Vi, apni thik bolechen. Eto important lecture er background e ei music deyata ekta beyadobi. Eta shoytaner kaj. Lecture er importance komanor jonno eta kora hoyeche. Ei beta ekta original shoytan.
শাইখ, আসসালামু আলাইকুম। আল্লাহ আপনাকে নেক হায়াত দান করুক, আমিন।। আপনার ওয়াজে অনেক শিক্ষনীয় বিষয় থকে, আপনি একজন ভালো শিক্ষক এর মত শিক্ষা দিচ্ছেন। আল্লাহ আপনাকে কবুল করুক, আমিন।।।।
পবিত্র ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করতে কি কোন দলিল প্রয়োজন আছে? নবীজি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পেয়ে সকল মু’মীনগণ অবশ্যই খুশি এবং আনন্দিত। তার পরেও যারা দলিল চান তাদের দলিল দিলাম। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুমহান বেলাদত শরীফ উনার সম্মানার্থে, উনার জন্য ‘ফালইয়াফরাহু’ বা খুশি মুবারক প্রকাশ করা ইবাদত যা মহান আল্লাহ পাক উনার আদেশ মুবারক। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- يَا اَيُّهَا النَّاسُ قَدْ جَاءَتْكُمْ مَّوْعِظَةٌ مّن رَّبّكُمْ وَشِفَاءٌ لّمَا فِي الصُّدُوْرِ وَهُدًى وَرَحْـمَةٌ لّلْمُؤْمِنِيْنَ ◌ قُلْ بِفَضْلِ اللهِ وَبِرَحْـمَتِهه فَبِذٰلِكَ فَلْيَفْرَحُوْا هُوَ خَيْرٌ مّـمَّا يَـجْمَعُوْنَ অর্থ : “হে মানবজাতি! অবশ্যই মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে তোমাদের মধ্যে তাশরীফ মুবারক এনেছেন মহান নছীহত মুবারক দানকারী, তোমাদের অন্তরের সকল ব্যাধিসমূহ শিফা মুবারক দানকারী, কুল-কায়িনাতের মহান হিদায়েত মুবারক দানকারী ও খাছভাবে ঈমানদারদের জন্য, আমভাবে সমস্ত কায়িনাতের জন্য মহান রহমত মুবারক দানকারী (নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি উম্মাহকে বলে দিন, মহান আল্লাহ পাক তিনি সম্মানিত ফদ্বল বা অনুগ্রহ মুবারক ও সম্মানিত রহমত মুবারক(হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উনার জন্য তারা যেনো সম্মানিত ঈদ উদযাপন তথা খুশি মুবারক প্রকাশ করে। এই খুশি মুবারক প্রকাশ বা ঈদ করাটা সেসব কিছু থেকে উত্তম, যা তারা দুনিয়া-আখিরাতের জন্য সঞ্চয় করে।” (পবিত্র সূরা ইঊনুস শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৭-৫৮) অনেকে অজ্ঞতার কারনে বলে থাকে এই আয়াত শরীফ উনার মধ্যে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার কথা বলা হয়নি। নাউঝুবিল্লাহ!! অথচ উপরোক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার ব্যাখ্যায় তাফসীরে রুহূল মায়ানী ৬ খন্ড ১৪১ পৃষ্ঠায় উল্লেখ রয়েছে, اخرج ابو الشيخ عن حضرت ابن عباس رضى الله تعالى عنهما ان الفضل العلم و الرحمة محمد صلى الله عليه و سلم অর্থ: হযরত আবুশ শায়খ রহমতুল্লাহি আলাইহি বর্ণনা করেন হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত “নিশ্চয় ‘ফদ্বল’ দ্বারা উদ্দেশ্য ইলম, আর ‘রহমত’ দ্বারা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।” ইমাম ইবনে জাওযি রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেনঃ أن فضل الله: العلم، ورحمته: محمد صلى الله عليه وسلم، رواه الضحاك عن ابن عباس. অর্থঃ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্নিত “ অনুগ্রহ বলতে কুরআন শরীফ, রহমত বলতে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে উনাকেই বুঝানো হয়েছে।” [যা’আদ আল মাসীর ৪:৪০] ইমাম আবু হাইয়ান আল আন্দালুসি রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন الفضل العلم والرحمة محمد صلى الله عليه وسلم অর্থঃ অনুগ্রহ মানে জ্ঞান, রহমত বলতে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকেই বুঝানো হয়েছে (তাফসীর আল বাহর আল মুহীতঃ ৫/ ১৭১) ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ুতী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেনঃ وأخرج أبو الشيخ عن ابن عباس رضي الله عنهما في الآية قال: فضل الله العلم، ورحمته محمد صلى الله عليه وسلم، قال الله تعالى { وما أرسلناك إلا رحمة للعالمين } [الأنبياء: ১০৭]. আবু শেখ রহমতুল্লাহি আলাইহি ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্নিত “ অনুগ্রহ বলতে কুরআন শরীফ, রহমত বলতে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকেই বুঝানো হয়েছে । আল্লাহ পাক বলেন” নিশ্চয় আমি আপনাকে সারা আলমের জন্য রহমত স্বরুপ পাঠিয়েছি ” পবিত্র সুরা আম্বিয়া ১০৭। [দূর আল মানসুর ৪:৩৩০] এবং পবিত্র হাদীস শরীফ উনার মধ্যে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ মুবারক করেন, وعن أبي أمامة قال : قال النبي صلى الله عليه وسلم إن الله تعالى بعثني رحمة للعالمين অর্থ: নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ্ পাক আমাকে তামাম আলমের জন্য রহমত হিসেবে পাঠিয়েছেন (তাবরানী শরীফ, মিশকাত ৩৬৫৪, মিরকাত শরীফ, দালায়েলুন নবুওয়াত লি আবু নুয়াইম ১) সুতরাং উপরোক্ত দলিলের ভিত্তিতে প্রমাণিত হল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্য “ফাল ইয়াফরাহু” বা খুশি মুবারক প্রকাশ করা ইবাদত। সুবহানআল্লাহ!
খোলাফায়ে রাশেদীন আলাইহিমুস সালামগণ উনাদের যুগেও ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম চালু ছিল এবং এর জন্য অন্যকে তাগীদ করেছেন। ================================================= অনেকে বলে থাকে হযরত সাহাবা ই কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগন নাকি ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করেন নি অথচ হযরত খোলাফায়ে রাশেদীন আলাইহিমুস সালাম গন উনাদের যুগেও ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করেছেন এবং এর জন্য উনারা অন্যকে তাগীদও করেছেন। যেমন এ প্রসঙ্গে আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম ফী মাওলিদি সাইয়্যিদি উইলদি আদম লি হযরতুল আল্লামা আহমদ শিহাবুদ্দীন হাইতামী শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি, ৭ম-৮ম পৃষ্ঠা; নাফহাতুল আম্বারিয়াতু লিইসবাতিল কিয়াম ফি মাওলিদি খাইরিল বারিয়্যাহ লি হযরতুল আল্লামা আব্দুল আউওয়াল জৈনপুরী রহমতুল্লাহি আলাইহি, ৮ম পৃষ্ঠা, এর মধ্যে বর্ণিত রয়েছে- পবিত্র ইসলাম উনার প্রথম খলীফা, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, مَنْ اَنْفَقَ دِرْهَمًا عَلٰى قِرَائَةِ مَوْلِدِ النَّبِىّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ رَفِيْقِىْ فِىْ الْـجَنَّةِ অর্থ : “যে ব্যক্তি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ অর্থাৎ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উপলক্ষ্যে খুশি মুবারক প্রকাশ করে এক দিরহাম ব্যয় করবেন, তিনি জান্নাতে আমার বন্ধু হয়ে থাকবেন।” সুবহানাল্লাহ! পবিত্র ইসলাম উনার দ্বিতীয় খলীফা, খলীফাতুল মুসলিমীন, হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, مَنْ عَظَّمَ مَوْلِدَ النَّبِىّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَدْ اَحْيَا الْاِسْلَامَ অর্থ : “যে ব্যক্তি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ অর্থাৎ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনাকে বিশেষ মর্যাদা দিলেন অর্থাৎ এ উপলক্ষ্যে খুশি প্রকাশ করলেন, তিনি মূলত দ্বীন ইসলাম উনাকেই পুনরুজ্জীবিত করলেন।” সুবহানাল্লাহ! পবিত্র ইসলাম উনার তৃতীয় খলীফা, আমীরুল মুমিনীন, হযরত যুন নুরাইন আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, مَنْ اَنْفَقَ دِرْهَـمًا عَلٰى قِرَائَةِ مَوْلِدِ النَّبِىّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَكَاَنَّـمَا