দ্বীনের হাদী ঘুমিয়ে আছে পূণ্যভূমি ছারছীনায় | শাহ সূফী নেছারুদ্দীন আহমাদ রহঃ এর অবদান ও মর্সিয়া

Поделиться
HTML-код
  • Опубликовано: 24 сен 2024
  • গজল : - দ্বীনের হাদী ঘুমিয়ে আছে পূণ্যভূমি ছারছীনায়
    কথা : - মুফতী মুহাম্মাদ হায়দার হুসাইন
    কন্ঠ : - জুলফিকার আলী হিযবুল্লাহ, ঈমাম হুসাইন,
    মুহিব্বুল্লাহ আল-মাহদী ও আকরাম হুসাইন ।
    পরিবেশনায় : জুলফিকার হামদ-নাত ও গজল পরিবেশক দল।
    ছারছীনা দরবার শরীফ, নেছারাবাদ, পিরোজপুর
    আল্লামা নেছারুদ্দীন আহমদ
    ''""""""""""""""""""""""""""""
    বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট ইসলামী ব্যক্তিত্ব, ধর্ম প্রচারক, পীর ছিলেন। তিনি ফুরফুরা শরীফের খলিফা ছিলেন।যিনি বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইসলামী বিদ্যাপীঠ ছারছিনা দারুসসুন্নাত কামিল মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেছেন।তিনি বরিশাল বিভাগের অন্যতম ধর্ম প্রচারক ছিলেন। এছাড়াও তিনি ছারছিনা শরীফের পির ছিলেন, তিনি বরিশাল অঞ্চলে বহু ইসলামী প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছিলেন। ইসলাম প্রচারে তিনি বহু অবদান রেখেছেন।
    নেছারউদ্দীন আহমাদ (রহ:) তার এলাকার মানুষের নিকট সন্মানিত ব্যক্তি ছিলেন। তিনি বহু ইসলামী প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছেন। ইসলামী মাদ্রাসা, খানকাহ শরীফ, ইসলামী জালছা প্রতিষ্ঠানসব বহু কিছু প্রতিষ্ঠা করেছেন। দ্বীন প্রচারের জন্য তিনি ১৯০৫ সালে গোলপাতার কুতুবখানা নির্মাণ করেন। ১৯১৩ সালে তিনি কেরাতিয়া মাদ্রাসা বা মক্তব প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯১৫ সালে এই মাদ্রাসার নাম হয়, ছারছিনা দারুসসুন্নাত কামিল মাদ্রাসা, যা পিরোজপুর জেলায় অবস্থিত। নেছারউদ্দীন তার সম্পত্তি ১৯৩৪ সালে মাদ্রাসার জন্য ওয়াকফ করে দেন। এই মাদ্রাসাই পরবর্তীতে ১৯৩৮ সালে শেরে বাংলার চেষ্টায় কলকাতার বাইরে প্রথম টাইটেল ক্লাস খোলার অনুমতি পায়।[৫]
    তিনি ১৯৪৬ সালে পাকিস্তান দাবির প্রেক্ষিতে কলকাতা মোহাম্মদ আলী পার্কে অনুষ্ঠিত নিখিল ভারত ওলামা কনফারেন্সের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। ১৯৪৭ সালে সিলেট রেফারেন্ডামে কাজ করার জন্য পীর আবু বকর সিদ্দিকী তার বড় ছেলে মাওলানা আবু জাফর মোহাম্মদ ছালেহ এর নেতৃত্বে ৮ সদস্যের একটি টিম প্রেরণ করেন, তাদের মধ্যে আযিযুর রহমান নেছারাবাদী ছিলেন। পাকিস্তানের ইসলামী শাসনতন্ত্র প্রণয়নের জন্য ছারছিনাতে সর্বদলীয় ওলামা কনফারেন্স করে ২২ দফা রূপরেখা প্রণয়ন করা হয়।
    তার চলা-ফেরা, কথা-বার্তা পোষাক, আমল-আখলাক প্রভৃতি বিষয় উক্ত অঞ্চলের মানুষের উপর প্রভাব ফেলেছিলো, তিনি সবসময় ইসলামী গোমরাহ, ধর্মীয় কুসংস্কার, স্থানীয় কোন্দল প্রভৃতি দূরকরণের চেষ্টা করতেন।

Комментарии • 79