এক মেধাবীর পদে পদে হেরে যাওয়ার গল্প।Bangla motivational video| বাংলা অনুপ্রেরণামূলক ভিডিও।

Поделиться
HTML-код
  • Опубликовано: 8 фев 2025
  • Emran Hossen Sumon.
    আমাদের ফেইসবুক পেইজ লিংক - / sumon.emranhossen
    দাদা আজ আমি অনেক বড় অফিসার, সবাই সালাম দেয়, সম্মান করে। আমি বসার সময় অতি সম্মান দেখাতে গিয়ে কেউ কেউ পরিষ্কার চেয়ারও টিস্যু দিয়ে আবার মুছে দেয়। কিন্তু বিশ্বাস করেন, কয়েক বছর আগেও কেউ আমাকে সামান্য পাত্তাও দিত না।
    টিউশনের টাকা পেতে দেরি হলে, দুপুরের ভাত খাওয়ার জন্য কারো কাছে টাকা ধার চাইলে তাও দিত না বেকার বলে।
    কারণ বেকারের দেনা শোধ করার এবিলিটি কম থাকায় কেউ বেকারদের বিশ্বাস করে না। জীবনে কখনো শপিং মলে গিয়ে একটা শার্টও কিনতে পারিনি। ফুটপাতের উপর যেসব দোকান বসে, সেটাই ছিল আমার জন্য শপিং মল।
    আমি সত্যজিৎ গরম কফির কাপ হাতে নিয়ে কথাগুলো মনযোগ দিয়ে শুনছি । তিনি আবার বলতে লাগলেন-
    দাদা, অনেক জায়গায় চাকরির আবেদন করেছি, পরীক্ষা দিয়েছি। কোথাও আসেনি। শেষ বার যখন পুলিশের এস আই পদে পরীক্ষার রেজাল্ট দিল, সেদিন আরো বড় বিপর্যয় নেমে এল। আমার এক কাজিন, বয়সে আমার ছোট, সে ঐ পরীক্ষায় কোয়ালিফাই হয়েছিলো অথচ আমি তখনো ফেল।
    যাকে স্কুলে আমি গণিত করিয়েছি, ইংলিশ পড়িয়েছি, সেই দুরসম্পর্কের ছোট ভাই সেদিন চাকরি পেয়ে আমাকে উপদেশ দিচ্ছিলো - "বর্তমানে চাকরি পেতে হলে গণিত ও ইংরেজিতে আরো দক্ষ হতে হবে। আপনার এই দুই সাবজেক্টে মনে হয় দুর্বলতা আছে। " দাদা, বিশ্বাস করেন সেদিন মনে হয়েছিল বিষ খেয়ে মরে যাই, যাকে আমি একসময় পড়িয়েছি, সে আমাকে পড়াশুনার উপদেশ দিচ্ছে!
    আমি এবার কফির কাপে এক চুমুক দিলাম। ওনাকেও ইশারায় বললাম কফি খেতে। তিনি কাপটি মুখের সামনে নিয়ে চুমুক না দিয়ে আবার বলতে লাগলেন-
    শেষ বার যখন বাসা বাড়া বাকি পড়ে যায়, তখন আমার মেসে থাকা বন্ধুরাও একটু চাপ দিচ্ছিল বাসা ভাড়ার জন্য। বাসা ভাড়ার টাকা যোগার করতে রাতের খাবারটা বাদ দিয়ে, বিকেলে সবগুলো টিউশনে যা দিত সব খেয়ে নিতাম। একটা বিস্কুট ও অবশিষ্ট রাখতাম না। রাতের খাবার বাঁচিয়ে টাকা জমাতে হলে আমার মত বেকারদের এমনই হতে হয়; বেকারদের লজ্জা থাকতে নেই।
    লোকাল বাসে কোনো পরিচিত সহ একসাথে উঠলে আমি তাড়াতাড়ি সবার পেছনে গিয়ে দাঁড়াতাম। কারণ বাসের কন্ডাকটর টাকা তুলতে আসলে যেন আমার আগে ওনার কাছে আসে। তাহলে ভদ্রতা করে তিনি আমার টাকাটাও দিয়ে দিবেন। এভাবেই যাচ্ছিল আমার দিনগুলো।
    আমি সত্যজিৎ তখনও মনযোগ দিয়ে কথাগুলো শুনছিলাম। কফির কাপটি হাতেই রয়ে গেছে। গরম কফিগুলো কাপের মধ্যেই ঠান্ডা হয়ে গেছে। ধোঁয়াগুলোও আর উড়ছে না। দেখলাম ওনার চোখ লাল হয়ে গেছে। এখনই মনে হয় বৃষ্টি নামবে। তিনি আবার বলতে লাগলেন-
    আজ আমি সফল। আমার সেদিন নিজেকে আরো বেশি সফল মনে হয়েছিল, যেদিন একটা অফিশিয়াল কাজে আমি নির্দেশনা দিতে গিয়ে একজন এস আই এর অফিশিয়াল স্যালুট পেয়েছিলাম। সেই এস আই ছিল আমার সেই কাজিন, যে আমার চেয়ে বছরখানেক আগে পুলিশের এস আই পদে চাকরি পেয়ে আমাকে উপদেশ দিয়েছিল। আর আমি এখন তার বস। কারণ যে বছর সে এস আই পদে জয়েন করে, তার কয়েক বছর পর আমি বিসিএস দিয়ে এএসপি হয়েছিলাম।
    দাদা, আপনার দুটো কথা আমি আমার ড্রয়িং রুমে একটা কাগজে কম্পোজ করে লাগিয়ে রেখেছি। সে কাগজে লেখা আছে - "পরিশ্রম কখনো পরিশ্রমীকে বিনা পারিশ্রমিকে বিদায় দেয় না।
    জানেন,দাদা।
    একটা সময় আমার আত্মীয় বলতে কেউই ছিল না। কিন্তু যেদিন আমি এএসপি হিসেবে পুলিশে জয়েন করি, তারপর থেকে দেখি আমার আত্মীয়ের অভাব নেই। এখন আমার দুরসম্পর্কের মামাত বোনের শ্বশুরের ভাইয়ের মেয়েও ফোনে খবর নেয় লাঞ্চ করেছি কি - না! এমনকি লাঞ্চের ২০ মিনিট পর আবার ফোন দেয় কিছু খেয়েছি কি - না জানতে!
    আমি অবাক হয়ে শুনছি আর দেখছি ওনার হাতে ভালো শপিং সেন্টার থেকে শপিং করা দুটো ব্যাগ। যার একটাতে বাবার জন্য পাঞ্জাবি আর মায়ের জন্য শাড়ি। চাকরির বেতন পেয়েই কেনা।
    আপনি নিজেকে দুর্বল ভাববেন না। আপনি যত দুরবস্থায় থাকুন না কেন, আপনার জীবনের মোড় হয়তো এই ভদ্রলোকের গল্পের মতই ঘুরে যেতে পারে। শুধু ধৈর্য ধরুন।
    নেক্সট আসব আপনার লাইফের রিয়্যাল হার্ট টাচিং গল্প শুনতে। আপনি রেডি তো?
    সত্যজিৎ চক্রবর্তী....
    #bangla_motivational_Video
    #bangla_motivational_status
    #motivation
    #অনুপ্রেরণামুলক_ভিডিও
    #মটিভেশনাল_ভিডিও

Комментарии • 29