কুঁড়েঘর ম্যাংগো রিসোর্ট ।। kureghar mango resort ।। পোরশা, নওগাঁ।।

Поделиться
HTML-код
  • Опубликовано: 29 дек 2023
  • Music credit: NCS
    নওগাঁর সীমান্ত ঘেষা উপজেলা পোরশায় অবস্থিত ‘কুড়ে ঘর ম্যাংগো রিসোর্ট’। যা এখন সাড়া ফেলেছে নেট দুনিয়াসহ সারা দেশে। যেতে যেতে পথের দু ধারের সৌন্দর্য মুগ্ধ করছিল আমাদের। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত দর্শনার্থীরা এক নজর দেখার জন্য ভিড় করে সেই রিসোর্টে। চলতি বছরের জানুয়ারী মাসে রিসোর্টটি দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। কুড়ে ঘর ম্যাংগো রিসোর্টটি নওগাঁ জেলার পোরশা উপজেলার ছাওড় ইউপির নোনাহার পশ্চিমপাড়া গ্রামে অবস্থিত। নোনাহার পশ্চিমপাড়া গ্রামের মধ্যে পাকা রাস্তা শেষ হয়ে প্রায় ২শ ফিট মেঠো পথ পেরুতেই পেয়ে গেলাম কুঁড়ে ঘর ম্যাঙ্গো রিসোর্টের গেইট।
    প্রতিদিন এখানে দেখার জন্য আসতে থাকেন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ। এখানে যারা বেড়াতে আসেন তারা এই ঘরগুলো দেখে বিমোহিত হন। গ্রামের পরিবেশ, নির্মল বাতাস, নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলা নিকেতন, নানা বৈচিত্র আর সবুজের সমাহার উপভোগ করার জন্য আপনারাও এখানে রাত্রী যাপন করতে পারেন।
    এ রিসোর্টে তৈরি করা হয়েছে ৭টি রুম। এর মধ্যে রয়েছে ২টি ফ্যামিলি রুম, ৪টি সিঙ্গেল রুম ও ১টি কমন রুম। এখানে এক রাতে ৭রুমে ২০জন থাকতে পারে। ১রাত ফ্যামিলি ও কমন রুমের ভাড়া ৬শ টাকা। সিঙ্গেল রুমের ভাড়া ১জন ২শ ও ২জন ৩শ টাকা। এখানে রয়েছে এটাস্ট ও কমন বাথরুম, বিদ্যুৎ এবং পানির ব্যবস্থা।
    আম বাগানের মধ্যে মেঠো রাস্তার ধারে তৈরি করা হয়েছে রিসোর্টটি। মাটির তৈরি সারি-সারি ঘর, আঙ্গিনায় সারি-সারি ফুল গাছ। তাল পাতা দিয়ে ঘেরা আঙ্গিনা। আঙ্গিনায় পিঠ পেতে বসতে ডাকছে দড়ির তৈরি খাট। খাটে দেওয়া আছে বালিশ। চারিদিকে সবুজে ঘেরা। উপরে তাকালে নীল আকাশ।এবং রাতে জোনাকি পোকার মেলা,সকালে খেজুরের রস এ যেন এক অন্যরকম অনুভূতি। স্থানীয় বাঁশের কঞ্চি ও মাটি দিয়ে তৈরি করা হয়েছে ঘর। প্রথমে বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি করা হয়েছে বেড়া। বেড়ার উপর দেওয়া হয়েছে মাটির প্রলেপ। পাশের বিলের বিন্না দিয়ে তৈরি করা হয়েছে ঘরের চাল। ঘরের ভিতর থাকার জন্য দেওয়া হয়েছে খাট, মেঝেতে রয়েছে কার্পেট। ৩বেলা খাবার ব্যবস্থাও করা হয়েছে এখানে। রিসোর্টটি দেখাশোনার জন্য রয়েছে ২জন কর্মচারী।
    রিসোর্ট ম্যানেজার মাসুদ রানা জানান, এলকোহল, ধুমপান ও অবৈধ নারী-পুরুষ এখানে এলাও না। বিবাহিত ছেলে-মেয়ে এক সাথে থাকতে চাইলে তাদের বিয়ের কাবিন নামা ও ভোটার আইডি কার্ড জমা নেওয়া হয়। রিসোর্টে থাকা কালিন যারা এখানে খেতে চান তারা খরচ দিয়ে খেতে পারবেন। প্রায় সময় রুম বুকড থাকে, তাই এখানে আসার ২দিন আগেই জানিয়ে আসতে হবে।
