স্বাধীনতার পাঁচটি কবিতা আবৃত্তি | স্বাধীনতা দিবস ও বিজয় দিবসে আবৃত্তির জন্য

Поделиться
HTML-код
  • Опубликовано: 21 окт 2024
  • স্বাধীনতার পাঁচটি কবিতা আবৃত্তি | স্বাধীনতা দিবস ও বিজয় দিবসে আবৃত্তির জন্য
    === কবিতা আবৃত্তি ক্রমানুসারে ===
    0:51 স্বাধীনতা, এই শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো - নির্মলেন্দু গুণ
    4:00 বাতাসে লাশের গন্ধ - রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্
    6:01 তোমাকে পাওয়ার জন্যে হে স্বাধীনতা - শামসুর রাহমান
    8:41 উচ্চারণগুলি শোকের - আবুল হাসান
    9:48 মুক্তিযোদ্ধা - জসীমউদ্দিন
    ১) স্বাধীনতা এই শব্দটি কিভাবে আমাদের হলো - নির্মলেন্দু গুণ
    একটি কবিতা লেখা হবে তার জন্য অপেক্ষার উত্তেজনা নিয়ে
    লক্ষ লক্ষ উন্মত্ত অধীর ব্যাকুল বিদ্রোহী শ্রোতা বসে আছে
    ভোর থেকে জনসমুদ্রের উদ্যান সৈকতে: ‘কখন আসবে কবি?’
    এই শিশু পার্ক সেদিন ছিল না,
    এই বৃক্ষে ফুলে শোভিত উদ্যান সেদিন ছিল না,
    এই তন্দ্রাচ্ছন্ন বিবর্ণ বিকেল সেদিন ছিল না৷
    তা হলে কেমন ছিল সেদিনের সেই বিকেল বেলাটি?
    তা হলে কেমন ছিল শিশু পার্কে, বেঞ্চে, বৃক্ষে, ফুলের বাগানে
    ঢেকে দেয়া এই ঢাকার হদৃয় মাঠখানি?
    জানি, সেদিনের সব স্মৃতি ,মুছে দিতে হয়েছে উদ্যত
    কালো হাত৷ তাই দেখি কবিহীন এই বিমুখ প্রান্তরে আজ
    কবির বিরুদ্ধে কবি,
    মাঠের বিরুদ্ধে মাঠ,
    বিকেলের বিরুদ্ধে বিকেল,
    উদ্যানের বিরুদ্ধে উদ্যান,
    মার্চের বিরুদ্ধে মার্চ … ৷
    হে অনাগত শিশু, হে আগামী দিনের কবি,
    শিশু পার্কের রঙিন দোলনায় দোল খেতে খেতে তুমি
    একদিন সব জানতে পারবে; আমি তোমাদের কথা ভেবে
    লিখে রেখে যাচ্ছি সেই শ্রেষ্ঠ বিকেলের গল্প৷
    সেই উদ্যানের রূপ ছিল ভিন্নতর৷
    না পার্ক না ফুলের বাগান, - এসবের কিছুই ছিল না,
    শুধু একখন্ড অখন্ড আকাশ যেরকম, সেরকম দিগন্ত প্লাবিত
    ধু ধু মাঠ ছিল দূর্বাদলে ঢাকা, সবুজে সবুজময়৷
    আমাদের স্বাধীনতা প্রিয় প্রাণের সবুজ এসে মিশেছিল
    এই ধু ধু মাঠের সবুজে৷
    কপালে কব্জিতে লালসালু বেঁধে
    এই মাঠে ছুটে এসেছিল কারখানা থেকে লোহার শ্রমিক,
    লাঙল জোয়াল কাঁধে এসেছিল ঝাঁক বেঁধে উলঙ্গ কৃষক,
    পুলিশের অস্ত্র কেড়ে নিয়ে এসেছিল প্রদীপ্ত যুবক৷
    হাতের মুঠোয় মৃত্যু, চোখে স্বপ্ন নিয়ে এসেছিল মধ্যবিত্ত,
    নিম্ন মধ্যবিত্ত, করুণ কেরানী, নারী, বৃদ্ধ, বেশ্যা, ভবঘুরে
    আর তোমাদের মত শিশু পাতা-কুড়ানীরা দল বেঁধে৷
    একটি কবিতা পড়া হবে, তার জন্যে কী ব্যাকুল
    প্রতীক্ষা মানুষের: “কখন আসবে কবি?’ “কখন আসবে কবি?’
    শত বছরের শত সংগ্রাম শেষে,
    রবীন্দ্রনাথের মতো দৃপ্ত পায়ে হেঁটে
    অত:পর কবি এসে জনতার মঞ্চে দাঁড়ালেন৷
    তখন পলকে দারুণ ঝলকে তরীতে উঠিল জল,
    হদৃয়ে লাগিল দোলা, জনসমুদ্রে জাগিল জোয়ার
    সকল দুয়ার খোলা৷ কে রোধে তাঁহার বজ্রকন্ঠ বাণী?
    গণসূর্যের মঞ্চ কাঁপিয়ে কবি শোনালেন তাঁর অমর-কবিতাখানি:
    ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম,
    এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম৷’
    সেই থেকে স্বাধীনতা শব্দটি আমাদের৷
    ২) বাতাসে লাশের গন্ধ - রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্
    আজো আমি বাতাসে লাশের গন্ধ পাই
    আজো আমি মাটিতে মৃত্যূর নগ্ননৃত্য দেখি,
    ধর্ষিতার কাতর চিৎকার শুনি আজো আমি তন্দ্রার ভেতরে…
    এ দেশ কি ভুলে গেছে সেই দু:স্বপ্নের রাত, সেই রক্তাক্ত সময় ?
    বাতাসে লাশের গন্ধ ভাসে
    মাটিতে লেগে আছে রক্তের দাগ।
    এই রক্তমাখা মটির ললাট ছুঁয়ে একদিন যারা বুক বেঁধেছিলো।
    জীর্ণ জীবনের পুঁজে তারা খুঁজে নেয় নিষিদ্ধ আধাঁর,
    আজ তারা আলোহীন খাঁচা ভালোবেসে জেগে থাকে রাত্রির গুহায়।
    এ যেন নষ্ট জন্মের লজ্জায় আরষ্ট কুমারী জননী,
    স্বাধীনতা - একি হবে নষ্ট জন্ম ?
    একি তবে পিতাহীন জননীর লজ্জার ফসল ?
    জাতির পতাকা খামচে ধরেছে আজ পুরোনো শকুন।
    বাতাশে লাশের গন্ধ
    নিয়ন আলোয় তবু নর্তকীর দেহে দুলে মাংসের তুফান।
    মাটিতে রক্তের দাগ -
    চালের গুদামে তবু জমা হয় অনাহারী মানুষের হাড়
    এ চোখে ঘুম আসেনা। সারারাত আমার ঘুম আসেনা-
    তন্দ্রার ভেতরে আমি শুনি ধর্ষিতার করুণ চিৎকার,
    নদীতে পানার মতো ভেসে থাকা মানুষের পচা লাশ
    মুন্ডহীন বালিকার কুকুরে খাওয়া বিভৎস্য শরীর
    ভেসে ওঠে চোখের ভেতরে। আমি ঘুমুতে পারিনা, আমি
    ঘুমুতে পারিনা…
    রক্তের কাফনে মোড়া - কুকুরে খেয়েছে যারে, শকুনে খেয়েছে যারে
    সে আমার ভাই, সে আমার মা, সে আমার প্রিয়তম পিতা।
    স্বাধীনতা, সে আমার - স্বজন, হারিয়ে পাওয়া একমাত্র স্বজন -
    স্বাধীনতা - আমার প্রিয় মানুষের রক্তে কেনা অমূল্য ফসল।
    ধর্ষিতা বোনের শাড়ী ওই আমার রক্তাক্ত জাতির পতাকা।

