Ladakh Road Trip; Ladakh Tour Planning; Srinagar to Leh; Hotels at Ladakh; Leh Sightseeing;

Поделиться
HTML-код
  • Опубликовано: 28 дек 2024
  • Ladakh;,
    ladakh road trip,
    ladakh trip,
    ladakh tourist places,
    ladakh tourism,
    ladakh tour plan in bengali,
    ladakh tour plan from kolkata,
    leh sightseeing,
    leh sights,
    leh tourist places,
    leh tourist season,,
    #travelguide #ladakh #leh,
    Complete travel guide Ladakh,Complete travel guide Ladakh | Transportation,
    Tour Planner Blog
    আজ পয়লা অক্টোবর| কাল দুপুরে আমরা লে তে এসে পৌঁছেছি| আজ আমাদের আশেপাশে দর্শনীয় জায়গা গুলি দেখার কথা| কিন্তু আগের দিন রাতে থেকেই মা সর্দিতে বেশ কাহিল| তাই সকালে উঠে মাকে জিজ্ঞেস করলাম যে প্ল্যান চেঞ্জ করবো কিনা| এই করতে করতে মাকে বললাম ফ্রেশ হয়ে আসতে| কিছুটা সময় চলে যাবার পরে মার শরীরটা একটু ভালো লাগতে শুরু করলে, আমরা ঠিক করলাম যে প্ল্যান অনুযায়ী আজকে বেরিয়ে পড়বো| কারণ এখন যদি ঘরে বসে যাই তাহলে আর কিন্তু আর বেরোতে পারবোনা| যেমন ভাবা তেমন কাজ| প্রথমে গেলাম হল অফ ফেমে| আসলে এটি আমাদের আগের দিনই দেখার কথা ছিল, কিন্তু ঐদিন কোনো কারণে বন্ধ থাকার জন্য Stanjin বলেছিল যে আজকে প্রথমে এইটা করে নেবে| এরপর চললাম আমরা শান্তি স্তুপ এর দিকে| তারপর একে একে সে পালেস, থিকসে মনাস্ট্রি, রাঞ্চো স্কুল , লে প্যালেস ঘুরে হোটেল ফিরে আসলাম| Stanjin কে বললাম ও যেন পাঁচটা নাগাদ আবার হোটেলে চলে আসে যাতে মাকে নিয়ে মেন মার্কেট টা ঘুরে আসতে পারি|
    এরপরে দুপুরের লাঞ্চ করে একটু রেস্ট নেওয়া মনস্থির করলাম| বিকেলে মেইন মার্কেট টা ঘুরে এসে মা আবারো শুয়ে পড়লো| রাতে রেডি টু ইট একটা পোহা আর একটা উপমা দিয়ে কাজ চালিয়ে নিলাম| কারণ পরেরদিন লম্বা জার্নি| খালি তাই নয় কালকে আমরা পার হবো খারদুংলা| এরইমধ্যে এক ফাঁকে চাম্বা জি এসে আমার আর মার সাথে দেখা করে গেল| সাথে বলে গেল খারদুংলা তে কি কি করতে হবে আর কি কি করা চলবে না| আমরা শ্রীনগর থেকে বেরোবার পরই বেশ কিছুটা মিনারেল ওয়াটার গাড়িতে নিয়ে নিয়েছিলাম| এরপরের জার্নি যেহেতু প্রত্যন্ত এরিয়ায় এবং মায়ের পেটের সমস্যা রয়েছে সেজন্য Stanjin কে বলেছিলাম জল নিতে হবে| ও বলল পরের দিন এসে সকালবেলা ও গাড়িতে জল নিয়ে নেবে সাথে অক্সিজেন সিলিন্ডার এবং মাস্ক|
    এখানে আরেকটি কথা বলে রাখি আমরা লে এসে দেখলাম যে আমার একজন স্কুলের বন্ধুও তার মা এবং ভাইকে নিয়ে লে তে এসে পৌঁছেছে| কথায় কথায় জানতে পারলাম, ওরাও কালকে খার্দুংলা হয়ে নুব্রা যাবে| তাই ঠিক হল আমরা সকালবেলা একই সাথে রওনা দেব|
    আজকে এই পর্যন্ত থাক, কাল নিয়ে আসব এই যাত্রার সবচেয়ে কঠিনতম রাস্তা নিয়ে|
