কি বলিব আমি মহিমা তোমর আলহামদুলিল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ। কন্ঠ হান্নান কাওয়াল

Поделиться
HTML-код
  • Опубликовано: 6 фев 2025
  • -----------------☆ হুয়ার রহমান ☆----------------
    #মহান_২২শে_চৈত্র, হযরত গাউছুল আযম সৈয়দ গোলামুর রহমান আল্ হাচানী আল্ মাইজভান্ডারী প্রকাশ বাবাভান্ডারী (কঃ) কেবলা কাবা'র🌷পবিত্র ওরশ শরীফ🌷
    #হযরত_বাবাভান্ডারী (কঃ) কেবলা কাবা ছোট বেলা থেকেই সংযত স্বভাবের ছিলেন। তিনি শিশু অবস্থায় কখনও বিছানা বা দোলনায় প্রস্রাব করেননি। প্রস্রাব-পায়খানার সময় হলে তাঁর অবয়বে এমন কতগুলো লক্ষণ দেখা যেত যাতে তাঁর মা ছেলের প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেয়ার বিষয় বুঝে নিতে পারতেন। বিছানার বাহিরে নিলেই তিনি বাহ্য প্রস্রাব করতেন। তিনি অন্যান্য ছেলেদের মত কান্নকাটি করে কাউকে বিরক্ত করতেন না। একদা তাঁর আম্মাজান তাঁকে দোলনায় শুইয়ে রেখে বিছানায় ঘুমিয়ে পড়েন। হঠাৎ ঘুম ভাঙ্গলে তিনি দেখেন যে দোলনা দুলছে এবং নবজাত শিশু চোখ বুজে ঘুমাচ্ছে। অথচ দোলাবার মত কোন লোক সেখানে উপস্থিত ছিলনা। এরূপ অস্বাভাবিক ব্যাপার দেখে তাঁর মাতা ইহা একটি আলৌকিক ঘটনা বলে অনুমান করেছিলেন। তিনি ছোট বেলায় মিতভাষী, ধর্ম পরায়ণ ও মিতব্যয়ী হিসেবে সকলের প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন। তিনি বিনা প্রয়োজনে কারো সাথে বাক্যালাপ করতেন না। তিনি ছাত্রাবস্থায় কঠোর পাঠাভ্যাস করতেন, অল্প ঘুমাতেন এবং বাকী সময় উপাসনায় মগ্ন থাকতেন। রমজানের ঈদ ও কোরবানের ঈদের সময় ব্যতীত ২৪ ঘন্টার মধ্যে কেবল সন্ধ্যাকালে একবেলা তিনি আহার করতেন। তিনি ছিলেন “ছায়েমুদ্দাহার” অর্থাৎ সারা বছর রোজা পালনকারী। তাঁর কন্ঠ ছিল সুললিত ও সুমধুর। তাঁর সুমধুর আওয়াজ ও কোরআন তেলাওয়াত মানুষকে মুগ্ধ করত। বেলায়তী ক্ষমতা লাভের পর হযরত বাবা ভান্ডারী (কঃ) কেবলা কাবা প্রায়শঃ ধ্যানে বিভোর থাকতেন। প্রায়শঃ তাঁকে আপাদমস্তক চাদর ঢাকা দিয়ে শুয়ে থাকতে দেখা যেতো। মাঝে মধ্যে তিনি তাঁর হস্ত মোবারকের পানি ছিটিয়ে দিতেন। বলাবাহুল্য, তাঁর এ ছিটানো পানি ছিল সর্ব রোগের মহৌষধ। কত লোক যে তাঁর ছিটানো পানি দ্বারা উপকৃত হয়েছেন তার ইয়ত্তা নেই। তিনি তামাক খেতে পছন্দ করতেন। সৌখিন বিভিন্ন জাতীয় মসলা দ্বারা প্রস্তুত তামাক সৌখিন সুদীর্ঘ নলওয়ালা হুক্কায় সাজিয়ে রাখত ভক্তরা এবং তিনি উহাতে মাঝে মধ্যে টান দিতেন।। যার দিকে তিনি নজর করতেন সে খাঁটি সোনা হয়ে যেত। প্রকৃতপক্ষে তিনি হলেন মজ্জুবে ছালেক এক মহান ওলী-আল্লাহ।
    সুবহানাল্লাহ্!
    --------------- ☆ ☆ ☆ ☆ ----------------
    কি বলিব আমি মহিমা তোমার।
    আলহামদুলিল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ।।
    মহিমা তোমার অসিম অপার।
    আলহামদুলিল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ।।
    বহু শতবার পুলছেরাত পার,
    কেমন করে উঠব বুঝা হল ভার
    চরণে লুটিয়ে পড়ি বারে বার।
    আলহামদুলিল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ।।
    তোমারই নামে পেয়েছি অভয়,
    দুর্গের সমরে লভিয়াছি জয়,
    আরশে আজমে খেলিয়া বেড়াও।
    আলহামদুলিল্লাহ আলহামদুললিল্লাহ।।
    আরশ মোয়াল্লায় আসন পেয়েছ,
    খোদায়ী জলোয়ায় ডুবে রয়েছো।
    গাউসুল আযম বলে লকব পেয়েছে।।
    আলহামদুলিল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ
    বাবাজী মাওলাজি ডাকি তোমারে,
    পরাণ জুড়াব সজিদা করে।
    অবুঝগণে কাফের ডাকে।
    আলহামদুলিল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ।।
    লোকলজ্জা ভয় নাহি ডরি,
    তছবিহ জপিয়ে সছিদা করি।
    মওলাজি বাবাজি গাউছে ভাণ্ডারী।
    আলহামদুলিল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ।।
    ~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
    রচয়িতাঃ সৈয়দ আবুল বশর আল হাসানী আল মাইজভাণ্ডারী (কঃ) এবং কন্ঠ হান্নান কাওয়াল

Комментарии • 2