Комментарии • 49

  • @najrinara7003
    @najrinara7003 Год назад +5

    আমি মনের মত বিজয় দিবসে আবৃত্তি করার জন্য কবিতা খুঁজছিলাম। শামসুর রাহমানের কবিতা আগেই করেছি। কিন্তু নির্মেলেন্দু গুঢ, জসিমঊদ্দীনের নাইস কবিতা শুনলাম। ধন্যবাদ।

  • @shamimakhanum6410
    @shamimakhanum6410 2 года назад +4

    অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ♥️♥️♥️

  • @arponaich6345
    @arponaich6345 6 месяцев назад

    জাস্ট অসাধারণ!

  • @biddutkhan7334
    @biddutkhan7334 2 года назад +3

    স্যার, অনেক সুন্দর উপস্থাপন। অনেক উপকৃত হলাম।

  • @shailaakterofficial9816
    @shailaakterofficial9816 2 года назад +3

    অসাধারণ আবৃত্তি 🇧🇩

  • @salinaparvin7967
    @salinaparvin7967 Год назад +1

    Osadharon aponer abiti

  • @abusayedofficial5682
    @abusayedofficial5682 2 года назад +3

    অসাধারণ আবৃত্তি ❤️❤️❤️

  • @supravadas2829
    @supravadas2829 Год назад +1

    খুব সুন্দর স্যার🙏🏻🙏🏻🙏🏻

  • @SalmaKhatun-kt1ko
    @SalmaKhatun-kt1ko 2 года назад +2

    Thank you vai

  • @lunahabib5064
    @lunahabib5064 2 года назад +2

    খুব ভালো লাগছে।

  • @ayeshalucky818
    @ayeshalucky818 Год назад +1

    অসম্ভব সুন্দর কণ্ঠশিল্প!