    জানা গেছে, বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার মুজাহিদুল ইসলাম জাহিদ ২০২১ইং সালে পোরশা উপজেলার নোনাহার গ্রামে এসে আম বাগান তৈরি করার জন্য স্থানীয় ব্যাক্তিদের নিকট থেকে ৬০বিঘা জমি লিজ নেন। লিজ নেওয়া ঐ জমিতে বিভিন্ন জাতের আম, পেয়ারা, ড্রাগন, আখ ও কফি চাষ শুরু করেন মুজাহিদুল ইসলাম জাহিদ। পাশাপাশি সেখানে তিনি গরু খামারও তৈরি করেন।
    তিনি তার বাগান এবং খামার দেখাশোনা করার জন্য এখানে এসে থাকার জন্য প্রথম দিকে দুটি ঘর তৈরি করেন। তার তৈরিকৃত বাগান ও থাকার দুটি ঘরের ছবি ও ভিডিও তিনি তার ফেইসবুক আইডিতে এবং তার অপর একটি নিজস্ব ওয়েবসাইটে পোষ্ট করেন। এগুলোর পোষ্ট দেখে প্রথমে তার বিভিন্ন এলাকার বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়-স্বজন এখানে ঘুরতে আসেন। তার ঐ দুটি ঘরে বেশি মানুষ থাকতে সমস্যা হলে তিনি পরবর্তীতে আরও কিছু ঘর তৈরি করেন। আর সেগুলোর ছবি ও ভিডিও তিনিসহ সেখানে বেড়াতে আসা বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয় স্বজনরা তাদের ফেইসবুকে পোষ্ট করলে বেড়ে যায় প্রচার।
    প্রতিদিন আলাদা-আলাদা দর্শনার্থীদের একই আবদার শুনতে-শুনতে বাধ্য হয়ে চলতি বছরের জানুয়ারী মাসে এটিকে দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেন মুজাহিদুল ইসলাম জাহিদ। আর এর নাম দেন ‘কুঁড়ে ঘর ম্যাংগো রিসোর্ট’। দর্শনার্থী ও ভ্রমণ প্রেমীদের চাহিদা মেটাতে বর্তমানে
    রিসোর্ট ম্যানেজার মাসুদ রানা জানান, এলকোহল, ধুমপান ও অবৈধ নারী-পুরুষ এখানে এলাও না। বিবাহিত ছেলে-মেয়ে এক সাথে থাকতে চাইলে তাদের বিয়ের কাবিন নামা ও ভোটার আইডি কার্ড জমা নেওয়া হয়। রিসোর্টে থাকা কালিন যারা এখানে খেতে চান তারা খরচ দিয়ে খেতে পারবেন। প্রায় সময় রুম বুকড থাকে, তাই এখানে আসার ২দিন আগেই জানিয়ে আসতে হবে।
    কুঁড়ে ঘর ম্যাংগো রিসোর্ট এর স্বত্বাধিকারী মুজাহিদুল ইসলাম জাহিদ জানান, তিনি মূলত সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। প্রথম দিকে তিনি এখানে এসে আম বাগান তৈরি করেন এবং পরবর্তীতে তিনি গরুও পালন করতে থাকেন। পোরশা এলাকা তার কাছে কিছুটা পার্বত্য রাঙামাটি এলাকার মত মনে হয়। তার এই প্রজেক্টগুলোর ছবি এবং পোরশা এলাকার নিজস্ব ঐতিহ্য এবং এ এলাকার উঁচু-নিচু বরেন্দ্র ভূমির বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও তার ফেইসবুক ও ওয়েবসাইটে পোষ্ট করলে বিভিন্ন মানুষ এখানে আসতে চাইতেন। মানুষের চাহিদা মেটাতে তার এই রিসোর্ট তৈরি করা। রিসোর্টটিতে মানুষের বেশ সাড়া পাচ্ছেন তিনি। প্রতিদিন এখানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ এখানে এসে রাত্রী যাপন করছেন। আগামীতে তিনি এখানে কমিউনিটি টুরিজমের ব্যবস্থা ও বোর্ড হাউজ করাসহ পোরশাকে আকর্ষণীয় দর্শনীয় স্থান হিসাবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা করছেন বলেও জানান কুঁড়েঘর ম্যাংগো রিসোর্ট এর স্বত্বাধিকারী মুজাহিদুল ইসলাম জাহিদ। #শীতের #village #গ্রাম #morning

Комментарии • 20