@@hbaksh224 Phone use kora haram ke bolse na jene kotha bolen, phone ke sothik halal vabe use korte hbe, And apni aj dormoke comedy dormo boltesen seidin hasorer moidane tar sasti paben jodina Muslim hye mara jan.
গ্রন্থঃ হারাম ও কবিরা গুনাহ অধ্যায়ঃ হারাম ও কবীরা গুনাহ্ পরিচিতি ২২. জুয়া জুয়া বলতে সে সকল খেলাকে বুঝানো হয় যাতে বাজি কিংবা হারজিতের প্রশ্ন রয়েছে। জুয়া যে ধরনেরই হোক না কেন তা হারাম। আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন: «يَآ أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوْا إِنَّمَا الْـخَمْرُ وَالْـمَيْسِرُ وَالْأَنْصَابُ وَالْأَزْلَامُ رِجْسٌ مِّنْ عَمَلِ الشَّيْطَانِ، فَاجْتَنِبُوْهُ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُوْنَ، إِنَّمَا يُرِيْدُ الشَّيْطَانُ أَنْ يُّوْقِعَ بَيْنَكُمُ الْعَدَاوَةَ وَالْبَغْضَآءَ فِيْ الْـخَمْرِ وَالْـمَيْسِرِ، وَيَصُدَّكُمْ عَنْ ذِكْرِ اللهِ وَعَنِ الصَّلَاةِ، فَهَلْ أَنْتُمْ مُّنْتَهُوْنَ» ‘‘হে ঈমানদারগণ! নিশ্চয়ই মদ (নেশাকর দ্রব্য), জুয়া, মূর্তি ও লটারীর তীর এ সব নাপাক ও গর্হিত বিষয়। শয়তানের কাজও বটে। সুতরাং এগুলো থেকে তোমরা সম্পূর্ণরূপে দূরে থাকে। তা হলেই তো তোমরা সফলকাম হতে পারবে। শয়তান তো এটিই চায় যে, মদ ও জুয়ার মাধ্যমে তোমাদের পরস্পরের মাঝে শত্রুতা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি হোক এবং আল্লাহ্ তা‘আলার স্মরণ ও নামায থেকে তোমরা বিরত থাকো। সুতরাং এখনো কি তোমরা এগুলো থেকে বিরত থাকবে না?’’ (মা’য়িদাহ্ : ৯০-৯১) উক্ত আয়াতে জুয়াকে শির্কের পাশাপাশি উল্লেখ করা, উহাকে অপবিত্র ও শয়তানের কাজ বলে আখ্যায়িত করা, তা থেকে বিরত থাকার ইলাহী আদেশ, তা বর্জনে সমূহ কল্যাণ নিহিত থাকা, এরই মাধ্যমে শয়তানের মানুষে মানুষে শত্রুতা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি করা এবং আল্লাহ্ তা‘আলার স্মরণ ও নামায থেকে গাফিল রাখার চেষ্টা এবং পরিশেষে ধমকের সুরে তা থেকে বিরত থাকার আদেশ থেকে জুয়ার ভয়ঙ্করতার পর্যায়টি সুস্পষ্টরূপেই প্রতিভাত হয়। জুয়ার অনেকগুলো নতুন-পুরাতন ধরন রয়েছে যা হাতেগুনে উল্লেখ করা সত্যিই কষ্টকর। সময়ের পরিবর্তনে আরো যে কতো ধরনের জুয়ার পথ আবিষ্কৃত হবে তা আল্লাহ্ তা‘আলাই ভালো জানেন। তবুও নিম্নে জুয়ার কয়েকটি ধরনের কথা উল্লেখ করা হলো: ক. লটারি বা ভাগ্যপরীক্ষা। অর্থের বিনিময়ে কোন সংস্থা বা সংগঠনের প্রাইজ বন্ড খরিদ করে বেশি, সমপরিমাণ কিংবা কম মূল্যের পুরষ্কার পাওয়া অথবা একেবারেই কিছু না পাওয়া। এ পন্থা একেবারেই হারাম। চাই উক্ত লটারির অর্থ জনকল্যাণেই ব্যবহার হোক না কেন। কারণ, পরকালের সাওয়াব তো শরীয়ত নিষিদ্ধ কোন পন্থায় অর্জন করা যায় না। খ. জাহিলী যুগে দশজন লোক একত্রে মিলে একটি উট খরিদ করতো। প্রত্যেকেই সমানভাবে উট কেনার পয়সা পরিশোধ করতো। কিন্তু জবাইয়ের পর তারা লটারির মাধ্যমে শুধু সাত ভাগই নির্ধারণ করে নিতো। আর বাকি তিনজনকে কিছুই দেয়া হতো না। এটি হচ্ছে জুয়ার প্রাচীন রূপ। গ. কার্ডের মাধ্যমে অর্থের বিনিময়ে জুয়া খেলা তো বর্তমান সমাজে খুবই প্রসিদ্ধ। যা ছোট-বড় কারোর অজানা নয়। শুধু এরই মাধ্যমে মানুষের কতো টাকা যে আজ পর্যন্ত বেহাত হয়েছে বা হচ্ছে তার কোন ইয়ত্তা নেই। ঘ. এমন কোন পণ্য খরিদ করা যার মধ্যে অজানা কিছু পুরস্কার রয়েছে। কখনো পাওয়া যায় আবার কখনো কিছুই পাওয়া যায় না। তেমনিভাবে পণ্য খরিদের সময় দোকানদাররা গ্রাহকদের মাঝে কিছু নাম্বার বিতরণ করে থাকে। যার ভিত্তিতে পরবর্তীতে লটারির মাধ্যমে অথবা লটারি ছাড়াই পুরস্কার ঘোষণা দেয়া হয়। তাতে কেউ পায় আবার অনেকেই কিছুই পায় না। ঙ. সকল ধরনের বীমা কার্যকলাপও জুয়ার অন্তর্গত। জীবন বীমা, গাড়ি বীমা, বাড়ি বীমা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বীমা, বিশেষ কোন পণ্যের বীমা, সাধারণ বীমা ইত্যাদি। এমনকি বর্তমানে গায়ক-গায়িকারা কন্ঠস্বর বীমাও করে থাকে। বীমাগুলোতে ভবিষ্যতে ক্ষতিপূরণ সরূপ টাকা প্রাপ্তির আশায় নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট পরিমাণে টাকা জমা রাখা হয়। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা বস্ত্তর ক্ষতি সাধন হলেই ক্ষতি সমপরিমাণ টাকা পাওয়া যায়। নতুবা নয়। ক্ষতিপূরণ জমা দেয়া টাকা থেকে কম, উহার সমপরিমাণ অথবা তা থেকে অনেকগুণ বেশিও হয়ে থাকে। চ. জায়িয খেলাধুলাসমূহ খেলোয়াড়দের পক্ষ থেকে পুরস্কার সম্বলিত হলে তাও জুয়ার অন্তর্গত। কিন্তু পুরস্কারটি তৃতীয় পক্ষ থেকে হলে তা অবশ্য জায়িয। তবে শরীয়তের কোন ফায়েদা রয়েছে এমন সকল খেলাধুলা পুরস্কার সম্বলিত হলেও তাতে কোন অসুবিধে নেই। আর ইসলাম বিরোধী খেলাধুলা তো কোনভাবেই জায়িয নয়। চাই তাতে পুরস্কার থাকুক বা নাই থাকুক। www.hadithbd.com/books/link/?id=6680
ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি বাংলাদেশের লটারি টিকিট বিক্রি হচ্ছে ব্যাংকের মাধ্যমে কিন্তু সেই লটারির ড্র কখন হয়েছে কে বা কারা বিজয়ী হয়েছেন সেই নামে এখন পর্যন্ত জানতে না পারা আমরা
গ্রন্থঃ হারাম ও কবিরা গুনাহ অধ্যায়ঃ হারাম ও কবীরা গুনাহ্ পরিচিতি ২২. জুয়া জুয়া বলতে সে সকল খেলাকে বুঝানো হয় যাতে বাজি কিংবা হারজিতের প্রশ্ন রয়েছে। জুয়া যে ধরনেরই হোক না কেন তা হারাম। আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন: «يَآ أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوْا إِنَّمَا الْـخَمْرُ وَالْـمَيْسِرُ وَالْأَنْصَابُ وَالْأَزْلَامُ رِجْسٌ مِّنْ عَمَلِ الشَّيْطَانِ، فَاجْتَنِبُوْهُ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُوْنَ، إِنَّمَا يُرِيْدُ الشَّيْطَانُ أَنْ يُّوْقِعَ بَيْنَكُمُ الْعَدَاوَةَ وَالْبَغْضَآءَ فِيْ الْـخَمْرِ وَالْـمَيْسِرِ، وَيَصُدَّكُمْ عَنْ ذِكْرِ اللهِ وَعَنِ الصَّلَاةِ، فَهَلْ أَنْتُمْ مُّنْتَهُوْنَ» ‘‘হে ঈমানদারগণ! নিশ্চয়ই মদ (নেশাকর দ্রব্য), জুয়া, মূর্তি ও লটারীর তীর এ সব নাপাক ও গর্হিত বিষয়। শয়তানের কাজও বটে। সুতরাং এগুলো থেকে তোমরা সম্পূর্ণরূপে দূরে থাকে। তা হলেই তো তোমরা সফলকাম হতে পারবে। শয়তান তো এটিই চায় যে, মদ ও জুয়ার মাধ্যমে তোমাদের পরস্পরের মাঝে শত্রুতা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি হোক এবং আল্লাহ্ তা‘আলার স্মরণ ও নামায থেকে তোমরা বিরত থাকো। সুতরাং এখনো কি তোমরা এগুলো থেকে বিরত থাকবে না?’’ (মা’য়িদাহ্ : ৯০-৯১) উক্ত আয়াতে জুয়াকে শির্কের পাশাপাশি উল্লেখ করা, উহাকে অপবিত্র ও শয়তানের কাজ বলে আখ্যায়িত করা, তা থেকে বিরত থাকার ইলাহী আদেশ, তা বর্জনে সমূহ কল্যাণ নিহিত থাকা, এরই মাধ্যমে শয়তানের মানুষে মানুষে শত্রুতা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি করা এবং আল্লাহ্ তা‘আলার স্মরণ ও নামায থেকে গাফিল রাখার চেষ্টা এবং পরিশেষে ধমকের সুরে তা থেকে বিরত থাকার আদেশ থেকে জুয়ার ভয়ঙ্করতার পর্যায়টি সুস্পষ্টরূপেই প্রতিভাত হয়। জুয়ার অনেকগুলো নতুন-পুরাতন ধরন রয়েছে যা হাতেগুনে উল্লেখ করা সত্যিই কষ্টকর। সময়ের পরিবর্তনে আরো যে কতো ধরনের জুয়ার পথ আবিষ্কৃত হবে তা আল্লাহ্ তা‘আলাই ভালো জানেন। তবুও নিম্নে জুয়ার কয়েকটি ধরনের কথা উল্লেখ করা হলো: ক. লটারি বা ভাগ্যপরীক্ষা। অর্থের বিনিময়ে কোন সংস্থা বা সংগঠনের প্রাইজ বন্ড খরিদ করে বেশি, সমপরিমাণ কিংবা কম মূল্যের পুরষ্কার পাওয়া অথবা একেবারেই কিছু না পাওয়া। এ পন্থা একেবারেই হারাম। চাই উক্ত লটারির অর্থ জনকল্যাণেই ব্যবহার হোক না কেন। কারণ, পরকালের সাওয়াব তো শরীয়ত নিষিদ্ধ কোন পন্থায় অর্জন করা যায় না। খ. জাহিলী যুগে দশজন লোক একত্রে মিলে একটি উট খরিদ করতো। প্রত্যেকেই সমানভাবে উট কেনার পয়সা পরিশোধ করতো। কিন্তু জবাইয়ের পর তারা লটারির মাধ্যমে শুধু সাত ভাগই নির্ধারণ করে নিতো। আর বাকি তিনজনকে কিছুই দেয়া হতো না। এটি হচ্ছে জুয়ার প্রাচীন রূপ। গ. কার্ডের মাধ্যমে অর্থের বিনিময়ে জুয়া খেলা তো বর্তমান সমাজে খুবই প্রসিদ্ধ। যা ছোট-বড় কারোর অজানা নয়। শুধু এরই মাধ্যমে মানুষের কতো টাকা যে আজ পর্যন্ত বেহাত হয়েছে বা হচ্ছে তার কোন ইয়ত্তা নেই। ঘ. এমন কোন পণ্য খরিদ করা যার মধ্যে অজানা কিছু পুরস্কার রয়েছে। কখনো পাওয়া যায় আবার কখনো কিছুই পাওয়া যায় না। তেমনিভাবে পণ্য খরিদের সময় দোকানদাররা গ্রাহকদের মাঝে কিছু নাম্বার বিতরণ করে থাকে। যার ভিত্তিতে পরবর্তীতে লটারির মাধ্যমে অথবা লটারি ছাড়াই পুরস্কার ঘোষণা দেয়া হয়। তাতে কেউ পায় আবার অনেকেই কিছুই পায় না। ঙ. সকল ধরনের বীমা কার্যকলাপও জুয়ার অন্তর্গত। জীবন বীমা, গাড়ি বীমা, বাড়ি বীমা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বীমা, বিশেষ কোন পণ্যের বীমা, সাধারণ বীমা ইত্যাদি। এমনকি বর্তমানে গায়ক-গায়িকারা কন্ঠস্বর বীমাও করে থাকে। বীমাগুলোতে ভবিষ্যতে ক্ষতিপূরণ সরূপ টাকা প্রাপ্তির আশায় নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট পরিমাণে টাকা জমা রাখা হয়। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা বস্ত্তর ক্ষতি সাধন হলেই ক্ষতি সমপরিমাণ টাকা পাওয়া যায়। নতুবা নয়। ক্ষতিপূরণ জমা দেয়া টাকা থেকে কম, উহার সমপরিমাণ অথবা তা থেকে অনেকগুণ বেশিও হয়ে থাকে। চ. জায়িয খেলাধুলাসমূহ খেলোয়াড়দের পক্ষ থেকে পুরস্কার সম্বলিত হলে তাও জুয়ার অন্তর্গত। কিন্তু পুরস্কারটি তৃতীয় পক্ষ থেকে হলে তা অবশ্য জায়িয। তবে শরীয়তের কোন ফায়েদা রয়েছে এমন সকল খেলাধুলা পুরস্কার সম্বলিত হলেও তাতে কোন অসুবিধে নেই। আর ইসলাম বিরোধী খেলাধুলা তো কোনভাবেই জায়িয নয়। চাই তাতে পুরস্কার থাকুক বা নাই থাকুক। www.hadithbd.com/books/link/?id=6680
বাংলাদেশ হোলে জীবনেও টাকা দিবেনা, এমনিতেও যে লটারি গুলো বাংলাদেশে চালু আছে সবাই টাকা মেরে দেয়ে সর্বনিম্ন পেরাইজটিও দেয়না, আমার পুরা জীবনে একবার দেখেসিলাম লটারির প্রথম পেরাইজ পেয়েছে বাংলা ছবিতে শাবানা ও আলমগীর, বাস্তবে দেখা তো দূরের কথা শুনিওনাই।
গ্রন্থঃ হারাম ও কবিরা গুনাহ অধ্যায়ঃ হারাম ও কবীরা গুনাহ্ পরিচিতি ২২. জুয়া জুয়া বলতে সে সকল খেলাকে বুঝানো হয় যাতে বাজি কিংবা হারজিতের প্রশ্ন রয়েছে। জুয়া যে ধরনেরই হোক না কেন তা হারাম। আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন: «يَآ أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوْا إِنَّمَا الْـخَمْرُ وَالْـمَيْسِرُ وَالْأَنْصَابُ وَالْأَزْلَامُ رِجْسٌ مِّنْ عَمَلِ الشَّيْطَانِ، فَاجْتَنِبُوْهُ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُوْنَ، إِنَّمَا يُرِيْدُ الشَّيْطَانُ أَنْ يُّوْقِعَ بَيْنَكُمُ الْعَدَاوَةَ وَالْبَغْضَآءَ فِيْ الْـخَمْرِ وَالْـمَيْسِرِ، وَيَصُدَّكُمْ عَنْ ذِكْرِ اللهِ وَعَنِ الصَّلَاةِ، فَهَلْ أَنْتُمْ مُّنْتَهُوْنَ» ‘‘হে ঈমানদারগণ! নিশ্চয়ই মদ (নেশাকর দ্রব্য), জুয়া, মূর্তি ও লটারীর তীর এ সব নাপাক ও গর্হিত বিষয়। শয়তানের কাজও বটে। সুতরাং এগুলো থেকে তোমরা সম্পূর্ণরূপে দূরে থাকে। তা হলেই তো তোমরা সফলকাম হতে পারবে। শয়তান তো এটিই চায় যে, মদ ও জুয়ার মাধ্যমে তোমাদের পরস্পরের মাঝে শত্রুতা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি হোক এবং আল্লাহ্ তা‘আলার স্মরণ ও নামায থেকে তোমরা বিরত থাকো। সুতরাং এখনো কি তোমরা এগুলো থেকে বিরত থাকবে না?’’ (মা’য়িদাহ্ : ৯০-৯১) উক্ত আয়াতে জুয়াকে শির্কের পাশাপাশি উল্লেখ করা, উহাকে অপবিত্র ও শয়তানের কাজ বলে আখ্যায়িত করা, তা থেকে বিরত থাকার ইলাহী আদেশ, তা বর্জনে সমূহ কল্যাণ নিহিত থাকা, এরই মাধ্যমে শয়তানের মানুষে মানুষে শত্রুতা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি করা এবং আল্লাহ্ তা‘আলার স্মরণ ও নামায থেকে গাফিল রাখার চেষ্টা এবং পরিশেষে ধমকের সুরে তা থেকে বিরত থাকার আদেশ থেকে জুয়ার ভয়ঙ্করতার পর্যায়টি সুস্পষ্টরূপেই প্রতিভাত হয়। জুয়ার অনেকগুলো নতুন-পুরাতন ধরন রয়েছে যা হাতেগুনে উল্লেখ করা সত্যিই কষ্টকর। সময়ের পরিবর্তনে আরো যে কতো ধরনের জুয়ার পথ আবিষ্কৃত হবে তা আল্লাহ্ তা‘আলাই ভালো জানেন। তবুও নিম্নে জুয়ার কয়েকটি ধরনের কথা উল্লেখ করা হলো: ক. লটারি বা ভাগ্যপরীক্ষা। অর্থের বিনিময়ে কোন সংস্থা বা সংগঠনের প্রাইজ বন্ড খরিদ করে বেশি, সমপরিমাণ কিংবা কম মূল্যের পুরষ্কার পাওয়া অথবা একেবারেই কিছু না পাওয়া। এ পন্থা একেবারেই হারাম। চাই উক্ত লটারির অর্থ জনকল্যাণেই ব্যবহার হোক না কেন। কারণ, পরকালের সাওয়াব তো শরীয়ত নিষিদ্ধ কোন পন্থায় অর্জন করা যায় না। খ. জাহিলী যুগে দশজন লোক একত্রে মিলে একটি উট খরিদ করতো। প্রত্যেকেই সমানভাবে উট কেনার পয়সা পরিশোধ করতো। কিন্তু জবাইয়ের পর তারা লটারির মাধ্যমে শুধু সাত ভাগই নির্ধারণ করে নিতো। আর বাকি তিনজনকে কিছুই দেয়া হতো না। এটি হচ্ছে জুয়ার প্রাচীন রূপ। গ. কার্ডের মাধ্যমে অর্থের বিনিময়ে জুয়া খেলা তো বর্তমান সমাজে খুবই প্রসিদ্ধ। যা ছোট-বড় কারোর অজানা নয়। শুধু এরই মাধ্যমে মানুষের কতো টাকা যে আজ পর্যন্ত বেহাত হয়েছে বা হচ্ছে তার কোন ইয়ত্তা নেই। ঘ. এমন কোন পণ্য খরিদ করা যার মধ্যে অজানা কিছু পুরস্কার রয়েছে। কখনো পাওয়া যায় আবার কখনো কিছুই পাওয়া যায় না। তেমনিভাবে পণ্য খরিদের সময় দোকানদাররা গ্রাহকদের মাঝে কিছু নাম্বার বিতরণ করে থাকে। যার ভিত্তিতে পরবর্তীতে লটারির মাধ্যমে অথবা লটারি ছাড়াই পুরস্কার ঘোষণা দেয়া হয়। তাতে কেউ পায় আবার অনেকেই কিছুই পায় না। ঙ. সকল ধরনের বীমা কার্যকলাপও জুয়ার অন্তর্গত। জীবন বীমা, গাড়ি বীমা, বাড়ি বীমা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বীমা, বিশেষ কোন পণ্যের বীমা, সাধারণ বীমা ইত্যাদি। এমনকি বর্তমানে গায়ক-গায়িকারা কন্ঠস্বর বীমাও করে থাকে। বীমাগুলোতে ভবিষ্যতে ক্ষতিপূরণ সরূপ টাকা প্রাপ্তির আশায় নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট পরিমাণে টাকা জমা রাখা হয়। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা বস্ত্তর ক্ষতি সাধন হলেই ক্ষতি সমপরিমাণ টাকা পাওয়া যায়। নতুবা নয়। ক্ষতিপূরণ জমা দেয়া টাকা থেকে কম, উহার সমপরিমাণ অথবা তা থেকে অনেকগুণ বেশিও হয়ে থাকে। চ. জায়িয খেলাধুলাসমূহ খেলোয়াড়দের পক্ষ থেকে পুরস্কার সম্বলিত হলে তাও জুয়ার অন্তর্গত। কিন্তু পুরস্কারটি তৃতীয় পক্ষ থেকে হলে তা অবশ্য জায়িয। তবে শরীয়তের কোন ফায়েদা রয়েছে এমন সকল খেলাধুলা পুরস্কার সম্বলিত হলেও তাতে কোন অসুবিধে নেই। আর ইসলাম বিরোধী খেলাধুলা তো কোনভাবেই জায়িয নয়। চাই তাতে পুরস্কার থাকুক বা নাই থাকুক। www.hadithbd.com/books/link/?id=6680
গ্রন্থঃ হারাম ও কবিরা গুনাহ অধ্যায়ঃ হারাম ও কবীরা গুনাহ্ পরিচিতি ২২. জুয়া জুয়া বলতে সে সকল খেলাকে বুঝানো হয় যাতে বাজি কিংবা হারজিতের প্রশ্ন রয়েছে। জুয়া যে ধরনেরই হোক না কেন তা হারাম। আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন: «يَآ أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوْا إِنَّمَا الْـخَمْرُ وَالْـمَيْسِرُ وَالْأَنْصَابُ وَالْأَزْلَامُ رِجْسٌ مِّنْ عَمَلِ الشَّيْطَانِ، فَاجْتَنِبُوْهُ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُوْنَ، إِنَّمَا يُرِيْدُ الشَّيْطَانُ أَنْ يُّوْقِعَ بَيْنَكُمُ الْعَدَاوَةَ وَالْبَغْضَآءَ فِيْ الْـخَمْرِ وَالْـمَيْسِرِ، وَيَصُدَّكُمْ عَنْ ذِكْرِ اللهِ وَعَنِ الصَّلَاةِ، فَهَلْ أَنْتُمْ مُّنْتَهُوْنَ» ‘‘হে ঈমানদারগণ! নিশ্চয়ই মদ (নেশাকর দ্রব্য), জুয়া, মূর্তি ও লটারীর তীর এ সব নাপাক ও গর্হিত বিষয়। শয়তানের কাজও বটে। সুতরাং এগুলো থেকে তোমরা সম্পূর্ণরূপে দূরে থাকে। তা হলেই তো তোমরা সফলকাম হতে পারবে। শয়তান তো এটিই চায় যে, মদ ও জুয়ার মাধ্যমে তোমাদের পরস্পরের মাঝে শত্রুতা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি হোক এবং আল্লাহ্ তা‘আলার স্মরণ ও নামায থেকে তোমরা বিরত থাকো। সুতরাং এখনো কি তোমরা এগুলো থেকে বিরত থাকবে না?’’ (মা’য়িদাহ্ : ৯০-৯১) উক্ত আয়াতে জুয়াকে শির্কের পাশাপাশি উল্লেখ করা, উহাকে অপবিত্র ও শয়তানের কাজ বলে আখ্যায়িত করা, তা থেকে বিরত থাকার ইলাহী আদেশ, তা বর্জনে সমূহ কল্যাণ নিহিত থাকা, এরই মাধ্যমে শয়তানের মানুষে মানুষে শত্রুতা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি করা এবং আল্লাহ্ তা‘আলার স্মরণ ও নামায থেকে গাফিল রাখার চেষ্টা এবং পরিশেষে ধমকের সুরে তা থেকে বিরত থাকার আদেশ থেকে জুয়ার ভয়ঙ্করতার পর্যায়টি সুস্পষ্টরূপেই প্রতিভাত হয়। জুয়ার অনেকগুলো নতুন-পুরাতন ধরন রয়েছে যা হাতেগুনে উল্লেখ করা সত্যিই কষ্টকর। সময়ের পরিবর্তনে আরো যে কতো ধরনের জুয়ার পথ আবিষ্কৃত হবে তা আল্লাহ্ তা‘আলাই ভালো জানেন। তবুও নিম্নে জুয়ার কয়েকটি ধরনের কথা উল্লেখ করা হলো: ক. লটারি বা ভাগ্যপরীক্ষা। অর্থের বিনিময়ে কোন সংস্থা বা সংগঠনের প্রাইজ বন্ড খরিদ করে বেশি, সমপরিমাণ কিংবা কম মূল্যের পুরষ্কার পাওয়া অথবা একেবারেই কিছু না পাওয়া। এ পন্থা একেবারেই হারাম। চাই উক্ত লটারির অর্থ জনকল্যাণেই ব্যবহার হোক না কেন। কারণ, পরকালের সাওয়াব তো শরীয়ত নিষিদ্ধ কোন পন্থায় অর্জন করা যায় না। খ. জাহিলী যুগে দশজন লোক একত্রে মিলে একটি উট খরিদ করতো। প্রত্যেকেই সমানভাবে উট কেনার পয়সা পরিশোধ করতো। কিন্তু জবাইয়ের পর তারা লটারির মাধ্যমে শুধু সাত ভাগই নির্ধারণ করে নিতো। আর বাকি তিনজনকে কিছুই দেয়া হতো না। এটি হচ্ছে জুয়ার প্রাচীন রূপ। গ. কার্ডের মাধ্যমে অর্থের বিনিময়ে জুয়া খেলা তো বর্তমান সমাজে খুবই প্রসিদ্ধ। যা ছোট-বড় কারোর অজানা নয়। শুধু এরই মাধ্যমে মানুষের কতো টাকা যে আজ পর্যন্ত বেহাত হয়েছে বা হচ্ছে তার কোন ইয়ত্তা নেই। ঘ. এমন কোন পণ্য খরিদ করা যার মধ্যে অজানা কিছু পুরস্কার রয়েছে। কখনো পাওয়া যায় আবার কখনো কিছুই পাওয়া যায় না। তেমনিভাবে পণ্য খরিদের সময় দোকানদাররা গ্রাহকদের মাঝে কিছু নাম্বার বিতরণ করে থাকে। যার ভিত্তিতে পরবর্তীতে লটারির মাধ্যমে অথবা লটারি ছাড়াই পুরস্কার ঘোষণা দেয়া হয়। তাতে কেউ পায় আবার অনেকেই কিছুই পায় না। ঙ. সকল ধরনের বীমা কার্যকলাপও জুয়ার অন্তর্গত। জীবন বীমা, গাড়ি বীমা, বাড়ি বীমা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বীমা, বিশেষ কোন পণ্যের বীমা, সাধারণ বীমা ইত্যাদি। এমনকি বর্তমানে গায়ক-গায়িকারা কন্ঠস্বর বীমাও করে থাকে। বীমাগুলোতে ভবিষ্যতে ক্ষতিপূরণ সরূপ টাকা প্রাপ্তির আশায় নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট পরিমাণে টাকা জমা রাখা হয়। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা বস্ত্তর ক্ষতি সাধন হলেই ক্ষতি সমপরিমাণ টাকা পাওয়া যায়। নতুবা নয়। ক্ষতিপূরণ জমা দেয়া টাকা থেকে কম, উহার সমপরিমাণ অথবা তা থেকে অনেকগুণ বেশিও হয়ে থাকে। চ. জায়িয খেলাধুলাসমূহ খেলোয়াড়দের পক্ষ থেকে পুরস্কার সম্বলিত হলে তাও জুয়ার অন্তর্গত। কিন্তু পুরস্কারটি তৃতীয় পক্ষ থেকে হলে তা অবশ্য জায়িয। তবে শরীয়তের কোন ফায়েদা রয়েছে এমন সকল খেলাধুলা পুরস্কার সম্বলিত হলেও তাতে কোন অসুবিধে নেই। আর ইসলাম বিরোধী খেলাধুলা তো কোনভাবেই জায়িয নয়। চাই তাতে পুরস্কার থাকুক বা নাই থাকুক। www.hadithbd.com/books/link/?id=6680
@@rejwanislam339 , ঠিক টাকার দরকার এখন! রাসূল (সাঃ) শেষ জামানার সম্পর্কে হাদিসে বলে গিয়েছেন তা থেকে আমি ২টা হাদিস এখানে দিয়ে দিলাম পড়ে নিবেন এবং আপনার মন্তব্যের সঙ্গে মিলিয়ে নিবেন অথবা গুগল/ইউটিউবে সার্চ করবেন "শেষ জামানা সম্পর্কে রাসূল (সাঃ)-এর হাদীস" এই লিখে বাকি হাদিস গুলোও পেয়ে যাবেন...! ১) মানুষের উপর একটি জামানা আসবে, যে জামানায় তারা সূদ খাবে। আবু হুরায়রাহ (রাঃ) বলেন: তাঁকে জিজ্ঞেস করা হল: লোকজনের সবাই খাবে? রাসুলুল্লাহ ﷺ বললেন: তাদের মধ্যে যে খাবে না, তাকে ওর ধুলাবালির অংশ হলেও স্পর্শ করবে’। [মুসনাদে আহমদ- ৯/৪৬৮, হাদিস ১০৩৬০; সুনানুল কুবরা, বাইহাকী- ৫/২৭৫] ২) ‘মানুষের উপর এমন একটি জামানা আসবে, যখন কেউ এতে ভ্রুক্ষেপ করবে না যে, সে যা গ্রহন করেছে -তা হালালের অন্তর্ভূক্ত, না হারামের’। [সহিহ বুখারী, হাদিস ২০৫৯; সুনানে নাসায়ী, হাদিস ৪৪৫৪; মুসনাদে আহমদ- ২/৪৩৫; সুনানে দারেমী, হাদিস ২৫৩৬]
গ্রন্থঃ হারাম ও কবিরা গুনাহ অধ্যায়ঃ হারাম ও কবীরা গুনাহ্ পরিচিতি ২২. জুয়া জুয়া বলতে সে সকল খেলাকে বুঝানো হয় যাতে বাজি কিংবা হারজিতের প্রশ্ন রয়েছে। জুয়া যে ধরনেরই হোক না কেন তা হারাম। আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন: «يَآ أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوْا إِنَّمَا الْـخَمْرُ وَالْـمَيْسِرُ وَالْأَنْصَابُ وَالْأَزْلَامُ رِجْسٌ مِّنْ عَمَلِ الشَّيْطَانِ، فَاجْتَنِبُوْهُ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُوْنَ، إِنَّمَا يُرِيْدُ الشَّيْطَانُ أَنْ يُّوْقِعَ بَيْنَكُمُ الْعَدَاوَةَ وَالْبَغْضَآءَ فِيْ الْـخَمْرِ وَالْـمَيْسِرِ، وَيَصُدَّكُمْ عَنْ ذِكْرِ اللهِ وَعَنِ الصَّلَاةِ، فَهَلْ أَنْتُمْ مُّنْتَهُوْنَ» ‘‘হে ঈমানদারগণ! নিশ্চয়ই মদ (নেশাকর দ্রব্য), জুয়া, মূর্তি ও লটারীর তীর এ সব নাপাক ও গর্হিত বিষয়। শয়তানের কাজও বটে। সুতরাং এগুলো থেকে তোমরা সম্পূর্ণরূপে দূরে থাকে। তা হলেই তো তোমরা সফলকাম হতে পারবে। শয়তান তো এটিই চায় যে, মদ ও জুয়ার মাধ্যমে তোমাদের পরস্পরের মাঝে শত্রুতা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি হোক এবং আল্লাহ্ তা‘আলার স্মরণ ও নামায থেকে তোমরা বিরত থাকো। সুতরাং এখনো কি তোমরা এগুলো থেকে বিরত থাকবে না?’’ (মা’য়িদাহ্ : ৯০-৯১) উক্ত আয়াতে জুয়াকে শির্কের পাশাপাশি উল্লেখ করা, উহাকে অপবিত্র ও শয়তানের কাজ বলে আখ্যায়িত করা, তা থেকে বিরত থাকার ইলাহী আদেশ, তা বর্জনে সমূহ কল্যাণ নিহিত থাকা, এরই মাধ্যমে শয়তানের মানুষে মানুষে শত্রুতা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি করা এবং আল্লাহ্ তা‘আলার স্মরণ ও নামায থেকে গাফিল রাখার চেষ্টা এবং পরিশেষে ধমকের সুরে তা থেকে বিরত থাকার আদেশ থেকে জুয়ার ভয়ঙ্করতার পর্যায়টি সুস্পষ্টরূপেই প্রতিভাত হয়। জুয়ার অনেকগুলো নতুন-পুরাতন ধরন রয়েছে যা হাতেগুনে উল্লেখ করা সত্যিই কষ্টকর। সময়ের পরিবর্তনে আরো যে কতো ধরনের জুয়ার পথ আবিষ্কৃত হবে তা আল্লাহ্ তা‘আলাই ভালো জানেন। তবুও নিম্নে জুয়ার কয়েকটি ধরনের কথা উল্লেখ করা হলো: ক. লটারি বা ভাগ্যপরীক্ষা। অর্থের বিনিময়ে কোন সংস্থা বা সংগঠনের প্রাইজ বন্ড খরিদ করে বেশি, সমপরিমাণ কিংবা কম মূল্যের পুরষ্কার পাওয়া অথবা একেবারেই কিছু না পাওয়া। এ পন্থা একেবারেই হারাম। চাই উক্ত লটারির অর্থ জনকল্যাণেই ব্যবহার হোক না কেন। কারণ, পরকালের সাওয়াব তো শরীয়ত নিষিদ্ধ কোন পন্থায় অর্জন করা যায় না। খ. জাহিলী যুগে দশজন লোক একত্রে মিলে একটি উট খরিদ করতো। প্রত্যেকেই সমানভাবে উট কেনার পয়সা পরিশোধ করতো। কিন্তু জবাইয়ের পর তারা লটারির মাধ্যমে শুধু সাত ভাগই নির্ধারণ করে নিতো। আর বাকি তিনজনকে কিছুই দেয়া হতো না। এটি হচ্ছে জুয়ার প্রাচীন রূপ। গ. কার্ডের মাধ্যমে অর্থের বিনিময়ে জুয়া খেলা তো বর্তমান সমাজে খুবই প্রসিদ্ধ। যা ছোট-বড় কারোর অজানা নয়। শুধু এরই মাধ্যমে মানুষের কতো টাকা যে আজ পর্যন্ত বেহাত হয়েছে বা হচ্ছে তার কোন ইয়ত্তা নেই। ঘ. এমন কোন পণ্য খরিদ করা যার মধ্যে অজানা কিছু পুরস্কার রয়েছে। কখনো পাওয়া যায় আবার কখনো কিছুই পাওয়া যায় না। তেমনিভাবে পণ্য খরিদের সময় দোকানদাররা গ্রাহকদের মাঝে কিছু নাম্বার বিতরণ করে থাকে। যার ভিত্তিতে পরবর্তীতে লটারির মাধ্যমে অথবা লটারি ছাড়াই পুরস্কার ঘোষণা দেয়া হয়। তাতে কেউ পায় আবার অনেকেই কিছুই পায় না। ঙ. সকল ধরনের বীমা কার্যকলাপও জুয়ার অন্তর্গত। জীবন বীমা, গাড়ি বীমা, বাড়ি বীমা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বীমা, বিশেষ কোন পণ্যের বীমা, সাধারণ বীমা ইত্যাদি। এমনকি বর্তমানে গায়ক-গায়িকারা কন্ঠস্বর বীমাও করে থাকে। বীমাগুলোতে ভবিষ্যতে ক্ষতিপূরণ সরূপ টাকা প্রাপ্তির আশায় নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট পরিমাণে টাকা জমা রাখা হয়। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা বস্ত্তর ক্ষতি সাধন হলেই ক্ষতি সমপরিমাণ টাকা পাওয়া যায়। নতুবা নয়। ক্ষতিপূরণ জমা দেয়া টাকা থেকে কম, উহার সমপরিমাণ অথবা তা থেকে অনেকগুণ বেশিও হয়ে থাকে। চ. জায়িয খেলাধুলাসমূহ খেলোয়াড়দের পক্ষ থেকে পুরস্কার সম্বলিত হলে তাও জুয়ার অন্তর্গত। কিন্তু পুরস্কারটি তৃতীয় পক্ষ থেকে হলে তা অবশ্য জায়িয। তবে শরীয়তের কোন ফায়েদা রয়েছে এমন সকল খেলাধুলা পুরস্কার সম্বলিত হলেও তাতে কোন অসুবিধে নেই। আর ইসলাম বিরোধী খেলাধুলা তো কোনভাবেই জায়িয নয়। চাই তাতে পুরস্কার থাকুক বা নাই থাকুক। www.hadithbd.com/books/link/?id=6680