  • @AFS06
    @AFS06 2 года назад +6

    স্কুলে কিভাবে উপস্থিত বক্তৃতা দিতে হয় তা নিয়ে একটি ভিডিও চাই ভাইয়া।plz

  • @MdAkash-oc5cs
    @MdAkash-oc5cs 2 года назад +1

    অসম্ভব সুন্দর আবৃত্তি শুনলাম 💝

  • @AnisulIslamOfficial
    @AnisulIslamOfficial  2 года назад +4

    ডেসক্রিপশন বক্সে ১ ও ২ নম্বর কবিতাটি আছে,
    আর বাকিগুলো এখানে দেয়া হলো।
    ৩) তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা -
    শামসুর রাহমান
    তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা,
    তোমাকে পাওয়ার জন্যে
    আর কতবার ভাসতে হবে রক্তগঙ্গায় ?
    আর কতবার দেখতে হবে খাণ্ডবদাহন ?
    তুমি আসবে ব’লে, হে স্বাধীনতা,
    সাকিনা বিবির কপাল ভাঙলো,
    সিঁথির সিঁদুর গেল হরিদাসীর।
    তুমি আসবে ব’লে, হে স্বাধীনতা,
    শহরের বুকে জলপাইয়ের রঙের ট্যাঙ্ক এলো
    দানবের মত চিত্কার করতে করতে
    তুমি আসবে ব’লে, হে স্বাধীনতা,
    ছাত্রাবাস বস্তি উজাড় হলো। রিকয়েললেস রাইফেল
    আর মেশিনগান খই ফোটালো যত্রতত্র।
    তুমি আসবে ব’লে, ছাই হলো গ্রামের পর গ্রাম।
    তুমি আসবে ব’লে, বিধ্বস্ত পাড়ায় প্রভূর বাস্তুভিটার
    ভগ্নস্তূপে দাঁড়িয়ে একটানা আর্তনাদ করলো একটা কুকুর।
    তুমি আসবে ব’লে, হে স্বাধীনতা,
    অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিলো পিতামাতার লাশের উপর।
    তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা, তোমাকে পাওয়ার জন্যে
    আর কতবার ভাসতে হবে রক্তগঙ্গায় ?
    আর কতবার দেখতে হবে খাণ্ডবদাহন ?
    স্বাধীনতা, তোমার জন্যে এক থুত্থুরে বুড়ো
    উদাস দাওয়ায় ব’সে আছেন - তাঁর চোখের নিচে অপরাহ্ণের
    দুর্বল আলোর ঝিলিক, বাতাসে নড়ছে চুল।
    স্বাধীনতা, তোমার জন্যে
    মোল্লাবাড়ির এক বিধবা দাঁড়িয়ে আছে
    নড়বড়ে খুঁটি ধ’রে দগ্ধ ঘরের।
    স্বাধীনতা, তোমার জন্যে
    হাড্ডিসার এক অনাথ কিশোরী শূন্য থালা হাতে
    বসে আছে পথের ধারে।
    তোমার জন্যে,
    সগীর আলী, শাহবাজপুরের সেই জোয়ান কৃষক,
    কেষ্ট দাস, জেলেপাড়ার সবচেয়ে সাহসী লোকটা,
    মতলব মিয়া, মেঘনা নদীর দক্ষ মাঝি,
    গাজী গাজী ব’লে নৌকা চালায় উদ্দান ঝড়ে
    রুস্তম শেখ, ঢাকার রিকশাওয়ালা, যার ফুসফুস
    এখন পোকার দখলে
    আর রাইফেল কাঁধে বনে জঙ্গলে ঘুড়ে বেড়ানো
    সেই তেজী তরুণ যার পদভারে
    একটি নতুন পৃথিবীর জন্ম হ’তে চলেছে -
