সিয়াম এবং সময়: তৎপর থাকার অপরিহার্যতা

Поделиться
HTML-код
  • Опубликовано: 8 фев 2025
  • সেহরির সময় শেষ মানে হলো ফজরের সময় শুরু এর সাথে আজান দেওয়া না দেওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই কারণ অধিকাংশ জায়গায় আজান বিলম্বে দিতে পারে তখন সেহরির সময় শেষ সাওমের সময় শুরু হয়ে দেরী হয়ে গেছে। এজন্য সঠিক সময় অনুসরণ করা অতীব গুরুত্বপূর্ণ। আজান যদি দিতে হয় আশা করি সঠিক সময় দিবে তৎক্ষণাৎ, ইনশাআল্লাহ।
    ছড়িয়ে পড়া উক্ত সাদা রেখা পরিদৃষ্ট হলে সাথে সাথে রোযাদারের জন্য পানাহার ইত্যাদি থেকে বিরত হওয়া ওয়াজেব। তাতে সে ফজরের আযান শুনুক, অথবা না শুনুক।
    কারণ, মহান আল্লাহ বলেন, ‘‘তোমরা পানাহার কর, যতক্ষণ পর্যন্ত না (রাতের) কালো অন্ধকার থেকে ফজরের সাদা রেখা তোমাদের নিকট স্পষ্ট হয়েছে।’’ (কুরআনুল কারীম ২/১৮৭)
    وَكُلُوْا وَاشْرَبُوْا حَتَّى يَتَبَيَّنَ لَكُمُ الْخَيْطُ الأَبْيَضُ مِنَ الْخَيْطِ الأَسْوَدِ مِنَ الْفَجْرِ
    অর্থাৎ, আর তোমরা পানাহার কর, যতক্ষণ পর্যন্ত না (রাতের) কালো অন্ধকার থেকে ফজরের সাদা রেখা তোমাদের নিকট স্পষ্ট হয়েছে। (কুরআনুল কারীম ২/১৮৭)
    রোযার নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত হয়ে গেলে রোযা খোলা বা ইফতার করার জন্য প্রত্যেক রোযাদারের অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করাটাই স্বাভাবিক। আর সেই সময় যে তার রোযা পূর্ণ করতে পারে প্রকৃতিগতভাবে সে খুশী হয়। অতএব ইফতার করতে তাড়াতাড়ি করাটাই স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু তা সত্ত্বেও দয়ার নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) আমাদেরকে সত্বর ইফতার করতে নির্দেশ দিয়েছেন এবং জানিয়েছেন যে, তাতে আমাদের মঙ্গল আছে।
    তিনি বলেন, ‘‘লোকেরা ততক্ষণ মঙ্গলে থাকবে, যতক্ষণ তারা (সূর্য ডোবার পর নামাযের আগে) ইফতার করতে তাড়াতাড়ি করবে।’’ [বুখারী ১৯৫৭, মুসলিম ১০৯৮নং]
    যেহেতু ইয়াহুদ ও খ্রিষ্টানরা রোযা রেখে দেরী করে ইফতার করে, তাই তিনি আমাদেরকে তাদের বিরুদ্ধাচরণ করতে আদেশ দিয়েছেন।
    তিনি বলেন, ‘‘দ্বীন ততকাল বিজয়ী থাকবে, যতকাল লোকেরা ইফতার করতে তাড়াতাড়ি করবে। কারণ, ইয়াহুদ ও খ্রিষ্টানরা দেরী করে ইফতার করে।’’[আবূ দাঊদ, হাকেম, মুস্তাদ্রাক, ইবনে হিববান, সহীহ, সহীহুল জামেইস সাগীর, আলবানী ৭৬৮৯নং]
    সময় হওয়ার সাথে সাথে শীঘ্র ইফতার করা নবুঅতের একটি আদর্শ। মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) বলেন, ‘‘তিনটি কাজ নবুয়তের আদর্শের অন্তর্ভুক্ত; জলদি ইফতার করা, দেরী করে (শেষ সময়ে) সেহরী খাওয়া এবং নামাযে ডান হাতকে বাম হাতের উপর রাখা।’’ [ত্বাবারানী, মু’জাম, মাজমাউয যাওয়ায়েদ ২/১০৫, সহীহুল জামেইস সাগীর, আলবানী ৩০৩৮নং]
    স্থানীয়ভাবে সূর্যের বৃত্তির সমস্ত অংশটা অদৃশ্য হয়ে (অস্ত) গেলে রোযাদারের উচিৎ, সাথে সাথে সেই সময় ইফতার করা। আর এ সময় নিম্ন আকাশে অবশিষ্ট লাল আভা থাকলেও তা দেখার নয়। যেহেতু মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) বলেন, ‘‘রাত যখন এদিক (পূর্ব গগণ) থেকে আগত হবে, দিন যখন এদিক (পশ্চিম গগণ) থেকে বিদায় নেবে এবং সূর্য যখন অস্ত যাবে, তখন রোযাদার ইফতার করবে।’’[বুখারী ১৯৪১, ১৯৫৪, মুসলিম ১১০০, ১১০১, আবূ দাঊদ ২৩৫১, ২৩৫২, তিরমিযী, দাঃ]
