বঙ্গবীর ওসমানী শিশু উদ্যান || Bongobir Osmani Sishu Park ||
HTML-код
- Опубликовано: 8 фев 2025
- #Bongobir_Osmani_Sishu_Park #শিশুপার্ক_সিলেট #shishu_park #ওসমানী_শিশু_উদ্যান
সময়ের ফুরসত গলিয়ে ঘুরতে কার না ভালোলাগে! প্রকৃতির গভীর অরণ্যে হারিয়ে যেতে কার না ভালোলাগে! একটু নিটোল বিনোদনের জন্য নগকেন্দ্রিক তৃষ্ণার্ত হৃদয়গুলো মুখিয়ে থাকে। চারদেওয়ালের ভেতর হাঁপিয়ে ওঠা জীবনের একঘুয়েমি থেকে মুক্তি পেতে, বিনোদনের নতুন রসদ গ্রহণে প্রকৃতির কোলে মেতে উঠতে ছেলে-বুড়ো সকলেই ব্র্যগ্র থাকে।
প্রকৃতিপ্রেমীরা, বিনোদনপ্রেমীরা, জীবনের ব্যস্ততার ফাঁক গলিয়ে বেড়িয়ে পড়ে। কাছে কিংবা দূরে বিনোদনের রসদ হিসেবে যা পায় তা-ই লুফে নেয়! বিনোদিত হলো জীবনগাড়ির স্পন্দন! তবে ইট-কংক্রিটের শহরজীবনে প্রকৃতির নিবিড় সান্নিধ্যমাখা স্থান খুব কমই চোখে পড়ে। যা চোখে পড়ে তা কৃত্রিম, অভিনব। যেনো কৃত্রিমতার ক্যানভাসে একটুকরো নিটোল প্রকৃতির সান্নিধ্য! আধুনিক বিভিন্ন রাইডসের সমন্বয়ে গড়ে উঠা এসব বিনোদনমূলক পার্কের মধ্যে সিলেটের সিলেট ওসমানী শিশু উদ্যান অন্যতম।
ইট-কংক্রিটের শহরজীবনে শিশুসন্তানদের একটু নির্মল আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠার সুযোগ হয় যেখানে। ছোটখাট কয়েকটি ইভেন্ট দিয়ে সাজানো এই শিশু বিনোদনকেন্দ্রটি। হাজারো অসঙ্গতি আর সীমাবদ্ধতার মাঝেও যেখানে মধ্যবিত্ত শ্রেণি খুঁজেন শিশুসন্তানের বিনোদন।
বঙ্গবীর ওসমানী শিশু উদ্যান (যা বঙ্গবীর ওসমানী শিশু পার্ক নামেও পরিচিত) সিলেট শহরের একটি অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র। এটি সিলেট বিভাগের প্রাণ কেন্দ্র (ধোপা দিঘীর পার) সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকায় অবস্থিত।
বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল আতাউল গণি ওসমানীর অবদানকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করতে ওসমানীরই শেষ ইচ্ছা অনুয়ায়ী তার নামে ২০০০ সালে স্থাপিত হয় এটি।
নগরীর প্রাণকেন্দ্র ধোপা দিঘীর পারে দেখার মত বিনোদনকেন্দ্র এই বঙ্গবীর ওসমানী শিশু পার্ক। এই পার্ক স্থাপনে ব্যয় হয়েছে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা। প্রায় ৮ একর আয়তনের এই পার্কে এখন দর্শনার্থীদের ভিড় দেখার মতো। নানা ধরনের গেমস ছাড়াও এখানে শিশুরা চড়তে পারে ঘোড়া, ট্রেন, নৌকা, চড়কি। আর দেখতে পারে বন থেকে আনা স্নো চিতা, বানর ও ছোট বড় সব অজগর সাপ।
উদ্যানটির বর্তমান চেয়ারম্যান ও ব্যবপস্থাপনা পরিচালক মিজান আজিজ চৌধুরী সুইট বর্তমানে এই পার্কটির পরিচালনার দায়িত্ব পালন করছেন।
তবে এখানে শিশুদের তুলনায় তরুণ-তরুণী আর যুবক-যুবতীদের আনাগোনাই বেশি চোখে পড়ে। অবস্থা দৃশ্যে মনে হয়- অবাধ প্রেমকুঞ্জ। ৩০ টাকার টিকিট কেটে সারাদিন প্রেম! উদ্যানের কোণায় কোণায় বিভিন্ন ইভেন্টের আশেপাশে এসব তরুণ-তরুণী ও যুবক-যুবতীদের প্রেমাচার চলে নির্বিঘ্নে। শিশুদের বিভিন্ন রাইডারও দখল করে বসে থাকে কপোত-কপোতিরা। দায়িত্বরত কর্মচারীরা অতিরিক্তি টাকা পাবার আশায় এ সুযোগ করে দেয়। শিশুদের নিয়ে আসা অভিভাবকরা পড়েন বিপাকে। তরুণ-তরুণীদের অবাঞ্চিত আচরণে কোমলমতি শিশুদের নিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন অভিভাবকরা।
পার্ক কর্তৃপক্ষ এসব সেনসেটিব বিষয়ে আরেকটু সচেতন হলে শিশুপার্কটি সত্যিকার অর্থেই শিশুদের জন্য বিনোদনের সূতিকাগার হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবে। যেহেতু শিশু উদ্যান, সেহেতু শিশুদের সুষ্ঠু বিকাশের স্বার্থে সুন্দর পরিবেশ, সুস্থ পরিবেশ বজায় রাখা আমার, আপনার সকলেরই দায়িত্ব।
অনেক ভালো হয়েছে।
মাশাআল্লাহ খুব সুন্দর হয়েছে
অনেক ধন্যবাদ। ভালোবাসা জানবেন।
ভাই ওই পার্কের রাইটস সহকারী ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করে আসছি। আপনার একটি কথা এখানে উল্লেখ করছেন কিছু কর্মচারী দু পয়সা বেশি পাওয়ার আশায় এগুলো সুযোগ করে দিচ্ছে। এরকম কোন প্রমাণ নাই ভাই।
আমরা বাধা দিয়েছিলাম আমরা অনেকবার বাধা দেয়ার চেষ্টাও করছি। এতে বাহিরে থেকে ছেলেপেলে নিয়ে স্টাফদের উপর হামলা শুরু করে দেয়। ২০১৩ সালে ঈদের তৃতীয় দিনে একটি বিরাট ঝামেলা হয়েছিল। স্টাফ এবং কাস্টমারের মধ্যে। এবং ঝামেলাটা সেই একই রকম মেয়েদেরকে নিয়ে। চারটি বখাটে মেয়েদেরকে উত্তপ্ত করার কারণে সেখানে স্টাফদের সাথে জড়িয়ে যায় বিষয়টা। তবে কর্তৃপক্ষ বড় কোন ইভেন্ট হলে যেমন ঈদের সময় পহেলা বৈশাখ ষোলই ডিসেম্বর। জোরালোভাবে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তিন থেকে সাড়ে তিন বছর কাজ করে আসছি ওই জায়গায়। এখানে স্টাফরা হয়তো টিকিটের পরিবর্তে ১০ টাকা নিয়ে নেয় কিন্তু ওই নষ্টামিতে সুযোগ দেয় না। একটা বাচ্চা তুলে দেয়ার পর স্টাফের হাতে টাকা দিয়ে দেয় টিকেট না দিয়ে। তবে অনৈতিক কোন কাজে ওরা হেল্প করে না
খুবই সুন্দর। জানা হলো অনেক কিছু। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।