    সবাই অধীর প্রতীক্ষা করছে তোমার জন্যে, হে স্বাধীনতা।
    পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে জলন্ত
    ঘোষণার ধ্বনি-প্রতিধ্বনি তুলে,
    মতুন নিশান উড়িয়ে, দামামা বাজিয়ে দিগ্বিদিক
    এই বাংলায়
    তোমাকেই আসতে হবে, হে স্বাধীনতা।
    ৪) উচ্চারণগুলি শোকের - আবুল হাসান
    লক্ষ্মী বউটিকে
    আমি আজ আর কোথাও দেখি না,
    হাঁটি হাঁটি শিশুটিকে
    কোথাও দেখি না,
    কতগুলি রাজহাঁস দেখি
    নরম শরীর ভরা রাজহাঁস দেখি,
    কতগুলি মুখস্থ মানুষ দেখি, বউটিকে কোথাও দেখি না
    শিশুটিকে কোথাও দেখি না!
    তবে কি বউটি রাজহাঁস?
    তবে কি শিশুটি আজ
    সবুজ মাঠের সূর্য, সবুজ আকাশ?
    অনেক রক্ত যুদ্ধ গেল,
    অনেক রক্ত গেল,
    শিমুল তুলোর মতো
    সোনারুপো ছড়াল বাতাস।
    ছোট ভাইটিকে আমি
    কোথাও দেখি না,
    নরম নোলক পরা বোনটিকে
    আজ আর কোথাও দেখি না!
    কেবল পতাকা দেখি,
    কেবল উৎসব দেখি,
    স্বাধীনতা দেখি,
    তবে কি আমার ভাই আজ
    ঐ স্বাধীন পাতাকা?
    তবে কি আমার বোন, তিমিরের বেদিতে উৎসব?
    ৫) মুক্তিযোদ্ধা-জসীমউদদীন
    আমি একজন মুক্তি-যোদ্ধা, মৃত্যু পিছনে আগে,
    ভয়াল বিশাল নখর মেলিয়া দিবস রজনী জাগী ।
    কখনো সে ধরে রেজাকার বেশ, কখনো সে খান-সেনা,
    কখনো সে ধরে ধর্ম লেবাস পশ্চিম হতে কেনা।
    কখনো সে পশি ঢাকা-বেতারের সংরক্ষিত ঘরে,
    ক্ষেপা কুকুরের মরণ-কামড় হানিছে ক্ষিপ্ত স্বরে।
    আমি চলিয়াছি চির-নির্ভীক অবহেলি সবকিছু
    নরমুণ্ডের ঢেলা ছড়াইয়া পশ্চাত-পথ পিছু।
    ভাঙিতেছি স্কুল ভাঙিতেছি সেতু ষ্টিমার জাহাজ লরি,
    খান-সৈন্যরা যেই পথে যায় আমি সে পথের অরি
    ওরা ভাড়া-করা ঘৃণ্য গোলাম স্বার্থ-অন্ধ সব,
    মিথ্যার কাছে বিকাতে এসেছে স্বদেশের বৈভব!
    আমরা চলেছি রক্ষা করিতে মা-বোনের ইজ্জত,
    শত শহীদের লোহুতে জ্বালানো আমাদের হিম্মত।
    ভয়াল বিশাল আঁধার রাত্রে ঘন-অরণ্য ছায়,
    লুণ্ঠিত আর দগ্ধ-গ্রামের অনল সম্মুখে ধায়।
    তাহার আলোতে চলিয়াছি পথ, মৃত্যুর তরবার,
    হস্তে ধরিয়া কাটিয়া চলেছি খান-সেনা অনিবার।
    এ সোনার দেশে যতদিন রবে একটিও খান-সেনা,
    ততদিন তব মোদের যাত্রা মুহুর্তে থামিবে না।
    মাঠগুলি পুনঃ ফসলে ফসলে পরিবে রঙিন বেশ,
    লক্ষ্মীর ঝাঁপি গড়ায়ে ছড়ায়ে ভরিবে সকল দেশ।
    মায়ের ছেলেরা হবে নির্ভর, সুখ হাসি ভরা ঘরে,
    দস্যুবিহীন এদেশ আবার শোভিবে সুষম ভরে।