شَهِدَ غَزْوَةَ بَدْرٍ وَّحُنَيْنٍ অর্থ : “যে ব্যক্তি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ অর্থাৎ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উপলক্ষ্যে খুশি হয়ে এক দিরহাম খরচ করলেন, তিনি যেনো বদর ও হুনাইন জিহাদে শরীক থাকলেন।” সুবহানাল্লাহ! পবিত্র ইসলাম উনার চতুর্থ খলীফা, আসাদুল্লাহিল গালিব, আমীরুল মু’মিনীন হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, مَنْ عَظَّمَ مَوْلِدَ النَّبِىّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَكَانَ سَبَبًا لّقِرَائَتِهٖ لايَـخْرُجُ مِنَ الدُّنْيَا اِلَّا بِالْاِيْـمَانِ وَيَدْخُلُ الْـجَنَّةَ بِغَيْرِ حِسَابٍ অর্থ : “যে ব্যক্তি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ অর্থাৎ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনাকে বিশেষ মর্যাদা প্রদান করলেন অর্থাৎ সে উপলক্ষ্যে খুশি প্রকাশ করলেন, তিনি অবশ্যই ঈমান নিয়ে দুনিয়া থেকে বিদায় নিবেন এবং বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করবেন।” সুবহানাল্লাহ! বিখ্যাত মুহাদ্দীস আল্লামা ইউসুফ নাবহানী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি এর মতে হাদীসগুলো সম্পূর্ণ সহীহ এবং সনদ নির্ভরযোগ্য।যা তিনি উনার ‘জাওয়াহেরুল বিহার’ এর গ্রন্থে ৩য় খন্ডের ৩৫০ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেছেন ।
আজ থেকে প্রায় ১৩০০ বছর পুর্বে আব্বাসীয় খিলাফতে ঈদে মিলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহ ওয়া সাল্লাম পালন হত। ================================================= আজ থেকে প্রায় ১৩০০ বছর পুর্বে আব্বাসীয় খিলাফতে ঈদে মিলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহ ওয়া সাল্লাম পালন হত। আব্বাসীয় খিলাফতের খলীফা হারুন অর রশীদের আম্মা আল খায়যুরান(মৃত্যু ১৭২ হিজরি ২য় শতক /৭৮৯ খৃষ্টাব্দ - ৮ম শতক) হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত মুবারকের স্থানে ইবাদত বন্দেগী করার জন্য উন্মুক্ত করে দেন। যেখানে মুসলমানগণ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ঈদে মিলাদে হাবীবি(ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পালন করতেন। সুত্রঃ ১. Encyclopaedia of Islam, Second Edition. Brill Online Reference Works ২. Mawlid or Mawlud”, Encyclopedia of Islam The basic earliest accounts for the observance of Mawlid can be found in 8th-century Mecca, when the house in which Muhammad was born was transformed into a place of prayer by Al-Khayzuran (mother of Harun al-Rashid, the fifth and most famous Abbasid caliph) Source: “Mawlid or Mawlud”., Encyclopedia of Islam, Second Edition. Brill Online Reference Works. জেনে রাখা দরকার, আব্বাসীয় খিলাফত ইসলামী খিলাফতগুলোর মধ্যে তৃতীয় খিলাফত। আব্বাসীয় খিলাফত হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার চাচা হযরত আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়া আনহু উনার বংশধরদের কর্তৃক ১৩২ হি/৭৫০ খ্রিস্টাব্দে কুফায় প্রতিষ্ঠিত হয় যা ৬৫৬ হি/১২৫৮ খৃষ্টাব্দ পর্যন্ত শাসন ক্ষমতায় থাকেন। ৯২২ হি/ ১৫১৭ সালে ইহা বিলুপ্ত ঘোষনা করা হয়। এ খিলাফত ইসলাম এবং মুসলমানগন উনাদের জন্য অনেক অবদান রেখেছেন। এছাড়াও বাদশা হরুনুর রশীদের সময়কার ঘটনা যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, পবিত্র রবিউল আউয়াল শরীফ মাসে পবিত্র মীলাদ শরীফ উনার সম্মানার্থে পবিত্র মীলাদ শরীফ মাসকে তাযীম করায় এক ব্যক্তি ওলী আল্লাহ হিসাবে আখ্যায়িত হয়েছিলেন, আল্লামা সাইয়্যিদ আবু বকর মক্কী আদ দিময়াতী আশ শাফেয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি (ওফাত: ১৩০২ হিজরী) উনার বিখ্যাত “ইয়নাতুল ত্বলেবীন” কিতাবে বর্ণনা করেন, বর্ণিত রয়েছে, খলীফা হারুনুর রশীদের যামানায় (১৪৮-১৯৩ হিজরী) বছরা শহরের এক যুবক সে নফসের অনুসরন করে চলতো। শহরের লোকেরা নিন্দনীয় আমলের জন্য তাকে নিন্দার চোখে দেখতো। তবে যখন পবিত্র রবিউল আউয়াল শরীফ মাস আসতো, এই যুবক কাপড় ধৌত করতেন, সুগন্ধি ব্যবহার করতেন ও খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকতেন। সেই সাথে ভালো খাবারের ব্যবস্থাও করতেন। এবং পবিত্র মীলাদ শরীফ উনার মাসে এ আমল লম্বা সময়ব্যাপী করতেন। অতপর যখন তিনি ইন্তেকাল করেন তখন শহরবাসীগণ গায়েবী আহ্বান শুনতে পান। সেখানে বলা হচ্ছিলো, হে বসরাবাসী! আপনারা আল্লাহ পাক উনার ওলীদের মধ্যে অর্ন্তভুক্ত একজন ওলীর জানাজায় শরীক হন। নিশ্চয়ই তিনি আমার কাছে খুবই প্রিয়। অতপর শহরবাসী উনার জানাজায় উপস্থিত হলেন এবং দাফন সম্পন্ন করলেন। উনারা (শহরবাসী) স্বপ্নে দেখলেন, উক্ত যুবক কারুকার্যপূর্ণ রেশমী কাপড় পরিহিত অবস্থায় ঘোরাফেরা করছেন। উনাকে জিজ্ঞাসা করা হলো, এ ফযিলত আপনি কি করে লাভ করলেন? তিনি বললেন, পবিত্র মীলাদ শরীফ উনাকে তাযীম করার কারনে।” (ইয়নাতুল ত্বলেবীন ৩য় খন্ড ৬১৩ পৃষ্ঠা ; প্রকাশনা: দারুল হাদীছ , কাহেরা, মিশর) এখানে কয়েকটি বিষয় উল্লেখযোগ্যঃ ১. যখন আব্বাসীয় খিলাফত শুরু হয় তখন তাবেয়ী উনাদের যুগ। তার মানে তাবেয়ী উনাদের সময়ে ঈদে মিলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালিত হত। ২. খলিফা হারুন অর রশিদের আম্মা যেহেতু পালন করেছেন সেহেতু অন্যরাও পালন করেছেন। যা উপরে উল্লিখিত ঘটনাদ্বারা প্রমাণিত হয়। ৩. ইহা নতুন কোন আমল নয়, ইসলামের শুরু থেকেই পালিত একটি আমল। যা মূলত সুন্নাত মুবারক উনার অন্তর্ভূক্ত। তথ্যসূত্রওঃ ১. goo.gl/IO9bCs ২. আল খায়যুরান - goo.gl/b7kpm5 ৩. আব্বাসীয় খিলাফত -goo.gl/OYoCSl ৪. ইয়নাতুল ত্বলেবীন ৩য় খন্ড ৬১৩ পৃষ্ঠা ; প্রকাশনা: দারুল হাদীছ , কাহেরা, মিশর
আজ থেকে প্রায় ১২০০ বছর পুর্বেও ঈদে মিলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহ ওয়া সাল্লাম পালিত হত। ================================================= তৃতীয় হিজরী শতকে পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন : তৃতীয় শতাব্দীর মহান ব্যক্তিত্ব সাইয়্যিদুত ত্বয়িফা হযরত জুনাইদ বাগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন- مَنْ حَضَرَ مَوْلِدَ النَّبِىّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَظَّمَ قَدْرَهٗ فَقَدْ فَازَ بِالْاِيـْمَانِ. অর্থ : “যে ব্যক্তি পবিত্র মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আয়োজনে উপস্থিত হল এবং উপযুক্ত সম্মান প্রদর্শন করলো। সে তাঁর ঈমানের দ্বারা সাফল্য লাভ করবে অর্থাৎ সে বেহেশতী হবে।” সুবহানাল্লাহ! (আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম ফী মাওলিদি সাইয়্যিদি উইলদি আদম- ৮ম পৃষ্ঠা) হিজরী ৩য় শতকের পবিত্র মক্কা শরীফ উনার মুসলিম ইতিহাসবিদ আল আজরাকী রহমতুল্লাহি আলাইহি (ওফাত ২১৯ হিজরী) তিনি উল্লেখ করেন, “নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেখানে পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন সেখানে নামায আদায় হতো।” (আল মক্কাহ, ২য় খ-, ১৬০ পৃষ্ঠা) মুফাসসির আন নাক্কাস রহমতুল্লাহি আলাইহি (২৬৬-৩৫১ হিজরী) তিনি উল্লেখ করেন, “নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের স্থানে প্রতি ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ দুপুরে দোয়া করা হতো।” (আল ফাসি শিফা আল গারাম, ১ম খ-, পৃষ্ঠা ১৯৯) যারা বলে থাকে ঈদে মিলাদে হাবীবি নতুন আমল, ইহা বিদয়াত তারা এর কি জবাব দিবে?