গ্রন্থঃ হারাম ও কবিরা গুনাহ অধ্যায়ঃ হারাম ও কবীরা গুনাহ্ পরিচিতি ২২. জুয়া জুয়া বলতে সে সকল খেলাকে বুঝানো হয় যাতে বাজি কিংবা হারজিতের প্রশ্ন রয়েছে। জুয়া যে ধরনেরই হোক না কেন তা হারাম। আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন: «يَآ أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوْا إِنَّمَا الْـخَمْرُ وَالْـمَيْسِرُ وَالْأَنْصَابُ وَالْأَزْلَامُ رِجْسٌ مِّنْ عَمَلِ الشَّيْطَانِ، فَاجْتَنِبُوْهُ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُوْنَ، إِنَّمَا يُرِيْدُ الشَّيْطَانُ أَنْ يُّوْقِعَ بَيْنَكُمُ الْعَدَاوَةَ وَالْبَغْضَآءَ فِيْ الْـخَمْرِ وَالْـمَيْسِرِ، وَيَصُدَّكُمْ عَنْ ذِكْرِ اللهِ وَعَنِ الصَّلَاةِ، فَهَلْ أَنْتُمْ مُّنْتَهُوْنَ» ‘‘হে ঈমানদারগণ! নিশ্চয়ই মদ (নেশাকর দ্রব্য), জুয়া, মূর্তি ও লটারীর তীর এ সব নাপাক ও গর্হিত বিষয়। শয়তানের কাজও বটে। সুতরাং এগুলো থেকে তোমরা সম্পূর্ণরূপে দূরে থাকে। তা হলেই তো তোমরা সফলকাম হতে পারবে। শয়তান তো এটিই চায় যে, মদ ও জুয়ার মাধ্যমে তোমাদের পরস্পরের মাঝে শত্রুতা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি হোক এবং আল্লাহ্ তা‘আলার স্মরণ ও নামায থেকে তোমরা বিরত থাকো। সুতরাং এখনো কি তোমরা এগুলো থেকে বিরত থাকবে না?’’ (মা’য়িদাহ্ : ৯০-৯১) উক্ত আয়াতে জুয়াকে শির্কের পাশাপাশি উল্লেখ করা, উহাকে অপবিত্র ও শয়তানের কাজ বলে আখ্যায়িত করা, তা থেকে বিরত থাকার ইলাহী আদেশ, তা বর্জনে সমূহ কল্যাণ নিহিত থাকা, এরই মাধ্যমে শয়তানের মানুষে মানুষে শত্রুতা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি করা এবং আল্লাহ্ তা‘আলার স্মরণ ও নামায থেকে গাফিল রাখার চেষ্টা এবং পরিশেষে ধমকের সুরে তা থেকে বিরত থাকার আদেশ থেকে জুয়ার ভয়ঙ্করতার পর্যায়টি সুস্পষ্টরূপেই প্রতিভাত হয়। জুয়ার অনেকগুলো নতুন-পুরাতন ধরন রয়েছে যা হাতেগুনে উল্লেখ করা সত্যিই কষ্টকর। সময়ের পরিবর্তনে আরো যে কতো ধরনের জুয়ার পথ আবিষ্কৃত হবে তা আল্লাহ্ তা‘আলাই ভালো জানেন। তবুও নিম্নে জুয়ার কয়েকটি ধরনের কথা উল্লেখ করা হলো: ক. লটারি বা ভাগ্যপরীক্ষা। অর্থের বিনিময়ে কোন সংস্থা বা সংগঠনের প্রাইজ বন্ড খরিদ করে বেশি, সমপরিমাণ কিংবা কম মূল্যের পুরষ্কার পাওয়া অথবা একেবারেই কিছু না পাওয়া। এ পন্থা একেবারেই হারাম। চাই উক্ত লটারির অর্থ জনকল্যাণেই ব্যবহার হোক না কেন। কারণ, পরকালের সাওয়াব তো শরীয়ত নিষিদ্ধ কোন পন্থায় অর্জন করা যায় না। খ. জাহিলী যুগে দশজন লোক একত্রে মিলে একটি উট খরিদ করতো। প্রত্যেকেই সমানভাবে উট কেনার পয়সা পরিশোধ করতো। কিন্তু জবাইয়ের পর তারা লটারির মাধ্যমে শুধু সাত ভাগই নির্ধারণ করে নিতো। আর বাকি তিনজনকে কিছুই দেয়া হতো না। এটি হচ্ছে জুয়ার প্রাচীন রূপ। গ. কার্ডের মাধ্যমে অর্থের বিনিময়ে জুয়া খেলা তো বর্তমান সমাজে খুবই প্রসিদ্ধ। যা ছোট-বড় কারোর অজানা নয়। শুধু এরই মাধ্যমে মানুষের কতো টাকা যে আজ পর্যন্ত বেহাত হয়েছে বা হচ্ছে তার কোন ইয়ত্তা নেই। ঘ. এমন কোন পণ্য খরিদ করা যার মধ্যে অজানা কিছু পুরস্কার রয়েছে। কখনো পাওয়া যায় আবার কখনো কিছুই পাওয়া যায় না। তেমনিভাবে পণ্য খরিদের সময় দোকানদাররা গ্রাহকদের মাঝে কিছু নাম্বার বিতরণ করে থাকে। যার ভিত্তিতে পরবর্তীতে লটারির মাধ্যমে অথবা লটারি ছাড়াই পুরস্কার ঘোষণা দেয়া হয়। তাতে কেউ পায় আবার অনেকেই কিছুই পায় না। ঙ. সকল ধরনের বীমা কার্যকলাপও জুয়ার অন্তর্গত। জীবন বীমা, গাড়ি বীমা, বাড়ি বীমা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বীমা, বিশেষ কোন পণ্যের বীমা, সাধারণ বীমা ইত্যাদি। এমনকি বর্তমানে গায়ক-গায়িকারা কন্ঠস্বর বীমাও করে থাকে। বীমাগুলোতে ভবিষ্যতে ক্ষতিপূরণ সরূপ টাকা প্রাপ্তির আশায় নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট পরিমাণে টাকা জমা রাখা হয়। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা বস্ত্তর ক্ষতি সাধন হলেই ক্ষতি সমপরিমাণ টাকা পাওয়া যায়। নতুবা নয়। ক্ষতিপূরণ জমা দেয়া টাকা থেকে কম, উহার সমপরিমাণ অথবা তা থেকে অনেকগুণ বেশিও হয়ে থাকে। চ. জায়িয খেলাধুলাসমূহ খেলোয়াড়দের পক্ষ থেকে পুরস্কার সম্বলিত হলে তাও জুয়ার অন্তর্গত। কিন্তু পুরস্কারটি তৃতীয় পক্ষ থেকে হলে তা অবশ্য জায়িয। তবে শরীয়তের কোন ফায়েদা রয়েছে এমন সকল খেলাধুলা পুরস্কার সম্বলিত হলেও তাতে কোন অসুবিধে নেই। আর ইসলাম বিরোধী খেলাধুলা তো কোনভাবেই জায়িয নয়। চাই তাতে পুরস্কার থাকুক বা নাই থাকুক। www.hadithbd.com/books/link/?id=6680
গ্রন্থঃ হারাম ও কবিরা গুনাহ অধ্যায়ঃ হারাম ও কবীরা গুনাহ্ পরিচিতি ২২. জুয়া জুয়া বলতে সে সকল খেলাকে বুঝানো হয় যাতে বাজি কিংবা হারজিতের প্রশ্ন রয়েছে। জুয়া যে ধরনেরই হোক না কেন তা হারাম। আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন: «يَآ أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوْا إِنَّمَا الْـخَمْرُ وَالْـمَيْسِرُ وَالْأَنْصَابُ وَالْأَزْلَامُ رِجْسٌ مِّنْ عَمَلِ الشَّيْطَانِ، فَاجْتَنِبُوْهُ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُوْنَ، إِنَّمَا يُرِيْدُ الشَّيْطَانُ أَنْ يُّوْقِعَ بَيْنَكُمُ الْعَدَاوَةَ وَالْبَغْضَآءَ فِيْ الْـخَمْرِ وَالْـمَيْسِرِ، وَيَصُدَّكُمْ عَنْ ذِكْرِ اللهِ وَعَنِ الصَّلَاةِ، فَهَلْ أَنْتُمْ مُّنْتَهُوْنَ» ‘‘হে ঈমানদারগণ! নিশ্চয়ই মদ (নেশাকর দ্রব্য), জুয়া, মূর্তি ও লটারীর তীর এ সব নাপাক ও গর্হিত বিষয়। শয়তানের কাজও বটে। সুতরাং এগুলো থেকে তোমরা সম্পূর্ণরূপে দূরে থাকে। তা হলেই তো তোমরা সফলকাম হতে পারবে। শয়তান তো এটিই চায় যে, মদ ও জুয়ার মাধ্যমে তোমাদের পরস্পরের মাঝে শত্রুতা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি হোক এবং আল্লাহ্ তা‘আলার স্মরণ ও নামায থেকে তোমরা বিরত থাকো। সুতরাং এখনো কি তোমরা এগুলো থেকে বিরত থাকবে না?’’ (মা’য়িদাহ্ : ৯০-৯১) উক্ত আয়াতে জুয়াকে শির্কের পাশাপাশি উল্লেখ করা, উহাকে অপবিত্র ও শয়তানের কাজ বলে আখ্যায়িত করা, তা থেকে বিরত থাকার ইলাহী আদেশ, তা বর্জনে সমূহ কল্যাণ নিহিত থাকা, এরই মাধ্যমে শয়তানের মানুষে মানুষে শত্রুতা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি করা এবং আল্লাহ্ তা‘আলার স্মরণ ও নামায থেকে গাফিল রাখার চেষ্টা এবং পরিশেষে ধমকের সুরে তা থেকে বিরত থাকার আদেশ থেকে জুয়ার ভয়ঙ্করতার পর্যায়টি সুস্পষ্টরূপেই প্রতিভাত হয়। জুয়ার অনেকগুলো নতুন-পুরাতন ধরন রয়েছে যা হাতেগুনে উল্লেখ করা সত্যিই কষ্টকর। সময়ের পরিবর্তনে আরো যে কতো ধরনের জুয়ার পথ আবিষ্কৃত হবে তা আল্লাহ্ তা‘আলাই ভালো জানেন। তবুও নিম্নে জুয়ার কয়েকটি ধরনের কথা উল্লেখ করা হলো: ক. লটারি বা ভাগ্যপরীক্ষা। অর্থের বিনিময়ে কোন সংস্থা বা সংগঠনের প্রাইজ বন্ড খরিদ করে বেশি, সমপরিমাণ কিংবা কম মূল্যের পুরষ্কার পাওয়া অথবা একেবারেই কিছু না পাওয়া। এ পন্থা একেবারেই হারাম। চাই উক্ত লটারির অর্থ জনকল্যাণেই ব্যবহার হোক না কেন। কারণ, পরকালের সাওয়াব তো শরীয়ত নিষিদ্ধ কোন পন্থায় অর্জন করা যায় না। খ. জাহিলী যুগে দশজন লোক একত্রে মিলে একটি উট খরিদ করতো। প্রত্যেকেই সমানভাবে উট কেনার পয়সা পরিশোধ করতো। কিন্তু জবাইয়ের পর তারা লটারির মাধ্যমে শুধু সাত ভাগই নির্ধারণ করে নিতো। আর বাকি তিনজনকে কিছুই দেয়া হতো না। এটি হচ্ছে জুয়ার প্রাচীন রূপ। গ. কার্ডের মাধ্যমে অর্থের বিনিময়ে জুয়া খেলা তো বর্তমান সমাজে খুবই প্রসিদ্ধ। যা ছোট-বড় কারোর অজানা নয়। শুধু এরই মাধ্যমে মানুষের কতো টাকা যে আজ পর্যন্ত বেহাত হয়েছে বা হচ্ছে তার কোন ইয়ত্তা নেই। ঘ. এমন কোন পণ্য খরিদ করা যার মধ্যে অজানা কিছু পুরস্কার রয়েছে। কখনো পাওয়া যায় আবার কখনো কিছুই পাওয়া যায় না। তেমনিভাবে পণ্য খরিদের সময় দোকানদাররা গ্রাহকদের মাঝে কিছু নাম্বার বিতরণ করে থাকে। যার ভিত্তিতে পরবর্তীতে লটারির মাধ্যমে অথবা লটারি ছাড়াই পুরস্কার ঘোষণা দেয়া হয়। তাতে কেউ পায় আবার অনেকেই কিছুই পায় না। ঙ. সকল ধরনের বীমা কার্যকলাপও জুয়ার অন্তর্গত। জীবন বীমা, গাড়ি বীমা, বাড়ি বীমা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বীমা, বিশেষ কোন পণ্যের বীমা, সাধারণ বীমা ইত্যাদি। এমনকি বর্তমানে গায়ক-গায়িকারা কন্ঠস্বর বীমাও করে থাকে। বীমাগুলোতে ভবিষ্যতে ক্ষতিপূরণ সরূপ টাকা প্রাপ্তির আশায় নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট পরিমাণে টাকা জমা রাখা হয়। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা বস্ত্তর ক্ষতি সাধন হলেই ক্ষতি সমপরিমাণ টাকা পাওয়া যায়। নতুবা নয়। ক্ষতিপূরণ জমা দেয়া টাকা থেকে কম, উহার সমপরিমাণ অথবা তা থেকে অনেকগুণ বেশিও হয়ে থাকে। চ. জায়িয খেলাধুলাসমূহ খেলোয়াড়দের পক্ষ থেকে পুরস্কার সম্বলিত হলে তাও জুয়ার অন্তর্গত। কিন্তু পুরস্কারটি তৃতীয় পক্ষ থেকে হলে তা অবশ্য জায়িয। তবে শরীয়তের কোন ফায়েদা রয়েছে এমন সকল খেলাধুলা পুরস্কার সম্বলিত হলেও তাতে কোন অসুবিধে নেই। আর ইসলাম বিরোধী খেলাধুলা তো কোনভাবেই জায়িয নয়। চাই তাতে পুরস্কার থাকুক বা নাই থাকুক। www.hadithbd.com/books/link/?id=6680
গ্রন্থঃ হারাম ও কবিরা গুনাহ অধ্যায়ঃ হারাম ও কবীরা গুনাহ্ পরিচিতি ২২. জুয়া জুয়া বলতে সে সকল খেলাকে বুঝানো হয় যাতে বাজি কিংবা হারজিতের প্রশ্ন রয়েছে। জুয়া যে ধরনেরই হোক না কেন তা হারাম। আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন: «يَآ أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوْا إِنَّمَا الْـخَمْرُ وَالْـمَيْسِرُ وَالْأَنْصَابُ وَالْأَزْلَامُ رِجْسٌ مِّنْ عَمَلِ الشَّيْطَانِ، فَاجْتَنِبُوْهُ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُوْنَ، إِنَّمَا يُرِيْدُ الشَّيْطَانُ أَنْ يُّوْقِعَ بَيْنَكُمُ الْعَدَاوَةَ وَالْبَغْضَآءَ فِيْ الْـخَمْرِ وَالْـمَيْسِرِ، وَيَصُدَّكُمْ عَنْ ذِكْرِ اللهِ وَعَنِ الصَّلَاةِ، فَهَلْ أَنْتُمْ مُّنْتَهُوْنَ» ‘‘হে ঈমানদারগণ! নিশ্চয়ই মদ (নেশাকর দ্রব্য), জুয়া, মূর্তি ও লটারীর তীর এ সব নাপাক ও গর্হিত বিষয়। শয়তানের কাজও বটে। সুতরাং এগুলো থেকে তোমরা সম্পূর্ণরূপে দূরে থাকে। তা হলেই তো তোমরা সফলকাম হতে পারবে। শয়তান তো এটিই চায় যে, মদ ও জুয়ার মাধ্যমে তোমাদের পরস্পরের মাঝে শত্রুতা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি হোক এবং আল্লাহ্ তা‘আলার স্মরণ ও নামায থেকে তোমরা বিরত থাকো। সুতরাং এখনো কি তোমরা এগুলো থেকে বিরত থাকবে না?’’ (মা’য়িদাহ্ : ৯০-৯১) উক্ত আয়াতে জুয়াকে শির্কের পাশাপাশি উল্লেখ করা, উহাকে অপবিত্র ও শয়তানের কাজ বলে আখ্যায়িত করা, তা থেকে বিরত থাকার ইলাহী আদেশ, তা বর্জনে সমূহ কল্যাণ নিহিত থাকা, এরই মাধ্যমে শয়তানের মানুষে মানুষে শত্রুতা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি করা এবং আল্লাহ্ তা‘আলার স্মরণ ও নামায থেকে গাফিল রাখার চেষ্টা এবং পরিশেষে ধমকের সুরে তা থেকে বিরত থাকার আদেশ থেকে জুয়ার ভয়ঙ্করতার পর্যায়টি সুস্পষ্টরূপেই প্রতিভাত হয়। জুয়ার অনেকগুলো নতুন-পুরাতন ধরন রয়েছে যা হাতেগুনে উল্লেখ করা সত্যিই কষ্টকর। সময়ের পরিবর্তনে আরো যে কতো ধরনের জুয়ার পথ আবিষ্কৃত হবে তা আল্লাহ্ তা‘আলাই ভালো জানেন। তবুও নিম্নে জুয়ার কয়েকটি ধরনের কথা উল্লেখ করা হলো: ক. লটারি বা ভাগ্যপরীক্ষা। অর্থের বিনিময়ে কোন সংস্থা বা সংগঠনের প্রাইজ বন্ড খরিদ করে বেশি, সমপরিমাণ কিংবা কম মূল্যের পুরষ্কার পাওয়া অথবা একেবারেই কিছু না পাওয়া। এ পন্থা একেবারেই হারাম। চাই উক্ত লটারির অর্থ জনকল্যাণেই ব্যবহার হোক না কেন। কারণ, পরকালের সাওয়াব তো শরীয়ত নিষিদ্ধ কোন পন্থায় অর্জন করা যায় না। খ. জাহিলী যুগে দশজন লোক একত্রে মিলে একটি উট খরিদ করতো। প্রত্যেকেই সমানভাবে উট কেনার পয়সা পরিশোধ করতো। কিন্তু জবাইয়ের পর তারা লটারির মাধ্যমে শুধু সাত ভাগই নির্ধারণ করে নিতো। আর বাকি তিনজনকে কিছুই দেয়া হতো না। এটি হচ্ছে জুয়ার প্রাচীন রূপ। গ. কার্ডের মাধ্যমে অর্থের বিনিময়ে জুয়া খেলা তো বর্তমান সমাজে খুবই প্রসিদ্ধ। যা ছোট-বড় কারোর অজানা নয়। শুধু এরই মাধ্যমে মানুষের কতো টাকা যে আজ পর্যন্ত বেহাত হয়েছে বা হচ্ছে তার কোন ইয়ত্তা নেই। ঘ. এমন কোন পণ্য খরিদ করা যার মধ্যে অজানা কিছু পুরস্কার রয়েছে। কখনো পাওয়া যায় আবার কখনো কিছুই পাওয়া যায় না। তেমনিভাবে পণ্য খরিদের সময় দোকানদাররা গ্রাহকদের মাঝে কিছু নাম্বার বিতরণ করে থাকে। যার ভিত্তিতে পরবর্তীতে লটারির মাধ্যমে অথবা লটারি ছাড়াই পুরস্কার ঘোষণা দেয়া হয়। তাতে কেউ পায় আবার অনেকেই কিছুই পায় না। ঙ. সকল ধরনের বীমা কার্যকলাপও জুয়ার অন্তর্গত। জীবন বীমা, গাড়ি বীমা, বাড়ি বীমা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বীমা, বিশেষ কোন পণ্যের বীমা, সাধারণ বীমা ইত্যাদি। এমনকি বর্তমানে গায়ক-গায়িকারা কন্ঠস্বর বীমাও করে থাকে। বীমাগুলোতে ভবিষ্যতে ক্ষতিপূরণ সরূপ টাকা প্রাপ্তির আশায় নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট পরিমাণে টাকা জমা রাখা হয়। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা বস্ত্তর ক্ষতি সাধন হলেই ক্ষতি সমপরিমাণ টাকা পাওয়া যায়। নতুবা নয়। ক্ষতিপূরণ জমা দেয়া টাকা থেকে কম, উহার সমপরিমাণ অথবা তা থেকে অনেকগুণ বেশিও হয়ে থাকে। চ. জায়িয খেলাধুলাসমূহ খেলোয়াড়দের পক্ষ থেকে পুরস্কার সম্বলিত হলে তাও জুয়ার অন্তর্গত। কিন্তু পুরস্কারটি তৃতীয় পক্ষ থেকে হলে তা অবশ্য জায়িয। তবে শরীয়তের কোন ফায়েদা রয়েছে এমন সকল খেলাধুলা পুরস্কার সম্বলিত হলেও তাতে কোন অসুবিধে নেই। আর ইসলাম বিরোধী খেলাধুলা তো কোনভাবেই জায়িয নয়। চাই তাতে পুরস্কার থাকুক বা নাই থাকুক। www.hadithbd.com/books/link/?id=6680
গ্রন্থঃ হারাম ও কবিরা গুনাহ অধ্যায়ঃ হারাম ও কবীরা গুনাহ্ পরিচিতি ২২. জুয়া জুয়া বলতে সে সকল খেলাকে বুঝানো হয় যাতে বাজি কিংবা হারজিতের প্রশ্ন রয়েছে। জুয়া যে ধরনেরই হোক না কেন তা হারাম। আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন: «يَآ أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوْا إِنَّمَا الْـخَمْرُ وَالْـمَيْسِرُ وَالْأَنْصَابُ وَالْأَزْلَامُ رِجْسٌ مِّنْ عَمَلِ الشَّيْطَانِ، فَاجْتَنِبُوْهُ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُوْنَ، إِنَّمَا يُرِيْدُ الشَّيْطَانُ أَنْ يُّوْقِعَ بَيْنَكُمُ الْعَدَاوَةَ وَالْبَغْضَآءَ فِيْ الْـخَمْرِ وَالْـمَيْسِرِ، وَيَصُدَّكُمْ عَنْ ذِكْرِ اللهِ وَعَنِ الصَّلَاةِ، فَهَلْ أَنْتُمْ مُّنْتَهُوْنَ» ‘‘হে ঈমানদারগণ! নিশ্চয়ই মদ (নেশাকর দ্রব্য), জুয়া, মূর্তি ও লটারীর তীর এ সব নাপাক ও গর্হিত বিষয়। শয়তানের কাজও বটে। সুতরাং এগুলো থেকে তোমরা সম্পূর্ণরূপে দূরে থাকে। তা হলেই তো তোমরা সফলকাম হতে পারবে। শয়তান তো এটিই চায় যে, মদ ও জুয়ার মাধ্যমে তোমাদের পরস্পরের মাঝে শত্রুতা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি হোক এবং আল্লাহ্ তা‘আলার স্মরণ ও নামায থেকে তোমরা বিরত থাকো। সুতরাং এখনো কি তোমরা এগুলো থেকে বিরত থাকবে না?’’ (মা’য়িদাহ্ : ৯০-৯১) উক্ত আয়াতে জুয়াকে শির্কের পাশাপাশি উল্লেখ করা, উহাকে অপবিত্র ও শয়তানের কাজ বলে আখ্যায়িত করা, তা থেকে বিরত থাকার ইলাহী আদেশ, তা বর্জনে সমূহ কল্যাণ নিহিত থাকা, এরই মাধ্যমে শয়তানের মানুষে মানুষে শত্রুতা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি করা এবং আল্লাহ্ তা‘আলার স্মরণ ও নামায থেকে গাফিল রাখার চেষ্টা এবং পরিশেষে ধমকের সুরে তা থেকে বিরত থাকার আদেশ থেকে জুয়ার ভয়ঙ্করতার পর্যায়টি সুস্পষ্টরূপেই প্রতিভাত হয়। জুয়ার অনেকগুলো নতুন-পুরাতন ধরন রয়েছে যা হাতেগুনে উল্লেখ করা সত্যিই কষ্টকর। সময়ের পরিবর্তনে আরো যে কতো ধরনের জুয়ার পথ আবিষ্কৃত হবে তা আল্লাহ্ তা‘আলাই ভালো জানেন। তবুও নিম্নে জুয়ার কয়েকটি ধরনের কথা উল্লেখ করা হলো: ক. লটারি বা ভাগ্যপরীক্ষা। অর্থের বিনিময়ে কোন সংস্থা বা সংগঠনের প্রাইজ বন্ড খরিদ করে বেশি, সমপরিমাণ কিংবা কম মূল্যের পুরষ্কার পাওয়া অথবা একেবারেই কিছু না পাওয়া। এ পন্থা একেবারেই হারাম। চাই উক্ত লটারির অর্থ জনকল্যাণেই ব্যবহার হোক না কেন। কারণ, পরকালের সাওয়াব তো শরীয়ত নিষিদ্ধ কোন পন্থায় অর্জন করা যায় না। খ. জাহিলী যুগে দশজন লোক একত্রে মিলে একটি উট খরিদ করতো। প্রত্যেকেই সমানভাবে উট কেনার পয়সা পরিশোধ করতো। কিন্তু জবাইয়ের পর তারা লটারির মাধ্যমে শুধু সাত ভাগই নির্ধারণ করে নিতো। আর বাকি তিনজনকে কিছুই দেয়া হতো না। এটি হচ্ছে জুয়ার প্রাচীন রূপ। গ. কার্ডের মাধ্যমে অর্থের বিনিময়ে জুয়া খেলা তো বর্তমান সমাজে খুবই প্রসিদ্ধ। যা ছোট-বড় কারোর অজানা নয়। শুধু এরই মাধ্যমে মানুষের কতো টাকা যে আজ পর্যন্ত বেহাত হয়েছে বা হচ্ছে তার কোন ইয়ত্তা নেই। ঘ. এমন কোন পণ্য খরিদ করা যার মধ্যে অজানা কিছু পুরস্কার রয়েছে। কখনো পাওয়া যায় আবার কখনো কিছুই পাওয়া যায় না। তেমনিভাবে পণ্য খরিদের সময় দোকানদাররা গ্রাহকদের মাঝে কিছু নাম্বার বিতরণ করে থাকে। যার ভিত্তিতে পরবর্তীতে লটারির মাধ্যমে অথবা লটারি ছাড়াই পুরস্কার ঘোষণা দেয়া হয়। তাতে কেউ পায় আবার অনেকেই কিছুই পায় না। ঙ. সকল ধরনের বীমা কার্যকলাপও জুয়ার অন্তর্গত। জীবন বীমা, গাড়ি বীমা, বাড়ি বীমা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বীমা, বিশেষ কোন পণ্যের বীমা, সাধারণ বীমা ইত্যাদি। এমনকি বর্তমানে গায়ক-গায়িকারা কন্ঠস্বর বীমাও করে থাকে। বীমাগুলোতে ভবিষ্যতে ক্ষতিপূরণ সরূপ টাকা প্রাপ্তির আশায় নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট পরিমাণে টাকা জমা রাখা হয়। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা বস্ত্তর ক্ষতি সাধন হলেই ক্ষতি সমপরিমাণ টাকা পাওয়া যায়। নতুবা নয়। ক্ষতিপূরণ জমা দেয়া টাকা থেকে কম, উহার সমপরিমাণ অথবা তা থেকে অনেকগুণ বেশিও হয়ে থাকে। চ. জায়িয খেলাধুলাসমূহ খেলোয়াড়দের পক্ষ থেকে পুরস্কার সম্বলিত হলে তাও জুয়ার অন্তর্গত। কিন্তু পুরস্কারটি তৃতীয় পক্ষ থেকে হলে তা অবশ্য জায়িয। তবে শরীয়তের কোন ফায়েদা রয়েছে এমন সকল খেলাধুলা পুরস্কার সম্বলিত হলেও তাতে কোন অসুবিধে নেই। আর ইসলাম বিরোধী খেলাধুলা তো কোনভাবেই জায়িয নয়। চাই তাতে পুরস্কার থাকুক বা নাই থাকুক। www.hadithbd.com/books/link/?id=6680
মানুষের দুঃখে তুমি পাশে থাকো, সৃষ্ঠিকর্তা তোমার দুঃখে পাশে থাকবে
ইনশাআল্লাহ 💚
আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহ আমাদের সবাইকে মানুষকে সাহয্য করার তৈফিক দান করুক আমিন
Allah has passed away from COVID-19,. Inna lillahi.....
আপনার কমেন্টটি আমার বেশ ভাল লাগল। ধন্যবাদ।
Insaallah
আমি জিতে ছি❤️
😊😊 0:08
এর মাধ্যমে তারা অনেক টাকা হাতায়, শান্তির ধর্মে এ খেলা হারাম।
😆😆😆
Je phone us koren seta to haram, apnader dhormo je rokom ak ta comedy apnara se rokom ak ta comedy😂
@@hbaksh224 Phone use kora haram ke bolse na jene kotha bolen, phone ke sothik halal vabe use korte hbe,
And apni aj dormoke comedy dormo boltesen seidin hasorer moidane tar sasti paben jodina Muslim hye mara jan.
Abal er bassa
@@hbaksh224 abal
বাংলাদেশে এ যাবৎ কালে যতগুলো লটারি হয়েছে সেগুলোর প্রকৃত মালিকরা মনে হয় না যে টাকা পেয়েছে।
Right
Bangladesh desh toh Bangladesh vai
বাংলাদেশে টাকা না পাওয়াই ভালো হইছে,লটারিতে টাকা পেলে নিশ্চিত শাস্তি হিসেবে ছাত্রলীগ ডাবল টাকা চাদা দাবি করে বসত।
@@abirhossain2646 qqqq
@@abirhossain2646 q
༊༊"পৌঁছে দাও কালেমার দাওয়াত,❤ لَا اِلَهَ اِلَّا اللهُ مَحَمَّدُ رَّسُوْلُ الله(ﷺ)__লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ༊༊"(সাঃ
Ponde daw
বাংলাদেশও এই রকম লটারি খেলা থাকলে ভালো হবে । গরিবের মানুষের ভাগ্য খুলে যেতে পারে ।
গ্রন্থঃ হারাম ও কবিরা গুনাহ
অধ্যায়ঃ হারাম ও কবীরা গুনাহ্ পরিচিতি
২২. জুয়া
জুয়া বলতে সে সকল খেলাকে বুঝানো হয় যাতে বাজি কিংবা হারজিতের প্রশ্ন রয়েছে। জুয়া যে ধরনেরই হোক না কেন তা হারাম।
আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন:
«يَآ أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوْا إِنَّمَا الْـخَمْرُ وَالْـمَيْسِرُ وَالْأَنْصَابُ وَالْأَزْلَامُ رِجْسٌ مِّنْ عَمَلِ الشَّيْطَانِ، فَاجْتَنِبُوْهُ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُوْنَ، إِنَّمَا يُرِيْدُ الشَّيْطَانُ أَنْ يُّوْقِعَ بَيْنَكُمُ الْعَدَاوَةَ وَالْبَغْضَآءَ فِيْ الْـخَمْرِ وَالْـمَيْسِرِ، وَيَصُدَّكُمْ عَنْ ذِكْرِ اللهِ وَعَنِ الصَّلَاةِ، فَهَلْ أَنْتُمْ مُّنْتَهُوْنَ»
‘‘হে ঈমানদারগণ! নিশ্চয়ই মদ (নেশাকর দ্রব্য), জুয়া, মূর্তি ও লটারীর তীর এ সব নাপাক ও গর্হিত বিষয়। শয়তানের কাজও বটে। সুতরাং এগুলো থেকে তোমরা সম্পূর্ণরূপে দূরে থাকে। তা হলেই তো তোমরা সফলকাম হতে পারবে। শয়তান তো এটিই চায় যে, মদ ও জুয়ার মাধ্যমে তোমাদের পরস্পরের মাঝে শত্রুতা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি হোক এবং আল্লাহ্ তা‘আলার স্মরণ ও নামায থেকে তোমরা বিরত থাকো। সুতরাং এখনো কি তোমরা এগুলো থেকে বিরত থাকবে না?’’ (মা’য়িদাহ্ : ৯০-৯১)
উক্ত আয়াতে জুয়াকে শির্কের পাশাপাশি উল্লেখ করা, উহাকে অপবিত্র ও শয়তানের কাজ বলে আখ্যায়িত করা, তা থেকে বিরত থাকার ইলাহী আদেশ, তা বর্জনে সমূহ কল্যাণ নিহিত থাকা, এরই মাধ্যমে শয়তানের মানুষে মানুষে শত্রুতা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি করা এবং আল্লাহ্ তা‘আলার স্মরণ ও নামায থেকে গাফিল রাখার চেষ্টা এবং পরিশেষে ধমকের সুরে তা থেকে বিরত থাকার আদেশ থেকে জুয়ার ভয়ঙ্করতার পর্যায়টি সুস্পষ্টরূপেই প্রতিভাত হয়।
জুয়ার অনেকগুলো নতুন-পুরাতন ধরন রয়েছে যা হাতেগুনে উল্লেখ করা সত্যিই কষ্টকর। সময়ের পরিবর্তনে আরো যে কতো ধরনের জুয়ার পথ আবিষ্কৃত হবে তা আল্লাহ্ তা‘আলাই ভালো জানেন। তবুও নিম্নে জুয়ার কয়েকটি ধরনের কথা উল্লেখ করা হলো:
ক. লটারি বা ভাগ্যপরীক্ষা। অর্থের বিনিময়ে কোন সংস্থা বা সংগঠনের প্রাইজ বন্ড খরিদ করে বেশি, সমপরিমাণ কিংবা কম মূল্যের পুরষ্কার পাওয়া অথবা একেবারেই কিছু না পাওয়া। এ পন্থা একেবারেই হারাম। চাই উক্ত লটারির অর্থ জনকল্যাণেই ব্যবহার হোক না কেন। কারণ, পরকালের সাওয়াব তো শরীয়ত নিষিদ্ধ কোন পন্থায় অর্জন করা যায় না।
খ. জাহিলী যুগে দশজন লোক একত্রে মিলে একটি উট খরিদ করতো। প্রত্যেকেই সমানভাবে উট কেনার পয়সা পরিশোধ করতো। কিন্তু জবাইয়ের পর তারা লটারির মাধ্যমে শুধু সাত ভাগই নির্ধারণ করে নিতো। আর বাকি তিনজনকে কিছুই দেয়া হতো না। এটি হচ্ছে জুয়ার প্রাচীন রূপ।
গ. কার্ডের মাধ্যমে অর্থের বিনিময়ে জুয়া খেলা তো বর্তমান সমাজে খুবই প্রসিদ্ধ। যা ছোট-বড় কারোর অজানা নয়। শুধু এরই মাধ্যমে মানুষের কতো টাকা যে আজ পর্যন্ত বেহাত হয়েছে বা হচ্ছে তার কোন ইয়ত্তা নেই।
ঘ. এমন কোন পণ্য খরিদ করা যার মধ্যে অজানা কিছু পুরস্কার রয়েছে। কখনো পাওয়া যায় আবার কখনো কিছুই পাওয়া যায় না। তেমনিভাবে পণ্য খরিদের সময় দোকানদাররা গ্রাহকদের মাঝে কিছু নাম্বার বিতরণ করে থাকে। যার ভিত্তিতে পরবর্তীতে লটারির মাধ্যমে অথবা লটারি ছাড়াই পুরস্কার ঘোষণা দেয়া হয়। তাতে কেউ পায় আবার অনেকেই কিছুই পায় না।
ঙ. সকল ধরনের বীমা কার্যকলাপও জুয়ার অন্তর্গত। জীবন বীমা, গাড়ি বীমা, বাড়ি বীমা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বীমা, বিশেষ কোন পণ্যের বীমা, সাধারণ বীমা ইত্যাদি। এমনকি বর্তমানে গায়ক-গায়িকারা কন্ঠস্বর বীমাও করে থাকে। বীমাগুলোতে ভবিষ্যতে ক্ষতিপূরণ সরূপ টাকা প্রাপ্তির আশায় নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট পরিমাণে টাকা জমা রাখা হয়। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা বস্ত্তর ক্ষতি সাধন হলেই ক্ষতি সমপরিমাণ টাকা পাওয়া যায়। নতুবা নয়। ক্ষতিপূরণ জমা দেয়া টাকা থেকে কম, উহার সমপরিমাণ অথবা তা থেকে অনেকগুণ বেশিও হয়ে থাকে।