    • @nometadeb8289
      @nometadeb8289 2 года назад +1

      Thank you vaiya.

    • @dipabanik9803
      @dipabanik9803 2 года назад

      আপনাদের কোন আবৃত্তি স্কুল বাড্ডডা -শাহজাদপুর কোন আছে?

    • @AnisulIslamOfficial
      @AnisulIslamOfficial  2 года назад

      @@dipabanik9803 নাহ, অনলাইনে শেখানো হয়

    • @smshown8227
      @smshown8227 2 года назад

      এক নাম্বার আর দুই নাম্বার অ্যাড করেন নাই যে

    • @AnisulIslamOfficial
      @AnisulIslamOfficial  2 года назад

      @@smshown8227 ডেসক্রিপশন বক্সে আছে

  • @sidratulmuntaha2316
    @sidratulmuntaha2316 2 года назад +2

    Super super super 💓☺️

  • @hedayetsuhel1868
    @hedayetsuhel1868 5 месяцев назад

    Super

  • @raiyangamer8650
    @raiyangamer8650 2 года назад +1

    ভালো কবিতা 😍🥰

  • @snuniquetech
    @snuniquetech 2 года назад +1

    Excellent video brother

  • @ratnabintemohammad
    @ratnabintemohammad 10 месяцев назад +2

    আজো আমি বাতাসে লাশের গন্ধ পাই
    আজো আমি মাটিতে মৃত্যূর নগ্ননৃত্য দেখি,
    ধর্ষিতার কাতর চিৎকার শুনি আজো আমি তন্দ্রার ভেতরে…
    এ দেশ কি ভুলে গেছে সেই দু:স্বপ্নের রাত, সেই রক্তাক্ত সময় ?
    বাতাসে লাশের গন্ধ ভাসে
    মাটিতে লেগে আছে রক্তের দাগ।
    এই রক্তমাখা মটির ললাট ছুঁয়ে একদিন যারা বুক বেঁধেছিলো।
    জীর্ণ জীবনের পুঁজে তারা খুঁজে নেয় নিষিদ্ধ আধাঁর,
    আজ তারা আলোহীন খাঁচা ভালোবেসে জেগে থাকে রাত্রির গুহায়।
    এ যেন নষ্ট জন্মের লজ্জায় আরষ্ট কুমারী জননী,
    স্বাধীনতা - একি হবে নষ্ট জন্ম ?
    একি তবে পিতাহীন জননীর লজ্জার ফসল ?
    জাতির পতাকা খামচে ধরেছে আজ পুরোনো শকুন।
    বাতাশে লাশের গন্ধ
    নিয়ন আলোয় তবু নর্তকীর দেহে দুলে মাংসের তুফান।
    মাটিতে রক্তের দাগ -
    চালের গুদামে তবু জমা হয় অনাহারী মানুষের হাড়
    এ চোখে ঘুম আসেনা। সারারাত আমার ঘুম আসেনা-
    তন্দ্রার ভেতরে আমি শুনি ধর্ষিতার করুণ চিৎকার,
    নদীতে পানার মতো ভেসে থাকা মানুষের পচা লাশ
    মুন্ডহীন বালিকার কুকুরে খাওয়া বিভৎস্য শরীর
    ভেসে ওঠে চোখের ভেতরে। আমি ঘুমুতে পারিনা, আমি
    ঘুমুতে পারিনা…
    রক্তের কাফনে মোড়া - কুকুরে খেয়েছে যারে, শকুনে খেয়েছে যারে
    সে আমার ভাই, সে আমার মা, সে আমার প্রিয়তম পিতা।
    স্বাধীনতা, সে আমার - স্বজন, হারিয়ে পাওয়া একমাত্র স্বজন -
    স্বাধীনতা - আমার প্রিয় মানুষের রক্তে কেনা অমূল্য ফসল।
    ধর্ষিতা বোনের শাড়ী ওই আমার রক্তাক্ত জাতির পতাকা।

  • @sakib_al_hasan_07
    @sakib_al_hasan_07 2 года назад +4

    Nice

  • @salmaakter3423
    @salmaakter3423 2 года назад +1

    Tnx

  • @club8445
    @club8445 Год назад +2

    😊

  • @nahidaafrose1892
    @nahidaafrose1892 2 года назад +1

    Masallah

  • @md.sharifulislam4934
    @md.sharifulislam4934 7 месяцев назад +1

    ধন্যবাদ

  • @BethiAkterStudent
    @BethiAkterStudent 10 месяцев назад +1

    অসাধারণ আবৃত্তি। কিন্তু আবৃত্তি করার সময় কবিতার নাম এবং কবির নাম কিভাবে বলতে হবে ?

    • @AnisulIslamOfficial
      @AnisulIslamOfficial  10 месяцев назад

      যেমন - আবৃত্তি করছি কবি কাজী নজরুল ইসলামের ছড়া লিচু চোর। এভাবে বলতে হবে।

  • @user-iw2vw6sd7y
    @user-iw2vw6sd7y Год назад +2

    🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩

  • @Subahsdailylearning
    @Subahsdailylearning Год назад +1

    স্যার, আসসালামু আলাইকুম। আমি আপনার ছাত্রী। ছোটোদের জন্য বিজয় দিবসের কবিতা দেন। প্লিজ।

  • @abdurrahmansykat6299
    @abdurrahmansykat6299 2 года назад +1

    Dear প্রিয় স্যার। আমি কি ভাইবা প্রস্তুতি ক্ষেত্র হিসেবে এই কবিতা গুলো অনুশীলন করতে পারি। জানাবেন। ধন্যবাদ।

  • @morshedhossenofficial1690
    @morshedhossenofficial1690 2 года назад +1

    ♥♥♥♥♥

  • @sanjitkumarroy-h1l
    @sanjitkumarroy-h1l 10 месяцев назад +1

    কেমনআছেনছার🎉❤

  • @AFS06
    @AFS06 2 года назад +1

    কালকের ভিতর চাই plz.

  • @mdrayhanulislam9694
    @mdrayhanulislam9694 6 месяцев назад

    কবিতাটি কোন ছন্দে রচিত ভাই?

