ইসরা ও মেরাজ (২য় পর্ব) তথ্য মূলক আলোচনা, আবু উমার রকীব Muslim journey

Поделиться
HTML-код
  • Опубликовано: 10 фев 2025
  • নবীজির মেরাজ: একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণী
    মেরাজ হলো ইসলামের ইতিহাসে এক অনন্য ও অলৌকিক ঘটনা। এটি নবী মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জীবনে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এই মহান ঘটনা সংঘটিত হয় মক্কার একটি রাতে, যা ইসলামী ক্যালেন্ডারের রজব মাসে ঘটে বলে বিশ্বাস করা হয়।
    ইসরা: ভূমি থেকে আকাশযাত্রার শুরু
    মেরাজ দুটি ধাপে বিভক্ত। প্রথম ধাপ হলো ইসরা। নবীজিকে বায়তুল্লাহ থেকে বায়তুল মুকাদ্দাস (জেরুজালেমে অবস্থিত মসজিদুল আকসা) নিয়ে যাওয়া হয়। এই যাত্রায় তিনি আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি বিশেষ বাহন বুরাক-এ আরোহন করেন। মসজিদুল আকসায় পৌঁছে তিনি পূর্ববর্তী নবীদের সঙ্গে নামাজ আদায় করেন, যেখানে তিনি তাদের ইমামতি করেন।
    মেরাজ: আকাশপথে আরোহন
    ইসরার পরে নবীজিকে আকাশের সাত স্তর পাড়ি দিয়ে আল্লাহর সান্নিধ্যে নেওয়া হয়। প্রত্যেক স্তরে তিনি বিভিন্ন নবীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন:
    1. প্রথম আকাশে তিনি আদম (আঃ) এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
    2. দ্বিতীয় আকাশে ঈসা (আঃ) ও ইয়াহইয়া (আঃ)-এর সঙ্গে।
    3. তৃতীয় আকাশে ইউসুফ (আঃ)।
    4. চতুর্থ আকাশে ইদ্রিস (আঃ)।
    5. পঞ্চম আকাশে হারুন (আঃ)।
    6. ষষ্ঠ আকাশে মূসা (আঃ)।
    7. সপ্তম আকাশে ইব্রাহিম (আঃ)।
    সপ্তম আকাশ পেরিয়ে নবীজি সিদরাতুল মুনতাহা নামক স্থান পৌঁছান, যা সৃষ্টির শেষ সীমা। এখান থেকে তিনি এক বিশেষ অবস্থানে পৌঁছান, যেখানে শুধুমাত্র তিনি এবং আল্লাহর মধ্যে সংলাপ হয়।
    পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের বিধান
    মেরাজের সময় নবীজিকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের বিধান দেওয়া হয়। প্রথমে পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামাজ নির্ধারিত হলেও নবীজি মূসা (আঃ)-এর পরামর্শে বারবার অনুরোধ করে তা কমিয়ে পাঁচ ওয়াক্তে আনা হয়।
    নবীজির প্রত্যাবর্তন
    মেরাজের পরে নবীজি মক্কায় ফিরে আসেন এবং এই অলৌকিক ঘটনার কথা কুরাইশদের জানালে তারা তাকে বিদ্রূপ করতে শুরু করে। তবে, বিশ্বাসীদের জন্য মেরাজ ঈমান বৃদ্ধি এবং নবীর প্রতি গভীর ভালবাসার কারণ হয়ে ওঠে।
    মেরাজ ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা যা আমাদের আল্লাহর সঙ্গে সংযোগের গুরুত্ব, নামাজের গুরুত্ব এবং নবীজির মর্যাদা বোঝায়।

Комментарии •