চ. জায়িয খেলাধুলাসমূহ খেলোয়াড়দের পক্ষ থেকে পুরস্কার সম্বলিত হলে তাও জুয়ার অন্তর্গত। কিন্তু পুরস্কারটি তৃতীয় পক্ষ থেকে হলে তা অবশ্য জায়িয। তবে শরীয়তের কোন ফায়েদা রয়েছে এমন সকল খেলাধুলা পুরস্কার সম্বলিত হলেও তাতে কোন অসুবিধে নেই। আর ইসলাম বিরোধী খেলাধুলা তো কোনভাবেই জায়িয নয়। চাই তাতে পুরস্কার থাকুক বা নাই থাকুক।
www.hadithbd.com/books/link/?id=6680
ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি বাংলাদেশের লটারি টিকিট বিক্রি হচ্ছে ব্যাংকের মাধ্যমে কিন্তু সেই লটারির ড্র কখন হয়েছে কে বা কারা বিজয়ী হয়েছেন সেই নামে এখন পর্যন্ত জানতে না পারা আমরা
Right
ফিরোজ ভাই ফেসবুক পেইজ
R8
Right
Right,
জীবন দিবো কিন্তু ঈমান দিবো না
মাওলানা মামুনুল হক হাফিঃ
মুসলমানদের জন্য এটা সম্পূর্ণরূপে হারাম!❌
More ja tahole beche thakau haram
@@keltudabigboss9716 tora mor
এর জন্যই মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলোতে লটারি আর জুয়া খেলা হয়। তাও আবার সরকারি অনুমতিতে
হারাম সব মানুষের জন্যই হারাম।
গ্রন্থঃ হারাম ও কবিরা গুনাহ
অধ্যায়ঃ হারাম ও কবীরা গুনাহ্ পরিচিতি
২২. জুয়া
জুয়া বলতে সে সকল খেলাকে বুঝানো হয় যাতে বাজি কিংবা হারজিতের প্রশ্ন রয়েছে। জুয়া যে ধরনেরই হোক না কেন তা হারাম।
আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন:
«يَآ أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوْا إِنَّمَا الْـخَمْرُ وَالْـمَيْسِرُ وَالْأَنْصَابُ وَالْأَزْلَامُ رِجْسٌ مِّنْ عَمَلِ الشَّيْطَانِ، فَاجْتَنِبُوْهُ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُوْنَ، إِنَّمَا يُرِيْدُ الشَّيْطَانُ أَنْ يُّوْقِعَ بَيْنَكُمُ الْعَدَاوَةَ وَالْبَغْضَآءَ فِيْ الْـخَمْرِ وَالْـمَيْسِرِ، وَيَصُدَّكُمْ عَنْ ذِكْرِ اللهِ وَعَنِ الصَّلَاةِ، فَهَلْ أَنْتُمْ مُّنْتَهُوْنَ»
‘‘হে ঈমানদারগণ! নিশ্চয়ই মদ (নেশাকর দ্রব্য), জুয়া, মূর্তি ও লটারীর তীর এ সব নাপাক ও গর্হিত বিষয়। শয়তানের কাজও বটে। সুতরাং এগুলো থেকে তোমরা সম্পূর্ণরূপে দূরে থাকে। তা হলেই তো তোমরা সফলকাম হতে পারবে। শয়তান তো এটিই চায় যে, মদ ও জুয়ার মাধ্যমে তোমাদের পরস্পরের মাঝে শত্রুতা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি হোক এবং আল্লাহ্ তা‘আলার স্মরণ ও নামায থেকে তোমরা বিরত থাকো। সুতরাং এখনো কি তোমরা এগুলো থেকে বিরত থাকবে না?’’ (মা’য়িদাহ্ : ৯০-৯১)
উক্ত আয়াতে জুয়াকে শির্কের পাশাপাশি উল্লেখ করা, উহাকে অপবিত্র ও শয়তানের কাজ বলে আখ্যায়িত করা, তা থেকে বিরত থাকার ইলাহী আদেশ, তা বর্জনে সমূহ কল্যাণ নিহিত থাকা, এরই মাধ্যমে শয়তানের মানুষে মানুষে শত্রুতা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি করা এবং আল্লাহ্ তা‘আলার স্মরণ ও নামায থেকে গাফিল রাখার চেষ্টা এবং পরিশেষে ধমকের সুরে তা থেকে বিরত থাকার আদেশ থেকে জুয়ার ভয়ঙ্করতার পর্যায়টি সুস্পষ্টরূপেই প্রতিভাত হয়।
জুয়ার অনেকগুলো নতুন-পুরাতন ধরন রয়েছে যা হাতেগুনে উল্লেখ করা সত্যিই কষ্টকর। সময়ের পরিবর্তনে আরো যে কতো ধরনের জুয়ার পথ আবিষ্কৃত হবে তা আল্লাহ্ তা‘আলাই ভালো জানেন। তবুও নিম্নে জুয়ার কয়েকটি ধরনের কথা উল্লেখ করা হলো:
ক. লটারি বা ভাগ্যপরীক্ষা। অর্থের বিনিময়ে কোন সংস্থা বা সংগঠনের প্রাইজ বন্ড খরিদ করে বেশি, সমপরিমাণ কিংবা কম মূল্যের পুরষ্কার পাওয়া অথবা একেবারেই কিছু না পাওয়া। এ পন্থা একেবারেই হারাম। চাই উক্ত লটারির অর্থ জনকল্যাণেই ব্যবহার হোক না কেন। কারণ, পরকালের সাওয়াব তো শরীয়ত নিষিদ্ধ কোন পন্থায় অর্জন করা যায় না।
খ. জাহিলী যুগে দশজন লোক একত্রে মিলে একটি উট খরিদ করতো। প্রত্যেকেই সমানভাবে উট কেনার পয়সা পরিশোধ করতো। কিন্তু জবাইয়ের পর তারা লটারির মাধ্যমে শুধু সাত ভাগই নির্ধারণ করে নিতো। আর বাকি তিনজনকে কিছুই দেয়া হতো না। এটি হচ্ছে জুয়ার প্রাচীন রূপ।
গ. কার্ডের মাধ্যমে অর্থের বিনিময়ে জুয়া খেলা তো বর্তমান সমাজে খুবই প্রসিদ্ধ। যা ছোট-বড় কারোর অজানা নয়। শুধু এরই মাধ্যমে মানুষের কতো টাকা যে আজ পর্যন্ত বেহাত হয়েছে বা হচ্ছে তার কোন ইয়ত্তা নেই।
ঘ. এমন কোন পণ্য খরিদ করা যার মধ্যে অজানা কিছু পুরস্কার রয়েছে। কখনো পাওয়া যায় আবার কখনো কিছুই পাওয়া যায় না। তেমনিভাবে পণ্য খরিদের সময় দোকানদাররা গ্রাহকদের মাঝে কিছু নাম্বার বিতরণ করে থাকে। যার ভিত্তিতে পরবর্তীতে লটারির মাধ্যমে অথবা লটারি ছাড়াই পুরস্কার ঘোষণা দেয়া হয়। তাতে কেউ পায় আবার অনেকেই কিছুই পায় না।
ঙ. সকল ধরনের বীমা কার্যকলাপও জুয়ার অন্তর্গত। জীবন বীমা, গাড়ি বীমা, বাড়ি বীমা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বীমা, বিশেষ কোন পণ্যের বীমা, সাধারণ বীমা ইত্যাদি। এমনকি বর্তমানে গায়ক-গায়িকারা কন্ঠস্বর বীমাও করে থাকে। বীমাগুলোতে ভবিষ্যতে ক্ষতিপূরণ সরূপ টাকা প্রাপ্তির আশায় নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট পরিমাণে টাকা জমা রাখা হয়। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা বস্ত্তর ক্ষতি সাধন হলেই ক্ষতি সমপরিমাণ টাকা পাওয়া যায়। নতুবা নয়। ক্ষতিপূরণ জমা দেয়া টাকা থেকে কম, উহার সমপরিমাণ অথবা তা থেকে অনেকগুণ বেশিও হয়ে থাকে।
চ. জায়িয খেলাধুলাসমূহ খেলোয়াড়দের পক্ষ থেকে পুরস্কার সম্বলিত হলে তাও জুয়ার অন্তর্গত। কিন্তু পুরস্কারটি তৃতীয় পক্ষ থেকে হলে তা অবশ্য জায়িয। তবে শরীয়তের কোন ফায়েদা রয়েছে এমন সকল খেলাধুলা পুরস্কার সম্বলিত হলেও তাতে কোন অসুবিধে নেই। আর ইসলাম বিরোধী খেলাধুলা তো কোনভাবেই জায়িয নয়। চাই তাতে পুরস্কার থাকুক বা নাই থাকুক।
www.hadithbd.com/books/link/?id=6680
বাংলাদেশে হলে জীবনে ও টাকা জিতলে টাকা দিবে না। আর আমিও চাচ্ছি যে এমন লটারি বাংলাদেশে ও হোক এতে কিছু মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হতে পারে। 🥰
বাংলাদেশ হোলে জীবনেও টাকা দিবেনা, এমনিতেও যে লটারি গুলো বাংলাদেশে চালু আছে সবাই টাকা মেরে দেয়ে সর্বনিম্ন পেরাইজটিও দেয়না, আমার পুরা জীবনে একবার দেখেসিলাম লটারির প্রথম পেরাইজ পেয়েছে বাংলা ছবিতে শাবানা ও আলমগীর, বাস্তবে দেখা তো দূরের কথা শুনিওনাই।
1
Wright 🏃♀🏃♂🏃♂
vaggo poruvorton er jonno eto takar projon nei eto takar asha kora mane lov chara kichui noi.
প্রথম লাইনটা ঠিক
জীবন থেকে হারিয়ে গেছে পিয়া টিকেটের কালার টিয়া। 🥱🙊
বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ কতটাকা লটারি ঘোষণা করা হয়েছে?
বাংলাদেশের এম এ সাদী ভাই জিতবে ইনশাআল্লাহ ❤️🤲
ভাই ভুল হলে ক্ষমার চোখে দেখবেন কিন্তু আমি যতদুর জানি লটারিটাই হারাম জিনিস আর আপনি এইখানে আল্লাহর নাম নিয়েছেন দয়া করে কমেন্টটা রিমভ করেন
গ্রন্থঃ হারাম ও কবিরা গুনাহ
অধ্যায়ঃ হারাম ও কবীরা গুনাহ্ পরিচিতি
২২. জুয়া
জুয়া বলতে সে সকল খেলাকে বুঝানো হয় যাতে বাজি কিংবা হারজিতের প্রশ্ন রয়েছে। জুয়া যে ধরনেরই হোক না কেন তা হারাম।
আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন:
«يَآ أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوْا إِنَّمَا الْـخَمْرُ وَالْـمَيْسِرُ وَالْأَنْصَابُ وَالْأَزْلَامُ رِجْسٌ مِّنْ عَمَلِ الشَّيْطَانِ، فَاجْتَنِبُوْهُ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُوْنَ، إِنَّمَا يُرِيْدُ الشَّيْطَانُ أَنْ يُّوْقِعَ بَيْنَكُمُ الْعَدَاوَةَ وَالْبَغْضَآءَ فِيْ الْـخَمْرِ وَالْـمَيْسِرِ، وَيَصُدَّكُمْ عَنْ ذِكْرِ اللهِ وَعَنِ الصَّلَاةِ، فَهَلْ أَنْتُمْ مُّنْتَهُوْنَ»
‘‘হে ঈমানদারগণ! নিশ্চয়ই মদ (নেশাকর দ্রব্য), জুয়া, মূর্তি ও লটারীর তীর এ সব নাপাক ও গর্হিত বিষয়। শয়তানের কাজও বটে। সুতরাং এগুলো থেকে তোমরা সম্পূর্ণরূপে দূরে থাকে। তা হলেই তো তোমরা সফলকাম হতে পারবে। শয়তান তো এটিই চায় যে, মদ ও জুয়ার মাধ্যমে তোমাদের পরস্পরের মাঝে শত্রুতা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি হোক এবং আল্লাহ্ তা‘আলার স্মরণ ও নামায থেকে তোমরা বিরত থাকো। সুতরাং এখনো কি তোমরা এগুলো থেকে বিরত থাকবে না?’’ (মা’য়িদাহ্ : ৯০-৯১)
উক্ত আয়াতে জুয়াকে শির্কের পাশাপাশি উল্লেখ করা, উহাকে অপবিত্র ও শয়তানের কাজ বলে আখ্যায়িত করা, তা থেকে বিরত থাকার ইলাহী আদেশ, তা বর্জনে সমূহ কল্যাণ নিহিত থাকা, এরই মাধ্যমে শয়তানের মানুষে মানুষে শত্রুতা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি করা এবং আল্লাহ্ তা‘আলার স্মরণ ও নামায থেকে গাফিল রাখার চেষ্টা এবং পরিশেষে ধমকের সুরে তা থেকে বিরত থাকার আদেশ থেকে জুয়ার ভয়ঙ্করতার পর্যায়টি সুস্পষ্টরূপেই প্রতিভাত হয়।
জুয়ার অনেকগুলো নতুন-পুরাতন ধরন রয়েছে যা হাতেগুনে উল্লেখ করা সত্যিই কষ্টকর। সময়ের পরিবর্তনে আরো যে কতো ধরনের জুয়ার পথ আবিষ্কৃত হবে তা আল্লাহ্ তা‘আলাই ভালো জানেন। তবুও নিম্নে জুয়ার কয়েকটি ধরনের কথা উল্লেখ করা হলো:
ক. লটারি বা ভাগ্যপরীক্ষা। অর্থের বিনিময়ে কোন সংস্থা বা সংগঠনের প্রাইজ বন্ড খরিদ করে বেশি, সমপরিমাণ কিংবা কম মূল্যের পুরষ্কার পাওয়া অথবা একেবারেই কিছু না পাওয়া। এ পন্থা একেবারেই হারাম। চাই উক্ত লটারির অর্থ জনকল্যাণেই ব্যবহার হোক না কেন। কারণ, পরকালের সাওয়াব তো শরীয়ত নিষিদ্ধ কোন পন্থায় অর্জন করা যায় না।
খ. জাহিলী যুগে দশজন লোক একত্রে মিলে একটি উট খরিদ করতো। প্রত্যেকেই সমানভাবে উট কেনার পয়সা পরিশোধ করতো। কিন্তু জবাইয়ের পর তারা লটারির মাধ্যমে শুধু সাত ভাগই নির্ধারণ করে নিতো। আর বাকি তিনজনকে কিছুই দেয়া হতো না। এটি হচ্ছে জুয়ার প্রাচীন রূপ।
গ. কার্ডের মাধ্যমে অর্থের বিনিময়ে জুয়া খেলা তো বর্তমান সমাজে খুবই প্রসিদ্ধ। যা ছোট-বড় কারোর অজানা নয়। শুধু এরই মাধ্যমে মানুষের কতো টাকা যে আজ পর্যন্ত বেহাত হয়েছে বা হচ্ছে তার কোন ইয়ত্তা নেই।
ঘ. এমন কোন পণ্য খরিদ করা যার মধ্যে অজানা কিছু পুরস্কার রয়েছে। কখনো পাওয়া যায় আবার কখনো কিছুই পাওয়া যায় না। তেমনিভাবে পণ্য খরিদের সময় দোকানদাররা গ্রাহকদের মাঝে কিছু নাম্বার বিতরণ করে থাকে। যার ভিত্তিতে পরবর্তীতে লটারির মাধ্যমে অথবা লটারি ছাড়াই পুরস্কার ঘোষণা দেয়া হয়। তাতে কেউ পায় আবার অনেকেই কিছুই পায় না।
ঙ. সকল ধরনের বীমা কার্যকলাপও জুয়ার অন্তর্গত। জীবন বীমা, গাড়ি বীমা, বাড়ি বীমা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বীমা, বিশেষ কোন পণ্যের বীমা, সাধারণ বীমা ইত্যাদি। এমনকি বর্তমানে গায়ক-গায়িকারা কন্ঠস্বর বীমাও করে থাকে। বীমাগুলোতে ভবিষ্যতে ক্ষতিপূরণ সরূপ টাকা প্রাপ্তির আশায় নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট পরিমাণে টাকা জমা রাখা হয়। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা বস্ত্তর ক্ষতি সাধন হলেই ক্ষতি সমপরিমাণ টাকা পাওয়া যায়। নতুবা নয়। ক্ষতিপূরণ জমা দেয়া টাকা থেকে কম, উহার সমপরিমাণ অথবা তা থেকে অনেকগুণ বেশিও হয়ে থাকে।
চ. জায়িয খেলাধুলাসমূহ খেলোয়াড়দের পক্ষ থেকে পুরস্কার সম্বলিত হলে তাও জুয়ার অন্তর্গত। কিন্তু পুরস্কারটি তৃতীয় পক্ষ থেকে হলে তা অবশ্য জায়িয। তবে শরীয়তের কোন ফায়েদা রয়েছে এমন সকল খেলাধুলা পুরস্কার সম্বলিত হলেও তাতে কোন অসুবিধে নেই। আর ইসলাম বিরোধী খেলাধুলা তো কোনভাবেই জায়িয নয়। চাই তাতে পুরস্কার থাকুক বা নাই থাকুক।
www.hadithbd.com/books/link/?id=6680
হারাম কাজে ইনশাল্লাহ বলতে নেই।
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মদুর রাসুল্লাহ (সঃ)„
May ALLAH protect us from all alluring things
Allah has passed away from COVID-19,. Inna lillahi
Ameen
Don't write meaningless comment it shows about the depth of your knowledge
@@emonhusaain2808 কোভিট ৯০ এ তর মায়ের সাৎে বাসর করছি আমি
😊
আল্লাহর অশেষ রহমতে আমরা আজ 1.04k সাবস্ক্রাইবারের পরিবার,
copy right dibo?
