    নদীর পেটে খেলাচ্ছলে সাঁতরানো মাছটার মস্তিষ্কে।
    দোয়েলের ডানার ঝাপটে ওপার থেকে
    ভেসে এলো সন্ধ্যের আজানের আহ্বান।
    আর, এপারে তখন চামেলি ধূপের আঘ্রাণে
    মেখে রয়েছে শঙ্খের তিন সংকেত।
    শ্রাবণের সন্ধ্যায়, শুনছি আমি একলাটি;
    ওই পুরোনো মন্দিরের ঠান্ডা চাতালে
    তরুণী মাস্টারনীর নরম চোখের আলোর নীচে,
    কচি-কাঁচাদের দেশ-পুজোর গানের অভ্যেস।
    শ্রাবণের সন্ধ্যায়, দেখছি আমি একলাটি;
    ওই খড়ে ছাওয়া চৌকির কাছে, রাইফেল হাতে
    সীমা-সান্ত্রীর কঠিন চোখের তীব্রতার সামনে,
    নদীর নিস্তরঙ্গ প্রবাহে রয়েছে ভয়হীনতার আভাস।
    হঠাৎ মনে এলো, কাল যে স্বাধীনতা দিবস!

Комментарии •