  • @subhakantabera6079
    @subhakantabera6079 2 года назад +1

    মহাশয় আপনার ,ph no দেওয়া যাবে

  • @salinaparvin7967
    @salinaparvin7967 Год назад +1

    Ditio kabiter nam ki

  • @MdBablu-iy6ul
    @MdBablu-iy6ul 2 года назад +1

    Plz

  • @MdBablu-iy6ul
    @MdBablu-iy6ul 2 года назад +1

    Baiya apni leke den

    • @AnisulIslamOfficial
      @AnisulIslamOfficial  2 года назад

      লেখা আছে তো, ডেসক্রিপশন বক্সে।

    • @MdBablu-iy6ul
      @MdBablu-iy6ul 2 года назад

      @@AnisulIslamOfficial baiya apni j poem gula muka bolcan. Oi gula leke den

    • @MdBablu-iy6ul
      @MdBablu-iy6ul 2 года назад

      Plz

    • @AnisulIslamOfficial
      @AnisulIslamOfficial  2 года назад

      ১) স্বাধীনতা এই শব্দটি কিভাবে আমাদের হলো - নির্মলেন্দু গুণ
      একটি কবিতা লেখা হবে তার জন্য অপেক্ষার উত্তেজনা নিয়ে
      লক্ষ লক্ষ উন্মত্ত অধীর ব্যাকুল বিদ্রোহী শ্রোতা বসে আছে
      ভোর থেকে জনসমুদ্রের উদ্যান সৈকতে: ‘কখন আসবে কবি?’
      এই শিশু পার্ক সেদিন ছিল না,
      এই বৃক্ষে ফুলে শোভিত উদ্যান সেদিন ছিল না,
      এই তন্দ্রাচ্ছন্ন বিবর্ণ বিকেল সেদিন ছিল না৷
      তা হলে কেমন ছিল সেদিনের সেই বিকেল বেলাটি?
      তা হলে কেমন ছিল শিশু পার্কে, বেঞ্চে, বৃক্ষে, ফুলের বাগানে
      ঢেকে দেয়া এই ঢাকার হদৃয় মাঠখানি?
      জানি, সেদিনের সব স্মৃতি ,মুছে দিতে হয়েছে উদ্যত
      কালো হাত৷ তাই দেখি কবিহীন এই বিমুখ প্রান্তরে আজ
      কবির বিরুদ্ধে কবি,
      মাঠের বিরুদ্ধে মাঠ,
      বিকেলের বিরুদ্ধে বিকেল,
      উদ্যানের বিরুদ্ধে উদ্যান,
      মার্চের বিরুদ্ধে মার্চ … ৷
      হে অনাগত শিশু, হে আগামী দিনের কবি,
      শিশু পার্কের রঙিন দোলনায় দোল খেতে খেতে তুমি
      একদিন সব জানতে পারবে; আমি তোমাদের কথা ভেবে
      লিখে রেখে যাচ্ছি সেই শ্রেষ্ঠ বিকেলের গল্প৷
      সেই উদ্যানের রূপ ছিল ভিন্নতর৷
      না পার্ক না ফুলের বাগান, - এসবের কিছুই ছিল না,
      শুধু একখন্ড অখন্ড আকাশ যেরকম, সেরকম দিগন্ত প্লাবিত
      ধু ধু মাঠ ছিল দূর্বাদলে ঢাকা, সবুজে সবুজময়৷
      আমাদের স্বাধীনতা প্রিয় প্রাণের সবুজ এসে মিশেছিল
      এই ধু ধু মাঠের সবুজে৷
      কপালে কব্জিতে লালসালু বেঁধে
      এই মাঠে ছুটে এসেছিল কারখানা থেকে লোহার শ্রমিক,
      লাঙল জোয়াল কাঁধে এসেছিল ঝাঁক বেঁধে উলঙ্গ কৃষক,
      পুলিশের অস্ত্র কেড়ে নিয়ে এসেছিল প্রদীপ্ত যুবক৷
