দিপু মনির হাট: ২ কোটি টাকায় ভিসি, ৫০ লাখ টাকায় প্রিন্সিপাল! | দীপু মনি | চাঁদপুর | bnanews24

Поделиться
HTML-код
  • Опубликовано: 11 сен 2024
  • ডা. দীপু মনি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তিনি ২০০৮ সালে প্রথম চাঁদপুর-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালে তাঁকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২০১৮ সালে তাঁকে শিক্ষামন্ত্রী করা হয়। ২০২৪ সালের নির্বাচনের পর গঠিত মন্ত্রীসভায় সমাজ কল্যাণ মন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয় তাঁকে। ৫ই আগষ্ট শেখ হাসিনা ভারত পালিয়ে যাওয়ার পর মন্ত্রী এমপিরাও নিজের বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। দিপু মনিও পালিয়ে যান। কিন্তু ১৩ আগষ্ট থেকে পালিয়ে থাকা মন্ত্রী- এমপিদের আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তার শুরু হয়। গ্রেপ্তার হন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ. রহমান। তারই ধারাবাহিকতায় ১৯ শে আগষ্ট রাজধানীর বারিধারা থেকে গ্রেপ্তার হন সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী দীপু মনি।
    এখন রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মুদিদোকানি আবু সায়েদকে গুলি করে হত্যার মামলায় ৪ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন। আদালতে উপস্থাপনকালে পুলিশ বেস্টনীর মধ্যেও কতিপয় ব্যক্তি তাকে কিল ঘুষি মারে। অথচ এক সময় দাপুটে মন্ত্রী ছিলেন ডা. দিপু মনি।
    গত ১১ বছরে পররাষ্ট্র, শিক্ষা ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। সবচেয়ে আলোচিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালে।
    সর্বশেষ নির্বাচনী হলফনামা পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, ২০০৮ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে তাঁর আয় বেড়ে ৪১ গুণ হয়েছে। নিজ নামে অস্থাবর সম্পদ বেড়ে হয়েছে প্রায় ৫৯ গুণ।
    হলফনামা অনুযায়ী দিপু মনি একের ভিভরে চার। তিনি একাধারে চিকিৎসক, জনস্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞ, আইনজীবী ও রাজনীতিক। ২০০৮ সালে নিজের পেশা থেকে দীপু মনির আয় ছিল বছরে তিন লাখ টাকা। ২০২৩ সালে তিনটি খাতে মোট আয় দেখিয়েছেন বছরে প্রায় ১ কোটি ২৩ লাখ টাকা।
    ২০০৮ সালে দীপু মনির মোট অস্থাবর সম্পদ ছিল ৫ লাখ টাকার সমপরিমাণ। এর মধ্যে ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা ছিল নগদ। গাড়ির দাম তিনি দেখিয়েছিলেন ১ লাখ টাকা। ২৫ ভরি সোনা বাবদ তিনি ১ লাখ টাকা এবং আসবাব-পত্র বাবদ ৩০ হাজার টাকা দেখিয়েছিলেন।
    ২০২৩ সালে দীপু মনি মোট অস্থাবর সম্পদ দেখিয়েছেন প্রায় ২ কোটি ৯৩ লাখ টাকা মূল্যের। এর মধ্যে নগদ টাকা রয়েছে প্রায় ৬৭ লাখ টাকা এবং সঞ্চয়পত্র ও সমজাতীয় বিনিয়োগ রয়েছে ১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। গাড়ির দাম ৬০ লাখ টাকা এবং সোনার দাম ৯ লাখ টাকা দেখিয়েছেন তিনি। ২০০৮ সালে দীপু মনির কোনো ঋণ ছিল না। এখন তাঁর ব্যক্তিগত ঋণের পরিমাণ প্রায় ১ কোটি ১২ লাখ টাকা।
    স্থাবর সম্পদের মধ্যে দীপু মনির ৩টি ফ্ল্যাট ও ১০ কাঠা জমি রয়েছে, যেগুলোর মূল্য দেখানো হয়েছে ৩ কোটি ৯৪ লাখ টাকার বেশি। ২০০৮ সালে তাঁর কোনো স্থাবর সম্পদ ছিল না। গত ১৫ বছরে দিপু মনি স্বনামে বেনামে শত শত কোটি টাকার সম্পদ গড়েছেন।
    আওয়ামী লীগ সরকারের চার মেয়াদের মধ্যে তিন মেয়াদে ভিন্ন তিনটি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন দীপু মনি। ক্ষমতার অপব্যবহার করে দীপু মনি নিজে ও তার স্বজনরা জড়িয়ে পড়েন দুর্নীতিতে। দিপু মনি সবচেয়ে বেশি অবৈধ আয় করেছে ২০১৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত। ওই সময়ে তিনি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী।