পবিত্র মক্কা শরীফ- এ ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন হওয়ার প্রমাণ ================================================= পবিত্র মক্কা শরীফ- এ সাইয়্যদুল আ’ইয়াদ শরীফ তথা ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন হওয়ার প্রমাণ। ১। হিজরী ৩য় শতকের পবিত্র মক্কা শরীফ উনার মুসলিম ইতিহাসবিদ আল আজরাকী রহমতুল্লাহি আলাইহি (ওফাত ২১৯ হিজরী) তিনি উল্লেখ করেন, “নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেখানে পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন সেখানে নামায আদায় হতো।” (আল মক্কাহ, ২য় খ-, ১৬০ পৃষ্ঠা) ২। মুফাসসির আন নাক্কাস রহমতুল্লাহি আলাইহি (২৬৬-৩৫১ হিজরী) তিনি উল্লেখ করেন, “নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের স্থানে প্রতি ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ দুপুরে দোয়া করা হতো।” (আল ফাসি শিফা আল গারাম, ১ম খ-, পৃষ্ঠা ১৯৯) ৩। সাইয়্যিদ মুহম্মদ সুলাইমান নদভী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি “সিরাতুন নবী” জীবনী গ্রন্থের ৩য় খন্ডে উল্লেখ করেছেন ৩/৪ শতক হিজরী মীলাদ শরীফ উদযাপন করা হতো। এছাড়াও ৩৯৪ হিজরী সালে ফাতেমী খিলাফতের অধীনে মিশরে মাসব্যাপী ব্যাপক জাঁকজমকের সাথে পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালিত হতো। ৪। হযরত ইবনে জুবায়ের রহমতুল্লাহি আলাইহি (৫৪০-৬৪০ হিজরী) তিনি উল্লেখ করেছেন- “নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত বাড়ি মুবারক-এ পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার প্রতি ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা হতো।” (কিতাবুর রিহাল, পৃষ্ঠা ১১৪-১১৫) ৫। হাফিজুল হাদীছ আবুল ফয়েয হযরত আব্দুর রহমান ইবনুল জাওযী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি লিখেন, “হারামাইন শরীফাইন, মিশর, ইয়ামেন, সিরিয়া এবং পূর্ব থেকে পশ্চিম পর্যন্ত আরবের সকল শহর ও নগরের অধিবাসীদের মধ্যে অব্যাহতভাবে এ নিয়ম চলে আসছে যে, তারা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র মীলাদ শরীফ উনার অনুষ্ঠান করেছেন। পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ উনার নতুন চাঁদের আগমনে আনন্দিত হন, গোসল করেন, দামী পোশাক পরিধান করেন, নানা প্রকার সাজ-সজ্জা করেন, সুগন্ধি ব্যবহার করেন, সুরমা লাগান, এই দিনগুলোতে আনন্দ উৎসব করেন, ধন-সম্পদ, টাকা-পয়সা মানুষের মধ্যে বিলিয়ে দেন এবং অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ ও শ্রবণের ব্যবস্থা করে অধিক ছাওয়াব এবং বিরাট সাফল্য অর্জন করেন। উনারা পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করে যে নিরাপত্তা ও স্বস্তি, জীবিকার মানোন্নয়ন, শিশু ও সম্পদ বৃদ্ধি এবং শহরের শান্তি ও উনাদের সাফল্য অর্জন করেছেন তা প্রকাশ করতেন।” (তাফসীরে রূহুল বয়ান লি শেখ ইসমাইল হাক্কী রহমতুল্লাহি আলাইহি- ৯ম খ-, পৃষ্ঠা ৫৬; মীলাদুল উরুস- উর্দু “বয়ান-ই-মিলাদুন নবী”, পৃষ্ঠা ৩৪-৩৫, লাহোর; দুররুল মুনাজ্জাম, পৃষ্ঠা ১০০-১০১; মীলাদুন নবী, পৃষ্ঠা ৫৮) ৬। সপ্তম হিজরী শতাব্দীর ইতিহাসবিদ শায়েখ আবুল আব্বাস আল আযাফি এবং উনার ছেলে আবুল কাসিম আল আযাফি (সার্জারির জনক) উনাদের কিতাব-এ লিখেন- “পবিত্র মক্কা শরীফ উনার মধ্যে ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দিন ধার্মিক ওমরাহ-হজ্জ যাত্রী এবং পর্যটকেরা দেখতেন যে, সকল ধরণের কার্য্যক্রম (দুনিয়াবী) বন্ধ, এমনকি ক্রয়-বিক্রয় হতো না, উনাদের ব্যতীত যারা সম্মানিত বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের স্থান জড়ো হয়ে দেখতেন। এ দিন পবিত্র কা’বা শরীফ সকলের জন্য উন্মুক্ত করা হতো।” (দুররুল মুনাজ্জাম) ৭। প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ ইবনে বতুতা তিনি লিখেন- “প্রতি জুম‘আ নামায শেষে এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবসে বনু শায়বা গোত্রের প্রধান কর্তৃক পবিত্র কা’বা শরীফ উনার দরজা খোলা হতো। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত বংশধর আলাইহিমুস সালাম উনাদের এবং সাধারণ জনগনের মাঝে খাবার বিতরণ করতেন পবিত্র মক্কা শরীফ উনার বিচারক নাজমুদ্দীন মুহম্মদ ইবনে আল ইমাম মুহিউদ্দীন আত তাবারী।” (কিতাবুর রিহলা, ১ম খ-, পৃষ্ঠা ৩০৯ ও ৩৪৭)
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বয়ং নিজেই নিজের বিলাদত শরীফ উনার আলোচনা মুবারক করেছেন। ================================================= উত্তর: সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন্নাবিয়্যীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজেই উনার সুমহান বিলাদত শরীফ সর্ম্পকে আলোচনা করেছেন- দেশের সকল মাদ্রাসাসমূহে পঠিত হাদীছ শরীফ-এর বিখ্যাত ও নির্ভরযোগ্য কিতাব “মেশকাতুল মাছাবীহ এর ৫১৩ পৃষ্ঠায় “ ফাযায়েলে সাইয়্যিদুল মুরসালীন ” নামক অধ্যায়ে উল্লেখ আছে, عن حضرت عرباض بن سارية رضى الله تعالى عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال انى عبد الله وخاتم النبيين وان آدم لمنجدل فى طينته وسأخبركم عن ذلك دعوة أبى ابراهيم عليه السلام وبشارة حضرت عيسى عليه السلام ورؤيا امى التى رأت، وكذلك امهات النبيين يرين، وأن ام رسول الله صلى الله عليه وسلم رأت حين وضعته نورا أضاءت له قصور الشام অর্থ: “হযরত ইরবাজ ইবনে সারিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, নিশ্চয়ই আমি তখন থেকে আল্লাহ পাক উনার আবদ তথা হাবীব এবং আমি খাতামুন নাবিইয়ীন তথা আখিরী নবী নিশ্চয়ই যখন হযরত আদম আলাইহিস সালাম তিনি মৃত্তিকায় অবস্থান করছিলেন। তোমাদের নিকট খবর পৌঁছেছে ওই ব্যাপারে যে আমি হযরত ইবরাহীম খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার দোয়া মুবারক, আমি হযরত ঈসা রূহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সুসংবাদ এবং আমি আমার মা (হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম) উনার স্বপ্ন মুবারক। যা আমার সম্মানিত মা জননী তিনি মুবারক স্বপ্ন দেখেছেন অনুরূপ স্বপ্ন হযরত নবী রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের জননীগণ উনারাও দেখেছিলেন। মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ-এর ক্ষনে উনার সম্মাণিত মা হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম তিনি এক নূর মুবারক দেখতে পান। সেই নূর মুবারক-এর আলোয় শাম তথা সিরিয়ার রাজ প্রাসাদ আলোকিত হয়েছিলো। সুবহানাল্লাহ! (সহীহ ইবনে হিব্বান: হাদীস ৬৪০৪, মুসতাদরেকে হাকীম: হাদীস ৩৬২৩, সিয়ারু আলামীন আননুবুলা পৃষ্ঠা ৪৬, মুসনাদে তয়লাসী: হাদীস ১২৩৬, মুসনাদে বাযযার ৪১৯৯, দালায়েলুন নুবুওওয়াত-১ম খন্ডের ৮৩ পৃষ্ঠা ,শোয়াবুল ঈমান-২য় জিঃ, ১৩৪ পৃষ্ঠা, শরহুসসুন্নাহ ও মসনদে আহমাদ) নিম্নে কতিপয় কিতাবের নাম দেয়া হলো: 1. দালায়েলুন নবুওয়াত লি ইমাম বায়হাক্বী 2. সহীহ ইবনে হিব্বান যেখানে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন্নাবিয়্যীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেই নিজের পবিত্র বিলাদত শরীফ উনার আলোচনা মুবারক করেছেন, সেখানে আমরা করলে এটা বিদয়াত হবে কেন?
