এক গাছেই প্রচুর আঙ্গুর ধরাবেন যেভাবে || How to produce a lot of grapes in one tree
HTML-код
- Опубликовано: 8 фев 2025
- #grape #আঙ্গুর #মাছ_ধোয়া_পানি
ড্রাগনের হাতপরাগায়নঃ
• হাত পরাগায়নের মাধ্যমে ...
টব / ড্রামের মাটি তৈরি করবেন যেভাবে-
• টব/ড্রামের মাটি তৈরী ক...
বাংলাদেশে আঙ্গুর চাষের সম্ভাবনা
কান্ড ছাঁটাই রোপনের পরবর্তী বছরের ফেব্রুয়ারী মাসে মাচায় ছড়িয়ে থাকা আঙ্গুর গাছের কান্ড ছাঁটাই করতে হবে। অধিকাংশ খামারিরই প্রশ্ন গাছে ফুল হয় কিন্তু ফল হয় না। এর কারণ কি? কান্ড ছাঁটাই -এর মাধমে আঙ্গুর গাছের ফলন বৃদ্ধি হয় এবং ফুল ঝরে পড়া কমে যায়। ছাঁটাইয়ের ৭ দিন আগে এবং পরে গোড়ায় হালকা সেচ দিতে হয়। গাছ রোপনের পর মাচার ওঠা পর্যন্ত প্রধান কান্ড ছাড়া অন্য সকল পার্শ্বের শাখা ভেঙ্গে ফেলতে হবে।
থম ছাঁটাই মাচায় কান্ড ওঠার ৩৫/৪৫ সে.মি. পর প্রধান কান্ডের শীর্ষদেশ কেটে দিতে হবে যাতে ঐ কান্ডের দুই দিক থেকে দুটি করে চারটি শাখা গজায়।
দ্বিতীয় ছাঁটাই গজানো চারটি শাখা বড় হয়ে ১৫-২০ দিনের মাথায় ৪৫/৬০ সে.মি. লম্বা হবে তখন ৪টি শীর্ষদেশ কেটে দিতে হবে যেখানে থেকে আরও পূর্বের ন্যায় দুটি করে ১৬টি প্রশাখা গজাবে।
তৃতীয় ছাঁটাই এই ১৬টি প্রশাখা ১৫/২০ দিনের মাথায় ৪৫/৬০ সে.মি. লম্বা হবে তখন আবার এদের শীর্ষদেশ কেটে দিতে হবে যাতে প্রতিটি প্রশাখরে দুদিকে দুটি করে ৪টি নতুন শাখা এবং এমনিভাবে ১৬টি শাখা থেকে সর্বমোট ৬৪টি শাখা গজাবে। অবশ্য সর্বক্ষেত্রেই যে ৬৪টি শাখা গজাবে এমন কোনো কথা নেই। এই শাখার গিরার মধ্যেই প্রথমে ফুল এবং পরে এই ফুলমটর দানার মত আকার ধারণ করে আঙ্গুল ফরে রূপান্তরিত হবে। প্রথম বছর ফল পাবার পর শাখাগুলোকে ১৫/২০ সে.মি. লম্বা রেখে ফেব্রুয়ারী মাসে ছেঁটে দিতে হবে ফলে বসন্তের পক্কালে নতুন নতুন শাখা গজাবে এবং ফুল ধরবে। এই পদ্ধতি ৩/৪ বছর পর্যন্ত চলবে এবং ফলের স্থিতি লাভ করবে।
ল ছাঁটাইয়ের পর গাছে সার দেয়া ভালো। গাছের সুষ্ঠু বৃদ্ধির জন্য পটাশজাতীয় সারের প্রয়োজন খুব বেশি। পটাশের অভাবে গাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়, ডাল ভঙ্গুর প্রকৃতির হয় এবং ফল ফেটে যায় ও ফলের মধ্যকার মিষ্টি কমে যায়। প্রথম বছর গাছপ্রতি ১০-১৫ কেজি জৈব সার, ১০০ গ্রাম ইউরিয়া, ১০০ গ্রাম টিএসপি এবং ২৫০ গ্রাম এমওপি সার প্রয়োগ করতে হয়। এরপর প্রতি বছর পাঁচ কেজি জৈব সার, ১০ গ্রাম হারে ইউরিয়া ও টিএসপি এবং ২০ গ্রাম এমওপি সার দিতে হয়। পটাশ সার দু’বারে দিতে হয়। শীতের আগে ডাল ছাঁটাই করার পর অর্ধেক এবং
শীতের শেষে নতুন ফল ধরতে আরম্ভ করলে বাকি অর্ধেকটুকু। জৈব সার ও টিএসপি ছাঁটাই করার পরপরই প্রয়োগ করতে হয়। ইউরিয়ার এক-তৃতীয়াংশ ছাঁটাইয়ের সময়, এক-তৃতীয়াংশ ফল ধরার পরপরই এবং শেষটুকু ফল মাঝারি আকারের হলে গাছের গোনটি জাতই গ্রীষ্মকালীন এবং পরে তিনটি রংয়ে রূপান্তরিত হয়ে যথাক্রমে হালকা বাদামি, কালো ও করমচা রং ধারণ করে। ফলন আসতে সময় লাগে প্রায় দু’বছর। মিষ্টতার পরিমাণ ১৮ থেকে ২০ শতাংশ । মাটির পিএইচ ৬.৫-৭.৫ হলে আঙ্গুর দ্রুত মিষ্টি হয়। গাছের দীর্ঘায়ু বিবেচনা করে মাচায় লোহার তারের ব্যবস্থা করা ভালো। মাচায় ওঠা পর্যন্ত আঙুর গাছের পার্শ্ব শাখা ভেঙে দিতে হবে। আর যা যা করবেন তা হলো মাচায় প্রথম ডগা উঠবার মুহূর্তে তা ভেঙে দিতে হবে যাতে কর্তনকৃত অংশের নিচ থেকে দুটি কচি ডগা ইংরেজি ‘ভি’ আকারে মাচায় ওঠে এবং ৫০ সেন্টিমিটার লম্বা হবে।