    অতএব দেখার বিষয় হল সূর্যাস্ত; আযান নয়। সুতরাং রোযাদার যদি সবচক্ষে দেখে যে, সূর্য ডুবে গেছে কিন্তু মুআযযিন এখনো আযান দেয়নি, তাহলেও তার জন্য ইফতার করা বৈধ। [আশ্শারহুল মুমতে’ ৬/৪৩৯]
    পক্ষান্তরে পূর্বসতর্কতামূলকভাবে মুআযযিনদের দেরী করে আযান দেওয়া বিদআত। [মু’জামুল বিদা’ ২৬৮পৃঃ]
    আবূ হুরাইরাহ (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ দীন বিজয়ী থাকবে যতদিন লোকেরা অবিলম্বে ইফতার করবে। কেননা ইয়াহূদী ও খৃস্টানরা বিলম্বে ইফতার করে। [সুনান আবূ দাউদ ২৩৫৩]
    ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) ..... সাহল ইবনু সা’দ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যতদিন মানুষ বিলম্ব না করে ইফত্বার করবে, ততদিন তারা কল্যাণের উপর থাকবে। [(ইসলামী ফাউন্ডেশন ২৪২১, ইসলামীক সেন্টার ২৪২০) হাদিসের মানঃ সহিহ, বর্ণনাকারীঃ সাহল বিন সা'দ (রাঃ), সহীহ মুসলিম ২৪৪৪ (হাদীস একাডেমী) ১৪। সিয়াম (রোযা) (كتاب الصيام)]
    উমার ইবনু খাত্তাব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন রাত্র সে দিক হতে ঘনিয়ে আসে ও দিন এ দিক হতে চলে যায় এবং সূর্য ডুবে যায়, তখন সায়িম ইফতার করবে। [(মুসলিম ১৩/১০, হাঃ ১১০০, আহমাদ ২৩১) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৮১৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৮২৭) হাদিসের মানঃ সহিহ, বর্ণনাকারীঃ উমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) সহীহ বুখারী ১৯৫৪ (তাওহীদ পাবলিকেশন) ৩০/ সাওম/রোযা (كتاب الصوم)]
    ‘আবদুল্লাহ ইবনু আবূ আওফা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, কোন এক সফরে আমরা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সাথে ছিলাম। আর তিনি ছিলেন সওমের অবস্থায়। যখন সূর্য ডুবে গেল তখন তিনি দলের কাউকে বললেনঃ হে অমুক! উঠ। আমাদের জন্য ছাতু গুলে আন। সে বলল, সন্ধ্যা হলে ভাল হতো। তিনি বললেনঃ নেমে যাও এবং আমাদের জন্য ছাতু গুলে আন। সে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! সন্ধ্যা হলে ভাল হতো। তিনি বললেনঃ নেমে যাও এবং আমাদের জন্য ছাতু গুলে আন। সে বলল, দিন তো এখনো রয়ে গেছে। তিনি বললেনঃ তুমি নামো এবং আমাদের জন্য ছাতু গুলে আন। অতঃপর সে নামল এবং তাঁদের জন্য ছাতু গুলে আনল। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা পান করলেন, অতঃপর বললেনঃ যখন তোমরা দেখবে, রাত একদিক হতে ঘনিয়ে আসছে, তখন সওম পালনকারী ইফতার করবে। [(১৯৪১) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৮১৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৮২৮) হাদিসের মানঃ সহিহ, বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আবূ আওফা (রাঃ), সহীহ বুখারী ১৯৫৫ (তাওহীদ পাবলিকেশন) ৩০/ সাওম/রোযা (كتاب الصوم)]
    সাহল ইবনু সা‘দ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ লোকেরা যতদিন শীঘ্র ইফতার করবে, ততদিন তারা কল্যাণের উপর থাকবে। [(মুসলিম ১৩/৯, হাঃ ১০৯৮, আহমাদ ২২৮২৮) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৮১৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৮৩০) হাদিসের মানঃ সহিহ বর্ণনাকারীঃ সাহল বিন সা'দ (রাঃ) সহীহ বুখারী ১৯৫৭ (তাওহীদ পাবলিকেশন) ৩০/ সাওম/রোযা (كتاب الصوم)]

Комментарии •