    এই ভ্রমণ বৃত্তান্ত লিখতে গিয়ে, আমার মনে হয়েছে যে কিছু কথা যদি আমি আপনাদের সাথে ভাগ করে নিই তাহলে নিশ্চয়ই আপনারা যারা এই প্ল্যানিং করতে চাইছেন তাদের সুবিধা হবে| প্রথমেই বলি, আমি মনে করি যেকোনো ট্যুরের ভালো-মন্দ পুরোটাই নির্ভর করে সেই ট্যুর টির ঠিকঠাক প্লানিং এর উপরে| সেই কারণে মাকে নিয়ে এরকম একটা ট্যুর করবার আগে আমি অনেকটা সময় ব্যয় করেছি পড়াশোনা করার জন্য| আমি বিভিন্ন ট্যুর প্ল্যান গ্রুপে অনেককে বলতে শুনেছি লাদাখে কোন সমস্যাই নেই যে কেউ যেকোনো ভাবে চলে যেতে পারে| আমার মনে হয় কথাটা একেবারেই ঠিক নয়| এই পুরো ট্যুর টি কমপ্লিট করে এসে আমি দেখেছি যে কিরকম প্রত্যন্ত এরিয়ায় যেতে হয় এবং রাত্রি বাস করতে হয় যেখানে আমাদের মত সমতলের লোকজনের পরিবেশের সাথে মানিয়ে নিতে কিছুটা সময় লেগে যায়| চাম্বা জি ওখানকার লোক হওয়া সত্বেও আমাদেরকে বারবার সাবধান করেছেন যে যেন আমরা খুব বেশি তাড়াহুড়ো কোন জায়গায় না করি|
    এ প্ল্যানিং টি করবার সময় প্রথমেই আমি ওখানকার গাড়ির ব্যবস্থা করেছিলাম| সোণমার্গ থেকে লে এয়ারপোর্ট ড্রপ পর্যন্ত, আমি একটি ইনোভা গাড়ি নিয়েছিলাম| এক্ষেত্রে আমার খরচ একটু বেশিই হয়েছিল কিন্তু মাকে নিয়ে সুস্থভাবে এই ট্যুর টি করবো বলে, আমি এই ব্যবস্থা করেছিলাম| মার বেশ কিছু শারীরিক সমস্যা থাকার দরুন কোন ট্যুর অপারেটর এর সাথে প্ল্যান করা আমার জন্য অসুবিধাজনক ছিল| আর ছোটবেলা থেকেই বিভিন্ন জায়গা বাবার সাথে ঘুরে এখন আর কোন ট্যুর পার্টির সাথে ঘুরতে ইচ্ছা করে না নিজেই পুরোটা প্ল্যান করলে মনে হয় ঘোরাটা খুব ভালোভাবে করা যাবে| আরো একটা জিনিস মাথায় ছিল কোন পরিস্থিতিতেই যেন দুপুর একটা -দুটোর পরে আর জার্নি করতে হয়| লাদাখ ভ্রমণ করতে এসে আমার মনে হয় আমাদেরকে এই পরিবেশকে সম্মান জানানো উচিত এবং পরিবেশের সাথে নিজেকে ধীরে ধীরে মানিয়ে নিয়ে চলা উচিত|
    এবং সেই কারণেই আমি প্রথম দিন শ্রীনগরে না থেকে চলে এসেছিলাম সোনমার্গে| ইচ্ছে করলে আমি কিন্তু পরের দিনই পৌঁছে যেতে পারতাম লেতে| সেটা না করে আমি আরও একটি দিন সময় দিয়ে লে পৌঁছেছিলাম| অনেকে বলতে পারেন যে তাদের সময়ের অভাব আছে| আমি এটার সাথে একমত কিন্তু এই সার্কিটটি কমপ্লিট করতে গেলে সময়, অর্থ এবং যুদ্ধ করবার মানসিকতা নিয়েই চলা উচিত| এই পুরো জায়গাটি কে ভালো করে বুঝতে গেলে আমার মনে হয় এই সম্মানটুকু এই পরিবেশের প্রাপ্য|
    অনেককে আমি বলতে শুনেছি নিশ্চিন্তে চলে যান শ্বাসকষ্ট হওয়ার কোনো ভয় নেই| এ সম্বন্ধে আমি বলব হয়তো 100 জনের মধ্যে 99 জন এর ক্ষেত্রে এটি ঠিক কিন্তু একজনেরও যদি এটা হয়, সেটা থেকে কিন্তু অনেক বড় সমস্যা হয়ে যেতে পারে| আমাদের গাড়ি যারা চালাচ্ছিল তাদের একজন বলেছিল ওদেরই এক বন্ধু একবার হঠাৎ করে সোমোরিরিতে এসে শ্বাসকষ্টে মারা গিয়েছিল| সুতরাং কার কখন সমস্যা হবে আমার মনে হয়না কেউ বলতে পারে| সেজন্য সাবধানতা সব সময় নেওয়া ভালো কিছু হয়ে গেলে এই সময়টাকে আমরা কিন্তু আর ফেরত পাব না| মানসিকভাবে আমি প্রস্তুত ছিলাম যেকোনো পরিস্থিতিতে যদি দেখি মার শরীর খারাপের দিকে যাচ্ছে সঙ্গে সঙ্গে আমি নিচের দিকে নেমে আসবো মানে হাই অল্টিটিউড থেকে লো অল্টিটিউডে চলে আসব, সে ক্ষেত্রে প্ল্যান cancel করতে হলে সেটা করতেও পিছপা হব না|

Комментарии •