দুটি ডগার মাথা পুনরায় ৫০ সেন্টিমিটার দূরে ভেঙে দিতে হবে, যাতে প্রতি শাখার উভয় পার্শ্বে অনধিক দুটি করে চারটি প্রশাখা গজায় এবং তা পুনরায় ৫০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বড় হবে।
উত্পাদিত আটটি প্রশাখা ৫০ সেন্টিমিটার বড় হওয়ার পর তা আবার মাথা ভেঙে দিতে হবে এবং এরপর গাছ যথারীতি বড় হতে থাকবে।
গাছ রোপণের উপযুক্ত সময় মার্চ থেকে মে। তবে আগস্ট মাস পর্যন্ত রোপণ করা যাবে। এরপর গাছের সতেজতা কমে যাবে। অক্টোবর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত গাছ ঘুমন্ত অবস্থায় থাকবে এবং পাতা ঝরে যাবে। বছরে দু’বার ফুল আসবে। মার্চ ও জুলাই মাসে তা আঙুরে রূপান্তরিত হবে। ফুল আসার পর থেকে আঙুর মিষ্টি হতে সময় লাগবে ১২০ দিন বা চার মাস। নির্দিষ্ট সময়ের আগে আঙুর কাটলে ‘টক’ লাগবে। ফুল আসার ৭০-৮০ দিনের মধ্যে সবুজ অবস্থায় আঙ্গুর স্পঞ্জের ন্যায় নরম হবে। এটা আঙুরের পরিপকস্ফতা বুঝায়। পরবর্তীকালে ৪০ দিন সময় নিবে আঙুর মিষ্টির পর্যায়ে যেতে।
৭০-৮০ দিনের সময় গাছপ্রতি ২০ গ্রাম পটাশ পানির সঙ্গে মিশিয়ে দিলে আঙুর দ্রুত মিষ্টির পর্যায়ে চলে যায়। ফুল থেকে আঙুর মুগ ডালের মতো আকার হলে জিবরেলিক এসিড ছিটিয়ে প্রয়োগ করলে আকারে ও আকৃতিতে বড় হয়। ফুল থাকা অবস্থায় কীটনাশক ওষুধ প্রয়োগ নিষেধ। আঙুরের থোকায় হাত লাগানো উচিত নয়, এতে চামড়ার উপরের সাদা পাউডার হাতের ছোঁয়ায় উঠে যায় এবং পোকার আক্রমণ সহজতর হয়। থোকায় আঙুুর যখন মুগ ডালের আকারে থাকে তখন ছোট অবস্থায় কিছু আঙ্গুর বাছাই করে ফেলে দেয়া ভাল যাতে আঙ্গুরের সাইজ সুন্দর থাকে। আঙ্গুর পাকার সময় বৃষ্টি হবার সম্ভাবনা থাকায় মাচার উপরে ‘পলিথিন সীট’ দিয়ে আবৃত করে দিতে হবে যাতে গাছে বৃষ্টির পানি না লাগে। লাগলে পাকা আঙ্গুর ফেটে যাবার সম্ভাবনা থাকে। প্রতি বছর একটা নির্দিষ্ট সময়ে তিনটি কাজের পরিচর্যা নিয়মিতভাবে করতে হবে।
এগুলো হলো:
(ক) প্রতি বছর জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের মদ্যে গাছের গোড়ায় মাটি হালকাভাবে কুপিয়ে আলগা করে তাতে অনুমোদিত সার প্রয়োগ করে শুধুমাত্র একবার বেশি করে পানি দিতে হবে।
(খ) জানুয়ারি মাসের ৪র্থ সপ্তাহে ঘুমন্ত গাছের শাখা-প্রশাখা ছাটাই করে দিতে হবে। ছাটাইকৃত ডালগুলো কেটে পরে মাটিতে পুতে পানি দিলে পুনরায় নতুন গাছ হবে।
(গ) ফেব্রুয়ারি মাসের ১ম সপ্তাহে সামান্য গরম আরম্ভ হবার সাথে সাথে গাছের গোড়ায় পানি সেচ দিতে হবে, যে পর্যন্ত না বৃষ্টি হয়। পানি দেবার ১০ দিনের মধ্যে গাছে নতুন শাখা-প্রশাকা গজাবে এবং তাতে ফুল দেখা দিবে যা পরবর্তীতে আঙ্গুরে রূপান্তরিত হবে।’ - Наука