      হাতের মুঠোয় মৃত্যু, চোখে স্বপ্ন নিয়ে এসেছিল মধ্যবিত্ত,
      নিম্ন মধ্যবিত্ত, করুণ কেরানী, নারী, বৃদ্ধ, বেশ্যা, ভবঘুরে
      আর তোমাদের মত শিশু পাতা-কুড়ানীরা দল বেঁধে৷
      একটি কবিতা পড়া হবে, তার জন্যে কী ব্যাকুল
      প্রতীক্ষা মানুষের: “কখন আসবে কবি?’ “কখন আসবে কবি?’
      শত বছরের শত সংগ্রাম শেষে,
      রবীন্দ্রনাথের মতো দৃপ্ত পায়ে হেঁটে
      অত:পর কবি এসে জনতার মঞ্চে দাঁড়ালেন৷
      তখন পলকে দারুণ ঝলকে তরীতে উঠিল জল,
      হদৃয়ে লাগিল দোলা, জনসমুদ্রে জাগিল জোয়ার
      সকল দুয়ার খোলা৷ কে রোধে তাঁহার বজ্রকন্ঠ বাণী?
      গণসূর্যের মঞ্চ কাঁপিয়ে কবি শোনালেন তাঁর অমর-কবিতাখানি:
      ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম,
      এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম৷’
      সেই থেকে স্বাধীনতা শব্দটি আমাদের৷
      ২) বাতাসে লাশের গন্ধ - রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্
      আজো আমি বাতাসে লাশের গন্ধ পাই
      আজো আমি মাটিতে মৃত্যূর নগ্ননৃত্য দেখি,
      ধর্ষিতার কাতর চিৎকার শুনি আজো আমি তন্দ্রার ভেতরে…
      এ দেশ কি ভুলে গেছে সেই দু:স্বপ্নের রাত, সেই রক্তাক্ত সময় ?
      বাতাসে লাশের গন্ধ ভাসে
      মাটিতে লেগে আছে রক্তের দাগ।
      এই রক্তমাখা মটির ললাট ছুঁয়ে একদিন যারা বুক বেঁধেছিলো।
      জীর্ণ জীবনের পুঁজে তারা খুঁজে নেয় নিষিদ্ধ আধাঁর,
      আজ তারা আলোহীন খাঁচা ভালোবেসে জেগে থাকে রাত্রির গুহায়।
      এ যেন নষ্ট জন্মের লজ্জায় আরষ্ট কুমারী জননী,
      স্বাধীনতা - একি হবে নষ্ট জন্ম ?
      একি তবে পিতাহীন জননীর লজ্জার ফসল ?
      জাতির পতাকা খামচে ধরেছে আজ পুরোনো শকুন।
      বাতাশে লাশের গন্ধ
      নিয়ন আলোয় তবু নর্তকীর দেহে দুলে মাংসের তুফান।
      মাটিতে রক্তের দাগ -
      চালের গুদামে তবু জমা হয় অনাহারী মানুষের হাড়
      এ চোখে ঘুম আসেনা। সারারাত আমার ঘুম আসেনা-
      তন্দ্রার ভেতরে আমি শুনি ধর্ষিতার করুণ চিৎকার,
      নদীতে পানার মতো ভেসে থাকা মানুষের পচা লাশ
      মুন্ডহীন বালিকার কুকুরে খাওয়া বিভৎস্য শরীর
      ভেসে ওঠে চোখের ভেতরে। আমি ঘুমুতে পারিনা, আমি
      ঘুমুতে পারিনা…
      রক্তের কাফনে মোড়া - কুকুরে খেয়েছে যারে, শকুনে খেয়েছে যারে
      সে আমার ভাই, সে আমার মা, সে আমার প্রিয়তম পিতা।
      স্বাধীনতা, সে আমার - স্বজন, হারিয়ে পাওয়া একমাত্র স্বজন -
      স্বাধীনতা - আমার প্রিয় মানুষের রক্তে কেনা অমূল্য ফসল।
      ধর্ষিতা বোনের শাড়ী ওই আমার রক্তাক্ত জাতির পতাকা।

