বাংলাদেশের মানুষ কিভাবে মুসলিম হল। পর্ব -২

Поделиться
HTML-код
  • Опубликовано: 12 сен 2024
  • ৯ম শতাব্দীতে আরব ও পারস্য ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে আসতে শুরু করে। পশ্চিম থেকে মুসলিম সেনাদের আগমনের আগেই সুফি ধর্মীয় শিক্ষকরা অনেক বাঙালিকে ইসলামে দীক্ষিত করতে সফল হন। চিশতিয়া, সোহরাওয়ার্দিয়া, কাদিরিয়া ও নকশবন্দিয়া নামের চারটি প্রধান ধারার সুফিরা বাংলায় ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করেছিল।
    স্বতন্ত্র সুফিরা অলৌকিক কাজ করার ক্ষমতার অধিকারী বলে জানা গেছে এবং তাদের সাথে যোগাযোগের ফলে অনেক লোক ইসলাম গ্রহণ করেছে বলে জানা গেছে। শেখ জালালুদ্দীন তাবরিজি মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠার আগে বাংলায় সোহরাওয়ার্দিয়া ব্যবস্থা চালু করেন। তাঁর ধার্মিকতা, আদর্শ চরিত্র এবং মানবসেবা বাংলার সাধারণ মানুষের উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলেছিল বলে জানা যায়।
    ব্রাহ্মণ কবি তাকে অলৌকিক কাজ করার কৃতিত্ব দেন। তার হাতে বিভিন্ন বর্ণের অসহায় বৌদ্ধ ও হিন্দুরা ইসলাম গ্রহণ করে। তাঁর কাজ উত্তরবঙ্গে ইসলামের একটি শক্তিশালী ভিত্তি স্থাপন করেছিল।
    সোহরাওয়ার্দিয়া আদেশের আরেক সাধক, শেখ জালাল, যিনি শাহ জালাল নামে পরিচিত, সিলেট জেলা এবং সংলগ্ন এলাকায় ইসলাম প্রচারের জন্য কৃতিত্ব পেয়েছেন। ইবনে বতুতার মতে, ১২৫৮ সালে মঙ্গোলরা যখন শহর আক্রমণ করে তখন শেখ জালাল বাগদাদে ছিলেন। সেখান থেকে তিনি ৩১৩ জন অনুসারী নিয়ে বাংলায় যান।
    ইবনে বতুতা আরো দাবি করেন যে, দরবেশের প্রচেষ্টার কারণেই সমগ্র এলাকার মানুষ মুসলমান হয়েছে। ইবনে বতুতা উল্লেখ করেছেন যে শেখ জালাল লম্বা এবং চর্বিহীন, চেহারায় ফর্সা এবং একটি গুহায় মসজিদের পাশে থাকতেন, যেখানে তার একমাত্র মূল্যবান জিনিস ছিল একটি ছাগল যা তিনি দুধ, মাখন এবং দইয়ের জন্য রেখেছিলেন। তিনি লক্ষ্য করেছিলেন যে শাহ জালালের সঙ্গীরা বিদেশী এবং তাদের শক্তি ও সাহসিকতার জন্য পরিচিত।
    #muslim #islamerbarta #itihas #islmaicvidoes
    ইসলামের আলোয় আলকিত হোক আমাদের সবার জীবন।
    উত্তম শিক্ষায় শিক্ষিত হই আমরা ।
    সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন
    ধন্যবাদ।

Комментарии • 1