সেলাম চাচা। কন্ঠ: হেমাঙ্গ বিশ্বাস
HTML-код
- Опубликовано: 7 фев 2025
- লোকসঙ্গীতকে অবলম্বন করে গণসঙ্গীত সৃষ্টির ক্ষেত্রে হেমাঙ্গ বিশ্বাসের (জন্ম: ১৪ ডিসেম্বর ১৯১২ - মৃত্যূ: ২২ নভেম্বর ১৯৮৭) অবদান অপরিসীম। কোনো বানিজ্যিক উদ্দেশ্য ছাড়াই সারাজীবন শোষিত মানুষের জন্য গ্রামে-গঞ্জে গান করেছেন। অনেক বড় শিল্পীদের গড়ে ওঠা ও তাদের প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখলেও - জীবনের একেবারে শেষ পর্যায়ে এসে নিজের কন্ঠে কয়েকটি মাত্র গান রেকর্ড করেছেন।
হেমাঙ্গ বিশ্বাস ১৯৩৮-৩৯ খ্রিষ্টাব্দে বিনয় রায়, নিরঞ্জন সেন, দেবব্রত বিশ্বাস প্রমুখের সাথে ভারতীয় গণনাট্য সংঘ বা আই.পি.টি.এ গঠন করেন। পঞ্চাশের দশকে এই সংঘের শেষ অবধি তিনি এর সাথে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন। সেই সময়ে তার গান "তোমার কাস্তেটারে দিও জোরে শান", "কিষাণ ভাই তোর সোনার ধানে বর্গী" ইত্যাদি সাড়া ফেলেছিল।
হেমাঙ্গ বিশ্বাস বর্তমান বাংলাদেশের সিলেটের মিরাশির বাসিন্দা ছিলেন। কলেজে পড়ার সময়ে তিনি স্বাধীনতা আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন । তিনি ১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দে কমিউনিস্ট পার্টির সংস্পর্শে আসেন। ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দে কারাবন্দী থাকাকালে তিনি যক্ষারোগে আক্রান্ত হন। ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দে তেলেঙ্গানা আন্দোলনের সময়ে তিনি গ্রেফতার হন এবং তিন বছর বন্দী থাকেন। ১৯৫৩ সালের এপ্রিল মাসে বোম্বাই তে অনুষ্ঠিত আই পি টি এর সপ্তম সর্বভারতীয় সন্মেলনে হেমাংগ বিশ্বাসের নেতৃত্বে অসমের ৪০ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।
১৯৮৫ সালে, অর্থাৎ হেমাঙ্গ বিশ্বাসের ৭৩ বছর বয়সে সাউন্ড উইং কোম্পানী থেকে ‘হেমাঙ্গ বিশ্বাসের গান’ নামে একটি ক্যাসেট প্রকাশিত হয়। উনি নিজে গেয়েছেন মাস সিঙ্গার্স-এর সহশিল্পীদের নিয়ে। প্রথম গানটি হলো “সেলাম চাচা”। এটি অবশ্য তাঁর নিজের লেখা বা সুর নয়। ছেলেবেলায় শোনা ‘একটুকরো ভাটিয়ালী তাঁর কানে রয়ে গেছিল’। সেটিই তিনি গেয়েছেন, সেইভাবেই গানটির পরিচয় দিয়ে। অন্যের গান তিনি হয়ত আত্মীকরণ করে অনেক নতুন গানের জন্ম দিয়েছেন, কিন্তু কখনই আত্মসাৎ করেননি।
তার বিখ্যাত গানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য :
হবিগঞ্জের জালালী কইতর
শঙ্খচিলের গান
জন হেনরীর গান
বাঁচব বাঁচব রে আমরা
মশাল জ্বালো
সেলাম চাচা
আমি যে দেখেছি সেই দেশ
_______________________
সেলাম চাচা
কন্ঠ: হেমাঙ্গ বিশ্বাস
দৃশ্যনির্মাণ: রোকসানা আমিন
অসাধারন
খুব সুন্দর।
Are vai kolija tanda kora gan