লাতিন ফুটবলে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে রিয়াসাতের অভিষেক

Поделиться
HTML-код
  • Опубликовано: 16 сен 2024
  • রিয়াসাত ইসলাম খাতন
    Reasat Islam Khaton
    লাতিন ফুটবলে বাংলাদেশের এক ঐতিহাসিক দিন
    লাতিন ফুটবল বলতেই এ দেশের ফুটবল ভক্তরা একেবারে পাগল হয়ে যান। মেসি-নেইমারাদের মতো গ্রেটরা যে ওই অঞ্চল থেকে উঠে এসেছেন। ফুটবলের আতুরঘর থেকে বাংলাদেশে যারাই এসেছেন সম্প্রতি তাদের নিয়ে মাতামাতি কম হয়নি বা হয় না! খবরের শিরোনাম হয়েছেন বেশিরভাগ ফুটবলারই। কিন্তু কেউ কি কখনও ভেবেছেন ফুটবলের এই উর্বর ভূমিতে বুটজোড়া নিয়ে মাঠ দাঁপাবেন একজন বাংলাদেশি ফুটবলার?
    এমনটাই ঘটেছে এবার। এই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলে ডাক পাওয়া সাবেক খেলোয়াড় রিয়াসাত ইসলাম খাতনের। লাতিন দেশ ভেনেজুয়েলার সেকেন্ড ডিভিশনের দল রায়ো জুলিয়ানো এফসিতে নাম লিখিয়েছেন জার্মানে বেড়ে ওঠা বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত এই ফুটবলার।
    লাতিন ফুটবলে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নিয়েছেন রিয়াসাত। এতে রোমাঞ্চিত তিনি। আনন্দের সঙ্গেই নিজের খুশির অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছেন এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার।
    রিয়াসাত বলেন, ‘এইটা আমার জন্য অনেক স্পেশাল। আমি এর আগে কখনও লাতিন আমেরিকায় যাই নাই। এটাই প্রথমবার। তাদের ফুটবল, লাইফস্টাইল নিয়ে আমার অনেক কৌতুহল ছিল। এটা আমার জীবনের অনেক রোমাঞ্চকর একটা অধ্যায় ছিল।’
    ইতোমধ্যে ক্লাবের জার্সিতে অভিষেকও করে ফেলেছেন রিয়াসাত। টেবিলের শীর্ষে থাকা দলের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল টেবিলের দুইয়ে থাকা রিয়াসাতের দল রায়ো জুলিয়ানো। সেই ম্যাচে ৪-৪ গোলে ড্র করে দলটি।
    কেমন ছিল প্রথম ম্যাচের খেলার অনুভূতি? রিয়াসাতের কথায়, ‘লাস্ট রবিবার আমি প্রথম খেলেছিলাম। কিন্তু ১ মাস ধরে আমি ক্লাবে অবস্থান করছি। ইনজুরির কারণে অপেক্ষা করতে হয়েছে এতোদিন। খেলাটা শেষে এক গোল খাওয়ায় ড্র হয়েছিল। তবে ম্যাচটা আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এই ম্যাচটারমধ্য দিয়ে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে লাতিন আমেরিকার ফুটবলে খেলার অভিজ্ঞতা হয়েছে। এটা সবসময় আমার জন্য অনুপ্রেরণার হবে।’
    রায়ো জুলিয়ানো ক্লাবটি কোনও বড় দুর্ঘটনা না হলে পরের মৌসুমে ফার্স্ট ডিভিশনে খেলবে। প্রিমিয়ার ডিভিশনে খেলার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রিয়াসাতের।
    বলেন, ‘ফার্স্ট ডিভিশনে ওঠার ক্ষেত্রে বেশ এগিয়ে আছে আমাদের দলটা। কারণ টেবিলের দুইয়ে অবস্থান করছি আমরা। আমার ক্লাবের অধিকাংশ ফুটবলার প্রিমিয়ার ডিভিশনে খেলছে। সাউথ আমেরিকার চ্যাম্পিয়ন্সশিপেও খেলেছে। আমাদের দল শক্তিশালী। আমরা যদি ফার্স্ট ডিভিশনে খেলি আর আমি যাতে ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি বাড়াতে পারি সেই চেষ্টাই করছি।’
    তার এই খবরে ছড়িয়ে যাওয়ার পর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনা শুরু হয়। নানাভাবে দেশের ফুটবল ভক্তদের শুভেচ্ছায় ভাসছেন রিয়াসাত। সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বাংলাদেশের এই ফুটবলার।
    তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে অনেক শুভেচ্ছা পেয়েছি। অবশ্যই আমি অনেক খুশি। আমি দেখতে পাচ্ছি বাংলাদেশের মানুষরা ফুটবলের জন্য অনেক পাগল (ইতিবাচক অর্থে)। আশা করি এমনই যাতে তারা থাকে। কামনা করি বাংলাদেশের ফুটবলে একদিন সাফল্য আসবে।’
    ২০১৩ সালে প্রথমবার জাতীয় দলে ডাক পান রিয়াসাত। পরে ২০১৫ সালে সিঙ্গাপুরের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ম্যাচ সামনে রেখে দ্বিতীয়বার ডাক পান তিনি। সেরা ফর্মে থাকার সময় দুইবার জাতীয় দলে ডাক পান এ মিডফিল্ডার। জামাল ভূঁইয়াদের সঙ্গে অনুশীলনও করেন। কোচেরও পছন্দের তালিকায় ছিলেন। তারপরও ‘অদৃশ্য কারণে’ দুইবারই হতাশ হয়ে ফিরতে হয় তাকে। বাংলাদেশের হয়ে খেলার স্বপ্নটা এখনও অধরা থেকে গেছে রিয়াসাতের।

Комментарии • 2