স্বয়ং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ পালন করেছেন। ================================================= সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ তথা সর্বশ্রেষ্ট ঈদ,ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা কখনোই বিদয়াত বা নতুন বিষয় নই, যারা বিদয়াত বলে, তারা তাদের জিহালতের কারনেই বলে থাকে। মূলত সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজেই উনার ঈদে মীলাদে (হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পালন করেছেন। উনার পবিত্র বিলাদত শরীফের বার হচ্ছে ইয়াওমুল ইছনাইন বা সোমবার। এই দিনে শুকরিয়া আদায় করে তিনি রোজা রাখতেন। অর্থাৎ মীলাদে হাবীবী (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পালন করেছেন। عَنْ حَضْرَتْ اَبِـيْ قَتَادَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ بِـهٰذَا الْـحَدِيْثِ زَادَ قَالَ يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَرَاَيْتَ صَوْمَ يَوْمِ الْاِثْنَيْنِ وَيَوْمِ الْـخَمِيْسِ قَالَ فِيْهِ وُلِدْتُّ وَفِيْهِ اُنْزِلَ عَلَىَّ الْقُرْاٰنُ. অর্থ : “হযরত আবূ ক্বাতাদা আনসারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ইয়াওমুল ইছলাইনিল আযীম শরীফ ও ইয়াওমুল খ¦মীস রোযা রাখার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলো, তখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন যে, এদিন (ইয়াওমুল ইছলাইনিল আযীম শরীফ) আমি পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেছি, আর এদিনই আমার উপর ওহী মুবারক বা পবিত্র কুরআন শরীফ নাযিল হয়েছে।” (মুসলিম শরীফ : হাদীছ শরীফ নং ২৮০৭, আবূ দাঊদ শরীফ : হাদীছ শরীফ নং ২৪২৮, সুনানে কুবরা লি বায়হাক্বী শরীফ : হাদীছ শরীফ নং ৮২১৭, ইবনে খুজাইমা শরীফ : হাদীছ শরীফ নং ২১১৭, মুসনাদে আবি আওয়ানা : হাদীছ শরীফ নং ২৯২৬, মুসনাদে আহমদ শরীফ : হাদীছ শরীফ নং ২২৬০৩) অত্র পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার থেকে জানা যায় যে, পবিত্র সোমবার শরীফ সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদতী শান মুবারক ও আনুষ্ঠানিকভাবে নুবুওওয়াত মুবারক প্রকাশ লাভের দিন। এই দিনে রোযা রাখার ইঙ্গিত অত্র পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে রয়েছে। এর থেকেও প্রমাণিত হয় যে, বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের দিন এবং বরকতী বিশেষ দিন সমূহের দিন খুশি প্রকাশ করা বা তা পালন করতে হবে। কারন স্বয়ং হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজেই উনার আগমনের বারে শুকরিয়া আদায় করে রোজা রাখতেন। হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আগমন উপলক্ষে নিজেই নিজের আগমন দিবস পালন করেছেন।
পরবর্তী লেকচারগুলোতে ব্যকগ্রাউন্ড মিউজিক সরিয়ে দেয়া হয়েছে। জাজাকাল্লাহ খাইরান।
আপনে একটা মিথ্যা বাদি আমি আরো ভিডিও দেখেছি সেখানেও একই কথা বলেছেন মিওজিক দিবেন্না
@@MdEbrahim-cn7wl to
This lecture is disgusting for your background music.
খুবিই বাজে হইছে এই মিউজিক😢
এটা হতে সরাই দেন
আল্লাহ জসিমউদদীন রহমানকে সকল প্রকার বিপদ থেকে হেফাজত করুন //আমিন
আমিন❤
তার মুক্তির দাবি জানাই।
আমি আল্লাহর জন্য শায়েখ জসীমউদ্দিন রাহমানী কে ভালোবাসি
আল্লাহ জসিমউদ্দিন রহমানকে বিপদ থেকে হেফাজত করুন আমিন
আপনাকে আল্লাহর জন্য ভালোবাসি
শায়খের মুক্তি চাই
জসিম উদ্দিন রহমানি কে আল্লাহ হেফাযত করো
Amin
আল্লাহ তাকে হেফাজত করুক। আবার তার সত্যের বাণি প্রচার হউক। আল্লাহু আমিন।
+Shahid Khan ameen
Amin
সহি ওয়াজ মাশাআল্লাহ
আমার পিয় শাইয়খ। আমি তাকে আল্লাহু জন ভালো বাসি
ভাইয়া আমিও ভালবাসি 💓💓💞 উনাকে খুব মিস করি
অনেক কষ্ট লাগে মুফতীর জন্য
যে ওয়াজ টার সাথে মিউজিক এড করছে
তাকে আল্লাহ হেদায়েত দান করুক জাতে আর
কখনো এমন কাজ না করে
ওয়াজটা সোনার খুব ইচ্ছে ছিলো কিন্তু সুনতে পারলামনা
ভোকাল মিউজিক হারাম নয়। বাদ্য বাজনা হারাম
তবে কন্ঠ হারাম নয়।
আলহামদুলিল্লা"খুব ভালো ত্রকটি ওয়াজ সবাইকে শুনারমতো তাওফিক দান করুন আমিন"
100%correct waj..
আল্লাহ শায়েক কে হেফাজত করুন
জছিম উদ্দিন ভাই আপনি আমাৰ কাছে নিচ্ছই ভালো ,আপনাৰ ওৱাজ অ খব ভালো !
জাজাকাল্লাহ খাইরান শাইখ
আল্লাহর আইন সংসদে চালু হোক
ঐ নাকে আল্লাহ হেফাজতে রাখুক আল্লাহহুম্মা আমিন
জাযাখাল্লাহু খাইর
Alhamdulillah
জাজাকাল্লাহ খাইরান হে আল্লাহ পাক আমাদের এই শায়েখ কে জালিমের জুলুম থেকে হেফাজত করুন আমিন ছুম্মা আমিন
মিউজিক কেন
যারা শায়েখ কে বন্দি করে রেখেছে তাদের উপর আল্লাহর লানত🤬🤬আল্লাহ শায়েখ কে হেফাজত করুন😭😭😭!!
আমীন ☝😭😭
জ্ঞানের প্রতীক ❤
আল্লাহ্ তাকে হেফাযতে রাখুন।🧡❣️💚💜🇮🇳
মারহাবা আলমদুল্লিলা
জাযাকাল্লাহ খায়ের।
অনেক কষ্ট করে, লেকসারটি লোড করলেন।
আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন।
আমীন, সুম্মা আমীন।
Abdul Mannan ওয়া আনতুম ফা-জাযাকুমু-আল্লাহু খাইরন
Ki bojro konto...SubhanAllah
আল্লাহ আপনি শায়েখ কে বলার তাওফিক দান করুক। আমিন
আল্লাহ আপনি শায়েখকে মুক্তি দিন আমিন
হুজুরের মুক্তির দাবি জানাই
এত সুন্দর বয়ানটার পেছনে ব্যগরাউন মিউজিক দিয়ে সাউন্ড কলিটি বিরক্তিকর বানিয়ে দিয়েছেন
জাজাকাল্লাহ খাইরান আমিন
শায়খের মুক্তি কামনা করছি। আল্লাহ আপনি কবুল করুন।আমিন।
মিউজিক দেওয়ার মানে কি।
আল্লাহু আকবার
বেগ্রাউন্ডে এ কেমন মিউজিক মেজাটা খারাফ হয়ে গেলো লেকচারার শুনতে দিলে না- তার জন্য দায়ী তাকবে, আর এই হিসাব কিয়ামতের মাঠে দিতে হবে,,
Vi, apni thik bolechen. Eto important lecture er background e ei music deyata ekta beyadobi. Eta shoytaner kaj. Lecture er importance komanor jonno eta kora hoyeche. Ei beta ekta original shoytan.
ঠিক বলেছেন
দয়া করে মিউজিক দিবেন না......🙏🙏🙏মনযোগ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না....
শাইখ, আসসালামু আলাইকুম।
আল্লাহ আপনাকে নেক হায়াত দান করুক, আমিন।।
আপনার ওয়াজে অনেক শিক্ষনীয় বিষয় থকে,
আপনি একজন ভালো শিক্ষক এর মত শিক্ষা দিচ্ছেন। আল্লাহ আপনাকে কবুল করুক, আমিন।।।।
জাযাকাল্লাহ
আলহামদুলিল্লা
জসিমউদ্দিন রহমানি।।ঈদে মীলাদুন্নবী একটি বিদাত।।
মিউজিকের আওয়াজে কথা গুলো ভালভাবে বুঝতে পারতেছিনা!
Beshak nice lecture..
Allah onake aver amader maje feriye anuk.
ওয়াজ টা সুন্দর লেগেছে কিন্তু মিউজিকের কারণে শুনতে পারলম না
This is my kind request..Ato mulloban ekta Boyan background sound ta na thakle khub valo hoto.
jajak allah khayer..😍😍
+Monir Hossain ওয়া আনতুম ফা-জাযাকুমু-আল্লাহু খাইরন
পবিত্র ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করতে কি কোন দলিল প্রয়োজন আছে? নবীজি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পেয়ে সকল মু’মীনগণ অবশ্যই খুশি এবং আনন্দিত। তার পরেও যারা দলিল চান তাদের দলিল দিলাম।
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুমহান বেলাদত শরীফ উনার সম্মানার্থে, উনার জন্য ‘ফালইয়াফরাহু’ বা খুশি মুবারক প্রকাশ করা ইবাদত যা মহান আল্লাহ পাক উনার আদেশ মুবারক।
এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
يَا اَيُّهَا النَّاسُ قَدْ جَاءَتْكُمْ مَّوْعِظَةٌ مّن رَّبّكُمْ وَشِفَاءٌ لّمَا فِي الصُّدُوْرِ وَهُدًى وَرَحْـمَةٌ لّلْمُؤْمِنِيْنَ ◌ قُلْ بِفَضْلِ اللهِ وَبِرَحْـمَتِهه فَبِذٰلِكَ فَلْيَفْرَحُوْا هُوَ خَيْرٌ مّـمَّا يَـجْمَعُوْنَ
অর্থ : “হে মানবজাতি! অবশ্যই মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে তোমাদের মধ্যে তাশরীফ মুবারক এনেছেন মহান নছীহত মুবারক দানকারী, তোমাদের অন্তরের সকল ব্যাধিসমূহ শিফা মুবারক দানকারী, কুল-কায়িনাতের মহান হিদায়েত মুবারক দানকারী ও খাছভাবে ঈমানদারদের জন্য, আমভাবে সমস্ত কায়িনাতের জন্য মহান রহমত মুবারক দানকারী (নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি উম্মাহকে বলে দিন, মহান আল্লাহ পাক তিনি সম্মানিত ফদ্বল বা অনুগ্রহ মুবারক ও সম্মানিত রহমত মুবারক(হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উনার জন্য তারা যেনো সম্মানিত ঈদ উদযাপন তথা খুশি মুবারক প্রকাশ করে। এই খুশি মুবারক প্রকাশ বা ঈদ করাটা সেসব কিছু থেকে উত্তম, যা তারা দুনিয়া-আখিরাতের জন্য সঞ্চয় করে।” (পবিত্র সূরা ইঊনুস শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৭-৫৮)
অনেকে অজ্ঞতার কারনে বলে থাকে এই আয়াত শরীফ উনার মধ্যে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার কথা বলা হয়নি। নাউঝুবিল্লাহ!!
