Norottom Thakur's temple at khatur Dham/ নরোত্তম দাস এর বাড়ী / খেতুরধাম। রাজশাহী/ প্রেমতলী খেতুর।
HTML-код
- Опубликовано: 18 окт 2024
- নরোত্তম দাস ঠাকুরের আশ্রম,প্রেমতলী খেতুর।
“শ্রী নরোত্তম দাস ঠাকুর”
নরোত্তম দাস ঠাকুর অহিংসার মহান সাধক ছিলেন। সনাতন হিন্দু বৈষ্ণব ধর্ম প্রচার করতে গিয়ে সমাজে সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা ও মানবসেবার কাজ করেছেন তিনি। ১৫৩১ খ্রিস্টাব্দে রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার প্রেমতলী পদ্মাতীরের গোপালপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। মৃত্যুবরণ করেন ১৬১১ খ্রিস্টাব্দে প্রেমতলী খেতুরধামে।
ভক্তদের নাম প্রার্থনার মধ্য দিয়ে ৩ দিনব্যাপী প্রেমভক্ত নরোত্তম দাসের তিরোভাব মহোৎসব শুরু হয়। বৈষ্ণব ধর্মাচারে বিশ্বাসী দেশ-বিদেশের সন্ন্যাসভক্তদের পদচারণ আর অষ্টপ্রহর কীর্তন ও প্রসাদ গ্রহণে মুখরিত মেলা প্রাঙ্গণ জমজমাট থাকে বছরের তিনটি দিন। বাংলা কার্তিক মাসের প্রথম দিনে শুরু হয়ে ৩ তারিখে ভক্তদের গঙ্গাস্নানের পর দীর্ঘ প্রার্থনার মধ্য দিয়ে সাঙ্গ হয় এই মেলা। খেতুর মেলা মূলত সন্ন্যাসীদের মেলা। অহিংসা ও মানবপ্রেমে বিশ্বাসী অন্য ধর্মের অনুসারীরাও আসেন মেলায়। ভারতের নবদ্বীপ ধাম থেকে কয়েকশ সন্ন্যাসী এ মেলায় আসেন। আসামের কামাক্ষা থেকেও বেশ কয়েকজন সাধু আসেন। এখানে নেপাল, ভারত ও শ্রীলঙ্কা থেকেও বেশকিছু ভক্ত আসেন।
রাজশাহী মহানগরী থেকে ১৭ কিলোমিটার দূরে পদ্মাতীরের এ মেলা প্রাঙ্গণে বসেছে দেশীয় কারুশিল্পসহ বিভিন্ন পণ্যের শত শত দোকান। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ভক্ত-সন্ন্যাসীদের আগমনে মুখরিত মেলা প্রাঙ্গণে অষ্টপ্রহর কীর্তন ও অহিংসা বাণী প্রচার করা হচ্ছে বিরতিহীনভাবে। এটি ভারতীয় উপমহাদেশের শত শত বছরের প্রাচীন ধর্মীয় মেলা। ধর্মীয় আচারে এটিকে বৈষ্ণব মহামিলনও বলা হয়। খেতুরধাম বৈষ্ণব ধর্মের পীঠস্থানও। যাকে ঘিরে এ বৈষ্ণব অনুসারীদের এ মহামিলন সেই নরোত্তম দাস ঠাকুরের বাবা ছিলেন জমিদার কৃষ্ণনন্দ দাস মজুমদার। ধনী বাবার একমাত্র সন্তান হওয়া সত্ত্বেও ঐশ্বর্য তার জীবনে বিন্দুমাত্র প্রভাব ফেলতে পারেনি। তিনি ছোটবেলা থেকে ধর্মপরায়ণ, সংসার বৈরাগী ও উদাসীন প্রকৃতির ছিলেন। ঠাকুর নরোত্তম দাসের বৈষ্ণব ধর্ম প্রচার, সমাজ সংস্কার ও মানবসেবার কাছে হার মেনে সমাজের ধনী, ভূ-স্বামী, দুর্দান্ত নরঘাতক, ডাকাত সবাই তার পায়ের কাঠে লুটিয়ে পড়েছিলেন। জীবদ্দশায় নরোত্তম দাস নিজ গ্রাম গোপালপুরের সনি্নকটে খেতুরীতে আশ্রম নির্মাণ করে ধর্মসাধনায় নিয়োজিত ছিলেন। এখানে তিনি প্রায় সাধারণ বেশে অবস্থান করেছিলেন। বাবার অনুরোধ উপেক্ষা করে, বিলাস পরিত্যাগ করে তিনি স্থানীয় কৃষ্ণমন্দিরে প্রায় সন্ন্যাসীর জীবনযাপন করেছিলেন। তিনি বাড়ি বাড়ি ঘুরেফিরে ধর্ম প্রচার করতেন না। ধর্ম সাধনায় তিনি কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ শেষ করেছিলেন। যার প্রভাবে গৌড়ীয় বৈষ্ণব সমাজের মধ্যে তার খ্যাতি ও সাধনার ফল ছড়িয়ে পড়েছিল। নরোত্তমের দ্বিতীয় প্রধান অবদান বৈষ্ণব সমাজ পদাবলি কীর্তন বা লীলা রসকীর্তনের প্রবর্তন করা। বাংলা সংগীত জগতের বিবর্তনের ইতিহাসে পদাবলি কীর্তন প্রায় চারশ বছর ধরে জনপ্রিয় হয়ে রয়েছে। শুধু বৈষ্ণব সমপ্রদায়েই নয়, বাংলাদেশসহ উপমহাদেশের সর্বত্রই জাতি নির্বিশেষে এর আবেদন সমান। আর সেজন্যই এ রসকীর্তন ধারার প্রবর্তক নরোত্তম দাস বিপুল যশের অধিকারী হয়েছেন। তার সাহিত্যকর্ম মধ্যযুগের পদাবলি সাহিত্যের ইতিহাসে অতুলনীয় সম্পদ।
💖💖💖
মহাত্মন অত্যন্ত দূঃখের সাথে জানাচ্ছি, শ্রীশ্রীলোকনাথ ডাইরেক্টরী পঞ্জিকা এবং নবযুগ ডাইরেক্টরী পঞ্জিকায় নরোত্তম দাস ঠাকুরের তিরোধান দিবসের বৈষ্ণব গোবিন্দ ভক্ত সমাগমের কয়েক লক্ষ মানুষের উৎসবে পরিনত হয় খেতুরীধাম / প্রেমতলী এবং মাঘমাসের পূর্নিমা তিথিতে উৎসব কোন পঞ্জিকাতেই উল্লেখ নাই বা ছাপানো হয় না এর কারন কী ?
নরোত্তম ঠাকুর এর সমাধি জায়গা টা দেখায়েন
ঠিক আছে।
ধন্যবাদ