নাবার্ডের উদ্যোগে কাঠ শিল্পীদের রোজগারের নতুন দিশা !!

Поделиться
HTML-код
  • Опубликовано: 10 сен 2024
  • আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ঘরের ব্যবহৃত অনেকটা অংশ জুড়ে রয়েছে কাঠের ব্যবহার। ঘরের দরজা জানালা থেকে শুরু করে আসবাবপত্র, সবকিছুতেই ব্যবহার হয় কাঠ। বর্তমানে কাঠের বিকল্প প্লাস্টিকের ফার্নিচার আসলেও কাঠের টেকসইয়ের কাছে টেক্কা দিতে পারবে না কেউই। আমরা দিনে দিনে দেখতে পাই মানুষ শৌখিন হচ্ছে, আর সেই শৌখিনতাকে বজায় রাখতে কাঠের উপর নিখুঁত শিল্পকলা আকৃষ্ট করে মানুষকে। তাই বছরের পর বছর ধরে কাঠ শিল্প পেয়ে এসেছে সেরার সেরা শিরোপা। আমরা গ্রামাঞ্চলে তাকালে দেখতে পাই একটা বড় শতাংশের মানুষ এই কাঠ শিল্পের সঙ্গে যুক্ত, যারা প্রতিনিয়ত তাদের হাতের ছোঁয়ায় জাদু করে চলেছে কাঠের উপর,আর তৈরি করছেন বিভিন্ন জিনিসপত্র। উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় প্রায় ১৮ হাজার শিল্পী (কাঠমিস্ত্রি) এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত।
    নামার্ডের আর্থিক সহায়তায় গোবরডাঙ্গা সেবা ফার্মার্স সমিতির উদ্যোগে শুরু হলো নির্ভর ব্রান্ড। যেখানে বিভিন্ন ধরনের উন্নত মানের কাঠ ও কারুকার্যের কাঠের আসবাবপত্রে দেখা মিলবে। একদিকে যেমন স্বনির্ভর হবেন গ্রামের অনেক সংখ্যক মানুষ, তেমনি অন্যদিকে মানুষ সঠিক কাঠের তৈরি জিনিসটি ঘরে নিতে পারবেন।
    আমাদের মনে হতেই পারে একটি গাছ থেকে শুধুমাত্র ফল পাওয়া সম্ভব, কিন্তু ফল নেওয়ার পর একটি নির্দিষ্ট সময় আসলে আমরা পর্যাপ্ত কাঠ ও পেতে পারি। কিন্তু অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে একটি গাছ কাটলে আরেকটি চারা রোপন করতে হবে তবে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করা সম্ভব হবে। তাই একটি গাছ লাগালে তার থেকে যেমন ফল পাওয়া যাবে তেমনি কাঠ বিক্রি করেও কিন্তু কৃষক লাভবান হতে পারবেন।
    আবার একজন শ্রমিক কাঠমিস্ত্রির কাজ করে দৈনিক ৫০০ টাকা রোজগার করতে পারেন উত্তর 24 পরগনা জেলায় 18 হাজার এইরকম কাঠমিস্ত্রি রয়েছেন তাদেরকে নিয়ে নাবাডের আর্থিক সহযোগিতায় তৈরি হয়েছে সংগঠন।
    আগামী দিনে কাঠ শিল্পের আকর্ষণ যত বাড়বে তত বাড়বে শ্রমিকের রোজগার এবং লাভবান হবেন কৃষকরা পাশাপাশি গাছ যত লাগানো যাবে পরিবেশ হবে দূষণমুক্ত।
    এদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নাবার্ডের জিএম দীপ মালা ঘোষ, সিজিএম শ্রীমতি উষা রমেশ, উত্তর ২৪ পরগনা জেলা নাবার্ডের ডি ডি এম -এল,সি সরকার প্রমূখ

Комментарии •