অথচ উপরোক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার ব্যাখ্যায় তাফসীরে রুহূল মায়ানী ৬ খন্ড ১৪১ পৃষ্ঠায় উল্লেখ রয়েছে,
اخرج ابو الشيخ عن حضرت ابن عباس رضى الله تعالى عنهما ان الفضل العلم و الرحمة محمد صلى الله عليه و سلم
অর্থ: হযরত আবুশ শায়খ রহমতুল্লাহি আলাইহি বর্ণনা করেন হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত “নিশ্চয় ‘ফদ্বল’ দ্বারা উদ্দেশ্য ইলম, আর ‘রহমত’ দ্বারা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।”
ইমাম ইবনে জাওযি রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেনঃ
أن فضل الله: العلم، ورحمته: محمد صلى الله عليه وسلم، رواه الضحاك عن ابن عباس.
অর্থঃ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্নিত “ অনুগ্রহ বলতে কুরআন শরীফ, রহমত বলতে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে উনাকেই বুঝানো হয়েছে।” [যা’আদ আল মাসীর ৪:৪০]
ইমাম আবু হাইয়ান আল আন্দালুসি রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন
الفضل العلم والرحمة محمد صلى الله عليه وسلم
অর্থঃ অনুগ্রহ মানে জ্ঞান, রহমত বলতে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকেই বুঝানো হয়েছে (তাফসীর আল বাহর আল মুহীতঃ ৫/ ১৭১)
ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ুতী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেনঃ
وأخرج أبو الشيخ عن ابن عباس رضي الله عنهما في الآية قال: فضل الله العلم، ورحمته محمد صلى الله عليه وسلم، قال الله تعالى { وما أرسلناك إلا رحمة للعالمين } [الأنبياء: ১০৭].
আবু শেখ রহমতুল্লাহি আলাইহি ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্নিত “ অনুগ্রহ বলতে কুরআন শরীফ, রহমত বলতে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকেই বুঝানো হয়েছে । আল্লাহ পাক বলেন” নিশ্চয় আমি আপনাকে সারা আলমের জন্য রহমত স্বরুপ পাঠিয়েছি ” পবিত্র সুরা আম্বিয়া ১০৭। [দূর আল মানসুর ৪:৩৩০]
এবং পবিত্র হাদীস শরীফ উনার মধ্যে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ মুবারক করেন,
وعن أبي أمامة قال : قال النبي صلى الله عليه وسلم إن الله تعالى بعثني رحمة للعالمين
অর্থ: নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ্ পাক আমাকে তামাম আলমের জন্য রহমত হিসেবে পাঠিয়েছেন (তাবরানী শরীফ, মিশকাত ৩৬৫৪, মিরকাত শরীফ, দালায়েলুন নবুওয়াত লি আবু নুয়াইম ১)
সুতরাং উপরোক্ত দলিলের ভিত্তিতে প্রমাণিত হল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্য “ফাল ইয়াফরাহু” বা খুশি মুবারক প্রকাশ করা ইবাদত। সুবহানআল্লাহ!
সাহাবা ই কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ উনাদের যুগে ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মাহফিলের প্রমান
=================================================
হুজুর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম উনার উপস্থিতিতে সাহাবায়ে কেরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ মিলাদ মাহফিল উনার অনুষ্ঠান করেছেন |
নিম্নে কয়েকটি প্রমান :
১. হযরত আল্লামা জালাল উদ্দীন সূয়ুতী রহমতুল্লাহি আলাইহি যিনার সনদ সহ প্রায় ২ লক্ষ হাদিস শরীফ মুখস্থ ছিল সেই তাজুল মুফাস্সিরীন মোহাদ্দেস মুসান্নিফ সুয়ুতী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার বিখ্যাত কিতাব ” সুবুলুল হুদা ফী মাওলিদিল মুস্তফা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম” এ দুই খানা সহিহ হাদিস শরীফ বর্ণনা করেছেন |
পবিত্র হাদিস শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করা হয়েছে ”
عَنْ حَضْرَتْ اَبِى الدَّرْدَاءِ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ اَنَّهٗ مَرَّ مَعَ النَّبِىّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِلٰى بَيْتِ عَامِرِ الاَنْصَارِىّ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ وَكَانَ يُعَلّمُ وَقَائِعَ وِلادَتِهٖ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِاَبْنَائِهٖ وَعَشِيْرَتِهٖ وَيَقُوْلُ هٰذَا الْيَوْمَ هٰذَا الْيَوْمَ فَقَالَ عَلَيْهِ الصَّلٰوةُ وَالسَّلامُ اِنَّ اللهَ فَتَحَ لَكَ اَبْوَابَ الرَّحْـمَةِ وَالْمَلائِكَةُ كُلُّهُمْ يَسْتَغْفِرُوْنَ لَكَ مَنْ فَعَلَ فِعْلَكَ نَـجٰى نَـجٰتَكَ
অর্থ : “হযরত আবূ দারদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত আছে যে, একদা তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে হযরত আমির আনছারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার গৃহে উপস্থিত হয়ে দেখতে পেলেন যে, তিনি উনার সন্তানাদি এবং আত্মীয়-স্বজন, জ্ঞাতি-গোষ্ঠী, পাড়া-প্রতিবেশী উনাদেরকে নিয়ে আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ সম্পর্কিত মুবারক ঘটনাসমূহ শুনাচ্ছেন এবং বলছেন, এই দিবস; এই দিবস (অর্থাৎ এই দিবসে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যমীনে তাশরীফ মুবারক এনেছেন এবং ইত্যাদি ইত্যাদি ঘটেছে)। এতদশ্রবণে মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ তায়ালা উনার মুবারক রহমত উনার দরজা মুবারকসমূহ আপনার জন্য উম্মুক্ত করেছেন এবং সমস্ত হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা আপনার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছেন এবং যে কেউ আপনার মত এরূপ কাজ করবে, তিনিও আপনার মত নাযাত (ফযীলত) লাভ করবেন।” সুবহানাল্লাহ!
২. পবিত্র হাদিস শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُمَا اَنَّهٗ كَانَ يُـحَدّثُ ذَاتَ يَوْمٍ فِىْ بَيْتِهٖ وَقَائِعَ وِلادَتِهٖ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِقَوْمٍ فَيَسْتَبْشِرُوْنَ وَيُـحَمّدُوْنَ اللهَ وَيُصَلُّوْنَ عَلَيْهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاِذَا جَاءَ النَّبِىُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ حَلَّتْ لَكُمْ شَفَاعَتِىْ
অর্থ : “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি একদা উনার নিজগৃহে সমবেত হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ সম্পর্কিত মুবারক ঘটনাসমূহ শুনাচ্ছিলেন। এতে শ্রবণকারীগণ উনারা আনন্দ ও খুশি প্রকাশ করছিলেন এবং মহান আল্লাহ পাক উনার প্রশংসা তথা তাসবীহ-তাহলীল মুবারক পাঠ করছিলেন এবং মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি (পবিত্র ছলাত শরীফ-পবিত্র সালাম শরীফ) পবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠ করছিলেন। এমন সময় নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তথায় তাশরীফ মুবারক নেন এবং (পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠের অনুষ্ঠান দেখে) বললেন, আপনাদের জন্য আমার শাফায়াত মুবারক ওয়াজিব।” সুবহানাল্লাহ!
এই পবিত্র দুই হাদীস শরীফ খানা বিভিন্ন গ্রন্থে এসেছে যেমন : মাওলুদুল কবীর , হকিকতে মোহাম্মদী ( মিলাদ অধ্যায় ), দুররুল মুনাজ্জাম , ইশবাউল কালাম। ইবনে দাহইয়ার আত-তানভির ৬০৪ হিজরি।
খোলাফায়ে রাশেদীন আলাইহিমুস সালামগণ উনাদের যুগেও ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম চালু ছিল এবং এর জন্য অন্যকে তাগীদ করেছেন।
=================================================
অনেকে বলে থাকে হযরত সাহাবা ই কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগন নাকি ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করেন নি অথচ হযরত খোলাফায়ে রাশেদীন আলাইহিমুস সালাম গন উনাদের যুগেও ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করেছেন এবং এর জন্য উনারা অন্যকে তাগীদও করেছেন।
যেমন এ প্রসঙ্গে আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম ফী মাওলিদি সাইয়্যিদি উইলদি আদম লি হযরতুল আল্লামা আহমদ শিহাবুদ্দীন হাইতামী শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি, ৭ম-৮ম পৃষ্ঠা; নাফহাতুল আম্বারিয়াতু লিইসবাতিল কিয়াম ফি মাওলিদি খাইরিল বারিয়্যাহ লি হযরতুল আল্লামা আব্দুল আউওয়াল জৈনপুরী রহমতুল্লাহি আলাইহি, ৮ম পৃষ্ঠা, এর মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
পবিত্র ইসলাম উনার প্রথম খলীফা, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন,
مَنْ اَنْفَقَ دِرْهَمًا عَلٰى قِرَائَةِ مَوْلِدِ النَّبِىّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ رَفِيْقِىْ فِىْ الْـجَنَّةِ
অর্থ : “যে ব্যক্তি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ অর্থাৎ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উপলক্ষ্যে খুশি মুবারক প্রকাশ করে এক দিরহাম ব্যয় করবেন, তিনি জান্নাতে আমার বন্ধু হয়ে থাকবেন।” সুবহানাল্লাহ!
