মিশরীয় পেয়ারার চাষ পদ্ধতি
HTML-код
- Опубликовано: 13 дек 2024
- পেয়ারার জাত
বীজ দ্বারা বংশবিস্তার করা সবচেয়ে সহজ। কিন্তু বীজের গাছে মাতৃগাছের গুণাগুণ থাকে না এবং ফল অনেক সময় নিকৃষ্ট হয়। তাই বীজ দিয়ে বংশবিস্তার না করে কলমের দ্বারা বংশবিস্তার করাই উত্তম। গুটি কলম দ্বারা বংশবিস্তার খুব সহজ। বর্ষাকাল আরম্ভ হওয়ার সাথে সাথেই গুটি কলম করতে হয়। গুটি বাঁধার জন্য পেন্সিলের মতো মোটা একটি ডাল বেছে নিয়ে ডালটির আগা হতে নিচের দিকে ৩০-৩৮ সেন্টিমিটার জায়গা ছেড়ে দিয়ে ৩.৮ হতে ৫ সেন্টিমিটার পরিমাণ স্থানের বাকল গোল করে কেটে খুব ভালো করে পরিষ্কার করে তুলে ফেলতে হবে।
এরপর ওই স্থানে পচা গোবর মিশ্রিত কাদামাটি চারদিকে ১.৩-২.৫ সেন্টিমিটার পুরু করে লাগিয়ে খড়, ছালার টুকরো অথবা প্লাস্টিক দিয়ে ভালো করে বেঁধে দিতে হবে যাতে সময়মতো গুটি বের হয়।
পেয়ারা থেকে উচ্চফলন অব্যাহত রাখতে হলে গাছ প্রতি নি¤œরূপ হারে নিয়মিত সার প্রয়োগ করতে হবেÑ
অন্তর্বর্তীকালীন পরিচর্যা : গাছের স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য জমি আগাছামুক্ত রাখতে হবে। রোপণের পর প্রথম দিকে মাটি ঝুরঝুরে রাখতে হবে নতুবা চারা দ্রুত বাড়বে না। এজন্য মাঝে মাঝে বিশেষ করে সেচ দেয়ার পর জমিতে জো আসলে কোদাল দিয়ে জমির চটা ভেঙে দিতে হবে।
অ্যানথ্রাকনোজ রোগ লক্ষণ
ফল ও পাতায় দাগ পড়ে। তারপর কালো হয়ে শুকিয়ে যায়।
রোগ দমন : এ রোগ দমনের জন্য সপ্তাহ পরপর কম্পেনিয়ন ২ গ্রাম/লিটার পানি স্প্রে করতে হবে। এছাড়া বাগান পরিষ্কার রাখতে হবে।
সুটি মোল্ড রোগ লক্ষণ : পাতায় কালো ময়লা পড়ে।
রোগ দমন : এ রোগ দমনের জন্য ব্লিটক্স ২ গ্রাম/লিটার সাথে অটোমিডা ১ গ্রা/লি. পানি স্প্রে করতে হবে।
স্কাব রোগ লক্ষণ : ফল দাগযুক্ত ও কুঁচকানো হয়।
রোগ দমন : এজন্য গাছ সাকসেস ১.৫ গ্রা/লি. + কুমুলাস ২ গ্রা/লি ১.৫ মি.লি/লিটার পানি স্প্রে করতে হবে।
ডাই ব্যাক রোগ লক্ষণ
গাছের কচি ডাল আগা থেকে শুকিয়ে মারা যায়।
রোগ দমন : আক্রান্ত গাছে ডাইথেন এম ৪৫ (ব্লেটক্স) অথবা বোর্দো মিশ্রণ (১%) স্প্রে করতে হবে।
ফল মাছি : মাটির মেগট ফলের ভেতরে খেয়ে নষ্ট করে।
ফল মাছি দমনের জন্য এমিটাফ ১.৫ গ্রাম বা রিভা ০.৫ মিলি/লি স্প্রে করতে হবে। সপ্তাহান্তর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে।
পেয়ারা গাছের পাতা হতে রস চুষে খায়। ফলে পাতা কুঁকড়ে যায় এবং রঙ পরিবর্তিত হয়ে সাদা হয়।
দমন ব্যবস্থাপনা : এসাটাফ ১.৫ গ্রাম/লিটার পানি আক্রমণের আগে স্প্রে করতে হবে।
ফল আহরণ : ফল আহরণের উপযুক্ত হলে সবুজ রঙ পরিবর্তিত হয়ে হলুদাভ সবুজ বা হলুদ হয়।
প্রতিটি ফল এক এক করে সম্ভব হলে সিকেচার দিয়ে কেটে আহরণ করতে হয়। বছরে ২ বার ফল আহরণ করা হয়।
ফলন : ৩-৩ বছর বয়সের পেয়ারা গড়ে ১২৫ কেজি এবং ১০২ কেজি ফলন দিয়ে থাকে।
বীজের গাছের তুলনায় কলমের গাছ বেশি ফলন দেয়।