ছোটবেলা থেকে দেখছি বাংলাদেশের লটারি কিনছি কিন্তু কোনদিন শুনি নাই কেউ পাইসে। শুধু বাংলাদেশ টাই
সবাই দোয়া করবেন আমার কয়েকটি লটারির ড্র আগামী ১২/১৩/১৪ এবং ২৮/২৯ শে জানুয়ারিতে। যেনো একটা হলেও ভাগ্য লাগে
Bangladesh থেকে যদি কাটা যেত! 🥰😋
এই ধরনের লটারি একটি বড় মাপের জুয়া। তবে সব লটারি জুয়া নয়।
ইসলামে জুয়া বড় ধরনের পাপ।
ভারতীয় চক্রবর্তী..... বাংলাদেশ। ভারতে নিধন মুসলিম
পৃথিবীর সব অলস মানুষগুলোর আশা একটাই টাকা হলে গরীবদের দান করব, হাসপাতাল করব ইত্যাদি ইত্যাদি😂😂
হাজার মানুষকে মানসিক অশান্তিতে রেখে একজন এই টাকা পাবে৷ এটা অবৈধ।
গ্রন্থঃ হারাম ও কবিরা গুনাহ
অধ্যায়ঃ হারাম ও কবীরা গুনাহ্ পরিচিতি
২২. জুয়া
জুয়া বলতে সে সকল খেলাকে বুঝানো হয় যাতে বাজি কিংবা হারজিতের প্রশ্ন রয়েছে। জুয়া যে ধরনেরই হোক না কেন তা হারাম।
আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন:
«يَآ أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوْا إِنَّمَا الْـخَمْرُ وَالْـمَيْسِرُ وَالْأَنْصَابُ وَالْأَزْلَامُ رِجْسٌ مِّنْ عَمَلِ الشَّيْطَانِ، فَاجْتَنِبُوْهُ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُوْنَ، إِنَّمَا يُرِيْدُ الشَّيْطَانُ أَنْ يُّوْقِعَ بَيْنَكُمُ الْعَدَاوَةَ وَالْبَغْضَآءَ فِيْ الْـخَمْرِ وَالْـمَيْسِرِ، وَيَصُدَّكُمْ عَنْ ذِكْرِ اللهِ وَعَنِ الصَّلَاةِ، فَهَلْ أَنْتُمْ مُّنْتَهُوْنَ»
‘‘হে ঈমানদারগণ! নিশ্চয়ই মদ (নেশাকর দ্রব্য), জুয়া, মূর্তি ও লটারীর তীর এ সব নাপাক ও গর্হিত বিষয়। শয়তানের কাজও বটে। সুতরাং এগুলো থেকে তোমরা সম্পূর্ণরূপে দূরে থাকে। তা হলেই তো তোমরা সফলকাম হতে পারবে। শয়তান তো এটিই চায় যে, মদ ও জুয়ার মাধ্যমে তোমাদের পরস্পরের মাঝে শত্রুতা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি হোক এবং আল্লাহ্ তা‘আলার স্মরণ ও নামায থেকে তোমরা বিরত থাকো। সুতরাং এখনো কি তোমরা এগুলো থেকে বিরত থাকবে না?’’ (মা’য়িদাহ্ : ৯০-৯১)
উক্ত আয়াতে জুয়াকে শির্কের পাশাপাশি উল্লেখ করা, উহাকে অপবিত্র ও শয়তানের কাজ বলে আখ্যায়িত করা, তা থেকে বিরত থাকার ইলাহী আদেশ, তা বর্জনে সমূহ কল্যাণ নিহিত থাকা, এরই মাধ্যমে শয়তানের মানুষে মানুষে শত্রুতা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি করা এবং আল্লাহ্ তা‘আলার স্মরণ ও নামায থেকে গাফিল রাখার চেষ্টা এবং পরিশেষে ধমকের সুরে তা থেকে বিরত থাকার আদেশ থেকে জুয়ার ভয়ঙ্করতার পর্যায়টি সুস্পষ্টরূপেই প্রতিভাত হয়।
জুয়ার অনেকগুলো নতুন-পুরাতন ধরন রয়েছে যা হাতেগুনে উল্লেখ করা সত্যিই কষ্টকর। সময়ের পরিবর্তনে আরো যে কতো ধরনের জুয়ার পথ আবিষ্কৃত হবে তা আল্লাহ্ তা‘আলাই ভালো জানেন। তবুও নিম্নে জুয়ার কয়েকটি ধরনের কথা উল্লেখ করা হলো:
ক. লটারি বা ভাগ্যপরীক্ষা। অর্থের বিনিময়ে কোন সংস্থা বা সংগঠনের প্রাইজ বন্ড খরিদ করে বেশি, সমপরিমাণ কিংবা কম মূল্যের পুরষ্কার পাওয়া অথবা একেবারেই কিছু না পাওয়া। এ পন্থা একেবারেই হারাম। চাই উক্ত লটারির অর্থ জনকল্যাণেই ব্যবহার হোক না কেন। কারণ, পরকালের সাওয়াব তো শরীয়ত নিষিদ্ধ কোন পন্থায় অর্জন করা যায় না।
খ. জাহিলী যুগে দশজন লোক একত্রে মিলে একটি উট খরিদ করতো। প্রত্যেকেই সমানভাবে উট কেনার পয়সা পরিশোধ করতো। কিন্তু জবাইয়ের পর তারা লটারির মাধ্যমে শুধু সাত ভাগই নির্ধারণ করে নিতো। আর বাকি তিনজনকে কিছুই দেয়া হতো না। এটি হচ্ছে জুয়ার প্রাচীন রূপ।
গ. কার্ডের মাধ্যমে অর্থের বিনিময়ে জুয়া খেলা তো বর্তমান সমাজে খুবই প্রসিদ্ধ। যা ছোট-বড় কারোর অজানা নয়। শুধু এরই মাধ্যমে মানুষের কতো টাকা যে আজ পর্যন্ত বেহাত হয়েছে বা হচ্ছে তার কোন ইয়ত্তা নেই।
ঘ. এমন কোন পণ্য খরিদ করা যার মধ্যে অজানা কিছু পুরস্কার রয়েছে। কখনো পাওয়া যায় আবার কখনো কিছুই পাওয়া যায় না। তেমনিভাবে পণ্য খরিদের সময় দোকানদাররা গ্রাহকদের মাঝে কিছু নাম্বার বিতরণ করে থাকে। যার ভিত্তিতে পরবর্তীতে লটারির মাধ্যমে অথবা লটারি ছাড়াই পুরস্কার ঘোষণা দেয়া হয়। তাতে কেউ পায় আবার অনেকেই কিছুই পায় না।
ঙ. সকল ধরনের বীমা কার্যকলাপও জুয়ার অন্তর্গত। জীবন বীমা, গাড়ি বীমা, বাড়ি বীমা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বীমা, বিশেষ কোন পণ্যের বীমা, সাধারণ বীমা ইত্যাদি। এমনকি বর্তমানে গায়ক-গায়িকারা কন্ঠস্বর বীমাও করে থাকে। বীমাগুলোতে ভবিষ্যতে ক্ষতিপূরণ সরূপ টাকা প্রাপ্তির আশায় নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট পরিমাণে টাকা জমা রাখা হয়। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা বস্ত্তর ক্ষতি সাধন হলেই ক্ষতি সমপরিমাণ টাকা পাওয়া যায়। নতুবা নয়। ক্ষতিপূরণ জমা দেয়া টাকা থেকে কম, উহার সমপরিমাণ অথবা তা থেকে অনেকগুণ বেশিও হয়ে থাকে।
চ. জায়িয খেলাধুলাসমূহ খেলোয়াড়দের পক্ষ থেকে পুরস্কার সম্বলিত হলে তাও জুয়ার অন্তর্গত। কিন্তু পুরস্কারটি তৃতীয় পক্ষ থেকে হলে তা অবশ্য জায়িয। তবে শরীয়তের কোন ফায়েদা রয়েছে এমন সকল খেলাধুলা পুরস্কার সম্বলিত হলেও তাতে কোন অসুবিধে নেই। আর ইসলাম বিরোধী খেলাধুলা তো কোনভাবেই জায়িয নয়। চাই তাতে পুরস্কার থাকুক বা নাই থাকুক।
www.hadithbd.com/books/link/?id=6680
এমনটা বাংলাদেশে চাইনা । জিতলে পরকাল দেখার সম্ভবনা আছে।
কিন্তু আমরা চাই, আপনি না খেলতে চাইলে আপনি খেইলেন না। কেউ জোর করবে না 🙄
@@rejwanislam339 এই ধরনের লটারি একটি বড় মাপের জুয়া। তবে সব লটারি জুয়া নয়।
ইসলামে জুয়া বড় ধরনের পাপ।
@@rejwanislam339 এটা ইসলামে নিষিদ্ধ।
@@usman96656 ধুর মিঞা, টাকা-পয়সা দরকার। 🙄 আল্লাহ যদি টাকা দিত তাহলে কি লটারি খেলতাম?
@@rejwanislam339 খেটে খান, খেটে খাওয়ার মধ্যে আলাদা সুখ রয়েছে, পরের টাকায় মস্তানি করায় কোনো সুখ - আনন্দ নেই।
বাংলাদেশে এরকম লটারি শুরু করুক মানুষের ভাগ্য পরিবতন হতে পারে
আত্নীয় দের দিয়ে দিবে
It’s Haram. May Allah safe us from this
এসব জ্ঞান নিজের কাছে রাখেন, টাকার দরকার এখন! 🙄
@@rejwanislam339 এই ধরনের লটারি একটি বড় মাপের জুয়া। তবে সব লটারি জুয়া নয়।
ইসলামে জুয়া বড় ধরনের পাপ।
@@rejwanislam339 ,
ঠিক টাকার দরকার এখন!
রাসূল (সাঃ) শেষ জামানার সম্পর্কে হাদিসে বলে গিয়েছেন তা থেকে আমি ২টা হাদিস এখানে দিয়ে দিলাম পড়ে নিবেন এবং আপনার মন্তব্যের সঙ্গে মিলিয়ে নিবেন অথবা গুগল/ইউটিউবে সার্চ করবেন "শেষ জামানা সম্পর্কে রাসূল (সাঃ)-এর হাদীস" এই লিখে বাকি হাদিস গুলোও পেয়ে যাবেন...!
১) মানুষের উপর একটি জামানা আসবে, যে জামানায় তারা সূদ খাবে। আবু হুরায়রাহ (রাঃ) বলেন: তাঁকে জিজ্ঞেস করা হল: লোকজনের সবাই খাবে? রাসুলুল্লাহ ﷺ বললেন: তাদের মধ্যে যে খাবে না, তাকে ওর ধুলাবালির অংশ হলেও স্পর্শ করবে’। [মুসনাদে আহমদ- ৯/৪৬৮, হাদিস ১০৩৬০; সুনানুল কুবরা, বাইহাকী- ৫/২৭৫]
২) ‘মানুষের উপর এমন একটি জামানা আসবে, যখন কেউ এতে ভ্রুক্ষেপ করবে না যে, সে যা গ্রহন করেছে -তা হালালের অন্তর্ভূক্ত, না হারামের’। [সহিহ বুখারী, হাদিস ২০৫৯; সুনানে নাসায়ী, হাদিস ৪৪৫৪; মুসনাদে আহমদ- ২/৪৩৫; সুনানে দারেমী, হাদিস ২৫৩৬]
@@rejwanislam339 haha
@@rejwanislam339 ৭০/৮০ বছরের এই খুদ্র জিবন কি অনেক কিছু??
আসল জিবন তো কেয়ামতের পর
বাংলাদেশ থেকে কি লটারি ধরা যাবে
আমাদের দেশে এই নিয়ম চালু করা উচিত
এটা আমার ভাগ্যে আছে ইনশা আল্লাহ
আল্লাহ সবাইকে ভাগ রাখুক ❤️❤️আমিন
lifeismoredramaticthanthedrama.blogspot.com/2022/07/every-person-feels-most-sorrow-in-his.html read
বোকা
বোকা*দা
গাধা
ছাগল
বাংলাদেশেও এরকম একটা লটারি চালু করুক
কোটি মানুষের টাকা একজন পাবে তাঁর সাথে কোটি মানুষের সপ্ননো ভেঙে যাবে
এই ধরনের লটারি একটি বড় মাপের জুয়া। তবে সব লটারি জুয়া নয়।
ইসলামে জুয়া বড় ধরনের পাপ।
ঠিক বলেছেন।
এক মাএ আল্লাহ যানেন কে এই ভাগ্যবান।
বাংলাদেশ থেকেও কিনা যাবে অনলাইনে?
Allah Allah Allah Allah 🤲🤲🤲
এই লটারি কি বাংলাদেশ থেকে কিনা যাবে?
না
আমাদের দেশেও এরকম লটারি দরকার
Bangladesh Theke kena jabe ki??
১২ হাজার কোটি মানে প্রায় দের বিলিয়ন। তাই মিলিয়ন না বলে মেগা বিলিয়ন নাম হওয়া উচিত
গতকাল ১ জন জিতে গেছে। আমাদের দোকানে গতকাল ৭৮০০ ডলার বিক্রি করেছি।
কেমনে টিকেট পামু
বাংলাদেশ থেকে কিভাবে টিকেট কাটা যায়
I lobe 🇹🇷
Lottery tar final result janayen
Kemon
বাংলাদেশ থেকে কি এ-ই লটারি কিনতে পারি?
হুম
@@1xbetofficialCrash Bangladesh a kotha theke kinbo
বাংলাদেশে যদি কোটি টাকার লটারি হতো
জুয়ার প্রোমট কেমনে করেন আপনারা?
সৌদি আরব থেকে কিভাবে লটারি নিতে পারি
অনলাইনে আমাদের দেশ থাকে, লটারি কিনতে চাই,,,,,,,,,,,
Allah ai takar malik baniy dao amake Amin
বাংলাদেশ থেকে টিকেট কাটা যাবে কি একটু জানাবেন প্লিজ
আমরা কিনতে পারবো
দুই ডলার টিকেটের মূল্য তাই মানুষের তেমন টেনশন নাই। কিন্তু পাবো কিনা এই টেনশান আছে।।।😊😊😊
বাংলাদেশের সরকারি ভাবে এরকম লটারি চালু করা হোক
Nawjubillah
@@mdabdulroufsuvo750 kno
Nawjubilah
আমরা কিভাবে অংশগ্রহণ করবো
Mohamed shajaha hossen international big boss Kabir pur shailkupa jhenada Dhaka Bangladesh alquran
Bangladesh thayka kinte parbo?
বাংলা দেশে এ-র কম ব্যবস্থা নেই
আমাদের বাংলাদেশেও এমন লটারি ছাড়ার উদ্যোগ নেওয়া হোক ।
ভাই দেশটাই বিক্রি করে পুরস্কার দিতে হবে
@@dilipsarkar1998 আমাদের ২ কোটি টাকা ছাড়লেই হবে বেশি লাগবে না।
এই ধরনের লটারি একটি বড় মাপের জুয়া। তবে সব লটারি জুয়া নয়।
ইসলামে জুয়া বড় ধরনের পাপ।
লুটে নিবে
@@muhammadshihabuddin5605 এই ধরনের লটারি একটি বড় মাপের জুয়া। তবে সব লটারি জুয়া নয়।
ইসলামে জুয়া বড় ধরনের পাপ।
Kivabe kinbo please tell me
😊😊😊❤ 0:42
ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের একজন কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিক সম্ভবত পুরষ্কার বিজয়ী হয়েছেন।
আমি বাংলাদেশ থেকে কিনতে চাই এই লটারি কোথায় পাবো।
মেগা মিলিয়ন লটারি বাংলাদেশ থেকে কেনা যায় একটু বলবেন
15929 takai Ami 1 ta Lotari kinci,,,sobai dhuya korben,,🤲🤲🤲🤲
আপনি কোন লটারী টিকিট কিনেছেন,কিভাবে কিনলেন যদি একটু বুঝিয়ে বলতেন প্লীজ।
আমেরিকার মেগামিলিয়নের লটারি বাংলাদেশে থেকে কি কাটা যাবে ?
বাংলাদেশের লটারী রাজনীতির লোক পায় কিংবা সিন্ডিকেটের কেউ হবে
এ টাকা গরীবদের দিয়ে দিলে হইতো🥺🥺
গরীবদের কেন দিবে।
আমাদের দেশে এরকম লটারি হওয়া উচিত তাহলে জুয়ার হার কমে যাবে
জনাব আসসালামু আলাইকুম।
বাংলাদেশ এমন কিছু ৬৪ জেলা ইসটেডিয়াম গুলি কিছু করতে পারে।
সরকার।
বাংলাদেশের মানুষের এরকম লাটারি চালু করা দরকার
কে কে লটারি জিতে পদ্মা সেতু বানাতে চান?