পবিত্র ইসলাম উনার দ্বিতীয় খলীফা, খলীফাতুল মুসলিমীন, হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন,
مَنْ عَظَّمَ مَوْلِدَ النَّبِىّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَدْ اَحْيَا الْاِسْلَامَ
অর্থ : “যে ব্যক্তি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ অর্থাৎ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনাকে বিশেষ মর্যাদা দিলেন অর্থাৎ এ উপলক্ষ্যে খুশি প্রকাশ করলেন, তিনি মূলত দ্বীন ইসলাম উনাকেই পুনরুজ্জীবিত করলেন।” সুবহানাল্লাহ!
পবিত্র ইসলাম উনার তৃতীয় খলীফা, আমীরুল মুমিনীন, হযরত যুন নুরাইন আলাইহিস সালাম তিনি বলেন,
مَنْ اَنْفَقَ دِرْهَـمًا عَلٰى قِرَائَةِ مَوْلِدِ النَّبِىّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَكَاَنَّـمَا شَهِدَ غَزْوَةَ بَدْرٍ وَّحُنَيْنٍ
অর্থ : “যে ব্যক্তি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ অর্থাৎ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উপলক্ষ্যে খুশি হয়ে এক দিরহাম খরচ করলেন, তিনি যেনো বদর ও হুনাইন জিহাদে শরীক থাকলেন।” সুবহানাল্লাহ!
পবিত্র ইসলাম উনার চতুর্থ খলীফা, আসাদুল্লাহিল গালিব, আমীরুল মু’মিনীন হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম তিনি বলেন,
مَنْ عَظَّمَ مَوْلِدَ النَّبِىّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَكَانَ سَبَبًا لّقِرَائَتِهٖ لايَـخْرُجُ مِنَ الدُّنْيَا اِلَّا بِالْاِيْـمَانِ وَيَدْخُلُ الْـجَنَّةَ بِغَيْرِ حِسَابٍ
অর্থ : “যে ব্যক্তি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ অর্থাৎ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনাকে বিশেষ মর্যাদা প্রদান করলেন অর্থাৎ সে উপলক্ষ্যে খুশি প্রকাশ করলেন, তিনি অবশ্যই ঈমান নিয়ে দুনিয়া থেকে বিদায় নিবেন এবং বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করবেন।” সুবহানাল্লাহ!
বিখ্যাত মুহাদ্দীস আল্লামা ইউসুফ নাবহানী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি এর মতে হাদীসগুলো সম্পূর্ণ সহীহ এবং সনদ নির্ভরযোগ্য।যা তিনি উনার ‘জাওয়াহেরুল বিহার’ এর গ্রন্থে ৩য় খন্ডের ৩৫০ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেছেন ।
আজ থেকে প্রায় ১৩০০ বছর পুর্বে আব্বাসীয় খিলাফতে ঈদে মিলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহ ওয়া সাল্লাম পালন হত।
=================================================
আজ থেকে প্রায় ১৩০০ বছর পুর্বে আব্বাসীয় খিলাফতে ঈদে মিলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহ ওয়া সাল্লাম পালন হত।
আব্বাসীয় খিলাফতের খলীফা হারুন অর রশীদের আম্মা আল খায়যুরান(মৃত্যু ১৭২ হিজরি ২য় শতক /৭৮৯ খৃষ্টাব্দ - ৮ম শতক) হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত মুবারকের স্থানে ইবাদত বন্দেগী করার জন্য উন্মুক্ত করে দেন। যেখানে মুসলমানগণ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ঈদে মিলাদে হাবীবি(ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পালন করতেন।
সুত্রঃ
১. Encyclopaedia of Islam, Second Edition. Brill Online Reference Works
২. Mawlid or Mawlud”, Encyclopedia of Islam
The basic earliest accounts for the observance of Mawlid can be found in 8th-century Mecca, when the house in which Muhammad was born was transformed into a place of prayer by Al-Khayzuran (mother of Harun al-Rashid, the fifth and most famous Abbasid caliph)
Source: “Mawlid or Mawlud”., Encyclopedia of Islam, Second Edition. Brill Online Reference Works.
জেনে রাখা দরকার, আব্বাসীয় খিলাফত ইসলামী খিলাফতগুলোর মধ্যে তৃতীয় খিলাফত। আব্বাসীয় খিলাফত হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার চাচা হযরত আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়া আনহু উনার বংশধরদের কর্তৃক ১৩২ হি/৭৫০ খ্রিস্টাব্দে কুফায় প্রতিষ্ঠিত হয় যা ৬৫৬ হি/১২৫৮ খৃষ্টাব্দ পর্যন্ত শাসন ক্ষমতায় থাকেন। ৯২২ হি/ ১৫১৭ সালে ইহা বিলুপ্ত ঘোষনা করা হয়।
এ খিলাফত ইসলাম এবং মুসলমানগন উনাদের জন্য অনেক অবদান রেখেছেন।
এছাড়াও বাদশা হরুনুর রশীদের সময়কার ঘটনা যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, পবিত্র রবিউল আউয়াল শরীফ মাসে পবিত্র মীলাদ শরীফ উনার সম্মানার্থে পবিত্র মীলাদ শরীফ মাসকে তাযীম করায় এক ব্যক্তি ওলী আল্লাহ হিসাবে আখ্যায়িত হয়েছিলেন,
আল্লামা সাইয়্যিদ আবু বকর মক্কী আদ দিময়াতী আশ শাফেয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি (ওফাত: ১৩০২ হিজরী) উনার বিখ্যাত “ইয়নাতুল ত্বলেবীন” কিতাবে বর্ণনা করেন, বর্ণিত রয়েছে, খলীফা হারুনুর রশীদের যামানায় (১৪৮-১৯৩ হিজরী) বছরা শহরের এক যুবক সে নফসের অনুসরন করে চলতো। শহরের লোকেরা নিন্দনীয় আমলের জন্য তাকে নিন্দার চোখে দেখতো। তবে যখন পবিত্র রবিউল আউয়াল শরীফ মাস আসতো, এই যুবক কাপড় ধৌত করতেন, সুগন্ধি ব্যবহার করতেন ও খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকতেন। সেই সাথে ভালো খাবারের ব্যবস্থাও করতেন। এবং পবিত্র মীলাদ শরীফ উনার মাসে এ আমল লম্বা সময়ব্যাপী করতেন। অতপর যখন তিনি ইন্তেকাল করেন তখন শহরবাসীগণ গায়েবী আহ্বান শুনতে পান। সেখানে বলা হচ্ছিলো, হে বসরাবাসী! আপনারা আল্লাহ পাক উনার ওলীদের মধ্যে অর্ন্তভুক্ত একজন ওলীর জানাজায় শরীক হন। নিশ্চয়ই তিনি আমার কাছে খুবই প্রিয়। অতপর শহরবাসী উনার জানাজায় উপস্থিত হলেন এবং দাফন সম্পন্ন করলেন। উনারা (শহরবাসী) স্বপ্নে দেখলেন, উক্ত যুবক কারুকার্যপূর্ণ রেশমী কাপড় পরিহিত অবস্থায় ঘোরাফেরা করছেন। উনাকে জিজ্ঞাসা করা হলো, এ ফযিলত আপনি কি করে লাভ করলেন? তিনি বললেন, পবিত্র মীলাদ শরীফ উনাকে তাযীম করার কারনে।” (ইয়নাতুল ত্বলেবীন ৩য় খন্ড ৬১৩ পৃষ্ঠা ; প্রকাশনা: দারুল হাদীছ , কাহেরা, মিশর)
এখানে কয়েকটি বিষয় উল্লেখযোগ্যঃ
১. যখন আব্বাসীয় খিলাফত শুরু হয় তখন তাবেয়ী উনাদের যুগ। তার মানে তাবেয়ী উনাদের সময়ে ঈদে মিলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালিত হত।
২. খলিফা হারুন অর রশিদের আম্মা যেহেতু পালন করেছেন সেহেতু অন্যরাও পালন করেছেন। যা উপরে উল্লিখিত ঘটনাদ্বারা প্রমাণিত হয়।
৩. ইহা নতুন কোন আমল নয়, ইসলামের শুরু থেকেই পালিত একটি আমল। যা মূলত সুন্নাত মুবারক উনার অন্তর্ভূক্ত।
তথ্যসূত্রওঃ
১. goo.gl/IO9bCs
২. আল খায়যুরান - goo.gl/b7kpm5
৩. আব্বাসীয় খিলাফত -goo.gl/OYoCSl
৪. ইয়নাতুল ত্বলেবীন ৩য় খন্ড ৬১৩ পৃষ্ঠা ; প্রকাশনা: দারুল হাদীছ , কাহেরা, মিশর
আজ থেকে প্রায় ১২০০ বছর পুর্বেও ঈদে মিলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহ ওয়া সাল্লাম পালিত হত।
=================================================
তৃতীয় হিজরী শতকে পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন : তৃতীয় শতাব্দীর মহান ব্যক্তিত্ব সাইয়্যিদুত ত্বয়িফা হযরত জুনাইদ বাগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন-
مَنْ حَضَرَ مَوْلِدَ النَّبِىّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَظَّمَ قَدْرَهٗ فَقَدْ فَازَ بِالْاِيـْمَانِ.
