নিজেকে শে'ষ করে দিতে যাওয়া মানুষটা আজ বিশ্ব সেলিব্রিটি।চলুন শুনে আসি তার গল্প|bangla motivation

Поделиться
HTML-код
  • Опубликовано: 8 фев 2025
  • হ'তা'শা'য় দু:খে ক'ষ্টে নিজেকে শে'ষ করে দিতে চাওয়া মানুষটা আজ বিশ্বের সেরা লেখকদের একজন এবং তিনি লেখকদের মধ্যে প্রথম বিলিওনিয়ার। আরও অবাক করা তথ্য হচ্ছে সারা বিশ্বে তার লেখা একটি সিরিজের ৫০০ মিলিয়নেরও অধিক কপি বই বিক্রি হয়েছে।
    আজ শুনাবো তার'ই গল্প। গল্প শুনার আগে আন্দাজ করুন তো সেই মানুষটা কে হতে পারে?
    মাত্র সতেরো বছর বয়সে তাঁকে কলেজ থেকে বের করে দেওয়া হয়।
    পচিঁশ বছর বয়সে মাকে হারান তিনি।
    সাতাশ বছর বয়সে তিনি বিয়ে করেন।কিন্তু বিবাহিত জীবন তাঁর ভালো কাঁটে না। স্বামীর দ্বারা তিনি বিভিন্ন নির্যাতনের স্বীকার হন।
    আঠাশ বছর বয়সে তাঁর ডিভোর্স হয়ে যায়।যার কারণে তিনি হতাশায় ভুগেন।তাঁর সাথে তখন তাঁর একটি ছোট কন্যা সন্তান ছিল এবং তাঁর কোন চাকুরীও ছিল না।সামাজিক সহয়তায় তাঁর সন্তান নিয়ে তিনি জীবন কাটাচ্ছিলেন।
    ত্রিশ বছর বয়সে একবার আত্মহত্যা করবারও সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সেই নারী।
    একদিন তিনি তার সন্তানকে নিয়ে ট্রেনে করে ম্যানচেষ্টার থেকে লন্ডনে আসছিলেন।তাঁর ট্রেন চার ঘণ্টা দেরিতে এসেছিল।তখন ঐ চার ঘণ্টা সময়গুলোতে বিভিন্ন চিন্তা ভাবনা করতে করতে তাঁর মাথায় একটি আইডিয়া আসে।তখন তিনি ভাবলেন এখনো এমন একটা কাজ তিনি ভালোভাবে করতে পারবেন যা অনেকেই করতে পারবে না
    ।তখন তিনি এক জাদুকরকে নিয়ে বই লেখা শুরু করেন।
    দ্রুত গল্পটি লেখা শেষ হলে তিনি সেই পান্ডুলিপি নিয়ে একে একে বারো জন প্রকাশকের কাছে যান।কিন্তু সব প্রকাশকেই তাঁকে ফিরিয়ে দেন।
    জানতে চান, সেই গল্পকারটা কে ছিলেন আর কি ছিল বইয়ের নাম!
    গল্পকারটা ছিলেন "জে কে রাওলিং" আর বইটির নাম "Harry Potter"।এক নামেই একটি মাত্র গল্পের বইয়ের কারণে পুরো বিশ্ব আজ তাঁকে চেনে।যেই গল্পের আলোকে নির্মিত হয়েছে একাধিক সিনেমা।
    একত্রিশ বছর বয়সে তাঁর "Harry Potter" বইটি প্রকাশ পায়।
    পয়ঁত্রিশ বছর বয়সের মধ্যে তাঁর চারটি বই প্রকাশিত হয় এবং তিনি বর্ষ সেরা লেখকের খেতাব পান।
    এক সময় নিজকে শেষ করে দিতে চেয়েছিলেন যে নারী,তিনি আজ বিশ্ব সেলিব্রিটি।বইয়ের বাইরে হ্যারি পটার সিরিজের প্রতিটি সিনেমাই ব্লকবাস্টার হিট। সবকিছু মিলিয়ে কিছু সময়ের জন্য জেকে রাওলিং বিলিওনিয়ারও বনে গিয়েছিলেন। যদিও কিছু দানধ্যানের কারনে তিনি এখন আর বিলিওনিয়ার নেই, তবে তাঁর মোট সম্পদের পরিমান এখনও রানি ২য় এলিজাবেথের থেকে বেশি।
    পৃথিবীর লেখকদের মধ্যে তিনিই সর্বপ্রথম বিলিওনিয়ার। আর এসবই সম্ভব হয়েছে তাঁর অসাধারণ কল্পনাশক্তি আর গল্প বলার অবাক করা ক্ষমতার কারনে। তাঁর মত এত চমৎকার করে চরিত্র সৃষ্টি করতে খুব কম লেখকই পারেন। তাঁর অসাধারন লেখনি দিয়ে তিনি কোটি কেটি শিশুকিশোরের মন তো জয় করেছেনই, সেইসাথে কোটিকোটি প্রাপ্তবয়স্ককেও রূপকথার জগতে দিনরাত বিচরণ করতে বাধ্য করেছেন।
    এমন কথাও বলা হয় যে মানুষের কল্পনাশক্তি কতদূর যেতে পারে তা বোঝার জন্য হ্যারি পটারের বইগুলো পড়া উচিৎ। কল্পনাশক্তি এবং অনুভব করার মত চরিত্র সৃষ্টির দিক দিয়ে তাঁকে সবাই একবাক্যে একজন জিনিয়াস হিসেবে স্বীকার করেন।
    এই জে কে রাওলিং এর জীবনী থেকে আমাদের সবার শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত।আর তা হলো- "আপনি কখনো নিজের উপর থেকে বিশ্বাস হারাবেন না।হাল ছেড়ে দিবেন না।কঠোর পরিশ্রম করুন।মনে করবেন না যে অনেক দেরী হয়ে গেছে। আপনি যেকোন অবস্থায় যেকোন বয়সে শুরু করতে পারেন আপনার স্বপ্নের পথে হাঁটা।যে কাজটা আপনি ভালো পারেন, সেটা যাই হোক তার পেছনে লেগে থাকুন। আমরা শুরু করি না বলেই আমরা সফলতা পাই না।"
    #অনুপ্রেরণামুলক_ভিডিও
    #jkrowling #herrypotter #books
    #মটিভেশনাল_ভিডিও #bookreview
    #motivation #bangla_motivational_status
    #bangla_motivational_status #bangla_motivational_video #motivation

Комментарии •