আমরা কি অংশ গ্রহণ করতে পারব বাংলাদেশ থেকে
বিশাল ব্যাপার
এরকম খবর আপনাদের কাছে আশা করিনি
Mega million power bol lottery
এর মত বাংলাদেশেও লটারি চালু করা উচিত ।
টিকিটের দাম কত।।।
এই লটারি কি বাংলাদেশ থেকে কেনা যাবে,
গ্রন্থঃ হারাম ও কবিরা গুনাহ
অধ্যায়ঃ হারাম ও কবীরা গুনাহ্ পরিচিতি
২২. জুয়া
জুয়া বলতে সে সকল খেলাকে বুঝানো হয় যাতে বাজি কিংবা হারজিতের প্রশ্ন রয়েছে। জুয়া যে ধরনেরই হোক না কেন তা হারাম।
আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন:
«يَآ أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوْا إِنَّمَا الْـخَمْرُ وَالْـمَيْسِرُ وَالْأَنْصَابُ وَالْأَزْلَامُ رِجْسٌ مِّنْ عَمَلِ الشَّيْطَانِ، فَاجْتَنِبُوْهُ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُوْنَ، إِنَّمَا يُرِيْدُ الشَّيْطَانُ أَنْ يُّوْقِعَ بَيْنَكُمُ الْعَدَاوَةَ وَالْبَغْضَآءَ فِيْ الْـخَمْرِ وَالْـمَيْسِرِ، وَيَصُدَّكُمْ عَنْ ذِكْرِ اللهِ وَعَنِ الصَّلَاةِ، فَهَلْ أَنْتُمْ مُّنْتَهُوْنَ»
‘‘হে ঈমানদারগণ! নিশ্চয়ই মদ (নেশাকর দ্রব্য), জুয়া, মূর্তি ও লটারীর তীর এ সব নাপাক ও গর্হিত বিষয়। শয়তানের কাজও বটে। সুতরাং এগুলো থেকে তোমরা সম্পূর্ণরূপে দূরে থাকে। তা হলেই তো তোমরা সফলকাম হতে পারবে। শয়তান তো এটিই চায় যে, মদ ও জুয়ার মাধ্যমে তোমাদের পরস্পরের মাঝে শত্রুতা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি হোক এবং আল্লাহ্ তা‘আলার স্মরণ ও নামায থেকে তোমরা বিরত থাকো। সুতরাং এখনো কি তোমরা এগুলো থেকে বিরত থাকবে না?’’ (মা’য়িদাহ্ : ৯০-৯১)
উক্ত আয়াতে জুয়াকে শির্কের পাশাপাশি উল্লেখ করা, উহাকে অপবিত্র ও শয়তানের কাজ বলে আখ্যায়িত করা, তা থেকে বিরত থাকার ইলাহী আদেশ, তা বর্জনে সমূহ কল্যাণ নিহিত থাকা, এরই মাধ্যমে শয়তানের মানুষে মানুষে শত্রুতা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি করা এবং আল্লাহ্ তা‘আলার স্মরণ ও নামায থেকে গাফিল রাখার চেষ্টা এবং পরিশেষে ধমকের সুরে তা থেকে বিরত থাকার আদেশ থেকে জুয়ার ভয়ঙ্করতার পর্যায়টি সুস্পষ্টরূপেই প্রতিভাত হয়।
জুয়ার অনেকগুলো নতুন-পুরাতন ধরন রয়েছে যা হাতেগুনে উল্লেখ করা সত্যিই কষ্টকর। সময়ের পরিবর্তনে আরো যে কতো ধরনের জুয়ার পথ আবিষ্কৃত হবে তা আল্লাহ্ তা‘আলাই ভালো জানেন। তবুও নিম্নে জুয়ার কয়েকটি ধরনের কথা উল্লেখ করা হলো:
ক. লটারি বা ভাগ্যপরীক্ষা। অর্থের বিনিময়ে কোন সংস্থা বা সংগঠনের প্রাইজ বন্ড খরিদ করে বেশি, সমপরিমাণ কিংবা কম মূল্যের পুরষ্কার পাওয়া অথবা একেবারেই কিছু না পাওয়া। এ পন্থা একেবারেই হারাম। চাই উক্ত লটারির অর্থ জনকল্যাণেই ব্যবহার হোক না কেন। কারণ, পরকালের সাওয়াব তো শরীয়ত নিষিদ্ধ কোন পন্থায় অর্জন করা যায় না।
খ. জাহিলী যুগে দশজন লোক একত্রে মিলে একটি উট খরিদ করতো। প্রত্যেকেই সমানভাবে উট কেনার পয়সা পরিশোধ করতো। কিন্তু জবাইয়ের পর তারা লটারির মাধ্যমে শুধু সাত ভাগই নির্ধারণ করে নিতো। আর বাকি তিনজনকে কিছুই দেয়া হতো না। এটি হচ্ছে জুয়ার প্রাচীন রূপ।
গ. কার্ডের মাধ্যমে অর্থের বিনিময়ে জুয়া খেলা তো বর্তমান সমাজে খুবই প্রসিদ্ধ। যা ছোট-বড় কারোর অজানা নয়। শুধু এরই মাধ্যমে মানুষের কতো টাকা যে আজ পর্যন্ত বেহাত হয়েছে বা হচ্ছে তার কোন ইয়ত্তা নেই।
ঘ. এমন কোন পণ্য খরিদ করা যার মধ্যে অজানা কিছু পুরস্কার রয়েছে। কখনো পাওয়া যায় আবার কখনো কিছুই পাওয়া যায় না। তেমনিভাবে পণ্য খরিদের সময় দোকানদাররা গ্রাহকদের মাঝে কিছু নাম্বার বিতরণ করে থাকে। যার ভিত্তিতে পরবর্তীতে লটারির মাধ্যমে অথবা লটারি ছাড়াই পুরস্কার ঘোষণা দেয়া হয়। তাতে কেউ পায় আবার অনেকেই কিছুই পায় না।
ঙ. সকল ধরনের বীমা কার্যকলাপও জুয়ার অন্তর্গত। জীবন বীমা, গাড়ি বীমা, বাড়ি বীমা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বীমা, বিশেষ কোন পণ্যের বীমা, সাধারণ বীমা ইত্যাদি। এমনকি বর্তমানে গায়ক-গায়িকারা কন্ঠস্বর বীমাও করে থাকে। বীমাগুলোতে ভবিষ্যতে ক্ষতিপূরণ সরূপ টাকা প্রাপ্তির আশায় নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট পরিমাণে টাকা জমা রাখা হয়। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা বস্ত্তর ক্ষতি সাধন হলেই ক্ষতি সমপরিমাণ টাকা পাওয়া যায়। নতুবা নয়। ক্ষতিপূরণ জমা দেয়া টাকা থেকে কম, উহার সমপরিমাণ অথবা তা থেকে অনেকগুণ বেশিও হয়ে থাকে।
চ. জায়িয খেলাধুলাসমূহ খেলোয়াড়দের পক্ষ থেকে পুরস্কার সম্বলিত হলে তাও জুয়ার অন্তর্গত। কিন্তু পুরস্কারটি তৃতীয় পক্ষ থেকে হলে তা অবশ্য জায়িয। তবে শরীয়তের কোন ফায়েদা রয়েছে এমন সকল খেলাধুলা পুরস্কার সম্বলিত হলেও তাতে কোন অসুবিধে নেই। আর ইসলাম বিরোধী খেলাধুলা তো কোনভাবেই জায়িয নয়। চাই তাতে পুরস্কার থাকুক বা নাই থাকুক।
www.hadithbd.com/books/link/?id=6680
বাংলাদেশ থেকে টিকিট কাটতে পারবো কি ?
বাংলাদেশ থেকে লটারী কাটতে হলে কিভাবে কাটব দয়াকরে বলবেন কি
এই টাকাটা হাছিনা কে দেওয়া উচিত,তাহলে দেশের আর গোয়া মারতো না 🤣🤣🤣🤣🤣🤣🤣🤣🤣🤣🤣🤣
বাংলাদেশ থেকে কিভাবে লটারি কিনা যায় এগুলো কি বাংলাদেশে পাওয়া যাবে লটারি ইনশাআল্লাহ
i’m gonna buy tickets
গ্রন্থঃ হারাম ও কবিরা গুনাহ
অধ্যায়ঃ হারাম ও কবীরা গুনাহ্ পরিচিতি
২২. জুয়া
জুয়া বলতে সে সকল খেলাকে বুঝানো হয় যাতে বাজি কিংবা হারজিতের প্রশ্ন রয়েছে। জুয়া যে ধরনেরই হোক না কেন তা হারাম।
আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন:
«يَآ أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوْا إِنَّمَا الْـخَمْرُ وَالْـمَيْسِرُ وَالْأَنْصَابُ وَالْأَزْلَامُ رِجْسٌ مِّنْ عَمَلِ الشَّيْطَانِ، فَاجْتَنِبُوْهُ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُوْنَ، إِنَّمَا يُرِيْدُ الشَّيْطَانُ أَنْ يُّوْقِعَ بَيْنَكُمُ الْعَدَاوَةَ وَالْبَغْضَآءَ فِيْ الْـخَمْرِ وَالْـمَيْسِرِ، وَيَصُدَّكُمْ عَنْ ذِكْرِ اللهِ وَعَنِ الصَّلَاةِ، فَهَلْ أَنْتُمْ مُّنْتَهُوْنَ»
‘‘হে ঈমানদারগণ! নিশ্চয়ই মদ (নেশাকর দ্রব্য), জুয়া, মূর্তি ও লটারীর তীর এ সব নাপাক ও গর্হিত বিষয়। শয়তানের কাজও বটে। সুতরাং এগুলো থেকে তোমরা সম্পূর্ণরূপে দূরে থাকে। তা হলেই তো তোমরা সফলকাম হতে পারবে। শয়তান তো এটিই চায় যে, মদ ও জুয়ার মাধ্যমে তোমাদের পরস্পরের মাঝে শত্রুতা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি হোক এবং আল্লাহ্ তা‘আলার স্মরণ ও নামায থেকে তোমরা বিরত থাকো। সুতরাং এখনো কি তোমরা এগুলো থেকে বিরত থাকবে না?’’ (মা’য়িদাহ্ : ৯০-৯১)
উক্ত আয়াতে জুয়াকে শির্কের পাশাপাশি উল্লেখ করা, উহাকে অপবিত্র ও শয়তানের কাজ বলে আখ্যায়িত করা, তা থেকে বিরত থাকার ইলাহী আদেশ, তা বর্জনে সমূহ কল্যাণ নিহিত থাকা, এরই মাধ্যমে শয়তানের মানুষে মানুষে শত্রুতা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি করা এবং আল্লাহ্ তা‘আলার স্মরণ ও নামায থেকে গাফিল রাখার চেষ্টা এবং পরিশেষে ধমকের সুরে তা থেকে বিরত থাকার আদেশ থেকে জুয়ার ভয়ঙ্করতার পর্যায়টি সুস্পষ্টরূপেই প্রতিভাত হয়।
জুয়ার অনেকগুলো নতুন-পুরাতন ধরন রয়েছে যা হাতেগুনে উল্লেখ করা সত্যিই কষ্টকর। সময়ের পরিবর্তনে আরো যে কতো ধরনের জুয়ার পথ আবিষ্কৃত হবে তা আল্লাহ্ তা‘আলাই ভালো জানেন। তবুও নিম্নে জুয়ার কয়েকটি ধরনের কথা উল্লেখ করা হলো:
ক. লটারি বা ভাগ্যপরীক্ষা। অর্থের বিনিময়ে কোন সংস্থা বা সংগঠনের প্রাইজ বন্ড খরিদ করে বেশি, সমপরিমাণ কিংবা কম মূল্যের পুরষ্কার পাওয়া অথবা একেবারেই কিছু না পাওয়া। এ পন্থা একেবারেই হারাম। চাই উক্ত লটারির অর্থ জনকল্যাণেই ব্যবহার হোক না কেন। কারণ, পরকালের সাওয়াব তো শরীয়ত নিষিদ্ধ কোন পন্থায় অর্জন করা যায় না।
খ. জাহিলী যুগে দশজন লোক একত্রে মিলে একটি উট খরিদ করতো। প্রত্যেকেই সমানভাবে উট কেনার পয়সা পরিশোধ করতো। কিন্তু জবাইয়ের পর তারা লটারির মাধ্যমে শুধু সাত ভাগই নির্ধারণ করে নিতো। আর বাকি তিনজনকে কিছুই দেয়া হতো না। এটি হচ্ছে জুয়ার প্রাচীন রূপ।
গ. কার্ডের মাধ্যমে অর্থের বিনিময়ে জুয়া খেলা তো বর্তমান সমাজে খুবই প্রসিদ্ধ। যা ছোট-বড় কারোর অজানা নয়। শুধু এরই মাধ্যমে মানুষের কতো টাকা যে আজ পর্যন্ত বেহাত হয়েছে বা হচ্ছে তার কোন ইয়ত্তা নেই।
ঘ. এমন কোন পণ্য খরিদ করা যার মধ্যে অজানা কিছু পুরস্কার রয়েছে। কখনো পাওয়া যায় আবার কখনো কিছুই পাওয়া যায় না। তেমনিভাবে পণ্য খরিদের সময় দোকানদাররা গ্রাহকদের মাঝে কিছু নাম্বার বিতরণ করে থাকে। যার ভিত্তিতে পরবর্তীতে লটারির মাধ্যমে অথবা লটারি ছাড়াই পুরস্কার ঘোষণা দেয়া হয়। তাতে কেউ পায় আবার অনেকেই কিছুই পায় না।
ঙ. সকল ধরনের বীমা কার্যকলাপও জুয়ার অন্তর্গত। জীবন বীমা, গাড়ি বীমা, বাড়ি বীমা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বীমা, বিশেষ কোন পণ্যের বীমা, সাধারণ বীমা ইত্যাদি। এমনকি বর্তমানে গায়ক-গায়িকারা কন্ঠস্বর বীমাও করে থাকে। বীমাগুলোতে ভবিষ্যতে ক্ষতিপূরণ সরূপ টাকা প্রাপ্তির আশায় নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট পরিমাণে টাকা জমা রাখা হয়। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা বস্ত্তর ক্ষতি সাধন হলেই ক্ষতি সমপরিমাণ টাকা পাওয়া যায়। নতুবা নয়। ক্ষতিপূরণ জমা দেয়া টাকা থেকে কম, উহার সমপরিমাণ অথবা তা থেকে অনেকগুণ বেশিও হয়ে থাকে।
চ. জায়িয খেলাধুলাসমূহ খেলোয়াড়দের পক্ষ থেকে পুরস্কার সম্বলিত হলে তাও জুয়ার অন্তর্গত। কিন্তু পুরস্কারটি তৃতীয় পক্ষ থেকে হলে তা অবশ্য জায়িয। তবে শরীয়তের কোন ফায়েদা রয়েছে এমন সকল খেলাধুলা পুরস্কার সম্বলিত হলেও তাতে কোন অসুবিধে নেই। আর ইসলাম বিরোধী খেলাধুলা তো কোনভাবেই জায়িয নয়। চাই তাতে পুরস্কার থাকুক বা নাই থাকুক।
www.hadithbd.com/books/link/?id=6680
১২ হাজার কোটি টাকা লাগবে আমার আমাকে ১ কোটি টাকা দেন ১ টি ঘর ১ টি গাড়ি আর বিয়ের যা লাগে তাতে চলবে ♥️♥️♥️♥️👈
সাংঘাতিকের হেডলাইন দেখে,,আমিও ভেবেছিলাম অনলাইন টিকেট কিনবো,পরে নিউজ দেখে বুঝলাম শুধু আমেরিকার জন্য😆😆
গ্রন্থঃ হারাম ও কবিরা গুনাহ
অধ্যায়ঃ হারাম ও কবীরা গুনাহ্ পরিচিতি
২২. জুয়া
জুয়া বলতে সে সকল খেলাকে বুঝানো হয় যাতে বাজি কিংবা হারজিতের প্রশ্ন রয়েছে। জুয়া যে ধরনেরই হোক না কেন তা হারাম।
আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন:
«يَآ أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوْا إِنَّمَا الْـخَمْرُ وَالْـمَيْسِرُ وَالْأَنْصَابُ وَالْأَزْلَامُ رِجْسٌ مِّنْ عَمَلِ الشَّيْطَانِ، فَاجْتَنِبُوْهُ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُوْنَ، إِنَّمَا يُرِيْدُ الشَّيْطَانُ أَنْ يُّوْقِعَ بَيْنَكُمُ الْعَدَاوَةَ وَالْبَغْضَآءَ فِيْ الْـخَمْرِ وَالْـمَيْسِرِ، وَيَصُدَّكُمْ عَنْ ذِكْرِ اللهِ وَعَنِ الصَّلَاةِ، فَهَلْ أَنْتُمْ مُّنْتَهُوْنَ»
‘‘হে ঈমানদারগণ! নিশ্চয়ই মদ (নেশাকর দ্রব্য), জুয়া, মূর্তি ও লটারীর তীর এ সব নাপাক ও গর্হিত বিষয়। শয়তানের কাজও বটে। সুতরাং এগুলো থেকে তোমরা সম্পূর্ণরূপে দূরে থাকে। তা হলেই তো তোমরা সফলকাম হতে পারবে। শয়তান তো এটিই চায় যে, মদ ও জুয়ার মাধ্যমে তোমাদের পরস্পরের মাঝে শত্রুতা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি হোক এবং আল্লাহ্ তা‘আলার স্মরণ ও নামায থেকে তোমরা বিরত থাকো। সুতরাং এখনো কি তোমরা এগুলো থেকে বিরত থাকবে না?’’ (মা’য়িদাহ্ : ৯০-৯১)
উক্ত আয়াতে জুয়াকে শির্কের পাশাপাশি উল্লেখ করা, উহাকে অপবিত্র ও শয়তানের কাজ বলে আখ্যায়িত করা, তা থেকে বিরত থাকার ইলাহী আদেশ, তা বর্জনে সমূহ কল্যাণ নিহিত থাকা, এরই মাধ্যমে শয়তানের মানুষে মানুষে শত্রুতা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি করা এবং আল্লাহ্ তা‘আলার স্মরণ ও নামায থেকে গাফিল রাখার চেষ্টা এবং পরিশেষে ধমকের সুরে তা থেকে বিরত থাকার আদেশ থেকে জুয়ার ভয়ঙ্করতার পর্যায়টি সুস্পষ্টরূপেই প্রতিভাত হয়।
জুয়ার অনেকগুলো নতুন-পুরাতন ধরন রয়েছে যা হাতেগুনে উল্লেখ করা সত্যিই কষ্টকর। সময়ের পরিবর্তনে আরো যে কতো ধরনের জুয়ার পথ আবিষ্কৃত হবে তা আল্লাহ্ তা‘আলাই ভালো জানেন। তবুও নিম্নে জুয়ার কয়েকটি ধরনের কথা উল্লেখ করা হলো:
ক. লটারি বা ভাগ্যপরীক্ষা। অর্থের বিনিময়ে কোন সংস্থা বা সংগঠনের প্রাইজ বন্ড খরিদ করে বেশি, সমপরিমাণ কিংবা কম মূল্যের পুরষ্কার পাওয়া অথবা একেবারেই কিছু না পাওয়া। এ পন্থা একেবারেই হারাম। চাই উক্ত লটারির অর্থ জনকল্যাণেই ব্যবহার হোক না কেন। কারণ, পরকালের সাওয়াব তো শরীয়ত নিষিদ্ধ কোন পন্থায় অর্জন করা যায় না।
খ. জাহিলী যুগে দশজন লোক একত্রে মিলে একটি উট খরিদ করতো। প্রত্যেকেই সমানভাবে উট কেনার পয়সা পরিশোধ করতো। কিন্তু জবাইয়ের পর তারা লটারির মাধ্যমে শুধু সাত ভাগই নির্ধারণ করে নিতো। আর বাকি তিনজনকে কিছুই দেয়া হতো না। এটি হচ্ছে জুয়ার প্রাচীন রূপ।
গ. কার্ডের মাধ্যমে অর্থের বিনিময়ে জুয়া খেলা তো বর্তমান সমাজে খুবই প্রসিদ্ধ। যা ছোট-বড় কারোর অজানা নয়। শুধু এরই মাধ্যমে মানুষের কতো টাকা যে আজ পর্যন্ত বেহাত হয়েছে বা হচ্ছে তার কোন ইয়ত্তা নেই।
ঘ. এমন কোন পণ্য খরিদ করা যার মধ্যে অজানা কিছু পুরস্কার রয়েছে। কখনো পাওয়া যায় আবার কখনো কিছুই পাওয়া যায় না। তেমনিভাবে পণ্য খরিদের সময় দোকানদাররা গ্রাহকদের মাঝে কিছু নাম্বার বিতরণ করে থাকে। যার ভিত্তিতে পরবর্তীতে লটারির মাধ্যমে অথবা লটারি ছাড়াই পুরস্কার ঘোষণা দেয়া হয়। তাতে কেউ পায় আবার অনেকেই কিছুই পায় না।
ঙ. সকল ধরনের বীমা কার্যকলাপও জুয়ার অন্তর্গত। জীবন বীমা, গাড়ি বীমা, বাড়ি বীমা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বীমা, বিশেষ কোন পণ্যের বীমা, সাধারণ বীমা ইত্যাদি। এমনকি বর্তমানে গায়ক-গায়িকারা কন্ঠস্বর বীমাও করে থাকে। বীমাগুলোতে ভবিষ্যতে ক্ষতিপূরণ সরূপ টাকা প্রাপ্তির আশায় নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট পরিমাণে টাকা জমা রাখা হয়। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা বস্ত্তর ক্ষতি সাধন হলেই ক্ষতি সমপরিমাণ টাকা পাওয়া যায়। নতুবা নয়। ক্ষতিপূরণ জমা দেয়া টাকা থেকে কম, উহার সমপরিমাণ অথবা তা থেকে অনেকগুণ বেশিও হয়ে থাকে।
চ. জায়িয খেলাধুলাসমূহ খেলোয়াড়দের পক্ষ থেকে পুরস্কার সম্বলিত হলে তাও জুয়ার অন্তর্গত। কিন্তু পুরস্কারটি তৃতীয় পক্ষ থেকে হলে তা অবশ্য জায়িয। তবে শরীয়তের কোন ফায়েদা রয়েছে এমন সকল খেলাধুলা পুরস্কার সম্বলিত হলেও তাতে কোন অসুবিধে নেই। আর ইসলাম বিরোধী খেলাধুলা তো কোনভাবেই জায়িয নয়। চাই তাতে পুরস্কার থাকুক বা নাই থাকুক।
www.hadithbd.com/books/link/?id=6680
বেচারা😂😂
Bd te ki possible?