    • @AnisulIslamOfficial
      @AnisulIslamOfficial  2 года назад

      ৩) তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা -
      শামসুর রাহমান
      তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা,
      তোমাকে পাওয়ার জন্যে
      আর কতবার ভাসতে হবে রক্তগঙ্গায় ?
      আর কতবার দেখতে হবে খাণ্ডবদাহন ?
      তুমি আসবে ব’লে, হে স্বাধীনতা,
      সাকিনা বিবির কপাল ভাঙলো,
      সিঁথির সিঁদুর গেল হরিদাসীর।
      তুমি আসবে ব’লে, হে স্বাধীনতা,
      শহরের বুকে জলপাইয়ের রঙের ট্যাঙ্ক এলো
      দানবের মত চিত্কার করতে করতে
      তুমি আসবে ব’লে, হে স্বাধীনতা,
      ছাত্রাবাস বস্তি উজাড় হলো। রিকয়েললেস রাইফেল
      আর মেশিনগান খই ফোটালো যত্রতত্র।
      তুমি আসবে ব’লে, ছাই হলো গ্রামের পর গ্রাম।
      তুমি আসবে ব’লে, বিধ্বস্ত পাড়ায় প্রভূর বাস্তুভিটার
      ভগ্নস্তূপে দাঁড়িয়ে একটানা আর্তনাদ করলো একটা কুকুর।
      তুমি আসবে ব’লে, হে স্বাধীনতা,
      অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিলো পিতামাতার লাশের উপর।
      তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা, তোমাকে পাওয়ার জন্যে
      আর কতবার ভাসতে হবে রক্তগঙ্গায় ?
      আর কতবার দেখতে হবে খাণ্ডবদাহন ?
      স্বাধীনতা, তোমার জন্যে এক থুত্থুরে বুড়ো
      উদাস দাওয়ায় ব’সে আছেন - তাঁর চোখের নিচে অপরাহ্ণের
      দুর্বল আলোর ঝিলিক, বাতাসে নড়ছে চুল।
      স্বাধীনতা, তোমার জন্যে
      মোল্লাবাড়ির এক বিধবা দাঁড়িয়ে আছে
      নড়বড়ে খুঁটি ধ’রে দগ্ধ ঘরের।
      স্বাধীনতা, তোমার জন্যে
      হাড্ডিসার এক অনাথ কিশোরী শূন্য থালা হাতে
      বসে আছে পথের ধারে।
      তোমার জন্যে,
      সগীর আলী, শাহবাজপুরের সেই জোয়ান কৃষক,
      কেষ্ট দাস, জেলেপাড়ার সবচেয়ে সাহসী লোকটা,
      মতলব মিয়া, মেঘনা নদীর দক্ষ মাঝি,
      গাজী গাজী ব’লে নৌকা চালায় উদ্দান ঝড়ে
      রুস্তম শেখ, ঢাকার রিকশাওয়ালা, যার ফুসফুস
      এখন পোকার দখলে
      আর রাইফেল কাঁধে বনে জঙ্গলে ঘুড়ে বেড়ানো
      সেই তেজী তরুণ যার পদভারে
      একটি নতুন পৃথিবীর জন্ম হ’তে চলেছে -
      সবাই অধীর প্রতীক্ষা করছে তোমার জন্যে, হে স্বাধীনতা।
      পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে জলন্ত
      ঘোষণার ধ্বনি-প্রতিধ্বনি তুলে,
      মতুন নিশান উড়িয়ে, দামামা বাজিয়ে দিগ্বিদিক
      এই বাংলায়
      তোমাকেই আসতে হবে, হে স্বাধীনতা।
      ৪) উচ্চারণগুলি শোকের - আবুল হাসান
      লক্ষ্মী বউটিকে
      আমি আজ আর কোথাও দেখি না,
      হাঁটি হাঁটি শিশুটিকে
      কোথাও দেখি না,
      কতগুলি রাজহাঁস দেখি
      নরম শরীর ভরা রাজহাঁস দেখি,
      কতগুলি মুখস্থ মানুষ দেখি, বউটিকে কোথাও দেখি না
      শিশুটিকে কোথাও দেখি না!
      তবে কি বউটি রাজহাঁস?
      তবে কি শিশুটি আজ
      সবুজ মাঠের সূর্য, সবুজ আকাশ?
      অনেক রক্ত যুদ্ধ গেল,
      অনেক রক্ত গেল,
      শিমুল তুলোর মতো
      সোনারুপো ছড়াল বাতাস।
      ছোট ভাইটিকে আমি
      কোথাও দেখি না,
      নরম নোলক পরা বোনটিকে
      আজ আর কোথাও দেখি না!
      কেবল পতাকা দেখি,
      কেবল উৎসব দেখি,
      স্বাধীনতা দেখি,
      তবে কি আমার ভাই আজ
      ঐ স্বাধীন পাতাকা?
      তবে কি আমার বোন, তিমিরের বেদিতে উৎসব?
      ৫) মুক্তিযোদ্ধা-জসীমউদদীন
      আমি একজন মুক্তি-যোদ্ধা, মৃত্যু পিছনে আগে,
      ভয়াল বিশাল নখর মেলিয়া দিবস রজনী জাগী ।
      কখনো সে ধরে রেজাকার বেশ, কখনো সে খান-সেনা,
      কখনো সে ধরে ধর্ম লেবাস পশ্চিম হতে কেনা।
      কখনো সে পশি ঢাকা-বেতারের সংরক্ষিত ঘরে,
      ক্ষেপা কুকুরের মরণ-কামড় হানিছে ক্ষিপ্ত স্বরে।
      আমি চলিয়াছি চির-নির্ভীক অবহেলি সবকিছু
      নরমুণ্ডের ঢেলা ছড়াইয়া পশ্চাত-পথ পিছু।
      ভাঙিতেছি স্কুল ভাঙিতেছি সেতু ষ্টিমার জাহাজ লরি,
      খান-সৈন্যরা যেই পথে যায় আমি সে পথের অরি
      ওরা ভাড়া-করা ঘৃণ্য গোলাম স্বার্থ-অন্ধ সব,
      মিথ্যার কাছে বিকাতে এসেছে স্বদেশের বৈভব!
      আমরা চলেছি রক্ষা করিতে মা-বোনের ইজ্জত,
      শত শহীদের লোহুতে জ্বালানো আমাদের হিম্মত।
      ভয়াল বিশাল আঁধার রাত্রে ঘন-অরণ্য ছায়,
      লুণ্ঠিত আর দগ্ধ-গ্রামের অনল সম্মুখে ধায়।
      তাহার আলোতে চলিয়াছি পথ, মৃত্যুর তরবার,
      হস্তে ধরিয়া কাটিয়া চলেছি খান-সেনা অনিবার।
      এ সোনার দেশে যতদিন রবে একটিও খান-সেনা,
      ততদিন তব মোদের যাত্রা মুহুর্তে থামিবে না।
      মাঠগুলি পুনঃ ফসলে ফসলে পরিবে রঙিন বেশ,
      লক্ষ্মীর ঝাঁপি গড়ায়ে ছড়ায়ে ভরিবে সকল দেশ।
      মায়ের ছেলেরা হবে নির্ভর, সুখ হাসি ভরা ঘরে,
      দস্যুবিহীন এদেশ আবার শোভিবে সুষম ভরে।

  • @MdMainul-cj8mq
    @MdMainul-cj8mq 7 месяцев назад

    😅😅😅😅