অর্থ : “যে ব্যক্তি পবিত্র মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আয়োজনে উপস্থিত হল এবং উপযুক্ত সম্মান প্রদর্শন করলো। সে তাঁর ঈমানের দ্বারা সাফল্য লাভ করবে অর্থাৎ সে বেহেশতী হবে।” সুবহানাল্লাহ! (আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম ফী মাওলিদি সাইয়্যিদি উইলদি আদম- ৮ম পৃষ্ঠা)
হিজরী ৩য় শতকের পবিত্র মক্কা শরীফ উনার মুসলিম ইতিহাসবিদ আল আজরাকী রহমতুল্লাহি আলাইহি (ওফাত ২১৯ হিজরী) তিনি উল্লেখ করেন, “নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেখানে পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন সেখানে নামায আদায় হতো।” (আল মক্কাহ, ২য় খ-, ১৬০ পৃষ্ঠা)
মুফাসসির আন নাক্কাস রহমতুল্লাহি আলাইহি (২৬৬-৩৫১ হিজরী) তিনি উল্লেখ করেন, “নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের স্থানে প্রতি ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ দুপুরে দোয়া করা হতো।” (আল ফাসি শিফা আল গারাম, ১ম খ-, পৃষ্ঠা ১৯৯)
যারা বলে থাকে ঈদে মিলাদে হাবীবি নতুন আমল, ইহা বিদয়াত তারা এর কি জবাব দিবে?
ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পালনে জালালুদ্দীন সুয়ূতী রহমতুল্লাহি আলাইহি এর কিতাবের রেফারেন্স
=================================================
৯ম শতাব্দীর মুজাদ্দিদ, সুলত্বানুল আরিফীন হযরত ইমাম জালালুদ্দিন সুয়ূতী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্পর্কে উল্লেখ করেন-
اَنَّ اَصْلَ عَمَلِ الْـمَوْلِدِ الَّذِيْ هُوَ اِجْتِمَاعُ النَّاسِ وَقِرَاءَةٌ مَا تَيَسَّرَ مِنَ الْقُرْاٰنِ وَرِوَايَةُ الْاَخْبَارِ الْوَارِدَةِ فِيْ مَبْدَاِ اَمْرِ النَّبِيّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمَا وَقَعَ فِيْ مَوْلِدِهٖ مِنَ الْاٰيَاتِ ثُـمَّ يَـمُدُّ لَـهُمْ سِـمَاطَ يَأْكُلُوْنَهٗ وَيَنْصَرِفُوْنَ مِنْ غَيْرِ زِيَادَةٍ عَلٰى ذٰلِكَ هُوَ مِنَ الْبِدَعِ الْـحَسَنَةِ الَّتيْ يُثَابُ عَلَيْهَا صَاحِبُهَا لِـمَا فِيْهِ مِنْ تَعْظِيْمِ قَدْرِ النَّبِيّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَاِظْهَارِ الْفَرْحِ وَالْاِسْتِبْشَارِ بِـمَوْلِدِهِ الشَّرِيْفِ
অর্থ : “পবিত্র মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন যা মূলতঃ মানুষদের সমবেত করা, পবিত্র কুরআন শরীফ উনার অংশ-বিশেষ তিলাওয়াত, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দুনিয়ায় তাশরীফ মুবারক (পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ) সংক্রান্ত ঘটনা ও মুবারক লক্ষণগুলোর বর্ণনা পেশ, অতঃপর তবাররুক (খাবার) বিতরণের জন্য দস্তরখানা বিছানো এবং সবশেষে সমাবেশ ত্যাগ, তা উত্তম কাজ (উদ্ভাবন); আর যে ব্যক্তি এর অনুশীলন করেন তিনি সওয়াব অর্জন করেন, কেননা এতে জড়িত রয়েছে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহান মর্যাদা মুবারক উনার প্রতি গভীর তা’যীম প্রদর্শন এবং উনার সম্মানিত বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের প্রতি খুশি প্রকাশ।’’ (আল-হাওয়ী লিল্ ফাতাওয়া লি ইমাম জালালুদ্দিন সুয়ূতী রহমতুল্লাহি আলাইহি, ১ম খ-, ২৯২ পৃষ্ঠা, মাকতাবাল আসরিয়া, বৈরূত, লেবানন)
আল্লাহ শায়খ কে ছহী হাদিস বলার তোফিক দান করুন আমিন।
Allha apnaka hafizot korun
আল্লাহ।আপনার।রহম।করুন।
মিউজিক দিয়ে পুরো লেকচারের মান নষ্ট করে ফেলছেন
মিউজিক এর জন্য সুনা যাচ্ছে না ।মিউজিকটা সরানো হোক
আলহামদুলিল্লাহ্ জাযাকাল্লাহ্
আল্লাহ।আপনার।পতি।এব্।আপনার।পরিবারের।পতিউ।রহমত।করুন।
যাজাকাল্লাহ
❤
সুবহানাল্লাহ
আমিন
২০২৪❤❤❤❤
Alhamdulla
শায়েখ এর বক্তব্য সাথে, মিউজিক কেন, ইউটিউবার কে লক্ষ্য করে বলছি। এই সব হারাম কাজ বন্ধ করুন।
आमिन
Shayek Rahmanir sobgulu boktonbo amar onek onek valolage.....///kintu rahmanir notun kunu boktobbo jodi apnar kace thake thahole upload kore amaderke sunar sujug kore den plz
+Kayed Mujaddid ইনশাআল্লাহ আমরা পর্যায়ক্রমে উনার সকল লেকচার আপলোড করবো।।।আমাদের সাথেই থাকুন। ।জাযাকা-আল্লাহু খাইরন
আসসালামুয়ালাইকুম ভাই হুজুর কি মুক্তি দেওয়া হবে না এবং উনার মুক্তির জন্য কোন ব্যবস্থাপনা করতেছে না
Good....go ahead👍
জাযাকা-আল্লাহু খাইরন
দয়া করে মিউজিক দিবেন না
Doa kore ki vay thabrano uchit waz e kano music add korese eta ki tamasha?
ভাই বারতি শব্দ দিবেন না প্লিজ কথা বুঝতে সমস্যা হয়
ঠিক
মিউজিক কেনো আসলো এটা একটি ইসলামি আলোচনা। ???
এই হারাম মিউজিক না
josimuddin allah apnake ao
👍⚖️✔️
Background sound diben nah.