    দীপু মনির দুর্নীতি-অনিয়ম সম্পর্কে জানলেও ভয়ে মুখ খোলেননি তার মন্ত্রণালয়ের সচিবরা। অনেকে বলছেন, মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষক থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি নিয়োগ পর্যন্ত তার হাত ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি নিয়োগের জন্য দুই কোটি এবং কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগের জন্য তিনি ৫০ লাখ টাকা ঘুষ নিতেন। তার সময়ে শিক্ষা খাতে এটি ছিল ‘ওপেন সিক্রেট’।
    দীপু মনি শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালে তার ভাই টিটুর মাধ্যমে নিয়োগ বাণিজ্যের এক বিশাল রাজত্ব কায়েম করেন। সবচেয়ে আলোচিত বিষয় ছিল সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি ও কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগের বিষয়টি। শিক্ষা প্রশাসনে প্রতিটি বদলিতে তার ভাইয়ের হাতে ছিল পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ। সর্বনিম্ন দুই লাখ থেকে সর্বোচ্চ ২০ লাখ টাকায় বেচাবিক্রি হতো শিক্ষা প্রশাসনের নানা পদ।
    পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও, জাহাঙ্গীরনগর বাদে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি নিয়োগে কমবেশি আর্থিক লেনদেন হয়েছে। শেষ সময়ে ‘২ কোটি দাও ভিসি হও’- এমন একটি কথা ছড়িয়ে পড়ে।
    ইউজিসির সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার একজন কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশের ইতিহাসে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি নিয়োগে আর্থিক লেনদেনের কোনো নজির ছিল না। কিন্তু দীপু মনি সেই দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন।
    নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী, নোট গাইড বিক্রি নিষিদ্ধ হলেও সারা দেশে দেদারসে বিক্রি হচ্ছে এসব বই। এক গবেষণায় দেখা গেছে, ৯৭ শতাংশ শিক্ষার্থী নোট বা গাইডের ওপর নির্ভরশীল। মুখে নোট গাইড বইয়ের বিরোধিতা করলেও দীপু মনি নোট-গাইড বিক্রেতাদের কাছ থেকে তিন মাস পর পর ২৫ কোটি টাকা কমিশন নিতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সেই হিসাবে শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালীন ৫ বছরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কিচেন মন্ত্রী সভার সদস্য দিপু মনির অবৈধ আয় ৫ শত কোটি টাকা। অভিযোগ আছে, এ কাজে তাকে সহায়তা করতেন চাঁদপুর এলাকার একজন প্রকাশনীর মালিক।
    এছাড়াও নিম্নমানের কাগজে পাঠ্যবই ছাপানোর মহোৎসব ছিল দিপুমনির শিক্ষামন্ত্রীর আমলে। প্রাইমারি স্কুলের বই তারই প্রমাণ। এই খাত থেকে শত শত কোটি টাকা দুর্নীতি করেছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অতি আস্থাভাজন সাবেক এই শিক্ষা মন্ত্রী।
    শামীমা চৌধুরী শাম্মী
    বিএনএ নিউজ টুয়েন্টিফোর

Комментарии • 12

  • @farukulislam3735
    @farukulislam3735 20 дней назад +2

    এসব জালেমের বিচার চাই এবং সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।

  • @bhuiyanexpress3050
    @bhuiyanexpress3050 21 день назад +3

    তার বিচার হতে হবে

  • @abubaker3895
    @abubaker3895 22 дня назад +1

    Shame

  • @mdhashem5440
    @mdhashem5440 12 дней назад +1

    শুধু কচু দিয়ে রিমান্ড দিন

  • @omarali2156
    @omarali2156 15 дней назад +1

    এজন্য বলি যে বই তৈরী করেছে তা ছাত্রদের নিজে পড়ে বোজার যোগ্যতা নেই কেন?গাইড ব্যবসা।

  • @user-zs2md4gs7s
    @user-zs2md4gs7s 22 дня назад +2

    ডীম থেরাপি দেওয়া হোক

  • @RezaulKarim-cs5jl
    @RezaulKarim-cs5jl 22 дня назад +3

    তোদের উপর আল্লাহ গজব।