Hoye gele
bangladest.O kintu amon lotari korte parto..
অনলাইনে আমাদের দেশ থাকে, লটারি কিনতে চাই
আমরা বাংলাদেশ থেকে লটারির টিকিট কিনতে পারবো না?
Parben tobey prize deua hobey na
@@Buramanus126 কিভাবে কিনবো একটু বলবেন
এই লটারির দাম কত ডলার দয়া করে জানাবেন
বাংলাদেশ থেকে কি এটা ধরা সম্ভব
বাংলাদেশে কেন এভাবে লটারি হয় না।
এই ধরনের লটারি একটি বড় মাপের জুয়া। তবে সব লটারি জুয়া নয়।
ইসলামে জুয়া বড় ধরনের পাপ।
কারণ বাংলাদেশ চোরের দেশ
একটা জলজ্যান্ত মানুষের আবেগগুলো খু'ন করে মানুষ কীভাবে অন্যের সাথে সুখের সংসার করে .?🥹💔
এই লটারি বাংলাদেশ থেকে কেনা যাবে কি না????
গ্রন্থঃ হারাম ও কবিরা গুনাহ
অধ্যায়ঃ হারাম ও কবীরা গুনাহ্ পরিচিতি
২২. জুয়া
জুয়া বলতে সে সকল খেলাকে বুঝানো হয় যাতে বাজি কিংবা হারজিতের প্রশ্ন রয়েছে। জুয়া যে ধরনেরই হোক না কেন তা হারাম।
আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন:
«يَآ أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوْا إِنَّمَا الْـخَمْرُ وَالْـمَيْسِرُ وَالْأَنْصَابُ وَالْأَزْلَامُ رِجْسٌ مِّنْ عَمَلِ الشَّيْطَانِ، فَاجْتَنِبُوْهُ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُوْنَ، إِنَّمَا يُرِيْدُ الشَّيْطَانُ أَنْ يُّوْقِعَ بَيْنَكُمُ الْعَدَاوَةَ وَالْبَغْضَآءَ فِيْ الْـخَمْرِ وَالْـمَيْسِرِ، وَيَصُدَّكُمْ عَنْ ذِكْرِ اللهِ وَعَنِ الصَّلَاةِ، فَهَلْ أَنْتُمْ مُّنْتَهُوْنَ»
‘‘হে ঈমানদারগণ! নিশ্চয়ই মদ (নেশাকর দ্রব্য), জুয়া, মূর্তি ও লটারীর তীর এ সব নাপাক ও গর্হিত বিষয়। শয়তানের কাজও বটে। সুতরাং এগুলো থেকে তোমরা সম্পূর্ণরূপে দূরে থাকে। তা হলেই তো তোমরা সফলকাম হতে পারবে। শয়তান তো এটিই চায় যে, মদ ও জুয়ার মাধ্যমে তোমাদের পরস্পরের মাঝে শত্রুতা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি হোক এবং আল্লাহ্ তা‘আলার স্মরণ ও নামায থেকে তোমরা বিরত থাকো। সুতরাং এখনো কি তোমরা এগুলো থেকে বিরত থাকবে না?’’ (মা’য়িদাহ্ : ৯০-৯১)
উক্ত আয়াতে জুয়াকে শির্কের পাশাপাশি উল্লেখ করা, উহাকে অপবিত্র ও শয়তানের কাজ বলে আখ্যায়িত করা, তা থেকে বিরত থাকার ইলাহী আদেশ, তা বর্জনে সমূহ কল্যাণ নিহিত থাকা, এরই মাধ্যমে শয়তানের মানুষে মানুষে শত্রুতা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি করা এবং আল্লাহ্ তা‘আলার স্মরণ ও নামায থেকে গাফিল রাখার চেষ্টা এবং পরিশেষে ধমকের সুরে তা থেকে বিরত থাকার আদেশ থেকে জুয়ার ভয়ঙ্করতার পর্যায়টি সুস্পষ্টরূপেই প্রতিভাত হয়।
জুয়ার অনেকগুলো নতুন-পুরাতন ধরন রয়েছে যা হাতেগুনে উল্লেখ করা সত্যিই কষ্টকর। সময়ের পরিবর্তনে আরো যে কতো ধরনের জুয়ার পথ আবিষ্কৃত হবে তা আল্লাহ্ তা‘আলাই ভালো জানেন। তবুও নিম্নে জুয়ার কয়েকটি ধরনের কথা উল্লেখ করা হলো:
ক. লটারি বা ভাগ্যপরীক্ষা। অর্থের বিনিময়ে কোন সংস্থা বা সংগঠনের প্রাইজ বন্ড খরিদ করে বেশি, সমপরিমাণ কিংবা কম মূল্যের পুরষ্কার পাওয়া অথবা একেবারেই কিছু না পাওয়া। এ পন্থা একেবারেই হারাম। চাই উক্ত লটারির অর্থ জনকল্যাণেই ব্যবহার হোক না কেন। কারণ, পরকালের সাওয়াব তো শরীয়ত নিষিদ্ধ কোন পন্থায় অর্জন করা যায় না।
খ. জাহিলী যুগে দশজন লোক একত্রে মিলে একটি উট খরিদ করতো। প্রত্যেকেই সমানভাবে উট কেনার পয়সা পরিশোধ করতো। কিন্তু জবাইয়ের পর তারা লটারির মাধ্যমে শুধু সাত ভাগই নির্ধারণ করে নিতো। আর বাকি তিনজনকে কিছুই দেয়া হতো না। এটি হচ্ছে জুয়ার প্রাচীন রূপ।
গ. কার্ডের মাধ্যমে অর্থের বিনিময়ে জুয়া খেলা তো বর্তমান সমাজে খুবই প্রসিদ্ধ। যা ছোট-বড় কারোর অজানা নয়। শুধু এরই মাধ্যমে মানুষের কতো টাকা যে আজ পর্যন্ত বেহাত হয়েছে বা হচ্ছে তার কোন ইয়ত্তা নেই।
ঘ. এমন কোন পণ্য খরিদ করা যার মধ্যে অজানা কিছু পুরস্কার রয়েছে। কখনো পাওয়া যায় আবার কখনো কিছুই পাওয়া যায় না। তেমনিভাবে পণ্য খরিদের সময় দোকানদাররা গ্রাহকদের মাঝে কিছু নাম্বার বিতরণ করে থাকে। যার ভিত্তিতে পরবর্তীতে লটারির মাধ্যমে অথবা লটারি ছাড়াই পুরস্কার ঘোষণা দেয়া হয়। তাতে কেউ পায় আবার অনেকেই কিছুই পায় না।
ঙ. সকল ধরনের বীমা কার্যকলাপও জুয়ার অন্তর্গত। জীবন বীমা, গাড়ি বীমা, বাড়ি বীমা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বীমা, বিশেষ কোন পণ্যের বীমা, সাধারণ বীমা ইত্যাদি। এমনকি বর্তমানে গায়ক-গায়িকারা কন্ঠস্বর বীমাও করে থাকে। বীমাগুলোতে ভবিষ্যতে ক্ষতিপূরণ সরূপ টাকা প্রাপ্তির আশায় নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট পরিমাণে টাকা জমা রাখা হয়। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা বস্ত্তর ক্ষতি সাধন হলেই ক্ষতি সমপরিমাণ টাকা পাওয়া যায়। নতুবা নয়। ক্ষতিপূরণ জমা দেয়া টাকা থেকে কম, উহার সমপরিমাণ অথবা তা থেকে অনেকগুণ বেশিও হয়ে থাকে।
চ. জায়িয খেলাধুলাসমূহ খেলোয়াড়দের পক্ষ থেকে পুরস্কার সম্বলিত হলে তাও জুয়ার অন্তর্গত। কিন্তু পুরস্কারটি তৃতীয় পক্ষ থেকে হলে তা অবশ্য জায়িয। তবে শরীয়তের কোন ফায়েদা রয়েছে এমন সকল খেলাধুলা পুরস্কার সম্বলিত হলেও তাতে কোন অসুবিধে নেই। আর ইসলাম বিরোধী খেলাধুলা তো কোনভাবেই জায়িয নয়। চাই তাতে পুরস্কার থাকুক বা নাই থাকুক।
www.hadithbd.com/books/link/?id=6680
প্রবাসী বাঙালি ভাইয়ারে জিতবে
বাংলার নায়ক রুবেল কোথায়। তিনিই পাবেন লাকি লটারি 😄😄
এই ধরনের লটারি একটি বড় মাপের জুয়া। তবে সব লটারি জুয়া নয়।
ইসলামে জুয়া বড় ধরনের পাপ।
@@waliulhasnat1594 👍👍
AWESOME...
Vay bangladesh teke ki ay lotari kina jabe
আহারে লটারি তোরে বুঝি ভালোবাসতে পারি নী,তাই তুই আজও আপন হতে পারলি না।
গ্রন্থঃ হারাম ও কবিরা গুনাহ
অধ্যায়ঃ হারাম ও কবীরা গুনাহ্ পরিচিতি
২২. জুয়া
জুয়া বলতে সে সকল খেলাকে বুঝানো হয় যাতে বাজি কিংবা হারজিতের প্রশ্ন রয়েছে। জুয়া যে ধরনেরই হোক না কেন তা হারাম।
আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন:
«يَآ أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوْا إِنَّمَا الْـخَمْرُ وَالْـمَيْسِرُ وَالْأَنْصَابُ وَالْأَزْلَامُ رِجْسٌ مِّنْ عَمَلِ الشَّيْطَانِ، فَاجْتَنِبُوْهُ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُوْنَ، إِنَّمَا يُرِيْدُ الشَّيْطَانُ أَنْ يُّوْقِعَ بَيْنَكُمُ الْعَدَاوَةَ وَالْبَغْضَآءَ فِيْ الْـخَمْرِ وَالْـمَيْسِرِ، وَيَصُدَّكُمْ عَنْ ذِكْرِ اللهِ وَعَنِ الصَّلَاةِ، فَهَلْ أَنْتُمْ مُّنْتَهُوْنَ»
‘‘হে ঈমানদারগণ! নিশ্চয়ই মদ (নেশাকর দ্রব্য), জুয়া, মূর্তি ও লটারীর তীর এ সব নাপাক ও গর্হিত বিষয়। শয়তানের কাজও বটে। সুতরাং এগুলো থেকে তোমরা সম্পূর্ণরূপে দূরে থাকে। তা হলেই তো তোমরা সফলকাম হতে পারবে। শয়তান তো এটিই চায় যে, মদ ও জুয়ার মাধ্যমে তোমাদের পরস্পরের মাঝে শত্রুতা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি হোক এবং আল্লাহ্ তা‘আলার স্মরণ ও নামায থেকে তোমরা বিরত থাকো। সুতরাং এখনো কি তোমরা এগুলো থেকে বিরত থাকবে না?’’ (মা’য়িদাহ্ : ৯০-৯১)
উক্ত আয়াতে জুয়াকে শির্কের পাশাপাশি উল্লেখ করা, উহাকে অপবিত্র ও শয়তানের কাজ বলে আখ্যায়িত করা, তা থেকে বিরত থাকার ইলাহী আদেশ, তা বর্জনে সমূহ কল্যাণ নিহিত থাকা, এরই মাধ্যমে শয়তানের মানুষে মানুষে শত্রুতা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি করা এবং আল্লাহ্ তা‘আলার স্মরণ ও নামায থেকে গাফিল রাখার চেষ্টা এবং পরিশেষে ধমকের সুরে তা থেকে বিরত থাকার আদেশ থেকে জুয়ার ভয়ঙ্করতার পর্যায়টি সুস্পষ্টরূপেই প্রতিভাত হয়।
জুয়ার অনেকগুলো নতুন-পুরাতন ধরন রয়েছে যা হাতেগুনে উল্লেখ করা সত্যিই কষ্টকর। সময়ের পরিবর্তনে আরো যে কতো ধরনের জুয়ার পথ আবিষ্কৃত হবে তা আল্লাহ্ তা‘আলাই ভালো জানেন। তবুও নিম্নে জুয়ার কয়েকটি ধরনের কথা উল্লেখ করা হলো:
ক. লটারি বা ভাগ্যপরীক্ষা। অর্থের বিনিময়ে কোন সংস্থা বা সংগঠনের প্রাইজ বন্ড খরিদ করে বেশি, সমপরিমাণ কিংবা কম মূল্যের পুরষ্কার পাওয়া অথবা একেবারেই কিছু না পাওয়া। এ পন্থা একেবারেই হারাম। চাই উক্ত লটারির অর্থ জনকল্যাণেই ব্যবহার হোক না কেন। কারণ, পরকালের সাওয়াব তো শরীয়ত নিষিদ্ধ কোন পন্থায় অর্জন করা যায় না।
খ. জাহিলী যুগে দশজন লোক একত্রে মিলে একটি উট খরিদ করতো। প্রত্যেকেই সমানভাবে উট কেনার পয়সা পরিশোধ করতো। কিন্তু জবাইয়ের পর তারা লটারির মাধ্যমে শুধু সাত ভাগই নির্ধারণ করে নিতো। আর বাকি তিনজনকে কিছুই দেয়া হতো না। এটি হচ্ছে জুয়ার প্রাচীন রূপ।
গ. কার্ডের মাধ্যমে অর্থের বিনিময়ে জুয়া খেলা তো বর্তমান সমাজে খুবই প্রসিদ্ধ। যা ছোট-বড় কারোর অজানা নয়। শুধু এরই মাধ্যমে মানুষের কতো টাকা যে আজ পর্যন্ত বেহাত হয়েছে বা হচ্ছে তার কোন ইয়ত্তা নেই।
ঘ. এমন কোন পণ্য খরিদ করা যার মধ্যে অজানা কিছু পুরস্কার রয়েছে। কখনো পাওয়া যায় আবার কখনো কিছুই পাওয়া যায় না। তেমনিভাবে পণ্য খরিদের সময় দোকানদাররা গ্রাহকদের মাঝে কিছু নাম্বার বিতরণ করে থাকে। যার ভিত্তিতে পরবর্তীতে লটারির মাধ্যমে অথবা লটারি ছাড়াই পুরস্কার ঘোষণা দেয়া হয়। তাতে কেউ পায় আবার অনেকেই কিছুই পায় না।
ঙ. সকল ধরনের বীমা কার্যকলাপও জুয়ার অন্তর্গত। জীবন বীমা, গাড়ি বীমা, বাড়ি বীমা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বীমা, বিশেষ কোন পণ্যের বীমা, সাধারণ বীমা ইত্যাদি। এমনকি বর্তমানে গায়ক-গায়িকারা কন্ঠস্বর বীমাও করে থাকে। বীমাগুলোতে ভবিষ্যতে ক্ষতিপূরণ সরূপ টাকা প্রাপ্তির আশায় নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট পরিমাণে টাকা জমা রাখা হয়। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা বস্ত্তর ক্ষতি সাধন হলেই ক্ষতি সমপরিমাণ টাকা পাওয়া যায়। নতুবা নয়। ক্ষতিপূরণ জমা দেয়া টাকা থেকে কম, উহার সমপরিমাণ অথবা তা থেকে অনেকগুণ বেশিও হয়ে থাকে।
চ. জায়িয খেলাধুলাসমূহ খেলোয়াড়দের পক্ষ থেকে পুরস্কার সম্বলিত হলে তাও জুয়ার অন্তর্গত। কিন্তু পুরস্কারটি তৃতীয় পক্ষ থেকে হলে তা অবশ্য জায়িয। তবে শরীয়তের কোন ফায়েদা রয়েছে এমন সকল খেলাধুলা পুরস্কার সম্বলিত হলেও তাতে কোন অসুবিধে নেই। আর ইসলাম বিরোধী খেলাধুলা তো কোনভাবেই জায়িয নয়। চাই তাতে পুরস্কার থাকুক বা নাই থাকুক।
www.hadithbd.com/books/link/?id=6680
এটাও এক ধরণের জুয়া খেলা
আমি যেতে পারতাম আমার সবকিছু স্বপ্ন পূরণ হয়ে যেত
বাংলাদেশী নাগরিক বিজয় লাভ করবে ওকে।
I lobe 🇵🇰
এই ধরনের লটারি একটি বড় মাপের জুয়া। তবে সব লটারি জুয়া নয়।
ইসলামে জুয়া বড় ধরনের পাপ।