Er porer part koi plz add koren
পবিত্র মক্কা শরীফ- এ ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন হওয়ার প্রমাণ
=================================================
পবিত্র মক্কা শরীফ- এ সাইয়্যদুল আ’ইয়াদ শরীফ তথা ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন হওয়ার প্রমাণ।
১। হিজরী ৩য় শতকের পবিত্র মক্কা শরীফ উনার মুসলিম ইতিহাসবিদ আল আজরাকী রহমতুল্লাহি আলাইহি (ওফাত ২১৯ হিজরী) তিনি উল্লেখ করেন, “নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেখানে পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন সেখানে নামায আদায় হতো।” (আল মক্কাহ, ২য় খ-, ১৬০ পৃষ্ঠা)
২। মুফাসসির আন নাক্কাস রহমতুল্লাহি আলাইহি (২৬৬-৩৫১ হিজরী) তিনি উল্লেখ করেন, “নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের স্থানে প্রতি ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ দুপুরে দোয়া করা হতো।” (আল ফাসি শিফা আল গারাম, ১ম খ-, পৃষ্ঠা ১৯৯)
৩। সাইয়্যিদ মুহম্মদ সুলাইমান নদভী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি “সিরাতুন নবী” জীবনী গ্রন্থের ৩য় খন্ডে উল্লেখ করেছেন ৩/৪ শতক হিজরী মীলাদ শরীফ উদযাপন করা হতো। এছাড়াও ৩৯৪ হিজরী সালে ফাতেমী খিলাফতের অধীনে মিশরে মাসব্যাপী ব্যাপক জাঁকজমকের সাথে পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালিত হতো।
৪। হযরত ইবনে জুবায়ের রহমতুল্লাহি আলাইহি (৫৪০-৬৪০ হিজরী) তিনি উল্লেখ করেছেন- “নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত বাড়ি মুবারক-এ পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার প্রতি ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা হতো।” (কিতাবুর রিহাল, পৃষ্ঠা ১১৪-১১৫)
৫। হাফিজুল হাদীছ আবুল ফয়েয হযরত আব্দুর রহমান ইবনুল জাওযী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি লিখেন, “হারামাইন শরীফাইন, মিশর, ইয়ামেন, সিরিয়া এবং পূর্ব থেকে পশ্চিম পর্যন্ত আরবের সকল শহর ও নগরের অধিবাসীদের মধ্যে অব্যাহতভাবে এ নিয়ম চলে আসছে যে, তারা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র মীলাদ শরীফ উনার অনুষ্ঠান করেছেন। পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ উনার নতুন চাঁদের আগমনে আনন্দিত হন, গোসল করেন, দামী পোশাক পরিধান করেন, নানা প্রকার সাজ-সজ্জা করেন, সুগন্ধি ব্যবহার করেন, সুরমা লাগান, এই দিনগুলোতে আনন্দ উৎসব করেন, ধন-সম্পদ, টাকা-পয়সা মানুষের মধ্যে বিলিয়ে দেন এবং অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ ও শ্রবণের ব্যবস্থা করে অধিক ছাওয়াব এবং বিরাট সাফল্য অর্জন করেন। উনারা পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করে যে নিরাপত্তা ও স্বস্তি, জীবিকার মানোন্নয়ন, শিশু ও সম্পদ বৃদ্ধি এবং শহরের শান্তি ও উনাদের সাফল্য অর্জন করেছেন তা প্রকাশ করতেন।” (তাফসীরে রূহুল বয়ান লি শেখ ইসমাইল হাক্কী রহমতুল্লাহি আলাইহি- ৯ম খ-, পৃষ্ঠা ৫৬; মীলাদুল উরুস- উর্দু “বয়ান-ই-মিলাদুন নবী”, পৃষ্ঠা ৩৪-৩৫, লাহোর; দুররুল মুনাজ্জাম, পৃষ্ঠা ১০০-১০১; মীলাদুন নবী, পৃষ্ঠা ৫৮)
৬। সপ্তম হিজরী শতাব্দীর ইতিহাসবিদ শায়েখ আবুল আব্বাস আল আযাফি এবং উনার ছেলে আবুল কাসিম আল আযাফি (সার্জারির জনক) উনাদের কিতাব-এ লিখেন- “পবিত্র মক্কা শরীফ উনার মধ্যে ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দিন ধার্মিক ওমরাহ-হজ্জ যাত্রী এবং পর্যটকেরা দেখতেন যে, সকল ধরণের কার্য্যক্রম (দুনিয়াবী) বন্ধ, এমনকি ক্রয়-বিক্রয় হতো না, উনাদের ব্যতীত যারা সম্মানিত বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের স্থান জড়ো হয়ে দেখতেন। এ দিন পবিত্র কা’বা শরীফ সকলের জন্য উন্মুক্ত করা হতো।” (দুররুল মুনাজ্জাম)
৭। প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ ইবনে বতুতা তিনি লিখেন- “প্রতি জুম‘আ নামায শেষে এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবসে বনু শায়বা গোত্রের প্রধান কর্তৃক পবিত্র কা’বা শরীফ উনার দরজা খোলা হতো। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত বংশধর আলাইহিমুস সালাম উনাদের এবং সাধারণ জনগনের মাঝে খাবার বিতরণ করতেন পবিত্র মক্কা শরীফ উনার বিচারক নাজমুদ্দীন মুহম্মদ ইবনে আল ইমাম মুহিউদ্দীন আত তাবারী।” (কিতাবুর রিহলা, ১ম খ-, পৃষ্ঠা ৩০৯ ও ৩৪৭)
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বয়ং নিজেই নিজের বিলাদত শরীফ উনার আলোচনা মুবারক করেছেন।
=================================================
উত্তর: সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন্নাবিয়্যীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজেই উনার সুমহান বিলাদত শরীফ সর্ম্পকে আলোচনা করেছেন-
দেশের সকল মাদ্রাসাসমূহে পঠিত হাদীছ শরীফ-এর বিখ্যাত ও নির্ভরযোগ্য কিতাব “মেশকাতুল মাছাবীহ এর ৫১৩ পৃষ্ঠায় “ ফাযায়েলে সাইয়্যিদুল মুরসালীন ” নামক অধ্যায়ে উল্লেখ আছে,
عن حضرت عرباض بن سارية رضى الله تعالى عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال انى عبد الله وخاتم النبيين وان آدم لمنجدل فى طينته وسأخبركم عن ذلك دعوة أبى ابراهيم عليه السلام وبشارة حضرت عيسى عليه السلام ورؤيا امى التى رأت، وكذلك امهات النبيين يرين، وأن ام رسول الله صلى الله عليه وسلم رأت حين وضعته نورا أضاءت له قصور الشام
অর্থ: “হযরত ইরবাজ ইবনে সারিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, নিশ্চয়ই আমি তখন থেকে আল্লাহ পাক উনার আবদ তথা হাবীব এবং আমি খাতামুন নাবিইয়ীন তথা আখিরী নবী নিশ্চয়ই যখন হযরত আদম আলাইহিস সালাম তিনি মৃত্তিকায় অবস্থান করছিলেন। তোমাদের নিকট খবর পৌঁছেছে ওই ব্যাপারে যে আমি হযরত ইবরাহীম খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার দোয়া মুবারক, আমি হযরত ঈসা রূহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সুসংবাদ এবং আমি আমার মা (হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম) উনার স্বপ্ন মুবারক। যা আমার সম্মানিত মা জননী তিনি মুবারক স্বপ্ন দেখেছেন অনুরূপ স্বপ্ন হযরত নবী রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের জননীগণ উনারাও দেখেছিলেন। মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ-এর ক্ষনে উনার সম্মাণিত মা হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম তিনি এক নূর মুবারক দেখতে পান। সেই নূর মুবারক-এর আলোয় শাম তথা সিরিয়ার রাজ প্রাসাদ আলোকিত হয়েছিলো। সুবহানাল্লাহ!
(সহীহ ইবনে হিব্বান: হাদীস ৬৪০৪, মুসতাদরেকে হাকীম: হাদীস ৩৬২৩, সিয়ারু আলামীন আননুবুলা পৃষ্ঠা ৪৬, মুসনাদে তয়লাসী: হাদীস ১২৩৬, মুসনাদে বাযযার ৪১৯৯, দালায়েলুন নুবুওওয়াত-১ম খন্ডের ৮৩ পৃষ্ঠা ,শোয়াবুল ঈমান-২য় জিঃ, ১৩৪ পৃষ্ঠা, শরহুসসুন্নাহ ও মসনদে আহমাদ)
নিম্নে কতিপয় কিতাবের নাম দেয়া হলো:
1. দালায়েলুন নবুওয়াত লি ইমাম বায়হাক্বী
2. সহীহ ইবনে হিব্বান
যেখানে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন্নাবিয়্যীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেই নিজের পবিত্র বিলাদত শরীফ উনার আলোচনা মুবারক করেছেন, সেখানে আমরা করলে এটা বিদয়াত হবে কেন?
স্বয়ং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ পালন করেছেন।
=================================================
সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ তথা সর্বশ্রেষ্ট ঈদ,ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা কখনোই বিদয়াত বা নতুন বিষয় নই, যারা বিদয়াত বলে, তারা তাদের জিহালতের কারনেই বলে থাকে।
মূলত সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজেই উনার ঈদে মীলাদে (হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পালন করেছেন। উনার পবিত্র বিলাদত শরীফের বার হচ্ছে ইয়াওমুল ইছনাইন বা সোমবার। এই দিনে শুকরিয়া আদায় করে তিনি রোজা রাখতেন। অর্থাৎ মীলাদে হাবীবী (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পালন করেছেন।
عَنْ حَضْرَتْ اَبِـيْ قَتَادَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ بِـهٰذَا الْـحَدِيْثِ زَادَ قَالَ يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَرَاَيْتَ صَوْمَ يَوْمِ الْاِثْنَيْنِ وَيَوْمِ الْـخَمِيْسِ قَالَ فِيْهِ وُلِدْتُّ وَفِيْهِ اُنْزِلَ عَلَىَّ الْقُرْاٰنُ.
অর্থ : “হযরত আবূ ক্বাতাদা আনসারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ইয়াওমুল ইছলাইনিল আযীম শরীফ ও ইয়াওমুল খ¦মীস রোযা রাখার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলো, তখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন যে, এদিন (ইয়াওমুল ইছলাইনিল আযীম শরীফ) আমি পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেছি, আর এদিনই আমার উপর ওহী মুবারক বা পবিত্র কুরআন শরীফ নাযিল হয়েছে।” (মুসলিম শরীফ : হাদীছ শরীফ নং ২৮০৭, আবূ দাঊদ শরীফ : হাদীছ শরীফ নং ২৪২৮, সুনানে কুবরা লি বায়হাক্বী শরীফ : হাদীছ শরীফ নং ৮২১৭, ইবনে খুজাইমা শরীফ : হাদীছ শরীফ নং ২১১৭, মুসনাদে আবি আওয়ানা : হাদীছ শরীফ নং ২৯২৬, মুসনাদে আহমদ শরীফ : হাদীছ শরীফ নং ২২৬০৩)
অত্র পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার থেকে জানা যায় যে, পবিত্র সোমবার শরীফ সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদতী শান মুবারক ও আনুষ্ঠানিকভাবে নুবুওওয়াত মুবারক প্রকাশ লাভের দিন। এই দিনে রোযা রাখার ইঙ্গিত অত্র পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে রয়েছে।
এর থেকেও প্রমাণিত হয় যে, বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের দিন এবং বরকতী বিশেষ দিন সমূহের দিন খুশি প্রকাশ করা বা তা পালন করতে হবে। কারন স্বয়ং হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজেই উনার আগমনের বারে শুকরিয়া আদায় করে রোজা রাখতেন। হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আগমন উপলক্ষে নিজেই নিজের আগমন দিবস পালন করেছেন।
Music keno ?
Porer video gulate r music dewa hoy ni
একটা বয়ান শুনতে আসছিলাম। কিন্তু বয়ানে বাজনা কেন শয়তান???
my love,
Music ta onk biroktikor
Multi chai
A m s
Bidath is language of shaitan.