ঘূর্ণিঝড়ের সাথে লোডশেডিং: ইতিহাস থেকে বিদ্যুৎহীন জীবনযাপন|| Relaks Radio Bangla

ঘূর্ণিঝড়ের সাথে লোডশেডিং: ইতিহাস থেকে বিদ্যুৎহীন জীবনযাপন|| Relaks Radio Bangla
১. বিদ্যুৎহীন দিনে বর্তমান পরিস্থিতি
প্রথমেই বলতে হয়, সামান্য একটু বৃষ্টি বা বাতাস দিলেই বিদ্যুৎ চলে যাওয়া এখন প্রায় নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে ঘূর্ণিঝড় ও বন্যার সময় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নতা হয়ে ওঠে সবচেয়ে বড় সমস্যা। এই পরিস্থিতিতে লোডশেডিংয়ের ফলে পাখা বা এসি বন্ধ থাকায় সবাই গরমে অতিষ্ঠ জীবন পার করছেন।
২. ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক সময়ে গরমে বসবাসের ব্যবস্থা
বিদ্যুৎ ছিল না এমন সময় ব্রিটিশরা কীভাবে গরম সামাল দিতো, সেটা জানাটা বেশ কৌতূহলের বিষয়। তখন মানুষ গ্রীষ্মকালে বা গরমকালে গাছতলায় বা বাড়ির বারান্দায় রাত কাটাত। ব্রিটিশরা এ দেশের বৈরি আবহাওয়ায় অভ্যস্ত না থাকায় তাদের বাড়ি ঠাণ্ডা রাখতে ব্যবহার করতো পাঙ্খা বা টানা পাখা।
৩. ব্রিটিশদের টানা পাখার ব্যবহার
ব্রিটিশ সাহেবরা যেন আরামে ঘুমাতে পারেন সেজন্য তারা পাঙ্খাওয়ালা বা পাঙ্খা পুলারদের নিযুক্ত করত। এই পেশার মাধ্যমে পাঙ্খাওয়ালারা রাত জেগে তাদের আরামের জন্য পাখা টানতো। ব্রিটিশরা তাদের পাঙ্খাওয়ালাদের কাছে যেতে দিত না, এবং গুপ্তচরবৃত্তি থেকে নিরাপদ রাখার জন্যও নানা ব্যবস্থা নিত।
৪. ভারতের সচ্ছল ও অভিজাতদের মধ্যে টানা পাখার প্রচলন
পরবর্তীতে ব্রিটিশদের দেখাদেখি সচ্ছল ও অভিজাতদের বাড়িতেও টানা পাখার প্রচলন শুরু হয়। তবে এই কাজের জন্য নিয়োগপ্রাপ্তরা প্রভুর মতো আচরণ পেত। তাদের অকথ্য ভাষায় গালাগালি, মারধর, এমনকি হত্যারও ( হত্যার শব্দে বীপ দিয়ে দিবেন) অভিযোগ পাওয়া যায়।
৫. বিদ্যুৎ আসার পর টানা পাখার পতন
১৯ শতকের শেষের দিকে কলকাতায় প্রথম বিজলিবাতি জ্বালানো হয়, এবং ১৮৯৯ সালে প্রথম বৈদ্যুতিক পাখা চালু হয়। ধীরে ধীরে টানা পাখার ব্যবহার কমতে শুরু করে, এবং পেশাটি বিলুপ্ত হয়ে যায়।
টানা পাখার পেশা বিদ্যুৎ আসার পর বিলুপ্ত হলেও, এটির ইতিহাস ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক বর্বরতার সাক্ষ্য বহন করে। আজকের দিনে ঘূর্ণিঝড় ও লোডশেডিংয়ের কষ্ট থেকে সাময়িক মুক্তির জন্য এই ইতিহাসের দিকে ফিরে তাকালে, বিদ্যুৎহীন জীবনযাপনের মানিয়ে নেওয়া ব্যবস্থা থেকে অনেক কিছু শেখার আছে।
Fair Use Disclaimer:
=================
This channel may use some copyrighted materials without specific authorization of the owner but contents used here falls under the “Fair Use” as described in The Copyright Act 2000 Law No. 28 of the year 2000 of Bangladesh under Chapter 6, Section 36 and Chapter 13 Section 72. According to that law allowance is made for "fair use" for purposes such as criticism, comment, news reporting, teaching, scholarship, and research. Fair use is a use permitted by copyright statute that might otherwise be infringing. Non-profit, educational or personal use tips the balance in favor of fair use.
"Copyright Disclaimer Under Section 107 of the Copyright Act 1976, allowance is made for fair use for purposes such as criticism, comment, news reporting, teaching, scholarship, and research. Fair use is a use permitted by copyright statute that might otherwise be infringing. Non-profit, educational or personal use tips the balance in favor of fair use."
ভিডিওটি ভালো লাগলে অবশ্যই আমাদের চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করবেন এবং এলার্ট বেল চাপুন যাতে আমরা আপনাদের জন্য নতুন ভিডিও নিয়ে আসতে পারি। আরও বিস্তারিত তথ্যের জন্য আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন: relaksmedia.co...
Relaks Radio Bangla র সাথেই থাকুন🎶🌟